
কয়েক দশক ধরেই উত্তর-পূর্ব থাইল্যান্ডের প্রদেশের থাম ফা মাক মন্দির রেসাস ম্যাকাউ বানরদের বিচরণ ও বসতির জন্য বিখ্যাত। প্রতিদিন সকালে মন্দিরের ভিক্ষুরা ভাত ও ফলমূল খেতে দেন এদের। পর্যটকেরাও আশপাশের দোকান থেকে কলাসহ নানান কিছু কিনে খাওয়ান এই বানরদের।
গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, গত কয়েক মাস ধরে স্থানীয় বাসিন্দারা খাবার নিয়ে এসে আবিষ্কার করছেন তাঁদের স্বাগত জানাতে কমসংখ্যক বানর উপস্থিত হচ্ছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর দাবি, লোয়েই প্রদেশের ওই মন্দির থেকে সাম্প্রতিক সময়ে কয়েক শ বানর অদৃশ্য হয়ে গেছে।
বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান ওয়াংসফাং জেলার চিফ অফিসার প্রাচা সায়েনক্ল্যাং। একটি সম্ভাবনা হলো, ঋতু পরিবর্তন কিংবা কোভিড পরিস্থিতির কারণে বিগত সময়ে কমসংখ্যক পর্যটক খাবার নিয়ে এসেছেন। এতে বানরেরা জায়গা পরিবর্তন করে অন্য কোথাও চলে গেছে।
তবে কেউ কেউ আবার বন্যপ্রাণী পাচারকারীদের হাত থাকার আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না। ওয়াইল্ডলাইফ ফাউন্ডেশন অব থাইল্যান্ডের (ডব্লিউএফএফটি) প্রতিষ্ঠাতা এডউইন উইক বলেন, বানরগুলো ধরে সীমান্তের ওপাশে পাচার করা হতে পারে। ‘লাউসের কিছু খামারে এ ধরনের বানরকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।’ বলেন তিনি।
কোভিডের পর থেকে এই অঞ্চলে বানর পাচার, বিশেষ করে লং-টেইলড বা লম্বা লেজওয়ালা ম্যাকাউ বানর পাচার একটা দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০২০ সালের মার্চে চীন ম্যাকাউ বানর রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এতে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণাগারে বানরের সরবরাহে ঘাটতি তৈরি হয়। আর এই সংকটের কারণে চোরাচালান বেড়ে যায় বলে অনুমান করেন পশু অধিকার নিয়ে কাজ করা বিশেষজ্ঞরা।
করোনা মহামারির আগে লম্বা লেজওয়ালা ম্যাকাউ বানরদের চোরাচালান বড় কোনো সমস্যা ছিল না বলে জানান উইক। তিনি বলেন, ‘লম্বা লেজ ম্যাকাউ বানরদের দাম চোরাই বাজারে ছিল একেবারেই কম। প্রতিটি ২০-৩০ ডলার। বন্যপ্রাণী বাণিজ্যের বিবেচনায় একে মোটেই উপযোগী বলা যায় না। তবে সমস্যা হলো, এখন এই দাম আগের তুলনায় ৫-১০ গুণ হয়ে গেছে।’
এদিকে ২০২২ সালে বাসস্থানের সংকটের পাশাপাশি শিকার ও ফাঁদ পেতে ধরার কারণে লম্বা-লেজি বা লং-টেইলড ম্যাকাউ বানরদের অবস্থা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অব কনজারভেশন অব নেচারের (আইইউসিএন) বিবেচনায় সংকটাপন্ন থেকে প্রথমবারের মতো বিপন্ন প্রজাতির তালিকায় উঠেছে। ওয়াইল্ডলাইফ ফাউন্ডেশন অব থাইল্যান্ড প্রতি দুই কিংবা তিন সপ্তাহ পর পর এমন সন্দেহভাজন পাচারের সংবাদ পাচ্ছে।
পরিবেশগত অপরাধ বিভাগের ডেপুটি পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট ল্যাফটেনেন্ট কর্নেল এনেক নাকথর্ন জানান, পর্যটন এলাকা, পর্যটন এলাকা নয় এমন এলাকা এবং বানরের বিচরণ আছে এমন মন্দির তাঁদের নজরদারিতে আছে। মধ্য থাইল্যান্ডে কোভিড-পরবর্তী সময়ে অন্তত ১০টি এ ধরনের ঘটনার কথা জেনেছেন তিনি। পূর্ব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে কিছু জায়গায় সিসিটিভি স্থাপন করা হয়েছে।
গত সপ্তাহে উত্তর থাইল্যান্ডের নাখন সাওয়ান এলাকায় ট্রাংকুইলাইজার (চেতনানাশক) ও খাবারের টোপসহ দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ৯টি বানরকে ধরার চেষ্টা করছিল তারা। নিশ্চিত করেন এনেক নাকথর্ন। এগুলোর মধ্যে একটি মারা গেলেও বাকি আটটি ডিপার্টমেন্ট অব ন্যাশনাল পার্কের তত্ত্বাবধানে আছে। পুরোপুরি সুস্থ হলে তাদের বুনো পরিবেশে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
চোরা শিকারিরা একবারে সাধারণত দশটির কম বানর ধরে—বলেন ডব্লিউএফএফটির প্রতিষ্ঠাতা এডউইন উইক, ‘তারপর তাদের কোনো খাঁচায় বা এমন থলেতে রাখা হয়, যেখানে অন্তত দিন দুয়েক নিঃশ্বাস নিতে পারে। এর মধ্যে যতগুলো বানর ধরার চাহিদা আছে সংগ্রহ করে ফেলতে পারে।’ সাধারণত এ ধরনের একেকটি চালানে ৫০ থেকে ১০০টি বানর সরবরাহ করা হয়।
সাধারণত ম্যাকাউ বানরদের সীমান্ত পার করে পৌঁছানো হয় কম্বোডিয়ায়। যুক্তরাষ্ট্রে লম্বা-লেজি ম্যাকাউ বানরদের বড় সরবরাহকারী দেশটি।
গত বছরের নভেম্বরে কম্বোডিয়ার একজন বন্যপ্রাণী দেখভালের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাসহ আট ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বন্য অবস্থা থেকে বানরগুলো ধরে আনা, তারপর জাল আমদানি পারমিট তৈরি করা এবং সবশেষে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণাগারে বিক্রি করা। প্রাইমেট বিশেষজ্ঞ ড. লিসা জোনস-অ্যাঞ্জেল জানান, যুক্তরাষ্ট্র এ ধরনের অপরাধ দমনে কঠোর অবস্থানে আছে।
এই সপ্তাহে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোয় গবেষণার কাজে ব্যবহার করা বানর সরবরাহ কর চার্লস রিভার ল্যাবরেটরিজ জানিয়েছে, ইউএস জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট থেকে তাঁদের তলব করা হয়েছে। কম্বোডিয়া থেকে বানরজাতীয় প্রাণী সরবরাহের বিষয়ে তদন্ত এর উদ্দেশ্য।
বন্যপ্রাণীর অবৈধ ব্যবসার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে থাকার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র নতুন একটি আইন পাশ করেছে বলে জানা গেছে বিশেষজ্ঞ ড. লিসা জোনস-অ্যাঞ্জেল সূত্রে। কোনো ওষুধ মানুষের ওপর প্রয়োগের আগে পশুর ওপর প্রয়োগের বাধ্যবাধকতা তুলে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে বুনো পরিবেশ থেকে ম্যাকাউ বানরদের সরিয়ে নেওয়া শুধু নতুন মহামারির ঝুঁকি বাড়াচ্ছে তা নয়, এটি ইকোসিস্টেম ও স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্যও ক্ষতিকর। ড. লিসা জোনস-অ্যাঞ্জেল বলেন, এসব বানর একই সঙ্গে শিকারি, শিকার ও বীজ ছড়ায়। মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে তারা সাহায্য করে। এভাবে এই প্রাণীর পাচারকে একধরনের বায়ো পাইরেসি হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে লোয়েইয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি মন্দিরে তিন লোককে অস্বাভাবিক আচরণ করতে দেখা গেছে। ‘আমরা খবর পাই, কিছু লোক মন্দিরে রাতের বেলা এসে বানর নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।’ বলেন প্রাচা। আলাদা আলাদাভাবে এই লোকগুলো পাঁচটি বানর নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এদের মধ্যে দুটি মারা যায়। ‘জেরায় এই ব্যক্তিরা জানায়, বানরগুলো খুব সুন্দর লেগেছিল তাঁদের, তাই পুষতে চেয়েছিল।’ তবে এখনই গোটা বিষয়টিতে উপসংহারে পৌঁছা যাচ্ছে না বলে জানান তিনি।

কয়েক দশক ধরেই উত্তর-পূর্ব থাইল্যান্ডের প্রদেশের থাম ফা মাক মন্দির রেসাস ম্যাকাউ বানরদের বিচরণ ও বসতির জন্য বিখ্যাত। প্রতিদিন সকালে মন্দিরের ভিক্ষুরা ভাত ও ফলমূল খেতে দেন এদের। পর্যটকেরাও আশপাশের দোকান থেকে কলাসহ নানান কিছু কিনে খাওয়ান এই বানরদের।
গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, গত কয়েক মাস ধরে স্থানীয় বাসিন্দারা খাবার নিয়ে এসে আবিষ্কার করছেন তাঁদের স্বাগত জানাতে কমসংখ্যক বানর উপস্থিত হচ্ছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর দাবি, লোয়েই প্রদেশের ওই মন্দির থেকে সাম্প্রতিক সময়ে কয়েক শ বানর অদৃশ্য হয়ে গেছে।
বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান ওয়াংসফাং জেলার চিফ অফিসার প্রাচা সায়েনক্ল্যাং। একটি সম্ভাবনা হলো, ঋতু পরিবর্তন কিংবা কোভিড পরিস্থিতির কারণে বিগত সময়ে কমসংখ্যক পর্যটক খাবার নিয়ে এসেছেন। এতে বানরেরা জায়গা পরিবর্তন করে অন্য কোথাও চলে গেছে।
তবে কেউ কেউ আবার বন্যপ্রাণী পাচারকারীদের হাত থাকার আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না। ওয়াইল্ডলাইফ ফাউন্ডেশন অব থাইল্যান্ডের (ডব্লিউএফএফটি) প্রতিষ্ঠাতা এডউইন উইক বলেন, বানরগুলো ধরে সীমান্তের ওপাশে পাচার করা হতে পারে। ‘লাউসের কিছু খামারে এ ধরনের বানরকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।’ বলেন তিনি।
কোভিডের পর থেকে এই অঞ্চলে বানর পাচার, বিশেষ করে লং-টেইলড বা লম্বা লেজওয়ালা ম্যাকাউ বানর পাচার একটা দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০২০ সালের মার্চে চীন ম্যাকাউ বানর রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এতে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণাগারে বানরের সরবরাহে ঘাটতি তৈরি হয়। আর এই সংকটের কারণে চোরাচালান বেড়ে যায় বলে অনুমান করেন পশু অধিকার নিয়ে কাজ করা বিশেষজ্ঞরা।
করোনা মহামারির আগে লম্বা লেজওয়ালা ম্যাকাউ বানরদের চোরাচালান বড় কোনো সমস্যা ছিল না বলে জানান উইক। তিনি বলেন, ‘লম্বা লেজ ম্যাকাউ বানরদের দাম চোরাই বাজারে ছিল একেবারেই কম। প্রতিটি ২০-৩০ ডলার। বন্যপ্রাণী বাণিজ্যের বিবেচনায় একে মোটেই উপযোগী বলা যায় না। তবে সমস্যা হলো, এখন এই দাম আগের তুলনায় ৫-১০ গুণ হয়ে গেছে।’
এদিকে ২০২২ সালে বাসস্থানের সংকটের পাশাপাশি শিকার ও ফাঁদ পেতে ধরার কারণে লম্বা-লেজি বা লং-টেইলড ম্যাকাউ বানরদের অবস্থা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অব কনজারভেশন অব নেচারের (আইইউসিএন) বিবেচনায় সংকটাপন্ন থেকে প্রথমবারের মতো বিপন্ন প্রজাতির তালিকায় উঠেছে। ওয়াইল্ডলাইফ ফাউন্ডেশন অব থাইল্যান্ড প্রতি দুই কিংবা তিন সপ্তাহ পর পর এমন সন্দেহভাজন পাচারের সংবাদ পাচ্ছে।
পরিবেশগত অপরাধ বিভাগের ডেপুটি পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট ল্যাফটেনেন্ট কর্নেল এনেক নাকথর্ন জানান, পর্যটন এলাকা, পর্যটন এলাকা নয় এমন এলাকা এবং বানরের বিচরণ আছে এমন মন্দির তাঁদের নজরদারিতে আছে। মধ্য থাইল্যান্ডে কোভিড-পরবর্তী সময়ে অন্তত ১০টি এ ধরনের ঘটনার কথা জেনেছেন তিনি। পূর্ব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে কিছু জায়গায় সিসিটিভি স্থাপন করা হয়েছে।
গত সপ্তাহে উত্তর থাইল্যান্ডের নাখন সাওয়ান এলাকায় ট্রাংকুইলাইজার (চেতনানাশক) ও খাবারের টোপসহ দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ৯টি বানরকে ধরার চেষ্টা করছিল তারা। নিশ্চিত করেন এনেক নাকথর্ন। এগুলোর মধ্যে একটি মারা গেলেও বাকি আটটি ডিপার্টমেন্ট অব ন্যাশনাল পার্কের তত্ত্বাবধানে আছে। পুরোপুরি সুস্থ হলে তাদের বুনো পরিবেশে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
চোরা শিকারিরা একবারে সাধারণত দশটির কম বানর ধরে—বলেন ডব্লিউএফএফটির প্রতিষ্ঠাতা এডউইন উইক, ‘তারপর তাদের কোনো খাঁচায় বা এমন থলেতে রাখা হয়, যেখানে অন্তত দিন দুয়েক নিঃশ্বাস নিতে পারে। এর মধ্যে যতগুলো বানর ধরার চাহিদা আছে সংগ্রহ করে ফেলতে পারে।’ সাধারণত এ ধরনের একেকটি চালানে ৫০ থেকে ১০০টি বানর সরবরাহ করা হয়।
সাধারণত ম্যাকাউ বানরদের সীমান্ত পার করে পৌঁছানো হয় কম্বোডিয়ায়। যুক্তরাষ্ট্রে লম্বা-লেজি ম্যাকাউ বানরদের বড় সরবরাহকারী দেশটি।
গত বছরের নভেম্বরে কম্বোডিয়ার একজন বন্যপ্রাণী দেখভালের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাসহ আট ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বন্য অবস্থা থেকে বানরগুলো ধরে আনা, তারপর জাল আমদানি পারমিট তৈরি করা এবং সবশেষে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণাগারে বিক্রি করা। প্রাইমেট বিশেষজ্ঞ ড. লিসা জোনস-অ্যাঞ্জেল জানান, যুক্তরাষ্ট্র এ ধরনের অপরাধ দমনে কঠোর অবস্থানে আছে।
এই সপ্তাহে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোয় গবেষণার কাজে ব্যবহার করা বানর সরবরাহ কর চার্লস রিভার ল্যাবরেটরিজ জানিয়েছে, ইউএস জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট থেকে তাঁদের তলব করা হয়েছে। কম্বোডিয়া থেকে বানরজাতীয় প্রাণী সরবরাহের বিষয়ে তদন্ত এর উদ্দেশ্য।
বন্যপ্রাণীর অবৈধ ব্যবসার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে থাকার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র নতুন একটি আইন পাশ করেছে বলে জানা গেছে বিশেষজ্ঞ ড. লিসা জোনস-অ্যাঞ্জেল সূত্রে। কোনো ওষুধ মানুষের ওপর প্রয়োগের আগে পশুর ওপর প্রয়োগের বাধ্যবাধকতা তুলে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে বুনো পরিবেশ থেকে ম্যাকাউ বানরদের সরিয়ে নেওয়া শুধু নতুন মহামারির ঝুঁকি বাড়াচ্ছে তা নয়, এটি ইকোসিস্টেম ও স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্যও ক্ষতিকর। ড. লিসা জোনস-অ্যাঞ্জেল বলেন, এসব বানর একই সঙ্গে শিকারি, শিকার ও বীজ ছড়ায়। মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে তারা সাহায্য করে। এভাবে এই প্রাণীর পাচারকে একধরনের বায়ো পাইরেসি হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে লোয়েইয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি মন্দিরে তিন লোককে অস্বাভাবিক আচরণ করতে দেখা গেছে। ‘আমরা খবর পাই, কিছু লোক মন্দিরে রাতের বেলা এসে বানর নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।’ বলেন প্রাচা। আলাদা আলাদাভাবে এই লোকগুলো পাঁচটি বানর নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এদের মধ্যে দুটি মারা যায়। ‘জেরায় এই ব্যক্তিরা জানায়, বানরগুলো খুব সুন্দর লেগেছিল তাঁদের, তাই পুষতে চেয়েছিল।’ তবে এখনই গোটা বিষয়টিতে উপসংহারে পৌঁছা যাচ্ছে না বলে জানান তিনি।

শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ শনিবার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা ষষ্ঠ অব
২ ঘণ্টা আগে
পৌষ মাসের ৫ তারিখ আজ। শীতের দেখা নেই; বরং বেড়ে চলেছে তাপমাত্রা। আজ শনিবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে দেখা যায়, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শুক্রবার একই সময়ে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
৩ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
১ দিন আগে
দক্ষিণ এশিয়ার গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ (আইজিপি-এইচএফ) অঞ্চলের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে। এতে বছরে এই অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ শনিবার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে। আর শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে আফগানিস্তানের রাজধানী শহর কাবুল।
আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ২০২, খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক। আর শীর্ষে থাকা কাবুলের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেস্ক স্কোর ৪৯৫, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো ভারতের দিল্লি (৩৯৩), বাহরাইনের মানামা (২৬৪), ভারতের কলকাতা (২২৬) ও পাকিস্তানের করাচি (২০৩)।
আজ ঢাকার যেসব এলাকায় বায়ুদূষণ সবচেয়ে বেশি— দক্ষিণ পল্লবী, কল্যাণপুর, পেয়ারাবাগ রেল লাইন, বেজ এজওয়াটার আউটডোর, গোড়ান, শান্তা ফোরাম, গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোকাররম বিল্ডিং।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ শনিবার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে। আর শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে আফগানিস্তানের রাজধানী শহর কাবুল।
আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ২০২, খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক। আর শীর্ষে থাকা কাবুলের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেস্ক স্কোর ৪৯৫, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো ভারতের দিল্লি (৩৯৩), বাহরাইনের মানামা (২৬৪), ভারতের কলকাতা (২২৬) ও পাকিস্তানের করাচি (২০৩)।
আজ ঢাকার যেসব এলাকায় বায়ুদূষণ সবচেয়ে বেশি— দক্ষিণ পল্লবী, কল্যাণপুর, পেয়ারাবাগ রেল লাইন, বেজ এজওয়াটার আউটডোর, গোড়ান, শান্তা ফোরাম, গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোকাররম বিল্ডিং।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

কয়েক দশক ধরেই উত্তর-পূর্ব থাইল্যান্ডের প্রদেশের থাম ফা মাক মন্দির রেসাস ম্যাকাউ বানরদের বিচরণ ও বসতির জন্য বিখ্যাত। প্রতিদিন সকালে মন্দিরের ভিক্ষুরা ভাত ও ফলমূল খেতে দেন তাদের। পর্যটকেরাও আশপাশের দোকান থেকে কলাসহ নানান কিছু কিনে খাওয়ান এদের। গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, গত কয়েক মাস ধরে স্থানী
০১ মার্চ ২০২৩
পৌষ মাসের ৫ তারিখ আজ। শীতের দেখা নেই; বরং বেড়ে চলেছে তাপমাত্রা। আজ শনিবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে দেখা যায়, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শুক্রবার একই সময়ে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
৩ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
১ দিন আগে
দক্ষিণ এশিয়ার গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ (আইজিপি-এইচএফ) অঞ্চলের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে। এতে বছরে এই অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পৌষ মাসের ৫ তারিখ আজ। শীতের দেখা নেই; বরং বেড়ে চলেছে তাপমাত্রা। আজ শনিবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে দেখা যায়, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শুক্রবার একই সময়ে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এসব কথা বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে আরও বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে আর্দ্রতা পরিমাপ করা হয়েছে ৭৬ শতাংশ। আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আকাশে কিছুটা মেঘের আনাগোনা দেখা যেতে পারে।
অধিদপ্তর আরও বলছে, আজ দিনের তাপমাত্রায় তেমন কোনো পরিবর্তন দেখা যাবে না।
এ ছাড়া বুলেটিনে আরও বলা হয়েছে, এ সময় উত্তর বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
এদিকে গতকাল শুক্রবার ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

পৌষ মাসের ৫ তারিখ আজ। শীতের দেখা নেই; বরং বেড়ে চলেছে তাপমাত্রা। আজ শনিবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে দেখা যায়, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শুক্রবার একই সময়ে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এসব কথা বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে আরও বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে আর্দ্রতা পরিমাপ করা হয়েছে ৭৬ শতাংশ। আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আকাশে কিছুটা মেঘের আনাগোনা দেখা যেতে পারে।
অধিদপ্তর আরও বলছে, আজ দিনের তাপমাত্রায় তেমন কোনো পরিবর্তন দেখা যাবে না।
এ ছাড়া বুলেটিনে আরও বলা হয়েছে, এ সময় উত্তর বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
এদিকে গতকাল শুক্রবার ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

কয়েক দশক ধরেই উত্তর-পূর্ব থাইল্যান্ডের প্রদেশের থাম ফা মাক মন্দির রেসাস ম্যাকাউ বানরদের বিচরণ ও বসতির জন্য বিখ্যাত। প্রতিদিন সকালে মন্দিরের ভিক্ষুরা ভাত ও ফলমূল খেতে দেন তাদের। পর্যটকেরাও আশপাশের দোকান থেকে কলাসহ নানান কিছু কিনে খাওয়ান এদের। গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, গত কয়েক মাস ধরে স্থানী
০১ মার্চ ২০২৩
শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ শনিবার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা ষষ্ঠ অব
২ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
১ দিন আগে
দক্ষিণ এশিয়ার গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ (আইজিপি-এইচএফ) অঞ্চলের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে। এতে বছরে এই অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৬ শতাংশ।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৫ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৬ মিনিটে।

রাজধানী ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৬ শতাংশ।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৫ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৬ মিনিটে।

কয়েক দশক ধরেই উত্তর-পূর্ব থাইল্যান্ডের প্রদেশের থাম ফা মাক মন্দির রেসাস ম্যাকাউ বানরদের বিচরণ ও বসতির জন্য বিখ্যাত। প্রতিদিন সকালে মন্দিরের ভিক্ষুরা ভাত ও ফলমূল খেতে দেন তাদের। পর্যটকেরাও আশপাশের দোকান থেকে কলাসহ নানান কিছু কিনে খাওয়ান এদের। গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, গত কয়েক মাস ধরে স্থানী
০১ মার্চ ২০২৩
শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ শনিবার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা ষষ্ঠ অব
২ ঘণ্টা আগে
পৌষ মাসের ৫ তারিখ আজ। শীতের দেখা নেই; বরং বেড়ে চলেছে তাপমাত্রা। আজ শনিবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে দেখা যায়, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শুক্রবার একই সময়ে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
৩ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ এশিয়ার গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ (আইজিপি-এইচএফ) অঞ্চলের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে। এতে বছরে এই অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দক্ষিণ এশিয়ার গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ (আইজিপি-এইচএফ) অঞ্চলের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে। এতে বছরে এই অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে। বায়ুদূষণের ফলে অঞ্চলটির অর্থনীতিতে বছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১০ শতাংশের সমপরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে। এই দূষণের ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশও।
বিশ্বব্যাংকের ‘এ ব্রেথ অব চেঞ্জ: সলিউশনস ফর ক্লিনার এয়ার ইন দ্য ইন্দো-গেঞ্জেটিক প্লেইনস অ্যান্ড হিমালয়ান ফুটহিলস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। সংস্থাটির ঢাকা অফিস থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আইজিপি-এইচএফ অঞ্চলে বায়ুদূষণ এখনো অন্যতম বড় উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে। সমন্বিত ও বাস্তবভিত্তিক কিছু পদক্ষেপ নিলে দূষণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব। এতে একই সঙ্গে জনস্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দুটোরই উন্নতি হবে।
গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান ও ভুটানের অংশবিশেষ। প্রতিবেদনে বলা হয়, এ অঞ্চলের বায়ুদূষণের প্রধান পাঁচটি উৎস রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রান্না ও ঘর গরম করার কাজে লাকড়িজাতীয় কঠিন বস্তু ব্যবহার, শিল্পকারখানায় জীবাশ্ম জ্বালানি (তেল, গ্যাস, কয়লা) ও বায়োম্যাসের ফিল্টার ছাড়া অদক্ষ ব্যবহার, অনুন্নত প্রযুক্তির ইঞ্জিনের যানবাহন চালানো, কৃষকদের খেতের ফসলের অবশিষ্টাংশ পোড়ানো এবং রাসায়নিক সার ও গোবরের অদক্ষ ব্যবস্থাপনা এবং গৃহস্থালি ও কারখানার বর্জ্য পোড়ানো।
দূষণ কমাতে কয়েকটি তুলনামূলকভাবে সহজে বাস্তবায়নযোগ্য কৌশলের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে। এগুলো হলো–বৈদ্যুতিক চুলায় রান্না, শিল্পকারখানার বয়লার, ফার্নেস ও ইটভাটার আধুনিকায়ন, নন-মোটরাইজড ও বৈদ্যুতিক পরিবহনব্যবস্থার প্রসার, কৃষিবর্জ্য ও পশুবর্জ্যের উন্নত ব্যবস্থাপনা এবং বর্জ্য পৃথক্করণ ও পুনর্ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া।
প্রতিবেদনে নির্মল বায়ু নিশ্চিত করার কৌশলকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ১. দূষণের উৎসেই নির্গমন কমানোর ব্যবস্থা। ২. স্বাস্থ্য ও শিক্ষাব্যবস্থা শক্তিশালী করে শিশু ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দেওয়া। ৩. কার্যকর আইন, বাজারভিত্তিক প্রণোদনা ও আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তোলা।
বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ পরিবেশ অর্থনীতিবিদ মার্টিন হেগার বলেন, ‘নির্মল বায়ু নিশ্চিত করার সমাধানগুলো বাস্তবসম্মত ও কার্যকর। নীতিনির্ধারকদের জন্য এটি একটি স্পষ্ট রোডম্যাপ দেয়। একই সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার পরিবার, কৃষক ও উদ্যোক্তাদের জন্য পরিচ্ছন্ন প্রযুক্তি ব্যবহারে আর্থিক ও অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক সুযোগ তৈরি করে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্মল বায়ু নিশ্চিত করতে ‘চারটি আই’ (ইংরেজি আদ্যক্ষর)—তথ্য, প্রণোদনা, প্রতিষ্ঠান এবং অবকাঠামোর ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। নির্ভরযোগ্য তথ্যভিত্তিক পরিকল্পনা, পরিচ্ছন্ন বিকল্পে বিনিয়োগে প্রণোদনা, কার্যকর প্রতিষ্ঠান এবং পরিচ্ছন্ন জ্বালানি ও পরিবহন অবকাঠামো গড়ে তোলাই এই রূপান্তরের মূল চাবিকাঠি।
বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের পরিবেশবিষয়ক প্র্যাকটিস ম্যানেজার অ্যান জিনেট গ্লাউবার বলেন, স্থানীয় থেকে আঞ্চলিক পর্যায় পর্যন্ত সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া নির্মল বায়ু অর্জন সম্ভব নয়। সরকারগুলো একসঙ্গে কাজ করলেই কেবল দূষণ কমানো, লাখো মানুষের জীবন রক্ষা এবং সবার জন্য নিরাপদ বায়ু নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

দক্ষিণ এশিয়ার গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ (আইজিপি-এইচএফ) অঞ্চলের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে। এতে বছরে এই অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে। বায়ুদূষণের ফলে অঞ্চলটির অর্থনীতিতে বছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১০ শতাংশের সমপরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে। এই দূষণের ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশও।
বিশ্বব্যাংকের ‘এ ব্রেথ অব চেঞ্জ: সলিউশনস ফর ক্লিনার এয়ার ইন দ্য ইন্দো-গেঞ্জেটিক প্লেইনস অ্যান্ড হিমালয়ান ফুটহিলস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। সংস্থাটির ঢাকা অফিস থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আইজিপি-এইচএফ অঞ্চলে বায়ুদূষণ এখনো অন্যতম বড় উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে। সমন্বিত ও বাস্তবভিত্তিক কিছু পদক্ষেপ নিলে দূষণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব। এতে একই সঙ্গে জনস্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দুটোরই উন্নতি হবে।
গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান ও ভুটানের অংশবিশেষ। প্রতিবেদনে বলা হয়, এ অঞ্চলের বায়ুদূষণের প্রধান পাঁচটি উৎস রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রান্না ও ঘর গরম করার কাজে লাকড়িজাতীয় কঠিন বস্তু ব্যবহার, শিল্পকারখানায় জীবাশ্ম জ্বালানি (তেল, গ্যাস, কয়লা) ও বায়োম্যাসের ফিল্টার ছাড়া অদক্ষ ব্যবহার, অনুন্নত প্রযুক্তির ইঞ্জিনের যানবাহন চালানো, কৃষকদের খেতের ফসলের অবশিষ্টাংশ পোড়ানো এবং রাসায়নিক সার ও গোবরের অদক্ষ ব্যবস্থাপনা এবং গৃহস্থালি ও কারখানার বর্জ্য পোড়ানো।
দূষণ কমাতে কয়েকটি তুলনামূলকভাবে সহজে বাস্তবায়নযোগ্য কৌশলের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে। এগুলো হলো–বৈদ্যুতিক চুলায় রান্না, শিল্পকারখানার বয়লার, ফার্নেস ও ইটভাটার আধুনিকায়ন, নন-মোটরাইজড ও বৈদ্যুতিক পরিবহনব্যবস্থার প্রসার, কৃষিবর্জ্য ও পশুবর্জ্যের উন্নত ব্যবস্থাপনা এবং বর্জ্য পৃথক্করণ ও পুনর্ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া।
প্রতিবেদনে নির্মল বায়ু নিশ্চিত করার কৌশলকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ১. দূষণের উৎসেই নির্গমন কমানোর ব্যবস্থা। ২. স্বাস্থ্য ও শিক্ষাব্যবস্থা শক্তিশালী করে শিশু ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দেওয়া। ৩. কার্যকর আইন, বাজারভিত্তিক প্রণোদনা ও আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তোলা।
বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ পরিবেশ অর্থনীতিবিদ মার্টিন হেগার বলেন, ‘নির্মল বায়ু নিশ্চিত করার সমাধানগুলো বাস্তবসম্মত ও কার্যকর। নীতিনির্ধারকদের জন্য এটি একটি স্পষ্ট রোডম্যাপ দেয়। একই সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার পরিবার, কৃষক ও উদ্যোক্তাদের জন্য পরিচ্ছন্ন প্রযুক্তি ব্যবহারে আর্থিক ও অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক সুযোগ তৈরি করে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্মল বায়ু নিশ্চিত করতে ‘চারটি আই’ (ইংরেজি আদ্যক্ষর)—তথ্য, প্রণোদনা, প্রতিষ্ঠান এবং অবকাঠামোর ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। নির্ভরযোগ্য তথ্যভিত্তিক পরিকল্পনা, পরিচ্ছন্ন বিকল্পে বিনিয়োগে প্রণোদনা, কার্যকর প্রতিষ্ঠান এবং পরিচ্ছন্ন জ্বালানি ও পরিবহন অবকাঠামো গড়ে তোলাই এই রূপান্তরের মূল চাবিকাঠি।
বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের পরিবেশবিষয়ক প্র্যাকটিস ম্যানেজার অ্যান জিনেট গ্লাউবার বলেন, স্থানীয় থেকে আঞ্চলিক পর্যায় পর্যন্ত সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া নির্মল বায়ু অর্জন সম্ভব নয়। সরকারগুলো একসঙ্গে কাজ করলেই কেবল দূষণ কমানো, লাখো মানুষের জীবন রক্ষা এবং সবার জন্য নিরাপদ বায়ু নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

কয়েক দশক ধরেই উত্তর-পূর্ব থাইল্যান্ডের প্রদেশের থাম ফা মাক মন্দির রেসাস ম্যাকাউ বানরদের বিচরণ ও বসতির জন্য বিখ্যাত। প্রতিদিন সকালে মন্দিরের ভিক্ষুরা ভাত ও ফলমূল খেতে দেন তাদের। পর্যটকেরাও আশপাশের দোকান থেকে কলাসহ নানান কিছু কিনে খাওয়ান এদের। গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, গত কয়েক মাস ধরে স্থানী
০১ মার্চ ২০২৩
শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ শনিবার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা ষষ্ঠ অব
২ ঘণ্টা আগে
পৌষ মাসের ৫ তারিখ আজ। শীতের দেখা নেই; বরং বেড়ে চলেছে তাপমাত্রা। আজ শনিবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে দেখা যায়, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শুক্রবার একই সময়ে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
৩ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
১ দিন আগে