অর্ণব সান্যাল

অন্যে অধম হলেই যেমন উত্তম হওয়ার পথ ধ্বংস হয়ে যায় না, তেমনি ছাগল দেখে দেখে নিজেরা পাগল হয়ে যাওয়াটাও বিচিত্র নয়। এই পৃথিবীতে কত কিছুই না ঘটে! সুতরাং এ ক্ষেত্রে এবং এ দেশে অন্তত বিস্মিত হওয়ার ক্ষমতাটি হারিয়ে ফেলা অত্যাবশ্যক। তাতে যদি ছাগলের জন্য বিদেশে যাওয়ার মতো পাগলামি করা যায়, মন্দ কী!
শুরুতেই কিংবদন্তি ঔপন্যাসিক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রতি ক্ষমা চেয়ে নেওয়া যাক। তাঁর লেখা ‘কপালকুণ্ডলা’ উপন্যাসের একটি লাইন মেরে দিয়েই তো এই লেখার সূত্রপাত। ‘মেরে দেওয়া’ বাঙালির স্বভাবজাত। ফলে এই স্বভাব নিয়ে আসলে খেদ প্রকাশের তেমন কিছু নেই। আর অগ্রিম ক্ষমা চেয়ে নিলে তো সবই হয়ে যায় দুধভাত।
পাগল-ছাগলের কথা কেন এলো, এবার তার বিশদে যাই বরং। ছাগল নিয়ে ইদানীং দেশে আলোচনা হচ্ছে বেশ। আজকের পত্রিকার খবরে প্রকাশ, বিশ্বখ্যাত ব্ল্যাক বেঙ্গল গোট বা স্থানীয় জাতের কালো ছাগলের বিষয়ে ‘উঁচু স্তরের অভিজ্ঞতা’ নিতে সরকারের ১৬ কর্মকর্তা যাবেন বিদেশ সফরে। সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর আর কোটি টাকা খরচ না হলে কি মান থাকে? তাই এই বিদেশ সফরের জন্য খরচা হবে প্রায় দেড় কোটি টাকা। বিদেশে প্রশিক্ষণের এই কার্যক্রম নেওয়া হবে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএলআরআই) ‘ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের জাত সংরক্ষণ ও উন্নয়ন গবেষণা প্রকল্পের’ আওতায়। শেষ দিকে থাকা এই প্রকল্পের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দ্রুত বিদেশ সফর করতে চান।
বিশেষজ্ঞরা অবশ্য অন্য কথা বলছেন। তাঁদের কথায়, ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল বাংলাদেশের নিজস্ব জাত। এই অঞ্চলে পশুপালনের একেবারে শুরুর সময় থেকে এই ছাগল এখানে ছিল। দেশি এই ছাগলের পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে (জীবনরহস্য উন্মোচন) দেশের বিজ্ঞানীরা সফলতা পেয়েছেন বছর চারেক আগেই। দুই যুগ ধরে দেশে গবেষণাও চলছে এই ছাগলের ওপর। যেহেতু প্রকল্পের মূল কাজ দেশি ছাগলের জাত সংরক্ষণ, তাই দেশীয় পদ্ধতির সঙ্গে আধুনিক প্রযুক্তি ও ব্যবস্থাপনাই বেশি প্রয়োজন। এর জন্য বিদেশে যাওয়ার দরকার নেই বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও প্রকল্প পরিচালক বলছেন, বিদেশে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন আছে।
অর্থাৎ, কথা দাঁড়াল যে, ছাগল দেশি হলেও জ্ঞানটা আসলে শুধু বিদেশেই আছে। সেই জ্ঞান নিতে আমাদের তাই বিদেশ যাওয়া ছাড়া গত্যন্তর নেই।
কর্মকর্তাদের নাকি বিদেশে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে ছাগলের দুধ-বাচ্চা উৎপাদনক্ষমতার জন্য জিন চিহ্নিত করা; ছাগলের টাইপ তৈরির কৌশল, অ্যাডভান্স ব্রিডিং ডেটা ম্যানেজমেন্ট কৌশল; প্রাণিপুষ্টিবিষয়ক আধুনিক ল্যাবরেটরি কলাকৌশল এবং ডিজিস রেজিস্ট্যান্ট জিন চিহ্নিত করার কৌশল বিষয়ে।
আচ্ছা, সেক্ষেত্রে দুয়েকটা ছাগলকেও কি বিদেশে নেওয়া উচিত নয়? যাদের দুধ আর বাচ্চা উৎপাদন নিয়ে এত্ত আয়োজন, তাঁদেরও তো বিদেশ সফরের সুখটা পাওয়া প্রয়োজন, নাকি? নইলে ছাগলের ওপর বেশ অবিচার হয়ে যায়! শেষে যদি এ দেশের ব্ল্যাক বেঙ্গল গোটেরা ধর্মঘট করে বসে? দুধ-বাচ্চা উৎপাদনে ‘না’ করে দেয়? রোগ প্রতিরোধে অনিচ্ছুক হয়ে ওঠে? তখন কিন্তু হাঙ্গামা হয়ে যাবে।
তাই ছাগলকে দেখে নিজেরা পাগল হয়ে বিদেশে গেলেও আমাদের কিন্তু ‘তালে ঠিক’ থাকাটা প্রয়োজন। তবেই কিন্তু ছাগল আর পাগলের সহাবস্থান শান্তিপূর্ণ হবে। শান্তি বর্ষিত হবে ছাগল-পাগল উভয়ের মনে। আর দেশে শান্তি থাকলে সমৃদ্ধি তো আসবেই—এ আর নতুন কী!
আপনারা প্রশ্ন তুলে বলতেই পারেন, ‘এমন পাগলের চেয়ে ছাগল শ্রেয়’। কিন্তু কথাটা আদতে সঠিক নয়। এ ক্ষেত্রে আপনাদের শোনাতে হবে নাসিরুদ্দিন হোজ্জার একটি গল্প। তাঁকে একদিন গ্রামের লোকেরা জিজ্ঞেস করল—‘আচ্ছা, চাঁদ উপকারী, নাকি সূর্য উপকারী?’
হোজ্জা উত্তর দিতে একদমই সময় নিলেন না। তৎক্ষণাৎ অবলীলায় বলে দিলেন, ‘চাঁদ উপকারী।’
যারা জিজ্ঞেস করেছিল তারাও ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নয়, কারণ জানতে চাইল। হোজ্জাও ঘাবড়ে যাওয়ার মানুষ নন। তিনি জানালেন, ‘শোনো, দিনের বেলায় সূর্য যদি না-ও থাকে, তাহলেও আমাদের আলোর অভাব হয় না। কিন্তু রাতে যদি চাঁদ না থাকে, তাহলেই পৃথিবী অন্ধকার। বলো এবার, উপকারী তবে কে?’
এবার হোজ্জার যুক্তি অনুযায়ীই বলতে হয়, ছাগল যদি না-ও থাকে, গরু সেই দায়িত্ব নিতে পারবে। কিন্তু পাগলেরা না থাকলে গরু-ছাগলদের বিদেশ ঘুরিয়ে আনবে কে? কে? কে? কে?
সুতরাং মাথাব্যথা হলে মাথাই কেটে ফেলার বিধ্বংসী ভাবনা থেকে আমাদের বের হয়ে আসতেই হবে। আমাদের বুঝতে হবে যে, ছাগলামি আর পাগলামি এক নয়। ছাগল যেমন আমাদের দেশের নিজস্ব জাতের, পাগলও তেমনি। এভাবেই একদিন কোটি টাকা পানিতে ভাসিয়ে বিদেশে ঘুরে জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে ছাগলে-পাগলে স্বয়ংপূর্ণ হবে দেশ—এই হোক আমাদের প্রত্যয়!

অন্যে অধম হলেই যেমন উত্তম হওয়ার পথ ধ্বংস হয়ে যায় না, তেমনি ছাগল দেখে দেখে নিজেরা পাগল হয়ে যাওয়াটাও বিচিত্র নয়। এই পৃথিবীতে কত কিছুই না ঘটে! সুতরাং এ ক্ষেত্রে এবং এ দেশে অন্তত বিস্মিত হওয়ার ক্ষমতাটি হারিয়ে ফেলা অত্যাবশ্যক। তাতে যদি ছাগলের জন্য বিদেশে যাওয়ার মতো পাগলামি করা যায়, মন্দ কী!
শুরুতেই কিংবদন্তি ঔপন্যাসিক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রতি ক্ষমা চেয়ে নেওয়া যাক। তাঁর লেখা ‘কপালকুণ্ডলা’ উপন্যাসের একটি লাইন মেরে দিয়েই তো এই লেখার সূত্রপাত। ‘মেরে দেওয়া’ বাঙালির স্বভাবজাত। ফলে এই স্বভাব নিয়ে আসলে খেদ প্রকাশের তেমন কিছু নেই। আর অগ্রিম ক্ষমা চেয়ে নিলে তো সবই হয়ে যায় দুধভাত।
পাগল-ছাগলের কথা কেন এলো, এবার তার বিশদে যাই বরং। ছাগল নিয়ে ইদানীং দেশে আলোচনা হচ্ছে বেশ। আজকের পত্রিকার খবরে প্রকাশ, বিশ্বখ্যাত ব্ল্যাক বেঙ্গল গোট বা স্থানীয় জাতের কালো ছাগলের বিষয়ে ‘উঁচু স্তরের অভিজ্ঞতা’ নিতে সরকারের ১৬ কর্মকর্তা যাবেন বিদেশ সফরে। সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর আর কোটি টাকা খরচ না হলে কি মান থাকে? তাই এই বিদেশ সফরের জন্য খরচা হবে প্রায় দেড় কোটি টাকা। বিদেশে প্রশিক্ষণের এই কার্যক্রম নেওয়া হবে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএলআরআই) ‘ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের জাত সংরক্ষণ ও উন্নয়ন গবেষণা প্রকল্পের’ আওতায়। শেষ দিকে থাকা এই প্রকল্পের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দ্রুত বিদেশ সফর করতে চান।
বিশেষজ্ঞরা অবশ্য অন্য কথা বলছেন। তাঁদের কথায়, ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল বাংলাদেশের নিজস্ব জাত। এই অঞ্চলে পশুপালনের একেবারে শুরুর সময় থেকে এই ছাগল এখানে ছিল। দেশি এই ছাগলের পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে (জীবনরহস্য উন্মোচন) দেশের বিজ্ঞানীরা সফলতা পেয়েছেন বছর চারেক আগেই। দুই যুগ ধরে দেশে গবেষণাও চলছে এই ছাগলের ওপর। যেহেতু প্রকল্পের মূল কাজ দেশি ছাগলের জাত সংরক্ষণ, তাই দেশীয় পদ্ধতির সঙ্গে আধুনিক প্রযুক্তি ও ব্যবস্থাপনাই বেশি প্রয়োজন। এর জন্য বিদেশে যাওয়ার দরকার নেই বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও প্রকল্প পরিচালক বলছেন, বিদেশে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন আছে।
অর্থাৎ, কথা দাঁড়াল যে, ছাগল দেশি হলেও জ্ঞানটা আসলে শুধু বিদেশেই আছে। সেই জ্ঞান নিতে আমাদের তাই বিদেশ যাওয়া ছাড়া গত্যন্তর নেই।
কর্মকর্তাদের নাকি বিদেশে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে ছাগলের দুধ-বাচ্চা উৎপাদনক্ষমতার জন্য জিন চিহ্নিত করা; ছাগলের টাইপ তৈরির কৌশল, অ্যাডভান্স ব্রিডিং ডেটা ম্যানেজমেন্ট কৌশল; প্রাণিপুষ্টিবিষয়ক আধুনিক ল্যাবরেটরি কলাকৌশল এবং ডিজিস রেজিস্ট্যান্ট জিন চিহ্নিত করার কৌশল বিষয়ে।
আচ্ছা, সেক্ষেত্রে দুয়েকটা ছাগলকেও কি বিদেশে নেওয়া উচিত নয়? যাদের দুধ আর বাচ্চা উৎপাদন নিয়ে এত্ত আয়োজন, তাঁদেরও তো বিদেশ সফরের সুখটা পাওয়া প্রয়োজন, নাকি? নইলে ছাগলের ওপর বেশ অবিচার হয়ে যায়! শেষে যদি এ দেশের ব্ল্যাক বেঙ্গল গোটেরা ধর্মঘট করে বসে? দুধ-বাচ্চা উৎপাদনে ‘না’ করে দেয়? রোগ প্রতিরোধে অনিচ্ছুক হয়ে ওঠে? তখন কিন্তু হাঙ্গামা হয়ে যাবে।
তাই ছাগলকে দেখে নিজেরা পাগল হয়ে বিদেশে গেলেও আমাদের কিন্তু ‘তালে ঠিক’ থাকাটা প্রয়োজন। তবেই কিন্তু ছাগল আর পাগলের সহাবস্থান শান্তিপূর্ণ হবে। শান্তি বর্ষিত হবে ছাগল-পাগল উভয়ের মনে। আর দেশে শান্তি থাকলে সমৃদ্ধি তো আসবেই—এ আর নতুন কী!
আপনারা প্রশ্ন তুলে বলতেই পারেন, ‘এমন পাগলের চেয়ে ছাগল শ্রেয়’। কিন্তু কথাটা আদতে সঠিক নয়। এ ক্ষেত্রে আপনাদের শোনাতে হবে নাসিরুদ্দিন হোজ্জার একটি গল্প। তাঁকে একদিন গ্রামের লোকেরা জিজ্ঞেস করল—‘আচ্ছা, চাঁদ উপকারী, নাকি সূর্য উপকারী?’
হোজ্জা উত্তর দিতে একদমই সময় নিলেন না। তৎক্ষণাৎ অবলীলায় বলে দিলেন, ‘চাঁদ উপকারী।’
যারা জিজ্ঞেস করেছিল তারাও ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নয়, কারণ জানতে চাইল। হোজ্জাও ঘাবড়ে যাওয়ার মানুষ নন। তিনি জানালেন, ‘শোনো, দিনের বেলায় সূর্য যদি না-ও থাকে, তাহলেও আমাদের আলোর অভাব হয় না। কিন্তু রাতে যদি চাঁদ না থাকে, তাহলেই পৃথিবী অন্ধকার। বলো এবার, উপকারী তবে কে?’
এবার হোজ্জার যুক্তি অনুযায়ীই বলতে হয়, ছাগল যদি না-ও থাকে, গরু সেই দায়িত্ব নিতে পারবে। কিন্তু পাগলেরা না থাকলে গরু-ছাগলদের বিদেশ ঘুরিয়ে আনবে কে? কে? কে? কে?
সুতরাং মাথাব্যথা হলে মাথাই কেটে ফেলার বিধ্বংসী ভাবনা থেকে আমাদের বের হয়ে আসতেই হবে। আমাদের বুঝতে হবে যে, ছাগলামি আর পাগলামি এক নয়। ছাগল যেমন আমাদের দেশের নিজস্ব জাতের, পাগলও তেমনি। এভাবেই একদিন কোটি টাকা পানিতে ভাসিয়ে বিদেশে ঘুরে জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে ছাগলে-পাগলে স্বয়ংপূর্ণ হবে দেশ—এই হোক আমাদের প্রত্যয়!
অর্ণব সান্যাল

অন্যে অধম হলেই যেমন উত্তম হওয়ার পথ ধ্বংস হয়ে যায় না, তেমনি ছাগল দেখে দেখে নিজেরা পাগল হয়ে যাওয়াটাও বিচিত্র নয়। এই পৃথিবীতে কত কিছুই না ঘটে! সুতরাং এ ক্ষেত্রে এবং এ দেশে অন্তত বিস্মিত হওয়ার ক্ষমতাটি হারিয়ে ফেলা অত্যাবশ্যক। তাতে যদি ছাগলের জন্য বিদেশে যাওয়ার মতো পাগলামি করা যায়, মন্দ কী!
শুরুতেই কিংবদন্তি ঔপন্যাসিক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রতি ক্ষমা চেয়ে নেওয়া যাক। তাঁর লেখা ‘কপালকুণ্ডলা’ উপন্যাসের একটি লাইন মেরে দিয়েই তো এই লেখার সূত্রপাত। ‘মেরে দেওয়া’ বাঙালির স্বভাবজাত। ফলে এই স্বভাব নিয়ে আসলে খেদ প্রকাশের তেমন কিছু নেই। আর অগ্রিম ক্ষমা চেয়ে নিলে তো সবই হয়ে যায় দুধভাত।
পাগল-ছাগলের কথা কেন এলো, এবার তার বিশদে যাই বরং। ছাগল নিয়ে ইদানীং দেশে আলোচনা হচ্ছে বেশ। আজকের পত্রিকার খবরে প্রকাশ, বিশ্বখ্যাত ব্ল্যাক বেঙ্গল গোট বা স্থানীয় জাতের কালো ছাগলের বিষয়ে ‘উঁচু স্তরের অভিজ্ঞতা’ নিতে সরকারের ১৬ কর্মকর্তা যাবেন বিদেশ সফরে। সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর আর কোটি টাকা খরচ না হলে কি মান থাকে? তাই এই বিদেশ সফরের জন্য খরচা হবে প্রায় দেড় কোটি টাকা। বিদেশে প্রশিক্ষণের এই কার্যক্রম নেওয়া হবে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএলআরআই) ‘ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের জাত সংরক্ষণ ও উন্নয়ন গবেষণা প্রকল্পের’ আওতায়। শেষ দিকে থাকা এই প্রকল্পের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দ্রুত বিদেশ সফর করতে চান।
বিশেষজ্ঞরা অবশ্য অন্য কথা বলছেন। তাঁদের কথায়, ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল বাংলাদেশের নিজস্ব জাত। এই অঞ্চলে পশুপালনের একেবারে শুরুর সময় থেকে এই ছাগল এখানে ছিল। দেশি এই ছাগলের পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে (জীবনরহস্য উন্মোচন) দেশের বিজ্ঞানীরা সফলতা পেয়েছেন বছর চারেক আগেই। দুই যুগ ধরে দেশে গবেষণাও চলছে এই ছাগলের ওপর। যেহেতু প্রকল্পের মূল কাজ দেশি ছাগলের জাত সংরক্ষণ, তাই দেশীয় পদ্ধতির সঙ্গে আধুনিক প্রযুক্তি ও ব্যবস্থাপনাই বেশি প্রয়োজন। এর জন্য বিদেশে যাওয়ার দরকার নেই বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও প্রকল্প পরিচালক বলছেন, বিদেশে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন আছে।
অর্থাৎ, কথা দাঁড়াল যে, ছাগল দেশি হলেও জ্ঞানটা আসলে শুধু বিদেশেই আছে। সেই জ্ঞান নিতে আমাদের তাই বিদেশ যাওয়া ছাড়া গত্যন্তর নেই।
কর্মকর্তাদের নাকি বিদেশে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে ছাগলের দুধ-বাচ্চা উৎপাদনক্ষমতার জন্য জিন চিহ্নিত করা; ছাগলের টাইপ তৈরির কৌশল, অ্যাডভান্স ব্রিডিং ডেটা ম্যানেজমেন্ট কৌশল; প্রাণিপুষ্টিবিষয়ক আধুনিক ল্যাবরেটরি কলাকৌশল এবং ডিজিস রেজিস্ট্যান্ট জিন চিহ্নিত করার কৌশল বিষয়ে।
আচ্ছা, সেক্ষেত্রে দুয়েকটা ছাগলকেও কি বিদেশে নেওয়া উচিত নয়? যাদের দুধ আর বাচ্চা উৎপাদন নিয়ে এত্ত আয়োজন, তাঁদেরও তো বিদেশ সফরের সুখটা পাওয়া প্রয়োজন, নাকি? নইলে ছাগলের ওপর বেশ অবিচার হয়ে যায়! শেষে যদি এ দেশের ব্ল্যাক বেঙ্গল গোটেরা ধর্মঘট করে বসে? দুধ-বাচ্চা উৎপাদনে ‘না’ করে দেয়? রোগ প্রতিরোধে অনিচ্ছুক হয়ে ওঠে? তখন কিন্তু হাঙ্গামা হয়ে যাবে।
তাই ছাগলকে দেখে নিজেরা পাগল হয়ে বিদেশে গেলেও আমাদের কিন্তু ‘তালে ঠিক’ থাকাটা প্রয়োজন। তবেই কিন্তু ছাগল আর পাগলের সহাবস্থান শান্তিপূর্ণ হবে। শান্তি বর্ষিত হবে ছাগল-পাগল উভয়ের মনে। আর দেশে শান্তি থাকলে সমৃদ্ধি তো আসবেই—এ আর নতুন কী!
আপনারা প্রশ্ন তুলে বলতেই পারেন, ‘এমন পাগলের চেয়ে ছাগল শ্রেয়’। কিন্তু কথাটা আদতে সঠিক নয়। এ ক্ষেত্রে আপনাদের শোনাতে হবে নাসিরুদ্দিন হোজ্জার একটি গল্প। তাঁকে একদিন গ্রামের লোকেরা জিজ্ঞেস করল—‘আচ্ছা, চাঁদ উপকারী, নাকি সূর্য উপকারী?’
হোজ্জা উত্তর দিতে একদমই সময় নিলেন না। তৎক্ষণাৎ অবলীলায় বলে দিলেন, ‘চাঁদ উপকারী।’
যারা জিজ্ঞেস করেছিল তারাও ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নয়, কারণ জানতে চাইল। হোজ্জাও ঘাবড়ে যাওয়ার মানুষ নন। তিনি জানালেন, ‘শোনো, দিনের বেলায় সূর্য যদি না-ও থাকে, তাহলেও আমাদের আলোর অভাব হয় না। কিন্তু রাতে যদি চাঁদ না থাকে, তাহলেই পৃথিবী অন্ধকার। বলো এবার, উপকারী তবে কে?’
এবার হোজ্জার যুক্তি অনুযায়ীই বলতে হয়, ছাগল যদি না-ও থাকে, গরু সেই দায়িত্ব নিতে পারবে। কিন্তু পাগলেরা না থাকলে গরু-ছাগলদের বিদেশ ঘুরিয়ে আনবে কে? কে? কে? কে?
সুতরাং মাথাব্যথা হলে মাথাই কেটে ফেলার বিধ্বংসী ভাবনা থেকে আমাদের বের হয়ে আসতেই হবে। আমাদের বুঝতে হবে যে, ছাগলামি আর পাগলামি এক নয়। ছাগল যেমন আমাদের দেশের নিজস্ব জাতের, পাগলও তেমনি। এভাবেই একদিন কোটি টাকা পানিতে ভাসিয়ে বিদেশে ঘুরে জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে ছাগলে-পাগলে স্বয়ংপূর্ণ হবে দেশ—এই হোক আমাদের প্রত্যয়!

অন্যে অধম হলেই যেমন উত্তম হওয়ার পথ ধ্বংস হয়ে যায় না, তেমনি ছাগল দেখে দেখে নিজেরা পাগল হয়ে যাওয়াটাও বিচিত্র নয়। এই পৃথিবীতে কত কিছুই না ঘটে! সুতরাং এ ক্ষেত্রে এবং এ দেশে অন্তত বিস্মিত হওয়ার ক্ষমতাটি হারিয়ে ফেলা অত্যাবশ্যক। তাতে যদি ছাগলের জন্য বিদেশে যাওয়ার মতো পাগলামি করা যায়, মন্দ কী!
শুরুতেই কিংবদন্তি ঔপন্যাসিক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রতি ক্ষমা চেয়ে নেওয়া যাক। তাঁর লেখা ‘কপালকুণ্ডলা’ উপন্যাসের একটি লাইন মেরে দিয়েই তো এই লেখার সূত্রপাত। ‘মেরে দেওয়া’ বাঙালির স্বভাবজাত। ফলে এই স্বভাব নিয়ে আসলে খেদ প্রকাশের তেমন কিছু নেই। আর অগ্রিম ক্ষমা চেয়ে নিলে তো সবই হয়ে যায় দুধভাত।
পাগল-ছাগলের কথা কেন এলো, এবার তার বিশদে যাই বরং। ছাগল নিয়ে ইদানীং দেশে আলোচনা হচ্ছে বেশ। আজকের পত্রিকার খবরে প্রকাশ, বিশ্বখ্যাত ব্ল্যাক বেঙ্গল গোট বা স্থানীয় জাতের কালো ছাগলের বিষয়ে ‘উঁচু স্তরের অভিজ্ঞতা’ নিতে সরকারের ১৬ কর্মকর্তা যাবেন বিদেশ সফরে। সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর আর কোটি টাকা খরচ না হলে কি মান থাকে? তাই এই বিদেশ সফরের জন্য খরচা হবে প্রায় দেড় কোটি টাকা। বিদেশে প্রশিক্ষণের এই কার্যক্রম নেওয়া হবে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএলআরআই) ‘ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের জাত সংরক্ষণ ও উন্নয়ন গবেষণা প্রকল্পের’ আওতায়। শেষ দিকে থাকা এই প্রকল্পের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দ্রুত বিদেশ সফর করতে চান।
বিশেষজ্ঞরা অবশ্য অন্য কথা বলছেন। তাঁদের কথায়, ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল বাংলাদেশের নিজস্ব জাত। এই অঞ্চলে পশুপালনের একেবারে শুরুর সময় থেকে এই ছাগল এখানে ছিল। দেশি এই ছাগলের পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে (জীবনরহস্য উন্মোচন) দেশের বিজ্ঞানীরা সফলতা পেয়েছেন বছর চারেক আগেই। দুই যুগ ধরে দেশে গবেষণাও চলছে এই ছাগলের ওপর। যেহেতু প্রকল্পের মূল কাজ দেশি ছাগলের জাত সংরক্ষণ, তাই দেশীয় পদ্ধতির সঙ্গে আধুনিক প্রযুক্তি ও ব্যবস্থাপনাই বেশি প্রয়োজন। এর জন্য বিদেশে যাওয়ার দরকার নেই বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও প্রকল্প পরিচালক বলছেন, বিদেশে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন আছে।
অর্থাৎ, কথা দাঁড়াল যে, ছাগল দেশি হলেও জ্ঞানটা আসলে শুধু বিদেশেই আছে। সেই জ্ঞান নিতে আমাদের তাই বিদেশ যাওয়া ছাড়া গত্যন্তর নেই।
কর্মকর্তাদের নাকি বিদেশে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে ছাগলের দুধ-বাচ্চা উৎপাদনক্ষমতার জন্য জিন চিহ্নিত করা; ছাগলের টাইপ তৈরির কৌশল, অ্যাডভান্স ব্রিডিং ডেটা ম্যানেজমেন্ট কৌশল; প্রাণিপুষ্টিবিষয়ক আধুনিক ল্যাবরেটরি কলাকৌশল এবং ডিজিস রেজিস্ট্যান্ট জিন চিহ্নিত করার কৌশল বিষয়ে।
আচ্ছা, সেক্ষেত্রে দুয়েকটা ছাগলকেও কি বিদেশে নেওয়া উচিত নয়? যাদের দুধ আর বাচ্চা উৎপাদন নিয়ে এত্ত আয়োজন, তাঁদেরও তো বিদেশ সফরের সুখটা পাওয়া প্রয়োজন, নাকি? নইলে ছাগলের ওপর বেশ অবিচার হয়ে যায়! শেষে যদি এ দেশের ব্ল্যাক বেঙ্গল গোটেরা ধর্মঘট করে বসে? দুধ-বাচ্চা উৎপাদনে ‘না’ করে দেয়? রোগ প্রতিরোধে অনিচ্ছুক হয়ে ওঠে? তখন কিন্তু হাঙ্গামা হয়ে যাবে।
তাই ছাগলকে দেখে নিজেরা পাগল হয়ে বিদেশে গেলেও আমাদের কিন্তু ‘তালে ঠিক’ থাকাটা প্রয়োজন। তবেই কিন্তু ছাগল আর পাগলের সহাবস্থান শান্তিপূর্ণ হবে। শান্তি বর্ষিত হবে ছাগল-পাগল উভয়ের মনে। আর দেশে শান্তি থাকলে সমৃদ্ধি তো আসবেই—এ আর নতুন কী!
আপনারা প্রশ্ন তুলে বলতেই পারেন, ‘এমন পাগলের চেয়ে ছাগল শ্রেয়’। কিন্তু কথাটা আদতে সঠিক নয়। এ ক্ষেত্রে আপনাদের শোনাতে হবে নাসিরুদ্দিন হোজ্জার একটি গল্প। তাঁকে একদিন গ্রামের লোকেরা জিজ্ঞেস করল—‘আচ্ছা, চাঁদ উপকারী, নাকি সূর্য উপকারী?’
হোজ্জা উত্তর দিতে একদমই সময় নিলেন না। তৎক্ষণাৎ অবলীলায় বলে দিলেন, ‘চাঁদ উপকারী।’
যারা জিজ্ঞেস করেছিল তারাও ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নয়, কারণ জানতে চাইল। হোজ্জাও ঘাবড়ে যাওয়ার মানুষ নন। তিনি জানালেন, ‘শোনো, দিনের বেলায় সূর্য যদি না-ও থাকে, তাহলেও আমাদের আলোর অভাব হয় না। কিন্তু রাতে যদি চাঁদ না থাকে, তাহলেই পৃথিবী অন্ধকার। বলো এবার, উপকারী তবে কে?’
এবার হোজ্জার যুক্তি অনুযায়ীই বলতে হয়, ছাগল যদি না-ও থাকে, গরু সেই দায়িত্ব নিতে পারবে। কিন্তু পাগলেরা না থাকলে গরু-ছাগলদের বিদেশ ঘুরিয়ে আনবে কে? কে? কে? কে?
সুতরাং মাথাব্যথা হলে মাথাই কেটে ফেলার বিধ্বংসী ভাবনা থেকে আমাদের বের হয়ে আসতেই হবে। আমাদের বুঝতে হবে যে, ছাগলামি আর পাগলামি এক নয়। ছাগল যেমন আমাদের দেশের নিজস্ব জাতের, পাগলও তেমনি। এভাবেই একদিন কোটি টাকা পানিতে ভাসিয়ে বিদেশে ঘুরে জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে ছাগলে-পাগলে স্বয়ংপূর্ণ হবে দেশ—এই হোক আমাদের প্রত্যয়!
চাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।
১ দিন আগে
কাজের মধ্যে ঘন ঘন টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নিয়ে চাকরি খুইয়েছেন এক চীনা প্রকৌশলী। চীনের পূর্বাঞ্চলের জিয়াংসু প্রদেশের ওই প্রকৌশলী ঘন ঘন এবং প্রতিবার এক ঘণ্টার বেশি সময় টয়লেটে কাটাচ্ছিলেন। যদিও তাঁর দাবি ছিল, তিনি অর্শ বা পাইলসের সমস্যায় ভুগছেন।
১ দিন আগে
ফুড ডেলিভারি করতে করতে মাত্র পাঁচ বছরে ১১ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান সঞ্চয় করেছেন তিনি, যা বাংলাদেশের মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৯৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকার সমান। প্রতিদিন গড়ে ১৪ ঘণ্টা কাজ আর কঠোর মিতব্যয়িতাই তাঁকে লাখপতি বানিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
৩ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার ফার নর্থ কুইন্সল্যান্ডে গত ২০ সেপ্টেম্বর ঘটে বিস্ময়কর সেই দুর্ঘটনাটি। সেদিন প্রায় ৪ হাজার ৬০০ মিটার উচ্চতায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন এক স্কাইডাইভার। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) প্রকাশিত অস্ট্রেলিয়ান ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরোর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ঘটনাটির বিস্তারিত উঠে এসেছে।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
চাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।

ভারতের হরিয়ানার গুরুগ্রামের দীনেশ বৈরাগী। ‘পূর্ণকালীন’ চাকরির অফার দিয়ে নারীবন্ধু খুঁজেছেন লিংকডইনে। ওই বিজ্ঞাপনের বিবরণে সম্ভাব্য ‘গার্লফ্রেন্ড’-এর জন্য প্রয়োজনীয় নানা গুণাবলির কথাও উল্লেখ করেছেন দীনেশ।
টেক মাহিন্দ্রার সাবেক সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট দীনেশ চাকরির বিজ্ঞাপনে লিখেছেন, ‘গুরগাঁওয়ে পূর্ণকালীন গার্লফ্রেন্ডের পদ খালি আছে। সরাসরি দেখা করা এবং দূর থেকে দায়িত্ব পালন দুটোই করতে হবে।’
প্রযুক্তিখাতে অভিজ্ঞ এই যুবক চাকরির বিজ্ঞাপনে আরও লিখেছেন, ‘এই ভূমিকায় শক্তিশালী আবেগগত সম্পর্ক গড়ে তোলা ও তা বজায় রাখা, অর্থবহ কথোপকথনে অংশ নেওয়া, সঙ্গ দেওয়া, পারস্পরিক সমর্থন এবং সঙ্গীর সঙ্গে বিভিন্ন কার্যক্রম বা শখে যুক্ত থাকার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘সক্রিয় যোগাযোগ, পারস্পরিক সম্মান ও বোঝাপড়া এই ভূমিকাটির ভিত্তি হবে। পাশাপাশি যৌথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং ইতিবাচক ও সহায়ক সম্পর্কের পরিবেশ গড়ে তোলাও এর অন্তর্ভুক্ত।’
দীনেশ চাকরিপ্রার্থীর যোগ্যতার ক্ষেত্রে উচ্চমাত্রার আবেগগত বুদ্ধিমত্তা, শোনার সক্ষমতা, সহমর্মিতা ও আন্তঃব্যক্তিক দক্ষতার কথা উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া তিনি জানান, এমন একজনকে তিনি খুঁজছেন, যাঁর মধ্যে রসবোধ, দয়া এবং ইতিবাচক মানসিকতা থাকবে।
তিনি আরও যোগ করেন, ‘সম্পর্কের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ও যৌথ লক্ষ্যগুলোর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করার সক্ষমতা থাকতে হবে। শখ, কার্যক্রমে আগ্রহ বা একসঙ্গে নতুন অভিজ্ঞতা গড়ে তোলার মানসিকতারও প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি সম্পর্কের ভেতরে পারস্পরিক সমর্থন ও বিকাশে আগ্রহী হতে হবে।’
লিংকডইনে দেওয়া এই চাকরি খোঁজার মতো করে গার্লফ্রেন্ড খোঁজার পোস্টটি দ্রুতই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এটি নিয়ে রসিকতার বন্যা বইয়ে দেন নেটিজেনরা। অনেকেই এই অদ্ভুত চাকরির বিজ্ঞাপন নিয়ে ঠাট্টা–মশকরা করেন, আবার কেউ কেউ সরাসরি পারিশ্রমিক বা বেতন প্যাকেজ সম্পর্কে জানতে চান।
একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘ওহ, এখন সব পরিষ্কার! তাহলে আমার প্রাক্তন আমার সঙ্গে ছয় মাস গার্লফ্রেন্ড হিসেবে ইন্টার্নশিপ করেছিল, এরপর অন্য কোথাও ফুলটাইম গার্লফ্রেন্ডের চাকরি পেয়ে চলে গেছে।’
আরেকজন মন্তব্য করেন, ‘আপনি যদি আসলেই ভারতীয় হন, তাহলে যেকোনো অ্যাপই ডেটিং অ্যাপ বানিয়ে ফেলবেন।’
তৃতীয় একজন লিখেছেন, ‘পদের বিবরণ দেখে বেশ চমকপ্রদই লাগছে, কিন্তু স্যালারি কত?’
একজন ব্যবহারকারী প্রশ্ন করেন, ‘তিনি কি লিংকডইনের পোস্টের মাধ্যমে কোনো পরীক্ষা চালাচ্ছেন?’ উত্তরে দীনেশ বলেন, ‘একেবারেই না। এটি একটি প্রকৃত শূন্যপদ। প্রোফাইলটি ভালোভাবে বোঝার জন্য আমি চাকরির বিবরণ দেখার পরামর্শ দিচ্ছি। এছাড়া কেউ যদি আগ্রহী ও যোগ্য হন, তাদেরও নির্দেশনা দেওয়া যেতে পারে।’
শেষ আপডেট অনুযায়ী দীনেশ জানিয়েছেন, এই ‘চাকরির’ জন্য এরইমধ্যে ২৬ জন আবেদন করেছেন। এখন নতুন কোনো আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।
চাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।

ভারতের হরিয়ানার গুরুগ্রামের দীনেশ বৈরাগী। ‘পূর্ণকালীন’ চাকরির অফার দিয়ে নারীবন্ধু খুঁজেছেন লিংকডইনে। ওই বিজ্ঞাপনের বিবরণে সম্ভাব্য ‘গার্লফ্রেন্ড’-এর জন্য প্রয়োজনীয় নানা গুণাবলির কথাও উল্লেখ করেছেন দীনেশ।
টেক মাহিন্দ্রার সাবেক সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট দীনেশ চাকরির বিজ্ঞাপনে লিখেছেন, ‘গুরগাঁওয়ে পূর্ণকালীন গার্লফ্রেন্ডের পদ খালি আছে। সরাসরি দেখা করা এবং দূর থেকে দায়িত্ব পালন দুটোই করতে হবে।’
প্রযুক্তিখাতে অভিজ্ঞ এই যুবক চাকরির বিজ্ঞাপনে আরও লিখেছেন, ‘এই ভূমিকায় শক্তিশালী আবেগগত সম্পর্ক গড়ে তোলা ও তা বজায় রাখা, অর্থবহ কথোপকথনে অংশ নেওয়া, সঙ্গ দেওয়া, পারস্পরিক সমর্থন এবং সঙ্গীর সঙ্গে বিভিন্ন কার্যক্রম বা শখে যুক্ত থাকার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘সক্রিয় যোগাযোগ, পারস্পরিক সম্মান ও বোঝাপড়া এই ভূমিকাটির ভিত্তি হবে। পাশাপাশি যৌথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং ইতিবাচক ও সহায়ক সম্পর্কের পরিবেশ গড়ে তোলাও এর অন্তর্ভুক্ত।’
দীনেশ চাকরিপ্রার্থীর যোগ্যতার ক্ষেত্রে উচ্চমাত্রার আবেগগত বুদ্ধিমত্তা, শোনার সক্ষমতা, সহমর্মিতা ও আন্তঃব্যক্তিক দক্ষতার কথা উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া তিনি জানান, এমন একজনকে তিনি খুঁজছেন, যাঁর মধ্যে রসবোধ, দয়া এবং ইতিবাচক মানসিকতা থাকবে।
তিনি আরও যোগ করেন, ‘সম্পর্কের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ও যৌথ লক্ষ্যগুলোর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করার সক্ষমতা থাকতে হবে। শখ, কার্যক্রমে আগ্রহ বা একসঙ্গে নতুন অভিজ্ঞতা গড়ে তোলার মানসিকতারও প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি সম্পর্কের ভেতরে পারস্পরিক সমর্থন ও বিকাশে আগ্রহী হতে হবে।’
লিংকডইনে দেওয়া এই চাকরি খোঁজার মতো করে গার্লফ্রেন্ড খোঁজার পোস্টটি দ্রুতই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এটি নিয়ে রসিকতার বন্যা বইয়ে দেন নেটিজেনরা। অনেকেই এই অদ্ভুত চাকরির বিজ্ঞাপন নিয়ে ঠাট্টা–মশকরা করেন, আবার কেউ কেউ সরাসরি পারিশ্রমিক বা বেতন প্যাকেজ সম্পর্কে জানতে চান।
একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘ওহ, এখন সব পরিষ্কার! তাহলে আমার প্রাক্তন আমার সঙ্গে ছয় মাস গার্লফ্রেন্ড হিসেবে ইন্টার্নশিপ করেছিল, এরপর অন্য কোথাও ফুলটাইম গার্লফ্রেন্ডের চাকরি পেয়ে চলে গেছে।’
আরেকজন মন্তব্য করেন, ‘আপনি যদি আসলেই ভারতীয় হন, তাহলে যেকোনো অ্যাপই ডেটিং অ্যাপ বানিয়ে ফেলবেন।’
তৃতীয় একজন লিখেছেন, ‘পদের বিবরণ দেখে বেশ চমকপ্রদই লাগছে, কিন্তু স্যালারি কত?’
একজন ব্যবহারকারী প্রশ্ন করেন, ‘তিনি কি লিংকডইনের পোস্টের মাধ্যমে কোনো পরীক্ষা চালাচ্ছেন?’ উত্তরে দীনেশ বলেন, ‘একেবারেই না। এটি একটি প্রকৃত শূন্যপদ। প্রোফাইলটি ভালোভাবে বোঝার জন্য আমি চাকরির বিবরণ দেখার পরামর্শ দিচ্ছি। এছাড়া কেউ যদি আগ্রহী ও যোগ্য হন, তাদেরও নির্দেশনা দেওয়া যেতে পারে।’
শেষ আপডেট অনুযায়ী দীনেশ জানিয়েছেন, এই ‘চাকরির’ জন্য এরইমধ্যে ২৬ জন আবেদন করেছেন। এখন নতুন কোনো আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।

পাগল–ছাগলের কথা কেন এলো, এবার তার বিশদে যাই বরং। ছাগল নিয়ে ইদানীং দেশে আলোচনা হচ্ছে বেশ। আজকের পত্রিকার খবরে প্রকাশ, বিশ্বখ্যাত ব্ল্যাক বেঙ্গল গোট বা স্থানীয় জাতের কালো ছাগলের বিষয়ে ‘উঁচু স্তরের অভিজ্ঞতা’ নিতে সরকারের ১৬ কর্মকর্তা যাবেন বিদেশ সফরে।
২৬ অক্টোবর ২০২২
কাজের মধ্যে ঘন ঘন টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নিয়ে চাকরি খুইয়েছেন এক চীনা প্রকৌশলী। চীনের পূর্বাঞ্চলের জিয়াংসু প্রদেশের ওই প্রকৌশলী ঘন ঘন এবং প্রতিবার এক ঘণ্টার বেশি সময় টয়লেটে কাটাচ্ছিলেন। যদিও তাঁর দাবি ছিল, তিনি অর্শ বা পাইলসের সমস্যায় ভুগছেন।
১ দিন আগে
ফুড ডেলিভারি করতে করতে মাত্র পাঁচ বছরে ১১ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান সঞ্চয় করেছেন তিনি, যা বাংলাদেশের মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৯৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকার সমান। প্রতিদিন গড়ে ১৪ ঘণ্টা কাজ আর কঠোর মিতব্যয়িতাই তাঁকে লাখপতি বানিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
৩ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার ফার নর্থ কুইন্সল্যান্ডে গত ২০ সেপ্টেম্বর ঘটে বিস্ময়কর সেই দুর্ঘটনাটি। সেদিন প্রায় ৪ হাজার ৬০০ মিটার উচ্চতায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন এক স্কাইডাইভার। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) প্রকাশিত অস্ট্রেলিয়ান ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরোর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ঘটনাটির বিস্তারিত উঠে এসেছে।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কাজের মধ্যে ঘন ঘন টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নিয়ে চাকরি খুইয়েছেন এক চীনা প্রকৌশলী। চীনের পূর্বাঞ্চলের জিয়াংসু প্রদেশের ওই প্রকৌশলী ঘন ঘন এবং প্রতিবার এক ঘণ্টার বেশি সময় টয়লেটে কাটাচ্ছিলেন। যদিও তাঁর দাবি ছিল, তিনি অর্শ বা পাইলসের সমস্যায় ভুগছেন।
হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি ভাষার দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের খবরে বলা হয়েছে জিয়াংসু প্রদেশের লি নামক ওই ব্যক্তি গত বছর এপ্রিল থেকে মে মাসের মধ্যে এক মাসে ১৪ বার টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নেন। এর মধ্যে একবার তিনি চার ঘণ্টা টয়লেটে কাটান। এর জেরে তাঁকে চাকরি হারাতে হয়।
এই খবর সম্প্রতি সাংহাই ফেডারেশন অব ট্রেড ইউনিয়নসের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
ওই ব্যক্তি বেআইনিভাবে চুক্তি বাতিলের জন্য কোম্পানির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করলে বিষয়টি সামনে আসে। লি প্রমাণ হিসেবে গত বছর মে ও জুন মাসে তাঁর সঙ্গীর কেনা অর্শের ওষুধ এবং চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তাঁর হাসপাতালে ভর্তি ও অস্ত্রোপচারের নথিও পেশ করেন।
এরপর লি ওই কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করে বেআইনিভাবে চুক্তি বাতিলের দায়ে ৩ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। অন্যদিকে কোম্পানি লি-এর ঘন ঘন এবং দীর্ঘ সময় ধরে বিরতিতে থাকার প্রমাণস্বরূপ সিসিটিভি ফুটেজ আদালতে জমা দেয়।
আদালতের বিশ্বাস, লি টয়লেটে যে সময় ব্যয় করেছেন, তা তাঁর ‘শারীরিক প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি’ ছিল। এ ছাড়া লি যে ডাক্তারি নথি জমা দিয়েছেন, তা তাঁর বহুবার দীর্ঘ পানির বিরতি নেওয়ার পরের সময়ের। চুক্তিতে প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও লি তাঁর অসুস্থতার কথা কোম্পানিকে আগে জানাননি বা অসুস্থতাজনিত ছুটির জন্য আবেদনও করেননি।
কোম্পানি লি-কে তাঁর অনুপস্থিতি লক্ষ্য করে প্রথমে একটি চ্যাট অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করে, কিন্তু কোনো উত্তর পায়নি। লি-এর পদে কাজ করার জন্য তাঁকে সব সময় কাজের অনুরোধে সাড়া দিতে হয়। সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করার পর কোম্পানি তাঁকে বরখাস্ত করে।
লি ২০১০ সালে কোম্পানিতে যোগ দেন এবং ২০১৪ সালে একটি উন্মুক্ত-মেয়াদি চুক্তি নবায়ন করেন। চুক্তি অনুযায়ী, অনুমতি ছাড়া নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নিজের কর্মস্থল ত্যাগ করাকে অনুপস্থিতি বলে গণ্য করা হবে এবং ১৮০ দিনের মধ্যে মোট তিন কার্যদিবস অনুপস্থিত থাকলে চুক্তি সঙ্গে সঙ্গে বাতিল হয়ে যাবে।
বরখাস্ত করার আগে কোম্পানি ট্রেড ইউনিয়নের অনুমতিও নিয়েছিল। দুই দফা বিচার পর্বের পর আদালত অবশেষে দুই পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা করেন এবং লি-এর কোম্পানিতে অবদানের কথা এবং বেকারত্বের পর তাঁর অসুবিধার কথা বিবেচনা করে কোম্পানিকে ৩০ হাজার ইউয়ান ভাতা দিয়ে মামলাটি মিটিয়ে নিতে রাজি করান।
চীনে এ ধরনের বিরতি নিয়ে বিতর্ক এই প্রথম নয়। এর আগে ২০২৩ সালেও জিয়াংসু প্রদেশের আরেক ব্যক্তিকে একই অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছিল। তাঁর দীর্ঘতম বিরতি ছিল এক দিনে ছয় ঘণ্টা।

কাজের মধ্যে ঘন ঘন টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নিয়ে চাকরি খুইয়েছেন এক চীনা প্রকৌশলী। চীনের পূর্বাঞ্চলের জিয়াংসু প্রদেশের ওই প্রকৌশলী ঘন ঘন এবং প্রতিবার এক ঘণ্টার বেশি সময় টয়লেটে কাটাচ্ছিলেন। যদিও তাঁর দাবি ছিল, তিনি অর্শ বা পাইলসের সমস্যায় ভুগছেন।
হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি ভাষার দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের খবরে বলা হয়েছে জিয়াংসু প্রদেশের লি নামক ওই ব্যক্তি গত বছর এপ্রিল থেকে মে মাসের মধ্যে এক মাসে ১৪ বার টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নেন। এর মধ্যে একবার তিনি চার ঘণ্টা টয়লেটে কাটান। এর জেরে তাঁকে চাকরি হারাতে হয়।
এই খবর সম্প্রতি সাংহাই ফেডারেশন অব ট্রেড ইউনিয়নসের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
ওই ব্যক্তি বেআইনিভাবে চুক্তি বাতিলের জন্য কোম্পানির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করলে বিষয়টি সামনে আসে। লি প্রমাণ হিসেবে গত বছর মে ও জুন মাসে তাঁর সঙ্গীর কেনা অর্শের ওষুধ এবং চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তাঁর হাসপাতালে ভর্তি ও অস্ত্রোপচারের নথিও পেশ করেন।
এরপর লি ওই কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করে বেআইনিভাবে চুক্তি বাতিলের দায়ে ৩ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। অন্যদিকে কোম্পানি লি-এর ঘন ঘন এবং দীর্ঘ সময় ধরে বিরতিতে থাকার প্রমাণস্বরূপ সিসিটিভি ফুটেজ আদালতে জমা দেয়।
আদালতের বিশ্বাস, লি টয়লেটে যে সময় ব্যয় করেছেন, তা তাঁর ‘শারীরিক প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি’ ছিল। এ ছাড়া লি যে ডাক্তারি নথি জমা দিয়েছেন, তা তাঁর বহুবার দীর্ঘ পানির বিরতি নেওয়ার পরের সময়ের। চুক্তিতে প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও লি তাঁর অসুস্থতার কথা কোম্পানিকে আগে জানাননি বা অসুস্থতাজনিত ছুটির জন্য আবেদনও করেননি।
কোম্পানি লি-কে তাঁর অনুপস্থিতি লক্ষ্য করে প্রথমে একটি চ্যাট অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করে, কিন্তু কোনো উত্তর পায়নি। লি-এর পদে কাজ করার জন্য তাঁকে সব সময় কাজের অনুরোধে সাড়া দিতে হয়। সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করার পর কোম্পানি তাঁকে বরখাস্ত করে।
লি ২০১০ সালে কোম্পানিতে যোগ দেন এবং ২০১৪ সালে একটি উন্মুক্ত-মেয়াদি চুক্তি নবায়ন করেন। চুক্তি অনুযায়ী, অনুমতি ছাড়া নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নিজের কর্মস্থল ত্যাগ করাকে অনুপস্থিতি বলে গণ্য করা হবে এবং ১৮০ দিনের মধ্যে মোট তিন কার্যদিবস অনুপস্থিত থাকলে চুক্তি সঙ্গে সঙ্গে বাতিল হয়ে যাবে।
বরখাস্ত করার আগে কোম্পানি ট্রেড ইউনিয়নের অনুমতিও নিয়েছিল। দুই দফা বিচার পর্বের পর আদালত অবশেষে দুই পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা করেন এবং লি-এর কোম্পানিতে অবদানের কথা এবং বেকারত্বের পর তাঁর অসুবিধার কথা বিবেচনা করে কোম্পানিকে ৩০ হাজার ইউয়ান ভাতা দিয়ে মামলাটি মিটিয়ে নিতে রাজি করান।
চীনে এ ধরনের বিরতি নিয়ে বিতর্ক এই প্রথম নয়। এর আগে ২০২৩ সালেও জিয়াংসু প্রদেশের আরেক ব্যক্তিকে একই অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছিল। তাঁর দীর্ঘতম বিরতি ছিল এক দিনে ছয় ঘণ্টা।

পাগল–ছাগলের কথা কেন এলো, এবার তার বিশদে যাই বরং। ছাগল নিয়ে ইদানীং দেশে আলোচনা হচ্ছে বেশ। আজকের পত্রিকার খবরে প্রকাশ, বিশ্বখ্যাত ব্ল্যাক বেঙ্গল গোট বা স্থানীয় জাতের কালো ছাগলের বিষয়ে ‘উঁচু স্তরের অভিজ্ঞতা’ নিতে সরকারের ১৬ কর্মকর্তা যাবেন বিদেশ সফরে।
২৬ অক্টোবর ২০২২চাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।
১ দিন আগে
ফুড ডেলিভারি করতে করতে মাত্র পাঁচ বছরে ১১ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান সঞ্চয় করেছেন তিনি, যা বাংলাদেশের মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৯৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকার সমান। প্রতিদিন গড়ে ১৪ ঘণ্টা কাজ আর কঠোর মিতব্যয়িতাই তাঁকে লাখপতি বানিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
৩ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার ফার নর্থ কুইন্সল্যান্ডে গত ২০ সেপ্টেম্বর ঘটে বিস্ময়কর সেই দুর্ঘটনাটি। সেদিন প্রায় ৪ হাজার ৬০০ মিটার উচ্চতায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন এক স্কাইডাইভার। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) প্রকাশিত অস্ট্রেলিয়ান ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরোর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ঘটনাটির বিস্তারিত উঠে এসেছে।
৪ দিন আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

সাধারণত অস্থায়ী পেশা হিসেবে ফুড ডেলিভারির চাকরি অনেকেই করেন। কেউ আবার মূল চাকরির ফাঁকে ফুড ডেলিভারি দেন অতিরিক্ত আয়ের জন্য। কিন্তু এ কাজ করেও যে লাখ টাকার মালিক হওয়া যায়, তা দেখিয়ে দিলেন চীনের সাংহাই শহরের ঝাং শুয়েচিয়াং নামের এক তরুণ।
ফুড ডেলিভারি করতে করতে মাত্র পাঁচ বছরে ১১ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান সঞ্চয় করেছেন তিনি, যা বাংলাদেশের মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৯৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকার সমান। প্রতিদিন গড়ে ১৪ ঘণ্টা কাজ আর কঠোর মিতব্যয়িতাই তাঁকে লাখপতি বানিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
ব্যর্থ ব্যবসা, তারপর নতুন শুরু
ঝাংয়ের বাড়ি ফুজিয়ান প্রদেশের ঝাংঝো শহরে। ২০১৯ সালে মাত্র ২০ বছর বয়সে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর স্বপ্ন নিয়ে তিনি একটি নাশতার দোকান চালু করেন। শুরুতে কিছুটা আশাব্যঞ্জক হলেও কয়েক মাসের মধ্যেই ব্যবসার অবস্থা হয়ে যায় টালমাটাল। লোকসান দিন দিন বাড়তে থাকে, ক্রেতা কমে যায় এবং প্রতিদিনের খরচ টানতে গিয়ে তিনি চাপের মুখে পড়েন। শেষ পর্যন্ত দোকানটি বন্ধ করতে বাধ্য হন এবং তাঁর কাঁধে চাপে প্রায় ৫০ হাজার ইউয়ানের ঋণ।

এ ব্যর্থতা তরুণ ঝাংকে মানসিকভাবে দমিয়ে দেয়। কিন্তু তিনি পরিবারকে বিষয়টি বুঝতে দিতে চাননি। তাই সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে একাই রওনা দেন সাংহাইয়ের পথে। বড় শহরে গিয়ে নতুন করে শুরু করার সিদ্ধান্ত তাঁর জন্য সহজ ছিল না। তবুও লক্ষ্য ছিল যত দ্রুত সম্ভব ঋণ শোধ করা, আবার উঠে দাঁড়ানোর মতো মূলধন জোগাড় করা এবং নিজের জন্য একটি নতুন পথ তৈরি করা।
১৪ ঘণ্টার কর্মদিবস এবং অবিশ্বাস্য পরিশ্রম
সাংহাইয়ের মিনহাং জেলায় উঝং রোডের একটি ডেলিভারি স্টেশনে তিনি কাজ শুরু করেন। সকাল ১০টা ৪০ থেকে রাত ১টা পর্যন্ত বৃষ্টি, ঠান্ডা কিংবা গরম—সব পরিস্থিতিতেই তিনি মাঠে থাকেন ডেলিভারির কাজে। সবার আগে অর্ডার ধরতে এবং দ্রুত ডেলিভারি দিতে তিনি সব সময় ছুটে চলেন। ডেলিভারি স্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইয়ান বলেন, ‘ছেলেটা খুব কম কথা বলে, কিন্তু কাজ করে অবিশ্বাস্য পরিশ্রম দিয়ে। প্রতিদিনই দেখি সে সময় বাঁচাতে দৌড়াচ্ছে।’
কাজের দক্ষতার কারণে সহকর্মীরা তাঁকে ডাকেন ‘অর্ডারের রাজা’ নামে। টানা দীর্ঘ শিফটের পরও তিনি প্রতিদিন ৮ ঘণ্টার বেশি ঘুম নিশ্চিত করেন, যাতে পরদিন আবার পুরো শক্তিতে কাজ করতে পারেন।
কঠোর মিতব্যয়িতা
ঝাংয়ের সঞ্চয়ের সবচেয়ে বড় রহস্য তাঁর মিতব্যয়ী জীবনযাপন। প্রয়োজন ছাড়া তিনি কোনো খরচ করেন না। বাইরে খাওয়া, বিনোদন, ভ্রমণ—কোনো কিছুতেই ব্যয় করেন না তিনি। এমনকি চন্দ্র নববর্ষেও তিনি বাড়ি যান না। তখন শহরে থেকে উচ্চমূল্যের অর্ডার ডেলিভারি করেন। এই কঠোর জীবনযাপন ও পরিশ্রম মিলিয়ে পাঁচ বছরে তাঁর মোট আয় দাঁড়ায় প্রায় ১৪ লাখ ইউয়ান। প্রয়োজনীয় খরচ বাদ দিয়ে সঞ্চয় হয় ১১ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান।
ঝাং জানান, তাঁর পরিবার এখনো জানে না যে তিনি ঋণ শোধ করে বড় অঙ্কের সঞ্চয় করেছেন। তিনি বলেন, ‘একবার ব্যর্থ হয়েছি বলে থেমে থাকব না। ভবিষ্যতে আবার ব্যবসা শুরু করার পুঁজি হিসেবেই এ টাকা জমাচ্ছি।’
চীনের তরুণদের নতুন পেশা হিসেবে ডেলিভারি
অর্থনৈতিক ধাক্কা ও চাকরির বাজারের পরিবর্তনের মধ্যে চীনে ডেলিভারি পেশা দ্রুত জনপ্রিয় হচ্ছে। নিয়োগ প্ল্যাটফর্ম ঝাওপিনের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, দেশটিতে ডেলিভারি কর্মীদের মধ্যে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রিধারীর হার দুই বছরে ১২ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮ শতাংশে। আয়ও অনেক অফিসকর্মীর চেয়ে বেশি। বেইজিং বা সাংহাইয়ের মতো বড় শহরে যেখানে সাধারণ একজন অফিসকর্মী মাসে গড়ে আয় করেন ৬ হাজার ইউয়ান, সেখানে ডেলিভারি ড্রাইভারদের গড় আয় মাসে ৭ হাজার ৩৫০ ইউয়ান পর্যন্ত। ব্যস্ত দিনে ঝাংয়ের মতো পরিশ্রমী ডেলিভারি কর্মীরা দিনে হাজার ইউয়ানের বেশি আয় করতে পারেন।
সূত্র: ভিএন এক্সপ্রেস

সাধারণত অস্থায়ী পেশা হিসেবে ফুড ডেলিভারির চাকরি অনেকেই করেন। কেউ আবার মূল চাকরির ফাঁকে ফুড ডেলিভারি দেন অতিরিক্ত আয়ের জন্য। কিন্তু এ কাজ করেও যে লাখ টাকার মালিক হওয়া যায়, তা দেখিয়ে দিলেন চীনের সাংহাই শহরের ঝাং শুয়েচিয়াং নামের এক তরুণ।
ফুড ডেলিভারি করতে করতে মাত্র পাঁচ বছরে ১১ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান সঞ্চয় করেছেন তিনি, যা বাংলাদেশের মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৯৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকার সমান। প্রতিদিন গড়ে ১৪ ঘণ্টা কাজ আর কঠোর মিতব্যয়িতাই তাঁকে লাখপতি বানিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
ব্যর্থ ব্যবসা, তারপর নতুন শুরু
ঝাংয়ের বাড়ি ফুজিয়ান প্রদেশের ঝাংঝো শহরে। ২০১৯ সালে মাত্র ২০ বছর বয়সে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর স্বপ্ন নিয়ে তিনি একটি নাশতার দোকান চালু করেন। শুরুতে কিছুটা আশাব্যঞ্জক হলেও কয়েক মাসের মধ্যেই ব্যবসার অবস্থা হয়ে যায় টালমাটাল। লোকসান দিন দিন বাড়তে থাকে, ক্রেতা কমে যায় এবং প্রতিদিনের খরচ টানতে গিয়ে তিনি চাপের মুখে পড়েন। শেষ পর্যন্ত দোকানটি বন্ধ করতে বাধ্য হন এবং তাঁর কাঁধে চাপে প্রায় ৫০ হাজার ইউয়ানের ঋণ।

এ ব্যর্থতা তরুণ ঝাংকে মানসিকভাবে দমিয়ে দেয়। কিন্তু তিনি পরিবারকে বিষয়টি বুঝতে দিতে চাননি। তাই সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে একাই রওনা দেন সাংহাইয়ের পথে। বড় শহরে গিয়ে নতুন করে শুরু করার সিদ্ধান্ত তাঁর জন্য সহজ ছিল না। তবুও লক্ষ্য ছিল যত দ্রুত সম্ভব ঋণ শোধ করা, আবার উঠে দাঁড়ানোর মতো মূলধন জোগাড় করা এবং নিজের জন্য একটি নতুন পথ তৈরি করা।
১৪ ঘণ্টার কর্মদিবস এবং অবিশ্বাস্য পরিশ্রম
সাংহাইয়ের মিনহাং জেলায় উঝং রোডের একটি ডেলিভারি স্টেশনে তিনি কাজ শুরু করেন। সকাল ১০টা ৪০ থেকে রাত ১টা পর্যন্ত বৃষ্টি, ঠান্ডা কিংবা গরম—সব পরিস্থিতিতেই তিনি মাঠে থাকেন ডেলিভারির কাজে। সবার আগে অর্ডার ধরতে এবং দ্রুত ডেলিভারি দিতে তিনি সব সময় ছুটে চলেন। ডেলিভারি স্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইয়ান বলেন, ‘ছেলেটা খুব কম কথা বলে, কিন্তু কাজ করে অবিশ্বাস্য পরিশ্রম দিয়ে। প্রতিদিনই দেখি সে সময় বাঁচাতে দৌড়াচ্ছে।’
কাজের দক্ষতার কারণে সহকর্মীরা তাঁকে ডাকেন ‘অর্ডারের রাজা’ নামে। টানা দীর্ঘ শিফটের পরও তিনি প্রতিদিন ৮ ঘণ্টার বেশি ঘুম নিশ্চিত করেন, যাতে পরদিন আবার পুরো শক্তিতে কাজ করতে পারেন।
কঠোর মিতব্যয়িতা
ঝাংয়ের সঞ্চয়ের সবচেয়ে বড় রহস্য তাঁর মিতব্যয়ী জীবনযাপন। প্রয়োজন ছাড়া তিনি কোনো খরচ করেন না। বাইরে খাওয়া, বিনোদন, ভ্রমণ—কোনো কিছুতেই ব্যয় করেন না তিনি। এমনকি চন্দ্র নববর্ষেও তিনি বাড়ি যান না। তখন শহরে থেকে উচ্চমূল্যের অর্ডার ডেলিভারি করেন। এই কঠোর জীবনযাপন ও পরিশ্রম মিলিয়ে পাঁচ বছরে তাঁর মোট আয় দাঁড়ায় প্রায় ১৪ লাখ ইউয়ান। প্রয়োজনীয় খরচ বাদ দিয়ে সঞ্চয় হয় ১১ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান।
ঝাং জানান, তাঁর পরিবার এখনো জানে না যে তিনি ঋণ শোধ করে বড় অঙ্কের সঞ্চয় করেছেন। তিনি বলেন, ‘একবার ব্যর্থ হয়েছি বলে থেমে থাকব না। ভবিষ্যতে আবার ব্যবসা শুরু করার পুঁজি হিসেবেই এ টাকা জমাচ্ছি।’
চীনের তরুণদের নতুন পেশা হিসেবে ডেলিভারি
অর্থনৈতিক ধাক্কা ও চাকরির বাজারের পরিবর্তনের মধ্যে চীনে ডেলিভারি পেশা দ্রুত জনপ্রিয় হচ্ছে। নিয়োগ প্ল্যাটফর্ম ঝাওপিনের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, দেশটিতে ডেলিভারি কর্মীদের মধ্যে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রিধারীর হার দুই বছরে ১২ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮ শতাংশে। আয়ও অনেক অফিসকর্মীর চেয়ে বেশি। বেইজিং বা সাংহাইয়ের মতো বড় শহরে যেখানে সাধারণ একজন অফিসকর্মী মাসে গড়ে আয় করেন ৬ হাজার ইউয়ান, সেখানে ডেলিভারি ড্রাইভারদের গড় আয় মাসে ৭ হাজার ৩৫০ ইউয়ান পর্যন্ত। ব্যস্ত দিনে ঝাংয়ের মতো পরিশ্রমী ডেলিভারি কর্মীরা দিনে হাজার ইউয়ানের বেশি আয় করতে পারেন।
সূত্র: ভিএন এক্সপ্রেস

পাগল–ছাগলের কথা কেন এলো, এবার তার বিশদে যাই বরং। ছাগল নিয়ে ইদানীং দেশে আলোচনা হচ্ছে বেশ। আজকের পত্রিকার খবরে প্রকাশ, বিশ্বখ্যাত ব্ল্যাক বেঙ্গল গোট বা স্থানীয় জাতের কালো ছাগলের বিষয়ে ‘উঁচু স্তরের অভিজ্ঞতা’ নিতে সরকারের ১৬ কর্মকর্তা যাবেন বিদেশ সফরে।
২৬ অক্টোবর ২০২২চাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।
১ দিন আগে
কাজের মধ্যে ঘন ঘন টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নিয়ে চাকরি খুইয়েছেন এক চীনা প্রকৌশলী। চীনের পূর্বাঞ্চলের জিয়াংসু প্রদেশের ওই প্রকৌশলী ঘন ঘন এবং প্রতিবার এক ঘণ্টার বেশি সময় টয়লেটে কাটাচ্ছিলেন। যদিও তাঁর দাবি ছিল, তিনি অর্শ বা পাইলসের সমস্যায় ভুগছেন।
১ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার ফার নর্থ কুইন্সল্যান্ডে গত ২০ সেপ্টেম্বর ঘটে বিস্ময়কর সেই দুর্ঘটনাটি। সেদিন প্রায় ৪ হাজার ৬০০ মিটার উচ্চতায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন এক স্কাইডাইভার। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) প্রকাশিত অস্ট্রেলিয়ান ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরোর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ঘটনাটির বিস্তারিত উঠে এসেছে।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার ফার নর্থ কুইন্সল্যান্ডে গত ২০ সেপ্টেম্বর ঘটে বিস্ময়কর সেই দুর্ঘটনাটি। সেদিন প্রায় ৪ হাজার ৬০০ মিটার উচ্চতায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন এক স্কাইডাইভার। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) প্রকাশিত অস্ট্রেলিয়ান ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরোর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ঘটনাটির বিস্তারিত উঠে এসেছে।
এই বিষয়ে যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, ফার নর্থ কুইন্সল্যান্ডের টুলি এয়ারপোর্টের আকাশে ১৭ জন প্যারাস্যুটার একটি ‘সিক্সটিন-ওয়ে ফরমেশন জাম্পে’ অংশ নিচ্ছিলেন। তাঁদের মধ্যে প্রথমজন যখন বিমান থেকে বের হচ্ছিলেন, ঠিক তখনই তাঁর রিজার্ভ প্যারাস্যুটের হ্যান্ডেলটি বিমানের উইং ফ্ল্যাপে আটকে যায়। এর ফলে মুহূর্তের মধ্যেই রিজার্ভ প্যারাস্যুট খুলে যায় এবং বাতাসের হঠাৎ টানে পেছনের দিকে ছিটকে গিয়ে বিমানের ডানায় ধাক্কা খান এবং আটকে যান ওই স্কাইডাইভার। এতে বিমানের ডানায় ও স্ট্যাবিলাইজারে গুরুতর ক্ষতি হয়।
প্যারাস্যুটের দড়ি স্ট্যাবিলাইজারের চারপাশে পেঁচিয়ে যাওয়ায় স্কাইডাইভার ঝুলন্ত অবস্থায় অচল হয়ে পড়েন। অন্য প্যারাস্যুটারেরা জাম্প সম্পন্ন করলেও দুজন দরজায় দাঁড়িয়ে পরিস্থিতি দেখছিলেন। ঝুলে থাকা প্যারাস্যুটার জীবন বাঁচাতে তাঁর হুক নাইফ বের করে রিজার্ভ প্যারাস্যুটের ১১টি লাইন কেটে নিজেকে মুক্ত করেন। এরপর তিনি মূল প্যারাস্যুট খুলতে সক্ষম হন, যদিও রিজার্ভ প্যারাস্যুটের কিছু লাইন তখনো তাঁকে জড়িয়ে ছিল।
এদিকে পাইলট হঠাৎ বিমানটিকে ওপরের দিকে ঢলে যেতে এবং গতি কমে যেতে দেখে প্রথমে ভেবেছিলেন বিমানটিতে ত্রুটি হয়েছে। পরে তাঁকে জানানো হয়, একজন স্কাইডাইভার বিমানের পেছনে ডানায় ঝুলে আছেন। এ অবস্থায় পাইলট জরুরি ‘মে ডে’ বার্তা পাঠান এবং প্রয়োজনে নিজেও বেরিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন।
অবশেষে ২,৫০০ ফুট উচ্চতায় এসে পাইলট বুঝতে পারেন, বিমানটি তাঁর নিয়ন্ত্রণেই আছে। ছোট-খাটো আঘাত নিয়ে নিরাপদেই অবতরণ করেন ওই স্কাইডাইভার এবং পাইলটও ক্ষতিগ্রস্ত বিমানটিকে নিরাপদে অবতরণ করাতে সক্ষম হন।
এই ঘটনার পর স্কাইডাইভারদের প্রতি এক সতর্কবার্তায় ‘অস্ট্রেলিয়ান ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরো’ বলেছে—বিমানের দরজার কাছে প্যারাস্যুটের হ্যান্ডেল সম্পর্কে অতিরিক্ত সতর্ক হতে হবে এবং জরুরি অবস্থার জন্য হুক নাইফ অবশ্যই সঙ্গে রাখতে হবে। ব্যুরো আরও জানিয়েছে, বিমানের ওজন ও ভারসাম্য নির্ণয় স্কাইডাইভিং অভিযানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ অতীতে এসব কারণে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটেছে।

অস্ট্রেলিয়ার ফার নর্থ কুইন্সল্যান্ডে গত ২০ সেপ্টেম্বর ঘটে বিস্ময়কর সেই দুর্ঘটনাটি। সেদিন প্রায় ৪ হাজার ৬০০ মিটার উচ্চতায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন এক স্কাইডাইভার। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) প্রকাশিত অস্ট্রেলিয়ান ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরোর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ঘটনাটির বিস্তারিত উঠে এসেছে।
এই বিষয়ে যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, ফার নর্থ কুইন্সল্যান্ডের টুলি এয়ারপোর্টের আকাশে ১৭ জন প্যারাস্যুটার একটি ‘সিক্সটিন-ওয়ে ফরমেশন জাম্পে’ অংশ নিচ্ছিলেন। তাঁদের মধ্যে প্রথমজন যখন বিমান থেকে বের হচ্ছিলেন, ঠিক তখনই তাঁর রিজার্ভ প্যারাস্যুটের হ্যান্ডেলটি বিমানের উইং ফ্ল্যাপে আটকে যায়। এর ফলে মুহূর্তের মধ্যেই রিজার্ভ প্যারাস্যুট খুলে যায় এবং বাতাসের হঠাৎ টানে পেছনের দিকে ছিটকে গিয়ে বিমানের ডানায় ধাক্কা খান এবং আটকে যান ওই স্কাইডাইভার। এতে বিমানের ডানায় ও স্ট্যাবিলাইজারে গুরুতর ক্ষতি হয়।
প্যারাস্যুটের দড়ি স্ট্যাবিলাইজারের চারপাশে পেঁচিয়ে যাওয়ায় স্কাইডাইভার ঝুলন্ত অবস্থায় অচল হয়ে পড়েন। অন্য প্যারাস্যুটারেরা জাম্প সম্পন্ন করলেও দুজন দরজায় দাঁড়িয়ে পরিস্থিতি দেখছিলেন। ঝুলে থাকা প্যারাস্যুটার জীবন বাঁচাতে তাঁর হুক নাইফ বের করে রিজার্ভ প্যারাস্যুটের ১১টি লাইন কেটে নিজেকে মুক্ত করেন। এরপর তিনি মূল প্যারাস্যুট খুলতে সক্ষম হন, যদিও রিজার্ভ প্যারাস্যুটের কিছু লাইন তখনো তাঁকে জড়িয়ে ছিল।
এদিকে পাইলট হঠাৎ বিমানটিকে ওপরের দিকে ঢলে যেতে এবং গতি কমে যেতে দেখে প্রথমে ভেবেছিলেন বিমানটিতে ত্রুটি হয়েছে। পরে তাঁকে জানানো হয়, একজন স্কাইডাইভার বিমানের পেছনে ডানায় ঝুলে আছেন। এ অবস্থায় পাইলট জরুরি ‘মে ডে’ বার্তা পাঠান এবং প্রয়োজনে নিজেও বেরিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন।
অবশেষে ২,৫০০ ফুট উচ্চতায় এসে পাইলট বুঝতে পারেন, বিমানটি তাঁর নিয়ন্ত্রণেই আছে। ছোট-খাটো আঘাত নিয়ে নিরাপদেই অবতরণ করেন ওই স্কাইডাইভার এবং পাইলটও ক্ষতিগ্রস্ত বিমানটিকে নিরাপদে অবতরণ করাতে সক্ষম হন।
এই ঘটনার পর স্কাইডাইভারদের প্রতি এক সতর্কবার্তায় ‘অস্ট্রেলিয়ান ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরো’ বলেছে—বিমানের দরজার কাছে প্যারাস্যুটের হ্যান্ডেল সম্পর্কে অতিরিক্ত সতর্ক হতে হবে এবং জরুরি অবস্থার জন্য হুক নাইফ অবশ্যই সঙ্গে রাখতে হবে। ব্যুরো আরও জানিয়েছে, বিমানের ওজন ও ভারসাম্য নির্ণয় স্কাইডাইভিং অভিযানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ অতীতে এসব কারণে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটেছে।

পাগল–ছাগলের কথা কেন এলো, এবার তার বিশদে যাই বরং। ছাগল নিয়ে ইদানীং দেশে আলোচনা হচ্ছে বেশ। আজকের পত্রিকার খবরে প্রকাশ, বিশ্বখ্যাত ব্ল্যাক বেঙ্গল গোট বা স্থানীয় জাতের কালো ছাগলের বিষয়ে ‘উঁচু স্তরের অভিজ্ঞতা’ নিতে সরকারের ১৬ কর্মকর্তা যাবেন বিদেশ সফরে।
২৬ অক্টোবর ২০২২চাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।
১ দিন আগে
কাজের মধ্যে ঘন ঘন টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নিয়ে চাকরি খুইয়েছেন এক চীনা প্রকৌশলী। চীনের পূর্বাঞ্চলের জিয়াংসু প্রদেশের ওই প্রকৌশলী ঘন ঘন এবং প্রতিবার এক ঘণ্টার বেশি সময় টয়লেটে কাটাচ্ছিলেন। যদিও তাঁর দাবি ছিল, তিনি অর্শ বা পাইলসের সমস্যায় ভুগছেন।
১ দিন আগে
ফুড ডেলিভারি করতে করতে মাত্র পাঁচ বছরে ১১ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান সঞ্চয় করেছেন তিনি, যা বাংলাদেশের মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৯৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকার সমান। প্রতিদিন গড়ে ১৪ ঘণ্টা কাজ আর কঠোর মিতব্যয়িতাই তাঁকে লাখপতি বানিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
৩ দিন আগে