
বাংলাদেশের প্রস্তুতি ম্যাচের ভেন্যু অ্যালান বোর্ডার ফিল্ডে গতকাল ঢুকেই চোখ পড়ল ‘স্টুয়ার্ট ল’ স্ট্যান্ড। বাংলাদেশ দলের সাবেক ও বর্তমানে বিসিবির যুব দলের প্রধান কোচ স্টুয়ার্ট ল এই মুহূর্তে আছেন ঢাকায়। বাংলাদেশ দল এখন তাঁরই রাজ্য কুইন্সল্যান্ডের ব্রিসবেনে। সাবেক অজি ক্রিকেটার আজকের পত্রিকাকে বললেন বাংলাদেশের পুরো বিশ্বকাপ অভিযান নিয়েই।
রানা আব্বাস, ব্রিসবেন থেকে

প্রশ্ন: কুইন্সল্যান্ডের ক্রিকেটার হিসেবে অ্যালান বোর্ডার মাঠ নিয়ে আপনার নিশ্চয়ই অনেক সুখস্মৃতি...
স্টুয়ার্ট ল: অনেক পরিবর্তন হয়েছে মাঠটায়। অনেক সংস্কার হয়েছে। সেখানে শেফিল্ড শিল্ড জিতেছি। দারুণ এক মাঠ। অনুশীলনের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। খেলাটা সম্পর্কে খুদে ক্রিকেটারদের পুঙ্খানুপুঙ্খ ধারণা দিতে এখানে দারুণ সব কোচ আছে।
প্রশ্ন: অস্ট্রেলিয়ার একেক জায়গায় একেক আবহাওয়া। বিচিত্র এ কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া বাংলাদেশের জন্য কতটা চ্যালেঞ্জিং?
ল: বাংলাদেশের মতো এশিয়ার দলগুলোর কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে একটু সময় লাগবে। ঢাকা থেকে এখানকার আবহাওয়ার আচরণ একটু ভিন্ন। খেলোয়াড়দের প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে উইকেটে পেস এবং বাউন্সের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া। বেশির ভাগ পিচ, এমনকি অ্যালান বোর্ডার মাঠের উইকেটেও পেস ও বাউন্স রয়েছে। উপমহাদেশের ক্রিকেটাররা যেটার সঙ্গে অভ্যস্ত নয়। এর জন্য তাদের একটু সময় লাগবে। যদিও হাতে বেশি সময় নেই। তবে তারা কতটা মানিয়ে নিতে পারছে সেটার ওপর বিশ্বকাপে পারফর্ম করা অনেকাংশে নির্ভর করছে। যত বেশি তারা এ ধরনের কন্ডিশনে খেলবে, তত ভালো করার সম্ভাবনা বাড়বে। বাংলাদেশে এই জিনিসটার অভাব রয়েছে। তাদের এমন উইকেটে খেলা প্রয়োজন যেখানে ঘাস আছে, শক্ত এবং পেস-বাউন্সি। এ ধরনের উইকেটে খেললে দ্রুত উন্নতি হবে। আমি জানি, তাদের ঘরোয়া ক্রিকেট এখনো এই পর্যায়ে যায়নি। ভারত এই জিনিসটার চর্চা অনেক দিন ধরে করছে। পাকিস্তানও বেশ লম্বা সময় ধরে এটা করে আসছে। এ জন্য তারা পেস ও বাউন্সি উইকেটেও ভালো করে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ দল প্রথমবার এখানে টি-টোয়েন্টি খেলতে এসেছে। ভালো কিছু করা আসলে কতটা কঠিন?
ল: এটা আসলেই কঠিন হবে। তারা একটা পুনর্নির্মাণ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে তারা টানা হেরেছে। তবে তারা উন্নতির চেষ্টা করছে, যেটা দারুণ ব্যাপার। আপনি উন্নতি করতে পারবেন না, যদি না মনে করেন আপনার উন্নতির দরকার। তারা বলেছে, তারা পরিবর্তন আনতে চাচ্ছে, উন্নতি করতে চাচ্ছে। তাদের কোচিং স্টাফ অনেক সমৃদ্ধ। অস্ট্রেলিয়ায় জেমি সিডন্সের অনেক অভিজ্ঞতা আছে। কোন মাঠে কেমন রান হতে পারে এ সম্পর্কে তার পরিষ্কার ধারণা রয়েছে। তাদের যদি কোনো পরামর্শের দরকার হয়, আমি মনে করি জেমি এটা খুব ভালোভাবেই দিতে পারবে। অ্যালান ডোনাল্ডেরও পেস ও বাউন্সি উইকেটে বোলিং করার অভিজ্ঞতা প্রচুর। খেলোয়াড়ি জীবনে অস্ট্রেলিয়ায় দারুণ খেলেছে। পরামর্শের জন্য তাদের চেয়ে ভালো কেউ হতে পারে না। অস্ট্রেলিয়ায় কিছু মাঠ অনেক বড়, কিছু মাঠের বাউন্ডারি আবার ছোট, এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ শুধু ছক্কা মারার ভাবনায় না থেকে মাঠের চারপাশ ব্যবহার করতে পারে।
প্রশ্ন: বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ কি এক-দুটি ম্যাচ জিততে পারবে বলে মনে হয়?
ল: তাদের না জেতার কোনো কারণ নেই। কয়েকটা বড় দল খুবই শক্তিশালী। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিপক্ষের ফাস্ট বোলারদের সামলে পেস-বাউন্সের বিপক্ষে কীভাবে খেলছে। যদি তারা সামলাতে পারে, কয়েকটা ম্যাচ না জেতার কোনো কারণ দেখি না। আশা করি, তারা পারবে।
প্রশ্ন: সিডন্স বলছিলেন, এখানে জেতার জন্য ১৬০-১৭০ যথেষ্ট। আপনি কি তাঁর সঙ্গে একমত?
ল: আপনাকে বাংলাদেশের শক্তির দিকে তাকাতে হবে। আমার মতে, বাংলাদেশের শক্তির জায়গা স্পিন। অস্ট্রেলিয়ান কন্ডিশনে স্পিন একটা বড় প্রভাবক। যখন এখানে বিগ ব্যাশ শুরু হচ্ছিল, সবাই ভেবেছে স্পিন কাজে দেবে না। যেটা আসলে ভুল প্রমাণিত হয়েছে। কোয়ালিটি স্পিন আসলেই ফ্যাক্টর। আমি মনে করি এটা বাংলাদেশের আছে। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে তারা ১৬০-১৭০ ডিফেন্ড করতে পারেনি, যেটা উচিত ছিল। যদি ধারাবাহিকভাবে ১৭০-১৮০ করতে পারে, জেতার জন্য প্রতিপক্ষকে তারা স্কোরবোর্ডের চাপে ফেলতে পারবে বলে আমার মনে হয়।
প্রশ্ন: অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে নিয়ে এবার কতটা আশাবাদী? তিনি কি পারবেন সামনে থেকে বিশ্বকাপটা রাঙাতে?
ল: অবশ্যই সে পারবে। সে দারুণ এক ক্রিকেটার। যদি সেরা না-ও হয় খেলাটার অন্যতম সেরা একজন অলরাউন্ডার। সেটাও লম্বা সময় ধরে। না পারার কারণ দেখি না। সে কোয়ালিটি পারফরমার। সে অস্ট্রেলিয়ায় খেলার খুব একটা সুযোগ পায়নি। এটা তাই তার জন্য নতুন একটা চ্যালেঞ্জ। তার ক্লাস এবং সামর্থ্যের একজন খেলোয়াড় এ ধরনের কন্ডিশনে দ্রুত মানিয়ে নিতে পারবে। সাকিব সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারবে, যদি ছেলেরা তাকে অনুসরণ করে।
প্রশ্ন: সাম্প্রতিক সময়ে অনেক পরিবর্তন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে দলে, এটা বিশ্বকাপে কতটা কাজে দেবে বলে মনে হয়?
ল: আপনি যখন ম্যাচ জিতবেন না এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না, অবশ্যই ভিন্ন কিছুর চেষ্টা করবেন। অন্য খেলোয়াড়দের সুযোগ দেবেন এবং বাজিয়ে দেখে তাদের মেধা দেখতে চাইবেন। এখন যারা সুযোগ পেয়েছে তারা নিশ্চয়ই প্রমাণ করে এসেছে। তবে এটা বলা কঠিন (কতটা কাজে দেবে)। তবে আগামীকাল কী ঘটবে, সেটা আগে থেকে বলে দেওয়া যায় না। খেলোয়াড়েরা যদি নিজেদের ওপর বিশ্বাস রাখে এবং ভালো ক্রিকেট খেলতে পারে, সুযোগ নিশ্চয়ই থাকবে।
প্রশ্ন: এই বিশ্বকাপে আপনার চোখে কে ফেবারিট? অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড নাকি উপমহাদেশের কোনো দল?
ল: আমার মনে হয় ইংল্যান্ড ফেবারিটের তকমা পাবে। তারা এই মুহূর্তে খুব ভালো ক্রিকেট খেলছে। ভারতকে ছোট করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। পাকিস্তানও যেকোনো কিছু করতে পারে। অস্ট্রেলিয়া সব সময় ফেবারিটের তকমা নিয়ে থাকে। নিউজিল্যান্ডও ভালো দল। তারা ফাইনালে অনেক খেলেছে। যদিও খুব একটা জিততে পারেনি। তবে আমার বাজি ইংল্যান্ডের পক্ষে। তারা সব দিক কভার করে বিশ্বকাপে এসেছে। দলটা দেখতেও অনেক শক্তিশালী। টপ অর্ডারে অ্যালেক্স হেলস দারুণ ফর্মে আছে। সে অস্ট্রেলিয়ান কন্ডিশন ভালোবাসে। যে দল ব্যাটিংয়ের দিক থেকে কন্ডিশনের সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে পারবে, তারা জিতবে।
প্রশ্ন: একজন অস্ট্রেলীয় হয়েও আপনার চোখে অস্ট্রেলিয়া ফেবারিট নয়?
ল: টানা দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতা আসলে কঠিন। একই সঙ্গে টুর্নামেন্ট যত সামনে গড়াবে, বড় ম্যাচে (টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে) অস্ট্রেলিয়ার জেতার অভ্যাস কম। বিশ্বকাপে তাদের ধারাবাহিক ভালো করার উদাহরণও খুব কম। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ ধরে রাখা কঠিন কাজ। অন্য দলগুলো তাদের চেয়ে এগিয়ে। প্রতিটি ম্যাচ তাদের জন্য ফাইনালের মতো। আমার মনে হয় ইংল্যান্ড যেভাবে খেলছে, তারা অনেক এগিয়ে বাকি দলগুলোর চেয়ে।
টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
প্রশ্ন: কুইন্সল্যান্ডের ক্রিকেটার হিসেবে অ্যালান বোর্ডার মাঠ নিয়ে আপনার নিশ্চয়ই অনেক সুখস্মৃতি...
স্টুয়ার্ট ল: অনেক পরিবর্তন হয়েছে মাঠটায়। অনেক সংস্কার হয়েছে। সেখানে শেফিল্ড শিল্ড জিতেছি। দারুণ এক মাঠ। অনুশীলনের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। খেলাটা সম্পর্কে খুদে ক্রিকেটারদের পুঙ্খানুপুঙ্খ ধারণা দিতে এখানে দারুণ সব কোচ আছে।
প্রশ্ন: অস্ট্রেলিয়ার একেক জায়গায় একেক আবহাওয়া। বিচিত্র এ কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া বাংলাদেশের জন্য কতটা চ্যালেঞ্জিং?
ল: বাংলাদেশের মতো এশিয়ার দলগুলোর কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে একটু সময় লাগবে। ঢাকা থেকে এখানকার আবহাওয়ার আচরণ একটু ভিন্ন। খেলোয়াড়দের প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে উইকেটে পেস এবং বাউন্সের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া। বেশির ভাগ পিচ, এমনকি অ্যালান বোর্ডার মাঠের উইকেটেও পেস ও বাউন্স রয়েছে। উপমহাদেশের ক্রিকেটাররা যেটার সঙ্গে অভ্যস্ত নয়। এর জন্য তাদের একটু সময় লাগবে। যদিও হাতে বেশি সময় নেই। তবে তারা কতটা মানিয়ে নিতে পারছে সেটার ওপর বিশ্বকাপে পারফর্ম করা অনেকাংশে নির্ভর করছে। যত বেশি তারা এ ধরনের কন্ডিশনে খেলবে, তত ভালো করার সম্ভাবনা বাড়বে। বাংলাদেশে এই জিনিসটার অভাব রয়েছে। তাদের এমন উইকেটে খেলা প্রয়োজন যেখানে ঘাস আছে, শক্ত এবং পেস-বাউন্সি। এ ধরনের উইকেটে খেললে দ্রুত উন্নতি হবে। আমি জানি, তাদের ঘরোয়া ক্রিকেট এখনো এই পর্যায়ে যায়নি। ভারত এই জিনিসটার চর্চা অনেক দিন ধরে করছে। পাকিস্তানও বেশ লম্বা সময় ধরে এটা করে আসছে। এ জন্য তারা পেস ও বাউন্সি উইকেটেও ভালো করে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ দল প্রথমবার এখানে টি-টোয়েন্টি খেলতে এসেছে। ভালো কিছু করা আসলে কতটা কঠিন?
ল: এটা আসলেই কঠিন হবে। তারা একটা পুনর্নির্মাণ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে তারা টানা হেরেছে। তবে তারা উন্নতির চেষ্টা করছে, যেটা দারুণ ব্যাপার। আপনি উন্নতি করতে পারবেন না, যদি না মনে করেন আপনার উন্নতির দরকার। তারা বলেছে, তারা পরিবর্তন আনতে চাচ্ছে, উন্নতি করতে চাচ্ছে। তাদের কোচিং স্টাফ অনেক সমৃদ্ধ। অস্ট্রেলিয়ায় জেমি সিডন্সের অনেক অভিজ্ঞতা আছে। কোন মাঠে কেমন রান হতে পারে এ সম্পর্কে তার পরিষ্কার ধারণা রয়েছে। তাদের যদি কোনো পরামর্শের দরকার হয়, আমি মনে করি জেমি এটা খুব ভালোভাবেই দিতে পারবে। অ্যালান ডোনাল্ডেরও পেস ও বাউন্সি উইকেটে বোলিং করার অভিজ্ঞতা প্রচুর। খেলোয়াড়ি জীবনে অস্ট্রেলিয়ায় দারুণ খেলেছে। পরামর্শের জন্য তাদের চেয়ে ভালো কেউ হতে পারে না। অস্ট্রেলিয়ায় কিছু মাঠ অনেক বড়, কিছু মাঠের বাউন্ডারি আবার ছোট, এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ শুধু ছক্কা মারার ভাবনায় না থেকে মাঠের চারপাশ ব্যবহার করতে পারে।
প্রশ্ন: বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ কি এক-দুটি ম্যাচ জিততে পারবে বলে মনে হয়?
ল: তাদের না জেতার কোনো কারণ নেই। কয়েকটা বড় দল খুবই শক্তিশালী। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিপক্ষের ফাস্ট বোলারদের সামলে পেস-বাউন্সের বিপক্ষে কীভাবে খেলছে। যদি তারা সামলাতে পারে, কয়েকটা ম্যাচ না জেতার কোনো কারণ দেখি না। আশা করি, তারা পারবে।
প্রশ্ন: সিডন্স বলছিলেন, এখানে জেতার জন্য ১৬০-১৭০ যথেষ্ট। আপনি কি তাঁর সঙ্গে একমত?
ল: আপনাকে বাংলাদেশের শক্তির দিকে তাকাতে হবে। আমার মতে, বাংলাদেশের শক্তির জায়গা স্পিন। অস্ট্রেলিয়ান কন্ডিশনে স্পিন একটা বড় প্রভাবক। যখন এখানে বিগ ব্যাশ শুরু হচ্ছিল, সবাই ভেবেছে স্পিন কাজে দেবে না। যেটা আসলে ভুল প্রমাণিত হয়েছে। কোয়ালিটি স্পিন আসলেই ফ্যাক্টর। আমি মনে করি এটা বাংলাদেশের আছে। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে তারা ১৬০-১৭০ ডিফেন্ড করতে পারেনি, যেটা উচিত ছিল। যদি ধারাবাহিকভাবে ১৭০-১৮০ করতে পারে, জেতার জন্য প্রতিপক্ষকে তারা স্কোরবোর্ডের চাপে ফেলতে পারবে বলে আমার মনে হয়।
প্রশ্ন: অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে নিয়ে এবার কতটা আশাবাদী? তিনি কি পারবেন সামনে থেকে বিশ্বকাপটা রাঙাতে?
ল: অবশ্যই সে পারবে। সে দারুণ এক ক্রিকেটার। যদি সেরা না-ও হয় খেলাটার অন্যতম সেরা একজন অলরাউন্ডার। সেটাও লম্বা সময় ধরে। না পারার কারণ দেখি না। সে কোয়ালিটি পারফরমার। সে অস্ট্রেলিয়ায় খেলার খুব একটা সুযোগ পায়নি। এটা তাই তার জন্য নতুন একটা চ্যালেঞ্জ। তার ক্লাস এবং সামর্থ্যের একজন খেলোয়াড় এ ধরনের কন্ডিশনে দ্রুত মানিয়ে নিতে পারবে। সাকিব সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারবে, যদি ছেলেরা তাকে অনুসরণ করে।
প্রশ্ন: সাম্প্রতিক সময়ে অনেক পরিবর্তন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে দলে, এটা বিশ্বকাপে কতটা কাজে দেবে বলে মনে হয়?
ল: আপনি যখন ম্যাচ জিতবেন না এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না, অবশ্যই ভিন্ন কিছুর চেষ্টা করবেন। অন্য খেলোয়াড়দের সুযোগ দেবেন এবং বাজিয়ে দেখে তাদের মেধা দেখতে চাইবেন। এখন যারা সুযোগ পেয়েছে তারা নিশ্চয়ই প্রমাণ করে এসেছে। তবে এটা বলা কঠিন (কতটা কাজে দেবে)। তবে আগামীকাল কী ঘটবে, সেটা আগে থেকে বলে দেওয়া যায় না। খেলোয়াড়েরা যদি নিজেদের ওপর বিশ্বাস রাখে এবং ভালো ক্রিকেট খেলতে পারে, সুযোগ নিশ্চয়ই থাকবে।
প্রশ্ন: এই বিশ্বকাপে আপনার চোখে কে ফেবারিট? অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড নাকি উপমহাদেশের কোনো দল?
ল: আমার মনে হয় ইংল্যান্ড ফেবারিটের তকমা পাবে। তারা এই মুহূর্তে খুব ভালো ক্রিকেট খেলছে। ভারতকে ছোট করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। পাকিস্তানও যেকোনো কিছু করতে পারে। অস্ট্রেলিয়া সব সময় ফেবারিটের তকমা নিয়ে থাকে। নিউজিল্যান্ডও ভালো দল। তারা ফাইনালে অনেক খেলেছে। যদিও খুব একটা জিততে পারেনি। তবে আমার বাজি ইংল্যান্ডের পক্ষে। তারা সব দিক কভার করে বিশ্বকাপে এসেছে। দলটা দেখতেও অনেক শক্তিশালী। টপ অর্ডারে অ্যালেক্স হেলস দারুণ ফর্মে আছে। সে অস্ট্রেলিয়ান কন্ডিশন ভালোবাসে। যে দল ব্যাটিংয়ের দিক থেকে কন্ডিশনের সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে পারবে, তারা জিতবে।
প্রশ্ন: একজন অস্ট্রেলীয় হয়েও আপনার চোখে অস্ট্রেলিয়া ফেবারিট নয়?
ল: টানা দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতা আসলে কঠিন। একই সঙ্গে টুর্নামেন্ট যত সামনে গড়াবে, বড় ম্যাচে (টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে) অস্ট্রেলিয়ার জেতার অভ্যাস কম। বিশ্বকাপে তাদের ধারাবাহিক ভালো করার উদাহরণও খুব কম। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ ধরে রাখা কঠিন কাজ। অন্য দলগুলো তাদের চেয়ে এগিয়ে। প্রতিটি ম্যাচ তাদের জন্য ফাইনালের মতো। আমার মনে হয় ইংল্যান্ড যেভাবে খেলছে, তারা অনেক এগিয়ে বাকি দলগুলোর চেয়ে।
টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

নারী ফুটবল দলের কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ সামনে থাকলেই উঠে আসে সাবিনা খাতুনের প্রসঙ্গ। আদৌ কি জাতীয় দলে আর সুযোগ পাবেন তিনি। গত বছর সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর কোচের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণে আর জাতীয় দলে ডাক পাননি এই ফুটবলার। তবে তাঁকে অধিনায়ক করেই আজ ফুটসালের প্রাথমিক দল করেছে বাফুফে।
৭ ঘণ্টা আগে
বিয়ে করেছেন নারী ক্রিকেটার রুমানা আহমেদ। খুলনায় আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন ইনিংস শুরু করলেন বাংলাদেশ নারী দলের সাবেক অধিনায়ক। তাঁর স্বামীর নাম আল মামুন। মামুন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে মহাপরিচালক হিসেবে কর্মরত।
৯ ঘণ্টা আগে
যুব এশিয়া কাপে বাংলাদেশ টানা দুবারের চ্যাম্পিয়ন। গতকাল সংযুক্ত আরব আমরাতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ‘চ্যাম্পিয়নে’র মতোই খেলল বাংলাদেশ। আফগানদের হারাল ৩ উইকেটে।
৯ ঘণ্টা আগে
পার্থ টেস্টেই চোট পান উসমান খাজা। এজন্য ব্রিজবেনের গ্যাবায় অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে নামতে পারেননি। তবে অ্যাশেজ সিরিজের তৃতীয় টেস্টের আগে শতভাগ ফিট এই ব্যাটার। এরপরও একাদশে জায়গা পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছেন তিনি। সব সিদ্ধান্ত ছেড়ে দিচ্ছেন নির্বাচকেদের ওপর।
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নারী ফুটবল দলের কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ সামনে থাকলেই উঠে আসে সাবিনা খাতুনের প্রসঙ্গ। আদৌ কি জাতীয় দলে আর সুযোগ পাবেন তিনি। গত বছর সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর কোচের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণে আর জাতীয় দলে ডাক পাননি এই ফুটবলার। তবে তাঁকে অধিনায়ক করেই আজ ফুটসালের প্রাথমিক দল করেছে বাফুফে।
আগামী বছরের ১৩ জানুয়ারি থাইল্যান্ডে শুরু হবে সাফ ফুটসাল চ্যাম্পিয়নশিপ। বাংলাদেশসহ এতে অংশ নেবে মালদ্বীপ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভারত ও ভুটান। রাউন্ড রবিন লিগ ফরম্যাটে সব দল একে অপরের মুখোমুখি হবে।
পুরুষ দলের কোচ সাইদ খোদারাহমির অধীনেই চলছে বাংলাদেশ নারী দলের ক্যাম্প। প্রাথমিক দলও সাজানো হয়েছে। অধিনায়কত্বের দায়িত্ব কাঁধে নেওয়া সাবিনা ছাড়াও দলে আছেন ফুটবল দলের কোচ পিটার বাটলারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা মাসুরা পারভীন, মাতসুশিমা সুমাইয়া, কৃষ্ণা রানী সরকার, নিলুফা ইয়াসমিনও।
সাফ ফুটসালে বাংলাদেশের প্রাথমিক দল: সাবিনা খাতুন (অধিনায়ক), মাতসুশিমা সুমাইয়া, মাসুরা পারভীন, কৃষ্ণা রানী সরকার, লিপি আক্তার, উন্নতি খাতুন, মেহেনুর আক্তার, রাত্রি মণি, সুমি খাতুন, নওশন জাহান, নিলুফা ইয়াসমিন, মিসরাত জাহান মৌসুমী, মার্জিয়া, নাসরিন আক্তার, শেজুতি ইসলাম স্মৃতি, সাথী বিশ্বাস, ইতি রানী, স্বপ্না আক্তার জিলি ।

নারী ফুটবল দলের কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ সামনে থাকলেই উঠে আসে সাবিনা খাতুনের প্রসঙ্গ। আদৌ কি জাতীয় দলে আর সুযোগ পাবেন তিনি। গত বছর সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর কোচের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণে আর জাতীয় দলে ডাক পাননি এই ফুটবলার। তবে তাঁকে অধিনায়ক করেই আজ ফুটসালের প্রাথমিক দল করেছে বাফুফে।
আগামী বছরের ১৩ জানুয়ারি থাইল্যান্ডে শুরু হবে সাফ ফুটসাল চ্যাম্পিয়নশিপ। বাংলাদেশসহ এতে অংশ নেবে মালদ্বীপ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভারত ও ভুটান। রাউন্ড রবিন লিগ ফরম্যাটে সব দল একে অপরের মুখোমুখি হবে।
পুরুষ দলের কোচ সাইদ খোদারাহমির অধীনেই চলছে বাংলাদেশ নারী দলের ক্যাম্প। প্রাথমিক দলও সাজানো হয়েছে। অধিনায়কত্বের দায়িত্ব কাঁধে নেওয়া সাবিনা ছাড়াও দলে আছেন ফুটবল দলের কোচ পিটার বাটলারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা মাসুরা পারভীন, মাতসুশিমা সুমাইয়া, কৃষ্ণা রানী সরকার, নিলুফা ইয়াসমিনও।
সাফ ফুটসালে বাংলাদেশের প্রাথমিক দল: সাবিনা খাতুন (অধিনায়ক), মাতসুশিমা সুমাইয়া, মাসুরা পারভীন, কৃষ্ণা রানী সরকার, লিপি আক্তার, উন্নতি খাতুন, মেহেনুর আক্তার, রাত্রি মণি, সুমি খাতুন, নওশন জাহান, নিলুফা ইয়াসমিন, মিসরাত জাহান মৌসুমী, মার্জিয়া, নাসরিন আক্তার, শেজুতি ইসলাম স্মৃতি, সাথী বিশ্বাস, ইতি রানী, স্বপ্না আক্তার জিলি ।

অনেক পরিবর্তন হয়েছে মাঠটায়। অনেক সংস্কার হয়েছে। সেখানে শেফিল্ড শিল্ড জিতেছি। দারুণ এক মাঠ। অনুশীলনের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। খেলাটা সম্পর্কে খুদে ক্রিকেটারদের পুঙ্খানুপুঙ্খ ধারণা দিতে এখানে দারুণ সব কোচ আছে।
১৭ অক্টোবর ২০২২
বিয়ে করেছেন নারী ক্রিকেটার রুমানা আহমেদ। খুলনায় আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন ইনিংস শুরু করলেন বাংলাদেশ নারী দলের সাবেক অধিনায়ক। তাঁর স্বামীর নাম আল মামুন। মামুন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে মহাপরিচালক হিসেবে কর্মরত।
৯ ঘণ্টা আগে
যুব এশিয়া কাপে বাংলাদেশ টানা দুবারের চ্যাম্পিয়ন। গতকাল সংযুক্ত আরব আমরাতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ‘চ্যাম্পিয়নে’র মতোই খেলল বাংলাদেশ। আফগানদের হারাল ৩ উইকেটে।
৯ ঘণ্টা আগে
পার্থ টেস্টেই চোট পান উসমান খাজা। এজন্য ব্রিজবেনের গ্যাবায় অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে নামতে পারেননি। তবে অ্যাশেজ সিরিজের তৃতীয় টেস্টের আগে শতভাগ ফিট এই ব্যাটার। এরপরও একাদশে জায়গা পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছেন তিনি। সব সিদ্ধান্ত ছেড়ে দিচ্ছেন নির্বাচকেদের ওপর।
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিয়ে করেছেন নারী ক্রিকেটার রুমানা আহমেদ। খুলনায় আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন ইনিংস শুরু করলেন বাংলাদেশ নারী দলের সাবেক অধিনায়ক। তাঁর স্বামীর নাম আল মামুন। মামুন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে মহাব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত।
রুমানা জানান, খুব সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে তাঁদের বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। গতকাল অনুষ্ঠান হয়েছে খুলনার টাইগার গার্ডেনে। খুলনা থেকে ফোনে আজকের পত্রিকাকে রুমানা বললেন, ‘নতুন জীবন, একটা অদ্ভুত অনুভূতিই হচ্ছে। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’
বাংলাদেশের হয়ে ৫০ ওয়ানডে ও ৮৭ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন রুমানা। জিতেছেন ২০১৮ এশিয়া কাপ। রুমানা সর্বশেষ বাংলাদেশের হয়ে খেলেছেন ২০২৪ সালের জুলাইয়ে।

বিয়ে করেছেন নারী ক্রিকেটার রুমানা আহমেদ। খুলনায় আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন ইনিংস শুরু করলেন বাংলাদেশ নারী দলের সাবেক অধিনায়ক। তাঁর স্বামীর নাম আল মামুন। মামুন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে মহাব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত।
রুমানা জানান, খুব সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে তাঁদের বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। গতকাল অনুষ্ঠান হয়েছে খুলনার টাইগার গার্ডেনে। খুলনা থেকে ফোনে আজকের পত্রিকাকে রুমানা বললেন, ‘নতুন জীবন, একটা অদ্ভুত অনুভূতিই হচ্ছে। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’
বাংলাদেশের হয়ে ৫০ ওয়ানডে ও ৮৭ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন রুমানা। জিতেছেন ২০১৮ এশিয়া কাপ। রুমানা সর্বশেষ বাংলাদেশের হয়ে খেলেছেন ২০২৪ সালের জুলাইয়ে।

অনেক পরিবর্তন হয়েছে মাঠটায়। অনেক সংস্কার হয়েছে। সেখানে শেফিল্ড শিল্ড জিতেছি। দারুণ এক মাঠ। অনুশীলনের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। খেলাটা সম্পর্কে খুদে ক্রিকেটারদের পুঙ্খানুপুঙ্খ ধারণা দিতে এখানে দারুণ সব কোচ আছে।
১৭ অক্টোবর ২০২২
নারী ফুটবল দলের কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ সামনে থাকলেই উঠে আসে সাবিনা খাতুনের প্রসঙ্গ। আদৌ কি জাতীয় দলে আর সুযোগ পাবেন তিনি। গত বছর সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর কোচের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণে আর জাতীয় দলে ডাক পাননি এই ফুটবলার। তবে তাঁকে অধিনায়ক করেই আজ ফুটসালের প্রাথমিক দল করেছে বাফুফে।
৭ ঘণ্টা আগে
যুব এশিয়া কাপে বাংলাদেশ টানা দুবারের চ্যাম্পিয়ন। গতকাল সংযুক্ত আরব আমরাতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ‘চ্যাম্পিয়নে’র মতোই খেলল বাংলাদেশ। আফগানদের হারাল ৩ উইকেটে।
৯ ঘণ্টা আগে
পার্থ টেস্টেই চোট পান উসমান খাজা। এজন্য ব্রিজবেনের গ্যাবায় অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে নামতে পারেননি। তবে অ্যাশেজ সিরিজের তৃতীয় টেস্টের আগে শতভাগ ফিট এই ব্যাটার। এরপরও একাদশে জায়গা পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছেন তিনি। সব সিদ্ধান্ত ছেড়ে দিচ্ছেন নির্বাচকেদের ওপর।
১০ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

যুব এশিয়া কাপে বাংলাদেশ টানা দুবারের চ্যাম্পিয়ন। আজ সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ‘চ্যাম্পিয়নে’র মতোই খেলল বাংলাদেশ। আফগানদের হারাল ৩ উইকেটে।
আইসিসির একাডেমি মাঠে টস জিতে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৮৩ রান তোলে আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দল। লক্ষ্য তাড়ায় ৭ উইকেট হারিয়ে ৭ বল হাতে রেখেই জিতে যায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল (২৮৪/৭)।
বড় লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশ দলকে দুর্দান্ত শুরু এনে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার জাওয়াদ আবরার ও রিফাত বেগ। ১০৬ বলে ১৫১ রান করেন তাঁরা। রিফাতের বিদায়ে ছিন্ন হয় এই জুটি। আউট হওয়ার আগে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৬৮ বলে ৬২ রান করেন তিনি। রিফাত আউট হয়ে গেলেও সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন আবরার। কিন্তু নড়বড়ে নব্বুইয়ে আউট হয়ে যান তিনি। আফগান বোলার রুহুল্লাহ আরবের দ্বিতীয় শিকার হওয়ার আগে ৯টি চার ও ছয়টি ছয়ে ১১২ বলে ৯৬ রান করেন তিনি।
দুই ওপেনারের বিদায়ের পর উইকেটে জুটি বাঁধেন আজিজুল হাকিম ও কালাম সিদ্দিকী। ৭১ বলে তারা ৬৬ রান যোগ করেন। তাতে ২ উইকেট হারিয়েই ২৩৫ রান তুলে ফেলে বাংলাদেশ। কিন্তু এরপরই ‘মিনি’ মোড়ক লাগে বাংলাদেশ ইনিংসে। ২৩৬ থেকে ২৬৪—এই ২৮ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। যার মধ্যে আছে ৪৮ বলে ৪৭ রান করা অধিনায়ক আজিজুল হাকিম ও ৩৬ বলে ২৯ রান করা কালাম সিদ্দিকীর উইকেটও।
এরপর দলের ওপর চাপ সৃষ্টি হলেও দল লক্ষ্যের কাছাকাছি থাকায় কোনো অসুবিধা হয়নি। ১৬ বলে ২৬ রান করে দল জয় দলের জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন আবদুল আজিজ। তাঁর এই ইনিংসে আছে ৩টি ছক্কা।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করে ফয়সাল শিনোজাদার সেঞ্চুরির সুবাদে ৭ উইকেটে ৮৩ রান তোলে আফগানিস্তান। ১৬ রানে ওপেনার খালিদ আহমেদজাইয়ের (৩) বিদায়ের পর উইকেটে এসে দলের হাল ধরেন শিনোজাদা। ৮টি চার ও ৪টি ছয়ে ৯৪ বলে ১০৩ রান করেন তিনি।
শিনোজাদার বাইরে আর বলার মতোন তেমন রান করতে পারেনি কেউ। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে খেললে সতীর্থদের ছোট-মাঝারি অবদানেই ৭ উইকেটে আফগানদের স্কোর ২৮০ ছাড়িয়ে যায়। শিনোজাদার পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৪ রান আসে উজাইরুল্লাহ নিয়াজাইয়ের ব্যাটে। বল হাতে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন ইকবাল হোসেন ইমন ও শাহরিয়ার আহমেদ।

যুব এশিয়া কাপে বাংলাদেশ টানা দুবারের চ্যাম্পিয়ন। আজ সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ‘চ্যাম্পিয়নে’র মতোই খেলল বাংলাদেশ। আফগানদের হারাল ৩ উইকেটে।
আইসিসির একাডেমি মাঠে টস জিতে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৮৩ রান তোলে আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দল। লক্ষ্য তাড়ায় ৭ উইকেট হারিয়ে ৭ বল হাতে রেখেই জিতে যায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল (২৮৪/৭)।
বড় লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশ দলকে দুর্দান্ত শুরু এনে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার জাওয়াদ আবরার ও রিফাত বেগ। ১০৬ বলে ১৫১ রান করেন তাঁরা। রিফাতের বিদায়ে ছিন্ন হয় এই জুটি। আউট হওয়ার আগে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৬৮ বলে ৬২ রান করেন তিনি। রিফাত আউট হয়ে গেলেও সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন আবরার। কিন্তু নড়বড়ে নব্বুইয়ে আউট হয়ে যান তিনি। আফগান বোলার রুহুল্লাহ আরবের দ্বিতীয় শিকার হওয়ার আগে ৯টি চার ও ছয়টি ছয়ে ১১২ বলে ৯৬ রান করেন তিনি।
দুই ওপেনারের বিদায়ের পর উইকেটে জুটি বাঁধেন আজিজুল হাকিম ও কালাম সিদ্দিকী। ৭১ বলে তারা ৬৬ রান যোগ করেন। তাতে ২ উইকেট হারিয়েই ২৩৫ রান তুলে ফেলে বাংলাদেশ। কিন্তু এরপরই ‘মিনি’ মোড়ক লাগে বাংলাদেশ ইনিংসে। ২৩৬ থেকে ২৬৪—এই ২৮ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। যার মধ্যে আছে ৪৮ বলে ৪৭ রান করা অধিনায়ক আজিজুল হাকিম ও ৩৬ বলে ২৯ রান করা কালাম সিদ্দিকীর উইকেটও।
এরপর দলের ওপর চাপ সৃষ্টি হলেও দল লক্ষ্যের কাছাকাছি থাকায় কোনো অসুবিধা হয়নি। ১৬ বলে ২৬ রান করে দল জয় দলের জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন আবদুল আজিজ। তাঁর এই ইনিংসে আছে ৩টি ছক্কা।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করে ফয়সাল শিনোজাদার সেঞ্চুরির সুবাদে ৭ উইকেটে ৮৩ রান তোলে আফগানিস্তান। ১৬ রানে ওপেনার খালিদ আহমেদজাইয়ের (৩) বিদায়ের পর উইকেটে এসে দলের হাল ধরেন শিনোজাদা। ৮টি চার ও ৪টি ছয়ে ৯৪ বলে ১০৩ রান করেন তিনি।
শিনোজাদার বাইরে আর বলার মতোন তেমন রান করতে পারেনি কেউ। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে খেললে সতীর্থদের ছোট-মাঝারি অবদানেই ৭ উইকেটে আফগানদের স্কোর ২৮০ ছাড়িয়ে যায়। শিনোজাদার পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৪ রান আসে উজাইরুল্লাহ নিয়াজাইয়ের ব্যাটে। বল হাতে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন ইকবাল হোসেন ইমন ও শাহরিয়ার আহমেদ।

অনেক পরিবর্তন হয়েছে মাঠটায়। অনেক সংস্কার হয়েছে। সেখানে শেফিল্ড শিল্ড জিতেছি। দারুণ এক মাঠ। অনুশীলনের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। খেলাটা সম্পর্কে খুদে ক্রিকেটারদের পুঙ্খানুপুঙ্খ ধারণা দিতে এখানে দারুণ সব কোচ আছে।
১৭ অক্টোবর ২০২২
নারী ফুটবল দলের কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ সামনে থাকলেই উঠে আসে সাবিনা খাতুনের প্রসঙ্গ। আদৌ কি জাতীয় দলে আর সুযোগ পাবেন তিনি। গত বছর সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর কোচের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণে আর জাতীয় দলে ডাক পাননি এই ফুটবলার। তবে তাঁকে অধিনায়ক করেই আজ ফুটসালের প্রাথমিক দল করেছে বাফুফে।
৭ ঘণ্টা আগে
বিয়ে করেছেন নারী ক্রিকেটার রুমানা আহমেদ। খুলনায় আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন ইনিংস শুরু করলেন বাংলাদেশ নারী দলের সাবেক অধিনায়ক। তাঁর স্বামীর নাম আল মামুন। মামুন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে মহাপরিচালক হিসেবে কর্মরত।
৯ ঘণ্টা আগে
পার্থ টেস্টেই চোট পান উসমান খাজা। এজন্য ব্রিজবেনের গ্যাবায় অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে নামতে পারেননি। তবে অ্যাশেজ সিরিজের তৃতীয় টেস্টের আগে শতভাগ ফিট এই ব্যাটার। এরপরও একাদশে জায়গা পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছেন তিনি। সব সিদ্ধান্ত ছেড়ে দিচ্ছেন নির্বাচকেদের ওপর।
১০ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

পার্থ টেস্টেই চোট পান উসমান খাজা। এজন্য ব্রিজবেনের গ্যাবায় অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে নামতে পারেননি। তবে অ্যাশেজ সিরিজের তৃতীয় টেস্টের আগে শতভাগ ফিট এই ব্যাটার। এরপরও একাদশে জায়গা পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছেন তিনি। সব সিদ্ধান্ত ছেড়ে দিচ্ছেন নির্বাচকেদের ওপর।
পার্থ টেস্টে ফিল্ডিংয়ের শেষের দিকে মাঠের বাইরে ছিলেন খাজা। এজন্য ওপেনিংয়ে নামতে পারেননি। ব্যাট করতে নামেন ৪ নম্বরে। মাত্র ২ রান করে ফেরেন তিনি। তাঁর পরিবর্তে ওপেনিং করতে নেমে ১২৩ রানের ইনিংস খেলেন হেড।
ব্রিজবেনের গোলাপি টেস্টেও ওপেনিং করতে নামেন তিনি। এ যাত্রায় দুই ইনিংসে এই মারকুটে ব্যাটার করেন ৩৩ ও ২২ রান। অ্যাডিলেড টেস্টের আগে সুস্থ হওয়ায় ওপেনিংয়ে ফেরার সুযোগ থাকছে খাজার। তবে সেটা নির্ভর করছে নির্বাচক এবং ম্যানেজমেন্টের ওপর।
খাজা বলেন, ‘আমি একাদশে ফিরতে চাই। কিন্তু বাস্তবতা হলো আমি জানি না কী হবে। এটা আমার সিদ্ধান্ত নয়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি বুঝেছি—কোন বিষয়গুলো আমার নিয়ন্ত্রণে, আর কোনগুলো নয়। ফিটনেসের দিক থেকে আমি বর্তমানে খুব ভালো অনুভব করছি। আমি খেলার জন্য প্রস্তুত। এছাড়া আর আমার নিয়ন্ত্রণে নেই। তাই দেখা যাক কী হয়।’
সুস্থ হওয়ার জন্য গত সপ্তাহে প্রচুর পরিশ্রম করেছেন খাজা, ‘আমি এখন খেলার জন্য শতভাগ ফিট আছি। পার্থ টেস্টের আগেও আমি নিজেকে শতভাগই মনে করেছিলাম। কিছু বিষয় এমনই হয়। ফিট হওয়ার জন্য যা করা দরকার আমি ঠিক তাই করেছি। গত এক সপ্তাহ কঠোর পরিশ্রম করেছি। আসলে তখন শুধু রিহ্যাবই করতে হয়েছে। এটা আমার কাছে বিরক্তিকর মনে হয়। কারণ ইনজুরিতে পড়লে কাজটা আরও বেশি করতে হয়।’

পার্থ টেস্টেই চোট পান উসমান খাজা। এজন্য ব্রিজবেনের গ্যাবায় অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে নামতে পারেননি। তবে অ্যাশেজ সিরিজের তৃতীয় টেস্টের আগে শতভাগ ফিট এই ব্যাটার। এরপরও একাদশে জায়গা পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছেন তিনি। সব সিদ্ধান্ত ছেড়ে দিচ্ছেন নির্বাচকেদের ওপর।
পার্থ টেস্টে ফিল্ডিংয়ের শেষের দিকে মাঠের বাইরে ছিলেন খাজা। এজন্য ওপেনিংয়ে নামতে পারেননি। ব্যাট করতে নামেন ৪ নম্বরে। মাত্র ২ রান করে ফেরেন তিনি। তাঁর পরিবর্তে ওপেনিং করতে নেমে ১২৩ রানের ইনিংস খেলেন হেড।
ব্রিজবেনের গোলাপি টেস্টেও ওপেনিং করতে নামেন তিনি। এ যাত্রায় দুই ইনিংসে এই মারকুটে ব্যাটার করেন ৩৩ ও ২২ রান। অ্যাডিলেড টেস্টের আগে সুস্থ হওয়ায় ওপেনিংয়ে ফেরার সুযোগ থাকছে খাজার। তবে সেটা নির্ভর করছে নির্বাচক এবং ম্যানেজমেন্টের ওপর।
খাজা বলেন, ‘আমি একাদশে ফিরতে চাই। কিন্তু বাস্তবতা হলো আমি জানি না কী হবে। এটা আমার সিদ্ধান্ত নয়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি বুঝেছি—কোন বিষয়গুলো আমার নিয়ন্ত্রণে, আর কোনগুলো নয়। ফিটনেসের দিক থেকে আমি বর্তমানে খুব ভালো অনুভব করছি। আমি খেলার জন্য প্রস্তুত। এছাড়া আর আমার নিয়ন্ত্রণে নেই। তাই দেখা যাক কী হয়।’
সুস্থ হওয়ার জন্য গত সপ্তাহে প্রচুর পরিশ্রম করেছেন খাজা, ‘আমি এখন খেলার জন্য শতভাগ ফিট আছি। পার্থ টেস্টের আগেও আমি নিজেকে শতভাগই মনে করেছিলাম। কিছু বিষয় এমনই হয়। ফিট হওয়ার জন্য যা করা দরকার আমি ঠিক তাই করেছি। গত এক সপ্তাহ কঠোর পরিশ্রম করেছি। আসলে তখন শুধু রিহ্যাবই করতে হয়েছে। এটা আমার কাছে বিরক্তিকর মনে হয়। কারণ ইনজুরিতে পড়লে কাজটা আরও বেশি করতে হয়।’

অনেক পরিবর্তন হয়েছে মাঠটায়। অনেক সংস্কার হয়েছে। সেখানে শেফিল্ড শিল্ড জিতেছি। দারুণ এক মাঠ। অনুশীলনের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। খেলাটা সম্পর্কে খুদে ক্রিকেটারদের পুঙ্খানুপুঙ্খ ধারণা দিতে এখানে দারুণ সব কোচ আছে।
১৭ অক্টোবর ২০২২
নারী ফুটবল দলের কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ সামনে থাকলেই উঠে আসে সাবিনা খাতুনের প্রসঙ্গ। আদৌ কি জাতীয় দলে আর সুযোগ পাবেন তিনি। গত বছর সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর কোচের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণে আর জাতীয় দলে ডাক পাননি এই ফুটবলার। তবে তাঁকে অধিনায়ক করেই আজ ফুটসালের প্রাথমিক দল করেছে বাফুফে।
৭ ঘণ্টা আগে
বিয়ে করেছেন নারী ক্রিকেটার রুমানা আহমেদ। খুলনায় আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন ইনিংস শুরু করলেন বাংলাদেশ নারী দলের সাবেক অধিনায়ক। তাঁর স্বামীর নাম আল মামুন। মামুন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে মহাপরিচালক হিসেবে কর্মরত।
৯ ঘণ্টা আগে
যুব এশিয়া কাপে বাংলাদেশ টানা দুবারের চ্যাম্পিয়ন। গতকাল সংযুক্ত আরব আমরাতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ‘চ্যাম্পিয়নে’র মতোই খেলল বাংলাদেশ। আফগানদের হারাল ৩ উইকেটে।
৯ ঘণ্টা আগে