Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

খুব ভালো মুডে আছি

খুব ভালো মুডে আছি

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হতে এক মাসও নেই। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহেই বিশ্বকাপের কন্ডিশনিং ক্যাম্প করতে বাংলাদেশ দল চলে যাবে ওমানে। বিশ্বকাপের মঞ্চে যাওয়ার আগে বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়েরা এখন আছেন ছুটিতে। এ অবসরে মাহমুদউল্লাহ সময় দিলেন আজকের পত্রিকাকে। দীর্ঘ এই সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক বললেন নিজের অধিনায়কত্ব, ব্যাটিং, সর্বশেষ সিরিজ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রানা আব্বাস।      

রানা আব্বাস
আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২৪, ১২: ১৪

প্রশ্ন: বাংলাদেশের একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০০ ম্যাচ খেলেছেন। একই সঙ্গে এই মুহূর্তে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক আপনি। দুটি অর্জন কীভাবে দেখেন? 
মাহমুদউল্লাহ: আল্লাহর কাছে শুকরিয়া, বাংলাদেশের হয়ে ১০০ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার সৌভাগ্য হয়েছে। আর অধিনায়ক হিসেবে যে কটা ম্যাচ জিতেছি, পুরোটাই দলের কৃতিত্ব। দল ভালো করেছে, আমরা ম্যাচ জিতেছি। সেটা আমার অধিনায়কত্বে এসেছে। তবে ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, দল হিসেবে এই সংস্করণে আমাদের আরও ভালো কিছু করার বাকি। আশা করি, দল হিসেবে আরও ভালো কিছু অর্জন করব আমরা। আমাদের সব সময় এই সংস্করণে সতর্ক থাকতে হবে। প্রতিটি ম্যাচই খুব গুরুত্বপূর্ণ। অবহেলা কিংবা নির্ভার হওয়ার কোনো অবকাশ নেই। এটা আমরা সবাই জানি। দল হিসেবে আমরা খুব ভালো অবস্থায় আছি। এটা ভাবতে আমার ভালো লাগে। 

প্রশ্ন: ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে প্রথম বাংলাদেশ দলের অধিনায়কত্ব করার সুযোগ পেয়েছিলেন। এরপর শুধু আপৎকালীন দায়িত্বই পেয়েছেন। ২০১৯ সালের নভেম্বরে ভারত সফরের আগে অধিনায়কত্ব পেয়েছিলেন এমনই এক পরিস্থিতিতে (সাকিব আল হাসানের নিষেধাজ্ঞায়)। গত দুই বছরে অধিনায়ক হিসেবে আপনাকে সবচেয়ে বেশি কী ধরনের চ্যালেঞ্জে পড়তে হয়েছে? 
মাহমুদউল্লাহ: সব সময়ই এই চ্যালেঞ্জ উপভোগ করি। বিশ্বাস করি, এই চ্যালেঞ্জ বা এই দায়িত্বটা আমার খেলায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। দায়িত্ব আমি নিতেও পছন্দ করি। এটা একেকজন একেকভাবে চিন্তা করে। এটা ইতিবাচকভাবে নিই। এবং সেভাবেই দায়িত্ব পালন করতে ভালোবাসি। 

প্রশ্ন: ওয়ানডেতে ওপরে খেলে অনেক সফল হয়েছেন। টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ফিনিশিং ভূমিকাটাই কি আপনার জন্য যথার্থ হিসেবে ধরে নিয়েছেন? আরেকভাবে বললে, চাপ নিয়ে খেলাই কি বেশি উপভোগ করেন? 
মাহমুদউল্লাহ: ওয়ানডেতে এর আগে চার-পাঁচে ব্যাটিং করেছি। তার আগে ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে সাত-আটে ব্যাটিং করতাম। সব সময়ই দলের জন্য খেলার চিন্তা করি। দলে অবদান রাখার চেষ্টা করি। প্রায়ই বলি, যেকোনো পরিস্থিতিতে দলের জয়ে অবদান রাখতে পারলেই খুশি। আর যেকোনো খেলায় চাপ থাকবে। চাপ নিয়েই খেলতে হবে। সেভাবে আপনার মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে, যদি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভালো পারফরমার হতে চান। বাইরের বিষয়গুলো না ভেবে যদি নিজের খেলা বা প্রক্রিয়ার প্রতি মনোযোগী থাকেন বাকিগুলো এমনি ঠিক হয়ে যাবে। 

প্রশ্ন: তীব্র চাপের মুহূর্তে আপনার সঙ্গে যখন একজন তরুণ খেলোয়াড় যেমন আফিফ-সোহান-শামীমের জুটি হয়, তখন তাদের উদ্বুদ্ধ করেন কোন উপায়ে?
মাহমুদউল্লাহ: আফিফ (হোসেন) ও সোহান (নুরুল হাসান) ম্যাচ শেষ করে আসার সামর্থ্য রাখে। ঘরোয়া ক্রিকেটে আমরা অনেক ম্যাচে তাদের দেখেছি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের কথা বললে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সোহান বেশ ভালোভাবে একটা ম্যাচ শেষ করেছে, যেখানে আমরা একটু সমস্যায় পড়ে গিয়েছিলাম। আফিফেরও ফিনিশিং সামর্থ্য ভালো। শামীমেরও ম্যাচ শেষ করার ভালো সামর্থ্য আছে। চাপের মুখে আমরা স্নায়ুচাপ কীভাবে সামলাচ্ছি, সেটার ওপর এটা নির্ভর করছে। আমার মনে হয় ওরা ব্যাপারটা বোঝে। যখন আমরা একসঙ্গে ব্যাটিং করি ওদের সঙ্গে আমার বোঝাপড়াও খুব ভালো হয়। দায়িত্বটা আমরা বুঝি এবং সেটা আমরা ভাগাভাগি করে নিই। আর তখন ফিনিশিংয়ের কাজটা সহজ হয়ে যায়।

প্রশ্ন: গত দুটি সিরিজ প্রসঙ্গে আসি। ঘরের মাঠে দুটি জেতার পরও উইকেট-কন্ডিশন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিয়ে অনেক কথা হয়েছে, হচ্ছে। এসব কীভাবে দেখছেন?  
মাহমুদউল্লাহ: আমরা এটা নিয়ে একবারেই বিচলিত নই। দলের পরিবেশ এখন খুব ভালো আছে। আমরা খুব ভালো মুডে আছি। আমরা খুব ভালো ক্রিকেট খেলে জিতেছি। যারা বিষয়গুলো নেতিবাচকভাবে দেখছেন, তাঁদের ইতিবাচক বিষয়গুলোও দেখা উচিত। যে কন্ডিশনে আমরা খেলেছি, সেটা প্রতিপক্ষের জন্যও কঠিন ছিল। ওদের জন্য কঠিন, আমাদের জন্য ব্যাটিংস্বর্গ ছিল, বিষয়টা তা নয়। এখানে আমাদের বোলিং বিভাগকে কৃতিত্ব দিতে হবে। এই কঠিন কন্ডিশনে আমরা যেভাবে ব্যাটিং করে ম্যাচ জিতেছি, সেটিরও কৃতিত্ব দিতে হবে। 

প্রশ্ন: আপনাদের কি এ ধরনের পরিকল্পনা ছিল যে কোন কন্ডিশন-উইকেট খেলছি, সেটির চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বড় দলকে হারিয়ে র‍্যাঙ্কিংয়ে আগে উন্নতি করতে হবে। আপনাকেই কিন্তু এই দুইটা সিরিজের আগে অনেকবার বলতে হয়েছে, টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ কতটা ভালো দল, সেটা র‍্যাঙ্কিং প্রমাণ করে না!
মাহমুদউল্লাহ: আসলে র‍্যাঙ্কিং নিয়ে আমরা খুব একটা মাথা ঘামাই না। আমরা আমাদের খেলা নিয়ে মনোযোগী। দল জিতলে আমরা খুশি। যদি ভালো ক্রিকেট খেলতে থাকি, দল যদি জিততে থাকে, আমাদের উন্নতির গ্রাফ যদি ইতিবাচকভাবে ওপরের দিকে যেতে থাকে, র‍্যাঙ্কিংয়ের বাকি বিষয় এমনি ঠিক হয়ে যাবে। 

প্রশ্ন: বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টে সাধারণত হাই স্কোরিং উইকেটে খেলা হয়। এ ধরনের উইকেটে লিটন-সৌম্যর মতো টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানরা দুর্দান্ত খেলবে, আপনি কতটা আশাবাদী? আর তামিম ইকবালের মতো অভিজ্ঞ ওপেনার টুর্নামেন্টে কতটা মিস করবেন? 
মাহমুদউল্লাহ: আমাদের ওপেনিংয়ে যারা আছে, তাদের নিয়ে খুবই আশাবাদী। তারা ভালো করতে যথেষ্ট সক্ষম। আশা করি, তারা বড় মঞ্চ দুর্দান্ত খেলবে। 

প্রশ্ন: ওমানে বাংলাদেশ আগে কখনো খেলেনি। যদিও সেখানে আপনারা টুর্নামেন্টের আগে কন্ডিশনিং ক্যাম্প করবেন। তবু প্রথমবারের মতো ওমানের কন্ডিশনে বাছাইপর্বের ম্যাচ খেলাটা কতটা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে? 
মাহমুদউল্লাহ: আমার মনে হয় ওমান ও আরব আমিরাতের কন্ডিশন প্রায় একই হবে। যদিও ওমানে আমরা খেলিনি। তবে আমাদের বিশ্বকাপ প্রস্তুতির বড় অংশ যেহেতু সেখানে হবে, আমরা জানতে পারব কোন ধরনের উইকেটে সেখানে খেলতে হবে। এই বিষয়গুলো নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্ট আমাদের সঙ্গে সেভাবে কথা বলবে। আশা করি, ভালো ধারণা পাব, এটা বড় কোনো সমস্যা হবে না। আমাদের প্রস্তুতি যেন ভালোভাবে সারতে পারি, সেটার দিকে খেয়াল করতে হবে। প্রস্তুতি ম্যাচে যদি আমরা ভালো খেলে জয় দিয়ে শুরু করতে পারি, সেটা ভালো কাজে দেবে। আমরা ভালো আত্মবিশ্বাস নিয়ে টুর্নামেন্টে যেতে পারব। 

প্রশ্ন: গত পরশু তামিম এক ফেসবুক লাইভ আড্ডায় বলছিলেন, ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে তিনি যদি অধিনায়ক থাকেন, তবে বিশ্বকাপে খেলতে যাবেন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ঘোষণা দিয়ে। টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ কি ঘোষণা দিয়ে যেতে চান এই বিশ্বকাপে? 
মাহমুদউল্লাহ: টি-টোয়েন্টিতে ওভাবে ঘোষণা দিয়ে কোনো কিছু অর্জন করা কঠিন। এই সংস্করণে নির্দিষ্ট দিনে যেকোনো দল যে কাউকে হারাতে পারে। একজন ব্যাটসম্যান যদি ৭০-৮০ রানের বড় স্কোর করে। একজন বোলার যদি কম রান দিয়ে ৪-৫ উইকেটের দুর্দান্ত একটা স্পেল করে, সঙ্গে দুই-একজন যদি ছোট অবদান রাখতে পারে, জয়ের জন্য এটাই যথেষ্ট। আমাদের একটা দল হয়ে খেলতে হবে। যার যেদিন সুযোগ আসে, সেটা বোলিং কিংবা ব্যাটিং হোক, নিশ্চিত করতে হবে সে যেন ওই দায়িত্ব ঠিকঠাক পালন করতে পারে। এই দায়িত্ববোধ সবার মধ্যেই থাকতে হবে। 

প্রশ্ন: এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবচেয়ে ফেবারিট মনে হয় কোন দলকে?
মাহমুদউল্লাহ: আমার কাছে সবাইকেই ফেবারিট মনে হয়। এটা নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করা কঠিন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবাই ভালো খেলার চেষ্টা করবে। এটা সময়ই বলে দেবে। 
 
প্রশ্ন: কখনো কখনো নানা ঘটনার ঘনঘটায় চারদিকে দলের অনেক বিষয় নিয়ে প্রচুর আলোচনা হয় বাইরে। তখন ড্রেসিংরুমের পরিবেশ কোন উপায়ে স্বাভাবিক রাখেন? 
মাহমুদউল্লাহ: আমরা বাইরের বিষয় নিয়ে খুব একটা আলোচনা করি না। নিজেদের নিয়েই ব্যস্ত থাকি। নিজেদের কাজ নিয়ে চিন্তা করি। নিজেদের খেলা নিয়ে চিন্তা করি। বাইরের ব্যাপার নিয়ে চিন্তা করে লাভ নেই। বরং নিজেদের প্রক্রিয়াটা আমরা কীভাবে ধরে রাখতে পারি আর দল কী চাচ্ছে, সে ব্যাপারগুলো নিয়ে বেশি মনোযোগী। যাতে আমরা ম্যাচ জিততে পারি। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৩ ফিফটিতে ব্রিসবেনে অস্ট্রেলিয়ার দিন

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮: ৫১
৪৪ রানের লিড নিয়েছে স্বাগতিকেরা। ছবি: ক্রিকইনফো
৪৪ রানের লিড নিয়েছে স্বাগতিকেরা। ছবি: ক্রিকইনফো

ব্রিসবেন টেস্টের প্রথম দিনটাই হতে পারতো অস্ট্রেলিয়ার। কিন্তু বাদ সাধেন জো রুট। এই অভিজ্ঞ ব্যাটারের হার না মানা সেঞ্চুরিতে ঘুরে দাঁড়িয়ে প্রথম দিনের লড়াই জমিয়ে তোলে ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় দিন আর স্বাগতিকেদের সঙ্গে পেরে উঠল না ইংলিশরা। ৩ ফিফটিতে সফরকারীদের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছে স্টিভ স্মিথের দল।

গ্যাবায় ৩২৫ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে প্রথম দিনের খেলা শেষ করে ইংল্যান্ড। এদিন নিজেদের সংগ্রহটা বেশিদূর নিয়ে যেতে পারেনি বেন স্টোকসরা। ৩৩৪ রানে অলআউট হয় তারা। জফরা আর্চার ব্যক্তিগত ৩৮ রানে বেন ডগেটের বলে আউট হলে থামে ইংল্যান্ড। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ১৩৮ রানে অপরাজিত থাকেন রুট। ৭৬ রান এনে দেন জ্যাক ক্রলি। হ্যারি ব্রুকের ব্যাট থেকে আসে ৩১ রান। ৭৫ রানে ৬ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল মিচেল স্টার্ক।

জবাবে ৩৭৮ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে অস্ট্রেলিয়া। ৪ উইকেট হাতে রেখে ৪৪ রানের লিড নিয়েছে অজিরা। উইকেটে আসা সবাই দলকে ভরসা দিয়েছেন। উদ্বোধনী জুটিতে জ্যাক ওয়েদারাল্ডকে নিয়ে ৭৭ রান তোলেন উসমান খাজার চোটে ওপেনিংয়ে সুযোগ পাওয়া ট্রাভিস হেড। ৩৩ রান করে ফিরে যান তিনি। দ্বিতীয় উইকেটে মারনাশ লাবুশেনকে নিয়ে ৬৯ রান যোগ করেন ওয়েদারাল্ড। তাঁর বিদায়ে এই জুটি ভাঙে। আর্চারের বলে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়ার আগে ৭২ রান করেন ওয়েদারাল্ড। দ্বিতীয় দিনে অস্ট্রেলিয়ার কোনো ব্যাটারের হয়ে এটাই সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।

ওয়েদারাল্ডের পর ফিফটি তুলে নেন লাবুশেন ও স্মিথ। তাঁদের অবদান ৬৫ ও ৬১ রান। ফিফটির অপেক্ষায় আছেন অ্যালেক্স ক্যারি। ৪৬ রান নিয়ে তৃতীয় দিনে ব্যাট করতে নামবেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। মাত্র ৫ রানের জন্য ফিফটিবঞ্চিত হন ক্যামেরুন গ্রিন। ব্যক্তিগত ৪৫ রানে ব্রাইডন কার্সের বলে বোল্ড হন তিনি। ক্যারির সঙ্গে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন মাইকেল নেসার। ১৫ রানে অপরাজিত আছেন এই বোলিং অলরাউন্ডার। ১১৩ রানে ৩ উইকেট নেন কার্স। স্টোকসের শিকার ২ উইকেট। ৯৩ রান খরচ করেন ইংলিশ দলপতি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জুয়া-কাণ্ডে তুরস্কের ২৯ ফুটবলারকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮: ২৯
বাজি কেলেঙ্কারিতে টালমাটাল তুর্কি ফুটবল। ছবি: এক্স
বাজি কেলেঙ্কারিতে টালমাটাল তুর্কি ফুটবল। ছবি: এক্স

বাজি কেলেঙ্কারিতে কিছুদিন ধরে টালমাটাল তুর্কি ফুটবল। এই অভিযোগে গত দুই মাসে নিষেধাজ্ঞার হিড়িক চলছে দেশটিতে। এবার আরও একটি বাজে খবর এল তুর্কি ফুটবলে। অবৈধ বাজি ধরার অভিযোগে আজ ৪৬ জনকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন ইস্তাম্বুলের প্রসিকিউটররা। তাঁদের মধ্যে ২৯ জনই ফুটবলার।

অভিযুক্ত ফুটবলাররা কোন ক্লাবের, সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০২৩-২৪ মৌসুমে তৃতীয় বিভাগের একটি ম্যাচে বাজি-কাণ্ডে জড়ায় দুটি ক্লাব। বাজি কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত ছিলেন খোদ ওই দুটি ক্লাবের সভাপতি।

প্রসিকিউটরের অফিস জানিয়েছে, গ্রেপ্তারের আদেশে থাকা ৪৬ জনের মধ্যে পুলিশ এখন পর্যন্ত ৩৫ জনকে আটক করেছে। পাঁচজন বিদেশে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গ্রেপ্তার খেলোয়াড়দের মধ্যে ২৭ জন তাঁদের নিজস্ব দলের ম্যাচে বাজি ধরার অভিযোগে অভিযুক্ত।

তাঁদের মধ্যে একজন হলেন মেতেহান বালতাচি, যিনি বর্তমান তুর্কি চ্যাম্পিয়ন গালাতাসারাইয়ের হয়ে খেলছেন। এই মাসের শুরুতে বাজি কেলেঙ্কারিতে তাঁকে ৯ মাসের জন্য বরখাস্ত করেছিল তুর্কি ফুটবল ফেডারেশন (টিএফএফ)।

তুর্কি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, অভিযুক্ত ম্যাচটি সহজে তদন্তকারীদের দৃষ্টিতে আসে। কারণ, সেই ম্যাচে কোনো দলই গোল করার জন্য ন্যূনতম চেষ্টা করেনি। বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সেখান থেকে পুরো তদন্ত শুরু হয়েছিল।

প্রসিকিউটররা তাঁদের নিজস্ব দলের সঙ্গে বাজি ধরার সন্দেহে থাকা অন্য ২৬ জন খেলোয়াড়কে শনাক্ত করতে পারেননি। তবে বলেছেন, ইস্তাম্বুলের আরেকটি প্রধান ক্লাব ফেনারবাচের হয়ে খেলা মের্ট হাকান ইয়ান্দাস অন্য কারও অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বাজি ধরেছিলেন।

এখন পর্যন্ত এক হাজারের বেশি তুর্কি খেলোয়াড়কে বরখাস্ত করেছে টিএফএফ। এর মধ্যে দেশটির সুপার লিগের ২৫ জন ফুটবলার আছেন। তাঁদের ৪৫ দিন থেকে সর্বোচ্চ ১ বছর পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা ৯০০ জনের বেশি ফুটবলার তৃতীয় ও চতুর্থ বিভাগের। বাজি-কাণ্ডে গত অক্টোবরে প্রায় ১৫০ জন রেফারিকে বরখাস্ত করেছে টিএফএফ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আবারও কিংসের বড় জয়, রাকিবের হ্যাটট্রিক অ্যাসিস্ট

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮: ৪৯
বড় জয় পেয়েছে কিংস। ফাইল ছবি
বড় জয় পেয়েছে কিংস। ফাইল ছবি

মৌসুমের শুরুটা তারা করেছে নবাগত পিডব্লিউডি স্পোর্টস ক্লাবের বিপক্ষে ড্র করে। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। বাংলাদেশ ফুটবল লিগে টানা চার ম্যাচে জয় তুলে নিল বসুন্ধরা কিংস। আজ ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে তারা। এনিয়ে টানা দুই ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে ৫ গোল করে বড় জয় আদায় করল মারিও গোমেসের দল।

মুন্সিগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে কিংসকে ৪১ মিনিটের বেশি সামলে রাখতে পারেনি ব্রাদার্স। রাকিব হোসেন ছিলেন দুর্দান্ত ফর্মে। ডানপ্রান্ত ত্রাস সৃষ্টি করা এই উইঙ্গার পেয়েছেন হ্যাটট্রিক অ্যাসিস্টের স্বাদ। যদিও গোলের দেখা পাননি। দোরিয়েলতনকে দিয়ে প্রথম গোলের উপলক্ষ্য এনে দেন তিনি। ডানপ্রান্ত দিয়ে বাড়ানো ক্রস দুই ডিফেন্ডারের মাথার ওপর দিয়ে হেডে জালে পাঠান দোরিয়েলতন।

প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। দোরিয়েলতনের শট ব্রাদার্স গোলরক্ষক ইশাক আলী ফিরিয়ে দিলেও রিবাউন্ড শটে জাল খুঁজে নেন তিনি।

বিরতির পর আরও ক্ষিপ্র হয়ে ওঠে কিংস। ৫০ মিনিটে রাকিবের কাটব্যাক থেকে বার ঘেঁষে গোল আদায় করেন এমানুয়েল সানডে। চার মিনিট পর আবারও রাকিবের অ্যাসিস্ট। এবার তাঁর ব্যাকপাসে ডিফ্লেক্টেড শটে বল জালে পাঠান সোহেল রানা জুনিয়র। ৭৭ মিনিটে শাহরিয়ার ইমনের লং পাস থেকে নিজের দ্বিতীয় গোলের দেখা পান দোরিয়েলতন। ৯০ মিনিটে জামাল ভূঁইয়ার কর্নার থেকে হেডে ব্যবধান কমান ব্রাদার্সের মোজাম্মেল হোসেন নীরা।

৫ ম্যাচে ৪ জয়ে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান আরও পোক্ত করল কিংস।  দ্বিতীয় হারের স্বাদ পাওয়া ব্রাদার্স ৭ পয়েন্ট নিয়ে আছে চারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিদায়ী ম্যাচের আগে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন মেসির সতীর্থ

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ০৮
বার্সেলোনায় একসঙ্গে খেলার সময় ইন্টার মায়ামিতেও সতীর্থ জর্দি আলবা ও লিওনেল মেসি। আলবা আগামীকাল তাঁর ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলতে নামবেন। ছবি: এএফপি
বার্সেলোনায় একসঙ্গে খেলার সময় ইন্টার মায়ামিতেও সতীর্থ জর্দি আলবা ও লিওনেল মেসি। আলবা আগামীকাল তাঁর ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলতে নামবেন। ছবি: এএফপি

পেশাদার ক্যারিয়ারে কাউকে না কাউকে একদিন ফুলস্টপ তো দিতেই হয়। সেই বিদায়টা যদি হয় শিরোপা দিয়ে, তাহলে এর চেয়ে স্মরণীয় আর কী হতে পারে! জর্দি আলবারও ফুটবল ক্যারিয়ারের বিদায় বলার সময় এসে গেছে। আগামীকাল এমএলএস কাপ ফাইনাল ম্যাচটা তাই আলবার কাছে অন্য সব ম্যাচের চেয়ে আলাদা।

এ বছরের অক্টোবরে প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন আলবা। ২০২৫ এমএলএস দিয়ে শেষ করবেন তাঁর দীর্ঘ ২০ বছরের ক্যারিয়ার। চেজ স্টেডিয়ামে আগামীকাল বাংলাদেশ সময় রাত দেড়টায় শুরু হবে এমএলএস কাপের ইন্টার মায়ামি-ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপস ফাইনাল ম্যাচ। এই ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে এসে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন আলবা। ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচের সময় মুহূর্তটা কেমন হবে, সেটা অনুভব করতে পারছেন তিনি। ৩৬ বছর বয়সী স্প্যানিশ এই ডিফেন্ডার বলেন, ‘এটা একেবারে আলাদা। কারণ, আমি জানি ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ। অবশ্যই এটা ফাইনাল ম্যাচ। এর গুরুত্ব আছে। কিন্তু এটা ক্লাব ছাপিয়ে বড় কিছু। যা-ই হোক না কেন, আমি ছেড়ে যাচ্ছি। অবশ্যই শিরোপা দিয়ে শেষ করতে চাই।’

২০১২ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত ১১ বছর বার্সেলোনায় খেলেছেন জর্দি আলবা। যে ২০২৩ সালে মেসি প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) ছেড়ে ইন্টার মায়ামিতে গিয়েছেন, সে বছরই আলবা পাড়ি জমান ইন্টার মায়ামিতে। বার্সা থেকে যখন বিদায় নিয়েছিলেন, সেই মুহূর্তের কথা এমএলএস কাপ ফাইনালের আগের দিন স্মরণ করেছেন। আলবা বলেন, ‘আমি জানি না কীভাবে এটা সামলাব। সেই আবেগময় মুহূর্তটা অনুভব করা যায় না। বার্সেলোনার হয়ে আমার শেষ ম্যাচের দিনও আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম। তবে এটা (এমএলএস কাপ ফাইনাল) তো শুধু দলবদল নয়। আমার তো এরপর আর মাঠেই নামা হবে না।’

ইন্টার মায়ামি যেন বার্সেলোনার সাবেক ফুটবলারদের মিলনমেলা হয়ে উঠেছে। মেসি, সুয়ারেজ, সার্জিও বুসকেতস, আলবারা ফের মিলেছেন মায়ামিতে এসে। মেসি আসার পর ২০২৩ সালে লিগস কাপ, ২০২৪ সালে সাপোর্টার্স শিল্ড—এই দুটি শিরোপা জিতেছে মায়ামি। যে স্টেডিয়ামেই ইন্টার মায়ামির ম্যাচ হোক না কেন, মেসির খেলা দেখতে গ্যালারি ভরপুর হয়ে ওঠে। তাঁর সঙ্গে সেলফি তুলতে ভক্ত-সমর্থকেরা উন্মুখ হয়ে থাকেন। গত বছর কোপা আমেরিকায় যুক্তরাষ্ট্রের যে স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনার খেলা হয়েছে, সেখানে তাঁর জার্সি পরিহিত ভক্ত-সমর্থকদের মাঠে দেখা গেছে।

মেসি-সুয়ারেজদের সঙ্গে আবার যে পুনরায় একত্র হতে পেরেছেন, সেটা আলবার কাছে রোমাঞ্চকর। ৩৬ বছর বয়সী স্প্যানিশ ডিফেন্ডার বলেন, ‘নতুন একধরনের অভিজ্ঞতা হবে। তবে রোমাঞ্চকর। সাবেক সতীর্থদের সঙ্গে আবার পুনর্মিলন হয়েছে। ক্লাবটা (ইন্টার মায়ামি) কতটা গড়ে উঠেছে, সেটা স্পষ্ট। ফাইনালে ওঠা ইন্টার মায়ামির জন্য ঐতিহাসিক। তাদের সঙ্গে অনেক ম্যাচ খেলতে পেরে সৌভাগ্য।’ বার্সার জার্সিতে আলবা ছয়বার লা লিগা ও একবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন। আগামীকাল এমএলএস কাপ ফাইনাল জিতলে মায়ামির হয়ে শিরোপার হ্যাটট্রিক করবেন তিনি। মেসির মতো আলবাও মায়ামির হয়ে লিগস কাপ ও সাপোর্টার্স শিল্ডের শিরোপা জিতেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত