মুফতি আবু দারদা

পবিত্র কোরআনে বারবার মা-বাবার যথাযথ যত্ন নেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে সুন্দর ও মার্জিত আচরণ করা, তাঁদের আনুগত্য করা এবং বিশেষ করে বার্ধক্যে তাঁদের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখার জোর তাগিদ দেওয়া হয়েছে। কোনোভাবেই যেন তাঁরা কষ্টে দিনাতিপাত না করেন, সেই নিশ্চয়তা সন্তানকে দিতেই হবে। অন্যথায় পরকালে কঠিন শাস্তির মুখে পড়তে হবে। এই বিধানে মা-বাবা সমানভাবে অন্তর্ভুক্ত। তবে মায়ের বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্যের কারণে কোরআন-হাদিসে তাঁকে বাবার চেয়ে বেশি মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।
কোরআনে মায়ের অনন্য মর্যাদা
দীর্ঘ ৯ মাসের গর্ভধারণ থেকে শুরু করে সন্তান প্রসব, দুধ পান করানো, ধীরে ধীরে তাকে বড় করে তোলা এবং আদর-যত্ন দিয়ে তার মধ্যে মানবিক গুণাবলির বিকাশ ঘটানোর যে দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে একজন মা যান, তার কোনো তুলনা পৃথিবীতে নেই। এ ক্ষেত্রে মায়ের তুলনা মা-ই।
এত কষ্ট, এত যন্ত্রণা সহ্য করার ক্ষমতা অন্য কারও নেই। এ কারণেই মা অনন্য। এটিই তাঁর অতুলনীয় মর্যাদার প্রধান কারণ। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা একাধিকবার মায়ের এসব ত্যাগের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। এরশাদ হয়েছে, ‘আমি মানুষকে নির্দেশ দিয়েছি তার মা-বাবার প্রতি সদয় আচরণের। তার মা নিদারুণ কষ্টে তাকে গর্ভে ধারণ করেন এবং নিদারুণ কষ্ট সহ্য করে তাকে প্রসব করেন। তাকে গর্ভে ধারণ করতে এবং দুধপান ছাড়াতে সময় লাগে ৩০ মাস। অবশেষে সে যখন পূর্ণ শক্তি লাভ করে এবং ৪০ বছরে পৌঁছে যায়, তখন সে বলে—হে আমার প্রতিপালক, আপনি আমাকে আর আমার মা-বাবাকে যে নিয়ামত দিয়েছেন, তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার শক্তি আমাকে দান করুন...।’ (সুরা আহকাফ: ১৫)
অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর আমরা মানুষকে তার মা-বাবার প্রতি সদাচরণের নির্দেশ দিয়েছি। মা তাকে কষ্টের পর কষ্ট বরণ করে গর্ভে ধারণ করেন, আর তার দুধপান ছাড়ানো হয় দুই বছরে। সুতরাং আমার প্রতি ও তোমার মা-বাবার প্রতি কৃতজ্ঞ হও। আমারই কাছে তো ফিরতে হবে।’ (সুরা লোকমান: ১৪)
হাদিসে মায়ের মর্যাদার কথা
এ কারণেই মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) মায়ের অনন্য মর্যাদার ঘোষণা দিয়েছেন। গর্ভাবস্থায় কোনো মায়ের মৃত্যু হলে তাঁকে শহীদ আখ্যা দিয়েছেন। (আবু দাউদ: ৩১১১) অন্য হাদিসে বলেছেন, ‘মায়েদের পদতলেই সন্তানদের জান্নাত।’ (নাসায়ি: ৩১০৪)
মায়ের মর্যাদা এতই বেশি যে মহান আল্লাহ তাঁর নবীদেরও মায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও অনুগত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে ইসা (আ.)-এর বক্তব্য তুলে ধরতে গিয়ে এরশাদ হয়েছে, ‘আর আমাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আমি যেন আমার মায়ের প্রতি সদ্ব্যবহার করি। আমাকে করা হয়নি উদ্ধত-অবাধ্য ও দুর্ভাগা-হতভাগ্য।’ (সুরা মারইয়াম: ৩০-৩২)
শুধু এটুকুই নয়, মহানবী (সা.) হাদিসে স্পষ্ট করে মাকে বাবার চেয়ে তিন গুণ বেশি মর্যাদাবান ঘোষণা করেছেন। এক ব্যক্তি রাসুল (সা.)-এর কাছে এসে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, কে আমার উত্তম আচরণ পাওয়ার বেশি হকদার?’ তিনি বললেন ‘তোমার মা।’ সে বলল, ‘তারপর কে?’ তিনি বললেন, ‘তোমার মা।’ সে আবারও বলল, ‘তারপর কে?’ তিনি বলেন, ‘তোমার মা।’ সে পুনরায় বলল, ‘এরপর কে?’ তিনি বলেন, ‘তোমার বাবা।’ (বুখারি: ৫৯৭১)
মায়ের সেবার পুরস্কার
উয়াইস আল কারনি নামের এক বিখ্যাত তাবেয়ি মহানবী (সা.)-এর যুগের মানুষ হয়েও মায়ের সেবা করার জন্য তাঁর সাক্ষাৎ পেতে আসেননি। মহানবী (সা.) তাঁর এমন কাজকে সমর্থন করে বলেছেন, ‘ইয়েমেন থেকে উয়াইস নামে এক ব্যক্তি (আমার মৃত্যুর পর) তোমাদের কাছে আসবে। ইয়েমেনে মা ছাড়া তার আর কেউ নেই। তার শ্বেত রোগ ছিল। সে আল্লাহর কাছে দোয়া করলে আল্লাহ তার রোগ ভালো করে দেন। কিন্তু তার শরীরের একটি স্থানে এক দিনার অথবা এক দিরহাম পরিমাণ স্থান সাদাই থেকে যায়। তোমাদের কেউ যদি তার সাক্ষাৎ পায়, সে যেন তাকে নিজের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে বলে।’ (মুসলিম: ২৫৪২)
মায়ের অবাধ্যতার পরিণাম
কেয়ামতের দিন মায়ের অবাধ্য হওয়া অনেক বেশি শাস্তির কারণ হবে। মহানবী (সা.) পৃথকভাবে মায়ের প্রতি অবহেলা করা এবং তাঁর অবাধ্য হওয়াকে হারাম ঘোষণা করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ তাআলা মায়ের অবাধ্য হওয়াকে তোমাদের জন্য হারাম করে দিয়েছেন।’ (মুসলিম: ৪৫৮০)
মা যদি কষ্ট পেয়ে কখনো সন্তানের জন্য বদদোয়া করেন, আল্লাহ তা সঙ্গে সঙ্গেই কবুল করে নেন। এমন একটি ঘটনার কথা হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, মহানবী (সা.) বলেন, (আগের যুগে) জুরাইজ নামের এক ইবাদত গুজার ব্যক্তি কোনো এক গির্জায় ইবাদত করতেন। একবার তাঁর মা গির্জায় এসে তাঁকে ডাকতে লাগলেন। বললেন, ‘হে জুরাইজ, আমি তোমার মা। আমার সঙ্গে কথা বলো।’ মা তাকে নামাজ পড়তে দেখলেন। জুরাইজ তাঁর ডাকে সাড়া না দিয়ে বললেন, ‘হে আল্লাহ, আমার মা ও আমার নামাজ।’ এ কথা বলেই তিনি নামাজে রত থাকলেন।
এভাবে মা তিন দিন তাঁকে ডাকলেন এবং প্রতিদিনই তাঁর সঙ্গে একই আচরণ দেখালেন জুরাইজ। তৃতীয় দিন মা তাঁকে এই বলে বদদোয়া করলেন যে ‘হে আল্লাহ, আপনি আমার ছেলের মৃত্যু দেবেন না—যতক্ষণ না সে কোনো বেশ্যা নারীর চেহারা দেখে।’ আল্লাহ তাআলা মায়ের বদদোয়া কবুল করলেন এবং জুরাইজ এক বেশ্যার মিথ্যা অপবাদের মুখে পড়ে নিজের মান-সম্মান হারান। অবশ্য পরে এক শিশুর অলৌকিক সাক্ষ্যের কারণে তিনি বেঁচে যান। (মুসলিম: ২৫৫০)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক

পবিত্র কোরআনে বারবার মা-বাবার যথাযথ যত্ন নেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে সুন্দর ও মার্জিত আচরণ করা, তাঁদের আনুগত্য করা এবং বিশেষ করে বার্ধক্যে তাঁদের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখার জোর তাগিদ দেওয়া হয়েছে। কোনোভাবেই যেন তাঁরা কষ্টে দিনাতিপাত না করেন, সেই নিশ্চয়তা সন্তানকে দিতেই হবে। অন্যথায় পরকালে কঠিন শাস্তির মুখে পড়তে হবে। এই বিধানে মা-বাবা সমানভাবে অন্তর্ভুক্ত। তবে মায়ের বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্যের কারণে কোরআন-হাদিসে তাঁকে বাবার চেয়ে বেশি মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।
কোরআনে মায়ের অনন্য মর্যাদা
দীর্ঘ ৯ মাসের গর্ভধারণ থেকে শুরু করে সন্তান প্রসব, দুধ পান করানো, ধীরে ধীরে তাকে বড় করে তোলা এবং আদর-যত্ন দিয়ে তার মধ্যে মানবিক গুণাবলির বিকাশ ঘটানোর যে দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে একজন মা যান, তার কোনো তুলনা পৃথিবীতে নেই। এ ক্ষেত্রে মায়ের তুলনা মা-ই।
এত কষ্ট, এত যন্ত্রণা সহ্য করার ক্ষমতা অন্য কারও নেই। এ কারণেই মা অনন্য। এটিই তাঁর অতুলনীয় মর্যাদার প্রধান কারণ। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা একাধিকবার মায়ের এসব ত্যাগের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। এরশাদ হয়েছে, ‘আমি মানুষকে নির্দেশ দিয়েছি তার মা-বাবার প্রতি সদয় আচরণের। তার মা নিদারুণ কষ্টে তাকে গর্ভে ধারণ করেন এবং নিদারুণ কষ্ট সহ্য করে তাকে প্রসব করেন। তাকে গর্ভে ধারণ করতে এবং দুধপান ছাড়াতে সময় লাগে ৩০ মাস। অবশেষে সে যখন পূর্ণ শক্তি লাভ করে এবং ৪০ বছরে পৌঁছে যায়, তখন সে বলে—হে আমার প্রতিপালক, আপনি আমাকে আর আমার মা-বাবাকে যে নিয়ামত দিয়েছেন, তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার শক্তি আমাকে দান করুন...।’ (সুরা আহকাফ: ১৫)
অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর আমরা মানুষকে তার মা-বাবার প্রতি সদাচরণের নির্দেশ দিয়েছি। মা তাকে কষ্টের পর কষ্ট বরণ করে গর্ভে ধারণ করেন, আর তার দুধপান ছাড়ানো হয় দুই বছরে। সুতরাং আমার প্রতি ও তোমার মা-বাবার প্রতি কৃতজ্ঞ হও। আমারই কাছে তো ফিরতে হবে।’ (সুরা লোকমান: ১৪)
হাদিসে মায়ের মর্যাদার কথা
এ কারণেই মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) মায়ের অনন্য মর্যাদার ঘোষণা দিয়েছেন। গর্ভাবস্থায় কোনো মায়ের মৃত্যু হলে তাঁকে শহীদ আখ্যা দিয়েছেন। (আবু দাউদ: ৩১১১) অন্য হাদিসে বলেছেন, ‘মায়েদের পদতলেই সন্তানদের জান্নাত।’ (নাসায়ি: ৩১০৪)
মায়ের মর্যাদা এতই বেশি যে মহান আল্লাহ তাঁর নবীদেরও মায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও অনুগত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে ইসা (আ.)-এর বক্তব্য তুলে ধরতে গিয়ে এরশাদ হয়েছে, ‘আর আমাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আমি যেন আমার মায়ের প্রতি সদ্ব্যবহার করি। আমাকে করা হয়নি উদ্ধত-অবাধ্য ও দুর্ভাগা-হতভাগ্য।’ (সুরা মারইয়াম: ৩০-৩২)
শুধু এটুকুই নয়, মহানবী (সা.) হাদিসে স্পষ্ট করে মাকে বাবার চেয়ে তিন গুণ বেশি মর্যাদাবান ঘোষণা করেছেন। এক ব্যক্তি রাসুল (সা.)-এর কাছে এসে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, কে আমার উত্তম আচরণ পাওয়ার বেশি হকদার?’ তিনি বললেন ‘তোমার মা।’ সে বলল, ‘তারপর কে?’ তিনি বললেন, ‘তোমার মা।’ সে আবারও বলল, ‘তারপর কে?’ তিনি বলেন, ‘তোমার মা।’ সে পুনরায় বলল, ‘এরপর কে?’ তিনি বলেন, ‘তোমার বাবা।’ (বুখারি: ৫৯৭১)
মায়ের সেবার পুরস্কার
উয়াইস আল কারনি নামের এক বিখ্যাত তাবেয়ি মহানবী (সা.)-এর যুগের মানুষ হয়েও মায়ের সেবা করার জন্য তাঁর সাক্ষাৎ পেতে আসেননি। মহানবী (সা.) তাঁর এমন কাজকে সমর্থন করে বলেছেন, ‘ইয়েমেন থেকে উয়াইস নামে এক ব্যক্তি (আমার মৃত্যুর পর) তোমাদের কাছে আসবে। ইয়েমেনে মা ছাড়া তার আর কেউ নেই। তার শ্বেত রোগ ছিল। সে আল্লাহর কাছে দোয়া করলে আল্লাহ তার রোগ ভালো করে দেন। কিন্তু তার শরীরের একটি স্থানে এক দিনার অথবা এক দিরহাম পরিমাণ স্থান সাদাই থেকে যায়। তোমাদের কেউ যদি তার সাক্ষাৎ পায়, সে যেন তাকে নিজের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে বলে।’ (মুসলিম: ২৫৪২)
মায়ের অবাধ্যতার পরিণাম
কেয়ামতের দিন মায়ের অবাধ্য হওয়া অনেক বেশি শাস্তির কারণ হবে। মহানবী (সা.) পৃথকভাবে মায়ের প্রতি অবহেলা করা এবং তাঁর অবাধ্য হওয়াকে হারাম ঘোষণা করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ তাআলা মায়ের অবাধ্য হওয়াকে তোমাদের জন্য হারাম করে দিয়েছেন।’ (মুসলিম: ৪৫৮০)
মা যদি কষ্ট পেয়ে কখনো সন্তানের জন্য বদদোয়া করেন, আল্লাহ তা সঙ্গে সঙ্গেই কবুল করে নেন। এমন একটি ঘটনার কথা হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, মহানবী (সা.) বলেন, (আগের যুগে) জুরাইজ নামের এক ইবাদত গুজার ব্যক্তি কোনো এক গির্জায় ইবাদত করতেন। একবার তাঁর মা গির্জায় এসে তাঁকে ডাকতে লাগলেন। বললেন, ‘হে জুরাইজ, আমি তোমার মা। আমার সঙ্গে কথা বলো।’ মা তাকে নামাজ পড়তে দেখলেন। জুরাইজ তাঁর ডাকে সাড়া না দিয়ে বললেন, ‘হে আল্লাহ, আমার মা ও আমার নামাজ।’ এ কথা বলেই তিনি নামাজে রত থাকলেন।
এভাবে মা তিন দিন তাঁকে ডাকলেন এবং প্রতিদিনই তাঁর সঙ্গে একই আচরণ দেখালেন জুরাইজ। তৃতীয় দিন মা তাঁকে এই বলে বদদোয়া করলেন যে ‘হে আল্লাহ, আপনি আমার ছেলের মৃত্যু দেবেন না—যতক্ষণ না সে কোনো বেশ্যা নারীর চেহারা দেখে।’ আল্লাহ তাআলা মায়ের বদদোয়া কবুল করলেন এবং জুরাইজ এক বেশ্যার মিথ্যা অপবাদের মুখে পড়ে নিজের মান-সম্মান হারান। অবশ্য পরে এক শিশুর অলৌকিক সাক্ষ্যের কারণে তিনি বেঁচে যান। (মুসলিম: ২৫৫০)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক

জানাজা ও দাফনকার্যে অংশগ্রহণের লাভ সম্পর্কে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি (আল্লাহর প্রতি) বিশ্বাস রেখে এবং নেকির আশা রেখে কোনো মুসলমানের জানাজার সঙ্গে যাবে এবং তার জানাজার নামাজ আদায় করবে এবং দাফন করা পর্যন্ত তার সঙ্গে থাকবে, সে দুই কিরাত...
২ ঘণ্টা আগে
মৃত্যু এক অনিবার্য ও চিরন্তন সত্য। এই ধরণির ক্ষণস্থায়ী সফর শেষ করে প্রত্যেক মানুষকে মৃত্যুর অমীয় স্বাদ গ্রহণ করতে হয় এবং প্রবেশ করতে হয় অনন্তকালের আবাসে। এই চিরসত্য মৃত্যুকে ঘিরে মানুষের জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই, তবে ইসলামের দৃষ্টিতে মৃত্যুপরবর্তী জীবনই হলো প্রকৃত জীবনের সূচনা।
৪ ঘণ্টা আগে
কথা দিয়ে কথা রাখার নাম প্রতিশ্রুতি বা ওয়াদা রক্ষা। প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা মুমিনের বিশেষ গুণ। প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে কোনো মুসলিম পরিপূর্ণ ইমানদার হতে পারে না। রাসুল (সা.) প্রতিশ্রুতি ভঙ্গকারীকে মুনাফিক হিসেবে অবহিত করেছেন। প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করাকে ইসলামি শরিয়তে কবিরা গুনাহ বলা হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১২ ঘণ্টা আগেআবরার নাঈম

দুনিয়ার সফরের শেষ গন্তব্য মৃত্যু। মৃত্যু এক অপ্রিয় সত্য, যা সুনিশ্চিত অনিবার্য ও অবশ্যম্ভাবী। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘প্রতিটি প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৮৫)
জানাজার নামাজ ফরজে কিফায়া। অর্থাৎ কোনো মুসলমান মারা গেলে মহল্লার অল্পসংখ্যক লোক জানাজার নামাজ আদায় করলে বাকিরা দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া একজন মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি হক আছে। এর মধ্যে মৃত ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেওয়াও একটি হক।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘এক মুসলমানের অধিকার অন্য মুসলমানের ওপর পাঁচটি: সালামের জবাব দেওয়া, রোগীকে দেখতে যাওয়া, জানাজার সঙ্গে যাওয়া, দাওয়াত কবুল করা এবং হাঁচি দিলে তার জবাব দেওয়া।’ (রিয়াদুস সলেহিন: ৯০০)
কোনো মুসলমানের জানাজায় অংশগ্রহণ ও তাকে কবরস্থ করা সমাজের মুসলমানদের ইমানি দায়িত্ব। পাশাপাশি এতে রয়েছে অধিক পরিমাণে সওয়াব। যদিও সবার অংশগ্রহণ জরুরি নয়। তাই বলে এমন সওয়াবের কাজ থেকে পিছিয়ে থাকা কখনোই সমীচীন নয়।
জানাজা ও দাফনকার্যে অংশগ্রহণের লাভ সম্পর্কে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি (আল্লাহর প্রতি) বিশ্বাস রেখে এবং নেকির আশা রেখে কোনো মুসলমানের জানাজার সঙ্গে যাবে এবং তার জানাজার নামাজ আদায় করবে এবং দাফন করা পর্যন্ত তার সঙ্গে থাকবে, সে দুই কিরাত (পরিমাপের একক) সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে। এক কিরাত উহুদ পাহাড়ের সমান। আর যে ব্যক্তি জানাজার নামাজ আদায় করে মৃতকে সমাধিস্থ করার আগেই ফিরে আসবে, সে এক কিরাত সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে।’ (রিয়াদুস সলেহিন: ৯৩৫)

দুনিয়ার সফরের শেষ গন্তব্য মৃত্যু। মৃত্যু এক অপ্রিয় সত্য, যা সুনিশ্চিত অনিবার্য ও অবশ্যম্ভাবী। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘প্রতিটি প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৮৫)
জানাজার নামাজ ফরজে কিফায়া। অর্থাৎ কোনো মুসলমান মারা গেলে মহল্লার অল্পসংখ্যক লোক জানাজার নামাজ আদায় করলে বাকিরা দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া একজন মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি হক আছে। এর মধ্যে মৃত ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেওয়াও একটি হক।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘এক মুসলমানের অধিকার অন্য মুসলমানের ওপর পাঁচটি: সালামের জবাব দেওয়া, রোগীকে দেখতে যাওয়া, জানাজার সঙ্গে যাওয়া, দাওয়াত কবুল করা এবং হাঁচি দিলে তার জবাব দেওয়া।’ (রিয়াদুস সলেহিন: ৯০০)
কোনো মুসলমানের জানাজায় অংশগ্রহণ ও তাকে কবরস্থ করা সমাজের মুসলমানদের ইমানি দায়িত্ব। পাশাপাশি এতে রয়েছে অধিক পরিমাণে সওয়াব। যদিও সবার অংশগ্রহণ জরুরি নয়। তাই বলে এমন সওয়াবের কাজ থেকে পিছিয়ে থাকা কখনোই সমীচীন নয়।
জানাজা ও দাফনকার্যে অংশগ্রহণের লাভ সম্পর্কে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি (আল্লাহর প্রতি) বিশ্বাস রেখে এবং নেকির আশা রেখে কোনো মুসলমানের জানাজার সঙ্গে যাবে এবং তার জানাজার নামাজ আদায় করবে এবং দাফন করা পর্যন্ত তার সঙ্গে থাকবে, সে দুই কিরাত (পরিমাপের একক) সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে। এক কিরাত উহুদ পাহাড়ের সমান। আর যে ব্যক্তি জানাজার নামাজ আদায় করে মৃতকে সমাধিস্থ করার আগেই ফিরে আসবে, সে এক কিরাত সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে।’ (রিয়াদুস সলেহিন: ৯৩৫)

পবিত্র কোরআনে বারবার মা-বাবার যথাযথ যত্ন নেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে সুন্দর ও মার্জিত আচরণ করা, তাঁদের আনুগত্য করা এবং বিশেষ করে বার্ধক্যে তাঁদের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখার জোর তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
১২ মে ২০২৩
মৃত্যু এক অনিবার্য ও চিরন্তন সত্য। এই ধরণির ক্ষণস্থায়ী সফর শেষ করে প্রত্যেক মানুষকে মৃত্যুর অমীয় স্বাদ গ্রহণ করতে হয় এবং প্রবেশ করতে হয় অনন্তকালের আবাসে। এই চিরসত্য মৃত্যুকে ঘিরে মানুষের জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই, তবে ইসলামের দৃষ্টিতে মৃত্যুপরবর্তী জীবনই হলো প্রকৃত জীবনের সূচনা।
৪ ঘণ্টা আগে
কথা দিয়ে কথা রাখার নাম প্রতিশ্রুতি বা ওয়াদা রক্ষা। প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা মুমিনের বিশেষ গুণ। প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে কোনো মুসলিম পরিপূর্ণ ইমানদার হতে পারে না। রাসুল (সা.) প্রতিশ্রুতি ভঙ্গকারীকে মুনাফিক হিসেবে অবহিত করেছেন। প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করাকে ইসলামি শরিয়তে কবিরা গুনাহ বলা হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১২ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

মৃত্যু এক অনিবার্য ও চিরন্তন সত্য। এই ধরণির ক্ষণস্থায়ী সফর শেষ করে প্রত্যেক মানুষকে মৃত্যুর অমীয় স্বাদ গ্রহণ করতে হয় এবং প্রবেশ করতে হয় অনন্তকালের আবাসে। এই চিরসত্য মৃত্যুকে ঘিরে মানুষের জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই, তবে ইসলামের দৃষ্টিতে মৃত্যুপরবর্তী জীবনই হলো প্রকৃত জীবনের সূচনা।
পবিত্র কোরআনে মহান রাব্বুল আলামিন ইরশাদ করেছেন, ‘প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে এবং কিয়ামতের দিন তাদের পূর্ণমাত্রায় বিনিময় দেওয়া হবে। অতঃপর যাকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করা হলো এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হলো, অবশ্যই সে ব্যক্তি সফলকাম হলো। কেননা, পার্থিব জীবন ছলনার বস্তু ছাড়া আর কিছুই নয়।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৮৫)
মৃত্যুর বিভিন্ন প্রকারভেদের মধ্যে সবচেয়ে সার্থক ও উত্তম মৃত্যু হলো শহীদি মৃত্যু। তাই প্রত্যেক মুমিনের একান্ত তামান্না থাকে শহীদ হওয়ার। শহীদদের মর্যাদা সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর যারা আল্লাহর পথে জীবন দিয়েছে, তাদের তুমি মৃত মনে করো না; বরং তারা তাদের রবের নিকট জীবিত এবং তাদের রিজিক দেওয়া হয়।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৬৯)
হজরত আবদুল্লাহ (রা.) এই আয়াতের ব্যাখ্যা সম্পর্কে নবীজি (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলে নবীজি বলেন, ‘শহীদদের রুহসমূহ সবুজ পাখির উদরে রক্ষিত থাকে, যা আরশের সঙ্গে ঝুলন্ত দীপাধারে বাস করে। জান্নাতের সর্বত্র তারা যেখানে চায় বিচরণ করে এবং পুনরায় সেই দীপাধারগুলোতে ফিরে আসে। একবার তাদের প্রতিপালক তাদের দিকে পরিপূর্ণভাবে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘‘তোমাদের কি কোনো আকাঙ্ক্ষা আছে?’’ তারা বিনয়ের সঙ্গে জানাল, ‘‘আমাদের আর কী আকাঙ্ক্ষা থাকতে পারে! আমরা তো জান্নাতের যেখানে ইচ্ছা ঘুরে বেড়াচ্ছি।’’ আল্লাহ তাআলা তিনবার এই প্রশ্ন করার পর তারা বুঝতে পারল, আকাঙ্ক্ষার কথা না বললে তারা রেহাই পাচ্ছে না; তখন তারা বলল, ‘‘হে আমাদের প্রতিপালক, আমাদের আকাঙ্ক্ষা হয়, যদি আপনি আমাদের রুহগুলোকে আমাদের দেহে ফিরিয়ে দিতেন, তবে আমরা পুনরায় আপনার পথে গিয়ে নিহত (শহীদ) হতে পারতাম।’ আল্লাহ যখন দেখলেন, তাদের আর কোনো অপূর্ণতা নেই, তখন তাদের সেই অবস্থায় ছেড়ে দেওয়া হলো।’ (সহিহ মুসলিম: ৪৭৭৯)
মৃত্যু আসবেই, তবে সেই মৃত্যু যদি হয় আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এবং ইমানের ওপর অবিচল থেকে, তবেই তা হবে জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন।

মৃত্যু এক অনিবার্য ও চিরন্তন সত্য। এই ধরণির ক্ষণস্থায়ী সফর শেষ করে প্রত্যেক মানুষকে মৃত্যুর অমীয় স্বাদ গ্রহণ করতে হয় এবং প্রবেশ করতে হয় অনন্তকালের আবাসে। এই চিরসত্য মৃত্যুকে ঘিরে মানুষের জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই, তবে ইসলামের দৃষ্টিতে মৃত্যুপরবর্তী জীবনই হলো প্রকৃত জীবনের সূচনা।
পবিত্র কোরআনে মহান রাব্বুল আলামিন ইরশাদ করেছেন, ‘প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে এবং কিয়ামতের দিন তাদের পূর্ণমাত্রায় বিনিময় দেওয়া হবে। অতঃপর যাকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করা হলো এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হলো, অবশ্যই সে ব্যক্তি সফলকাম হলো। কেননা, পার্থিব জীবন ছলনার বস্তু ছাড়া আর কিছুই নয়।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৮৫)
মৃত্যুর বিভিন্ন প্রকারভেদের মধ্যে সবচেয়ে সার্থক ও উত্তম মৃত্যু হলো শহীদি মৃত্যু। তাই প্রত্যেক মুমিনের একান্ত তামান্না থাকে শহীদ হওয়ার। শহীদদের মর্যাদা সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর যারা আল্লাহর পথে জীবন দিয়েছে, তাদের তুমি মৃত মনে করো না; বরং তারা তাদের রবের নিকট জীবিত এবং তাদের রিজিক দেওয়া হয়।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৬৯)
হজরত আবদুল্লাহ (রা.) এই আয়াতের ব্যাখ্যা সম্পর্কে নবীজি (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলে নবীজি বলেন, ‘শহীদদের রুহসমূহ সবুজ পাখির উদরে রক্ষিত থাকে, যা আরশের সঙ্গে ঝুলন্ত দীপাধারে বাস করে। জান্নাতের সর্বত্র তারা যেখানে চায় বিচরণ করে এবং পুনরায় সেই দীপাধারগুলোতে ফিরে আসে। একবার তাদের প্রতিপালক তাদের দিকে পরিপূর্ণভাবে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘‘তোমাদের কি কোনো আকাঙ্ক্ষা আছে?’’ তারা বিনয়ের সঙ্গে জানাল, ‘‘আমাদের আর কী আকাঙ্ক্ষা থাকতে পারে! আমরা তো জান্নাতের যেখানে ইচ্ছা ঘুরে বেড়াচ্ছি।’’ আল্লাহ তাআলা তিনবার এই প্রশ্ন করার পর তারা বুঝতে পারল, আকাঙ্ক্ষার কথা না বললে তারা রেহাই পাচ্ছে না; তখন তারা বলল, ‘‘হে আমাদের প্রতিপালক, আমাদের আকাঙ্ক্ষা হয়, যদি আপনি আমাদের রুহগুলোকে আমাদের দেহে ফিরিয়ে দিতেন, তবে আমরা পুনরায় আপনার পথে গিয়ে নিহত (শহীদ) হতে পারতাম।’ আল্লাহ যখন দেখলেন, তাদের আর কোনো অপূর্ণতা নেই, তখন তাদের সেই অবস্থায় ছেড়ে দেওয়া হলো।’ (সহিহ মুসলিম: ৪৭৭৯)
মৃত্যু আসবেই, তবে সেই মৃত্যু যদি হয় আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এবং ইমানের ওপর অবিচল থেকে, তবেই তা হবে জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন।

পবিত্র কোরআনে বারবার মা-বাবার যথাযথ যত্ন নেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে সুন্দর ও মার্জিত আচরণ করা, তাঁদের আনুগত্য করা এবং বিশেষ করে বার্ধক্যে তাঁদের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখার জোর তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
১২ মে ২০২৩
জানাজা ও দাফনকার্যে অংশগ্রহণের লাভ সম্পর্কে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি (আল্লাহর প্রতি) বিশ্বাস রেখে এবং নেকির আশা রেখে কোনো মুসলমানের জানাজার সঙ্গে যাবে এবং তার জানাজার নামাজ আদায় করবে এবং দাফন করা পর্যন্ত তার সঙ্গে থাকবে, সে দুই কিরাত...
২ ঘণ্টা আগে
কথা দিয়ে কথা রাখার নাম প্রতিশ্রুতি বা ওয়াদা রক্ষা। প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা মুমিনের বিশেষ গুণ। প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে কোনো মুসলিম পরিপূর্ণ ইমানদার হতে পারে না। রাসুল (সা.) প্রতিশ্রুতি ভঙ্গকারীকে মুনাফিক হিসেবে অবহিত করেছেন। প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করাকে ইসলামি শরিয়তে কবিরা গুনাহ বলা হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১২ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

কথা দিয়ে কথা রাখার নাম প্রতিশ্রুতি বা ওয়াদা রক্ষা। প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা মুমিনের বিশেষ গুণ। প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে কোনো মুসলিম পরিপূর্ণ ইমানদার হতে পারে না। রাসুল (সা.) প্রতিশ্রুতি ভঙ্গকারীকে মুনাফিক হিসেবে অবহিত করেছেন। প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করাকে ইসলামি শরিয়তে কবিরা গুনাহ বলা হয়েছে।
মহান আল্লাহ তাআলা প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিশ্রুতি রক্ষাকারীদের ব্যাপারে অনেক সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে। প্রতিশ্রুতি রক্ষাকে মুত্তাকি বান্দাদের গুণ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা ওয়াদা পূর্ণ করো, নিশ্চয়ই ওয়াদা সম্পর্কে (কিয়ামতের দিনে) তোমরা জিজ্ঞাসিত হবে।’ (সুরা বনি ইসরাইল: ৩৪)
অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা ওয়াদা করে তা পূরণ করেছে, তারাই সত্যবাদী এবং তারাই মুত্তাকি।’ (সুরা বাকারা: ১৭৭)
রাসুল (সা.) ওয়াদা পূরণের ব্যাপারে খুব সতর্ক ছিলেন। ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, জাতিগত, আন্তর্জাতিকসহ সব ক্ষেত্রেই কারও সঙ্গে কোনো বিষয়ে ওয়াদা করলে তা পালনের জন্য অধীর থাকতেন। সর্বদা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতেন। কখনো ওয়াদার বরখেলাপ করতেন না। সামান্য বিষয়ে ওয়াদা করলে তাও রক্ষা করতেন। উম্মতকেও প্রতিশ্রুতি রক্ষার জন্য আদেশ দিয়েছেন তিনি।
আবদুল্লাহ ইবনে আবু হাসমা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.)-এর নবুওয়তপ্রাপ্তির আগে আমি তাঁর কাছ থেকে কিছু জিনিস খরিদ করেছিলাম, যার কিছু মূল্য পরিশোধ আমার ওপর বাকি রয়ে গিয়েছিল। আমি তাঁকে কথা দিলাম, তা অমুক স্থানে নিয়ে আসছি। কিন্তু আমি সেই প্রতিশ্রুতির কথা ভুলে গেলাম। তিন দিন পর আমার স্মরণ হলো। এসে দেখলাম, তিনি ওই স্থানেই আছেন। এরপর রাসুল (সা.) শুধু এটুকুই বললেন, ‘তুমি আমাকে তো কষ্টে ফেলেছিলে, আমি তিন দিন ধরে এই স্থানে তোমার জন্য অপেক্ষা করছি।’ (আবু দাউদ: ৪৯৯৮)

কথা দিয়ে কথা রাখার নাম প্রতিশ্রুতি বা ওয়াদা রক্ষা। প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা মুমিনের বিশেষ গুণ। প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে কোনো মুসলিম পরিপূর্ণ ইমানদার হতে পারে না। রাসুল (সা.) প্রতিশ্রুতি ভঙ্গকারীকে মুনাফিক হিসেবে অবহিত করেছেন। প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করাকে ইসলামি শরিয়তে কবিরা গুনাহ বলা হয়েছে।
মহান আল্লাহ তাআলা প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিশ্রুতি রক্ষাকারীদের ব্যাপারে অনেক সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে। প্রতিশ্রুতি রক্ষাকে মুত্তাকি বান্দাদের গুণ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা ওয়াদা পূর্ণ করো, নিশ্চয়ই ওয়াদা সম্পর্কে (কিয়ামতের দিনে) তোমরা জিজ্ঞাসিত হবে।’ (সুরা বনি ইসরাইল: ৩৪)
অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা ওয়াদা করে তা পূরণ করেছে, তারাই সত্যবাদী এবং তারাই মুত্তাকি।’ (সুরা বাকারা: ১৭৭)
রাসুল (সা.) ওয়াদা পূরণের ব্যাপারে খুব সতর্ক ছিলেন। ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, জাতিগত, আন্তর্জাতিকসহ সব ক্ষেত্রেই কারও সঙ্গে কোনো বিষয়ে ওয়াদা করলে তা পালনের জন্য অধীর থাকতেন। সর্বদা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতেন। কখনো ওয়াদার বরখেলাপ করতেন না। সামান্য বিষয়ে ওয়াদা করলে তাও রক্ষা করতেন। উম্মতকেও প্রতিশ্রুতি রক্ষার জন্য আদেশ দিয়েছেন তিনি।
আবদুল্লাহ ইবনে আবু হাসমা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.)-এর নবুওয়তপ্রাপ্তির আগে আমি তাঁর কাছ থেকে কিছু জিনিস খরিদ করেছিলাম, যার কিছু মূল্য পরিশোধ আমার ওপর বাকি রয়ে গিয়েছিল। আমি তাঁকে কথা দিলাম, তা অমুক স্থানে নিয়ে আসছি। কিন্তু আমি সেই প্রতিশ্রুতির কথা ভুলে গেলাম। তিন দিন পর আমার স্মরণ হলো। এসে দেখলাম, তিনি ওই স্থানেই আছেন। এরপর রাসুল (সা.) শুধু এটুকুই বললেন, ‘তুমি আমাকে তো কষ্টে ফেলেছিলে, আমি তিন দিন ধরে এই স্থানে তোমার জন্য অপেক্ষা করছি।’ (আবু দাউদ: ৪৯৯৮)

পবিত্র কোরআনে বারবার মা-বাবার যথাযথ যত্ন নেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে সুন্দর ও মার্জিত আচরণ করা, তাঁদের আনুগত্য করা এবং বিশেষ করে বার্ধক্যে তাঁদের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখার জোর তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
১২ মে ২০২৩
জানাজা ও দাফনকার্যে অংশগ্রহণের লাভ সম্পর্কে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি (আল্লাহর প্রতি) বিশ্বাস রেখে এবং নেকির আশা রেখে কোনো মুসলমানের জানাজার সঙ্গে যাবে এবং তার জানাজার নামাজ আদায় করবে এবং দাফন করা পর্যন্ত তার সঙ্গে থাকবে, সে দুই কিরাত...
২ ঘণ্টা আগে
মৃত্যু এক অনিবার্য ও চিরন্তন সত্য। এই ধরণির ক্ষণস্থায়ী সফর শেষ করে প্রত্যেক মানুষকে মৃত্যুর অমীয় স্বাদ গ্রহণ করতে হয় এবং প্রবেশ করতে হয় অনন্তকালের আবাসে। এই চিরসত্য মৃত্যুকে ঘিরে মানুষের জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই, তবে ইসলামের দৃষ্টিতে মৃত্যুপরবর্তী জীবনই হলো প্রকৃত জীবনের সূচনা।
৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১২ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৫ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ২৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৪ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৫ মিনিট | ০৬: ৩৫ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৭ মিনিট | ০৩: ৩৯ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪০ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৭ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১৪ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৫ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ২৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৪ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৫ মিনিট | ০৬: ৩৫ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৭ মিনিট | ০৩: ৩৯ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪০ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৭ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১৪ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

পবিত্র কোরআনে বারবার মা-বাবার যথাযথ যত্ন নেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে সুন্দর ও মার্জিত আচরণ করা, তাঁদের আনুগত্য করা এবং বিশেষ করে বার্ধক্যে তাঁদের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখার জোর তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
১২ মে ২০২৩
জানাজা ও দাফনকার্যে অংশগ্রহণের লাভ সম্পর্কে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি (আল্লাহর প্রতি) বিশ্বাস রেখে এবং নেকির আশা রেখে কোনো মুসলমানের জানাজার সঙ্গে যাবে এবং তার জানাজার নামাজ আদায় করবে এবং দাফন করা পর্যন্ত তার সঙ্গে থাকবে, সে দুই কিরাত...
২ ঘণ্টা আগে
মৃত্যু এক অনিবার্য ও চিরন্তন সত্য। এই ধরণির ক্ষণস্থায়ী সফর শেষ করে প্রত্যেক মানুষকে মৃত্যুর অমীয় স্বাদ গ্রহণ করতে হয় এবং প্রবেশ করতে হয় অনন্তকালের আবাসে। এই চিরসত্য মৃত্যুকে ঘিরে মানুষের জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই, তবে ইসলামের দৃষ্টিতে মৃত্যুপরবর্তী জীবনই হলো প্রকৃত জীবনের সূচনা।
৪ ঘণ্টা আগে
কথা দিয়ে কথা রাখার নাম প্রতিশ্রুতি বা ওয়াদা রক্ষা। প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা মুমিনের বিশেষ গুণ। প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে কোনো মুসলিম পরিপূর্ণ ইমানদার হতে পারে না। রাসুল (সা.) প্রতিশ্রুতি ভঙ্গকারীকে মুনাফিক হিসেবে অবহিত করেছেন। প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করাকে ইসলামি শরিয়তে কবিরা গুনাহ বলা হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে