Ajker Patrika

উৎপাত করলে ভালুকদের জেলে পুরে দেওয়া হয় যে শহরে

ইশতিয়াক হাসান
আপডেট : ০৮ অক্টোবর ২০২৩, ১৮: ২৮
উৎপাত করলে ভালুকদের জেলে পুরে দেওয়া হয় যে শহরে

কানাডার উত্তর মানিটোবার দুর্গম এলাকায় অবস্থিত ছোট্ট এক শহর চার্চিল। হাজারের কম জনসংখ্যার শীতল শহরটির এমনিতে মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করার মতো তেমন কিছু নেই। তারপরও পর্যটকদের টানে শহরটি। কারণ, এখানে বিপুলসংখ্যক মেরু ভালুকের আনাগোনা। শুনে অবাক হবেন, চার্চিলে এমন একটি জিনিস আছে—যেটা পৃথিবীর আর কোথাও নেই, সেটি মেরু ভালুকের জেলখানা। 

হাডসন উপসাগরের তীরে অবস্থিত শহরটির মানিটোবা প্রদেশের রাজধানী উইনিপেগ থেকে দূরত্ব প্রায় হাজার কিলোমিটার। কানাডার সবচেয়ে দুর্গম শহরগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয় একে। এত উত্তরের খুব কম জায়গাতেই মানুষের বসতি আছে। তবে প্রচণ্ড শীতল আবহাওয়া আর বিচ্ছিন্নতা ছাড়াও এখানকার অধিবাসীদের বড় আরেকটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়। সেটা মেরু ভালুক বা পোলার বিয়ার। এমনকি দিনের আলোতেও শহরের বাসিন্দাদের এদের দেখা পেয়ে যাওয়া খুব স্বাভাবিক ঘটনা। 

পোলার বিয়ার হোল্ডিং ফ্যাসিলিটি নামেই পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় মেরু ভালুকদের বন্দিনিবাসটিকে‘চারপাশে হেঁটে বেড়ানোটাও এখানে দুশ্চিন্তার বিষয়’ চার্চিলের এক বাসিন্দা মার্কিন সাময়িকী দ্য আটলান্টিককে বলেন, ‘আপনি সকালে হাঁটছেন। তখনই বরফে তাজা ট্র্যাক জানিয়ে দিল একটি ভালুক বাড়িগুলোর মধ্যে দিয়ে হেঁটে গেছে।’ 

৪ অক্টোবর, ২০২২। চার্চিলের একজন সংরক্ষণ কর্মকর্তা চ্যান্টাল ক্যাজার ম্যাকলিনের কাছে খবর এল একটি মেরু ভালুক শহরের প্রান্তে কারও ঘরের পাশের চালায় ঢুকে পড়েছে। কম বয়স্ক মাদি ভালুকটি খাবারের জন্য কয়েক দিন ধরে শহরের সীমানায় ঘোরাফেরা করছিল। কিন্তু এখন ম্যাকলিনসহ চার্চিলের পোলার বিয়ার পেট্রল টিম বা টহল দলের কয়েকজন সদস্য তাকে শেডের দরজায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলেন। 

‘দুর্ভাগ্যবশত এখন মানুষের বাড়ির লাগোয়া বিভিন্ন দালানে ঢুকে পড়ছে ভালুকটি।’ বলেন ম্যাকলিন। অর্থাৎ এটি যেকোনো সময় কারও ঘরে ঢুকে পড়তে পারে। ম্যাকলিনদের সামনে একটি উপায়ই খোলা আছে তা হলো, একে ওষুধ প্রয়োগ করে ঘুম পাড়িয়ে মেরু ভালুক রাখার জায়গা বা জেলখানায় আটকে রাখা। 

উত্তর মানিটোবার দুর্গম এলাকায় অবস্থিত ছোট্ট এক শহর চার্চিলমেরু ভালুকের দেশে একে অবশ্য অন্য পাঁচ-দশটি দিনের মতো সাধারণ একটি দিনই বলা চলে। ১৭১৭ সালে পশম ব্যবসার উদ্দেশ্যে গোড়াপত্তন এ সীমান্ত বসতিটির। চার্চিল ভালুকদের এত প্রিয় হয়ে ওঠার কারণ, এটি পড়েছে ‘পোলার বিয়ার হাইওয়ে’র মাঝখানে। প্রতিবছর সমুদ্রের বরফে উঠতে এই প্রাকৃতিক পথটি ব্যবহার করে মেরু ভালুকগুলো। হাডসন উপসাগরের তীরে অবস্থিত, চার্চিলে বাস করা মানুষের সংখ্যা মেরেকেটে সাড়ে আট শ, প্রায় একই সংখ্যক ভালুক ঘুরে বেড়ায় এ এলাকায়।

শীতকালে মেরু ভালুকগুলো বরফে জমে যাওয়া উপসাগরে অবস্থান করে সিল শিকার করে। কিন্তু জুলাই মাসে বরফ গলে গেলে, তারা আশপাশের জমিতে চলে আসে। স্বাভাবিকভাবেই সেখানে খাবার পাওয়া মুশকিল। ‘সিলের চর্বি খেয়ে শীতকালে শরীরে যে চর্বি জমে এগুলোই এ সময়টায় এদের বাঁচিয়ে রাখে’ ব্যাখ্যা করেন র‍্যাচেল সুলিভান-লর্ড, যিনি একাধারে একজন মেরিন বায়োলজিস্ট এবং এই অঞ্চলে মেরু ভালুক পর্যটন ট্যুর পরিচালনাকারী ন্যাচারাল হ্যাবিট্যাট অ্যাডভঞ্চারসের অভিযাত্রী দলের নেতা। র‍্যাচেল আরও বলেন, ‘নভেম্বরের শেষের দিকে, তারা তীরে আসে এবং উপসাগরের পানি জমে বরফ হওয়ার অপেক্ষায় থাকে। এর আগের কয়েকটি মাস ধরে শিকারের তেমন একটা সুযোগ না পাওয়ায় ভালুকগুলো থাকে ক্ষুধার্ত। কাজেই খাবার পাওয়ার সব ধরনের সুযোগ কাজে লাগায়।’ 

এবার মূল কাহিনি অর্থাৎ মেরু ভালুকদের জেলখানার বিষয়ে ফিরে আসা যাক। পোলার বিয়ার জেল নামটি জনপ্রিয়তা পেলেও এটা আসলে সে অর্থে জেলখানা নয়। বরং একে একটি হোল্ডিং ফ্যাসিলিটি বা ভালুককে সাময়িকভাবে আটকে রাখার জায়গা বলতে পারেন। এতে আছে ২৮টি সেল বা খোপ। এমনিতে কামরাগুলো তৈরিতে কয়লা ও সিমেন্টের ব্লক ব্যবহার করা হলেও দরজা ও ছাদের নিচের অংশ ইস্পাতের। নিজেরা মারামারি করতে পারে বলে বেশির ভাগ সেল একটি করে ভালুক থাকার উপযোগী। তবে দুটি বড় কক্ষ আছে বাচ্চাসহ মা ভালুক থাকার জন্য। 

গ্রীষ্মের সময় কিছুটা আরাম দেওয়ার জন্য পাঁচটি সেল শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। কিছু ভালুকের ওষুধ প্রয়োগ করে ঘুম পড়িয়ে আনা হয়। অন্যরা জেগে থাকা অবস্থায় আসে। ফাঁদে সিল মাংসের টুকরো দিয়ে প্রলোভন দেখিয়ে তাদের ভেতরে বন্দী করা হয়। 

১৯৫০-র দশকে চার্চিল যখন সেনা ঘাঁটি ছিল, তখন এই স্থাপনাটি তৈরি করা হয়। ‘এই সুবিধাটি থাকার ফলে বিপজ্জনক ভালুকগুলোকে গুলি করার পরিবর্তে টহল দল তাদের কয়েকটা সপ্তাহ এখানে রাখে। যতক্ষণ না উপসাগরটি বরফের আবরণে ঢেকে যায়।’ বলেন পোলার বিয়ার ইন্টারন্যাশনাল নামর ভালুক সংরক্ষণে কাজ করা অলাভজনক একটি সংস্থার সংরক্ষণবিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক জিওফ ইয়র্ক। 

সিলের মাংসের লোভ দেখিয়ে বন্দী করা হয়েছে বিপজ্জনক একটি ভালুককে। ছবি: প্রভিন্স অব মানিটোবা/ভাইসম্যাকলিনের ওই কম বয়স্ক মাদি ভালুকটির ক্ষেত্রেও তা-ই করা হয়। ওটাকে ঘুম পাড়ানি ওষুধ দেওয়ার পর নাকের ডগা থেকে লেজের ডগা পর্যন্ত ওজন করা হয় এবং দৈর্ঘ্য মাপা হয়। ভবিষ্যতে শনাক্তকরণের জন্য কানে একটি ট্যাগ এবং বাড়তি সতর্কতা হিসেবে ঠোঁটে একটা উল্কি আঁকা হয়। কারণ, ভালুক কখনো কখনো নিজেদের মধ্যে লড়াইয়ে তাদের কান হারায়। ট্যাগগুলো ভবিষ্যতে বিপজ্জনক ভালুকদের শনাক্ত করতে সাহায্য করে। তারপর সেলে ঢুকিয়ে দেওয়ার পর যেখানে জেগে ওঠে ভালুকটি। 

জেলখানার পরিবেশ এই প্রাণীদের শেখায় যে মানুষের কাছে যাওয়াটি বিরক্তিকর এক অভিজ্ঞতা, আর এটি না করাই উত্তম। এ কারণেই ভালুকগুলো তাদের কক্ষে একটু নড়াচড়া ছাড়া খুব বেশি কিছু করতে পারে না। তারা দেয়ালে আঘাত করতে পারে। একে অবশ্য একটি ভালো লক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ম্যাকক্লিন বলেন, ‘একটি ভালুক শব্দ করার অর্থ সে সুস্থ আছে।’ 

আটকে থাকা ভালুকগুলোকে বরফ ও পানি দেওয়া হলেও খাবার দেওয়া হয় না। কারণ, মানুষ থেকে যে খাবার পাওয়া যেতে পারে—এ ধারণাটি যেন তাদের মধ্যে না আসে। 

‘এ সময়টা এরা এমনিতেও উপবাসের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল’ ম্যাকক্লিন ব্যাখ্যা করেন। 

‘তা ছাড়া এরা প্রায় ঠিক একই ওজন হারাচ্ছে, যেটা তারা বাইরে থাকলে হারাত।’ বলেন ইয়র্ক। 

‘শাস্তি’ ভালুকদের জন্য শেষ ব্যবস্থা। শুরুতে ফাঁকা গুলি ও আতশবাজি ফাটিয়ে এদের শহর থেকে দূরে রাখা হয়। এতে কাজ না হলে তখন বন্দী করা হয়। এটা একদিক থেকে ভালোই। কারণ, না হলে মানুষের সঙ্গে ঝামেলা করায় হয়তো এদের প্রাণ দিতে হতো। 

বেশির ভাগ ভালুককে ৩০ দিন বা উপসাগর জমে যাওয়া পর্যন্ত জেলখানায় রাখা হয়। বরফ তৈরি হলেই এদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এই ছেড়ে দেওয়ার দৃশ্য দেখতে শহরের বাসিন্দারা আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করেন। ট্র্যাপ ডোর দিয়ে একটি একটি করে ভালুককে বের করে দেওয়া হয়। বরফের দিকে এগিয়ে দেওয়ার জন্য একটি ট্রাক প্রতিটি ভালুককে তাড়া করে। 

২০২২ সালে উপসাগরটি হিমায়িত হওয়ার সময় মাত্র পাঁচটি বন্দী ভালুক ছিল মুক্তির অপেক্ষায়। ছেড়ে দেওয়ার পর মনের আনন্দে এদের ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় বরফের ওপর। 

মোট ২৮টি সেল বা খোপ আছে ভালুকের কয়েদখানায়। ছবি: প্রভিন্স অব মানিটোবা/ভাইসচার্চিলে যেসব মানুষ থাকে, তাদের সব সময় কিছু সতর্কতা মেনে চলতে হয়। শহরের বিভিন্ন জায়গায় ভালুকের ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়ে বিভিন্ন সাইনপোস্ট বসানো আছে। সেখানে শহরের সীমানা না পেরোতে এবং ভালুকদের কাছাকাছি না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। 

আগে যেসব মেরু ভালুক শহরে ঘুরে বেড়াত, এদের গুলি করে মারা হতো। কিন্তু এটি দুটি প্রজাতির মধ্যে দ্বন্দ্বকে আরও বাড়িয়ে তুলেছিল। তাই ১৯৭০-এর দশকে, চার্চিল পোলার বিয়ার অ্যালার্ট প্রোগ্রাম চালু করা হয়। এখন শহরের বাসিন্দারা কোনো ভালুককে দেখলে হটলাইন নম্বরে ফোন দেন। তখন প্রোগ্রামের কর্মীরা বাজি বা রাবার বুলেট ছুড়ে ভালুকটিকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করেন। যদি এটি কাজ না করে, ভালুকটিকে ঘুম পাড়ানি গুলি দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে ভালুক রাখার জায়গা বা পৃথিবীর একমাত্র ‘ভালুকদের কারাগারে’ নিয়ে যাওয়া হয়। 

যদি ভালুকটি একেবারে বাচ্চা বা বেশি বয়স্ক হয়, অর্থাৎ বুনো পরিবেশে ছেড়ে দেওয়ার উপযোগী না হয়, তবে উইনিপেগের অ্যাসিনিবোইন পার্ক চিড়িয়াখানায় স্থানান্তর করা হয়। 

মজার ঘটনা ভালুকদের বিচরণ ও প্রতিবছর এ এলাকা দিয়ে উপসাগরের দিকে যাওয়াটা শহরটিকে পর্যটকদের পছন্দের এক গন্তব্যে পরিণত করেছে। এখানে তাঁদের থাকার জন্য ‘তুন্দ্রা লজ’ নামের মৌসুমি একটি হোটেলও আছে। 

পর্যটকদের গাড়ি দেখে কৌতূহলী এক মেরু ভালুক। ছবি: ফেসবুকজিওফ ইয়র্ক জানান, বর্তমানে কেবল ২০ থেকে ২৬ হাজার মেরু ভালুক বুনো পরিবেশে টিকে আছে। কানাডীয় সরকারের সাম্প্রতিক একটি রিপোর্ট অনুসারে, গত পাঁচ বছরে মেরু ভালুকের সংখ্যা ২৭ শতাংশ কমেছে। প্রতিবছর সামুদ্রিক বরফ তৈরি কমতে থাকায় ভালুকের সিল শিকার করা এবং প্রয়োজনীয় চর্বি সঞ্চয় কমে যাচ্ছে। যার ফলে অনেক ভালুক অনাহারে পড়ছে। তবে চার্চিল শহরে ভালুকদের নিয়ে সতর্কতামূলক কার্যক্রম এ প্রাণীটির উপকারই করছে। বিপজ্জনক পরিস্থিতিকে কারাগারে আটকে রাখায় সম্ভাব্য বিপদ থেকে রক্ষা পাচ্ছে এরা। অর্থাৎ এই বন্দিনিবাস ভালুকদের নিরাপত্তাই দিচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মদের দোকানে তাণ্ডব, বাথরুমে পাওয়া গেল মাতাল র‍্যাকুন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ১৯
মদ খেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে ছিল একটি র‍্যাকুন। ছবি: সংগৃহীত
মদ খেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে ছিল একটি র‍্যাকুন। ছবি: সংগৃহীত

সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে! প্রাথমিকভাবে সবাই বড় কোনো চুরির আশঙ্কা করলেও কোনো দামি জিনিস খোয়া যায়নি; বরং দোকানের বাথরুমের কমোড আর ডাস্টবিনের চিপায় উদ্ধার হলো আসল ‘অপরাধী’। সেখানে অঘোরে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছিল এক বুনো র‍্যাকুন!

ঘটনার সূত্রপাত হয় থ্যাংকসগিভিংয়ের ছুটিতে। দোকান বন্ধ থাকার সুযোগে এই ‘মুখোশধারী ডাকাত’ সিলিংয়ের টাইলস ভেঙে দোকানের ভেতরে প্রবেশ করে। পশুপালন দপ্তরের কর্মকর্তা সামান্থা মার্টিন গণমাধ্যমকে জানান, ভেতরে ঢুকেই র‍্যাকুনটি পুরোদস্তুর তাণ্ডব শুরু করে। তবে তার প্রধান আকর্ষণ ছিল নিচের দিকের তাকগুলোতে সাজিয়ে রাখা স্কচ হুইস্কির বোতলগুলো। বেশ কয়েকটি বোতল ভেঙে, প্রচুর পরিমাণে স্কচ সাবাড় করে র‍্যাকুনটি মাতাল হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে নেশার ঘোরে সে বাথরুমে আশ্রয় নেয় এবং সেখানেই জ্ঞান হারায়।

খবর পেয়ে সামান্থা মার্টিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে র‍্যাকুনটিকে উদ্ধার করেন। তিনি কৌতুক করে বলেন, ‘পশু সুরক্ষা ও নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার জীবনে এটা আর দশটা দিনের মতোই একটি সাধারণ দিন!’

পুরো মদের দোকান তছনছ করেছিল বুনো র‍্যাকুন। ছবি: সংগৃহীত
পুরো মদের দোকান তছনছ করেছিল বুনো র‍্যাকুন। ছবি: সংগৃহীত

র‍্যাকুনটি এতটাই নেশাগ্রস্ত ছিল যে সেটিকে ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য’ হ্যানোভার কাউন্টি অ্যানিমেল প্রটেকশন শেল্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে পুলিশি কাস্টডিতে নয়, বরং তার নেশা কাটানোর জন্যই এই ব্যবস্থা।

বেশ কয়েক ঘণ্টা একটানা ঘুমের পর যখন র‍্যাকুনটি হ্যাংওভার কাটে। শারীরিক কোনো চোট পাওয়া যায়নি। এটি নিশ্চিত হয়েই তাকে সসম্মানে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়।

দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে এক রহস্যময় ছায়ামূর্তির তাণ্ডব দেখা গেলেও র‍্যাকুনটি ঠিক কতটা স্কচ হজম করেছিল, তা অজানাই রয়ে গেছে। দোকানের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি মজার পোস্ট দিয়ে জানানো হয়, র‍্যাকুনটিকে নিরাপদে ‘সোবার রাইড’, অর্থাৎ নেশামুক্ত অবস্থায় বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য তারা প্রশাসনের কাছে কৃতজ্ঞ!

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভারতে প্রায় কোটি টাকার এক হিরা খুঁজে পেলেন ‘শৈশবের দুই বন্ধু’

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
সতীশ ও সাজিদের পাওয়া এই হিরাটি ১৫.৩৪ ক্যারেটের। ছবি: বিবিসি
সতীশ ও সাজিদের পাওয়া এই হিরাটি ১৫.৩৪ ক্যারেটের। ছবি: বিবিসি

ভারতের মধ্যাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় হঠাৎ পাওয়া একটি হিরার খোঁজ দুই বন্ধুর জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায় সম্প্রতি এক শীতের সকালে শৈশবের বন্ধু সতীশ খাটিক ও সাজিদ মোহাম্মদের হাতে ধরা পড়েছে ১৫.৩৪ ক্যারেটের মূল্যবান ওই হিরাটি। এটির বাজারমূল্য বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় পৌনে এক কোটি টাকা।

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিবিসি জানিয়েছে, পান্না জেলা ভারতের অন্যতম হিরা উত্তোলন অঞ্চল। সেখানেই কয়েক সপ্তাহ আগে লিজ নেওয়া একটি জমিতে কাজ করতে গিয়ে চকচকে পাথরটির সন্ধান পান সতীশ ও সাজিদ। পরে সেটি শহরের সরকারি হিরা মূল্যায়ন কর্মকর্তার কাছে নিয়ে গেলে নিশ্চিত হওয়া যায়—এটি উৎকৃষ্ট মানের প্রাকৃতিক হিরা।

সতীশের হাতে খুঁজে পাওয়া হিরাটি, পাশে সাজিদ। ছবি: বিবিসি
সতীশের হাতে খুঁজে পাওয়া হিরাটি, পাশে সাজিদ। ছবি: বিবিসি

মূল্যায়ন কর্মকর্তা অনুপম সিং জানান, হিরাটির সম্ভাব্য দাম ৭০ থেকে ৮০ লাখ টাকা। শিগগিরই এটিকে সরকারি নিলামে তোলা হবে। এই নিলামে দেশ-বিদেশের ক্রেতারা অংশ নেবেন। তিনি আরও জানান, হিরার দাম নির্ভর করে ডলারের বিনিময় হার ও আন্তর্জাতিক রাপাপোর্ট রিপোর্টের মানদণ্ডের ওপর।

২৪ বছর বয়সী সতীশ খাটিক একটি মাংসের দোকান চালান, আর ২৩ বছরের সাজিদ মোহাম্মদ ফল বিক্রি করেন। দুজনই দরিদ্র পরিবারের সন্তান এবং পরিবারের কনিষ্ঠ সদস্য। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে তাঁদের পরিবার পান্নায় হিরা খোঁজার চেষ্টা করেছে। কিন্তু এত দিন কোনো বড় সাফল্য আসেনি।

উন্নয়ন সূচকে পান্না জেলা পিছিয়ে থাকা একটি এলাকা। এখানে দারিদ্র্য, পানির সংকট ও বেকারত্ব নিত্যদিনের বাস্তবতা। তবে এই জেলাতেই ভারতের অধিকাংশ হিরা মজুত রয়েছে, যা স্থানীয়দের ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখায়।

সাজিদের বাবা নাফিস জানান, বছরের পর বছর খোঁড়াখুঁড়ি করেও তাঁরা পেয়েছেন শুধু ধুলো আর কাঁচের টুকরো। তিনি বলেন, ‘ঈশ্বর অবশেষে আমাদের ধৈর্য আর পরিশ্রমের ফল দিয়েছেন।’ সংসারের ক্রমবর্ধমান খরচ ও বিয়ের ব্যয় মেটাতে না পেরে হতাশা থেকেই জমিটি লিজ নিয়েছিলেন সাজিদ।

হিরা খোঁজার কাজ সহজ নয়। দিনের কাজ শেষে সন্ধ্যায় কিংবা ছুটির সময় মাটি খুঁড়ে, পাথর ধুয়ে, চালুনিতে ছেঁকে হাজারো কণার ভিড় থেকে সম্ভাব্য হিরা আলাদা করতেন সতীশ ও সাজিদ। পান্নার জেলা খনি কর্মকর্তা রবি প্যাটেল বলেন, ‘গত ১৯ নভেম্বর তারা জমিটি লিজ নেয়। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এমন মানের হিরা পাওয়া সৌভাগ্যের ব্যাপার।’

এখনো নিলামের টাকা হাতে না পেলেও দুই বন্ধু আশাবাদী। বড় শহরে চলে যাওয়া বা ব্যবসা বাড়ানোর চিন্তা আপাতত তাঁরা বাদ দিয়েছেন। তাঁদের একটাই লক্ষ্য—এই অর্থ দিয়ে নিজেদের বোনদের বিয়ে দেওয়া।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

লিংকডইনে গার্লফ্রেন্ড চেয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়ার পর যা ঘটল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ১২
‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। ছবি: লিংকডইন থেকে নেওয়া।
‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। ছবি: লিংকডইন থেকে নেওয়া।

চাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।

ভারতের হরিয়ানার গুরুগ্রামের দীনেশ বৈরাগী। ‘পূর্ণকালীন’ চাকরির অফার দিয়ে নারীবন্ধু খুঁজেছেন লিংকডইনে। ওই বিজ্ঞাপনের বিবরণে সম্ভাব্য ‘গার্লফ্রেন্ড’-এর জন্য প্রয়োজনীয় নানা গুণাবলির কথাও উল্লেখ করেছেন দীনেশ।

টেক মাহিন্দ্রার সাবেক সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট দীনেশ চাকরির বিজ্ঞাপনে লিখেছেন, ‘গুরগাঁওয়ে পূর্ণকালীন গার্লফ্রেন্ডের পদ খালি আছে। সরাসরি দেখা করা এবং দূর থেকে দায়িত্ব পালন দুটোই করতে হবে।’

প্রযুক্তিখাতে অভিজ্ঞ এই যুবক চাকরির বিজ্ঞাপনে আরও লিখেছেন, ‘এই ভূমিকায় শক্তিশালী আবেগগত সম্পর্ক গড়ে তোলা ও তা বজায় রাখা, অর্থবহ কথোপকথনে অংশ নেওয়া, সঙ্গ দেওয়া, পারস্পরিক সমর্থন এবং সঙ্গীর সঙ্গে বিভিন্ন কার্যক্রম বা শখে যুক্ত থাকার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’

তিনি আরও লেখেন, ‘সক্রিয় যোগাযোগ, পারস্পরিক সম্মান ও বোঝাপড়া এই ভূমিকাটির ভিত্তি হবে। পাশাপাশি যৌথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং ইতিবাচক ও সহায়ক সম্পর্কের পরিবেশ গড়ে তোলাও এর অন্তর্ভুক্ত।’

দীনেশ চাকরিপ্রার্থীর যোগ্যতার ক্ষেত্রে উচ্চমাত্রার আবেগগত বুদ্ধিমত্তা, শোনার সক্ষমতা, সহমর্মিতা ও আন্তঃব্যক্তিক দক্ষতার কথা উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া তিনি জানান, এমন একজনকে তিনি খুঁজছেন, যাঁর মধ্যে রসবোধ, দয়া এবং ইতিবাচক মানসিকতা থাকবে।

তিনি আরও যোগ করেন, ‘সম্পর্কের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ও যৌথ লক্ষ্যগুলোর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করার সক্ষমতা থাকতে হবে। শখ, কার্যক্রমে আগ্রহ বা একসঙ্গে নতুন অভিজ্ঞতা গড়ে তোলার মানসিকতারও প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি সম্পর্কের ভেতরে পারস্পরিক সমর্থন ও বিকাশে আগ্রহী হতে হবে।’

লিংকডইনে দেওয়া এই চাকরি খোঁজার মতো করে গার্লফ্রেন্ড খোঁজার পোস্টটি দ্রুতই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এটি নিয়ে রসিকতার বন্যা বইয়ে দেন নেটিজেনরা। অনেকেই এই অদ্ভুত চাকরির বিজ্ঞাপন নিয়ে ঠাট্টা–মশকরা করেন, আবার কেউ কেউ সরাসরি পারিশ্রমিক বা বেতন প্যাকেজ সম্পর্কে জানতে চান।

একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘ওহ, এখন সব পরিষ্কার! তাহলে আমার প্রাক্তন আমার সঙ্গে ছয় মাস গার্লফ্রেন্ড হিসেবে ইন্টার্নশিপ করেছিল, এরপর অন্য কোথাও ফুলটাইম গার্লফ্রেন্ডের চাকরি পেয়ে চলে গেছে।’

আরেকজন মন্তব্য করেন, ‘আপনি যদি আসলেই ভারতীয় হন, তাহলে যেকোনো অ্যাপই ডেটিং অ্যাপ বানিয়ে ফেলবেন।’

তৃতীয় একজন লিখেছেন, ‘পদের বিবরণ দেখে বেশ চমকপ্রদই লাগছে, কিন্তু স্যালারি কত?’

একজন ব্যবহারকারী প্রশ্ন করেন, ‘তিনি কি লিংকডইনের পোস্টের মাধ্যমে কোনো পরীক্ষা চালাচ্ছেন?’ উত্তরে দীনেশ বলেন, ‘একেবারেই না। এটি একটি প্রকৃত শূন্যপদ। প্রোফাইলটি ভালোভাবে বোঝার জন্য আমি চাকরির বিবরণ দেখার পরামর্শ দিচ্ছি। এছাড়া কেউ যদি আগ্রহী ও যোগ্য হন, তাদেরও নির্দেশনা দেওয়া যেতে পারে।’

শেষ আপডেট অনুযায়ী দীনেশ জানিয়েছেন, এই ‘চাকরির’ জন্য এরইমধ্যে ২৬ জন আবেদন করেছেন। এখন নতুন কোনো আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অফিসে ঘন ঘন টয়লেটে যাওয়ায় চাকরি হারালেন প্রকৌশলী

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ৪৯
প্রতীকী ছবি। ছবি: পিক্সাবে
প্রতীকী ছবি। ছবি: পিক্সাবে

কাজের মধ্যে ঘন ঘন টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নিয়ে চাকরি খুইয়েছেন এক চীনা প্রকৌশলী। চীনের পূর্বাঞ্চলের জিয়াংসু প্রদেশের ওই প্রকৌশলী ঘন ঘন এবং প্রতিবার এক ঘণ্টার বেশি সময় টয়লেটে কাটাচ্ছিলেন। যদিও তাঁর দাবি ছিল, তিনি অর্শ বা পাইলসের সমস্যায় ভুগছেন।

হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি ভাষার দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের খবরে বলা হয়েছে জিয়াংসু প্রদেশের লি নামক ওই ব্যক্তি গত বছর এপ্রিল থেকে মে মাসের মধ্যে এক মাসে ১৪ বার টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নেন। এর মধ্যে একবার তিনি চার ঘণ্টা টয়লেটে কাটান। এর জেরে তাঁকে চাকরি হারাতে হয়।

এই খবর সম্প্রতি সাংহাই ফেডারেশন অব ট্রেড ইউনিয়নসের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।

ওই ব্যক্তি বেআইনিভাবে চুক্তি বাতিলের জন্য কোম্পানির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করলে বিষয়টি সামনে আসে। লি প্রমাণ হিসেবে গত বছর মে ও জুন মাসে তাঁর সঙ্গীর কেনা অর্শের ওষুধ এবং চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তাঁর হাসপাতালে ভর্তি ও অস্ত্রোপচারের নথিও পেশ করেন।

এরপর লি ওই কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করে বেআইনিভাবে চুক্তি বাতিলের দায়ে ৩ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। অন্যদিকে কোম্পানি লি-এর ঘন ঘন এবং দীর্ঘ সময় ধরে বিরতিতে থাকার প্রমাণস্বরূপ সিসিটিভি ফুটেজ আদালতে জমা দেয়।

আদালতের বিশ্বাস, লি টয়লেটে যে সময় ব্যয় করেছেন, তা তাঁর ‘শারীরিক প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি’ ছিল। এ ছাড়া লি যে ডাক্তারি নথি জমা দিয়েছেন, তা তাঁর বহুবার দীর্ঘ পানির বিরতি নেওয়ার পরের সময়ের। চুক্তিতে প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও লি তাঁর অসুস্থতার কথা কোম্পানিকে আগে জানাননি বা অসুস্থতাজনিত ছুটির জন্য আবেদনও করেননি।

কোম্পানি লি-কে তাঁর অনুপস্থিতি লক্ষ্য করে প্রথমে একটি চ্যাট অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করে, কিন্তু কোনো উত্তর পায়নি। লি-এর পদে কাজ করার জন্য তাঁকে সব সময় কাজের অনুরোধে সাড়া দিতে হয়। সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করার পর কোম্পানি তাঁকে বরখাস্ত করে।

লি ২০১০ সালে কোম্পানিতে যোগ দেন এবং ২০১৪ সালে একটি উন্মুক্ত-মেয়াদি চুক্তি নবায়ন করেন। চুক্তি অনুযায়ী, অনুমতি ছাড়া নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নিজের কর্মস্থল ত্যাগ করাকে অনুপস্থিতি বলে গণ্য করা হবে এবং ১৮০ দিনের মধ্যে মোট তিন কার্যদিবস অনুপস্থিত থাকলে চুক্তি সঙ্গে সঙ্গে বাতিল হয়ে যাবে।

বরখাস্ত করার আগে কোম্পানি ট্রেড ইউনিয়নের অনুমতিও নিয়েছিল। দুই দফা বিচার পর্বের পর আদালত অবশেষে দুই পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা করেন এবং লি-এর কোম্পানিতে অবদানের কথা এবং বেকারত্বের পর তাঁর অসুবিধার কথা বিবেচনা করে কোম্পানিকে ৩০ হাজার ইউয়ান ভাতা দিয়ে মামলাটি মিটিয়ে নিতে রাজি করান।

চীনে এ ধরনের বিরতি নিয়ে বিতর্ক এই প্রথম নয়। এর আগে ২০২৩ সালেও জিয়াংসু প্রদেশের আরেক ব্যক্তিকে একই অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছিল। তাঁর দীর্ঘতম বিরতি ছিল এক দিনে ছয় ঘণ্টা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত