Ajker Patrika

প্রবৃদ্ধিতে দেশের নির্মাণশিল্প, ২০২৮ নাগাদ আয় দাঁড়াবে ৬ লাখ ৫০ হাজার কোটি: গবেষণা

আপডেট : ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯: ২৮
প্রবৃদ্ধিতে দেশের নির্মাণশিল্প, ২০২৮ নাগাদ আয় দাঁড়াবে ৬ লাখ ৫০ হাজার কোটি: গবেষণা

নির্দিষ্ট কিছু নির্মাণ খাতে স্বল্পমেয়াদি চ্যালেঞ্জ থাকলেও, বাংলাদেশের নির্মাণশিল্প উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধির জন্য যথেষ্ট প্রস্তুত। শিল্পটি পরবর্তী চার প্রান্তিকে ধারাবাহিকভাবে প্রবৃদ্ধির মুখ দেখতে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০২৪–২৮ সালের মধ্যে বার্ষিক চক্রবৃদ্ধি প্রবৃদ্ধির হার ৯ দশমিক ২ শতাংশ হতে পারে। যেখানে এই খাতের আয় ২০২৮ সালের মধ্যে ৬ দশমিক ৫০ ট্রিলিয়ন (৬ লাখ ৫০ হাজার কোটি) টাকায় পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড মার্কেটসের সাম্প্রতিক গবেষণায় এমন চিত্র উঠে এসেছে। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে নির্মাণশিল্পের আয় ১০ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে চলতি বছরই ৪ দশমিক ৫৮ ট্রিলিয়ন (৪ লাখ ৫৮ হাজার কোটি) টাকায় পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ভবন ও অবকাঠামো নির্মাণে প্রবৃদ্ধির গতিপ্রকৃতি, নির্মাণ ব্যয় কাঠামো বিশ্লেষণ এবং বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলোতে নগরায়ণ সম্পর্কিত ১০০–এর বেশি পারফরম্যান্স ডেটা (কেপিআই) বিশ্লেষণের মাধ্যমে এমন চিত্র দেওয়া হয়েছে। 

প্রাপ্ত তথ্য–উপাত্ত এবং প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা দেশের আবাসিক, বাণিজ্যিক, প্রাতিষ্ঠানিক, শিল্প এবং অবকাঠামোতে শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনাকেই চিহ্নিত করছে বলে গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। 

সরকারি সহায়তা, নগরায়ণ এবং বিদেশি বিনিয়োগ চাহিদা এই শিল্পের প্রধান চালিকাশক্তি। ফলে শিল্পটি সামনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং সুযোগ গ্রহণের ব্যাপারে ভালো অবস্থানে রয়েছে বলে মনে করছেন গবেষকেরা। 

সরকারের উদ্যোগ, নগরায়ণ এবং ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি এই শিল্পের উন্নয়নে অবদান রাখছে। মূলত এসব কারণেই বাংলাদেশের নির্মাণশিল্প প্রবৃদ্ধির গতিপথে রয়েছে। 

অনুঘটক হিসেবে দেখা গেছে, সরকার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে অবকাঠামো নির্মাণে জোর, বিশেষ করে পরিবহন ও বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি অন্যতম। ২০৩০ সাল নাগাদ ৪০ গিগাওয়াটের প্রত্যাশিত বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে ২০৩৫ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ অবকাঠামোতে ৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করতে হবে। এই বিপুল বিনিয়োগ নির্মাণ শিল্পের প্রবৃদ্ধিতে বড় অবদান রাখবে। 

এ ছাড়া দ্রুত নগরায়ণের ফলে আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনের চাহিদা বৃদ্ধিও এখানে ভূমিকা রাখছে। এখন বেশি মানুষ শহর এলাকায় চলে যাচ্ছে। এই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। এতে উন্নত নির্মাণ সুবিধা এবং অবকাঠামোর প্রয়োজন দিন দিন বাড়বে।

পাশাপাশি ২০২২ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) জন্য উল্লেখযোগ্য সরকারি বরাদ্দ, যেমন—২ লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা বা ২৬ দশমিক ২৮ বিলিয়ন ডলার রাখাটা পদ্মা সেতু এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মতো বৃহৎ প্রকল্পগুলোতে বিনিয়োগের প্রবণতা অবকাঠামো খাতে সরকারের আগ্রহকেই প্রতিফলিত করেছে। 

আবাসন নির্মাণ খাত ২০২৩ সালে নির্মাণ খাতের সবচেয়ে বড় অংশীদার ছিল। মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি এবং আবাসনের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এ খাতে দ্রুত প্রবৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে। এ ছাড়া শহরে জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে সরকারকে আবাসন চাহিদা পূরণে সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন প্রকল্পগুলোতে মনোনিবেশ করতে দেখা যায়। যা আগামী বছরগুলোতে এ খাতের প্রবৃদ্ধিকে সমর্থন করবে। 

সাশ্রয়ী আবাসনের পাশাপাশি বিলাসবহুল অবকাঠামোতে বিনিয়োগের প্রবণতাও বাড়ছে। বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টের চাহিদা বাড়ছে, বিশেষ করে শহরের প্রাণকেন্দ্রে এ ধরনের অবকাঠামো নির্মাণের প্রবণতা নির্মাণ শিল্পে বৈচিত্র্য আনছে। 

পর্যটনে গুরুত্ব এবং অফিস ও ছোট বাণিজ্যিক অবকাঠামোতে বিনিয়োগের কারণেও বাণিজ্যিক নির্মাণ খাত বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। অবকাশ এবং আতিথেয়তার (হসপিটালিটি) প্রকল্পগুলোতেও সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে, যেখানে সরকার ভ্রমণ বিধিনিষেধ ক্রমান্বয়ে সহজ করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। 

সরকারি–বেসরকারি অংশীদারত্বও (পিপিপি) বাণিজ্যিক নির্মাণ, অফিস ভবন এবং লজিস্টিক সুবিধার উন্নয়নে সহায়তা করছে। 

শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা সুবিধাগুলোতে সরকারি ও বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ বৃদ্ধির সঙ্গে প্রাতিষ্ঠানিক নির্মাণ গতি পাচ্ছে। বিশেষ করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে, উদ্ভাবন এবং উন্নয়নের প্রতি বৃহত্তর প্রতিশ্রুতি নির্মাণ শিল্পকে সামনে এগিয়ে নিতে অবদান রাখবে। 

২০৩০ সালের মধ্যে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরিতে বিগত সরকারের পরিকল্পনা এগিয়ে নিলে বিশেষত উৎপাদন এবং প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রগুলো নির্মাণ শিল্পের জন্য উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি খাত তৈরি পোশাকশিল্পে বিনিয়োগ বৃদ্ধি নির্মাণ শিল্পকে আরও জোরদার করবে। 

যোগাযোগ অবকাঠামোতে এখনো প্রচুর বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে। পদ্মা সেতু এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাদেও পরিবহন ও বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ খাতে বিনিয়োগের অবারিত সুযোগ রয়েছে। রেল ও সড়ক অবকাঠামোতে বিনিয়োগ বাড়লে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির পাশাপাশি এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডেও গতি আসবে। 

এই খাতে পরিবেশগত বিষয়টিও এখন গুরুত্ব পাচ্ছে। বিশেষ করে পরিবেশবান্ধব ভবন নির্মাণে আগ্রহ বাড়ছে। এটিকেই এখন বলা হচ্ছে টেকসই নির্মাণ। এই চর্চা বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নের ভবিষ্যৎ গড়ে দিতে পারে বলে গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘মেডিকেলে চান্স না পেয়ে’ ৩৩ হাজার ভোল্ট বিদ্যুতের তারে শুয়ে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, দাবি স্বজনদের

তাইওয়ানে যুদ্ধে জড়ালে চীনের কাছে হারতে পারে যুক্তরাষ্ট্র— পেন্টাগনের গোপন নথি ফাঁস

হাদিকে গুলি: সীমান্তে মানুষ পার করা ফিলিপকে খুঁজছে পুলিশ, তাঁর দুই সহযোগী আটক

খালি হাতে বন্দুকধারীকে ঠেকিয়ে নায়ক বনে যাওয়া কে এই আল-আহমেদ

ড. ইউনূস যদি চান, সারা বাংলাদেশকে কারাগার বানাতে পারেন—আদালতে আনিস আলমগীর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সোনার দাম ভরিতে ১৪৭০ টাকা বাড়ল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।

স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।

সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে ১৪ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ৩ হাজার ৪৪২ টাকা এবং ১২ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ১ হাজার ৫০ টাকা। এই দাম বাড়ানোর ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে এখন আবার দাম বাড়ানো হলো।

এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৪৭০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ৪১১ টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ ৭ হাজার ২১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ২৪৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৬৩ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা।

বিষয়:

দামসোনা
Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘মেডিকেলে চান্স না পেয়ে’ ৩৩ হাজার ভোল্ট বিদ্যুতের তারে শুয়ে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, দাবি স্বজনদের

তাইওয়ানে যুদ্ধে জড়ালে চীনের কাছে হারতে পারে যুক্তরাষ্ট্র— পেন্টাগনের গোপন নথি ফাঁস

হাদিকে গুলি: সীমান্তে মানুষ পার করা ফিলিপকে খুঁজছে পুলিশ, তাঁর দুই সহযোগী আটক

খালি হাতে বন্দুকধারীকে ঠেকিয়ে নায়ক বনে যাওয়া কে এই আল-আহমেদ

ড. ইউনূস যদি চান, সারা বাংলাদেশকে কারাগার বানাতে পারেন—আদালতে আনিস আলমগীর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শেভরনের সহায়তায় সিলেটে ৬০ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির স্বাভাবিক জীবনে ফেরা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
শেভরন-এসএমআইএল প্রকল্পে ৬০ প্রতিবন্ধীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
শেভরন-এসএমআইএল প্রকল্পে ৬০ প্রতিবন্ধীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল (SMILE) প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক ডিভাইস বিতরণ করা হয়।

দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে পুনর্বাসন ও চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত থাকা এই উপকারভোগীরা কৃত্রিম অঙ্গ পেয়ে নতুন জীবন ফিরে পেলেন। জালালাবাদ ডিজেবল্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার অ্যান্ড হাসপাতালের (জেডিআরসিএইচ) সহযোগিতায় এই উদ্যোগ পরিচালিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সমন্বয় ও মনিটরিং উইংয়ের সচিব মো. আবদুল মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন শেভরন বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রেসিডেন্ট এরিক এম ওয়াকার, করপোরেট অ্যাফেয়ার্স পরিচালক মুহাম্মদ ইমরুল কবির, সোশ্যাল ইনভেস্টমেন্ট প্রধান এ কে এম আরিফ আক্তার, সুইসকন্টাক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর হেলাল হোসেন এবং জেডিআরসিএইচ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান রোটারিয়ান পিপি ইঞ্জিনিয়ার শোয়াইব আহমেদ মতিন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. আবদুল মান্নান বলেন, ‘কৃত্রিম অঙ্গ সহায়তা শুধু চিকিৎসা নয়, এটি প্রতিবন্ধী মানুষের জীবনযাত্রায় মৌলিক পরিবর্তন আনে। শেভরন বাংলাদেশ, সুইসকন্টাক্ট ও জেডিআরসিএইচের যৌথ উদ্যোগ চলাচল সক্ষমতা ফিরিয়ে এনে উপকারভোগীদের জীবনে নতুন আশার দ্বার খুলে দিয়েছে।’

শেভরন বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রেসিডেন্ট এরিক এম ওয়াকার বলেন, ‘বিশ্বের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ এ ধরনের বিশেষায়িত পুনর্বাসন সেবার পর্যাপ্ত সুযোগ পায় না। এই উদ্যোগের মাধ্যমে ব্যক্তিকেন্দ্রিক সেবা পৌঁছে দিতে পারা আমাদের জন্য গর্বের। উপকারভোগীদের প্রতিটি অগ্রযাত্রাই একটি সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের দিকে দৃঢ় পদক্ষেপ।’

সুইসকন্টাক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর হেলাল হোসেন বলেন, ‘এই প্রকল্প কেবল চলাচল সক্ষমতা ফিরিয়ে দেয়নি; এটি উপকারভোগীদের কর্মজীবনে ফেরা, শিক্ষা চালিয়ে যাওয়া এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করেছে—যা সমাজে অন্তর্ভুক্তি আরও সুদৃঢ় করেছে।’

করপোরেট অ্যাফেয়ার্স পরিচালক মুহাম্মদ ইমরুল কবির বলেন, ‘শেভরন তিন দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের বিশ্বস্ত জ্বালানি অংশীদার। আমাদের অঙ্গীকার কেবল জ্বালানি সরবরাহেই সীমাবদ্ধ নয়। এসএমআইএল প্রকল্পের মতো উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা চলাচল সক্ষমতা ও মানবিক মর্যাদা পুনরুদ্ধারে কাজ করছি। বাংলাদেশে আমাদের সামাজিক বিনিয়োগ কার্যক্রম জাতিসংঘ ঘোষিত ১৭টি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের মধ্যে ৯টির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’

অনুষ্ঠানে উপকারভোগীরা তাঁদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, কৃত্রিম অঙ্গ পাওয়ার ফলে তাঁরা আবার স্বাভাবিক চলাচল, আত্মনির্ভরতা ও আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন। এই ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রভাব পরিবার ও সমাজেও ছড়িয়ে পড়ছে।

গৃহস্থালি আয় স্থিতিশীল হওয়া ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির ফলে এর ইতিবাচক প্রভাব পরিবার ও সমাজে ছড়িয়ে পড়ছে—যা কমিউনিটির স্থিতিশীলতা ও সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করছে। এ সাফল্যের ধারাবাহিকতায় শেভরন বাংলাদেশ ও সুইসকন্টাক্ট এসএমআইএল প্রকল্পের মাধ্যমে টেকসই ও প্রভাবশালী উন্নয়ন উদ্যোগ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে তারা অর্থোটিক ও প্রোস্থেটিক সহায়তা প্রয়োজন, এমন মানুষের জীবনমান উন্নয়নে বাস্তব ও পরিমাপযোগ্য পরিবর্তন নিশ্চিত করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘মেডিকেলে চান্স না পেয়ে’ ৩৩ হাজার ভোল্ট বিদ্যুতের তারে শুয়ে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, দাবি স্বজনদের

তাইওয়ানে যুদ্ধে জড়ালে চীনের কাছে হারতে পারে যুক্তরাষ্ট্র— পেন্টাগনের গোপন নথি ফাঁস

হাদিকে গুলি: সীমান্তে মানুষ পার করা ফিলিপকে খুঁজছে পুলিশ, তাঁর দুই সহযোগী আটক

খালি হাতে বন্দুকধারীকে ঠেকিয়ে নায়ক বনে যাওয়া কে এই আল-আহমেদ

ড. ইউনূস যদি চান, সারা বাংলাদেশকে কারাগার বানাতে পারেন—আদালতে আনিস আলমগীর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আরও ১৪ কোটি ১৫ লাখ ডলার কিনল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে। ডলারের বিনিময়হার ছিল ১২২ দশমিক ২৯ থেকে ১২২ দশমিক ৩০ টাকা আর কাট-অফ রেট ছিল ১২২ দশমিক ৩০ টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, ১১ ডিসেম্বর ১৬টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৫ কোটি ডলার (১৪৯ মিলিয়ন) কেনা হয়েছিল। এ সময় প্রতি ডলারের বিনিময়হার ছিল ১২২ টাকা ২৫ পয়সা থেকে ১২২ টাকা ২৯ পয়সা। আর কাট-অফ রেট ছিল ১২২ টাকা ৯ পয়সা। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এখন পর্যন্ত নিলামপদ্ধতিতে মোট ২৮০ কোটি ৪৫ লাখ ডলার (২.৮০ বিলিয়ন) সংগ্রহ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র জানান, আজ ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার কেনা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘মেডিকেলে চান্স না পেয়ে’ ৩৩ হাজার ভোল্ট বিদ্যুতের তারে শুয়ে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, দাবি স্বজনদের

তাইওয়ানে যুদ্ধে জড়ালে চীনের কাছে হারতে পারে যুক্তরাষ্ট্র— পেন্টাগনের গোপন নথি ফাঁস

হাদিকে গুলি: সীমান্তে মানুষ পার করা ফিলিপকে খুঁজছে পুলিশ, তাঁর দুই সহযোগী আটক

খালি হাতে বন্দুকধারীকে ঠেকিয়ে নায়ক বনে যাওয়া কে এই আল-আহমেদ

ড. ইউনূস যদি চান, সারা বাংলাদেশকে কারাগার বানাতে পারেন—আদালতে আনিস আলমগীর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দিনে ১৭২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিল সরকার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।

আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে কৃষি মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

জানা যায়, চলতি মাসের শুরু থেকে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে। তিন দিনের ব্যবধানে ১২০ টাকার পেঁয়াজের দাম বেড়ে ১৫০ টাকা পর্যন্ত ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৭ ডিসেম্বর থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া শুরু করে কৃষি মন্ত্রণালয়। শুরুতে প্রতিদিন ৫০ জন আমদানিকারককে ৩০ টন করে মোট ১ হাজার ৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। দীর্ঘ তিন মাস পর এই অনুমোদন দেওয়া হয়।

তবে এরপরও বাজারে দাম না কমলে আমদানির অনুমতির পরিমাণ বাড়ানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমদানি আরও বাড়ানো হয়। ১৩ ডিসেম্বর থেকে প্রতিদিন ২০০ জনকে ৩০ টন করে ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়, যা আজ থেকে আরও বাড়িয়ে ১৭ হাজার ২৫০ টন করা হয়।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে আজ বলা হয়, পেঁয়াজের বাজার সহনীয় রাখতে ১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর দুই দিনের জন্য প্রতিদিন ৫৭৫টি করে আইপি (আমদানি অনুমতি) ইস্যু করা হবে। প্রতিটি আইপিতে আগের ন্যায় সর্বোচ্চ ৩০ টন পেঁয়াজের অনুমোদন দেওয়া হবে। আবেদনের বিষয় আগের ন্যায় বলবৎ থাকবে। অর্থাৎ গত ১ আগস্ট থেকে যেসব আমদানিকারক আমদানি অনুমতির জন্য আবেদন করেছেন, তাঁরাই কেবল এই দুই দিন আবেদন পুনরায় দাখিল করতে পারবেন। একজন আমদানিকারক একবারের জন্য আবেদনের সুযোগ পাবেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ উইংয়ের অতিরিক্ত উপপরিচালক (আমদানি) বনি আমিন খান বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের পর আজ আমরা ৫৭৫ জনকে আমদানির অনুমোদন দিয়েছি। অনুমোদন নিয়ে এ দিন আমদানিকারকেরা ঋণপত্র খুলতে পেরেছেন। যদিও দুই দিনের কথা বলা হয়েছে, তবে সরকার প্রয়োজন মনে করলে সময় আরও বাড়বে। এর আগে গত শনিবার থেকে প্রতিদিন ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দিয়ে আসছিলাম আমরা।’

দেশে সাধারণত প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করেন ব্যবসায়ীরা। সে হিসাবে যেদিন ঋণপত্র খোলেন, সেদিনই আমদানি করতে পারেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘মেডিকেলে চান্স না পেয়ে’ ৩৩ হাজার ভোল্ট বিদ্যুতের তারে শুয়ে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, দাবি স্বজনদের

তাইওয়ানে যুদ্ধে জড়ালে চীনের কাছে হারতে পারে যুক্তরাষ্ট্র— পেন্টাগনের গোপন নথি ফাঁস

হাদিকে গুলি: সীমান্তে মানুষ পার করা ফিলিপকে খুঁজছে পুলিশ, তাঁর দুই সহযোগী আটক

খালি হাতে বন্দুকধারীকে ঠেকিয়ে নায়ক বনে যাওয়া কে এই আল-আহমেদ

ড. ইউনূস যদি চান, সারা বাংলাদেশকে কারাগার বানাতে পারেন—আদালতে আনিস আলমগীর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত