সম্পাদকীয়

চাকরির প্রতি একটা অনীহা ছিল সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের। বিদেশে যাওয়ার আগে সরকারি চাকরিতে ঢুকেছিলেন সুনীল। কিন্তু বিদেশে গিয়েছিলেন ছুটি না নিয়ে। ফলে সেখান থেকেও প্রভিডেন্ট ফান্ডসহ অন্যান্য সুবিধার জন্য আর ওমুখো হননি।
এ রকম একটা সময়ে বেকার জেনে নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী সুনীলকে নিয়ে গেলেন সন্তোষকুমার ঘোষের বাড়িতে। সন্তোষকুমার প্রস্তাব দিলেন দুর্গাপুরে আনন্দবাজারের নতুন অফিস খোলা হচ্ছে। সুনীলকে দুর্গাপুরে যেতে বললেন। সুনীল হবেন ইনচার্জ, কোয়ার্টার পাবেন, জিপগাড়ি পাবেন। তাঁর অধীনে কয়েকজন স্টাফ থাকবে।
চাকরি নেওয়ার জন্য মোটেই প্রস্তুত ছিলেন না সুনীল। ‘না’ করে দিলেন। তখন নীরেন্দ্রনাথ আনন্দবাজারের রবিবাসরীয় বিভাগের সম্পাদক। প্রতি সপ্তাহে তিনি সুনীলকে দিয়ে লেখাতে থাকলেন। সাগরময় ঘোষ একদিন সুনীলকে দেশ পত্রিকায় লিখতে বললেন।
আয়ওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে অনেক কবির সঙ্গে মেলামেশা হয়েছিল সুনীলের। দেশ পত্রিকায় সেই কবিদের কবিতা লেখার কথা হলো। বিংশ শতাব্দীতে ইংরেজি বাদ দিয়ে পাঁচটি ইউরোপীয় ভাষায় কবিতা নিয়ে যে আন্দোলন হয়েছে, তার সঙ্গে যুক্ত কবিদের পরিচিতি আর কবিতার ভাবানুবাদ নিয়ে কাজ শুরু হলো।
এ সময় একদিন মধ্যরাত পেরিয়ে শ্যামবাজার মোড়ে আড্ডা দেওয়ার সময় পুলিশ সুনীলকে ধরে নিয়ে গেল থানায়। ট্যাক্সিচালকের সঙ্গে তর্কাতর্কি ছিল কারণ। কিন্তু তাঁকে গুন্ডামি আর আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য দায়ী করা হলো। সারা রাত একটা কাঠের বেঞ্চে তাঁকে বসিয়ে রাখা হলো।
পরদিন থানার বড় বাবু সুনীলকে শাসাচ্ছিলেন জেল খাটাবেন বলে। তাঁর টেবিলে একটি দেশ পত্রিকা। সুনীল বিনীতভাবে বললেন, ‘আপনি দেশ পত্রিকা পড়েন? ওই পত্রিকায় আমার ধারাবাহিক অন্য দেশের কবিতা বের হচ্ছে। গুন্ডামি করা আমার কাজ নয়।’
দারোগা সাহেব অবাক হয়ে সুনীলের দিকে চেয়ে বললেন, ‘সে কি! ওগুলো তো আমি নিয়মিত পড়ি। আপনি তো লার্নেড লোক মশাই! আপনাকে ধরে এনেছে! ছি ছি ছি!’
হ্যাঁ, ছাড়া পেলেন সুনীল, স্রেফ কবিতার কারণে।
সূত্র: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, অর্ধেক জীবন, পৃষ্ঠা ২৭৭-২৭৯

চাকরির প্রতি একটা অনীহা ছিল সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের। বিদেশে যাওয়ার আগে সরকারি চাকরিতে ঢুকেছিলেন সুনীল। কিন্তু বিদেশে গিয়েছিলেন ছুটি না নিয়ে। ফলে সেখান থেকেও প্রভিডেন্ট ফান্ডসহ অন্যান্য সুবিধার জন্য আর ওমুখো হননি।
এ রকম একটা সময়ে বেকার জেনে নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী সুনীলকে নিয়ে গেলেন সন্তোষকুমার ঘোষের বাড়িতে। সন্তোষকুমার প্রস্তাব দিলেন দুর্গাপুরে আনন্দবাজারের নতুন অফিস খোলা হচ্ছে। সুনীলকে দুর্গাপুরে যেতে বললেন। সুনীল হবেন ইনচার্জ, কোয়ার্টার পাবেন, জিপগাড়ি পাবেন। তাঁর অধীনে কয়েকজন স্টাফ থাকবে।
চাকরি নেওয়ার জন্য মোটেই প্রস্তুত ছিলেন না সুনীল। ‘না’ করে দিলেন। তখন নীরেন্দ্রনাথ আনন্দবাজারের রবিবাসরীয় বিভাগের সম্পাদক। প্রতি সপ্তাহে তিনি সুনীলকে দিয়ে লেখাতে থাকলেন। সাগরময় ঘোষ একদিন সুনীলকে দেশ পত্রিকায় লিখতে বললেন।
আয়ওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে অনেক কবির সঙ্গে মেলামেশা হয়েছিল সুনীলের। দেশ পত্রিকায় সেই কবিদের কবিতা লেখার কথা হলো। বিংশ শতাব্দীতে ইংরেজি বাদ দিয়ে পাঁচটি ইউরোপীয় ভাষায় কবিতা নিয়ে যে আন্দোলন হয়েছে, তার সঙ্গে যুক্ত কবিদের পরিচিতি আর কবিতার ভাবানুবাদ নিয়ে কাজ শুরু হলো।
এ সময় একদিন মধ্যরাত পেরিয়ে শ্যামবাজার মোড়ে আড্ডা দেওয়ার সময় পুলিশ সুনীলকে ধরে নিয়ে গেল থানায়। ট্যাক্সিচালকের সঙ্গে তর্কাতর্কি ছিল কারণ। কিন্তু তাঁকে গুন্ডামি আর আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য দায়ী করা হলো। সারা রাত একটা কাঠের বেঞ্চে তাঁকে বসিয়ে রাখা হলো।
পরদিন থানার বড় বাবু সুনীলকে শাসাচ্ছিলেন জেল খাটাবেন বলে। তাঁর টেবিলে একটি দেশ পত্রিকা। সুনীল বিনীতভাবে বললেন, ‘আপনি দেশ পত্রিকা পড়েন? ওই পত্রিকায় আমার ধারাবাহিক অন্য দেশের কবিতা বের হচ্ছে। গুন্ডামি করা আমার কাজ নয়।’
দারোগা সাহেব অবাক হয়ে সুনীলের দিকে চেয়ে বললেন, ‘সে কি! ওগুলো তো আমি নিয়মিত পড়ি। আপনি তো লার্নেড লোক মশাই! আপনাকে ধরে এনেছে! ছি ছি ছি!’
হ্যাঁ, ছাড়া পেলেন সুনীল, স্রেফ কবিতার কারণে।
সূত্র: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, অর্ধেক জীবন, পৃষ্ঠা ২৭৭-২৭৯
সম্পাদকীয়

চাকরির প্রতি একটা অনীহা ছিল সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের। বিদেশে যাওয়ার আগে সরকারি চাকরিতে ঢুকেছিলেন সুনীল। কিন্তু বিদেশে গিয়েছিলেন ছুটি না নিয়ে। ফলে সেখান থেকেও প্রভিডেন্ট ফান্ডসহ অন্যান্য সুবিধার জন্য আর ওমুখো হননি।
এ রকম একটা সময়ে বেকার জেনে নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী সুনীলকে নিয়ে গেলেন সন্তোষকুমার ঘোষের বাড়িতে। সন্তোষকুমার প্রস্তাব দিলেন দুর্গাপুরে আনন্দবাজারের নতুন অফিস খোলা হচ্ছে। সুনীলকে দুর্গাপুরে যেতে বললেন। সুনীল হবেন ইনচার্জ, কোয়ার্টার পাবেন, জিপগাড়ি পাবেন। তাঁর অধীনে কয়েকজন স্টাফ থাকবে।
চাকরি নেওয়ার জন্য মোটেই প্রস্তুত ছিলেন না সুনীল। ‘না’ করে দিলেন। তখন নীরেন্দ্রনাথ আনন্দবাজারের রবিবাসরীয় বিভাগের সম্পাদক। প্রতি সপ্তাহে তিনি সুনীলকে দিয়ে লেখাতে থাকলেন। সাগরময় ঘোষ একদিন সুনীলকে দেশ পত্রিকায় লিখতে বললেন।
আয়ওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে অনেক কবির সঙ্গে মেলামেশা হয়েছিল সুনীলের। দেশ পত্রিকায় সেই কবিদের কবিতা লেখার কথা হলো। বিংশ শতাব্দীতে ইংরেজি বাদ দিয়ে পাঁচটি ইউরোপীয় ভাষায় কবিতা নিয়ে যে আন্দোলন হয়েছে, তার সঙ্গে যুক্ত কবিদের পরিচিতি আর কবিতার ভাবানুবাদ নিয়ে কাজ শুরু হলো।
এ সময় একদিন মধ্যরাত পেরিয়ে শ্যামবাজার মোড়ে আড্ডা দেওয়ার সময় পুলিশ সুনীলকে ধরে নিয়ে গেল থানায়। ট্যাক্সিচালকের সঙ্গে তর্কাতর্কি ছিল কারণ। কিন্তু তাঁকে গুন্ডামি আর আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য দায়ী করা হলো। সারা রাত একটা কাঠের বেঞ্চে তাঁকে বসিয়ে রাখা হলো।
পরদিন থানার বড় বাবু সুনীলকে শাসাচ্ছিলেন জেল খাটাবেন বলে। তাঁর টেবিলে একটি দেশ পত্রিকা। সুনীল বিনীতভাবে বললেন, ‘আপনি দেশ পত্রিকা পড়েন? ওই পত্রিকায় আমার ধারাবাহিক অন্য দেশের কবিতা বের হচ্ছে। গুন্ডামি করা আমার কাজ নয়।’
দারোগা সাহেব অবাক হয়ে সুনীলের দিকে চেয়ে বললেন, ‘সে কি! ওগুলো তো আমি নিয়মিত পড়ি। আপনি তো লার্নেড লোক মশাই! আপনাকে ধরে এনেছে! ছি ছি ছি!’
হ্যাঁ, ছাড়া পেলেন সুনীল, স্রেফ কবিতার কারণে।
সূত্র: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, অর্ধেক জীবন, পৃষ্ঠা ২৭৭-২৭৯

চাকরির প্রতি একটা অনীহা ছিল সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের। বিদেশে যাওয়ার আগে সরকারি চাকরিতে ঢুকেছিলেন সুনীল। কিন্তু বিদেশে গিয়েছিলেন ছুটি না নিয়ে। ফলে সেখান থেকেও প্রভিডেন্ট ফান্ডসহ অন্যান্য সুবিধার জন্য আর ওমুখো হননি।
এ রকম একটা সময়ে বেকার জেনে নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী সুনীলকে নিয়ে গেলেন সন্তোষকুমার ঘোষের বাড়িতে। সন্তোষকুমার প্রস্তাব দিলেন দুর্গাপুরে আনন্দবাজারের নতুন অফিস খোলা হচ্ছে। সুনীলকে দুর্গাপুরে যেতে বললেন। সুনীল হবেন ইনচার্জ, কোয়ার্টার পাবেন, জিপগাড়ি পাবেন। তাঁর অধীনে কয়েকজন স্টাফ থাকবে।
চাকরি নেওয়ার জন্য মোটেই প্রস্তুত ছিলেন না সুনীল। ‘না’ করে দিলেন। তখন নীরেন্দ্রনাথ আনন্দবাজারের রবিবাসরীয় বিভাগের সম্পাদক। প্রতি সপ্তাহে তিনি সুনীলকে দিয়ে লেখাতে থাকলেন। সাগরময় ঘোষ একদিন সুনীলকে দেশ পত্রিকায় লিখতে বললেন।
আয়ওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে অনেক কবির সঙ্গে মেলামেশা হয়েছিল সুনীলের। দেশ পত্রিকায় সেই কবিদের কবিতা লেখার কথা হলো। বিংশ শতাব্দীতে ইংরেজি বাদ দিয়ে পাঁচটি ইউরোপীয় ভাষায় কবিতা নিয়ে যে আন্দোলন হয়েছে, তার সঙ্গে যুক্ত কবিদের পরিচিতি আর কবিতার ভাবানুবাদ নিয়ে কাজ শুরু হলো।
এ সময় একদিন মধ্যরাত পেরিয়ে শ্যামবাজার মোড়ে আড্ডা দেওয়ার সময় পুলিশ সুনীলকে ধরে নিয়ে গেল থানায়। ট্যাক্সিচালকের সঙ্গে তর্কাতর্কি ছিল কারণ। কিন্তু তাঁকে গুন্ডামি আর আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য দায়ী করা হলো। সারা রাত একটা কাঠের বেঞ্চে তাঁকে বসিয়ে রাখা হলো।
পরদিন থানার বড় বাবু সুনীলকে শাসাচ্ছিলেন জেল খাটাবেন বলে। তাঁর টেবিলে একটি দেশ পত্রিকা। সুনীল বিনীতভাবে বললেন, ‘আপনি দেশ পত্রিকা পড়েন? ওই পত্রিকায় আমার ধারাবাহিক অন্য দেশের কবিতা বের হচ্ছে। গুন্ডামি করা আমার কাজ নয়।’
দারোগা সাহেব অবাক হয়ে সুনীলের দিকে চেয়ে বললেন, ‘সে কি! ওগুলো তো আমি নিয়মিত পড়ি। আপনি তো লার্নেড লোক মশাই! আপনাকে ধরে এনেছে! ছি ছি ছি!’
হ্যাঁ, ছাড়া পেলেন সুনীল, স্রেফ কবিতার কারণে।
সূত্র: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, অর্ধেক জীবন, পৃষ্ঠা ২৭৭-২৭৯

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
২০ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৫ দিন আগে
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই।
৬ দিন আগে
১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায়...
৭ দিন আগেসম্পাদকীয়

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা। চা-শ্রমিক ও বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এখানে এসে পূজা দিত, মনোবাসনা পূরণে মানত করত। সবাই জায়গাটিকে চিনত ‘সাধু বাবার থলি’ নামে। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এখানে এনে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। হত্যার আগে বটগাছের ডালে ঝুলিয়ে তাঁদের ওপর অমানবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের স্বজন ও মুক্তিকামী সাধারণ মানুষও বাদ যাননি। গাছের ডালে উল্টো করে বেঁধে রাখা হতো তাঁদের। নির্যাতনের যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে তাঁরা শহীদ হন। সেই সব শহীদের ত্যাগকে অমর করে রাখতে এখানে নির্মিত হয় ‘বধ্যভূমি ৭১’ নামের স্মৃতিস্তম্ভটি। একাত্তরের স্মৃতিবিজড়িত বধ্যভূমিটিতে আরও রয়েছে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী ৭১’ নামে একটি ভাস্কর্য।
ছবি: সংগৃহীত

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা। চা-শ্রমিক ও বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এখানে এসে পূজা দিত, মনোবাসনা পূরণে মানত করত। সবাই জায়গাটিকে চিনত ‘সাধু বাবার থলি’ নামে। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এখানে এনে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। হত্যার আগে বটগাছের ডালে ঝুলিয়ে তাঁদের ওপর অমানবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের স্বজন ও মুক্তিকামী সাধারণ মানুষও বাদ যাননি। গাছের ডালে উল্টো করে বেঁধে রাখা হতো তাঁদের। নির্যাতনের যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে তাঁরা শহীদ হন। সেই সব শহীদের ত্যাগকে অমর করে রাখতে এখানে নির্মিত হয় ‘বধ্যভূমি ৭১’ নামের স্মৃতিস্তম্ভটি। একাত্তরের স্মৃতিবিজড়িত বধ্যভূমিটিতে আরও রয়েছে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী ৭১’ নামে একটি ভাস্কর্য।
ছবি: সংগৃহীত

চাকরির প্রতি একটা অনীহা ছিল সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের। বিদেশে যাওয়ার আগে সরকারি চাকরিতে ঢুকেছিলেন সুনীল। কিন্তু বিদেশে গিয়েছিলেন ছুটি না নিয়ে। ফলে সেখান থেকেও প্রভিডেন্ট ফান্ডসহ অন্যান্য সুবিধার জন্য আর
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৫ দিন আগে
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই।
৬ দিন আগে
১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায়...
৭ দিন আগেসম্পাদকীয়

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে। শহীদদের সংখ্যাটা প্রায় ১০ হাজার! রহনপুর সরকারি এ বি উচ্চবিদ্যালয়ে ছিল পাকিস্তানিদের ক্যাম্প। এখানেও শত শত মানুষকে ধরে এনে হত্যা করা হয়। বধ্যভূমির যে স্থানে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, সেখানেই শহীদদের সম্মানে নির্মিত হয়েছে একটি স্মৃতিস্তম্ভ। এই বধ্যভূমিটি রহনপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবর নামে পরিচিত।
ছবি: সংগৃহীত

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে। শহীদদের সংখ্যাটা প্রায় ১০ হাজার! রহনপুর সরকারি এ বি উচ্চবিদ্যালয়ে ছিল পাকিস্তানিদের ক্যাম্প। এখানেও শত শত মানুষকে ধরে এনে হত্যা করা হয়। বধ্যভূমির যে স্থানে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, সেখানেই শহীদদের সম্মানে নির্মিত হয়েছে একটি স্মৃতিস্তম্ভ। এই বধ্যভূমিটি রহনপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবর নামে পরিচিত।
ছবি: সংগৃহীত

চাকরির প্রতি একটা অনীহা ছিল সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের। বিদেশে যাওয়ার আগে সরকারি চাকরিতে ঢুকেছিলেন সুনীল। কিন্তু বিদেশে গিয়েছিলেন ছুটি না নিয়ে। ফলে সেখান থেকেও প্রভিডেন্ট ফান্ডসহ অন্যান্য সুবিধার জন্য আর
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
২০ ঘণ্টা আগে
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই।
৬ দিন আগে
১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায়...
৭ দিন আগেসম্পাদকীয়

আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই। তাঁর সাক্ষাৎকারে এমন কিছু প্রসঙ্গে আলাপ করেছি, যা হয়তো অত স্বচ্ছন্দে হাসান আজিজুল হকের সঙ্গে করতে পারতাম না। যেমন ধরেন যৌনতা-সংক্রান্ত প্রশ্নগুলো। তবে আড্ডাবাজ ব্যক্তিত্বের জন্যও তাঁর সাক্ষাৎকারটি হয়েছে অনেক প্রাণবন্ত। তাঁকে তো বাম ঘরানার লেখকই ধরা হয়, মার্ক্সবাদে তাঁর বিশ্বাস ছিল। তবে তিনি কিন্তু গোঁড়া মার্ক্সবাদী ছিলেন না।
আমি এ ব্যাপারটিও তাঁর সঙ্গে খোলাসা করার জন্য আলাপ করেছি। সোশ্যালিস্ট রিয়েলিজমের নামে একসময় একধরনের যান্ত্রিক মার্ক্সবাদ চর্চা হয়েছে সাহিত্যে। তিনি এর ঘোর বিরোধী ছিলেন। তিনি এ সাক্ষাৎকারেই বলেছেন, এ দেশের মার্ক্সবাদীদের অনেক জ্ঞান থাকলেও কাণ্ডজ্ঞান নেই। তিনি তাঁর লেখায় জীবনকে একেবারে ভেতর থেকে ধরার চেষ্টা করেছেন। অহেতুক শ্রমিকশ্রেণির জয়গান গাননি, লাল পতাকা ওঠাননি। আমার সাক্ষাৎকারে সেক্সের সঙ্গে ক্লাস পজিশনের সম্পর্ক নিয়ে কথা আছে। তিনি এও বলছেন, তাঁর চিলেকোঠার সেপাইয়ের রিকশাশ্রমিক হাড্ডি খিজির যে চরিত্র, তাকে তিনি মহান করে দেখাননি, শুধু শ্রমিকশ্রেণির বিজয়গাথা তিনি দেখাননি।
বরং হাড্ডি খিজির যে একটি লুম্পেন চরিত্র, তার ভেতর যে নানা জোচ্চুরি আছে, সেটাকেও দেখিয়েছেন। এই যে মানুষকে টোটালিটিতে দেখতে এবং দেখাতে পারা, এটাই আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের শক্তি।
তো এগুলো নিয়ে বিভিন্ন সময় কথা হতো তাঁর সঙ্গে, সেটাকেই আমি সাক্ষাৎকারে ধরতে চেষ্টা করেছি।
সূত্র: মঞ্জুরুল আজিম পলাশ কর্তৃক কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের সাক্ষাৎকার গ্রহণ, ‘দূরগামী কথার ভেতর’, পৃষ্ঠা: ২৭-২৮।

আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই। তাঁর সাক্ষাৎকারে এমন কিছু প্রসঙ্গে আলাপ করেছি, যা হয়তো অত স্বচ্ছন্দে হাসান আজিজুল হকের সঙ্গে করতে পারতাম না। যেমন ধরেন যৌনতা-সংক্রান্ত প্রশ্নগুলো। তবে আড্ডাবাজ ব্যক্তিত্বের জন্যও তাঁর সাক্ষাৎকারটি হয়েছে অনেক প্রাণবন্ত। তাঁকে তো বাম ঘরানার লেখকই ধরা হয়, মার্ক্সবাদে তাঁর বিশ্বাস ছিল। তবে তিনি কিন্তু গোঁড়া মার্ক্সবাদী ছিলেন না।
আমি এ ব্যাপারটিও তাঁর সঙ্গে খোলাসা করার জন্য আলাপ করেছি। সোশ্যালিস্ট রিয়েলিজমের নামে একসময় একধরনের যান্ত্রিক মার্ক্সবাদ চর্চা হয়েছে সাহিত্যে। তিনি এর ঘোর বিরোধী ছিলেন। তিনি এ সাক্ষাৎকারেই বলেছেন, এ দেশের মার্ক্সবাদীদের অনেক জ্ঞান থাকলেও কাণ্ডজ্ঞান নেই। তিনি তাঁর লেখায় জীবনকে একেবারে ভেতর থেকে ধরার চেষ্টা করেছেন। অহেতুক শ্রমিকশ্রেণির জয়গান গাননি, লাল পতাকা ওঠাননি। আমার সাক্ষাৎকারে সেক্সের সঙ্গে ক্লাস পজিশনের সম্পর্ক নিয়ে কথা আছে। তিনি এও বলছেন, তাঁর চিলেকোঠার সেপাইয়ের রিকশাশ্রমিক হাড্ডি খিজির যে চরিত্র, তাকে তিনি মহান করে দেখাননি, শুধু শ্রমিকশ্রেণির বিজয়গাথা তিনি দেখাননি।
বরং হাড্ডি খিজির যে একটি লুম্পেন চরিত্র, তার ভেতর যে নানা জোচ্চুরি আছে, সেটাকেও দেখিয়েছেন। এই যে মানুষকে টোটালিটিতে দেখতে এবং দেখাতে পারা, এটাই আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের শক্তি।
তো এগুলো নিয়ে বিভিন্ন সময় কথা হতো তাঁর সঙ্গে, সেটাকেই আমি সাক্ষাৎকারে ধরতে চেষ্টা করেছি।
সূত্র: মঞ্জুরুল আজিম পলাশ কর্তৃক কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের সাক্ষাৎকার গ্রহণ, ‘দূরগামী কথার ভেতর’, পৃষ্ঠা: ২৭-২৮।

চাকরির প্রতি একটা অনীহা ছিল সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের। বিদেশে যাওয়ার আগে সরকারি চাকরিতে ঢুকেছিলেন সুনীল। কিন্তু বিদেশে গিয়েছিলেন ছুটি না নিয়ে। ফলে সেখান থেকেও প্রভিডেন্ট ফান্ডসহ অন্যান্য সুবিধার জন্য আর
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
২০ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৫ দিন আগে
১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায়...
৭ দিন আগেসম্পাদকীয়

১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায় শিয়ালবাড়ি এলাকায়। মিরপুরের প্রশিকা ভবন থেকে কমার্স কলেজের দিকে যেতে একটি কালভার্ট ছিল। এখন যদিও রাস্তার মাঝে ঢাকা পড়েছে। সেখানেই ৬০টি বস্তায় প্রায় ৩৫০টি মাথার খুলি পাওয়া গিয়েছিল। সৈয়দ আলী জামে মসজিদের পাশের কুয়ায় পাওয়া গিয়েছিল অসংখ্য লাশ। ৬ নম্বর লেনের শেষ প্রান্তের মাঠে স্তূপাকারে পড়ে থাকা দুই শতাধিক লাশ শিয়ালবাড়ি গণকবরে কবর দেওয়া হয়। এটি ছিল ১০ কাঠা জমির ওপর। বেশির ভাগই দখল হয়ে গেছে। যেটুকু অংশ বাকি আছে, তা বর্তমানে মাতবরবাড়ি পারিবারিক কবরস্থান। শিয়ালবাড়ির যেসব কুয়ায় শহীদদের লাশ পাওয়া গিয়েছিল, সেখানে এখন বহুতল ভবন, কারখানা, শপিং মল।
তথ্য ও ছবি: মিরপুরের ১০টি বধ্যভূমি, মিরাজ মিজু

১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায় শিয়ালবাড়ি এলাকায়। মিরপুরের প্রশিকা ভবন থেকে কমার্স কলেজের দিকে যেতে একটি কালভার্ট ছিল। এখন যদিও রাস্তার মাঝে ঢাকা পড়েছে। সেখানেই ৬০টি বস্তায় প্রায় ৩৫০টি মাথার খুলি পাওয়া গিয়েছিল। সৈয়দ আলী জামে মসজিদের পাশের কুয়ায় পাওয়া গিয়েছিল অসংখ্য লাশ। ৬ নম্বর লেনের শেষ প্রান্তের মাঠে স্তূপাকারে পড়ে থাকা দুই শতাধিক লাশ শিয়ালবাড়ি গণকবরে কবর দেওয়া হয়। এটি ছিল ১০ কাঠা জমির ওপর। বেশির ভাগই দখল হয়ে গেছে। যেটুকু অংশ বাকি আছে, তা বর্তমানে মাতবরবাড়ি পারিবারিক কবরস্থান। শিয়ালবাড়ির যেসব কুয়ায় শহীদদের লাশ পাওয়া গিয়েছিল, সেখানে এখন বহুতল ভবন, কারখানা, শপিং মল।
তথ্য ও ছবি: মিরপুরের ১০টি বধ্যভূমি, মিরাজ মিজু

চাকরির প্রতি একটা অনীহা ছিল সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের। বিদেশে যাওয়ার আগে সরকারি চাকরিতে ঢুকেছিলেন সুনীল। কিন্তু বিদেশে গিয়েছিলেন ছুটি না নিয়ে। ফলে সেখান থেকেও প্রভিডেন্ট ফান্ডসহ অন্যান্য সুবিধার জন্য আর
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
২০ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৫ দিন আগে
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই।
৬ দিন আগে