কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালের গল্প যেন কখনো শেষ হওয়ার নয়। এখনো সামনে আসছে একের পর এক ঘটনা। লুসাইল স্টেডিয়ামে ধ্রুপদি ফ্রান্স-আর্জেন্টিনা ফাইনাল ম্যাচ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ফিফা।
আর্জেন্টিনা-ফ্রান্স গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর লুসাইলের ফাইনালে মুখোমুখি হয়। ১২০ মিনিটের লড়াই শেষ হয় ৩-৩ গোলে। টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে ৪-২ গোলে হারিয়ে নিজেদের তৃতীয় শিরোপা জেতে আর্জেন্টিনা। ৩৬ বছর পর শিরোপা জয়ের আনন্দে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে মেতেছিল আলবিসেলেস্তেরা। আকাশি-নীলদের এই আচরণ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ফিফা। বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানিয়েছে, আক্রমণাত্মক আচরণ করে ফেয়ার প্লের নীতিমালা লঙ্ঘন করেছে আর্জেন্টিনা। খেলোয়াড় ও অফিশিয়ালরাও বাজে আচরণ করেছেন। আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের মিডিয়া ও মার্কেটিংয়ের নিয়মনীতি ভাঙার বিষয়টিও তদন্ত করছে ফিফা।
কাতার বিশ্বকাপে গোল্ডেন গ্লাভসের পুরস্কার জিতেছিলেন এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। পুরস্কার জিতে অশ্লীল উদ্যাপন করেছিলেন মার্তিনেজ। এখানেই শেষ নয়, ড্রেসিংরুমে কিলিয়ান এমবাপ্পেকে নিয়ে ট্রল করেছিলেন। এরপর আর্জেন্টিনায় ছাদখোলা এমবাপ্পের ‘পুতুল’ নিয়ে উদ্যাপন করছিলেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক। মার্তিনেজের এই আচরণকে বাড়াবাড়ি বলছেন ফ্রেঞ্চ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এফএফএফ) তৎকালীন সভাপতি নোয়েল লে গ্রায়েত। আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের কাছে অভিযোগ দায়ের করে গ্রায়েত বলেছিলেন, ‘আমার কাছে এই আচরণ অস্বাভাবিক মনে হয়েছে। আমি বুঝতেই পারছি না। এটা খুবই বাড়াবাড়ি হয়েছে। এমবাপ্পের অভিযোগ সঠিক।’
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে