আজকের পত্রিকা ডেস্ক

লন্ডনভিত্তিক বাণিজ্যিক আইন পরামর্শক সংস্থা এইচএফডব্লিউতে যুক্ত রয়েছেন আইনজীবী হেনরি ক্ল্যাক। সাগরপথে বিশ্বজুড়ে সাইবার হামলার শিকার শিপিং কোম্পানিগুলোর পক্ষে কাজ করেন তিনি। ক্লায়েন্টদের হয়ে কীভাবে তিনি অপরাধী চক্রকে মোকাবিলা করেন, তা নিয়ে বিবিসির সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।
ক্ল্যাক জানান, এইচএফডব্লিউকে এখন পর্যন্ত যেসব মামলা লড়তে হয়েছে, তার বেশির ভাগই নাইজেরিয়ার গ্যাং বা সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে। গত কয়েক বছরের বেশ কয়েকটি বড় অঙ্কের প্রতারণার পেছনে তারাই দায়ী।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, ই-মেইল থেকে বা আড়ি পেতে জাহাজপথ ব্যবহারের জন্য দুই পক্ষের যোগাযোগের তথ্য সংগ্রহ করে হ্যাকাররা। এমনকি কোনো কোম্পানির কম্পিউটার সিস্টেমের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে লগইন ডেটা বা আর্থিক লেনদেনের তথ্য চুরি করে সেই কোম্পানির ছদ্মবেশে প্রতারণা করে তারা। আবার চুরি করা তথ্য বা কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে দেওয়ার বিনিময়ে মোটা অঙ্কের অর্থ দাবি করে এই চক্র।
আইন সংস্থা এইচএফডব্লিউ জানায়, সাইবার হামলা জাহাজ, সমুদ্রপথ ও বন্দর সবক্ষেত্রেই ক্রমবর্ধমান একটি সমস্যায় পরিণত হয়েছে। এ হামলা বাড়তে থাকায় ২০২২ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে এসব মোকাবিলায় খরচ দ্বিগুণ হয়ে ৫ লাখ ৫০ হাজার ডলারে দাঁড়িয়েছে। আর যেসব ক্ষেত্রে সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞরা হ্যাকারদের হাত থেকে সিস্টেম ফিরিয়ে নিতে পারেন না, সেখানে মুক্তিপণে গড় খরচ করতে হয় ৩ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার।
বিশ্বের প্রায় ৮০ শতাংশ বাণিজ্য সমুদ্রপথে বহন করা হয়। এই অবস্থায় এ ধরনের ব্যাঘাত শিপিং কোম্পানিগুলোর খরচ অনেক বাড়িয়ে দিচ্ছে আর সক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব শিপিংয়ের (আইসিএস) মেরিন বিভাগের পরিবেশ ও বাণিজ্য ব্যবস্থাপক জন স্টাপার্ট বলেন, সমুদ্রপথের এই পরিস্থিতির কারণে সমুদ্র-বাণিজ্য এখন অপরাধী চক্রের প্রধান লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছে। এমনকি যেসব দেশের মধ্যে বৈরী সম্পর্ক রয়েছে, তারাও এ পন্থা অবলম্বনে আগ্রহী হয়ে উঠছে।
স্টাপার্ট আরও বলেন, সমুদ্র-বাণিজ্যের জন্য সাইবার সিকিউরিটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং উদ্বেগের বিষয়। কারণ, এই মাধ্যমে বিশ্ব অনেক বেশি আন্তসংযুক্ত।
আইসিএসের এ কর্মকর্তা জানান, বিশ্বব্যাপী সাইবার অপরাধীরা শিপিং খাতকে শীর্ষ ১০টি লক্ষ্যের মধ্যে অন্যতম হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। যদি সাইবার অপরাধীরা আপনার কার্যক্রম ব্যাহত করতে সক্ষম হয় বা ধরুন কোনো র্যানসমওয়্যার হামলা চালায়, এর প্রভাব যথেষ্ট ক্ষতিকর হতে পারে।
সমুদ্রপথে হামলার হার দ্রুতগতিতে বাড়ছে। নেদারল্যান্ডসের এনএইচএল স্টেনডেন ইউনিভার্সিটি অব অ্যাপ্লায়েড সায়েন্সেসের একটি গবেষণা দল গত কয়েক বছরে জাহাজ চলাচল-সংক্রান্ত সাইবার হামলাগুলোর তথ্য যাচাই করে দেখেছে, ২০২১ সালে ১০টি হামলা হয়েছিল আর তা বেড়ে গত বছর ৬৪টিতে দাঁড়িয়েছে।
নেদারল্যান্ডসের বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিটাইম আইটি সিকিউরিটি গবেষণা দলের জেরোন পিপকার জানান, এসব সাইবার হামলার ঘটনার মধ্যে অনেকগুলোর সঙ্গে চারটি দেশের সরকার—রাশিয়া, চীন, উত্তর কোরিয়া ও ইরান জড়িত।
পিপকার বলেন, ‘আমরা একবার দেখলাম, ইউক্রেনে কিছু সরঞ্জাম পাঠানো হচ্ছিল, তখন একটি টেলিগ্রাম চ্যানেলে এ নিয়ে তথ্য দেওয়া হচ্ছিল, যাতে ডেলিভারির লজিস্টিক চেইনে কিছু ব্যাঘাত সৃষ্টি করা যায়।
‘আর অন্য হামলাগুলো আর্থিক চাপ বা মুক্তিপণ আদায়ের জন্য হয়। সাম্প্রতিক সাইবার হামলা দ্রুত বাড়ার একটি কারণ হলো, হ্যাকারদের কাজের সুযোগ দিনকে দিন আরও সহজ হয়ে যাচ্ছে। কারণ, গত কয়েক বছরে জাহাজশিল্প আরও বেশি ডিজিটাল হয়েছে, আবার নতুন যোগাযোগ প্রযুক্তি, যেমন ইলন মাস্কের স্টারলিংক স্যাটেলাইট পরিষেবা, জাহাজগুলোকে বাইরের বিশ্বের সঙ্গে আরও সংযুক্ত করেছে। আর তাই এগুলো আরও বেশি হ্যাকিংয়ের শিকার হচ্ছে।
গত বছরের একটি ঘটনায় মার্কিন নৌবাহিনীর এক প্রধানকে তাঁর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। কারণ, তিনি তাঁর যুদ্ধজাহাজে একটি অননুমোদিত স্যাটেলাইট ডিশ স্থাপন করেছিলেন, যাতে তিনি ও অন্য কর্মকর্তারা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেন।
জাহাজ চলাচল শিল্পে বেশির ভাগ দাপ্তরিক অংশ ভাগে ভাগে ডিজিটালাইজেশন হয়েছে এবং এর সঙ্গে জড়িত প্রযুক্তিও দ্রুত পুরোনো হয়ে যেতে পারে। পিপকার বলেন, একটি কার্গো জাহাজের গড় বয়স প্রায় ২২ বছর। জাহাজ কোম্পানিগুলোর পক্ষে প্রায়শই সেগুলোকে হালনাগাদ করার জন্য ডাঙ্গায় তুলে রাখা সম্ভব হয় না।
ডিজিটালাইজেশনের আরও কিছু ঝুঁকি রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে জিপিএস জ্যামিং ও ‘স্পুফিং’।
সিকিউরিটি ফার্ম ক্লারোটির আরিক ডায়ামান্ট বলেন, জিপিএস স্পুফিং মানে হলো—নেভিগেশন সিস্টেমকে ভুয়া অবস্থান পাঠানো এবং এর ফলে জাহাজটি ভিন্ন পথে চলে যায়। এরপর অগভীর জলে গেলে জাহাজটির গায়ে আঘাত লেগে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
গত মে মাসে এমএসসি অ্যান্টোনিয়া নামের একটি কনটেইনার জাহাজ লোহিত সাগরে আটকে পড়ে। ধারণা করা হয়, জিপিএস স্পুফিংয়ের কারণে এ ঘটনা ঘটেছিল। এ ঘটনায় কোনো সন্দেহভাজনকে অভিযুক্ত করা না হলেও এই এলাকার অন্যান্য কার্গো জাহাজে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা হামলা করায় তাদের দিকে সন্দেহের নজর গেছে। আর বাল্টিক সাগরে জিপিএস লক্ষ্য করে চালানো অন্যান্য হামলার জন্য রাশিয়াকে দায়ী করা হয়েছে।
জিপিএস জ্যামিং ও স্পুফিং থেকে রক্ষা পাওয়া কঠিন এবং ব্যয়বহুল, তবে ‘অ্যান্টি-জ্যাম’ প্রযুক্তি সহজলভ্য।
এদিকে কার্গো জাহাজগুলোর আরও একটি দুর্বলতা হলো—তাদের নির্গমন পর্যবেক্ষণের জন্য সেন্সরের ব্যবহার বাড়ানো। এসব সেন্সর প্রায়শই ডেটা পাঠায়, যা হ্যাকারদের অনুপ্রবেশ ও হামলার সুযোগ সৃষ্টি করে।
তবে এসবের মধ্যে ভালো খবর হলো, সমুদ্র-বাণিজ্যে নিরাপত্তা কড়াকড়ি বাড়ছে। ২০২১ সালে আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক সংস্থা (আইএমও) নিয়ন্ত্রক বাণিজ্যিক শিপিংয়ের জন্য এর গ্লোবাল সেফটি ম্যানেজমেন্ট কোডে নতুন সাইবার নিরাপত্তা বিধান যুক্ত করেছে।
এইচএফডব্লিউর শিপিং বিশেষজ্ঞ টম ওয়াল্টার্স বলেন, এই বিধানগুলো জাহাজের সেফটি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যাতে আরও নির্দিষ্টভাবে সাইবার ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তা অন্তর্ভুক্ত করা যায়। বিশেষ করে, যাতে ইচ্ছাকৃত সাইবার হামলা মোকাবিলা করা যায় এবং নিয়ম মেনে চলা বাণিজ্যিক জাহাজ পরিচালনার জন্য ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার অনুশীলনগুলো নির্দিষ্ট করে দেওয়া যায়।
জাহাজ ব্যবস্থাপনা সিস্টেমগুলোতে এখন ক্রমবর্ধমান কঠোর সাইবার নিরাপত্তাব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই ব্যবস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে—মৌলিক নিরাপত্তা পদ্ধতি থেকে শুরু করে আরও কারিগরি এবং প্রযুক্তিগত কর্মপদ্ধতি ও আইটি ব্যবস্থা।
আইসিএসের মেরিন বিভাগের পরিবেশ ও বাণিজ্য ব্যবস্থাপক জন স্টাপার্ট বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, শিল্পটি হুমকি মোকাবিলায় অন্তত গত ছয় বা সাত বছর আগের তুলনায় ভালো অবস্থানে রয়েছে।’
স্টাপার্ট আরও যোগ করেন, সাইবার হামলা ও সাইবার অপরাধ সম্পর্কে সমুদ্রশিল্পে সচেতনতা অনেক বেড়েছে এবং আগামী বছরগুলোতে তা আরও বাড়বে।
সাইবার হামলার পর অপরাধী গ্যাংগুলোর সঙ্গে কীভাবে যোগাযোগ করা হয়—জানতে চাইলে আইন সংস্থা এইচএফডব্লিউর আইনজীবী হেনরি ক্ল্যাক বলেন, খুদেবার্তার মাধ্যমে এটি করা হয় এবং যতটা সম্ভব সংক্ষিপ্ত রাখা হয়।
ক্ল্যাক আরও বলেন, যখন এমনটা হয়, বেশির ভাগ সময়ই র্যানসমওয়্যারের মুক্তিপণ আলোচনার প্রসঙ্গে হয়। যোগাযোগ হয় অনলাইন মেসেজিং সার্ভিসের মাধ্যমে, হয়তো দিনে একটি বার্তা পাঠানো হয় বা দু-একটি বাক্য।

লন্ডনভিত্তিক বাণিজ্যিক আইন পরামর্শক সংস্থা এইচএফডব্লিউতে যুক্ত রয়েছেন আইনজীবী হেনরি ক্ল্যাক। সাগরপথে বিশ্বজুড়ে সাইবার হামলার শিকার শিপিং কোম্পানিগুলোর পক্ষে কাজ করেন তিনি। ক্লায়েন্টদের হয়ে কীভাবে তিনি অপরাধী চক্রকে মোকাবিলা করেন, তা নিয়ে বিবিসির সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।
ক্ল্যাক জানান, এইচএফডব্লিউকে এখন পর্যন্ত যেসব মামলা লড়তে হয়েছে, তার বেশির ভাগই নাইজেরিয়ার গ্যাং বা সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে। গত কয়েক বছরের বেশ কয়েকটি বড় অঙ্কের প্রতারণার পেছনে তারাই দায়ী।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, ই-মেইল থেকে বা আড়ি পেতে জাহাজপথ ব্যবহারের জন্য দুই পক্ষের যোগাযোগের তথ্য সংগ্রহ করে হ্যাকাররা। এমনকি কোনো কোম্পানির কম্পিউটার সিস্টেমের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে লগইন ডেটা বা আর্থিক লেনদেনের তথ্য চুরি করে সেই কোম্পানির ছদ্মবেশে প্রতারণা করে তারা। আবার চুরি করা তথ্য বা কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে দেওয়ার বিনিময়ে মোটা অঙ্কের অর্থ দাবি করে এই চক্র।
আইন সংস্থা এইচএফডব্লিউ জানায়, সাইবার হামলা জাহাজ, সমুদ্রপথ ও বন্দর সবক্ষেত্রেই ক্রমবর্ধমান একটি সমস্যায় পরিণত হয়েছে। এ হামলা বাড়তে থাকায় ২০২২ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে এসব মোকাবিলায় খরচ দ্বিগুণ হয়ে ৫ লাখ ৫০ হাজার ডলারে দাঁড়িয়েছে। আর যেসব ক্ষেত্রে সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞরা হ্যাকারদের হাত থেকে সিস্টেম ফিরিয়ে নিতে পারেন না, সেখানে মুক্তিপণে গড় খরচ করতে হয় ৩ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার।
বিশ্বের প্রায় ৮০ শতাংশ বাণিজ্য সমুদ্রপথে বহন করা হয়। এই অবস্থায় এ ধরনের ব্যাঘাত শিপিং কোম্পানিগুলোর খরচ অনেক বাড়িয়ে দিচ্ছে আর সক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব শিপিংয়ের (আইসিএস) মেরিন বিভাগের পরিবেশ ও বাণিজ্য ব্যবস্থাপক জন স্টাপার্ট বলেন, সমুদ্রপথের এই পরিস্থিতির কারণে সমুদ্র-বাণিজ্য এখন অপরাধী চক্রের প্রধান লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছে। এমনকি যেসব দেশের মধ্যে বৈরী সম্পর্ক রয়েছে, তারাও এ পন্থা অবলম্বনে আগ্রহী হয়ে উঠছে।
স্টাপার্ট আরও বলেন, সমুদ্র-বাণিজ্যের জন্য সাইবার সিকিউরিটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং উদ্বেগের বিষয়। কারণ, এই মাধ্যমে বিশ্ব অনেক বেশি আন্তসংযুক্ত।
আইসিএসের এ কর্মকর্তা জানান, বিশ্বব্যাপী সাইবার অপরাধীরা শিপিং খাতকে শীর্ষ ১০টি লক্ষ্যের মধ্যে অন্যতম হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। যদি সাইবার অপরাধীরা আপনার কার্যক্রম ব্যাহত করতে সক্ষম হয় বা ধরুন কোনো র্যানসমওয়্যার হামলা চালায়, এর প্রভাব যথেষ্ট ক্ষতিকর হতে পারে।
সমুদ্রপথে হামলার হার দ্রুতগতিতে বাড়ছে। নেদারল্যান্ডসের এনএইচএল স্টেনডেন ইউনিভার্সিটি অব অ্যাপ্লায়েড সায়েন্সেসের একটি গবেষণা দল গত কয়েক বছরে জাহাজ চলাচল-সংক্রান্ত সাইবার হামলাগুলোর তথ্য যাচাই করে দেখেছে, ২০২১ সালে ১০টি হামলা হয়েছিল আর তা বেড়ে গত বছর ৬৪টিতে দাঁড়িয়েছে।
নেদারল্যান্ডসের বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিটাইম আইটি সিকিউরিটি গবেষণা দলের জেরোন পিপকার জানান, এসব সাইবার হামলার ঘটনার মধ্যে অনেকগুলোর সঙ্গে চারটি দেশের সরকার—রাশিয়া, চীন, উত্তর কোরিয়া ও ইরান জড়িত।
পিপকার বলেন, ‘আমরা একবার দেখলাম, ইউক্রেনে কিছু সরঞ্জাম পাঠানো হচ্ছিল, তখন একটি টেলিগ্রাম চ্যানেলে এ নিয়ে তথ্য দেওয়া হচ্ছিল, যাতে ডেলিভারির লজিস্টিক চেইনে কিছু ব্যাঘাত সৃষ্টি করা যায়।
‘আর অন্য হামলাগুলো আর্থিক চাপ বা মুক্তিপণ আদায়ের জন্য হয়। সাম্প্রতিক সাইবার হামলা দ্রুত বাড়ার একটি কারণ হলো, হ্যাকারদের কাজের সুযোগ দিনকে দিন আরও সহজ হয়ে যাচ্ছে। কারণ, গত কয়েক বছরে জাহাজশিল্প আরও বেশি ডিজিটাল হয়েছে, আবার নতুন যোগাযোগ প্রযুক্তি, যেমন ইলন মাস্কের স্টারলিংক স্যাটেলাইট পরিষেবা, জাহাজগুলোকে বাইরের বিশ্বের সঙ্গে আরও সংযুক্ত করেছে। আর তাই এগুলো আরও বেশি হ্যাকিংয়ের শিকার হচ্ছে।
গত বছরের একটি ঘটনায় মার্কিন নৌবাহিনীর এক প্রধানকে তাঁর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। কারণ, তিনি তাঁর যুদ্ধজাহাজে একটি অননুমোদিত স্যাটেলাইট ডিশ স্থাপন করেছিলেন, যাতে তিনি ও অন্য কর্মকর্তারা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেন।
জাহাজ চলাচল শিল্পে বেশির ভাগ দাপ্তরিক অংশ ভাগে ভাগে ডিজিটালাইজেশন হয়েছে এবং এর সঙ্গে জড়িত প্রযুক্তিও দ্রুত পুরোনো হয়ে যেতে পারে। পিপকার বলেন, একটি কার্গো জাহাজের গড় বয়স প্রায় ২২ বছর। জাহাজ কোম্পানিগুলোর পক্ষে প্রায়শই সেগুলোকে হালনাগাদ করার জন্য ডাঙ্গায় তুলে রাখা সম্ভব হয় না।
ডিজিটালাইজেশনের আরও কিছু ঝুঁকি রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে জিপিএস জ্যামিং ও ‘স্পুফিং’।
সিকিউরিটি ফার্ম ক্লারোটির আরিক ডায়ামান্ট বলেন, জিপিএস স্পুফিং মানে হলো—নেভিগেশন সিস্টেমকে ভুয়া অবস্থান পাঠানো এবং এর ফলে জাহাজটি ভিন্ন পথে চলে যায়। এরপর অগভীর জলে গেলে জাহাজটির গায়ে আঘাত লেগে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
গত মে মাসে এমএসসি অ্যান্টোনিয়া নামের একটি কনটেইনার জাহাজ লোহিত সাগরে আটকে পড়ে। ধারণা করা হয়, জিপিএস স্পুফিংয়ের কারণে এ ঘটনা ঘটেছিল। এ ঘটনায় কোনো সন্দেহভাজনকে অভিযুক্ত করা না হলেও এই এলাকার অন্যান্য কার্গো জাহাজে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা হামলা করায় তাদের দিকে সন্দেহের নজর গেছে। আর বাল্টিক সাগরে জিপিএস লক্ষ্য করে চালানো অন্যান্য হামলার জন্য রাশিয়াকে দায়ী করা হয়েছে।
জিপিএস জ্যামিং ও স্পুফিং থেকে রক্ষা পাওয়া কঠিন এবং ব্যয়বহুল, তবে ‘অ্যান্টি-জ্যাম’ প্রযুক্তি সহজলভ্য।
এদিকে কার্গো জাহাজগুলোর আরও একটি দুর্বলতা হলো—তাদের নির্গমন পর্যবেক্ষণের জন্য সেন্সরের ব্যবহার বাড়ানো। এসব সেন্সর প্রায়শই ডেটা পাঠায়, যা হ্যাকারদের অনুপ্রবেশ ও হামলার সুযোগ সৃষ্টি করে।
তবে এসবের মধ্যে ভালো খবর হলো, সমুদ্র-বাণিজ্যে নিরাপত্তা কড়াকড়ি বাড়ছে। ২০২১ সালে আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক সংস্থা (আইএমও) নিয়ন্ত্রক বাণিজ্যিক শিপিংয়ের জন্য এর গ্লোবাল সেফটি ম্যানেজমেন্ট কোডে নতুন সাইবার নিরাপত্তা বিধান যুক্ত করেছে।
এইচএফডব্লিউর শিপিং বিশেষজ্ঞ টম ওয়াল্টার্স বলেন, এই বিধানগুলো জাহাজের সেফটি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যাতে আরও নির্দিষ্টভাবে সাইবার ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তা অন্তর্ভুক্ত করা যায়। বিশেষ করে, যাতে ইচ্ছাকৃত সাইবার হামলা মোকাবিলা করা যায় এবং নিয়ম মেনে চলা বাণিজ্যিক জাহাজ পরিচালনার জন্য ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার অনুশীলনগুলো নির্দিষ্ট করে দেওয়া যায়।
জাহাজ ব্যবস্থাপনা সিস্টেমগুলোতে এখন ক্রমবর্ধমান কঠোর সাইবার নিরাপত্তাব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই ব্যবস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে—মৌলিক নিরাপত্তা পদ্ধতি থেকে শুরু করে আরও কারিগরি এবং প্রযুক্তিগত কর্মপদ্ধতি ও আইটি ব্যবস্থা।
আইসিএসের মেরিন বিভাগের পরিবেশ ও বাণিজ্য ব্যবস্থাপক জন স্টাপার্ট বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, শিল্পটি হুমকি মোকাবিলায় অন্তত গত ছয় বা সাত বছর আগের তুলনায় ভালো অবস্থানে রয়েছে।’
স্টাপার্ট আরও যোগ করেন, সাইবার হামলা ও সাইবার অপরাধ সম্পর্কে সমুদ্রশিল্পে সচেতনতা অনেক বেড়েছে এবং আগামী বছরগুলোতে তা আরও বাড়বে।
সাইবার হামলার পর অপরাধী গ্যাংগুলোর সঙ্গে কীভাবে যোগাযোগ করা হয়—জানতে চাইলে আইন সংস্থা এইচএফডব্লিউর আইনজীবী হেনরি ক্ল্যাক বলেন, খুদেবার্তার মাধ্যমে এটি করা হয় এবং যতটা সম্ভব সংক্ষিপ্ত রাখা হয়।
ক্ল্যাক আরও বলেন, যখন এমনটা হয়, বেশির ভাগ সময়ই র্যানসমওয়্যারের মুক্তিপণ আলোচনার প্রসঙ্গে হয়। যোগাযোগ হয় অনলাইন মেসেজিং সার্ভিসের মাধ্যমে, হয়তো দিনে একটি বার্তা পাঠানো হয় বা দু-একটি বাক্য।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

লন্ডনভিত্তিক বাণিজ্যিক আইন পরামর্শক সংস্থা এইচএফডব্লিউতে যুক্ত রয়েছেন আইনজীবী হেনরি ক্ল্যাক। সাগরপথে বিশ্বজুড়ে সাইবার হামলার শিকার শিপিং কোম্পানিগুলোর পক্ষে কাজ করেন তিনি। ক্লায়েন্টদের হয়ে কীভাবে তিনি অপরাধী চক্রকে মোকাবিলা করেন, তা নিয়ে বিবিসির সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।
ক্ল্যাক জানান, এইচএফডব্লিউকে এখন পর্যন্ত যেসব মামলা লড়তে হয়েছে, তার বেশির ভাগই নাইজেরিয়ার গ্যাং বা সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে। গত কয়েক বছরের বেশ কয়েকটি বড় অঙ্কের প্রতারণার পেছনে তারাই দায়ী।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, ই-মেইল থেকে বা আড়ি পেতে জাহাজপথ ব্যবহারের জন্য দুই পক্ষের যোগাযোগের তথ্য সংগ্রহ করে হ্যাকাররা। এমনকি কোনো কোম্পানির কম্পিউটার সিস্টেমের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে লগইন ডেটা বা আর্থিক লেনদেনের তথ্য চুরি করে সেই কোম্পানির ছদ্মবেশে প্রতারণা করে তারা। আবার চুরি করা তথ্য বা কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে দেওয়ার বিনিময়ে মোটা অঙ্কের অর্থ দাবি করে এই চক্র।
আইন সংস্থা এইচএফডব্লিউ জানায়, সাইবার হামলা জাহাজ, সমুদ্রপথ ও বন্দর সবক্ষেত্রেই ক্রমবর্ধমান একটি সমস্যায় পরিণত হয়েছে। এ হামলা বাড়তে থাকায় ২০২২ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে এসব মোকাবিলায় খরচ দ্বিগুণ হয়ে ৫ লাখ ৫০ হাজার ডলারে দাঁড়িয়েছে। আর যেসব ক্ষেত্রে সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞরা হ্যাকারদের হাত থেকে সিস্টেম ফিরিয়ে নিতে পারেন না, সেখানে মুক্তিপণে গড় খরচ করতে হয় ৩ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার।
বিশ্বের প্রায় ৮০ শতাংশ বাণিজ্য সমুদ্রপথে বহন করা হয়। এই অবস্থায় এ ধরনের ব্যাঘাত শিপিং কোম্পানিগুলোর খরচ অনেক বাড়িয়ে দিচ্ছে আর সক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব শিপিংয়ের (আইসিএস) মেরিন বিভাগের পরিবেশ ও বাণিজ্য ব্যবস্থাপক জন স্টাপার্ট বলেন, সমুদ্রপথের এই পরিস্থিতির কারণে সমুদ্র-বাণিজ্য এখন অপরাধী চক্রের প্রধান লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছে। এমনকি যেসব দেশের মধ্যে বৈরী সম্পর্ক রয়েছে, তারাও এ পন্থা অবলম্বনে আগ্রহী হয়ে উঠছে।
স্টাপার্ট আরও বলেন, সমুদ্র-বাণিজ্যের জন্য সাইবার সিকিউরিটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং উদ্বেগের বিষয়। কারণ, এই মাধ্যমে বিশ্ব অনেক বেশি আন্তসংযুক্ত।
আইসিএসের এ কর্মকর্তা জানান, বিশ্বব্যাপী সাইবার অপরাধীরা শিপিং খাতকে শীর্ষ ১০টি লক্ষ্যের মধ্যে অন্যতম হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। যদি সাইবার অপরাধীরা আপনার কার্যক্রম ব্যাহত করতে সক্ষম হয় বা ধরুন কোনো র্যানসমওয়্যার হামলা চালায়, এর প্রভাব যথেষ্ট ক্ষতিকর হতে পারে।
সমুদ্রপথে হামলার হার দ্রুতগতিতে বাড়ছে। নেদারল্যান্ডসের এনএইচএল স্টেনডেন ইউনিভার্সিটি অব অ্যাপ্লায়েড সায়েন্সেসের একটি গবেষণা দল গত কয়েক বছরে জাহাজ চলাচল-সংক্রান্ত সাইবার হামলাগুলোর তথ্য যাচাই করে দেখেছে, ২০২১ সালে ১০টি হামলা হয়েছিল আর তা বেড়ে গত বছর ৬৪টিতে দাঁড়িয়েছে।
নেদারল্যান্ডসের বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিটাইম আইটি সিকিউরিটি গবেষণা দলের জেরোন পিপকার জানান, এসব সাইবার হামলার ঘটনার মধ্যে অনেকগুলোর সঙ্গে চারটি দেশের সরকার—রাশিয়া, চীন, উত্তর কোরিয়া ও ইরান জড়িত।
পিপকার বলেন, ‘আমরা একবার দেখলাম, ইউক্রেনে কিছু সরঞ্জাম পাঠানো হচ্ছিল, তখন একটি টেলিগ্রাম চ্যানেলে এ নিয়ে তথ্য দেওয়া হচ্ছিল, যাতে ডেলিভারির লজিস্টিক চেইনে কিছু ব্যাঘাত সৃষ্টি করা যায়।
‘আর অন্য হামলাগুলো আর্থিক চাপ বা মুক্তিপণ আদায়ের জন্য হয়। সাম্প্রতিক সাইবার হামলা দ্রুত বাড়ার একটি কারণ হলো, হ্যাকারদের কাজের সুযোগ দিনকে দিন আরও সহজ হয়ে যাচ্ছে। কারণ, গত কয়েক বছরে জাহাজশিল্প আরও বেশি ডিজিটাল হয়েছে, আবার নতুন যোগাযোগ প্রযুক্তি, যেমন ইলন মাস্কের স্টারলিংক স্যাটেলাইট পরিষেবা, জাহাজগুলোকে বাইরের বিশ্বের সঙ্গে আরও সংযুক্ত করেছে। আর তাই এগুলো আরও বেশি হ্যাকিংয়ের শিকার হচ্ছে।
গত বছরের একটি ঘটনায় মার্কিন নৌবাহিনীর এক প্রধানকে তাঁর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। কারণ, তিনি তাঁর যুদ্ধজাহাজে একটি অননুমোদিত স্যাটেলাইট ডিশ স্থাপন করেছিলেন, যাতে তিনি ও অন্য কর্মকর্তারা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেন।
জাহাজ চলাচল শিল্পে বেশির ভাগ দাপ্তরিক অংশ ভাগে ভাগে ডিজিটালাইজেশন হয়েছে এবং এর সঙ্গে জড়িত প্রযুক্তিও দ্রুত পুরোনো হয়ে যেতে পারে। পিপকার বলেন, একটি কার্গো জাহাজের গড় বয়স প্রায় ২২ বছর। জাহাজ কোম্পানিগুলোর পক্ষে প্রায়শই সেগুলোকে হালনাগাদ করার জন্য ডাঙ্গায় তুলে রাখা সম্ভব হয় না।
ডিজিটালাইজেশনের আরও কিছু ঝুঁকি রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে জিপিএস জ্যামিং ও ‘স্পুফিং’।
সিকিউরিটি ফার্ম ক্লারোটির আরিক ডায়ামান্ট বলেন, জিপিএস স্পুফিং মানে হলো—নেভিগেশন সিস্টেমকে ভুয়া অবস্থান পাঠানো এবং এর ফলে জাহাজটি ভিন্ন পথে চলে যায়। এরপর অগভীর জলে গেলে জাহাজটির গায়ে আঘাত লেগে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
গত মে মাসে এমএসসি অ্যান্টোনিয়া নামের একটি কনটেইনার জাহাজ লোহিত সাগরে আটকে পড়ে। ধারণা করা হয়, জিপিএস স্পুফিংয়ের কারণে এ ঘটনা ঘটেছিল। এ ঘটনায় কোনো সন্দেহভাজনকে অভিযুক্ত করা না হলেও এই এলাকার অন্যান্য কার্গো জাহাজে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা হামলা করায় তাদের দিকে সন্দেহের নজর গেছে। আর বাল্টিক সাগরে জিপিএস লক্ষ্য করে চালানো অন্যান্য হামলার জন্য রাশিয়াকে দায়ী করা হয়েছে।
জিপিএস জ্যামিং ও স্পুফিং থেকে রক্ষা পাওয়া কঠিন এবং ব্যয়বহুল, তবে ‘অ্যান্টি-জ্যাম’ প্রযুক্তি সহজলভ্য।
এদিকে কার্গো জাহাজগুলোর আরও একটি দুর্বলতা হলো—তাদের নির্গমন পর্যবেক্ষণের জন্য সেন্সরের ব্যবহার বাড়ানো। এসব সেন্সর প্রায়শই ডেটা পাঠায়, যা হ্যাকারদের অনুপ্রবেশ ও হামলার সুযোগ সৃষ্টি করে।
তবে এসবের মধ্যে ভালো খবর হলো, সমুদ্র-বাণিজ্যে নিরাপত্তা কড়াকড়ি বাড়ছে। ২০২১ সালে আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক সংস্থা (আইএমও) নিয়ন্ত্রক বাণিজ্যিক শিপিংয়ের জন্য এর গ্লোবাল সেফটি ম্যানেজমেন্ট কোডে নতুন সাইবার নিরাপত্তা বিধান যুক্ত করেছে।
এইচএফডব্লিউর শিপিং বিশেষজ্ঞ টম ওয়াল্টার্স বলেন, এই বিধানগুলো জাহাজের সেফটি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যাতে আরও নির্দিষ্টভাবে সাইবার ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তা অন্তর্ভুক্ত করা যায়। বিশেষ করে, যাতে ইচ্ছাকৃত সাইবার হামলা মোকাবিলা করা যায় এবং নিয়ম মেনে চলা বাণিজ্যিক জাহাজ পরিচালনার জন্য ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার অনুশীলনগুলো নির্দিষ্ট করে দেওয়া যায়।
জাহাজ ব্যবস্থাপনা সিস্টেমগুলোতে এখন ক্রমবর্ধমান কঠোর সাইবার নিরাপত্তাব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই ব্যবস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে—মৌলিক নিরাপত্তা পদ্ধতি থেকে শুরু করে আরও কারিগরি এবং প্রযুক্তিগত কর্মপদ্ধতি ও আইটি ব্যবস্থা।
আইসিএসের মেরিন বিভাগের পরিবেশ ও বাণিজ্য ব্যবস্থাপক জন স্টাপার্ট বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, শিল্পটি হুমকি মোকাবিলায় অন্তত গত ছয় বা সাত বছর আগের তুলনায় ভালো অবস্থানে রয়েছে।’
স্টাপার্ট আরও যোগ করেন, সাইবার হামলা ও সাইবার অপরাধ সম্পর্কে সমুদ্রশিল্পে সচেতনতা অনেক বেড়েছে এবং আগামী বছরগুলোতে তা আরও বাড়বে।
সাইবার হামলার পর অপরাধী গ্যাংগুলোর সঙ্গে কীভাবে যোগাযোগ করা হয়—জানতে চাইলে আইন সংস্থা এইচএফডব্লিউর আইনজীবী হেনরি ক্ল্যাক বলেন, খুদেবার্তার মাধ্যমে এটি করা হয় এবং যতটা সম্ভব সংক্ষিপ্ত রাখা হয়।
ক্ল্যাক আরও বলেন, যখন এমনটা হয়, বেশির ভাগ সময়ই র্যানসমওয়্যারের মুক্তিপণ আলোচনার প্রসঙ্গে হয়। যোগাযোগ হয় অনলাইন মেসেজিং সার্ভিসের মাধ্যমে, হয়তো দিনে একটি বার্তা পাঠানো হয় বা দু-একটি বাক্য।

লন্ডনভিত্তিক বাণিজ্যিক আইন পরামর্শক সংস্থা এইচএফডব্লিউতে যুক্ত রয়েছেন আইনজীবী হেনরি ক্ল্যাক। সাগরপথে বিশ্বজুড়ে সাইবার হামলার শিকার শিপিং কোম্পানিগুলোর পক্ষে কাজ করেন তিনি। ক্লায়েন্টদের হয়ে কীভাবে তিনি অপরাধী চক্রকে মোকাবিলা করেন, তা নিয়ে বিবিসির সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।
ক্ল্যাক জানান, এইচএফডব্লিউকে এখন পর্যন্ত যেসব মামলা লড়তে হয়েছে, তার বেশির ভাগই নাইজেরিয়ার গ্যাং বা সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে। গত কয়েক বছরের বেশ কয়েকটি বড় অঙ্কের প্রতারণার পেছনে তারাই দায়ী।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, ই-মেইল থেকে বা আড়ি পেতে জাহাজপথ ব্যবহারের জন্য দুই পক্ষের যোগাযোগের তথ্য সংগ্রহ করে হ্যাকাররা। এমনকি কোনো কোম্পানির কম্পিউটার সিস্টেমের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে লগইন ডেটা বা আর্থিক লেনদেনের তথ্য চুরি করে সেই কোম্পানির ছদ্মবেশে প্রতারণা করে তারা। আবার চুরি করা তথ্য বা কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে দেওয়ার বিনিময়ে মোটা অঙ্কের অর্থ দাবি করে এই চক্র।
আইন সংস্থা এইচএফডব্লিউ জানায়, সাইবার হামলা জাহাজ, সমুদ্রপথ ও বন্দর সবক্ষেত্রেই ক্রমবর্ধমান একটি সমস্যায় পরিণত হয়েছে। এ হামলা বাড়তে থাকায় ২০২২ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে এসব মোকাবিলায় খরচ দ্বিগুণ হয়ে ৫ লাখ ৫০ হাজার ডলারে দাঁড়িয়েছে। আর যেসব ক্ষেত্রে সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞরা হ্যাকারদের হাত থেকে সিস্টেম ফিরিয়ে নিতে পারেন না, সেখানে মুক্তিপণে গড় খরচ করতে হয় ৩ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার।
বিশ্বের প্রায় ৮০ শতাংশ বাণিজ্য সমুদ্রপথে বহন করা হয়। এই অবস্থায় এ ধরনের ব্যাঘাত শিপিং কোম্পানিগুলোর খরচ অনেক বাড়িয়ে দিচ্ছে আর সক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব শিপিংয়ের (আইসিএস) মেরিন বিভাগের পরিবেশ ও বাণিজ্য ব্যবস্থাপক জন স্টাপার্ট বলেন, সমুদ্রপথের এই পরিস্থিতির কারণে সমুদ্র-বাণিজ্য এখন অপরাধী চক্রের প্রধান লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছে। এমনকি যেসব দেশের মধ্যে বৈরী সম্পর্ক রয়েছে, তারাও এ পন্থা অবলম্বনে আগ্রহী হয়ে উঠছে।
স্টাপার্ট আরও বলেন, সমুদ্র-বাণিজ্যের জন্য সাইবার সিকিউরিটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং উদ্বেগের বিষয়। কারণ, এই মাধ্যমে বিশ্ব অনেক বেশি আন্তসংযুক্ত।
আইসিএসের এ কর্মকর্তা জানান, বিশ্বব্যাপী সাইবার অপরাধীরা শিপিং খাতকে শীর্ষ ১০টি লক্ষ্যের মধ্যে অন্যতম হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। যদি সাইবার অপরাধীরা আপনার কার্যক্রম ব্যাহত করতে সক্ষম হয় বা ধরুন কোনো র্যানসমওয়্যার হামলা চালায়, এর প্রভাব যথেষ্ট ক্ষতিকর হতে পারে।
সমুদ্রপথে হামলার হার দ্রুতগতিতে বাড়ছে। নেদারল্যান্ডসের এনএইচএল স্টেনডেন ইউনিভার্সিটি অব অ্যাপ্লায়েড সায়েন্সেসের একটি গবেষণা দল গত কয়েক বছরে জাহাজ চলাচল-সংক্রান্ত সাইবার হামলাগুলোর তথ্য যাচাই করে দেখেছে, ২০২১ সালে ১০টি হামলা হয়েছিল আর তা বেড়ে গত বছর ৬৪টিতে দাঁড়িয়েছে।
নেদারল্যান্ডসের বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিটাইম আইটি সিকিউরিটি গবেষণা দলের জেরোন পিপকার জানান, এসব সাইবার হামলার ঘটনার মধ্যে অনেকগুলোর সঙ্গে চারটি দেশের সরকার—রাশিয়া, চীন, উত্তর কোরিয়া ও ইরান জড়িত।
পিপকার বলেন, ‘আমরা একবার দেখলাম, ইউক্রেনে কিছু সরঞ্জাম পাঠানো হচ্ছিল, তখন একটি টেলিগ্রাম চ্যানেলে এ নিয়ে তথ্য দেওয়া হচ্ছিল, যাতে ডেলিভারির লজিস্টিক চেইনে কিছু ব্যাঘাত সৃষ্টি করা যায়।
‘আর অন্য হামলাগুলো আর্থিক চাপ বা মুক্তিপণ আদায়ের জন্য হয়। সাম্প্রতিক সাইবার হামলা দ্রুত বাড়ার একটি কারণ হলো, হ্যাকারদের কাজের সুযোগ দিনকে দিন আরও সহজ হয়ে যাচ্ছে। কারণ, গত কয়েক বছরে জাহাজশিল্প আরও বেশি ডিজিটাল হয়েছে, আবার নতুন যোগাযোগ প্রযুক্তি, যেমন ইলন মাস্কের স্টারলিংক স্যাটেলাইট পরিষেবা, জাহাজগুলোকে বাইরের বিশ্বের সঙ্গে আরও সংযুক্ত করেছে। আর তাই এগুলো আরও বেশি হ্যাকিংয়ের শিকার হচ্ছে।
গত বছরের একটি ঘটনায় মার্কিন নৌবাহিনীর এক প্রধানকে তাঁর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। কারণ, তিনি তাঁর যুদ্ধজাহাজে একটি অননুমোদিত স্যাটেলাইট ডিশ স্থাপন করেছিলেন, যাতে তিনি ও অন্য কর্মকর্তারা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেন।
জাহাজ চলাচল শিল্পে বেশির ভাগ দাপ্তরিক অংশ ভাগে ভাগে ডিজিটালাইজেশন হয়েছে এবং এর সঙ্গে জড়িত প্রযুক্তিও দ্রুত পুরোনো হয়ে যেতে পারে। পিপকার বলেন, একটি কার্গো জাহাজের গড় বয়স প্রায় ২২ বছর। জাহাজ কোম্পানিগুলোর পক্ষে প্রায়শই সেগুলোকে হালনাগাদ করার জন্য ডাঙ্গায় তুলে রাখা সম্ভব হয় না।
ডিজিটালাইজেশনের আরও কিছু ঝুঁকি রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে জিপিএস জ্যামিং ও ‘স্পুফিং’।
সিকিউরিটি ফার্ম ক্লারোটির আরিক ডায়ামান্ট বলেন, জিপিএস স্পুফিং মানে হলো—নেভিগেশন সিস্টেমকে ভুয়া অবস্থান পাঠানো এবং এর ফলে জাহাজটি ভিন্ন পথে চলে যায়। এরপর অগভীর জলে গেলে জাহাজটির গায়ে আঘাত লেগে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
গত মে মাসে এমএসসি অ্যান্টোনিয়া নামের একটি কনটেইনার জাহাজ লোহিত সাগরে আটকে পড়ে। ধারণা করা হয়, জিপিএস স্পুফিংয়ের কারণে এ ঘটনা ঘটেছিল। এ ঘটনায় কোনো সন্দেহভাজনকে অভিযুক্ত করা না হলেও এই এলাকার অন্যান্য কার্গো জাহাজে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা হামলা করায় তাদের দিকে সন্দেহের নজর গেছে। আর বাল্টিক সাগরে জিপিএস লক্ষ্য করে চালানো অন্যান্য হামলার জন্য রাশিয়াকে দায়ী করা হয়েছে।
জিপিএস জ্যামিং ও স্পুফিং থেকে রক্ষা পাওয়া কঠিন এবং ব্যয়বহুল, তবে ‘অ্যান্টি-জ্যাম’ প্রযুক্তি সহজলভ্য।
এদিকে কার্গো জাহাজগুলোর আরও একটি দুর্বলতা হলো—তাদের নির্গমন পর্যবেক্ষণের জন্য সেন্সরের ব্যবহার বাড়ানো। এসব সেন্সর প্রায়শই ডেটা পাঠায়, যা হ্যাকারদের অনুপ্রবেশ ও হামলার সুযোগ সৃষ্টি করে।
তবে এসবের মধ্যে ভালো খবর হলো, সমুদ্র-বাণিজ্যে নিরাপত্তা কড়াকড়ি বাড়ছে। ২০২১ সালে আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক সংস্থা (আইএমও) নিয়ন্ত্রক বাণিজ্যিক শিপিংয়ের জন্য এর গ্লোবাল সেফটি ম্যানেজমেন্ট কোডে নতুন সাইবার নিরাপত্তা বিধান যুক্ত করেছে।
এইচএফডব্লিউর শিপিং বিশেষজ্ঞ টম ওয়াল্টার্স বলেন, এই বিধানগুলো জাহাজের সেফটি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যাতে আরও নির্দিষ্টভাবে সাইবার ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তা অন্তর্ভুক্ত করা যায়। বিশেষ করে, যাতে ইচ্ছাকৃত সাইবার হামলা মোকাবিলা করা যায় এবং নিয়ম মেনে চলা বাণিজ্যিক জাহাজ পরিচালনার জন্য ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার অনুশীলনগুলো নির্দিষ্ট করে দেওয়া যায়।
জাহাজ ব্যবস্থাপনা সিস্টেমগুলোতে এখন ক্রমবর্ধমান কঠোর সাইবার নিরাপত্তাব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই ব্যবস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে—মৌলিক নিরাপত্তা পদ্ধতি থেকে শুরু করে আরও কারিগরি এবং প্রযুক্তিগত কর্মপদ্ধতি ও আইটি ব্যবস্থা।
আইসিএসের মেরিন বিভাগের পরিবেশ ও বাণিজ্য ব্যবস্থাপক জন স্টাপার্ট বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, শিল্পটি হুমকি মোকাবিলায় অন্তত গত ছয় বা সাত বছর আগের তুলনায় ভালো অবস্থানে রয়েছে।’
স্টাপার্ট আরও যোগ করেন, সাইবার হামলা ও সাইবার অপরাধ সম্পর্কে সমুদ্রশিল্পে সচেতনতা অনেক বেড়েছে এবং আগামী বছরগুলোতে তা আরও বাড়বে।
সাইবার হামলার পর অপরাধী গ্যাংগুলোর সঙ্গে কীভাবে যোগাযোগ করা হয়—জানতে চাইলে আইন সংস্থা এইচএফডব্লিউর আইনজীবী হেনরি ক্ল্যাক বলেন, খুদেবার্তার মাধ্যমে এটি করা হয় এবং যতটা সম্ভব সংক্ষিপ্ত রাখা হয়।
ক্ল্যাক আরও বলেন, যখন এমনটা হয়, বেশির ভাগ সময়ই র্যানসমওয়্যারের মুক্তিপণ আলোচনার প্রসঙ্গে হয়। যোগাযোগ হয় অনলাইন মেসেজিং সার্ভিসের মাধ্যমে, হয়তো দিনে একটি বার্তা পাঠানো হয় বা দু-একটি বাক্য।

বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
৯ ঘণ্টা আগে
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১৪ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
১৫ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজ ছাড়া বাজারে সবজি, ডিম, মুরগি, আটা, চিনিসহ প্রায় অধিকাংশ পণ্যের দাম কমেছে। বিশেষ করে সবজির বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শান্তিনগর, মালিবাগ, রামপুরাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা, এক সপ্তাহ আগে মানভেদে দাম ছিল ১১০-১২০ টাকা কেজি। নতুন পেঁয়াজের দাম অবশ্য তুলনামূলক কম। খুচরায় পাতাসহ নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি।
জানতে চাইলে রামপুরা বাজারের সবজি বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এবার পেঁয়াজ আমদানি না করেই বাজারের চাহিদা মিটে গেছে। এখন আগের মৌসুমের পেঁয়াজের মজুত একেবারেই শেষের দিকে। এই সময় পুরোনো পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেশিই থাকে। তবে এটা বেশি দিন থাকবে না। বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি নেই। চাহিদা অনুসার পেঁয়াজ রয়েছে।’
বেড়েছে ভোজ্যতেলের দামও। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯৮ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৮৯ টাকা। খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৫-১৭৯ টাকা লিটার, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৭১-১৭৪ টাকা লিটার।
বিক্রেতারা বলছেন, কোম্পানিগুলো গত এক সপ্তাহে ধীরে ধীরে বাজারে বাড়তি দামে তেল সরবরাহ করেছে। এখনো অনেক দোকানে আগের দামের তেল পাওয়া যায়। তবে বাজারের অধিকাংশ দোকানেই বাড়তি দামের তেল রয়েছে।
গত সপ্তাহ পর্যন্ত খুচরায় কাঁচা মরিচ বিক্রি হতো ১২০-১৫০ টাকা কেজি, তবে চলতি সপ্তাহে দাম কমে ৭০-১০০ টাকা কেজিতে নেমেছে। এ ছাড়া শীতের সবজি হলেও শিমের দাম হঠাৎ বেড়ে ১৫০ টাকার ওপরে উঠেছিল।
সেই শিম এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা কেজি। ফুলকপি, বাঁধাকপির দাম কমেছে প্রতিটিতে ১০ টাকা। দুই ধরনের কপিই পাওয়া যাচ্ছে ৩০ টাকায়। তবে ভালো মানের ফুলকপি ৫০ টাকা। গত সপ্তাহে একটি কপি কিনতে ৪০-৬০ টাকা লেগেছিল।
দাম কমেছে টমেটোরও। মান ও বাজারভেদে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৪০ টাকা।
দেশি গাজরের সরবরাহ ব্যাপক বেড়েছে বাজারে, এতে দামও কমেছে। প্রতি কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০-১০০ টাকা। তবে আমদানির গাজর আগের মতোই ১২০-১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে বেগুন বিক্রি হয়েছিল ৮০-১০০ টাকা কেজি, যা চলতি সপ্তাহে কমে ৭০-৮০ টাকায় নেমেছে। বাজারে আলুর দাম আগের মতোই প্রতি কেজি ২৫ টাকা রয়েছে।
আমিষের সবচেয়ে বড় উৎস ডিমের দাম আরও কমেছে। ফার্মের মুরগির সাদা ও বাদামি ডিমের দাম কমে ১১০ থেকে ১২৫ টাকা ডজনে নেমেছে। গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৩০ টাকা।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) তথ্য বলছে, গত বছর এই সময় ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছিল ১৪০-১৫০ টাকা ডজন। টিসিবি বলছে, গত বছরের তুলনায় ডিমের দাম ৩৫ শতাংশ কমেছে।
ডিমের সঙ্গে কমেছে ফার্মের মুরগির দামও। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম কমে ১৫০-১৭০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬০-১৮০ টাকা কেজি।
সেগুনবাগিচা বাজারের ডিম বিক্রেতা নূর ই আলম বলেন, ‘ডিম ও মুরগির বাজার স্বাভাবিক আচরণ করছে না। হঠাৎ দামের এত পতন হচ্ছে কেন, তা বোঝা যাচ্ছে না। বর্তমানে ডিমের যে দাম, তা গত কয়েক বছরের তুলনায় সবচেয়ে কম।’
ডিম-মুরগির সঙ্গে কিছুটা কমেছে রুই-কাতলা মাছের দামও। বাজারে চাষের এই মাছগুলো বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩২০-৪৫০ টাকা কেজি।
মুদিপণ্যের মধ্যে চিনির দাম আগে থেকেই কমেছে। খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯০-১০০ টাকা কেজি। চলতি সপ্তাহে নতুন করে কমেছে আটা, মসুর ডাল, ছোলার দাম। খোলা আটার দাম ২-৩ টাকা কমে ৪৫-৪৮ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৪৮-৫০ টাকা কেজি। কেজিপ্রতি বড় দানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৯৫-১০৫ টাকা। ছোলার দামও কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমে ৯৫-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারের মামা-ভাগনে মুদিদোকানের বিক্রেতা হারুনুর রশিদ বলেন, রমজান উপলক্ষে পণ্যের আমদানি ব্যাপক বেড়েছে। তাই প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম কমছে। তবে ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজের বিষয়টি কিছুটা ভিন্ন।

বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজ ছাড়া বাজারে সবজি, ডিম, মুরগি, আটা, চিনিসহ প্রায় অধিকাংশ পণ্যের দাম কমেছে। বিশেষ করে সবজির বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শান্তিনগর, মালিবাগ, রামপুরাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা, এক সপ্তাহ আগে মানভেদে দাম ছিল ১১০-১২০ টাকা কেজি। নতুন পেঁয়াজের দাম অবশ্য তুলনামূলক কম। খুচরায় পাতাসহ নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি।
জানতে চাইলে রামপুরা বাজারের সবজি বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এবার পেঁয়াজ আমদানি না করেই বাজারের চাহিদা মিটে গেছে। এখন আগের মৌসুমের পেঁয়াজের মজুত একেবারেই শেষের দিকে। এই সময় পুরোনো পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেশিই থাকে। তবে এটা বেশি দিন থাকবে না। বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি নেই। চাহিদা অনুসার পেঁয়াজ রয়েছে।’
বেড়েছে ভোজ্যতেলের দামও। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯৮ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৮৯ টাকা। খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৫-১৭৯ টাকা লিটার, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৭১-১৭৪ টাকা লিটার।
বিক্রেতারা বলছেন, কোম্পানিগুলো গত এক সপ্তাহে ধীরে ধীরে বাজারে বাড়তি দামে তেল সরবরাহ করেছে। এখনো অনেক দোকানে আগের দামের তেল পাওয়া যায়। তবে বাজারের অধিকাংশ দোকানেই বাড়তি দামের তেল রয়েছে।
গত সপ্তাহ পর্যন্ত খুচরায় কাঁচা মরিচ বিক্রি হতো ১২০-১৫০ টাকা কেজি, তবে চলতি সপ্তাহে দাম কমে ৭০-১০০ টাকা কেজিতে নেমেছে। এ ছাড়া শীতের সবজি হলেও শিমের দাম হঠাৎ বেড়ে ১৫০ টাকার ওপরে উঠেছিল।
সেই শিম এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা কেজি। ফুলকপি, বাঁধাকপির দাম কমেছে প্রতিটিতে ১০ টাকা। দুই ধরনের কপিই পাওয়া যাচ্ছে ৩০ টাকায়। তবে ভালো মানের ফুলকপি ৫০ টাকা। গত সপ্তাহে একটি কপি কিনতে ৪০-৬০ টাকা লেগেছিল।
দাম কমেছে টমেটোরও। মান ও বাজারভেদে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৪০ টাকা।
দেশি গাজরের সরবরাহ ব্যাপক বেড়েছে বাজারে, এতে দামও কমেছে। প্রতি কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০-১০০ টাকা। তবে আমদানির গাজর আগের মতোই ১২০-১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে বেগুন বিক্রি হয়েছিল ৮০-১০০ টাকা কেজি, যা চলতি সপ্তাহে কমে ৭০-৮০ টাকায় নেমেছে। বাজারে আলুর দাম আগের মতোই প্রতি কেজি ২৫ টাকা রয়েছে।
আমিষের সবচেয়ে বড় উৎস ডিমের দাম আরও কমেছে। ফার্মের মুরগির সাদা ও বাদামি ডিমের দাম কমে ১১০ থেকে ১২৫ টাকা ডজনে নেমেছে। গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৩০ টাকা।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) তথ্য বলছে, গত বছর এই সময় ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছিল ১৪০-১৫০ টাকা ডজন। টিসিবি বলছে, গত বছরের তুলনায় ডিমের দাম ৩৫ শতাংশ কমেছে।
ডিমের সঙ্গে কমেছে ফার্মের মুরগির দামও। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম কমে ১৫০-১৭০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬০-১৮০ টাকা কেজি।
সেগুনবাগিচা বাজারের ডিম বিক্রেতা নূর ই আলম বলেন, ‘ডিম ও মুরগির বাজার স্বাভাবিক আচরণ করছে না। হঠাৎ দামের এত পতন হচ্ছে কেন, তা বোঝা যাচ্ছে না। বর্তমানে ডিমের যে দাম, তা গত কয়েক বছরের তুলনায় সবচেয়ে কম।’
ডিম-মুরগির সঙ্গে কিছুটা কমেছে রুই-কাতলা মাছের দামও। বাজারে চাষের এই মাছগুলো বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩২০-৪৫০ টাকা কেজি।
মুদিপণ্যের মধ্যে চিনির দাম আগে থেকেই কমেছে। খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯০-১০০ টাকা কেজি। চলতি সপ্তাহে নতুন করে কমেছে আটা, মসুর ডাল, ছোলার দাম। খোলা আটার দাম ২-৩ টাকা কমে ৪৫-৪৮ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৪৮-৫০ টাকা কেজি। কেজিপ্রতি বড় দানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৯৫-১০৫ টাকা। ছোলার দামও কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমে ৯৫-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারের মামা-ভাগনে মুদিদোকানের বিক্রেতা হারুনুর রশিদ বলেন, রমজান উপলক্ষে পণ্যের আমদানি ব্যাপক বেড়েছে। তাই প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম কমছে। তবে ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজের বিষয়টি কিছুটা ভিন্ন।

লন্ডনভিত্তিক বাণিজ্যিক আইন পরামর্শক সংস্থা এইচএফডব্লিউতে যুক্ত রয়েছেন আইনজীবী হেনরি ক্ল্যাক। সাগরপথে বিশ্বজুড়ে সাইবার হামলার শিকার শিপিং কোম্পানিগুলোর পক্ষে কাজ করেন তিনি। ক্লায়েন্টদের হয়ে কীভাবে তিনি অপরাধী চক্রকে মোকাবিলা করেন, তা নিয়ে বিবিসির সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১৪ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
১৫ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদুল হাসান।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. রবিউল হাসান এবং উপমহাব্যবস্থাপক ও আঞ্চলিক প্রধান (কুমিল্লা অঞ্চল) মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদুল হাসান।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. রবিউল হাসান এবং উপমহাব্যবস্থাপক ও আঞ্চলিক প্রধান (কুমিল্লা অঞ্চল) মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

লন্ডনভিত্তিক বাণিজ্যিক আইন পরামর্শক সংস্থা এইচএফডব্লিউতে যুক্ত রয়েছেন আইনজীবী হেনরি ক্ল্যাক। সাগরপথে বিশ্বজুড়ে সাইবার হামলার শিকার শিপিং কোম্পানিগুলোর পক্ষে কাজ করেন তিনি। ক্লায়েন্টদের হয়ে কীভাবে তিনি অপরাধী চক্রকে মোকাবিলা করেন, তা নিয়ে বিবিসির সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
৯ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
১৫ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। অর্থাৎ মাসওয়ারি হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে রপ্তানি আয় কমেছে ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ, টাকার অঙ্কে এই হ্রাসকৃত রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়ায় ২২ কোটি ৮১ লাখ ডলার।
এবারই প্রথম নয়, আগস্ট থেকে শুরু হওয়া নিম্নমুখী ধারা নভেম্বরে এসে চতুর্থ মাসে পা দিল। জুলাইয়ের শক্তিশালী সূচনার পর রপ্তানি খাত যে ধারাবাহিক গতি অর্জন করেছিল, সেই গতি আগস্টেই থমকে যায়। ওই মাসে আগের বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি কমে ২ দশমিক ৯৩ শতাংশে নেমে আসে। সেপ্টেম্বরেও পতন গভীর হয়—৪ দশমিক ৬১ শতাংশ। অক্টোবরে সেই হার আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশে।
জুলাইয়ের ব্যতিক্রমী সাফল্যের পর পরবর্তী চার মাস যেন একটানা ঢালু পথ। সেই জুলাইয়ে রপ্তানি আয় ছিল ৪৭৭ কোটি ৫ লাখ ডলার, প্রবৃদ্ধি প্রায় ২৪ দশমিক ৯০ শতাংশ। কিন্তু এরপর প্রতি মাসেই কমতে কমতে নভেম্বরে এসে রপ্তানি আয়ের ব্যবধান স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
সার্বিক চিত্রটি বলছে, অর্থবছরের শুরুতে পাওয়া জোয়ারটি এখন চার মাসের টানা ভাটার মুখে দাঁড়িয়ে।
আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ইপিবির তথ্য পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর মিলিয়ে পাঁচ মাসে মোট রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ২০০২ কোটি ৮৫ লাখ ডলার; যা আগের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ঘটেছে মাত্র দশমিক ৬২ শতাংশ। অর্থাৎ পাঁচ মাসের সার্বিক রপ্তানি আয়ের চিত্রও নামমাত্র।
নভেম্বরের সবচেয়ে বড় আঘাত লেগেছে পোশাক খাতে, যেটি দেশের রপ্তানির প্রধান ভরসা। ওই মাসে পোশাক রপ্তানি থেকে এসেছে ৩১৪ কোটি ৯ লাখ ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ কম। এ সময় নিটওয়্যার খাতে আয় নেমেছে ১৬১ কোটি ৮৪ লাখ ডলারে, আর ওভেনে এসেছে ১৫২ কোটি ২৪ লাখ ডলার। গত বছরের একই সময়ে নিটওয়্যার আয় ছিল ১৭৩ কোটি ৮২ লাখ ডলার এবং ওভেন ১৫৬ কোটি ৯২ লাখ ডলার।
পোশাকের বাইরে কৃষিপণ্যে রপ্তানি কমেছে ২৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ, প্লাস্টিক পণ্যে কমেছে ১৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এ ছাড়া রপ্তানি পতনের তালিকায় রয়েছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত সামগ্রী, হোম টেক্সটাইলস, ফার্মাসিউটিক্যালস, জাহাজ, চিংড়ি ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং। এর মানে হচ্ছে, প্রচলিত এসব খাতেও মন্থরতা স্পষ্ট।
তবে সব বাজারে একই চিত্র নয়। কিছু গন্তব্যে বিপরীত প্রবণতা দেখা গেছে, যা সামগ্রিক মন্দার মধ্যেও আশার সঞ্চার করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বেড়েছে ৪ দশমিক ২০ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। উদীয়মান বাজারগুলোর মধ্যেও ইতিবাচক প্রবণতা স্পষ্ট—চীনে রপ্তানি বেড়েছে ২৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ, পোল্যান্ডে ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ, সৌদি আরবে ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং স্পেনে ১০ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এ প্রবণতা সাম্প্রতিক বছরগুলোয় যেন অনেকটাই ব্যতিক্রমী সাফল্য।
সব মিলিয়ে চিত্রটি দ্বিমুখী। একদিকে ঐতিহ্যগত প্রধান খাতগুলোতে পতন; অন্যদিকে কিছু নতুন বাজারে ইতিবাচক ইঙ্গিত। তবে বড় প্রশ্ন রয়ে যায়, এই বাজার বৃদ্ধি কি পোশাকসহ প্রধান খাতের ধারাবাহিক মন্দাকে সামাল দিতে পারবে?
বর্তমান বাস্তবতা বলছে, বৈচিত্র্য বাড়ানোর পথে অনেক দূর যেতে হবে। উৎপাদন প্রতিযোগিতা, মূল্যের চাপ, বৈদেশিক অর্ডার সংকোচন এবং বিশ্ববাজারের অনিশ্চয়তা, সব মিলিয়ে রপ্তানি খাতে সামনের পথ সহজ নয়।

রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। অর্থাৎ মাসওয়ারি হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে রপ্তানি আয় কমেছে ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ, টাকার অঙ্কে এই হ্রাসকৃত রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়ায় ২২ কোটি ৮১ লাখ ডলার।
এবারই প্রথম নয়, আগস্ট থেকে শুরু হওয়া নিম্নমুখী ধারা নভেম্বরে এসে চতুর্থ মাসে পা দিল। জুলাইয়ের শক্তিশালী সূচনার পর রপ্তানি খাত যে ধারাবাহিক গতি অর্জন করেছিল, সেই গতি আগস্টেই থমকে যায়। ওই মাসে আগের বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি কমে ২ দশমিক ৯৩ শতাংশে নেমে আসে। সেপ্টেম্বরেও পতন গভীর হয়—৪ দশমিক ৬১ শতাংশ। অক্টোবরে সেই হার আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশে।
জুলাইয়ের ব্যতিক্রমী সাফল্যের পর পরবর্তী চার মাস যেন একটানা ঢালু পথ। সেই জুলাইয়ে রপ্তানি আয় ছিল ৪৭৭ কোটি ৫ লাখ ডলার, প্রবৃদ্ধি প্রায় ২৪ দশমিক ৯০ শতাংশ। কিন্তু এরপর প্রতি মাসেই কমতে কমতে নভেম্বরে এসে রপ্তানি আয়ের ব্যবধান স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
সার্বিক চিত্রটি বলছে, অর্থবছরের শুরুতে পাওয়া জোয়ারটি এখন চার মাসের টানা ভাটার মুখে দাঁড়িয়ে।
আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ইপিবির তথ্য পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর মিলিয়ে পাঁচ মাসে মোট রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ২০০২ কোটি ৮৫ লাখ ডলার; যা আগের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ঘটেছে মাত্র দশমিক ৬২ শতাংশ। অর্থাৎ পাঁচ মাসের সার্বিক রপ্তানি আয়ের চিত্রও নামমাত্র।
নভেম্বরের সবচেয়ে বড় আঘাত লেগেছে পোশাক খাতে, যেটি দেশের রপ্তানির প্রধান ভরসা। ওই মাসে পোশাক রপ্তানি থেকে এসেছে ৩১৪ কোটি ৯ লাখ ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ কম। এ সময় নিটওয়্যার খাতে আয় নেমেছে ১৬১ কোটি ৮৪ লাখ ডলারে, আর ওভেনে এসেছে ১৫২ কোটি ২৪ লাখ ডলার। গত বছরের একই সময়ে নিটওয়্যার আয় ছিল ১৭৩ কোটি ৮২ লাখ ডলার এবং ওভেন ১৫৬ কোটি ৯২ লাখ ডলার।
পোশাকের বাইরে কৃষিপণ্যে রপ্তানি কমেছে ২৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ, প্লাস্টিক পণ্যে কমেছে ১৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এ ছাড়া রপ্তানি পতনের তালিকায় রয়েছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত সামগ্রী, হোম টেক্সটাইলস, ফার্মাসিউটিক্যালস, জাহাজ, চিংড়ি ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং। এর মানে হচ্ছে, প্রচলিত এসব খাতেও মন্থরতা স্পষ্ট।
তবে সব বাজারে একই চিত্র নয়। কিছু গন্তব্যে বিপরীত প্রবণতা দেখা গেছে, যা সামগ্রিক মন্দার মধ্যেও আশার সঞ্চার করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বেড়েছে ৪ দশমিক ২০ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। উদীয়মান বাজারগুলোর মধ্যেও ইতিবাচক প্রবণতা স্পষ্ট—চীনে রপ্তানি বেড়েছে ২৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ, পোল্যান্ডে ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ, সৌদি আরবে ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং স্পেনে ১০ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এ প্রবণতা সাম্প্রতিক বছরগুলোয় যেন অনেকটাই ব্যতিক্রমী সাফল্য।
সব মিলিয়ে চিত্রটি দ্বিমুখী। একদিকে ঐতিহ্যগত প্রধান খাতগুলোতে পতন; অন্যদিকে কিছু নতুন বাজারে ইতিবাচক ইঙ্গিত। তবে বড় প্রশ্ন রয়ে যায়, এই বাজার বৃদ্ধি কি পোশাকসহ প্রধান খাতের ধারাবাহিক মন্দাকে সামাল দিতে পারবে?
বর্তমান বাস্তবতা বলছে, বৈচিত্র্য বাড়ানোর পথে অনেক দূর যেতে হবে। উৎপাদন প্রতিযোগিতা, মূল্যের চাপ, বৈদেশিক অর্ডার সংকোচন এবং বিশ্ববাজারের অনিশ্চয়তা, সব মিলিয়ে রপ্তানি খাতে সামনের পথ সহজ নয়।

লন্ডনভিত্তিক বাণিজ্যিক আইন পরামর্শক সংস্থা এইচএফডব্লিউতে যুক্ত রয়েছেন আইনজীবী হেনরি ক্ল্যাক। সাগরপথে বিশ্বজুড়ে সাইবার হামলার শিকার শিপিং কোম্পানিগুলোর পক্ষে কাজ করেন তিনি। ক্লায়েন্টদের হয়ে কীভাবে তিনি অপরাধী চক্রকে মোকাবিলা করেন, তা নিয়ে বিবিসির সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
৯ ঘণ্টা আগে
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১৪ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, তামাক ও তামাকজাত পণ্যের অবৈধ উৎপাদন, বাজারজাতকরণ এবং রাজস্ব ফাঁকি প্রতিরোধে সম্প্রতি কার্যক্রম আরও জোরদার করেছে এনবিআর। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সূত্রের ভিত্তিতে এনবিআরের ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের একটি দল ঈশ্বরদীতে অবস্থিত ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
গোয়েন্দা দলের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট নিবন্ধন গ্রহণ করলেও দীর্ঘদিন ধরে আনুষ্ঠানিক উৎপাদন কার্যক্রম প্রদর্শন না করে গোপনে সিগারেট উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে। অভিযানে ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৫৯০ শলাকা জাল ব্যান্ডরোলযুক্ত সিগারেট জব্দ করা হয়, যার বাজারমূল্য ৩৮ লাখ টাকারও বেশি। এসব সিগারেটের বিপরীতে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ২৯ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়।
এ ছাড়া ১০ লাখ ২৯ হাজারটি অব্যবহৃত জাল ব্যান্ডরোল বা স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়, যা ব্যবহার করা হলে অতিরিক্ত ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকারও বেশি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া সম্ভব ছিল। প্রতিষ্ঠানটি ৩ লাখ ২২ হাজার ৫০০টি বৈধ ব্যান্ডরোল সংগ্রহ করলেও তা ব্যবহার না করে জাল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে সিগারেট উৎপাদন ও বিক্রি করছিল।
এনবিআর জানিয়েছে, সব সিগারেট ও উপকরণ আইনানুগভাবে জব্দ করা হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনিপ্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। অভিযানে উদ্ধার করা দলিলাদির ভিত্তিতে শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনারেটকে প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন ও বিক্রি কার্যক্রমের ওপর কঠোর নজরদারির জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হবে।

পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, তামাক ও তামাকজাত পণ্যের অবৈধ উৎপাদন, বাজারজাতকরণ এবং রাজস্ব ফাঁকি প্রতিরোধে সম্প্রতি কার্যক্রম আরও জোরদার করেছে এনবিআর। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সূত্রের ভিত্তিতে এনবিআরের ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের একটি দল ঈশ্বরদীতে অবস্থিত ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
গোয়েন্দা দলের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট নিবন্ধন গ্রহণ করলেও দীর্ঘদিন ধরে আনুষ্ঠানিক উৎপাদন কার্যক্রম প্রদর্শন না করে গোপনে সিগারেট উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে। অভিযানে ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৫৯০ শলাকা জাল ব্যান্ডরোলযুক্ত সিগারেট জব্দ করা হয়, যার বাজারমূল্য ৩৮ লাখ টাকারও বেশি। এসব সিগারেটের বিপরীতে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ২৯ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়।
এ ছাড়া ১০ লাখ ২৯ হাজারটি অব্যবহৃত জাল ব্যান্ডরোল বা স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়, যা ব্যবহার করা হলে অতিরিক্ত ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকারও বেশি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া সম্ভব ছিল। প্রতিষ্ঠানটি ৩ লাখ ২২ হাজার ৫০০টি বৈধ ব্যান্ডরোল সংগ্রহ করলেও তা ব্যবহার না করে জাল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে সিগারেট উৎপাদন ও বিক্রি করছিল।
এনবিআর জানিয়েছে, সব সিগারেট ও উপকরণ আইনানুগভাবে জব্দ করা হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনিপ্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। অভিযানে উদ্ধার করা দলিলাদির ভিত্তিতে শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনারেটকে প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন ও বিক্রি কার্যক্রমের ওপর কঠোর নজরদারির জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হবে।

লন্ডনভিত্তিক বাণিজ্যিক আইন পরামর্শক সংস্থা এইচএফডব্লিউতে যুক্ত রয়েছেন আইনজীবী হেনরি ক্ল্যাক। সাগরপথে বিশ্বজুড়ে সাইবার হামলার শিকার শিপিং কোম্পানিগুলোর পক্ষে কাজ করেন তিনি। ক্লায়েন্টদের হয়ে কীভাবে তিনি অপরাধী চক্রকে মোকাবিলা করেন, তা নিয়ে বিবিসির সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
৯ ঘণ্টা আগে
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১৪ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
১৫ ঘণ্টা আগে