নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার আট বছরের শিশুর জীবনরক্ষার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। চার দিন পেরিয়ে গেলেও আজ রোববার পর্যন্ত তার চেতনা ফেরেনি। রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) শিশু বিভাগের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (পিআইসিইউ) কৃত্রিম উপায়ে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে তাকে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, শিশুটির চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড তাকে সুস্থ করতে সার্বক্ষণিক চেষ্টা করে যাচ্ছে। শিশুটির ক্ষতস্থানে সংক্রমণ বাড়তে পারে, এমন আশঙ্কায় সিএমএইচের চিকিৎসকেরা গতকাল দর্শনার্থীদের নিরুৎসাহিত করছিলেন শিশুটির কাছে যেতে। এ কারণে শিশুটির মাসহ উদ্বিগ্ন কয়েকজন স্বজন বাইরে অপেক্ষায় ছিলেন।
গতকাল সকালে শিশুটিকে দেখতে ও তার চিকিৎসার খোঁজখবর নিতে সিএমএইচে যান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। শিশুটির সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশে সংকটাপন্ন ও অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে গত শনিবার সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়।
মাগুরা পৌর এলাকায় বোনের (শ্বশুর) বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে গত বুধবার দিবাগত রাতে শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয় বলে পরিবারের অভিযোগ। বৃহস্পতিবার অচেতন অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য এখন সে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় গতকাল শিশুটির মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। মামলায় শিশুর বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়। চার আসামিকেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আসামিদের আদালতে নেওয়া যায়নি মাগুরা প্রতিনিধি জানান, শিশুধর্ষণের ঘটনায় মানুষের বিক্ষোভের কারণে গতকাল বন্ধ হয়ে যায় আদালতের কার্যক্রম। ফলে গ্রেপ্তার চার আসামিকে আদালতে নেওয়া সম্ভব হয়নি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করতে চাইলেও আদালত বন্ধ থাকায় তা আর সম্ভব হয়নি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. আলাউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চার আসামিকেই আদালতে নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আন্দোলন চলায় আদালতে নিয়মিত কার্যক্রম চলেনি। সাত দিনের রিমান্ড আবেদন লিখে রেখেছিলাম। আদালত বসেনি বলে তা আর তোলা সম্ভব হয়নি।’
গতকাল সকালে মাগুরা সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা ছাড়াও বেশ কিছু শিক্ষার্থী ও নারীরা অংশ নেন। বেলা ১১টা থেকে মাগুরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভকারীরা অবস্থান নেন। এ সময় তাঁরা অপরাধীদের বিচারের দাবি জানান।
বিক্ষোভকারীদের অন্যতম সংগঠক সাদিয়া ইয়াসমিন জানান, ধর্ষকদের বিচার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে করতে হবে। বিলম্ব করলে তাদের কোনো শাস্তি নাও হতে পারে।’
বেলা ১টার পর থেকে আড়াইটা পর্যন্ত সেনাবাহিনীর একটি দল আদালত প্রাঙ্গণে ছাত্র-জনতার সঙ্গে কথা বলার পর ৩টায় বিক্ষোভকারীরা আদালত প্রাঙ্গণ ছেড়ে শহরের ভায়নার মোড়ে অবস্থান নেন। তাঁরা বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ভায়না মোড় অবরোধ করে রাখায় মাগুরা ঢাকা-খুলনা-ঝিনাইদহ মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার আট বছরের শিশুর জীবনরক্ষার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। চার দিন পেরিয়ে গেলেও আজ রোববার পর্যন্ত তার চেতনা ফেরেনি। রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) শিশু বিভাগের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (পিআইসিইউ) কৃত্রিম উপায়ে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে তাকে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, শিশুটির চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড তাকে সুস্থ করতে সার্বক্ষণিক চেষ্টা করে যাচ্ছে। শিশুটির ক্ষতস্থানে সংক্রমণ বাড়তে পারে, এমন আশঙ্কায় সিএমএইচের চিকিৎসকেরা গতকাল দর্শনার্থীদের নিরুৎসাহিত করছিলেন শিশুটির কাছে যেতে। এ কারণে শিশুটির মাসহ উদ্বিগ্ন কয়েকজন স্বজন বাইরে অপেক্ষায় ছিলেন।
গতকাল সকালে শিশুটিকে দেখতে ও তার চিকিৎসার খোঁজখবর নিতে সিএমএইচে যান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। শিশুটির সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশে সংকটাপন্ন ও অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে গত শনিবার সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়।
মাগুরা পৌর এলাকায় বোনের (শ্বশুর) বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে গত বুধবার দিবাগত রাতে শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয় বলে পরিবারের অভিযোগ। বৃহস্পতিবার অচেতন অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য এখন সে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় গতকাল শিশুটির মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। মামলায় শিশুর বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়। চার আসামিকেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আসামিদের আদালতে নেওয়া যায়নি মাগুরা প্রতিনিধি জানান, শিশুধর্ষণের ঘটনায় মানুষের বিক্ষোভের কারণে গতকাল বন্ধ হয়ে যায় আদালতের কার্যক্রম। ফলে গ্রেপ্তার চার আসামিকে আদালতে নেওয়া সম্ভব হয়নি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করতে চাইলেও আদালত বন্ধ থাকায় তা আর সম্ভব হয়নি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. আলাউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চার আসামিকেই আদালতে নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আন্দোলন চলায় আদালতে নিয়মিত কার্যক্রম চলেনি। সাত দিনের রিমান্ড আবেদন লিখে রেখেছিলাম। আদালত বসেনি বলে তা আর তোলা সম্ভব হয়নি।’
গতকাল সকালে মাগুরা সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা ছাড়াও বেশ কিছু শিক্ষার্থী ও নারীরা অংশ নেন। বেলা ১১টা থেকে মাগুরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভকারীরা অবস্থান নেন। এ সময় তাঁরা অপরাধীদের বিচারের দাবি জানান।
বিক্ষোভকারীদের অন্যতম সংগঠক সাদিয়া ইয়াসমিন জানান, ধর্ষকদের বিচার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে করতে হবে। বিলম্ব করলে তাদের কোনো শাস্তি নাও হতে পারে।’
বেলা ১টার পর থেকে আড়াইটা পর্যন্ত সেনাবাহিনীর একটি দল আদালত প্রাঙ্গণে ছাত্র-জনতার সঙ্গে কথা বলার পর ৩টায় বিক্ষোভকারীরা আদালত প্রাঙ্গণ ছেড়ে শহরের ভায়নার মোড়ে অবস্থান নেন। তাঁরা বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ভায়না মোড় অবরোধ করে রাখায় মাগুরা ঢাকা-খুলনা-ঝিনাইদহ মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

রাষ্ট্রীয় শোক এবং পুলিশের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাজধানীতে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস উড়িয়ে খ্রিষ্টীয় নববর্ষ উদ্যাপন করেছে নগরবাসী। খ্রিষ্টীয় নববর্ষ ২০২৬-এর প্রথম প্রহরে নগরজুড়ে বাসাবাড়ির ছাদে ছাদে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস ওড়ানোর দৃশ্য দেখা যায়। এ সময় চারপাশে বিকট শব্দ শোনা যায়।
৯ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের মোট সম্পদের পরিমাণ ৮৯ লাখ ৮২ হাজার ৮৪১ টাকা। তাঁর স্ত্রী মারিয়া আক্তারের সম্পদের পরিমাণ ২ লাখ ৬৬ হাজার ৮১৮ টাকা। তাঁদের কোনো স্বর্ণালংকার নেই।
১ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে এসে মারা যাওয়া মো. নিরব হোসেন (৫৬) দৈনিক জনকণ্ঠের সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা। তাঁর বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বড় ডালিমা গ্রামে। রাজধানীর বড় মগবাজারে তিনি পরিবারসহ বসবাস করতেন।
২ ঘণ্টা আগে
ভিডিওতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির (ঠিকাদার প্রতিনিধি) সঙ্গে কথা বলার আগে কাজের বিলের ফাইল স্বাক্ষর করার সময় ৪৫ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়টিও উঠে আসে। এ ছাড়া নতুন করে আরও পাঁচ হাজার টাকা না দেওয়ায় গড়িমসি করতে থাকেন ওই প্রকৌশলী। একপর্যায়ে তাঁকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়ে পকেটে রাখতে দেখা যায়।
২ ঘণ্টা আগে