Ajker Patrika

সাগরের মধ্যে ৪০০ বর্গমিটারের অদ্ভুত ‘এক দেশ’

ইশতিয়াক হাসান
আপডেট : ০৮ মে ২০২৩, ১২: ৪১
সাগরের মধ্যে ৪০০ বর্গমিটারের অদ্ভুত ‘এক দেশ’

যদি বলি পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট দেশ ভ্যাটিকান সিটি নয়, নর্থ সি বা উত্তর সাগরে অবস্থিত সিল্যান্ড; তাহলে নিশ্চয় চমকাবেন! আরও অবাক হবেন যখন জানবেন এর আয়তন মোটে ০.০০৪ বর্গকিলোমিটার বা ৪০০ বর্গমিটার। আরও পরিষ্কারভাবে বললে একটা প্ল্যাটফর্ম নিয়েই গোটা দেশটি। তবে আপনি যদি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির কথা বলেন তবে অবশ্য ছোট দেশের তকমাটা ভ্যাটিকান সিটিরই থাকবে। তবে এটা বাদে বাকি সবকিছুই আছে সিল্যান্ডের। 

আপনি হয়তো পৃথিবীর দুর্গম সব জায়গা চষে বেড়িয়েছেন, দেখেছেন মানুষের আশ্চর্য জীবনধারা। তবে সিল্যান্ডে যাওয়া দূরের কথা, এর নামই হয়তো শোনেননি। অবশ্য আপনার কী দোষ বলেন, যে গ্রেট ব্রিটেনের উপকূলে এর অবস্থান, সেখানকার কয়জন মানুষইবা এর কথা জানেন।

যুক্তরাজ্যের সাফোকের ১২ কিলোমিটার পূর্বে সাগরের বুকে একটি প্ল্যাটফর্ম বা দুর্গ বলতে পারেন একে। নিজেদের স্বাধীন একটি দেশ বলেই দাবি করেন এখানকার নাগরিকেরা। মজার ঘটনা, একে দেশ হিসেবে বিবেচনা করলে এটি একমাত্র দেশ যেখানে কোভিড আক্রান্তের কোনো কেস নেই।

সিল্যান্ডের আছে পাসপোর্ট, মুদ্রা আর ডাকটিকিট। ছবি: ফেসবুকআসলে এটি একটি মাইক্রোনেশন। এরা নিজেদের স্বাধীন রাষ্ট্র বা রাজ্য দাবি করলেও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নেই। তবে  আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ছাড়া সবকিছুই আছে সিল্যান্ডের। সেগুলো কী? তাদের আছে জাতীয় পতাকা, সংগীত, মুদ্রা, পাসপোর্ট, ডাকটিকিটসহ অনেক কিছুই। এতেও যদি আপনার মন না ভরে তবে জানিয়ে রাখছি সিল্যান্ডের একটি ফুটবল টিমও আছে।

এবার কীভাবে এই খুদে দেশের জন্ম তা বরং জেনে নেওয়া যাক। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সেনা ও নৌ সদস্যদের জন্য একটি দুর্গ হিসেবে এ কাঠামো বা প্ল্যাটফর্মটি তৈরি করে যুক্তরাজ্য সরকার। সেটা ১৯৪২ সালের কথা। যুদ্ধের ডামাডোলে এমনকি এখানে সর্বোচ্চ ৩০০ জন পর্যন্ত নৌ সেনা অবস্থান করেছেন। রাফ টাওয়ার বা এইচ এম ফোর্ট রাফস নামেও পরিচিত প্ল্যাটফর্মটি ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত নানা কাজে ব্যবহার করা হয়। তারপরই এটি পরিত্যক্ত হয়। 

তবে ১৯৬৬ সালে পাল্টে যায় দৃশ্যপট। পেডি রয় বেটস নামে এক ব্যক্তি এটিকে নিজের করে নেন। পেডি তাঁর পাইরেট রেডিও স্টেশনের (এ ধরনের রেডিও স্টেশন বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই পরিচালিত হয়) রেডিও এসেক্সের জন্য একটা জায়গা খুঁজছিলেন। শুরুতে অবশ্য তিনি ক্যাম্প স্থাপন করেন অন্য একটি নৌ দুর্গ নক জনে। এর মধ্যে যুক্তরাজ্য সাগর মাঝের স্টেশনগুলো বন্ধ করে দেওয়ার জন্য মেরিন ব্রডকাস্টিং অফেন্সেস অ্যাক্ট পাস করলে ওটা ছাড়তে হয় তাঁকে।

সুযোগ বুঝে বেটস এইচএম ফোর্ট রাফসে, যেটি সাগরের আরও ভেতরের দিকে এবং আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমায় আরও পাকাপোক্তভাবে যার অবস্থান, উঠে পড়েন। ১৯৬৬ সালের বড়দিনের সময় এটি নিজের দখলে নিয়ে নেন বেটস। ৯ মাস বাদে ১৯৬৭ সালের সেপ্টেম্বরের ২ তারিখ দুর্গটিকে সিল্যান্ড প্রজাতন্ত্র হিসেবে ঘোষণা করেন। সেদিন ছিল তাঁর স্ত্রী জোয়ানের জন্মদিন। এর কিছুদিনের মধ্যে গোটা পরিবার এখানে উঠে আসে। ১৯৭০ দশকের গোড়ার দিকে যে সময়টাকে সিল্যান্ডের স্বর্ণযুগ বলা যায়, প্ল্যাটফর্মটিতে ৫০ জন মানুষও বাস করেন। এর মধ্যে আছে পরিবারের সদস্য, স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও দেখভালের দায়িত্বে থাকা লোকেরা। 

উত্তর সাগরে অবস্থান সিল্যান্ডের। ছবি: টুইটার৯১ বছর বয়সে বেটস রয়ের মৃত্যুর পর খুদে প্রজাতন্ত্রের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব বুঝে নেন তাঁর ছেলে মাইকেল বেটস, সেটা ২০১২ সালের ঘটনা। এখনো স্পেনে সি ফুড রপ্তানির পাশাপাশি প্রজাতন্ত্রের প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন এই ব্রিটিশ নাগরিক। মাইকেল একজন লেখকও।

মজার ঘটনা, মাইকেল বিয়ে করেন সিল্যান্ডেই, ১৯৭৮ সালে। বিয়েতে প্ল্যাটফর্মের ওপর একটি হেলিকপ্টার নামানো হয়। তবে অন্য বড় দেশগুলোর মতো খুদে সিল্যান্ড প্রজাতন্ত্রকেও বিভিন্ন জটিলতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। 

এর মধ্যে আছে, ১৯৬৮ সালে যখন আন্তর্জাতিক জলসীমায় অবস্থিত সব দুর্গ ধ্বংসের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তখন ব্রিটিশ নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয় সিল্যান্ড কর্তৃপক্ষকেও। বেটস রয় যেহেতু তখনো একজন ব্রিটিশ নাগরিক, আগ্নেয়াস্ত্র নীতিমালার আওতায় তাঁর বিরুদ্ধে সমন জারি করা হয়। মূলভূমিতে এসেক্সের ক্রাউন কোর্ট অব চেলমসফোর্ডে তলব করা হয় তাঁকে। 

১৯৭৮ সালে সিল্যান্ডের স্বঘোষিত প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার আচেনবাচ জার্মান ও ডাচ কিছু ভাড়াটে সেনাকে ভাড়া করেন সিল্যান্ড আক্রমণের জন্য। তখন বেটস রয় ও তাঁর স্ত্রী ছিলেন অস্ট্রিয়ায়। মাইকেলকে করা হয় জিম্মি। তবে মাইকেল শেষ পর্যন্ত প্ল্যাটফর্মে লুকিয়ে রাখা অস্ত্র ব্যবহার করে আবার সিল্যান্ডের কর্তৃত্ব ফিরে পান। 

এমনিতে সিল্যান্ডকে দেখে বিশেষ কিছু মনে হবে না আপনার। বহু ঝড়ঝঞ্ঝা মোকাবিলা করা একটি প্ল্যাটফর্ম, যার ওপরে কনটেইনারের মতো দেখতে একটি দালান। জাহাজ থেকে নৌকা থেকে একটি ক্রেনের সাহায্যে যখন প্রজাতন্ত্র বা প্ল্যাটফর্মটিতে উঠতে যাবেন, ঝোড়ো গতির বাতাস আর সাগরের ঢেউয়ের সঙ্গে যুঝতে হবে আপনাকে।

প্রিন্স মাইকেল বেটস বর্তমানে সিল্যান্ডের প্রধান। ছবি: টুইটারতবে স্বাভাবিকভাবেই সিল্যান্ড এমন এক জায়গা, যেখানে চাইলেই ভ্রমণ করা যায় না। সেখানে ভ্রমণের অনুমোদন বা সুযোগ পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। কোনোভাবে সুযোগ পেলেও সেখানে থাকা-খাওয়ার ভালো ব্যবস্থা হওয়া মুশকিল। এখানকার ভিসা দেওয়া হয় কালেভদ্রে। 

তবে সেখানে ভ্রমণ করতে না পারলে কী হবে ২৯.৯৯ পাউন্ড খরচ করে জায়গাটির লর্ড কিংবা লেডি খেতাব নিতে পারবেন। এমনকি সুযোগ আছে সিল্যান্ডের পরিচয়পত্র কেনারও। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন সিল্যান্ড গভ ডট অরগ ওয়েবসাইটে। 

ফুটবলের পাশাপাশি আইস হকি আর আমেরিকান ফুটবলের দলও আছে সিল্যান্ডের। মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায়ও উড়েছে এর পতাকা। আর্জেন্টিনায় তাদের একটি দূতাবাস আছে। 

সিল্যান্ডের পতাকা আছে, জাতীয় সংগীত, মুদ্রা সবই আছে। এখন পর্যন্ত শ পাঁচেক পাসপোর্ট ইস্যু করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। প্রিন্স মাইকেল, তাঁর তিন সন্তান দ্বিতীয় স্ত্রী মেই শি এখনো সিল্যান্ড সাম্রাজ্যের ঝান্ডা বহন করে যাচ্ছেন।

পেডি রয় বেটস ও তাঁর স্ত্রী। ছবি: সিল্যান্ড গভ. ডট অরগযদিও অফিশিয়ালি একটি দেশ হিসেবে স্বীকৃত নয় প্রিন্স মাইকেল বিবিসিকে জানিয়েছিলেন, ‘প্রজাতন্ত্রটি এখনো তার স্বাধীনতা রক্ষা করে চলেছে। এখানে নিয়মিত এর বাসিন্দারা থাকেন, এদের মধ্যে আছেন সার্বক্ষণিক দায়িত্বপ্রাপ্ত দুজন নিরাপত্তা প্রহরী। 

মজার ঘটনা, অনেকেই সিল্যান্ড কর্তৃপক্ষ বরাবর এর নাগরিক হওয়ার জন্য আবেদন করেন। তাঁরা স্থলভাগের আইনকানুনকে পেছনে রেখে অন্যরকম এক জীবন কাটাতে চান।

১৯৬৭ সালের সেপ্টেম্বরে দুর্গটিকে সিল্যান্ড প্রজাতন্ত্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ছবি: এএফপি‘আমরা এমন এক সমাজে বাস করি যেখানে মানুষ যা ইচ্ছা তাই করতে পারেন না।’ বলেন মাইকেল, ‘আমাদের মতো এ ধরনের উৎসাহ জাগানোর মতো অঞ্চল আরও বেশি প্রয়োজন পৃথিবীর। তবে এ ধরনের খুব বেশি এলাকা নেই।’

সূত্র: সিল্যান্ড গভ ডট অরগ, বিবিসি

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অন্য নারীর ছবিতে লাইক দেওয়া বৈবাহিক বিশ্বাসভঙ্গের শামিল: তুরস্কের আদালত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৫৭
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

তুরস্কের একটি আদালত এক চাঞ্চল্যকর রায়ে জানিয়েছেন, স্ত্রী ছাড়া অন্য নারীদের অনলাইন পোস্টে স্বামীর বারবার ‘লাইক’ দেওয়া বৈবাহিক বিশ্বাস নষ্ট করতে পারে এবং তা বিবাহবিচ্ছেদের ভিত্তি হিসেবে গণ্য হতে পারে। মধ্যতুরস্কের কায়সেরি শহরের একটি মামলায় এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত এসেছে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম হাবারলারের বরাত দিয়ে হংকং থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এইচবি নামে এক নারী তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে মৌখিক অপমান এবং আর্থিক ভরণপোষণ না দেওয়ার অভিযোগ আনেন। ওই নারী আরও উল্লেখ করেন, তাঁর স্বামী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচুর সময় কাটাতেন এবং সেখানে নিয়মিত অন্য নারীদের ছবিতে, এমনকি প্রলুব্ধকর ছবিতেও ‘লাইক’ দিতেন। মাঝেমধ্যে তিনি ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যও করতেন।

এইচবি যুক্তি দেন, এই আচরণ তাঁর স্বামীর দাম্পত্য আনুগত্যের পরিপন্থী। তিনি বিবাহবিচ্ছেদের পাশাপাশি খোরপোশ ও ক্ষতিপূরণ দাবি করে মামলা করেন। স্বামী এসবি অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনিও পাল্টা বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন এবং দাবি করেন, তাঁর স্ত্রী তাঁর বাবাকে অপমান করেছেন এবং অতিরিক্ত ঈর্ষাপরায়ণ। স্ত্রীর এসব অভিযোগ তাঁর সুনাম ক্ষুণ্ন করেছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

আদালত এই মামলায় স্বামীকেই বেশি দোষী সাব্যস্ত করে রায় দেন। তাঁকে প্রতি মাসে ৭৫০ লিরা বা ২০ মার্কিন ডলার খোরপোশ এবং ৮০ হাজার লিরা ২ হাজার মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এসবি এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দাবি করেন, এই পরিমাণ অনেক বেশি। কিন্তু আদালত তাঁর সেই আবেদন নাকচ করে দেন।

বিচারকেরা জানান, অন্য নারীদের ছবিতে ওই ব্যক্তির ‘লাইক’ দেওয়ার বিষয়টি বৈবাহিক বিশ্বাস ভেঙে দিয়েছে। তাঁরা মন্তব্য করেন, ‘অনলাইনে এই আপাত নিরীহ মিথস্ক্রিয়াগুলো মূলত মানসিক নিরাপত্তাহীনতা বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং সম্পর্কের ভারসাম্য নষ্ট করে দিতে পারে।’

তুর্কি আইনজীবী ইমামোগ্লু স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, এই রায় একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল যে অনলাইন কর্মকাণ্ড এখন বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় শক্তিশালী প্রমাণ হিসেবে গণ্য হবে। তিনি বলেন, ‘এখন থেকে স্ক্রিনশট, মেসেজ এবং সব ধরনের ডিজিটাল কার্যক্রম উভয় পক্ষের দোষ নির্ধারণে বিবেচনায় নেওয়া হবে। নাগরিকদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের সময় বিষয়টি মাথায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছি।’

এই মামলা অনলাইনে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এক নেটিজেন লিখেছেন, ‘যদি একটি লাইক আপনার সম্পর্ক ধ্বংস করতে পারে, তবে আপনাদের বিয়ে কখনোই মজবুত ছিল না।’ অন্য একজন মন্তব্য করেছেন, ‘এখন পরিচয় লুকিয়ে লাইক দেওয়ার ফিচার চালু করার সময় এসেছে।’ তবে তৃতীয় একজন ভিন্নমত পোষণ করে বলেন, ‘যদি অনলাইনে প্রতিটি লাইক বা ভিউকে অবিশ্বস্ততা হিসেবে দেখা হয়, তবে মানুষ সারাক্ষণ ভয়ে থাকবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হওয়া উচিত মতপ্রকাশের মুক্ত জায়গা।’

তুরস্কের আদালতে অদ্ভুত কারণে বিবাহবিচ্ছেদের রায় দেওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এর আগে এক ব্যক্তিকে তাঁর সাবেক স্ত্রীকে ফোনের কন্টাক্ট লিস্টে ‘মোটু’ নামে সেভ করার জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, যা অসম্মানজনক হিসেবে বিবেচিত হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাগ্দত্তা ‘বেশি খায়’, বিয়ে ভেঙে দিয়ে ক্ষতিপূরণ চাইলেন প্রেমিক

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ৩৫
প্রতীকী ছবি। ছবি: ফ্রিপিক
প্রতীকী ছবি। ছবি: ফ্রিপিক

এক চীনা ব্যক্তি তাঁর প্রাক্তন বাগ্দত্তার বিরুদ্ধে মামলা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁর বাগ্‌দত্তা ‘খুব বেশি খাবার খেতেন।’ তাই সম্পর্কের পেছনে ব্যয় করা সব টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হবে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জংলান নিউজের বরাত দিয়ে হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট ৯ ডিসেম্বর এই যুগলকে নিয়ে আদালতের একটি শুনানি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। হে পদবির ওই ব্যক্তি তাঁর বান্ধবী ওয়াংয়ের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। মামলায় হে দাবি করেন, তাঁর পরিবার কনেপক্ষকে অগ্রিম যৌতুক (ব্রাইড প্রাইস) হিসেবে যে ২০ হাজার ইউয়ান বা ২ হাজার ৮০০ মার্কিন ডলার দিয়েছিল, তা তিনি ফেরত পেতে চান।

শুধু তা-ই নয়, সম্পর্কের সময় ওয়াংয়ের পেছনে খরচ হওয়া আরও ৩০ হাজার ইউয়ানও (৪ হাজার ২০০ মার্কিন ডলার) দাবি করেন হে। এই খরচের তালিকায় তাঁর কেনা কালো টাইটস এবং অন্তর্বাসও অন্তর্ভুক্ত ছিল।

উত্তর-পূর্ব চীনের হেইলংজিয়াং প্রদেশের একই গ্রামের বাসিন্দা হে এবং ওয়াং। এক ঘটকের মাধ্যমে তাদের পরিচয় এবং পরে বাগ্‌দান সম্পন্ন হয়। বাগ্‌দানের পর তাঁরা উত্তর চীনের হেবেই প্রদেশে হের পরিবারের মালিকানাধীন একটি রেস্তোরাঁ চালাতে যান।

উল্লেখ্য, মালাতাং চীনের একটি জনপ্রিয় স্ট্রিট ফুড, যা মাংস, সবজি ও নুডলসের ঝাল ঝোলে তৈরি করা হয়। ওয়াং সেখানে ছয় মাস কাজ করেন। তবে হের অভিযোগ, ওয়াং ‘সহজ কাজগুলো’ করতেন। হেইলংজিয়াং টিভিকে হে বলেন, ‘সে প্রতিদিন আমাদের মালাতাং খেত। আমাদের বিক্রির জন্য যা থাকত, তা-ও তার খাওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল না।’ তিনি আরও যোগ করেন, তাঁর পরিবারও ওয়াংয়ের ওপর অসন্তুষ্ট ছিল। কারণ, তাদের মনে হয়েছে মেয়েটি বদলে গেছে।

আদালতে হে সেসব জিনিসের তালিকা পেশ করেন, যা তিনি ওয়াংয়ের জন্য কিনেছিলেন। জবাবে ওয়াং বলেন, ‘ও বড্ড বেশি হিসাবি। আমি তো ওর বান্ধবী ছিলাম।’ আদালতে তিনি হেকে প্রশ্ন করেন, ‘তুমি আমাকে যে টাইটস আর অন্তর্বাস কিনে দিয়েছিলে, সেগুলো কি তুমি নিজেও উপভোগ করনি?’

আদালত ৩০ হাজার ইউয়ান ফেরত দেওয়ার দাবিটি খারিজ করে দেন। বিচারক জানান, এগুলো ব্যক্তিগত জিনিস, যা উভয় পক্ষকেই আবেগীয় তৃপ্তি দিয়েছে। তবে অগ্রিম দেওয়া ২০ হাজার ইউয়ান যৌতুকের অর্ধেক টাকা ওয়াংকে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালতের এই রায়ে উভয় পক্ষই সন্তোষ প্রকাশ করেছে।

চীনে যৌতুক বা ‘ব্রাইড প্রাইস’ একটি প্রাচীন প্রথা। বিয়ের সময় বরের পরিবার কনের পরিবারকে উপহার হিসেবে এই টাকা দেয়, যা মূলত মেয়েটিকে পরিবারে স্বাগত জানানোর একটি আন্তরিক প্রথা। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই প্রথা নিয়ে নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কেউ কেউ একে সেকেলে এবং নারীকে পণ্য হিসেবে বিবেচনা করার নামান্তর মনে করেন। আবার অনেকে একে বিয়ের পর নারীর ত্যাগের ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেখেন।

২০২১ সালে কার্যকর হওয়া চীনের সিভিল কোড অনুযায়ী, যদি বিয়ে সম্পন্ন না হয় কিংবা বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী একত্রে বসবাস না করেন, তবে যৌতুকের টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি আদালত সমর্থন করতে পারেন।

ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ইন্টারনেটে সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে। একজন মন্তব্য করেছেন, ‘ও যদি এতই হিসাবি হয়, তবে কেন মেয়েটিকে বেতন দিল না?’ অন্য একজন লিখেছেন, ‘ওর বউ নয়, একজন আয়া দরকার ছিল।’ তৃতীয় আরেকজন লিখেছেন, ‘মেয়েটিকে অভিনন্দন যে সে এমন এক সংকীর্ণমনা মানুষের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মদের দোকানে তাণ্ডব, বাথরুমে পাওয়া গেল মাতাল র‍্যাকুন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ১৯
মদ খেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে ছিল একটি র‍্যাকুন। ছবি: সংগৃহীত
মদ খেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে ছিল একটি র‍্যাকুন। ছবি: সংগৃহীত

সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে! প্রাথমিকভাবে সবাই বড় কোনো চুরির আশঙ্কা করলেও কোনো দামি জিনিস খোয়া যায়নি; বরং দোকানের বাথরুমের কমোড আর ডাস্টবিনের চিপায় উদ্ধার হলো আসল ‘অপরাধী’। সেখানে অঘোরে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছিল এক বুনো র‍্যাকুন!

ঘটনার সূত্রপাত হয় থ্যাংকসগিভিংয়ের ছুটিতে। দোকান বন্ধ থাকার সুযোগে এই ‘মুখোশধারী ডাকাত’ সিলিংয়ের টাইলস ভেঙে দোকানের ভেতরে প্রবেশ করে। পশুপালন দপ্তরের কর্মকর্তা সামান্থা মার্টিন গণমাধ্যমকে জানান, ভেতরে ঢুকেই র‍্যাকুনটি পুরোদস্তুর তাণ্ডব শুরু করে। তবে তার প্রধান আকর্ষণ ছিল নিচের দিকের তাকগুলোতে সাজিয়ে রাখা স্কচ হুইস্কির বোতলগুলো। বেশ কয়েকটি বোতল ভেঙে, প্রচুর পরিমাণে স্কচ সাবাড় করে র‍্যাকুনটি মাতাল হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে নেশার ঘোরে সে বাথরুমে আশ্রয় নেয় এবং সেখানেই জ্ঞান হারায়।

খবর পেয়ে সামান্থা মার্টিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে র‍্যাকুনটিকে উদ্ধার করেন। তিনি কৌতুক করে বলেন, ‘পশু সুরক্ষা ও নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার জীবনে এটা আর দশটা দিনের মতোই একটি সাধারণ দিন!’

পুরো মদের দোকান তছনছ করেছিল বুনো র‍্যাকুন। ছবি: সংগৃহীত
পুরো মদের দোকান তছনছ করেছিল বুনো র‍্যাকুন। ছবি: সংগৃহীত

র‍্যাকুনটি এতটাই নেশাগ্রস্ত ছিল যে সেটিকে ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য’ হ্যানোভার কাউন্টি অ্যানিমেল প্রটেকশন শেল্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে পুলিশি কাস্টডিতে নয়, বরং তার নেশা কাটানোর জন্যই এই ব্যবস্থা।

বেশ কয়েক ঘণ্টা একটানা ঘুমের পর যখন র‍্যাকুনটি হ্যাংওভার কাটে। শারীরিক কোনো চোট পাওয়া যায়নি। এটি নিশ্চিত হয়েই তাকে সসম্মানে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়।

দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে এক রহস্যময় ছায়ামূর্তির তাণ্ডব দেখা গেলেও র‍্যাকুনটি ঠিক কতটা স্কচ হজম করেছিল, তা অজানাই রয়ে গেছে। দোকানের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি মজার পোস্ট দিয়ে জানানো হয়, র‍্যাকুনটিকে নিরাপদে ‘সোবার রাইড’, অর্থাৎ নেশামুক্ত অবস্থায় বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য তারা প্রশাসনের কাছে কৃতজ্ঞ!

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভারতে প্রায় কোটি টাকার এক হিরা খুঁজে পেলেন ‘শৈশবের দুই বন্ধু’

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
সতীশ ও সাজিদের পাওয়া এই হিরাটি ১৫.৩৪ ক্যারেটের। ছবি: বিবিসি
সতীশ ও সাজিদের পাওয়া এই হিরাটি ১৫.৩৪ ক্যারেটের। ছবি: বিবিসি

ভারতের মধ্যাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় হঠাৎ পাওয়া একটি হিরার খোঁজ দুই বন্ধুর জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায় সম্প্রতি এক শীতের সকালে শৈশবের বন্ধু সতীশ খাটিক ও সাজিদ মোহাম্মদের হাতে ধরা পড়েছে ১৫.৩৪ ক্যারেটের মূল্যবান ওই হিরাটি। এটির বাজারমূল্য বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় পৌনে এক কোটি টাকা।

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিবিসি জানিয়েছে, পান্না জেলা ভারতের অন্যতম হিরা উত্তোলন অঞ্চল। সেখানেই কয়েক সপ্তাহ আগে লিজ নেওয়া একটি জমিতে কাজ করতে গিয়ে চকচকে পাথরটির সন্ধান পান সতীশ ও সাজিদ। পরে সেটি শহরের সরকারি হিরা মূল্যায়ন কর্মকর্তার কাছে নিয়ে গেলে নিশ্চিত হওয়া যায়—এটি উৎকৃষ্ট মানের প্রাকৃতিক হিরা।

সতীশের হাতে খুঁজে পাওয়া হিরাটি, পাশে সাজিদ। ছবি: বিবিসি
সতীশের হাতে খুঁজে পাওয়া হিরাটি, পাশে সাজিদ। ছবি: বিবিসি

মূল্যায়ন কর্মকর্তা অনুপম সিং জানান, হিরাটির সম্ভাব্য দাম ৭০ থেকে ৮০ লাখ টাকা। শিগগিরই এটিকে সরকারি নিলামে তোলা হবে। এই নিলামে দেশ-বিদেশের ক্রেতারা অংশ নেবেন। তিনি আরও জানান, হিরার দাম নির্ভর করে ডলারের বিনিময় হার ও আন্তর্জাতিক রাপাপোর্ট রিপোর্টের মানদণ্ডের ওপর।

২৪ বছর বয়সী সতীশ খাটিক একটি মাংসের দোকান চালান, আর ২৩ বছরের সাজিদ মোহাম্মদ ফল বিক্রি করেন। দুজনই দরিদ্র পরিবারের সন্তান এবং পরিবারের কনিষ্ঠ সদস্য। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে তাঁদের পরিবার পান্নায় হিরা খোঁজার চেষ্টা করেছে। কিন্তু এত দিন কোনো বড় সাফল্য আসেনি।

উন্নয়ন সূচকে পান্না জেলা পিছিয়ে থাকা একটি এলাকা। এখানে দারিদ্র্য, পানির সংকট ও বেকারত্ব নিত্যদিনের বাস্তবতা। তবে এই জেলাতেই ভারতের অধিকাংশ হিরা মজুত রয়েছে, যা স্থানীয়দের ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখায়।

সাজিদের বাবা নাফিস জানান, বছরের পর বছর খোঁড়াখুঁড়ি করেও তাঁরা পেয়েছেন শুধু ধুলো আর কাঁচের টুকরো। তিনি বলেন, ‘ঈশ্বর অবশেষে আমাদের ধৈর্য আর পরিশ্রমের ফল দিয়েছেন।’ সংসারের ক্রমবর্ধমান খরচ ও বিয়ের ব্যয় মেটাতে না পেরে হতাশা থেকেই জমিটি লিজ নিয়েছিলেন সাজিদ।

হিরা খোঁজার কাজ সহজ নয়। দিনের কাজ শেষে সন্ধ্যায় কিংবা ছুটির সময় মাটি খুঁড়ে, পাথর ধুয়ে, চালুনিতে ছেঁকে হাজারো কণার ভিড় থেকে সম্ভাব্য হিরা আলাদা করতেন সতীশ ও সাজিদ। পান্নার জেলা খনি কর্মকর্তা রবি প্যাটেল বলেন, ‘গত ১৯ নভেম্বর তারা জমিটি লিজ নেয়। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এমন মানের হিরা পাওয়া সৌভাগ্যের ব্যাপার।’

এখনো নিলামের টাকা হাতে না পেলেও দুই বন্ধু আশাবাদী। বড় শহরে চলে যাওয়া বা ব্যবসা বাড়ানোর চিন্তা আপাতত তাঁরা বাদ দিয়েছেন। তাঁদের একটাই লক্ষ্য—এই অর্থ দিয়ে নিজেদের বোনদের বিয়ে দেওয়া।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত