
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে পা রেখেই ১৮ বছর বয়সে বাবার কাছ থেকে মাত্র ৩০ হাজার টাকা নিয়ে এক বন্ধুর সঙ্গে প্লাস্টিক আমদানির ব্যবসা শুরু করেছিলেন তিনি। তখনই প্রথম সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন তিনি। এখন তিনি সেখানকার ৫০ শীর্ষ ধনীর একজন, সম্পদের পরিমাণ ১২ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। যার কথা বলছি, তিনি বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে ‘কুইক রেন্টাল’ নামে পরিচিত বহুল বিতর্কিত ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী শিল্পগোষ্ঠীর কর্ণধার সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান আজিজ খান।
যুক্তরাষ্ট্রের সাময়িকী ‘ফোর্বসে’র তৈরি সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ৫০ ধনীর তালিকায় এক ধাপ এগিয়ে তাঁর অবস্থান এখন ৪১তম। এখন তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ১১২ কোটি ডলার, যা গতবছর ছিল ১০০ কোটি ডলার। বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী সামিট গ্রুপের বিদ্যুৎ, বন্দর, ফাইবার অপটিক ও অবকাঠামো খাতের ব্যবসা রয়েছে।
প্লাস্টিক ব্যবসায়ী থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদক
ফোর্বসের তথ্য অনুযায়ী, ৬৮ বছর বয়সী আজিজ খান বাংলাদেশের নাগরিক হলেও সিঙ্গাপুরে আবাসিক। বিশ্বের বিলিয়নেয়ারের তালিকায় তাঁর অবস্থান ২৫৪০তম অবস্থানে। আজিজ খানের বাবা ছিলেন সেনা কর্মকর্তা। অবসরের পর তিনি নির্মাণ ব্যবসায় নামেন। আজিজ খান ব্যবসা দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করলেও পরে বাবার পথ অনুসরণ করে অবকাঠামো খাতে চলে যান। আজিজ খানের তিন সন্তান। তাঁর মেয়ে আয়েশা খানও বিদ্যুৎ খাতে; সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল দেখভাল করেন তিনি।
২০১৯ সালে জাপানি প্রতিষ্ঠান জেরার কাছে সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনালের ২২ শতাংশ শেয়ার ৩৩ কোটি মার্কিন ডলারে বিক্রি করেন আজিজ খান। সেই বিক্রয়মূল্যের ওপর ভিত্তি করে তখন সামিট পাওয়ারের বাজারমূল্য ১৫০ কোটি মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছিল।
সামিটের কর্ণধার আজিজ খানের বিলিয়নেয়ার হয়ে ওঠার গল্প তুলে ধরেছে সিঙ্গাপুর ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএ। এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা প্রশাসন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। মাত্র ১৮ বছর বয়সে তিনি ব্যবসা শুরু করেন। এক বন্ধুর সঙ্গে প্লাস্টিক আমদানির পাইকারি ব্যবসা করার সময় প্রথমবার সিঙ্গাপুরে ভ্রমণ করেন। পরে তিনি সার রপ্তানির ব্যবসাও করেন। পিভিসি (পলি ভিনাইল ক্লোরাইড) জুতা তৈরির জন্য প্ল্যান্ট কেনেন।
ব্যবসা পরিচালনা করতে গিয়ে আজিজ খানকে মাঝে মাঝেই বন্দরে বিদ্যুৎ সংকটের কারণে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হতো। ফলে তাঁকে বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। এ থেকে পরিত্রাণের জন্য তিনি বাংলাদেশ সরকারের কাছে বিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদনের আবেদন জানান। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষবকে বলেন, ‘আমাকে আপনার জন্য একটি পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপন করতে দিন। যেন জাহাজগুলোকে বন্দরে বেশি সময় থাকতে না হয়।’
একাধিক ব্যবসা থাকলেও মূলত বিদ্যুতের ব্যবসাই তাঁর সমৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখে। আজিজ খান ১৯৮৮ সাল থেকে সিঙ্গাপুরের স্থায়ী বাসিন্দা এবং ২০১৬ সালে তিনি তাঁর কোম্পানির সদর দপ্তর এখানে স্থানান্তর করেন।
বিদ্যুৎ খাতে সামিট গ্রুপের আধিপত্য
১৯৯৭ সালে দেশের বেসরকারি খাতের বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী (আইপিপি) প্রতিষ্ঠান সামিট পাওয়ার লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। এটি এখন দেশের বৃহৎ বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশের বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনের ১৯ শতাংশই উৎপাদন করে তাঁর প্রতিষ্ঠান। প্রায় পাঁচ দশকের ব্যবসায়ী জীবনে আজিজ খানের সম্পদের উল্লম্ফন হলেও এর বড় অংশই তৈরি হয়েছে গত এক দশকে।
সামিট পাওয়ারের বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, সামিট গ্রুপের তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্র ২০০১ সালে প্রথম উৎপাদনে আসে। কোম্পানিটির বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা ছিল ৩৩ মেগাওয়াট। ২০০৮ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১০৫ মেগাওয়াটে উঠে। ২০০৯ সালের পর থেকেই বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) সঙ্গে একের পর এক বিদ্যুৎ বিক্রির চুক্তিতে আবদ্ধ হতে থাকে কোম্পানিটি।
প্রথমে কুইক রেন্টাল পরে আইপিপি স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে থাকে সামিট পাওয়ার। গত এক দশকে বেসরকারি খাত থেকে বিদ্যুৎ কেনার দৌড়ে সামিটই সবচেয়ে এগিয়ে। তাই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে কোম্পানির মুনাফা ও সম্পদের পরিমাণ। বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রায় অর্ধেক সক্ষমতা অব্যবহৃত থাকলেও ক্যাপাসিটি চার্জ হিসেবে প্রতিবছর সরকারের বিপুল অর্থ ব্যয় নিয়ে সমালোচনা চলছে প্রায় দুই দশক ধরে।
চলতি বছরের জুলাইয়ে বিদ্যুৎ খাতের প্রকল্প বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের আইএমইডি বিভাগের এক গবেষণায় বলা হয়, দেশে স্থাপিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর মোট সক্ষমতার মাত্র ৫৬ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ ক্যাপাসিটি চার্জ হিসেবে জনগণের যে টাকা সরকার খরচে তার ৪৪ শতাংশই বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর পকেটে যাচ্ছে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, প্রকল্প গ্রহণের আগে সঠিকভাবে ফিজিবিলিটি স্টাডি বা নির্মিত প্ল্যান্টসমূহে জ্বালানি সরবরাহের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে প্রকল্প গ্রহণ করা হলে ওইসব কেন্দ্র বসিয়ে রেখে বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি দেয়ার প্রয়োজন হতো না।
সরকার যখন বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর সাথে চুক্তি করে তখন সে চুক্তিতে ক্যাপাসিটি চার্জ দেয়ার শর্তটি জুড়ে দেয়া থাকে। এই চার্জ অনেক সময় ডলারে পরিশোধ করা বা ডলারের বিনিময় হার অনুযায়ী পরিশোধের শর্ত থাকে। ফলে তা পরিশোধে আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
পিক আওয়ারে বাড়তি বিদ্যুতের চাহিদা মেটানোর কথা বলে মূলত বিদ্যুৎ খাতে বেসরকারি বিনিয়োগ আকর্ষণের লক্ষ্যে বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর কাছ থেকে কেনার জন্য এধরনের আইনি কাঠামো তৈরি করা হয়। ২০১০ সালে দ্রুততম সময়ে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য করা ওই আইন অনুযায়ী, বিদ্যুৎ খাতের ইউনিট প্রতি দাম ও খরচের মডেল জবাবদিহিতার উর্ধ্বে ছিল। একইসাথে দীর্ঘমেয়াদে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি স্বল্পসময়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাবে এমন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনেও গুরুত্ব দেয়া হয়, যাকে কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বলা হয়।
গত মঙ্গলবার সংসদে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, আওয়ামী লীগের তিন মেয়াদে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর জন্য ক্যাপাসিটি চার্জ বা ভাড়া বাবদ সরকার জনগণের ১ লাখ ৪ হাজার ৯২৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। এর মধ্যে একক গ্রুপ হিসেবে সবচেয়ে পেয়েছে সামিট গ্রুপ।
এক দশকে সামিটের সম্পদ ২১২৩ থেকে ১০৩০৯ কোটি টাকা
সংসদে যে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে, সেটি কেন্দ্রভিত্তিক। কিন্তু বিদেশি ও বেসরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর কোনো কোনোটির একাধিক কেন্দ্র রয়েছে। জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য ধরে বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, শিল্পগোষ্ঠী হিসেবে দেশের বিদ্যুৎ খাতের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান সামিট গ্রুপের ৯টি বিদ্যুৎকেন্দ্র ভাড়াবাবদ সর্বোচ্চ প্রায় ১৭ হাজার ৬১০ কোটি টাকা পেয়েছে। এছাড়া সামিট ও ইউনাইটেডের যৌথ মালিকানাধীন খুলনা পাওয়ার কোম্পানি (কেপিসিএল) তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে পেয়েছে ৩ হাজার ৭৪৪ কোটি টাকা।
আজিজ খানের সম্পদের বড় অংশের অবদান রাখছে সামিট পাওয়ার। গত ২০ বছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০০৩ থেকে ২০০৮ হিসাব বছর পর্যন্ত কোম্পানির সম্পদ ও নিট মুনাফায় যে হারে প্রবৃদ্ধি হয়, পরের হিসাব বছরগুলোতে তা ছিল অনেক বেশি। ২০০৩ সালে কোম্পানিটির সম্পদ ছিল ১০০ কোটি ৮২ লাখ এবং নিট মুনাফা হয় ১১ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।
২০০৮ সালে তা বেড়ে সম্পদ ৬৭০ কোটি ৭১ লাখ ও নিট মুনাফা হয় ৪৬ কোটি ২ লাখ টাকা। পরের বছরই তা বেড়ে যথাক্রমে ১ হাজার ১২ কোটি ১১ লাখ এবং ৭০ কোটি ৮ লাখ টাকা হয়। ২০১২ সালে সামিট পাওয়ারের সম্পদ হয় ২ হাজার ১২৩ কোটি ৬ লাখ এবং নিট মুনাফা ২৪৮ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। এক দশকের ব্যবধানে ২০২২ সালে সম্পদ বেড়ে ১০ হাজার ৩০৯ কোটি ১০ লাখ টাকায় এবং নিট মুনাফা ৬৭৩ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে পা রেখেই ১৮ বছর বয়সে বাবার কাছ থেকে মাত্র ৩০ হাজার টাকা নিয়ে এক বন্ধুর সঙ্গে প্লাস্টিক আমদানির ব্যবসা শুরু করেছিলেন তিনি। তখনই প্রথম সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন তিনি। এখন তিনি সেখানকার ৫০ শীর্ষ ধনীর একজন, সম্পদের পরিমাণ ১২ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। যার কথা বলছি, তিনি বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে ‘কুইক রেন্টাল’ নামে পরিচিত বহুল বিতর্কিত ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী শিল্পগোষ্ঠীর কর্ণধার সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান আজিজ খান।
যুক্তরাষ্ট্রের সাময়িকী ‘ফোর্বসে’র তৈরি সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ৫০ ধনীর তালিকায় এক ধাপ এগিয়ে তাঁর অবস্থান এখন ৪১তম। এখন তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ১১২ কোটি ডলার, যা গতবছর ছিল ১০০ কোটি ডলার। বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী সামিট গ্রুপের বিদ্যুৎ, বন্দর, ফাইবার অপটিক ও অবকাঠামো খাতের ব্যবসা রয়েছে।
প্লাস্টিক ব্যবসায়ী থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদক
ফোর্বসের তথ্য অনুযায়ী, ৬৮ বছর বয়সী আজিজ খান বাংলাদেশের নাগরিক হলেও সিঙ্গাপুরে আবাসিক। বিশ্বের বিলিয়নেয়ারের তালিকায় তাঁর অবস্থান ২৫৪০তম অবস্থানে। আজিজ খানের বাবা ছিলেন সেনা কর্মকর্তা। অবসরের পর তিনি নির্মাণ ব্যবসায় নামেন। আজিজ খান ব্যবসা দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করলেও পরে বাবার পথ অনুসরণ করে অবকাঠামো খাতে চলে যান। আজিজ খানের তিন সন্তান। তাঁর মেয়ে আয়েশা খানও বিদ্যুৎ খাতে; সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল দেখভাল করেন তিনি।
২০১৯ সালে জাপানি প্রতিষ্ঠান জেরার কাছে সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনালের ২২ শতাংশ শেয়ার ৩৩ কোটি মার্কিন ডলারে বিক্রি করেন আজিজ খান। সেই বিক্রয়মূল্যের ওপর ভিত্তি করে তখন সামিট পাওয়ারের বাজারমূল্য ১৫০ কোটি মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছিল।
সামিটের কর্ণধার আজিজ খানের বিলিয়নেয়ার হয়ে ওঠার গল্প তুলে ধরেছে সিঙ্গাপুর ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএ। এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা প্রশাসন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। মাত্র ১৮ বছর বয়সে তিনি ব্যবসা শুরু করেন। এক বন্ধুর সঙ্গে প্লাস্টিক আমদানির পাইকারি ব্যবসা করার সময় প্রথমবার সিঙ্গাপুরে ভ্রমণ করেন। পরে তিনি সার রপ্তানির ব্যবসাও করেন। পিভিসি (পলি ভিনাইল ক্লোরাইড) জুতা তৈরির জন্য প্ল্যান্ট কেনেন।
ব্যবসা পরিচালনা করতে গিয়ে আজিজ খানকে মাঝে মাঝেই বন্দরে বিদ্যুৎ সংকটের কারণে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হতো। ফলে তাঁকে বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। এ থেকে পরিত্রাণের জন্য তিনি বাংলাদেশ সরকারের কাছে বিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদনের আবেদন জানান। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষবকে বলেন, ‘আমাকে আপনার জন্য একটি পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপন করতে দিন। যেন জাহাজগুলোকে বন্দরে বেশি সময় থাকতে না হয়।’
একাধিক ব্যবসা থাকলেও মূলত বিদ্যুতের ব্যবসাই তাঁর সমৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখে। আজিজ খান ১৯৮৮ সাল থেকে সিঙ্গাপুরের স্থায়ী বাসিন্দা এবং ২০১৬ সালে তিনি তাঁর কোম্পানির সদর দপ্তর এখানে স্থানান্তর করেন।
বিদ্যুৎ খাতে সামিট গ্রুপের আধিপত্য
১৯৯৭ সালে দেশের বেসরকারি খাতের বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী (আইপিপি) প্রতিষ্ঠান সামিট পাওয়ার লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। এটি এখন দেশের বৃহৎ বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশের বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনের ১৯ শতাংশই উৎপাদন করে তাঁর প্রতিষ্ঠান। প্রায় পাঁচ দশকের ব্যবসায়ী জীবনে আজিজ খানের সম্পদের উল্লম্ফন হলেও এর বড় অংশই তৈরি হয়েছে গত এক দশকে।
সামিট পাওয়ারের বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, সামিট গ্রুপের তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্র ২০০১ সালে প্রথম উৎপাদনে আসে। কোম্পানিটির বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা ছিল ৩৩ মেগাওয়াট। ২০০৮ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১০৫ মেগাওয়াটে উঠে। ২০০৯ সালের পর থেকেই বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) সঙ্গে একের পর এক বিদ্যুৎ বিক্রির চুক্তিতে আবদ্ধ হতে থাকে কোম্পানিটি।
প্রথমে কুইক রেন্টাল পরে আইপিপি স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে থাকে সামিট পাওয়ার। গত এক দশকে বেসরকারি খাত থেকে বিদ্যুৎ কেনার দৌড়ে সামিটই সবচেয়ে এগিয়ে। তাই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে কোম্পানির মুনাফা ও সম্পদের পরিমাণ। বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রায় অর্ধেক সক্ষমতা অব্যবহৃত থাকলেও ক্যাপাসিটি চার্জ হিসেবে প্রতিবছর সরকারের বিপুল অর্থ ব্যয় নিয়ে সমালোচনা চলছে প্রায় দুই দশক ধরে।
চলতি বছরের জুলাইয়ে বিদ্যুৎ খাতের প্রকল্প বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের আইএমইডি বিভাগের এক গবেষণায় বলা হয়, দেশে স্থাপিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর মোট সক্ষমতার মাত্র ৫৬ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ ক্যাপাসিটি চার্জ হিসেবে জনগণের যে টাকা সরকার খরচে তার ৪৪ শতাংশই বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর পকেটে যাচ্ছে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, প্রকল্প গ্রহণের আগে সঠিকভাবে ফিজিবিলিটি স্টাডি বা নির্মিত প্ল্যান্টসমূহে জ্বালানি সরবরাহের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে প্রকল্প গ্রহণ করা হলে ওইসব কেন্দ্র বসিয়ে রেখে বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি দেয়ার প্রয়োজন হতো না।
সরকার যখন বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর সাথে চুক্তি করে তখন সে চুক্তিতে ক্যাপাসিটি চার্জ দেয়ার শর্তটি জুড়ে দেয়া থাকে। এই চার্জ অনেক সময় ডলারে পরিশোধ করা বা ডলারের বিনিময় হার অনুযায়ী পরিশোধের শর্ত থাকে। ফলে তা পরিশোধে আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
পিক আওয়ারে বাড়তি বিদ্যুতের চাহিদা মেটানোর কথা বলে মূলত বিদ্যুৎ খাতে বেসরকারি বিনিয়োগ আকর্ষণের লক্ষ্যে বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর কাছ থেকে কেনার জন্য এধরনের আইনি কাঠামো তৈরি করা হয়। ২০১০ সালে দ্রুততম সময়ে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য করা ওই আইন অনুযায়ী, বিদ্যুৎ খাতের ইউনিট প্রতি দাম ও খরচের মডেল জবাবদিহিতার উর্ধ্বে ছিল। একইসাথে দীর্ঘমেয়াদে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি স্বল্পসময়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাবে এমন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনেও গুরুত্ব দেয়া হয়, যাকে কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বলা হয়।
গত মঙ্গলবার সংসদে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, আওয়ামী লীগের তিন মেয়াদে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর জন্য ক্যাপাসিটি চার্জ বা ভাড়া বাবদ সরকার জনগণের ১ লাখ ৪ হাজার ৯২৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। এর মধ্যে একক গ্রুপ হিসেবে সবচেয়ে পেয়েছে সামিট গ্রুপ।
এক দশকে সামিটের সম্পদ ২১২৩ থেকে ১০৩০৯ কোটি টাকা
সংসদে যে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে, সেটি কেন্দ্রভিত্তিক। কিন্তু বিদেশি ও বেসরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর কোনো কোনোটির একাধিক কেন্দ্র রয়েছে। জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য ধরে বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, শিল্পগোষ্ঠী হিসেবে দেশের বিদ্যুৎ খাতের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান সামিট গ্রুপের ৯টি বিদ্যুৎকেন্দ্র ভাড়াবাবদ সর্বোচ্চ প্রায় ১৭ হাজার ৬১০ কোটি টাকা পেয়েছে। এছাড়া সামিট ও ইউনাইটেডের যৌথ মালিকানাধীন খুলনা পাওয়ার কোম্পানি (কেপিসিএল) তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে পেয়েছে ৩ হাজার ৭৪৪ কোটি টাকা।
আজিজ খানের সম্পদের বড় অংশের অবদান রাখছে সামিট পাওয়ার। গত ২০ বছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০০৩ থেকে ২০০৮ হিসাব বছর পর্যন্ত কোম্পানির সম্পদ ও নিট মুনাফায় যে হারে প্রবৃদ্ধি হয়, পরের হিসাব বছরগুলোতে তা ছিল অনেক বেশি। ২০০৩ সালে কোম্পানিটির সম্পদ ছিল ১০০ কোটি ৮২ লাখ এবং নিট মুনাফা হয় ১১ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।
২০০৮ সালে তা বেড়ে সম্পদ ৬৭০ কোটি ৭১ লাখ ও নিট মুনাফা হয় ৪৬ কোটি ২ লাখ টাকা। পরের বছরই তা বেড়ে যথাক্রমে ১ হাজার ১২ কোটি ১১ লাখ এবং ৭০ কোটি ৮ লাখ টাকা হয়। ২০১২ সালে সামিট পাওয়ারের সম্পদ হয় ২ হাজার ১২৩ কোটি ৬ লাখ এবং নিট মুনাফা ২৪৮ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। এক দশকের ব্যবধানে ২০২২ সালে সম্পদ বেড়ে ১০ হাজার ৩০৯ কোটি ১০ লাখ টাকায় এবং নিট মুনাফা ৬৭৩ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে পা রেখেই ১৮ বছর বয়সে বাবার কাছ থেকে মাত্র ৩০ হাজার টাকা নিয়ে এক বন্ধুর সঙ্গে প্লাস্টিক আমদানির ব্যবসা শুরু করেছিলেন তিনি। তখনই প্রথম সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন তিনি। এখন তিনি সেখানকার ৫০ শীর্ষ ধনীর একজন, সম্পদের পরিমাণ ১২ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। যার কথা বলছি, তিনি বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে ‘কুইক রেন্টাল’ নামে পরিচিত বহুল বিতর্কিত ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী শিল্পগোষ্ঠীর কর্ণধার সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান আজিজ খান।
যুক্তরাষ্ট্রের সাময়িকী ‘ফোর্বসে’র তৈরি সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ৫০ ধনীর তালিকায় এক ধাপ এগিয়ে তাঁর অবস্থান এখন ৪১তম। এখন তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ১১২ কোটি ডলার, যা গতবছর ছিল ১০০ কোটি ডলার। বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী সামিট গ্রুপের বিদ্যুৎ, বন্দর, ফাইবার অপটিক ও অবকাঠামো খাতের ব্যবসা রয়েছে।
প্লাস্টিক ব্যবসায়ী থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদক
ফোর্বসের তথ্য অনুযায়ী, ৬৮ বছর বয়সী আজিজ খান বাংলাদেশের নাগরিক হলেও সিঙ্গাপুরে আবাসিক। বিশ্বের বিলিয়নেয়ারের তালিকায় তাঁর অবস্থান ২৫৪০তম অবস্থানে। আজিজ খানের বাবা ছিলেন সেনা কর্মকর্তা। অবসরের পর তিনি নির্মাণ ব্যবসায় নামেন। আজিজ খান ব্যবসা দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করলেও পরে বাবার পথ অনুসরণ করে অবকাঠামো খাতে চলে যান। আজিজ খানের তিন সন্তান। তাঁর মেয়ে আয়েশা খানও বিদ্যুৎ খাতে; সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল দেখভাল করেন তিনি।
২০১৯ সালে জাপানি প্রতিষ্ঠান জেরার কাছে সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনালের ২২ শতাংশ শেয়ার ৩৩ কোটি মার্কিন ডলারে বিক্রি করেন আজিজ খান। সেই বিক্রয়মূল্যের ওপর ভিত্তি করে তখন সামিট পাওয়ারের বাজারমূল্য ১৫০ কোটি মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছিল।
সামিটের কর্ণধার আজিজ খানের বিলিয়নেয়ার হয়ে ওঠার গল্প তুলে ধরেছে সিঙ্গাপুর ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএ। এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা প্রশাসন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। মাত্র ১৮ বছর বয়সে তিনি ব্যবসা শুরু করেন। এক বন্ধুর সঙ্গে প্লাস্টিক আমদানির পাইকারি ব্যবসা করার সময় প্রথমবার সিঙ্গাপুরে ভ্রমণ করেন। পরে তিনি সার রপ্তানির ব্যবসাও করেন। পিভিসি (পলি ভিনাইল ক্লোরাইড) জুতা তৈরির জন্য প্ল্যান্ট কেনেন।
ব্যবসা পরিচালনা করতে গিয়ে আজিজ খানকে মাঝে মাঝেই বন্দরে বিদ্যুৎ সংকটের কারণে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হতো। ফলে তাঁকে বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। এ থেকে পরিত্রাণের জন্য তিনি বাংলাদেশ সরকারের কাছে বিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদনের আবেদন জানান। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষবকে বলেন, ‘আমাকে আপনার জন্য একটি পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপন করতে দিন। যেন জাহাজগুলোকে বন্দরে বেশি সময় থাকতে না হয়।’
একাধিক ব্যবসা থাকলেও মূলত বিদ্যুতের ব্যবসাই তাঁর সমৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখে। আজিজ খান ১৯৮৮ সাল থেকে সিঙ্গাপুরের স্থায়ী বাসিন্দা এবং ২০১৬ সালে তিনি তাঁর কোম্পানির সদর দপ্তর এখানে স্থানান্তর করেন।
বিদ্যুৎ খাতে সামিট গ্রুপের আধিপত্য
১৯৯৭ সালে দেশের বেসরকারি খাতের বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী (আইপিপি) প্রতিষ্ঠান সামিট পাওয়ার লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। এটি এখন দেশের বৃহৎ বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশের বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনের ১৯ শতাংশই উৎপাদন করে তাঁর প্রতিষ্ঠান। প্রায় পাঁচ দশকের ব্যবসায়ী জীবনে আজিজ খানের সম্পদের উল্লম্ফন হলেও এর বড় অংশই তৈরি হয়েছে গত এক দশকে।
সামিট পাওয়ারের বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, সামিট গ্রুপের তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্র ২০০১ সালে প্রথম উৎপাদনে আসে। কোম্পানিটির বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা ছিল ৩৩ মেগাওয়াট। ২০০৮ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১০৫ মেগাওয়াটে উঠে। ২০০৯ সালের পর থেকেই বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) সঙ্গে একের পর এক বিদ্যুৎ বিক্রির চুক্তিতে আবদ্ধ হতে থাকে কোম্পানিটি।
প্রথমে কুইক রেন্টাল পরে আইপিপি স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে থাকে সামিট পাওয়ার। গত এক দশকে বেসরকারি খাত থেকে বিদ্যুৎ কেনার দৌড়ে সামিটই সবচেয়ে এগিয়ে। তাই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে কোম্পানির মুনাফা ও সম্পদের পরিমাণ। বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রায় অর্ধেক সক্ষমতা অব্যবহৃত থাকলেও ক্যাপাসিটি চার্জ হিসেবে প্রতিবছর সরকারের বিপুল অর্থ ব্যয় নিয়ে সমালোচনা চলছে প্রায় দুই দশক ধরে।
চলতি বছরের জুলাইয়ে বিদ্যুৎ খাতের প্রকল্প বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের আইএমইডি বিভাগের এক গবেষণায় বলা হয়, দেশে স্থাপিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর মোট সক্ষমতার মাত্র ৫৬ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ ক্যাপাসিটি চার্জ হিসেবে জনগণের যে টাকা সরকার খরচে তার ৪৪ শতাংশই বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর পকেটে যাচ্ছে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, প্রকল্প গ্রহণের আগে সঠিকভাবে ফিজিবিলিটি স্টাডি বা নির্মিত প্ল্যান্টসমূহে জ্বালানি সরবরাহের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে প্রকল্প গ্রহণ করা হলে ওইসব কেন্দ্র বসিয়ে রেখে বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি দেয়ার প্রয়োজন হতো না।
সরকার যখন বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর সাথে চুক্তি করে তখন সে চুক্তিতে ক্যাপাসিটি চার্জ দেয়ার শর্তটি জুড়ে দেয়া থাকে। এই চার্জ অনেক সময় ডলারে পরিশোধ করা বা ডলারের বিনিময় হার অনুযায়ী পরিশোধের শর্ত থাকে। ফলে তা পরিশোধে আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
পিক আওয়ারে বাড়তি বিদ্যুতের চাহিদা মেটানোর কথা বলে মূলত বিদ্যুৎ খাতে বেসরকারি বিনিয়োগ আকর্ষণের লক্ষ্যে বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর কাছ থেকে কেনার জন্য এধরনের আইনি কাঠামো তৈরি করা হয়। ২০১০ সালে দ্রুততম সময়ে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য করা ওই আইন অনুযায়ী, বিদ্যুৎ খাতের ইউনিট প্রতি দাম ও খরচের মডেল জবাবদিহিতার উর্ধ্বে ছিল। একইসাথে দীর্ঘমেয়াদে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি স্বল্পসময়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাবে এমন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনেও গুরুত্ব দেয়া হয়, যাকে কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বলা হয়।
গত মঙ্গলবার সংসদে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, আওয়ামী লীগের তিন মেয়াদে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর জন্য ক্যাপাসিটি চার্জ বা ভাড়া বাবদ সরকার জনগণের ১ লাখ ৪ হাজার ৯২৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। এর মধ্যে একক গ্রুপ হিসেবে সবচেয়ে পেয়েছে সামিট গ্রুপ।
এক দশকে সামিটের সম্পদ ২১২৩ থেকে ১০৩০৯ কোটি টাকা
সংসদে যে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে, সেটি কেন্দ্রভিত্তিক। কিন্তু বিদেশি ও বেসরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর কোনো কোনোটির একাধিক কেন্দ্র রয়েছে। জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য ধরে বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, শিল্পগোষ্ঠী হিসেবে দেশের বিদ্যুৎ খাতের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান সামিট গ্রুপের ৯টি বিদ্যুৎকেন্দ্র ভাড়াবাবদ সর্বোচ্চ প্রায় ১৭ হাজার ৬১০ কোটি টাকা পেয়েছে। এছাড়া সামিট ও ইউনাইটেডের যৌথ মালিকানাধীন খুলনা পাওয়ার কোম্পানি (কেপিসিএল) তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে পেয়েছে ৩ হাজার ৭৪৪ কোটি টাকা।
আজিজ খানের সম্পদের বড় অংশের অবদান রাখছে সামিট পাওয়ার। গত ২০ বছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০০৩ থেকে ২০০৮ হিসাব বছর পর্যন্ত কোম্পানির সম্পদ ও নিট মুনাফায় যে হারে প্রবৃদ্ধি হয়, পরের হিসাব বছরগুলোতে তা ছিল অনেক বেশি। ২০০৩ সালে কোম্পানিটির সম্পদ ছিল ১০০ কোটি ৮২ লাখ এবং নিট মুনাফা হয় ১১ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।
২০০৮ সালে তা বেড়ে সম্পদ ৬৭০ কোটি ৭১ লাখ ও নিট মুনাফা হয় ৪৬ কোটি ২ লাখ টাকা। পরের বছরই তা বেড়ে যথাক্রমে ১ হাজার ১২ কোটি ১১ লাখ এবং ৭০ কোটি ৮ লাখ টাকা হয়। ২০১২ সালে সামিট পাওয়ারের সম্পদ হয় ২ হাজার ১২৩ কোটি ৬ লাখ এবং নিট মুনাফা ২৪৮ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। এক দশকের ব্যবধানে ২০২২ সালে সম্পদ বেড়ে ১০ হাজার ৩০৯ কোটি ১০ লাখ টাকায় এবং নিট মুনাফা ৬৭৩ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে পা রেখেই ১৮ বছর বয়সে বাবার কাছ থেকে মাত্র ৩০ হাজার টাকা নিয়ে এক বন্ধুর সঙ্গে প্লাস্টিক আমদানির ব্যবসা শুরু করেছিলেন তিনি। তখনই প্রথম সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন তিনি। এখন তিনি সেখানকার ৫০ শীর্ষ ধনীর একজন, সম্পদের পরিমাণ ১২ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। যার কথা বলছি, তিনি বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে ‘কুইক রেন্টাল’ নামে পরিচিত বহুল বিতর্কিত ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী শিল্পগোষ্ঠীর কর্ণধার সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান আজিজ খান।
যুক্তরাষ্ট্রের সাময়িকী ‘ফোর্বসে’র তৈরি সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ৫০ ধনীর তালিকায় এক ধাপ এগিয়ে তাঁর অবস্থান এখন ৪১তম। এখন তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ১১২ কোটি ডলার, যা গতবছর ছিল ১০০ কোটি ডলার। বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী সামিট গ্রুপের বিদ্যুৎ, বন্দর, ফাইবার অপটিক ও অবকাঠামো খাতের ব্যবসা রয়েছে।
প্লাস্টিক ব্যবসায়ী থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদক
ফোর্বসের তথ্য অনুযায়ী, ৬৮ বছর বয়সী আজিজ খান বাংলাদেশের নাগরিক হলেও সিঙ্গাপুরে আবাসিক। বিশ্বের বিলিয়নেয়ারের তালিকায় তাঁর অবস্থান ২৫৪০তম অবস্থানে। আজিজ খানের বাবা ছিলেন সেনা কর্মকর্তা। অবসরের পর তিনি নির্মাণ ব্যবসায় নামেন। আজিজ খান ব্যবসা দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করলেও পরে বাবার পথ অনুসরণ করে অবকাঠামো খাতে চলে যান। আজিজ খানের তিন সন্তান। তাঁর মেয়ে আয়েশা খানও বিদ্যুৎ খাতে; সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল দেখভাল করেন তিনি।
২০১৯ সালে জাপানি প্রতিষ্ঠান জেরার কাছে সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনালের ২২ শতাংশ শেয়ার ৩৩ কোটি মার্কিন ডলারে বিক্রি করেন আজিজ খান। সেই বিক্রয়মূল্যের ওপর ভিত্তি করে তখন সামিট পাওয়ারের বাজারমূল্য ১৫০ কোটি মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছিল।
সামিটের কর্ণধার আজিজ খানের বিলিয়নেয়ার হয়ে ওঠার গল্প তুলে ধরেছে সিঙ্গাপুর ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএ। এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা প্রশাসন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। মাত্র ১৮ বছর বয়সে তিনি ব্যবসা শুরু করেন। এক বন্ধুর সঙ্গে প্লাস্টিক আমদানির পাইকারি ব্যবসা করার সময় প্রথমবার সিঙ্গাপুরে ভ্রমণ করেন। পরে তিনি সার রপ্তানির ব্যবসাও করেন। পিভিসি (পলি ভিনাইল ক্লোরাইড) জুতা তৈরির জন্য প্ল্যান্ট কেনেন।
ব্যবসা পরিচালনা করতে গিয়ে আজিজ খানকে মাঝে মাঝেই বন্দরে বিদ্যুৎ সংকটের কারণে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হতো। ফলে তাঁকে বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। এ থেকে পরিত্রাণের জন্য তিনি বাংলাদেশ সরকারের কাছে বিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদনের আবেদন জানান। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষবকে বলেন, ‘আমাকে আপনার জন্য একটি পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপন করতে দিন। যেন জাহাজগুলোকে বন্দরে বেশি সময় থাকতে না হয়।’
একাধিক ব্যবসা থাকলেও মূলত বিদ্যুতের ব্যবসাই তাঁর সমৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখে। আজিজ খান ১৯৮৮ সাল থেকে সিঙ্গাপুরের স্থায়ী বাসিন্দা এবং ২০১৬ সালে তিনি তাঁর কোম্পানির সদর দপ্তর এখানে স্থানান্তর করেন।
বিদ্যুৎ খাতে সামিট গ্রুপের আধিপত্য
১৯৯৭ সালে দেশের বেসরকারি খাতের বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী (আইপিপি) প্রতিষ্ঠান সামিট পাওয়ার লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। এটি এখন দেশের বৃহৎ বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশের বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনের ১৯ শতাংশই উৎপাদন করে তাঁর প্রতিষ্ঠান। প্রায় পাঁচ দশকের ব্যবসায়ী জীবনে আজিজ খানের সম্পদের উল্লম্ফন হলেও এর বড় অংশই তৈরি হয়েছে গত এক দশকে।
সামিট পাওয়ারের বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, সামিট গ্রুপের তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্র ২০০১ সালে প্রথম উৎপাদনে আসে। কোম্পানিটির বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা ছিল ৩৩ মেগাওয়াট। ২০০৮ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১০৫ মেগাওয়াটে উঠে। ২০০৯ সালের পর থেকেই বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) সঙ্গে একের পর এক বিদ্যুৎ বিক্রির চুক্তিতে আবদ্ধ হতে থাকে কোম্পানিটি।
প্রথমে কুইক রেন্টাল পরে আইপিপি স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে থাকে সামিট পাওয়ার। গত এক দশকে বেসরকারি খাত থেকে বিদ্যুৎ কেনার দৌড়ে সামিটই সবচেয়ে এগিয়ে। তাই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে কোম্পানির মুনাফা ও সম্পদের পরিমাণ। বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রায় অর্ধেক সক্ষমতা অব্যবহৃত থাকলেও ক্যাপাসিটি চার্জ হিসেবে প্রতিবছর সরকারের বিপুল অর্থ ব্যয় নিয়ে সমালোচনা চলছে প্রায় দুই দশক ধরে।
চলতি বছরের জুলাইয়ে বিদ্যুৎ খাতের প্রকল্প বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের আইএমইডি বিভাগের এক গবেষণায় বলা হয়, দেশে স্থাপিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর মোট সক্ষমতার মাত্র ৫৬ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ ক্যাপাসিটি চার্জ হিসেবে জনগণের যে টাকা সরকার খরচে তার ৪৪ শতাংশই বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর পকেটে যাচ্ছে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, প্রকল্প গ্রহণের আগে সঠিকভাবে ফিজিবিলিটি স্টাডি বা নির্মিত প্ল্যান্টসমূহে জ্বালানি সরবরাহের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে প্রকল্প গ্রহণ করা হলে ওইসব কেন্দ্র বসিয়ে রেখে বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি দেয়ার প্রয়োজন হতো না।
সরকার যখন বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর সাথে চুক্তি করে তখন সে চুক্তিতে ক্যাপাসিটি চার্জ দেয়ার শর্তটি জুড়ে দেয়া থাকে। এই চার্জ অনেক সময় ডলারে পরিশোধ করা বা ডলারের বিনিময় হার অনুযায়ী পরিশোধের শর্ত থাকে। ফলে তা পরিশোধে আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
পিক আওয়ারে বাড়তি বিদ্যুতের চাহিদা মেটানোর কথা বলে মূলত বিদ্যুৎ খাতে বেসরকারি বিনিয়োগ আকর্ষণের লক্ষ্যে বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর কাছ থেকে কেনার জন্য এধরনের আইনি কাঠামো তৈরি করা হয়। ২০১০ সালে দ্রুততম সময়ে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য করা ওই আইন অনুযায়ী, বিদ্যুৎ খাতের ইউনিট প্রতি দাম ও খরচের মডেল জবাবদিহিতার উর্ধ্বে ছিল। একইসাথে দীর্ঘমেয়াদে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি স্বল্পসময়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাবে এমন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনেও গুরুত্ব দেয়া হয়, যাকে কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বলা হয়।
গত মঙ্গলবার সংসদে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, আওয়ামী লীগের তিন মেয়াদে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর জন্য ক্যাপাসিটি চার্জ বা ভাড়া বাবদ সরকার জনগণের ১ লাখ ৪ হাজার ৯২৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। এর মধ্যে একক গ্রুপ হিসেবে সবচেয়ে পেয়েছে সামিট গ্রুপ।
এক দশকে সামিটের সম্পদ ২১২৩ থেকে ১০৩০৯ কোটি টাকা
সংসদে যে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে, সেটি কেন্দ্রভিত্তিক। কিন্তু বিদেশি ও বেসরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর কোনো কোনোটির একাধিক কেন্দ্র রয়েছে। জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য ধরে বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, শিল্পগোষ্ঠী হিসেবে দেশের বিদ্যুৎ খাতের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান সামিট গ্রুপের ৯টি বিদ্যুৎকেন্দ্র ভাড়াবাবদ সর্বোচ্চ প্রায় ১৭ হাজার ৬১০ কোটি টাকা পেয়েছে। এছাড়া সামিট ও ইউনাইটেডের যৌথ মালিকানাধীন খুলনা পাওয়ার কোম্পানি (কেপিসিএল) তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে পেয়েছে ৩ হাজার ৭৪৪ কোটি টাকা।
আজিজ খানের সম্পদের বড় অংশের অবদান রাখছে সামিট পাওয়ার। গত ২০ বছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০০৩ থেকে ২০০৮ হিসাব বছর পর্যন্ত কোম্পানির সম্পদ ও নিট মুনাফায় যে হারে প্রবৃদ্ধি হয়, পরের হিসাব বছরগুলোতে তা ছিল অনেক বেশি। ২০০৩ সালে কোম্পানিটির সম্পদ ছিল ১০০ কোটি ৮২ লাখ এবং নিট মুনাফা হয় ১১ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।
২০০৮ সালে তা বেড়ে সম্পদ ৬৭০ কোটি ৭১ লাখ ও নিট মুনাফা হয় ৪৬ কোটি ২ লাখ টাকা। পরের বছরই তা বেড়ে যথাক্রমে ১ হাজার ১২ কোটি ১১ লাখ এবং ৭০ কোটি ৮ লাখ টাকা হয়। ২০১২ সালে সামিট পাওয়ারের সম্পদ হয় ২ হাজার ১২৩ কোটি ৬ লাখ এবং নিট মুনাফা ২৪৮ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। এক দশকের ব্যবধানে ২০২২ সালে সম্পদ বেড়ে ১০ হাজার ৩০৯ কোটি ১০ লাখ টাকায় এবং নিট মুনাফা ৬৭৩ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।

চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ...
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
৬ ঘণ্টা আগে
ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
১ দিন আগেআইএমইডির নভেম্বর মাসের প্রতিবেদন
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার বড় হলেও বাস্তব অগ্রগতি একেবারেই হতাশাজনক।
প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর—এই পাঁচ মাসে উন্নয়ন ব্যয় হয়েছে ২৮ হাজার ৪৩ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের মাত্র ১১.৭৫ শতাংশ। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ব্যয় ছিল ৩৪ হাজার ২১৫ কোটি টাকা বা ১২ দশমিক ২৯ শতাংশ। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় পিছিয়ে আছে ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর থেকে স্পষ্ট হচ্ছে, সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প যেন এগোচ্ছেই না। সরকারি তহবিল, বৈদেশিক সহায়তা ও সংস্থাগুলোর নিজস্ব অর্থায়ন—প্রকল্প বাস্তবায়নে উন্নয়ন ব্যয়ের এ তিন উৎসের প্রতিটিতেই যেন মন্থরতা লক্ষণীয়।
শুধু অর্থবছরের সার্বিক পরিস্থিতিই নয়, এডিপির মাসওয়ারি অগ্রগতি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, নভেম্বর মাসের তথ্য আরও চিন্তার। এই এক মাসে বাস্তবায়ন হয়েছে ৮ হাজার ১৬৫ কোটি টাকার মতো, যেখানে আগের বছরের নভেম্বরেই ব্যয় ছিল ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি। এক মাসেই ব্যয় কমে গেছে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রগতির হার মাত্র ৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এই ধীরগতি কোনো স্বাভাবিক মৌসুমি প্রবণতা নয়; বরং প্রকল্প ব্যবস্থাপনার ভেতরে জমে থাকা নানা অচলাবস্থার ফল।
প্রকল্প অনুমোদনে বিলম্ব, টেন্ডারপ্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হওয়া, দক্ষ ঠিকাদারের অভাব, মাঠপর্যায়ে প্রকৌশল বিভাগগুলোর সংকোচন—এসব মিলেই উন্নয়ন ব্যয় জমে থাকছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সরকার পরিবর্তনের পর প্রশাসনে তৈরি হওয়া মন্থরতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে দ্বিধা। আইএমইডি কর্মকর্তারা বলছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময়ে পুরো প্রশাসনিক কাঠামো একধরনের অচল অবস্থায় ছিল, যার ধাক্কা এখনো পুরোপুরি কাটেনি।
মন্ত্রণালয়ভিত্তিক ব্যয়ে বৈষম্যও স্পষ্ট। বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও সংসদবিষয়ক সচিবালয় মন্ত্রণালয় পাঁচ মাসে এক টাকাও ব্যয় করতে পারেনি। কিছু বিভাগ অগ্রগতি দেখালেও, তা সমগ্র চিত্র বদলে দেওয়ার মতো নয়। বিপরীতে খাদ্য মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ ১৩২.৭৮ শতাংশ ব্যয় করেছে, যা বরাদ্দের চেয়েও বেশি ব্যয়—এটি চলমান প্রকল্পগুলোর প্রকৃত অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য আছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আইএমইডির মতে, প্রকৃত ব্যয় ও আর্থিক প্রতিবেদনের মধ্যকার এ ধরনের ব্যবধান ভবিষ্যতে প্রকল্প মূল্যায়নকে আরও জটিল করে তুলবে।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলছেন, ‘বাস্তবায়নের হার স্পষ্টতই কম। শুধু সংখ্যা নয়, কেন এই অবস্থা, সেটাই এখন সবচেয়ে জরুরি প্রশ্ন।’ বিশেষজ্ঞদের মতে, সামনের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন থাকায় ব্যবস্থাপনায় আরও ধীরতা দেখা দিতে পারে। ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফিন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক মুস্তফা কে মুজেরী এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, অর্থবছরের শুরুতে সাধারণত কিছুটা ধীরতা দেখা গেলেও এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। নির্বাচনকালীন প্রশাসন সাধারণত ঝুঁকিনির্ভর হয় না, ফলে প্রকল্পের গতি আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল।
সব মিলে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, প্রশাসনিক দ্বিধা এবং মাঠপর্যায়ে নিয়ন্ত্রণহীনতা মিলিয়ে এডিপি বাস্তবায়ন যে পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে, তা দিয়ে নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন খুব কঠিন—এমনটি ধারণা করা হচ্ছে পরিকল্পনা কমিশনের ভেতরেও।
চলতি অর্থবছরে এডিপি বরাদ্দ ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু প্রথম পাঁচ মাসে যে গতি দেখা গেছে, তাতে বছরের শেষে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জন আদৌ সম্ভব হবে কি না, সে প্রশ্ন এখন আরও তীব্র হয়ে উঠছে।

চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার বড় হলেও বাস্তব অগ্রগতি একেবারেই হতাশাজনক।
প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর—এই পাঁচ মাসে উন্নয়ন ব্যয় হয়েছে ২৮ হাজার ৪৩ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের মাত্র ১১.৭৫ শতাংশ। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ব্যয় ছিল ৩৪ হাজার ২১৫ কোটি টাকা বা ১২ দশমিক ২৯ শতাংশ। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় পিছিয়ে আছে ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর থেকে স্পষ্ট হচ্ছে, সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প যেন এগোচ্ছেই না। সরকারি তহবিল, বৈদেশিক সহায়তা ও সংস্থাগুলোর নিজস্ব অর্থায়ন—প্রকল্প বাস্তবায়নে উন্নয়ন ব্যয়ের এ তিন উৎসের প্রতিটিতেই যেন মন্থরতা লক্ষণীয়।
শুধু অর্থবছরের সার্বিক পরিস্থিতিই নয়, এডিপির মাসওয়ারি অগ্রগতি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, নভেম্বর মাসের তথ্য আরও চিন্তার। এই এক মাসে বাস্তবায়ন হয়েছে ৮ হাজার ১৬৫ কোটি টাকার মতো, যেখানে আগের বছরের নভেম্বরেই ব্যয় ছিল ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি। এক মাসেই ব্যয় কমে গেছে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রগতির হার মাত্র ৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এই ধীরগতি কোনো স্বাভাবিক মৌসুমি প্রবণতা নয়; বরং প্রকল্প ব্যবস্থাপনার ভেতরে জমে থাকা নানা অচলাবস্থার ফল।
প্রকল্প অনুমোদনে বিলম্ব, টেন্ডারপ্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হওয়া, দক্ষ ঠিকাদারের অভাব, মাঠপর্যায়ে প্রকৌশল বিভাগগুলোর সংকোচন—এসব মিলেই উন্নয়ন ব্যয় জমে থাকছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সরকার পরিবর্তনের পর প্রশাসনে তৈরি হওয়া মন্থরতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে দ্বিধা। আইএমইডি কর্মকর্তারা বলছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময়ে পুরো প্রশাসনিক কাঠামো একধরনের অচল অবস্থায় ছিল, যার ধাক্কা এখনো পুরোপুরি কাটেনি।
মন্ত্রণালয়ভিত্তিক ব্যয়ে বৈষম্যও স্পষ্ট। বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও সংসদবিষয়ক সচিবালয় মন্ত্রণালয় পাঁচ মাসে এক টাকাও ব্যয় করতে পারেনি। কিছু বিভাগ অগ্রগতি দেখালেও, তা সমগ্র চিত্র বদলে দেওয়ার মতো নয়। বিপরীতে খাদ্য মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ ১৩২.৭৮ শতাংশ ব্যয় করেছে, যা বরাদ্দের চেয়েও বেশি ব্যয়—এটি চলমান প্রকল্পগুলোর প্রকৃত অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য আছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আইএমইডির মতে, প্রকৃত ব্যয় ও আর্থিক প্রতিবেদনের মধ্যকার এ ধরনের ব্যবধান ভবিষ্যতে প্রকল্প মূল্যায়নকে আরও জটিল করে তুলবে।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলছেন, ‘বাস্তবায়নের হার স্পষ্টতই কম। শুধু সংখ্যা নয়, কেন এই অবস্থা, সেটাই এখন সবচেয়ে জরুরি প্রশ্ন।’ বিশেষজ্ঞদের মতে, সামনের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন থাকায় ব্যবস্থাপনায় আরও ধীরতা দেখা দিতে পারে। ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফিন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক মুস্তফা কে মুজেরী এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, অর্থবছরের শুরুতে সাধারণত কিছুটা ধীরতা দেখা গেলেও এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। নির্বাচনকালীন প্রশাসন সাধারণত ঝুঁকিনির্ভর হয় না, ফলে প্রকল্পের গতি আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল।
সব মিলে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, প্রশাসনিক দ্বিধা এবং মাঠপর্যায়ে নিয়ন্ত্রণহীনতা মিলিয়ে এডিপি বাস্তবায়ন যে পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে, তা দিয়ে নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন খুব কঠিন—এমনটি ধারণা করা হচ্ছে পরিকল্পনা কমিশনের ভেতরেও।
চলতি অর্থবছরে এডিপি বরাদ্দ ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু প্রথম পাঁচ মাসে যে গতি দেখা গেছে, তাতে বছরের শেষে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জন আদৌ সম্ভব হবে কি না, সে প্রশ্ন এখন আরও তীব্র হয়ে উঠছে।

বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে পা রেখেই ১৮ বছর বয়সে বাবার কাছ থেকে মাত্র ৩০ হাজার টাকা নিয়ে এক বন্ধুর সঙ্গে প্লাস্টিক আমদানির ব্যবসা শুরু করেছিলেন তিনি। তখনই প্রথম সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন তিনি। এখন তিনি সেখানকার ৫০ শীর্ষ ধনীর একজন, সম্পদের পরিমাণ ১২ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
৬ ঘণ্টা আগে
ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার দিনের শুরুতে রুপি ৩৬ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ১৪-এ পৌঁছায়, যা ইতিহাসের সর্বনিম্ন, পরে সামান্য পুনরুদ্ধার হয়। যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমেছে এবং ডলারের শক্তি কিছুটা কমেছে, তারপরও রুপির পতন অব্যাহত রয়েছে।
গত ১০টি লেনদেনের দিনে রুপি ৯০ থেকে ৯১-এর মধ্যে ওঠানামা করেছে। শুধু গত পাঁচ দিনে রুপির মান ডলারের তুলনায় ১ শতাংশ কমেছে। মুদ্রা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের বিপরীতে রুপির দাম চলতি মাসে ৯২ ছাড়িয়ে যাবে।
আজ মঙ্গলবার আন্তব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা রুপি ৯০ দশমিক ৮৭ থেকে লেনদেন শুরু হয়। পরে ৯০ দশমিক ৭৬ থেকে ৯১ দশমিক ১৪-এর মধ্যে ওঠানামা করে। শেষে ৯১ দশমিক ০১-এ বন্ধ হয়। গত সোমবার রুপি ৯০ দশমিক ৭৮-এ বন্ধ হয়েছিল, যা আগের দিনের তুলনায় ২৯ পয়সা কম।
ফিনরেক্স ট্রেজারি অ্যাডভাইজার্সের হেড অব ট্রেজারি অনিল কুমার বানসালি বলেন, ‘ডলারের ক্রয় অব্যাহত থাকায় রুপি নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারতের নতুন বাণিজ্য প্রস্তাব মেনে না নেওয়ায় চুক্তি স্থগিত রয়েছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার দিনের শুরুতে রুপি ৩৬ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ১৪-এ পৌঁছায়, যা ইতিহাসের সর্বনিম্ন, পরে সামান্য পুনরুদ্ধার হয়। যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমেছে এবং ডলারের শক্তি কিছুটা কমেছে, তারপরও রুপির পতন অব্যাহত রয়েছে।
গত ১০টি লেনদেনের দিনে রুপি ৯০ থেকে ৯১-এর মধ্যে ওঠানামা করেছে। শুধু গত পাঁচ দিনে রুপির মান ডলারের তুলনায় ১ শতাংশ কমেছে। মুদ্রা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের বিপরীতে রুপির দাম চলতি মাসে ৯২ ছাড়িয়ে যাবে।
আজ মঙ্গলবার আন্তব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা রুপি ৯০ দশমিক ৮৭ থেকে লেনদেন শুরু হয়। পরে ৯০ দশমিক ৭৬ থেকে ৯১ দশমিক ১৪-এর মধ্যে ওঠানামা করে। শেষে ৯১ দশমিক ০১-এ বন্ধ হয়। গত সোমবার রুপি ৯০ দশমিক ৭৮-এ বন্ধ হয়েছিল, যা আগের দিনের তুলনায় ২৯ পয়সা কম।
ফিনরেক্স ট্রেজারি অ্যাডভাইজার্সের হেড অব ট্রেজারি অনিল কুমার বানসালি বলেন, ‘ডলারের ক্রয় অব্যাহত থাকায় রুপি নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারতের নতুন বাণিজ্য প্রস্তাব মেনে না নেওয়ায় চুক্তি স্থগিত রয়েছে।’

বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে পা রেখেই ১৮ বছর বয়সে বাবার কাছ থেকে মাত্র ৩০ হাজার টাকা নিয়ে এক বন্ধুর সঙ্গে প্লাস্টিক আমদানির ব্যবসা শুরু করেছিলেন তিনি। তখনই প্রথম সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন তিনি। এখন তিনি সেখানকার ৫০ শীর্ষ ধনীর একজন, সম্পদের পরিমাণ ১২ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ...
২ ঘণ্টা আগে
ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
পেপ্যালের প্রধান নির্বাহী অ্যালেক্স ক্রিস বলেন, ‘পুঁজির নিরাপত্তা ছোট ব্যবসাগুলোর বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাধা। পেপ্যাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা ছোট ব্যবসার উন্নয়ন এবং মার্কিন অর্থনীতিতে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারব।’
১৯৯৮ সালে ইলন মাস্ক ও পিটার থিয়েল পেপ্যাল প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৩ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী ৪ লাখ ২০ হাজারের বেশি গ্রাহককে ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে। মার্কিন ব্যাংকিং লাইসেন্স পাওয়ার পর কোম্পানি তৃতীয় পক্ষের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে গ্রাহকের আমানতকে ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে বিমার আওতায় আনতে পারবে।
পেপ্যালের আবেদন এসেছে এমন সময়ে, যখন একাধিক ক্রিপ্টো কোম্পানি এবং নিওব্যাংক এই বছরে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি সুবিধা নিয়ে নিয়ন্ত্রিত ব্যাংকিং খাতে প্রবেশের সুযোগ গ্রহণের চেষ্টা করছে। এ বছরের মধ্যে নুবাঙ্ক, কয়েনবেসসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ব্যাংকিং চার্টারের জন্য আবেদন করেছে।

ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
পেপ্যালের প্রধান নির্বাহী অ্যালেক্স ক্রিস বলেন, ‘পুঁজির নিরাপত্তা ছোট ব্যবসাগুলোর বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাধা। পেপ্যাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা ছোট ব্যবসার উন্নয়ন এবং মার্কিন অর্থনীতিতে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারব।’
১৯৯৮ সালে ইলন মাস্ক ও পিটার থিয়েল পেপ্যাল প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৩ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী ৪ লাখ ২০ হাজারের বেশি গ্রাহককে ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে। মার্কিন ব্যাংকিং লাইসেন্স পাওয়ার পর কোম্পানি তৃতীয় পক্ষের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে গ্রাহকের আমানতকে ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে বিমার আওতায় আনতে পারবে।
পেপ্যালের আবেদন এসেছে এমন সময়ে, যখন একাধিক ক্রিপ্টো কোম্পানি এবং নিওব্যাংক এই বছরে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি সুবিধা নিয়ে নিয়ন্ত্রিত ব্যাংকিং খাতে প্রবেশের সুযোগ গ্রহণের চেষ্টা করছে। এ বছরের মধ্যে নুবাঙ্ক, কয়েনবেসসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ব্যাংকিং চার্টারের জন্য আবেদন করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে পা রেখেই ১৮ বছর বয়সে বাবার কাছ থেকে মাত্র ৩০ হাজার টাকা নিয়ে এক বন্ধুর সঙ্গে প্লাস্টিক আমদানির ব্যবসা শুরু করেছিলেন তিনি। তখনই প্রথম সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন তিনি। এখন তিনি সেখানকার ৫০ শীর্ষ ধনীর একজন, সম্পদের পরিমাণ ১২ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ...
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
৬ ঘণ্টা আগে
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে ১৪ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ৩ হাজার ৪৪২ টাকা এবং ১২ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ১ হাজার ৫০ টাকা। এই দাম বাড়ানোর ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে এখন আবার দাম বাড়ানো হলো।
এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৪৭০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ৪১১ টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ ৭ হাজার ২১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ২৪৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৬৩ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা।

দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে ১৪ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ৩ হাজার ৪৪২ টাকা এবং ১২ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ১ হাজার ৫০ টাকা। এই দাম বাড়ানোর ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে এখন আবার দাম বাড়ানো হলো।
এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৪৭০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ৪১১ টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ ৭ হাজার ২১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ২৪৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৬৩ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা।

বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে পা রেখেই ১৮ বছর বয়সে বাবার কাছ থেকে মাত্র ৩০ হাজার টাকা নিয়ে এক বন্ধুর সঙ্গে প্লাস্টিক আমদানির ব্যবসা শুরু করেছিলেন তিনি। তখনই প্রথম সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন তিনি। এখন তিনি সেখানকার ৫০ শীর্ষ ধনীর একজন, সম্পদের পরিমাণ ১২ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ...
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
৬ ঘণ্টা আগে
ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে