নিখাদ ক্রিকেটীয় পরিবারের মানুষ তিনি। বাবা-চাচা-ছেলে তিনজনই খেলেছেন কাউন্টি দলে। তবে জিম পার্কস ছিলেন ব্যতিক্রম। পার্কস পরিবারের ক্রিকেটারদের মধ্যে ইংল্যান্ড জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়ানোর সৌভাগ্য হয়েছে শুধু জিমেরই।
সেই জিম গতকাল না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। ইংল্যান্ডের জীবিত ক্রিকেটারদের মধ্যে এত দিন তিনিই ছিলেন বয়োজ্যেষ্ঠ।
আজ জিমের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে তাঁর ক্লাব সাসেক্স। ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বেশি সময় (২৩ বছর) এই ক্লাবেই খেলেছেন তিনি। বাংলাদেশের তারকা পেসার মোস্তাফিজুর রহমানও খেলেছেন এই সাসেক্সের হয়ে।
এক বিবৃতিতে সাসেক্স জানিয়েছে, ‘বার্ধক্যজনিত কারণে জিম কিছুদিন হলো অসুস্থ বোধ করছিলেন। তাঁকে গত সপ্তাহে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।’
১৯৫৪ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যানচেস্টার টেস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় জিমের। ইংল্যান্ডের হয়ে ১৯৬৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শেষ ম্যাচ খেলেন তিনি। ৪৬ টেস্টে করেছেন ১৯৬২ রান। আছে দুটি সেঞ্চুরি ও ৯টি ফিফটি। কিপার হিসেবে ক্যাচ নিয়েছেন ১০৩টি, স্টাম্পিং করেছেন ১১টি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের পর আরও ৮ বছর ঘরোয়া ক্রিকেট চালিয়ে গেছেন জিম। ক্যারিয়ারের শেষ ভাগে এসে খেলেছেন আরেক কাউন্টি দল সামারসেটের হয়ে।
খেলোয়াড়ি জীবনকে বিদায় বলার পর জিম কাজ করেছেন ক্রিকেট সংগঠক হিসেবে। দুই মেয়াদে সাসেক্সের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে