সাগর হোসেন তামিম, মাদারীপুর

আর মাত্র আড়াই হাত ভাঙলেই ভেসে যাবে অর্ধশত হেক্টর জমির ফসল। এরই মধ্যে ভেঙে গেছে মাদারীপুরের টেকেরহাট-কালীবাড়ী ফিডার সড়কের প্রায় ৯৫ শতাংশ পাকা রাস্তা। বাকিটুকু ভাঙলেই কৃষকের গোলায় আর উঠবে না উঠতি বোনা আর রোপা আমন। তাই আতঙ্কে দিন কাটছে মাদারীপুরের টেকেরহাটের বিদ্যানন্দী গ্রামের পাঁচ শতাধিক কৃষকের।
সরেজমিনে দেখা যায়, কুমার নদের পাড় ভাঙছে। গত ৬ সেপ্টেম্বর থেকে মাদারীপুরের টেকেরহাট-কালীবাড়ী ফিডার সড়কের নদীর পারে এ ভাঙন শুরু হয়। এ সড়কের পাশেই রয়েছে হরিদাসদী-মহেন্দ্রী ইউনিয়নের বিদ্যানন্দী-গোয়ালবাথান ফসলের মাঠ। বিস্তীর্ণ মাঠে দোল খাচ্ছে উঠতি আমন ধান। এরই মধ্যে সড়কটির অনেকটা অংশ গেছে কুমারের পেটে। আর মাত্র আড়াই হাত ভাঙলেই তলিয়ে যাবে প্রায় ১০০ হেক্টর জমি। এই জমির ৫০ হেক্টরজুড়ে আবাদ করা হয়েছে আমন ধানের। সড়কটি পুরো ভেঙে গেলে মাঠে নদের বালু পানিতে তলিয়ে যাবে ফসল। এতে দুশ্চিন্তা আর আতঙ্কে দিন কাটছে কৃষকদের।
বিদ্যানন্দী গ্রামের একাধিক কৃষকের অভিযোগ—ভাঙনের আগেই পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) থেকে কার্যকর ভূমিকা নিলে ফসল নিয়ে শঙ্কায় পড়তে হতো না। এর আগেও তিনবার সড়কটি ভেঙেছে। তখনো স্থায়ী কোনো ভূমিকা নেয়নি পাউবো। এলাকাবাসী নদী তীরবর্তী স্থায়ী বাঁধ নির্মাণেও দাবি করেন। এরই মধ্যে কালীবাড়ী এলাকার প্রায় ১৫০ মিটার পাকা রাস্তা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
বিদ্যানন্দী-গোয়ালবাথান মাঠের কৃষক ইউনুস আলী বলেন, ‘আমি প্রায় ৩ বিঘা জমিতে আমন ধান লাগিয়েছি। ধানও হয়েছে ভালো। তবে এভাবে যদি নদীর পাড় ভাঙতে থাকে, তাহলে আর ধান ঘরে তুলতে পারব না। বারবার আমাদের ফসল রক্ষার জন্য চেয়ারম্যান-মেম্বারদের বলেছি। তাঁরা কোনো কাজই করেন না। এখন ভাঙন কমাতে বালির বস্তা ফেলছে। জানি না, এতে আমাদের ফসল রক্ষা হবে কিনা।’

আরেক কৃষক সোলেমান ব্যাপারী বলেন, ‘ভাঙা যখন শুরু হয়, তখন সরকারি অফিসাররা এসেছিলেন। তখনই যদি বালির বস্তা ফেলত, তাহলে আমাদের এমন দুশ্চিন্তা করতে হতো না। আর দুই বা আড়াই হাত ভাঙলেই নদীর ঘোলা পানিতে সব ফসল শেষ হয়ে যাবে। আর ঘোলা পানি ঢুকলে সামনেও ভালো ফসল হবে না।’
প্রায় পাঁচ বছর ধরে কুমার নদের পাড় ভাঙছে উল্লেখ করে স্থানীয় বাসিন্দা জব্বার হোসেন বলেন, ‘কোনো স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করা হয় না। তবে ভাঙন শুরু হলে কিছু বালুর বস্তা ফেলা হয়। এর পর আর কোনো খোঁজ থাকে না। এবারও ভাঙন শুরুর তিন দিন পর বালুর বস্তা ফেলা হয়েছে। তবে তার আগেই ১০০ মিটার পাড় ভেঙে গেছে। এভাবে চললে আমরা কৃষকেরা শেষ। এই ফসলের মাঠে হাজার হাজার মন ধান-পাট হয়। সেটা আর চোখে দেখা যাবে না।’
কিন্তু বছর বছর এই ভাঙন কেন? এর কারণ জানা গেল স্থানীয়দের কাছ থেকেই। বালু ব্যবসাই এর পেছনে রয়েছে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে কুমার নদের পার ভাঙা শুরু হয়। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে এই ভাঙন নতুন করে ফিরে আসে। আর প্রতিবারই অনেকটা পাইলট ভিত্তিতে চলে ভাঙন প্রতিরোধের চেষ্টা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, ‘কুমার নদ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। প্রভাবশালী একটি মহল সারা বছর কুমার নদের বিভিন্ন অংশ থেকে বালু উত্তোলন করে। ফলে প্রতি বছরই নদের তীর ভাঙে। বিদ্যানন্দী-গোয়ালবাথান মাঠ-সংলগ্ন কুমার নদের এই এলাকা নিরিবিলি হওয়ায় এখান থেকে বালু উত্তোলনে কোনো সমস্যা হয় না। ফলে এখান থেকে অবাধে বালু তোলা হয়। এটি বন্ধ করা না গেলে নদীভাঙন থামবে না। পাশাপাশি এখনই স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা জরুরি। না হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে কৃষকেরা। শুধু তাই নয় এ সড়ক দিয়ে অন্তত তিনটি ইউনিয়নের জনগণ চলাচল করে। ফলে এটি ভেঙে পড়লে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
এ ব্যাপারে রাজৈর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফরহাদুল মিরাজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ বছর বিদ্যানন্দী-গোয়ালবাথান মাঠে ৫০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ১৭০ মেট্রিক টন, যার বর্তমান বাজার মূল্যে ৪৩ লাখ টাকার বেশি। কৃষি অফিসের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা ফসল ও জমি রক্ষার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। রাজৈর উপজেলা অফিস থেকেও ভাঙন কবলিত স্থান পরিদর্শন করা হয়েছে।’
মাদারীপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ করে যাচ্ছি। যেকোনোভাবে ভাঙন রোধ করা গেলেই কৃষক তাদের ফসল গোলায় ওঠাতে পারবে। আগামী মাসে আমন ধান পাকবে। এই কিছুদিন গেলেই ফসল রক্ষা হবে।’
ভাঙন রোধে পাউবো সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে জানালেও স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের বিষয়ে সুস্পষ্ট কিছু জানাতে পারলেন না মাদারীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. সাখাওয়াত হোসেন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘নদীর পাড় রক্ষার জন্য ভাঙা অংশে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার জিও ব্যাগ ফেলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যদি এতেও ভাঙন রক্ষা না হয়, প্রয়োজনে ফসল রক্ষার্থে আরও বেশি জিও ব্যাগ ফেলা হবে। তবে কুমার নদে আগের চেয়ে পানি কমতে শুরু করেছে। তবে অনেক সময় পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙনও বাড়ে। আমরা চেষ্টা করছি, স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের।’

আর মাত্র আড়াই হাত ভাঙলেই ভেসে যাবে অর্ধশত হেক্টর জমির ফসল। এরই মধ্যে ভেঙে গেছে মাদারীপুরের টেকেরহাট-কালীবাড়ী ফিডার সড়কের প্রায় ৯৫ শতাংশ পাকা রাস্তা। বাকিটুকু ভাঙলেই কৃষকের গোলায় আর উঠবে না উঠতি বোনা আর রোপা আমন। তাই আতঙ্কে দিন কাটছে মাদারীপুরের টেকেরহাটের বিদ্যানন্দী গ্রামের পাঁচ শতাধিক কৃষকের।
সরেজমিনে দেখা যায়, কুমার নদের পাড় ভাঙছে। গত ৬ সেপ্টেম্বর থেকে মাদারীপুরের টেকেরহাট-কালীবাড়ী ফিডার সড়কের নদীর পারে এ ভাঙন শুরু হয়। এ সড়কের পাশেই রয়েছে হরিদাসদী-মহেন্দ্রী ইউনিয়নের বিদ্যানন্দী-গোয়ালবাথান ফসলের মাঠ। বিস্তীর্ণ মাঠে দোল খাচ্ছে উঠতি আমন ধান। এরই মধ্যে সড়কটির অনেকটা অংশ গেছে কুমারের পেটে। আর মাত্র আড়াই হাত ভাঙলেই তলিয়ে যাবে প্রায় ১০০ হেক্টর জমি। এই জমির ৫০ হেক্টরজুড়ে আবাদ করা হয়েছে আমন ধানের। সড়কটি পুরো ভেঙে গেলে মাঠে নদের বালু পানিতে তলিয়ে যাবে ফসল। এতে দুশ্চিন্তা আর আতঙ্কে দিন কাটছে কৃষকদের।
বিদ্যানন্দী গ্রামের একাধিক কৃষকের অভিযোগ—ভাঙনের আগেই পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) থেকে কার্যকর ভূমিকা নিলে ফসল নিয়ে শঙ্কায় পড়তে হতো না। এর আগেও তিনবার সড়কটি ভেঙেছে। তখনো স্থায়ী কোনো ভূমিকা নেয়নি পাউবো। এলাকাবাসী নদী তীরবর্তী স্থায়ী বাঁধ নির্মাণেও দাবি করেন। এরই মধ্যে কালীবাড়ী এলাকার প্রায় ১৫০ মিটার পাকা রাস্তা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
বিদ্যানন্দী-গোয়ালবাথান মাঠের কৃষক ইউনুস আলী বলেন, ‘আমি প্রায় ৩ বিঘা জমিতে আমন ধান লাগিয়েছি। ধানও হয়েছে ভালো। তবে এভাবে যদি নদীর পাড় ভাঙতে থাকে, তাহলে আর ধান ঘরে তুলতে পারব না। বারবার আমাদের ফসল রক্ষার জন্য চেয়ারম্যান-মেম্বারদের বলেছি। তাঁরা কোনো কাজই করেন না। এখন ভাঙন কমাতে বালির বস্তা ফেলছে। জানি না, এতে আমাদের ফসল রক্ষা হবে কিনা।’

আরেক কৃষক সোলেমান ব্যাপারী বলেন, ‘ভাঙা যখন শুরু হয়, তখন সরকারি অফিসাররা এসেছিলেন। তখনই যদি বালির বস্তা ফেলত, তাহলে আমাদের এমন দুশ্চিন্তা করতে হতো না। আর দুই বা আড়াই হাত ভাঙলেই নদীর ঘোলা পানিতে সব ফসল শেষ হয়ে যাবে। আর ঘোলা পানি ঢুকলে সামনেও ভালো ফসল হবে না।’
প্রায় পাঁচ বছর ধরে কুমার নদের পাড় ভাঙছে উল্লেখ করে স্থানীয় বাসিন্দা জব্বার হোসেন বলেন, ‘কোনো স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করা হয় না। তবে ভাঙন শুরু হলে কিছু বালুর বস্তা ফেলা হয়। এর পর আর কোনো খোঁজ থাকে না। এবারও ভাঙন শুরুর তিন দিন পর বালুর বস্তা ফেলা হয়েছে। তবে তার আগেই ১০০ মিটার পাড় ভেঙে গেছে। এভাবে চললে আমরা কৃষকেরা শেষ। এই ফসলের মাঠে হাজার হাজার মন ধান-পাট হয়। সেটা আর চোখে দেখা যাবে না।’
কিন্তু বছর বছর এই ভাঙন কেন? এর কারণ জানা গেল স্থানীয়দের কাছ থেকেই। বালু ব্যবসাই এর পেছনে রয়েছে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে কুমার নদের পার ভাঙা শুরু হয়। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে এই ভাঙন নতুন করে ফিরে আসে। আর প্রতিবারই অনেকটা পাইলট ভিত্তিতে চলে ভাঙন প্রতিরোধের চেষ্টা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, ‘কুমার নদ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। প্রভাবশালী একটি মহল সারা বছর কুমার নদের বিভিন্ন অংশ থেকে বালু উত্তোলন করে। ফলে প্রতি বছরই নদের তীর ভাঙে। বিদ্যানন্দী-গোয়ালবাথান মাঠ-সংলগ্ন কুমার নদের এই এলাকা নিরিবিলি হওয়ায় এখান থেকে বালু উত্তোলনে কোনো সমস্যা হয় না। ফলে এখান থেকে অবাধে বালু তোলা হয়। এটি বন্ধ করা না গেলে নদীভাঙন থামবে না। পাশাপাশি এখনই স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা জরুরি। না হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে কৃষকেরা। শুধু তাই নয় এ সড়ক দিয়ে অন্তত তিনটি ইউনিয়নের জনগণ চলাচল করে। ফলে এটি ভেঙে পড়লে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
এ ব্যাপারে রাজৈর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফরহাদুল মিরাজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ বছর বিদ্যানন্দী-গোয়ালবাথান মাঠে ৫০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ১৭০ মেট্রিক টন, যার বর্তমান বাজার মূল্যে ৪৩ লাখ টাকার বেশি। কৃষি অফিসের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা ফসল ও জমি রক্ষার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। রাজৈর উপজেলা অফিস থেকেও ভাঙন কবলিত স্থান পরিদর্শন করা হয়েছে।’
মাদারীপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ করে যাচ্ছি। যেকোনোভাবে ভাঙন রোধ করা গেলেই কৃষক তাদের ফসল গোলায় ওঠাতে পারবে। আগামী মাসে আমন ধান পাকবে। এই কিছুদিন গেলেই ফসল রক্ষা হবে।’
ভাঙন রোধে পাউবো সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে জানালেও স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের বিষয়ে সুস্পষ্ট কিছু জানাতে পারলেন না মাদারীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. সাখাওয়াত হোসেন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘নদীর পাড় রক্ষার জন্য ভাঙা অংশে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার জিও ব্যাগ ফেলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যদি এতেও ভাঙন রক্ষা না হয়, প্রয়োজনে ফসল রক্ষার্থে আরও বেশি জিও ব্যাগ ফেলা হবে। তবে কুমার নদে আগের চেয়ে পানি কমতে শুরু করেছে। তবে অনেক সময় পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙনও বাড়ে। আমরা চেষ্টা করছি, স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের।’

স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
৩ ঘণ্টা আগে
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে।
৩ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
৪ ঘণ্টা আগে
সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘নতুন বাংলাদেশ, চাই সুষ্ঠু নির্বাচন, চাই যোগ্য নেতৃত্ব’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকের আয়োজন করে সম্মিলিত নারী প্রয়াস।
সরকারের কাছে দাবি তুলে শামীমা তাসনিম বলেন, ‘সব দলের রাজনৈতিক সুযোগ রেখে সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যেটাকে আমরা বলছি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের নিরাপত্তা দিতে হবে এবং সেটি ভয়ভীতি যেন না দেখানো হয়। মানে ভোট দিতে যে আমি যাব, যেন সুস্থ অবস্থায় ফেরত আসতে পারি।’
অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছ নির্বাচনের কথা বলতে গিয়ে ড. শামীমা তাসনিম বলেন, বাংলাদেশে অতীতে যে দলই ক্ষমতায় এসেছে, তারা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজেদের ব্যক্তিগত সম্পত্তির মতো ব্যবহার করেছে। বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে আমলা নিয়োগ এবং পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে দলীয় আনুগত্যকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। অতীতে ছাত্রলীগের কর্মীদের নিয়োগের বিষয়টি উল্লেখ করেন তিনি।
কথায় ও কাজে সৎ এবং জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন, যিনি দুর্নীতি করবেন না এবং দুর্নীতির প্রশ্রয় দেবেন না, যিনি বাংলাদেশকে একমাত্র স্থায়ী ঠিকানা মনে করবেন এবং বিদেশে কোনো ‘সেকেন্ড হোম’ রাখবেন না, আধিপত্যবিরোধী হবেন—এমন নেতৃত্ব আনার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার নিয়ামা ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সংগঠনটির সেক্রেটারি ড. ফেরদৌস আরা খানম, সহকারী সম্পাদক মাহসিনা মমতাজ মারিয়া, লেকচারার ড. জেবুন্নেসা, ড. মেহের আফরোজ লুৎফা, জান্নাতুন নাইম প্রমি প্রমুখ।

স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘নতুন বাংলাদেশ, চাই সুষ্ঠু নির্বাচন, চাই যোগ্য নেতৃত্ব’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকের আয়োজন করে সম্মিলিত নারী প্রয়াস।
সরকারের কাছে দাবি তুলে শামীমা তাসনিম বলেন, ‘সব দলের রাজনৈতিক সুযোগ রেখে সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যেটাকে আমরা বলছি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের নিরাপত্তা দিতে হবে এবং সেটি ভয়ভীতি যেন না দেখানো হয়। মানে ভোট দিতে যে আমি যাব, যেন সুস্থ অবস্থায় ফেরত আসতে পারি।’
অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছ নির্বাচনের কথা বলতে গিয়ে ড. শামীমা তাসনিম বলেন, বাংলাদেশে অতীতে যে দলই ক্ষমতায় এসেছে, তারা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজেদের ব্যক্তিগত সম্পত্তির মতো ব্যবহার করেছে। বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে আমলা নিয়োগ এবং পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে দলীয় আনুগত্যকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। অতীতে ছাত্রলীগের কর্মীদের নিয়োগের বিষয়টি উল্লেখ করেন তিনি।
কথায় ও কাজে সৎ এবং জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন, যিনি দুর্নীতি করবেন না এবং দুর্নীতির প্রশ্রয় দেবেন না, যিনি বাংলাদেশকে একমাত্র স্থায়ী ঠিকানা মনে করবেন এবং বিদেশে কোনো ‘সেকেন্ড হোম’ রাখবেন না, আধিপত্যবিরোধী হবেন—এমন নেতৃত্ব আনার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার নিয়ামা ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সংগঠনটির সেক্রেটারি ড. ফেরদৌস আরা খানম, সহকারী সম্পাদক মাহসিনা মমতাজ মারিয়া, লেকচারার ড. জেবুন্নেসা, ড. মেহের আফরোজ লুৎফা, জান্নাতুন নাইম প্রমি প্রমুখ।

আর মাত্র আড়াই হাত ভাঙলেই ভেসে যাবে অর্ধশত হেক্টর জমির ফসল। এরই মধ্যে ভেঙে গেছে মাদারীপুরের টেকেরহাট-কালীবাড়ী ফিডার সড়কের প্রায় ৯৫ শতাংশ পাকা রাস্তা। বাকিটুকু ভাঙলেই কৃষকের গোলায় আর উঠবে না উঠতি বোনা আর রোপা আমন। তাই আতঙ্কে দিন কাটছে মাদারীপুরের টেকেরহাটের বিদ্যানন্দী গ্রামের পাঁচ শতাধিক কৃষকের।
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে।
৩ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
৪ ঘণ্টা আগে
সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
৪ ঘণ্টা আগেরাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মার। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) শিক্ষক নেটওয়ার্কের ‘ক্যাম্পাসে ছাত্র প্রতিনিধিদের এখতিয়ারবহির্ভূত তৎপরতা বন্ধ হোক’ শিরোনামে দেওয়া বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় এই আহ্বান জানান তিনি।
শিক্ষক নেটওয়ার্কের ফেসবুক পেজে দেওয়া ওই বিবৃতির মন্তব্যে আম্মার লেখেন, ‘শিক্ষক নেটওয়ার্ক বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি’।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘আমি কমেন্ট করেছি, ডিলিট করি নাই। তাঁরা (শিক্ষক নেটওয়ার্ক) আমার কাজকে যদি অপতৎপরতা হিসেবে দেখের, তাহলে আমিও তাঁদের বিবৃতি সন্দেহের চোখে দেখি। তাঁরা আমাকে একটি আহ্বান জানিয়েছেন, আমিও তাঁদের আহ্বান জানিয়েছি। তাঁরা এটাকে স্বাধীনতা হিসেবে দেখলে, আমিও আমার স্বাধীনতা প্রকাশ করছি।’
শিক্ষক নেটওয়ার্কের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রাকসুর জিএস সালাহউদ্দিন আম্মারের নেতৃত্বে নানা ধরনের মবপ্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। ডিনদের পদত্যাগ করানো, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের হয়রানি তৎপরতা চলমান আছে। রাকসুর জিএস প্রশাসনের কাছে জবাবদিহি না চেয়ে বরং ছয়জন ডিনের পদত্যাগ দাবি করেন। কেবল তা-ই নয়, নিজেই যেন “প্রশাসন” হয়ে অত্যন্ত ঔদ্ধত্যপূর্ণ ভাষায় ডিনদের বিরুদ্ধে হুমকি দেন, এমনকি এখতিয়ারবহির্ভূতভাবে নিজে পদত্যাগপত্র লিখে এনে বিভিন্ন বিভাগে গিয়ে ডিনদের খুঁজতে থাকেন, সম্ভবত লাঞ্ছিত করার উদ্দেশ্যে। মোট ১২ জন ডিনের প্রত্যেকেই গত আওয়ামী শাসনামলে নির্বাচিত হলেও, বাকি ছয়জন হয়তো রাকসু জিএসের বিবেচনায় “রাজনৈতিক বিবেচনায় উত্তীর্ণ”, ফলে তাঁদের পদত্যাগের দাবি ওঠেনি, তাঁদের নিয়ে অবমাননাকর কিছু বলাও হয়নি। এই উদ্ভূত অসম্মানজনক পরিস্থিতিতে “প্রগতিশীল শিক্ষক” হিসেবে পরিচিত ছয়জন ডিন দায়িত্ব পালতে অপারগতা প্রকাশ করেন।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা যা করছেন, তা রাকসুর এখতিয়ারবহির্ভূত এবং তাঁদের আচরণও আগ্রাসী ও সন্ত্রাসীদের মতো। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমরা এর জবাবদিহি প্রত্যাশা করি। কেননা, রাকসুর নেতৃবৃন্দের এ রকম আচরণ কেবল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করেনি; এটা সরাসরি বিদ্যায়তনিক স্বাধীনতার ওপরে হামলা। এর “স্পাইরাল ইফেক্ট” পড়েছে সারা দেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।’
সার্বিক বিষয়ে রাবির বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও শিক্ষক নেটওয়ার্কের সদস্য সৌভিক রেজা বলেন, ‘শিক্ষক নেটওয়ার্ক ২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করে। যদি ভিন্ন মতাদর্শের হওয়ার কারণে চাকরি চলে যেত বা পদচ্যুত করানো হতো তাহলে তো শিক্ষক নেটওয়ার্কের অনেকেরই আওয়ামী আমলে চাকরি চলে যেত। ৭৩-এর অধ্যাদেশ আমাদেরকে একটা রক্ষাকবজ দিয়েছে, যে কারণে আমরা শিক্ষকেরা সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলার পরও আমাদের চাকরি চলে যায়নি।’
সৌভিক রেজা আরও বলেন, ‘ভিন্ন মতাদর্শের শিক্ষক কর্মকর্তাদের গাছে বেঁধে রাখা, চাকরিচ্যুত কিংবা জোরপূর্বক পদত্যাগ করানো একজন শিক্ষার্থীর এখতিয়ারের বাইরে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও এ ক্ষমতা রাখেন না। তবে শিক্ষকেরা কিন্তু আইনের ঊর্ধ্বে নন। আইনানুযায়ী তাঁদের শাস্তি দেওয়া যেতে পারে, তবে মব সৃষ্টি করে নয়। কেউ যদি সরাসরি হামলা বা দালালি করে থাকেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারে। কিন্তু একজন নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধি এভাবে কাউকে পদত্যাগে বাধ্য করতে পারেন না।’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মার। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) শিক্ষক নেটওয়ার্কের ‘ক্যাম্পাসে ছাত্র প্রতিনিধিদের এখতিয়ারবহির্ভূত তৎপরতা বন্ধ হোক’ শিরোনামে দেওয়া বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় এই আহ্বান জানান তিনি।
শিক্ষক নেটওয়ার্কের ফেসবুক পেজে দেওয়া ওই বিবৃতির মন্তব্যে আম্মার লেখেন, ‘শিক্ষক নেটওয়ার্ক বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি’।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘আমি কমেন্ট করেছি, ডিলিট করি নাই। তাঁরা (শিক্ষক নেটওয়ার্ক) আমার কাজকে যদি অপতৎপরতা হিসেবে দেখের, তাহলে আমিও তাঁদের বিবৃতি সন্দেহের চোখে দেখি। তাঁরা আমাকে একটি আহ্বান জানিয়েছেন, আমিও তাঁদের আহ্বান জানিয়েছি। তাঁরা এটাকে স্বাধীনতা হিসেবে দেখলে, আমিও আমার স্বাধীনতা প্রকাশ করছি।’
শিক্ষক নেটওয়ার্কের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রাকসুর জিএস সালাহউদ্দিন আম্মারের নেতৃত্বে নানা ধরনের মবপ্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। ডিনদের পদত্যাগ করানো, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের হয়রানি তৎপরতা চলমান আছে। রাকসুর জিএস প্রশাসনের কাছে জবাবদিহি না চেয়ে বরং ছয়জন ডিনের পদত্যাগ দাবি করেন। কেবল তা-ই নয়, নিজেই যেন “প্রশাসন” হয়ে অত্যন্ত ঔদ্ধত্যপূর্ণ ভাষায় ডিনদের বিরুদ্ধে হুমকি দেন, এমনকি এখতিয়ারবহির্ভূতভাবে নিজে পদত্যাগপত্র লিখে এনে বিভিন্ন বিভাগে গিয়ে ডিনদের খুঁজতে থাকেন, সম্ভবত লাঞ্ছিত করার উদ্দেশ্যে। মোট ১২ জন ডিনের প্রত্যেকেই গত আওয়ামী শাসনামলে নির্বাচিত হলেও, বাকি ছয়জন হয়তো রাকসু জিএসের বিবেচনায় “রাজনৈতিক বিবেচনায় উত্তীর্ণ”, ফলে তাঁদের পদত্যাগের দাবি ওঠেনি, তাঁদের নিয়ে অবমাননাকর কিছু বলাও হয়নি। এই উদ্ভূত অসম্মানজনক পরিস্থিতিতে “প্রগতিশীল শিক্ষক” হিসেবে পরিচিত ছয়জন ডিন দায়িত্ব পালতে অপারগতা প্রকাশ করেন।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা যা করছেন, তা রাকসুর এখতিয়ারবহির্ভূত এবং তাঁদের আচরণও আগ্রাসী ও সন্ত্রাসীদের মতো। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমরা এর জবাবদিহি প্রত্যাশা করি। কেননা, রাকসুর নেতৃবৃন্দের এ রকম আচরণ কেবল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করেনি; এটা সরাসরি বিদ্যায়তনিক স্বাধীনতার ওপরে হামলা। এর “স্পাইরাল ইফেক্ট” পড়েছে সারা দেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।’
সার্বিক বিষয়ে রাবির বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও শিক্ষক নেটওয়ার্কের সদস্য সৌভিক রেজা বলেন, ‘শিক্ষক নেটওয়ার্ক ২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করে। যদি ভিন্ন মতাদর্শের হওয়ার কারণে চাকরি চলে যেত বা পদচ্যুত করানো হতো তাহলে তো শিক্ষক নেটওয়ার্কের অনেকেরই আওয়ামী আমলে চাকরি চলে যেত। ৭৩-এর অধ্যাদেশ আমাদেরকে একটা রক্ষাকবজ দিয়েছে, যে কারণে আমরা শিক্ষকেরা সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলার পরও আমাদের চাকরি চলে যায়নি।’
সৌভিক রেজা আরও বলেন, ‘ভিন্ন মতাদর্শের শিক্ষক কর্মকর্তাদের গাছে বেঁধে রাখা, চাকরিচ্যুত কিংবা জোরপূর্বক পদত্যাগ করানো একজন শিক্ষার্থীর এখতিয়ারের বাইরে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও এ ক্ষমতা রাখেন না। তবে শিক্ষকেরা কিন্তু আইনের ঊর্ধ্বে নন। আইনানুযায়ী তাঁদের শাস্তি দেওয়া যেতে পারে, তবে মব সৃষ্টি করে নয়। কেউ যদি সরাসরি হামলা বা দালালি করে থাকেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারে। কিন্তু একজন নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধি এভাবে কাউকে পদত্যাগে বাধ্য করতে পারেন না।’

আর মাত্র আড়াই হাত ভাঙলেই ভেসে যাবে অর্ধশত হেক্টর জমির ফসল। এরই মধ্যে ভেঙে গেছে মাদারীপুরের টেকেরহাট-কালীবাড়ী ফিডার সড়কের প্রায় ৯৫ শতাংশ পাকা রাস্তা। বাকিটুকু ভাঙলেই কৃষকের গোলায় আর উঠবে না উঠতি বোনা আর রোপা আমন। তাই আতঙ্কে দিন কাটছে মাদারীপুরের টেকেরহাটের বিদ্যানন্দী গ্রামের পাঁচ শতাধিক কৃষকের।
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
৩ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
৪ ঘণ্টা আগে
সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
৪ ঘণ্টা আগেসাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
সাতক্ষীরা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সাতক্ষীরা-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির হাবিবুল ইসলাম হাবিব, জামায়াতের মো. ইজ্জতুল্লাহ, জাতীয় পার্টির জিয়াউর রহমান ও ইসলামী আন্দোলনের শেখ মো. রেজাউল করিম ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. ইয়ারুল ইসলাম।
আর কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির কৃষিবিষয়ক সম্পাদক এস এম মুজিবর রহমান ওরফে সরদার মুজিব স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। পরে তাঁর পক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগে মাগফুর রহমান নামের এক সমর্থককে আটক করেছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন জানান, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতার পক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগে মাগফুর রহমান নামের এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা-২ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জামায়াতের মুহাম্মদ আব্দুল খালেক, বিএনপির মো. আব্দুর রউফ, জাতীয় পার্টির মো. আশরাফুজ্জামান ও মাতলুব হোসেন।
এ ছাড়া এলডিপির শফিকুল ইসলাম শাহেদ, ইসলামী আন্দোলনের মুফতি রবিউল ইসলাম, বাংলাদেশ জাসদের মো. ইদ্রিস আলী ও এবি পার্টির জিএম সালাউদ্দীন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
সাতক্ষীরা-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জামায়াতের মুহা. রবিউল ইসলাম, বিএনপির কাজী আলাউদ্দীন ও জাতীয় পার্টির মো. আলিপ হোসেন।
এ ছাড়া মাইনরিটি জনতা পার্টির রুবেল হোসেন, ইসলামী আন্দোলনের ওয়েজ কুরনী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এম এ আসফউদ্দৌলা খান, আসলাম আল মেহেদী ও ডা. শহিদুল আলম (বিএনপির বিদ্রোহী) মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
সাতক্ষীরা-৪ আসনে জামায়াতের গাজী নজরুল ইসলাম, বিএনপির মো. মনিরুজ্জামান ও জাতীয় পার্টির হুসেইন মো. মায়াজ, গণঅধিকার পরিষদের এইচ এম গোলাম রেজা, ইসলামী আন্দোলনের মোস্তফা আল মামুন ও আব্দুল ওয়াহেদ (বিএনপির বিদ্রোহী) প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
সাতক্ষীরা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সাতক্ষীরা-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির হাবিবুল ইসলাম হাবিব, জামায়াতের মো. ইজ্জতুল্লাহ, জাতীয় পার্টির জিয়াউর রহমান ও ইসলামী আন্দোলনের শেখ মো. রেজাউল করিম ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. ইয়ারুল ইসলাম।
আর কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির কৃষিবিষয়ক সম্পাদক এস এম মুজিবর রহমান ওরফে সরদার মুজিব স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। পরে তাঁর পক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগে মাগফুর রহমান নামের এক সমর্থককে আটক করেছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন জানান, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতার পক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগে মাগফুর রহমান নামের এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা-২ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জামায়াতের মুহাম্মদ আব্দুল খালেক, বিএনপির মো. আব্দুর রউফ, জাতীয় পার্টির মো. আশরাফুজ্জামান ও মাতলুব হোসেন।
এ ছাড়া এলডিপির শফিকুল ইসলাম শাহেদ, ইসলামী আন্দোলনের মুফতি রবিউল ইসলাম, বাংলাদেশ জাসদের মো. ইদ্রিস আলী ও এবি পার্টির জিএম সালাউদ্দীন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
সাতক্ষীরা-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জামায়াতের মুহা. রবিউল ইসলাম, বিএনপির কাজী আলাউদ্দীন ও জাতীয় পার্টির মো. আলিপ হোসেন।
এ ছাড়া মাইনরিটি জনতা পার্টির রুবেল হোসেন, ইসলামী আন্দোলনের ওয়েজ কুরনী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এম এ আসফউদ্দৌলা খান, আসলাম আল মেহেদী ও ডা. শহিদুল আলম (বিএনপির বিদ্রোহী) মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
সাতক্ষীরা-৪ আসনে জামায়াতের গাজী নজরুল ইসলাম, বিএনপির মো. মনিরুজ্জামান ও জাতীয় পার্টির হুসেইন মো. মায়াজ, গণঅধিকার পরিষদের এইচ এম গোলাম রেজা, ইসলামী আন্দোলনের মোস্তফা আল মামুন ও আব্দুল ওয়াহেদ (বিএনপির বিদ্রোহী) প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

আর মাত্র আড়াই হাত ভাঙলেই ভেসে যাবে অর্ধশত হেক্টর জমির ফসল। এরই মধ্যে ভেঙে গেছে মাদারীপুরের টেকেরহাট-কালীবাড়ী ফিডার সড়কের প্রায় ৯৫ শতাংশ পাকা রাস্তা। বাকিটুকু ভাঙলেই কৃষকের গোলায় আর উঠবে না উঠতি বোনা আর রোপা আমন। তাই আতঙ্কে দিন কাটছে মাদারীপুরের টেকেরহাটের বিদ্যানন্দী গ্রামের পাঁচ শতাধিক কৃষকের।
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
৩ ঘণ্টা আগে
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে।
৩ ঘণ্টা আগে
সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
৪ ঘণ্টা আগেভোলা প্রতিনিধি

সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শহরের নতুন বাজার এলাকায় জেলা বিজেপি অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে ছাত্রদলের নেতা সিফাত হত্যার প্রতিবাদ মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আল আমিন অভিযোগ করেন, মিছিলটি নতুন বাজার এলাকায় বিজেপি অফিসের সামনে পৌঁছালে সেখান থেকে মিছিল লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হলে বিক্ষুব্ধ জনতা বিজেপি অফিসে হামলা চালায়।
বিজেপির অঙ্গ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক পার্টির জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সামছুল আলম অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাঁদের দলীয় অফিস বন্ধ ছিল। বিজেপির জনসমর্থনে ঈর্ষান্বিত হয়ে বিএনপি পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালিয়েছে।
ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে বিজেপি অফিসে হামলা কিংবা কোনো ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে কি না তা আমাদের জানা নেই।’ তিনি আরও জানান, কে বা কারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, সেটা এখনো পুলিশ নিশ্চিত হতে পারেনি।
ভোলার জেলা প্রশাসক ডা. শামীম রহমান রাতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচন সামনে রেখে যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন তৎপর রয়েছে।’

সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শহরের নতুন বাজার এলাকায় জেলা বিজেপি অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে ছাত্রদলের নেতা সিফাত হত্যার প্রতিবাদ মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আল আমিন অভিযোগ করেন, মিছিলটি নতুন বাজার এলাকায় বিজেপি অফিসের সামনে পৌঁছালে সেখান থেকে মিছিল লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হলে বিক্ষুব্ধ জনতা বিজেপি অফিসে হামলা চালায়।
বিজেপির অঙ্গ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক পার্টির জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সামছুল আলম অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাঁদের দলীয় অফিস বন্ধ ছিল। বিজেপির জনসমর্থনে ঈর্ষান্বিত হয়ে বিএনপি পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালিয়েছে।
ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে বিজেপি অফিসে হামলা কিংবা কোনো ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে কি না তা আমাদের জানা নেই।’ তিনি আরও জানান, কে বা কারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, সেটা এখনো পুলিশ নিশ্চিত হতে পারেনি।
ভোলার জেলা প্রশাসক ডা. শামীম রহমান রাতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচন সামনে রেখে যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন তৎপর রয়েছে।’

আর মাত্র আড়াই হাত ভাঙলেই ভেসে যাবে অর্ধশত হেক্টর জমির ফসল। এরই মধ্যে ভেঙে গেছে মাদারীপুরের টেকেরহাট-কালীবাড়ী ফিডার সড়কের প্রায় ৯৫ শতাংশ পাকা রাস্তা। বাকিটুকু ভাঙলেই কৃষকের গোলায় আর উঠবে না উঠতি বোনা আর রোপা আমন। তাই আতঙ্কে দিন কাটছে মাদারীপুরের টেকেরহাটের বিদ্যানন্দী গ্রামের পাঁচ শতাধিক কৃষকের।
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
৩ ঘণ্টা আগে
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে।
৩ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
৪ ঘণ্টা আগে