মুনীরুল ইসলাম

আত্মহত্যার প্রবণতা দিন দিন মারাত্মক আকার ধারণ করছে। সারা বিশ্বে প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজন করে আত্মহত্যা করে। সে হিসাবে প্রতিদিন দুই সহস্রাধিক এবং প্রতি বছর আট লাখ মানুষ আত্মহত্যা করে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। আত্মহত্যা প্রতিরোধের লক্ষ্যে এ গবেষণা জরিপ চালানো হয়। ২০১৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যারা আত্মহননের পথ বেছে নেয়, তাদের ৭৫ শতাংশই স্বল্পোন্নত ও মধ্যম আয়ের দেশের নাগরিক। অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জাপান, নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বেশ কয়েকটি দেশে এ প্রবণতা কম বলে গবেষণায় তুলে ধরা হয়েছে। আত্মহত্যার কারণ একেক দেশে একেক রকম এবং তা সেই দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার ওপর নির্ভরশীল। পৃথিবীতে বিভিন্ন বয়সের মানুষ আত্মহত্যা করে। তবে দেখা গেছে, যাদের বয়স ৭০ বছর কিংবা তার বেশি, তাদের আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি। আর ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী তরুণ-তরুণীদের আত্মহত্যার সংখ্যা বিশ্বে বেশি। আত্মহত্যা প্রতিরোধযোগ্য। এ জন্য লেখালেখি, সভা-সেমিনার ইত্যাদির মাধ্যমে জনসচেতনতা গড়ে তোলা প্রয়োজন। একজন মানুষ ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চললে আত্মহত্যার মতো মহাপাপ থেকে বেঁচে থাকতে পারে।
আত্মহত্যার পেছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। যেমন, সাংসারিক দ্বন্দ্ব-কলহে পড়ে অতিরিক্ত রেগে যাওয়া, নিজের কাঙ্ক্ষিত কোনো কিছু লাভ করতে গিয়ে নিরাশ বা বঞ্চিত হওয়া। লজ্জার ও মানহানিকর কোনো কিছু ঘটে যাওয়া বা অপ্রত্যাশিতভাবে প্রকাশ হওয়া, অভাব, দারিদ্র্যের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকার অসুখ-বিসুখে জর্জরিত হওয়া প্রভৃতি। আবার নারীদের মধ্যেই আত্মহত্যার হার বেশি।
ইসলামের দৃষ্টিতে আত্মহত্যা কবিরা গুনাহ। শিরকের পর সবচেয়ে বড় গুনাহ। সকল উলামায়ে কেরামের দৃষ্টিতেই আত্মহত্যা হারাম। কারণ, আল্লাহ তাআলা মানুষকে মরণশীল হিসেবেই সৃষ্টি করেছেন। সব শ্রেণির মানুষকেই একদিন মরতে হবে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘প্রতিটি প্রাণী মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করবে, তার পর আমার কাছেই তোমরা প্রত্যাবর্তন করবে।’ (সুরা আনকাবুত, আয়াত: ৫৭)
মানুষের এই শরীর-প্রাণ আল্লাহর পক্ষ থেকে মানুষের কাছে আমানতস্বরূপ। এই শরীর-প্রাণ নিয়ে মানুষের যেমন খুশি তেমন ব্যবহারের অধিকার নেই। একমাত্র আল্লাহই মানুষের জীবন-মৃত্যু দানকারী। আল্লাহ বলেন, ‘তিনিই জীবন দান করেন এবং মৃত্যু ঘটান, আর তাঁর কাছেই তোমাদের প্রত্যাবর্তন হবে।’ (সুরা ইউনুস, আয়াত: ৫৬)
সুতরাং বোঝা গেল, মানুষের মৃত্যু ঘটানোর কাজটি একমাত্র আল্লাহর। কেউ যদি নিজেই নিজের মৃত্যু ঘটায়, তবে সে অনধিকার চর্চাই করবে। আল্লাহ তা পছন্দ করেন না। ইসলামে তাই আত্মহত্যাকে মহাপাপ বলে গণ্য করা হয়েছে। এ কাজ থেকে বিরত থাকতে আল্লাহ তাআলা বিশেষভাবে নির্দেশ দিয়েছেন। এর পরিণাম ও যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির বর্ণনা দিয়ে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘আর তোমরা নিজেদের হত্যা করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের প্রতি দয়ালু। যে কেউ জুলুম করে অন্যায়ভাবে তা (আত্মহত্যা) করবে, অবশ্যই আমি তাকে অগ্নিদগ্ধ করব, আল্লাহর পক্ষে তা সহজসাধ্য।’ (সুরা নিসা, আয়াত: ২৯-৩০) এই আয়াতের এক তাফসির অনুযায়ী এখানে আত্মহত্যার কথাই বোঝানো হয়েছে। হাদিস গ্রন্থগুলোতে এই আয়াতের ব্যাখ্যায় আত্মহত্যার বেশ কয়েকটি হাদিস এসেছে। (ইবনে কাসির, সংশ্লিষ্ট আয়াতের তাফসির)
অপর আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘আর তোমরা নিজ হাতে নিজদের ধ্বংসে নিক্ষেপ করো না।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৯৫)
ধৈর্যহারা হয়ে মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। তবে ইসলামের শিক্ষা হলো, মানুষ বিপদে-আপদে ধৈর্যহারা হবে না। ইমানদার চরম বিপদেও আল্লাহর ওপর ভরসা করবে। কোনোভাবেই নিরাশায় হাবুডুবু খেয়ে এ মহাপাপের পথ বেছে নেবে না। আল্লাহ কোরআনে বলেছেন, ‘তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। আল্লাহ যাবতীয় অপরাধ মার্জনা করেন।’ (সুরা জুমার, আয়াত: ৫৩)
আত্মহত্যা সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সা.) কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে গেছেন। হজরত জুন্দুব বিন আবদুল্লাহ (রা.) রাসুলুল্লাহ (সা.) থেকে বর্ণনা করেন, একজন ব্যক্তি জখম হলে, সে (অধৈর্য হয়ে) আত্মহত্যা করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহ বলেন, ‘আমার বান্দা আমার নির্ধারিত সময়ের আগেই নিজের জীবনের ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আমি তার জন্য জান্নাত হারাম করে দিলাম।’ (বুখারি, হাদিস: ১২৭৫)
যে ব্যক্তি যেভাবে আত্মহত্যা করবে, পরকালে আল্লাহ তাকে সেভাবে শাস্তি দেবেন। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) রাসুলুল্লাহ (সা.) থেকে বর্ণনা করেন, ‘যে ব্যক্তি পাহাড় থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করবে, সে জাহান্নামে অনুরূপভাবে (পাহাড় থেকে লাফিয়ে পড়ে পড়ে) আত্মহত্যা করতে থাকবে। এটা হবে তার স্থায়ী বাসস্থান। যে ব্যক্তি বিষ পানে আত্মহত্যা করবে, বিষ তার হাতে থাকবে, জাহান্নামে সে সারাক্ষণ বিষ পান করে আত্মহত্যা করতে থাকবে। আর এটা হবে তার স্থায়ী বাসস্থান। আর যে ব্যক্তি লৌহাস্ত্র দিয়ে আত্মহত্যা করবে, সেই লৌহাস্ত্রই তার হাতে থাকবে। জাহান্নামে সে তা নিজ পেটে ঢোকাতে থাকবে, আর সেখানে সে চিরস্থায়ীভাবে থাকবে।’ (বুখারি, হাদিস: ৫৩৩৩, মুসলিম, হাদিস: ১২৭৬)
হজরত জাবের বিন সামুরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এমন এক ব্যক্তিকে নিয়ে আসা হলো, যে লোহার ফলা দিয়ে আত্মহত্যা করেছিল, ফলে তিনি তার জানাজার নামাজ আদায় করেননি।’ (মুসলিম, হাদিস: ১৬২৪) তবে ইসলামি আইনবিদেরা বলেন, আত্মহত্যাকে নিরুৎসাহিত করার জন্য মহানবী (সা.) এমনটি করেছেন। অর্থাৎ, সমাজের নেতৃত্বস্থানীয় ও ধর্মনেতারা জানাজায় অংশ না নিলেও সাধারণ মানুষ তার জানাজা ও কাফন-দাফন সম্পন্ন করবে।
উপর্যুক্ত আলোচনা থেকে অনুমান করা যায়, আত্মহত্যা করা কত বড় পাপ এবং আত্মহত্যাকারী কত জঘন্য পাপী। যার শাস্তি হলো জাহান্নাম। আত্মহত্যা ইহকাল-পরকাল উভয়টি ধ্বংস করে দেয়। আল্লাহ সবাইকে এই মহাপাপ থেকে বেঁচে থাকার তাওফিক দিন।
লেখক: সভাপতি, বাংলাদেশ ইসলামী লেখক ফোরাম

আত্মহত্যার প্রবণতা দিন দিন মারাত্মক আকার ধারণ করছে। সারা বিশ্বে প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজন করে আত্মহত্যা করে। সে হিসাবে প্রতিদিন দুই সহস্রাধিক এবং প্রতি বছর আট লাখ মানুষ আত্মহত্যা করে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। আত্মহত্যা প্রতিরোধের লক্ষ্যে এ গবেষণা জরিপ চালানো হয়। ২০১৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যারা আত্মহননের পথ বেছে নেয়, তাদের ৭৫ শতাংশই স্বল্পোন্নত ও মধ্যম আয়ের দেশের নাগরিক। অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জাপান, নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বেশ কয়েকটি দেশে এ প্রবণতা কম বলে গবেষণায় তুলে ধরা হয়েছে। আত্মহত্যার কারণ একেক দেশে একেক রকম এবং তা সেই দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার ওপর নির্ভরশীল। পৃথিবীতে বিভিন্ন বয়সের মানুষ আত্মহত্যা করে। তবে দেখা গেছে, যাদের বয়স ৭০ বছর কিংবা তার বেশি, তাদের আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি। আর ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী তরুণ-তরুণীদের আত্মহত্যার সংখ্যা বিশ্বে বেশি। আত্মহত্যা প্রতিরোধযোগ্য। এ জন্য লেখালেখি, সভা-সেমিনার ইত্যাদির মাধ্যমে জনসচেতনতা গড়ে তোলা প্রয়োজন। একজন মানুষ ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চললে আত্মহত্যার মতো মহাপাপ থেকে বেঁচে থাকতে পারে।
আত্মহত্যার পেছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। যেমন, সাংসারিক দ্বন্দ্ব-কলহে পড়ে অতিরিক্ত রেগে যাওয়া, নিজের কাঙ্ক্ষিত কোনো কিছু লাভ করতে গিয়ে নিরাশ বা বঞ্চিত হওয়া। লজ্জার ও মানহানিকর কোনো কিছু ঘটে যাওয়া বা অপ্রত্যাশিতভাবে প্রকাশ হওয়া, অভাব, দারিদ্র্যের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকার অসুখ-বিসুখে জর্জরিত হওয়া প্রভৃতি। আবার নারীদের মধ্যেই আত্মহত্যার হার বেশি।
ইসলামের দৃষ্টিতে আত্মহত্যা কবিরা গুনাহ। শিরকের পর সবচেয়ে বড় গুনাহ। সকল উলামায়ে কেরামের দৃষ্টিতেই আত্মহত্যা হারাম। কারণ, আল্লাহ তাআলা মানুষকে মরণশীল হিসেবেই সৃষ্টি করেছেন। সব শ্রেণির মানুষকেই একদিন মরতে হবে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘প্রতিটি প্রাণী মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করবে, তার পর আমার কাছেই তোমরা প্রত্যাবর্তন করবে।’ (সুরা আনকাবুত, আয়াত: ৫৭)
মানুষের এই শরীর-প্রাণ আল্লাহর পক্ষ থেকে মানুষের কাছে আমানতস্বরূপ। এই শরীর-প্রাণ নিয়ে মানুষের যেমন খুশি তেমন ব্যবহারের অধিকার নেই। একমাত্র আল্লাহই মানুষের জীবন-মৃত্যু দানকারী। আল্লাহ বলেন, ‘তিনিই জীবন দান করেন এবং মৃত্যু ঘটান, আর তাঁর কাছেই তোমাদের প্রত্যাবর্তন হবে।’ (সুরা ইউনুস, আয়াত: ৫৬)
সুতরাং বোঝা গেল, মানুষের মৃত্যু ঘটানোর কাজটি একমাত্র আল্লাহর। কেউ যদি নিজেই নিজের মৃত্যু ঘটায়, তবে সে অনধিকার চর্চাই করবে। আল্লাহ তা পছন্দ করেন না। ইসলামে তাই আত্মহত্যাকে মহাপাপ বলে গণ্য করা হয়েছে। এ কাজ থেকে বিরত থাকতে আল্লাহ তাআলা বিশেষভাবে নির্দেশ দিয়েছেন। এর পরিণাম ও যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির বর্ণনা দিয়ে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘আর তোমরা নিজেদের হত্যা করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের প্রতি দয়ালু। যে কেউ জুলুম করে অন্যায়ভাবে তা (আত্মহত্যা) করবে, অবশ্যই আমি তাকে অগ্নিদগ্ধ করব, আল্লাহর পক্ষে তা সহজসাধ্য।’ (সুরা নিসা, আয়াত: ২৯-৩০) এই আয়াতের এক তাফসির অনুযায়ী এখানে আত্মহত্যার কথাই বোঝানো হয়েছে। হাদিস গ্রন্থগুলোতে এই আয়াতের ব্যাখ্যায় আত্মহত্যার বেশ কয়েকটি হাদিস এসেছে। (ইবনে কাসির, সংশ্লিষ্ট আয়াতের তাফসির)
অপর আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘আর তোমরা নিজ হাতে নিজদের ধ্বংসে নিক্ষেপ করো না।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৯৫)
ধৈর্যহারা হয়ে মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। তবে ইসলামের শিক্ষা হলো, মানুষ বিপদে-আপদে ধৈর্যহারা হবে না। ইমানদার চরম বিপদেও আল্লাহর ওপর ভরসা করবে। কোনোভাবেই নিরাশায় হাবুডুবু খেয়ে এ মহাপাপের পথ বেছে নেবে না। আল্লাহ কোরআনে বলেছেন, ‘তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। আল্লাহ যাবতীয় অপরাধ মার্জনা করেন।’ (সুরা জুমার, আয়াত: ৫৩)
আত্মহত্যা সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সা.) কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে গেছেন। হজরত জুন্দুব বিন আবদুল্লাহ (রা.) রাসুলুল্লাহ (সা.) থেকে বর্ণনা করেন, একজন ব্যক্তি জখম হলে, সে (অধৈর্য হয়ে) আত্মহত্যা করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহ বলেন, ‘আমার বান্দা আমার নির্ধারিত সময়ের আগেই নিজের জীবনের ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আমি তার জন্য জান্নাত হারাম করে দিলাম।’ (বুখারি, হাদিস: ১২৭৫)
যে ব্যক্তি যেভাবে আত্মহত্যা করবে, পরকালে আল্লাহ তাকে সেভাবে শাস্তি দেবেন। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) রাসুলুল্লাহ (সা.) থেকে বর্ণনা করেন, ‘যে ব্যক্তি পাহাড় থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করবে, সে জাহান্নামে অনুরূপভাবে (পাহাড় থেকে লাফিয়ে পড়ে পড়ে) আত্মহত্যা করতে থাকবে। এটা হবে তার স্থায়ী বাসস্থান। যে ব্যক্তি বিষ পানে আত্মহত্যা করবে, বিষ তার হাতে থাকবে, জাহান্নামে সে সারাক্ষণ বিষ পান করে আত্মহত্যা করতে থাকবে। আর এটা হবে তার স্থায়ী বাসস্থান। আর যে ব্যক্তি লৌহাস্ত্র দিয়ে আত্মহত্যা করবে, সেই লৌহাস্ত্রই তার হাতে থাকবে। জাহান্নামে সে তা নিজ পেটে ঢোকাতে থাকবে, আর সেখানে সে চিরস্থায়ীভাবে থাকবে।’ (বুখারি, হাদিস: ৫৩৩৩, মুসলিম, হাদিস: ১২৭৬)
হজরত জাবের বিন সামুরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এমন এক ব্যক্তিকে নিয়ে আসা হলো, যে লোহার ফলা দিয়ে আত্মহত্যা করেছিল, ফলে তিনি তার জানাজার নামাজ আদায় করেননি।’ (মুসলিম, হাদিস: ১৬২৪) তবে ইসলামি আইনবিদেরা বলেন, আত্মহত্যাকে নিরুৎসাহিত করার জন্য মহানবী (সা.) এমনটি করেছেন। অর্থাৎ, সমাজের নেতৃত্বস্থানীয় ও ধর্মনেতারা জানাজায় অংশ না নিলেও সাধারণ মানুষ তার জানাজা ও কাফন-দাফন সম্পন্ন করবে।
উপর্যুক্ত আলোচনা থেকে অনুমান করা যায়, আত্মহত্যা করা কত বড় পাপ এবং আত্মহত্যাকারী কত জঘন্য পাপী। যার শাস্তি হলো জাহান্নাম। আত্মহত্যা ইহকাল-পরকাল উভয়টি ধ্বংস করে দেয়। আল্লাহ সবাইকে এই মহাপাপ থেকে বেঁচে থাকার তাওফিক দিন।
লেখক: সভাপতি, বাংলাদেশ ইসলামী লেখক ফোরাম
মুনীরুল ইসলাম

আত্মহত্যার প্রবণতা দিন দিন মারাত্মক আকার ধারণ করছে। সারা বিশ্বে প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজন করে আত্মহত্যা করে। সে হিসাবে প্রতিদিন দুই সহস্রাধিক এবং প্রতি বছর আট লাখ মানুষ আত্মহত্যা করে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। আত্মহত্যা প্রতিরোধের লক্ষ্যে এ গবেষণা জরিপ চালানো হয়। ২০১৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যারা আত্মহননের পথ বেছে নেয়, তাদের ৭৫ শতাংশই স্বল্পোন্নত ও মধ্যম আয়ের দেশের নাগরিক। অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জাপান, নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বেশ কয়েকটি দেশে এ প্রবণতা কম বলে গবেষণায় তুলে ধরা হয়েছে। আত্মহত্যার কারণ একেক দেশে একেক রকম এবং তা সেই দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার ওপর নির্ভরশীল। পৃথিবীতে বিভিন্ন বয়সের মানুষ আত্মহত্যা করে। তবে দেখা গেছে, যাদের বয়স ৭০ বছর কিংবা তার বেশি, তাদের আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি। আর ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী তরুণ-তরুণীদের আত্মহত্যার সংখ্যা বিশ্বে বেশি। আত্মহত্যা প্রতিরোধযোগ্য। এ জন্য লেখালেখি, সভা-সেমিনার ইত্যাদির মাধ্যমে জনসচেতনতা গড়ে তোলা প্রয়োজন। একজন মানুষ ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চললে আত্মহত্যার মতো মহাপাপ থেকে বেঁচে থাকতে পারে।
আত্মহত্যার পেছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। যেমন, সাংসারিক দ্বন্দ্ব-কলহে পড়ে অতিরিক্ত রেগে যাওয়া, নিজের কাঙ্ক্ষিত কোনো কিছু লাভ করতে গিয়ে নিরাশ বা বঞ্চিত হওয়া। লজ্জার ও মানহানিকর কোনো কিছু ঘটে যাওয়া বা অপ্রত্যাশিতভাবে প্রকাশ হওয়া, অভাব, দারিদ্র্যের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকার অসুখ-বিসুখে জর্জরিত হওয়া প্রভৃতি। আবার নারীদের মধ্যেই আত্মহত্যার হার বেশি।
ইসলামের দৃষ্টিতে আত্মহত্যা কবিরা গুনাহ। শিরকের পর সবচেয়ে বড় গুনাহ। সকল উলামায়ে কেরামের দৃষ্টিতেই আত্মহত্যা হারাম। কারণ, আল্লাহ তাআলা মানুষকে মরণশীল হিসেবেই সৃষ্টি করেছেন। সব শ্রেণির মানুষকেই একদিন মরতে হবে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘প্রতিটি প্রাণী মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করবে, তার পর আমার কাছেই তোমরা প্রত্যাবর্তন করবে।’ (সুরা আনকাবুত, আয়াত: ৫৭)
মানুষের এই শরীর-প্রাণ আল্লাহর পক্ষ থেকে মানুষের কাছে আমানতস্বরূপ। এই শরীর-প্রাণ নিয়ে মানুষের যেমন খুশি তেমন ব্যবহারের অধিকার নেই। একমাত্র আল্লাহই মানুষের জীবন-মৃত্যু দানকারী। আল্লাহ বলেন, ‘তিনিই জীবন দান করেন এবং মৃত্যু ঘটান, আর তাঁর কাছেই তোমাদের প্রত্যাবর্তন হবে।’ (সুরা ইউনুস, আয়াত: ৫৬)
সুতরাং বোঝা গেল, মানুষের মৃত্যু ঘটানোর কাজটি একমাত্র আল্লাহর। কেউ যদি নিজেই নিজের মৃত্যু ঘটায়, তবে সে অনধিকার চর্চাই করবে। আল্লাহ তা পছন্দ করেন না। ইসলামে তাই আত্মহত্যাকে মহাপাপ বলে গণ্য করা হয়েছে। এ কাজ থেকে বিরত থাকতে আল্লাহ তাআলা বিশেষভাবে নির্দেশ দিয়েছেন। এর পরিণাম ও যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির বর্ণনা দিয়ে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘আর তোমরা নিজেদের হত্যা করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের প্রতি দয়ালু। যে কেউ জুলুম করে অন্যায়ভাবে তা (আত্মহত্যা) করবে, অবশ্যই আমি তাকে অগ্নিদগ্ধ করব, আল্লাহর পক্ষে তা সহজসাধ্য।’ (সুরা নিসা, আয়াত: ২৯-৩০) এই আয়াতের এক তাফসির অনুযায়ী এখানে আত্মহত্যার কথাই বোঝানো হয়েছে। হাদিস গ্রন্থগুলোতে এই আয়াতের ব্যাখ্যায় আত্মহত্যার বেশ কয়েকটি হাদিস এসেছে। (ইবনে কাসির, সংশ্লিষ্ট আয়াতের তাফসির)
অপর আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘আর তোমরা নিজ হাতে নিজদের ধ্বংসে নিক্ষেপ করো না।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৯৫)
ধৈর্যহারা হয়ে মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। তবে ইসলামের শিক্ষা হলো, মানুষ বিপদে-আপদে ধৈর্যহারা হবে না। ইমানদার চরম বিপদেও আল্লাহর ওপর ভরসা করবে। কোনোভাবেই নিরাশায় হাবুডুবু খেয়ে এ মহাপাপের পথ বেছে নেবে না। আল্লাহ কোরআনে বলেছেন, ‘তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। আল্লাহ যাবতীয় অপরাধ মার্জনা করেন।’ (সুরা জুমার, আয়াত: ৫৩)
আত্মহত্যা সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সা.) কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে গেছেন। হজরত জুন্দুব বিন আবদুল্লাহ (রা.) রাসুলুল্লাহ (সা.) থেকে বর্ণনা করেন, একজন ব্যক্তি জখম হলে, সে (অধৈর্য হয়ে) আত্মহত্যা করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহ বলেন, ‘আমার বান্দা আমার নির্ধারিত সময়ের আগেই নিজের জীবনের ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আমি তার জন্য জান্নাত হারাম করে দিলাম।’ (বুখারি, হাদিস: ১২৭৫)
যে ব্যক্তি যেভাবে আত্মহত্যা করবে, পরকালে আল্লাহ তাকে সেভাবে শাস্তি দেবেন। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) রাসুলুল্লাহ (সা.) থেকে বর্ণনা করেন, ‘যে ব্যক্তি পাহাড় থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করবে, সে জাহান্নামে অনুরূপভাবে (পাহাড় থেকে লাফিয়ে পড়ে পড়ে) আত্মহত্যা করতে থাকবে। এটা হবে তার স্থায়ী বাসস্থান। যে ব্যক্তি বিষ পানে আত্মহত্যা করবে, বিষ তার হাতে থাকবে, জাহান্নামে সে সারাক্ষণ বিষ পান করে আত্মহত্যা করতে থাকবে। আর এটা হবে তার স্থায়ী বাসস্থান। আর যে ব্যক্তি লৌহাস্ত্র দিয়ে আত্মহত্যা করবে, সেই লৌহাস্ত্রই তার হাতে থাকবে। জাহান্নামে সে তা নিজ পেটে ঢোকাতে থাকবে, আর সেখানে সে চিরস্থায়ীভাবে থাকবে।’ (বুখারি, হাদিস: ৫৩৩৩, মুসলিম, হাদিস: ১২৭৬)
হজরত জাবের বিন সামুরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এমন এক ব্যক্তিকে নিয়ে আসা হলো, যে লোহার ফলা দিয়ে আত্মহত্যা করেছিল, ফলে তিনি তার জানাজার নামাজ আদায় করেননি।’ (মুসলিম, হাদিস: ১৬২৪) তবে ইসলামি আইনবিদেরা বলেন, আত্মহত্যাকে নিরুৎসাহিত করার জন্য মহানবী (সা.) এমনটি করেছেন। অর্থাৎ, সমাজের নেতৃত্বস্থানীয় ও ধর্মনেতারা জানাজায় অংশ না নিলেও সাধারণ মানুষ তার জানাজা ও কাফন-দাফন সম্পন্ন করবে।
উপর্যুক্ত আলোচনা থেকে অনুমান করা যায়, আত্মহত্যা করা কত বড় পাপ এবং আত্মহত্যাকারী কত জঘন্য পাপী। যার শাস্তি হলো জাহান্নাম। আত্মহত্যা ইহকাল-পরকাল উভয়টি ধ্বংস করে দেয়। আল্লাহ সবাইকে এই মহাপাপ থেকে বেঁচে থাকার তাওফিক দিন।
লেখক: সভাপতি, বাংলাদেশ ইসলামী লেখক ফোরাম

আত্মহত্যার প্রবণতা দিন দিন মারাত্মক আকার ধারণ করছে। সারা বিশ্বে প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজন করে আত্মহত্যা করে। সে হিসাবে প্রতিদিন দুই সহস্রাধিক এবং প্রতি বছর আট লাখ মানুষ আত্মহত্যা করে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। আত্মহত্যা প্রতিরোধের লক্ষ্যে এ গবেষণা জরিপ চালানো হয়। ২০১৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যারা আত্মহননের পথ বেছে নেয়, তাদের ৭৫ শতাংশই স্বল্পোন্নত ও মধ্যম আয়ের দেশের নাগরিক। অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জাপান, নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বেশ কয়েকটি দেশে এ প্রবণতা কম বলে গবেষণায় তুলে ধরা হয়েছে। আত্মহত্যার কারণ একেক দেশে একেক রকম এবং তা সেই দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার ওপর নির্ভরশীল। পৃথিবীতে বিভিন্ন বয়সের মানুষ আত্মহত্যা করে। তবে দেখা গেছে, যাদের বয়স ৭০ বছর কিংবা তার বেশি, তাদের আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি। আর ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী তরুণ-তরুণীদের আত্মহত্যার সংখ্যা বিশ্বে বেশি। আত্মহত্যা প্রতিরোধযোগ্য। এ জন্য লেখালেখি, সভা-সেমিনার ইত্যাদির মাধ্যমে জনসচেতনতা গড়ে তোলা প্রয়োজন। একজন মানুষ ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চললে আত্মহত্যার মতো মহাপাপ থেকে বেঁচে থাকতে পারে।
আত্মহত্যার পেছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। যেমন, সাংসারিক দ্বন্দ্ব-কলহে পড়ে অতিরিক্ত রেগে যাওয়া, নিজের কাঙ্ক্ষিত কোনো কিছু লাভ করতে গিয়ে নিরাশ বা বঞ্চিত হওয়া। লজ্জার ও মানহানিকর কোনো কিছু ঘটে যাওয়া বা অপ্রত্যাশিতভাবে প্রকাশ হওয়া, অভাব, দারিদ্র্যের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকার অসুখ-বিসুখে জর্জরিত হওয়া প্রভৃতি। আবার নারীদের মধ্যেই আত্মহত্যার হার বেশি।
ইসলামের দৃষ্টিতে আত্মহত্যা কবিরা গুনাহ। শিরকের পর সবচেয়ে বড় গুনাহ। সকল উলামায়ে কেরামের দৃষ্টিতেই আত্মহত্যা হারাম। কারণ, আল্লাহ তাআলা মানুষকে মরণশীল হিসেবেই সৃষ্টি করেছেন। সব শ্রেণির মানুষকেই একদিন মরতে হবে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘প্রতিটি প্রাণী মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করবে, তার পর আমার কাছেই তোমরা প্রত্যাবর্তন করবে।’ (সুরা আনকাবুত, আয়াত: ৫৭)
মানুষের এই শরীর-প্রাণ আল্লাহর পক্ষ থেকে মানুষের কাছে আমানতস্বরূপ। এই শরীর-প্রাণ নিয়ে মানুষের যেমন খুশি তেমন ব্যবহারের অধিকার নেই। একমাত্র আল্লাহই মানুষের জীবন-মৃত্যু দানকারী। আল্লাহ বলেন, ‘তিনিই জীবন দান করেন এবং মৃত্যু ঘটান, আর তাঁর কাছেই তোমাদের প্রত্যাবর্তন হবে।’ (সুরা ইউনুস, আয়াত: ৫৬)
সুতরাং বোঝা গেল, মানুষের মৃত্যু ঘটানোর কাজটি একমাত্র আল্লাহর। কেউ যদি নিজেই নিজের মৃত্যু ঘটায়, তবে সে অনধিকার চর্চাই করবে। আল্লাহ তা পছন্দ করেন না। ইসলামে তাই আত্মহত্যাকে মহাপাপ বলে গণ্য করা হয়েছে। এ কাজ থেকে বিরত থাকতে আল্লাহ তাআলা বিশেষভাবে নির্দেশ দিয়েছেন। এর পরিণাম ও যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির বর্ণনা দিয়ে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘আর তোমরা নিজেদের হত্যা করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের প্রতি দয়ালু। যে কেউ জুলুম করে অন্যায়ভাবে তা (আত্মহত্যা) করবে, অবশ্যই আমি তাকে অগ্নিদগ্ধ করব, আল্লাহর পক্ষে তা সহজসাধ্য।’ (সুরা নিসা, আয়াত: ২৯-৩০) এই আয়াতের এক তাফসির অনুযায়ী এখানে আত্মহত্যার কথাই বোঝানো হয়েছে। হাদিস গ্রন্থগুলোতে এই আয়াতের ব্যাখ্যায় আত্মহত্যার বেশ কয়েকটি হাদিস এসেছে। (ইবনে কাসির, সংশ্লিষ্ট আয়াতের তাফসির)
অপর আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘আর তোমরা নিজ হাতে নিজদের ধ্বংসে নিক্ষেপ করো না।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৯৫)
ধৈর্যহারা হয়ে মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। তবে ইসলামের শিক্ষা হলো, মানুষ বিপদে-আপদে ধৈর্যহারা হবে না। ইমানদার চরম বিপদেও আল্লাহর ওপর ভরসা করবে। কোনোভাবেই নিরাশায় হাবুডুবু খেয়ে এ মহাপাপের পথ বেছে নেবে না। আল্লাহ কোরআনে বলেছেন, ‘তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। আল্লাহ যাবতীয় অপরাধ মার্জনা করেন।’ (সুরা জুমার, আয়াত: ৫৩)
আত্মহত্যা সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সা.) কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে গেছেন। হজরত জুন্দুব বিন আবদুল্লাহ (রা.) রাসুলুল্লাহ (সা.) থেকে বর্ণনা করেন, একজন ব্যক্তি জখম হলে, সে (অধৈর্য হয়ে) আত্মহত্যা করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহ বলেন, ‘আমার বান্দা আমার নির্ধারিত সময়ের আগেই নিজের জীবনের ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আমি তার জন্য জান্নাত হারাম করে দিলাম।’ (বুখারি, হাদিস: ১২৭৫)
যে ব্যক্তি যেভাবে আত্মহত্যা করবে, পরকালে আল্লাহ তাকে সেভাবে শাস্তি দেবেন। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) রাসুলুল্লাহ (সা.) থেকে বর্ণনা করেন, ‘যে ব্যক্তি পাহাড় থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করবে, সে জাহান্নামে অনুরূপভাবে (পাহাড় থেকে লাফিয়ে পড়ে পড়ে) আত্মহত্যা করতে থাকবে। এটা হবে তার স্থায়ী বাসস্থান। যে ব্যক্তি বিষ পানে আত্মহত্যা করবে, বিষ তার হাতে থাকবে, জাহান্নামে সে সারাক্ষণ বিষ পান করে আত্মহত্যা করতে থাকবে। আর এটা হবে তার স্থায়ী বাসস্থান। আর যে ব্যক্তি লৌহাস্ত্র দিয়ে আত্মহত্যা করবে, সেই লৌহাস্ত্রই তার হাতে থাকবে। জাহান্নামে সে তা নিজ পেটে ঢোকাতে থাকবে, আর সেখানে সে চিরস্থায়ীভাবে থাকবে।’ (বুখারি, হাদিস: ৫৩৩৩, মুসলিম, হাদিস: ১২৭৬)
হজরত জাবের বিন সামুরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এমন এক ব্যক্তিকে নিয়ে আসা হলো, যে লোহার ফলা দিয়ে আত্মহত্যা করেছিল, ফলে তিনি তার জানাজার নামাজ আদায় করেননি।’ (মুসলিম, হাদিস: ১৬২৪) তবে ইসলামি আইনবিদেরা বলেন, আত্মহত্যাকে নিরুৎসাহিত করার জন্য মহানবী (সা.) এমনটি করেছেন। অর্থাৎ, সমাজের নেতৃত্বস্থানীয় ও ধর্মনেতারা জানাজায় অংশ না নিলেও সাধারণ মানুষ তার জানাজা ও কাফন-দাফন সম্পন্ন করবে।
উপর্যুক্ত আলোচনা থেকে অনুমান করা যায়, আত্মহত্যা করা কত বড় পাপ এবং আত্মহত্যাকারী কত জঘন্য পাপী। যার শাস্তি হলো জাহান্নাম। আত্মহত্যা ইহকাল-পরকাল উভয়টি ধ্বংস করে দেয়। আল্লাহ সবাইকে এই মহাপাপ থেকে বেঁচে থাকার তাওফিক দিন।
লেখক: সভাপতি, বাংলাদেশ ইসলামী লেখক ফোরাম

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৬ ঘণ্টা আগে
অনেক সময় মসজিদে জামাত শুরু হওয়ার পর প্রস্রাবের বেগ বা চাপ অনুভূত হয়। এ অবস্থায় নামাজ আদায় বা জামাতে শরিক হওয়ার বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে...
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বসছে আজ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে ১৪৪৭ হিজরি সনের রজব মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৮ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০২ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৫ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৮ মিনিট | ০৩: ৪১ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৭ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৮ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০২ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৫ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৮ মিনিট | ০৩: ৪১ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৭ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

আত্মহত্যার প্রবণতা দিন দিন মারাত্মক আকার ধারণ করছে। সারা বিশ্বে প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজন করে আত্মহত্যা করে। সে হিসাবে প্রতিদিন দুই সহস্রাধিক এবং প্রতি বছর আট লাখ মানুষ আত্মহত্যা করে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। আত্মহত্যা প্রতিরোধের লক্ষ্যে...
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২
অনেক সময় মসজিদে জামাত শুরু হওয়ার পর প্রস্রাবের বেগ বা চাপ অনুভূত হয়। এ অবস্থায় নামাজ আদায় বা জামাতে শরিক হওয়ার বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে...
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বসছে আজ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে ১৪৪৭ হিজরি সনের রজব মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

অনেক সময় মসজিদে জামাত শুরু হওয়ার পর প্রস্রাবের বেগ বা চাপ অনুভূত হয়। এ অবস্থায় নামাজ আদায় বা জামাতে শরিক হওয়ার বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে—
চাপের পরিমাণ ও বিধান: যদি প্রস্রাবের চাপ খুব সামান্য হয় এবং তাতে নামাজের মনোযোগ বা একাগ্রতা (খুশুখুজু) বিঘ্নিত না হয়, তবে ওই অবস্থায় নামাজ আদায় দোষণীয় নয়। কিন্তু চাপের পরিমাণ যদি এমন হয় যে মনোযোগসহকারে নামাজ আদায় কঠিন হয়ে পড়ে, তবে জামাত ছেড়ে দিয়ে আগে হাজত বা জরুরত সেরে নেওয়া আবশ্যক। কারণ, প্রস্রাবের তীব্র চাপ নিয়ে নামাজ আদায় মাকরুহ।
হাদিসের নির্দেশনা: প্রস্রাবের বেগ নিয়ে নামাজ আদায় করার বিষয়ে কঠোর সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ ও পরকালের বিশ্বাসী ব্যক্তির জন্য প্রস্রাবের চাপ থেকে স্বস্তি লাভ করা পর্যন্ত নামাজ আদায় বৈধ নয়।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৯১)। অন্য এক হাদিসে নবীজি (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘নামাজের জামাত শুরু হওয়ার পর তোমাদের কারও শৌচাগারে যাওয়ার প্রয়োজন দেখা দিলে সে যেন আগে তা সেরে নেয়।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৮৮)
নামাজের মূল প্রাণ হলো আল্লাহর সামনে বিনয় ও একাগ্রতার সঙ্গে দাঁড়ানো। শারীরিক অস্বস্তি নিয়ে নামাজ আদায় করলে একাগ্রতা বজায় থাকে না। তাই আগে প্রয়োজন সেরে, নতুনভাবে অজু করে নামাজ আদায় করাই উত্তম; এতে জামাত ছুটে গেলেও পরে একা বা অন্য জামাতে আদায় করা যাবে।

অনেক সময় মসজিদে জামাত শুরু হওয়ার পর প্রস্রাবের বেগ বা চাপ অনুভূত হয়। এ অবস্থায় নামাজ আদায় বা জামাতে শরিক হওয়ার বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে—
চাপের পরিমাণ ও বিধান: যদি প্রস্রাবের চাপ খুব সামান্য হয় এবং তাতে নামাজের মনোযোগ বা একাগ্রতা (খুশুখুজু) বিঘ্নিত না হয়, তবে ওই অবস্থায় নামাজ আদায় দোষণীয় নয়। কিন্তু চাপের পরিমাণ যদি এমন হয় যে মনোযোগসহকারে নামাজ আদায় কঠিন হয়ে পড়ে, তবে জামাত ছেড়ে দিয়ে আগে হাজত বা জরুরত সেরে নেওয়া আবশ্যক। কারণ, প্রস্রাবের তীব্র চাপ নিয়ে নামাজ আদায় মাকরুহ।
হাদিসের নির্দেশনা: প্রস্রাবের বেগ নিয়ে নামাজ আদায় করার বিষয়ে কঠোর সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ ও পরকালের বিশ্বাসী ব্যক্তির জন্য প্রস্রাবের চাপ থেকে স্বস্তি লাভ করা পর্যন্ত নামাজ আদায় বৈধ নয়।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৯১)। অন্য এক হাদিসে নবীজি (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘নামাজের জামাত শুরু হওয়ার পর তোমাদের কারও শৌচাগারে যাওয়ার প্রয়োজন দেখা দিলে সে যেন আগে তা সেরে নেয়।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৮৮)
নামাজের মূল প্রাণ হলো আল্লাহর সামনে বিনয় ও একাগ্রতার সঙ্গে দাঁড়ানো। শারীরিক অস্বস্তি নিয়ে নামাজ আদায় করলে একাগ্রতা বজায় থাকে না। তাই আগে প্রয়োজন সেরে, নতুনভাবে অজু করে নামাজ আদায় করাই উত্তম; এতে জামাত ছুটে গেলেও পরে একা বা অন্য জামাতে আদায় করা যাবে।

আত্মহত্যার প্রবণতা দিন দিন মারাত্মক আকার ধারণ করছে। সারা বিশ্বে প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজন করে আত্মহত্যা করে। সে হিসাবে প্রতিদিন দুই সহস্রাধিক এবং প্রতি বছর আট লাখ মানুষ আত্মহত্যা করে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। আত্মহত্যা প্রতিরোধের লক্ষ্যে...
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৬ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বসছে আজ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে ১৪৪৭ হিজরি সনের রজব মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৭ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০১ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৫ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৮ মিনিট | ০৩: ৪০ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪১ মিনিট | ০৫: ১৬ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৮ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৭ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০১ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৫ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৮ মিনিট | ০৩: ৪০ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪১ মিনিট | ০৫: ১৬ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৮ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

আত্মহত্যার প্রবণতা দিন দিন মারাত্মক আকার ধারণ করছে। সারা বিশ্বে প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজন করে আত্মহত্যা করে। সে হিসাবে প্রতিদিন দুই সহস্রাধিক এবং প্রতি বছর আট লাখ মানুষ আত্মহত্যা করে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। আত্মহত্যা প্রতিরোধের লক্ষ্যে...
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৬ ঘণ্টা আগে
অনেক সময় মসজিদে জামাত শুরু হওয়ার পর প্রস্রাবের বেগ বা চাপ অনুভূত হয়। এ অবস্থায় নামাজ আদায় বা জামাতে শরিক হওয়ার বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে...
১ দিন আগে
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বসছে আজ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে ১৪৪৭ হিজরি সনের রজব মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বসছে আজ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে ১৪৪৭ হিজরি সনের রজব মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করবেন ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
বাংলাদেশের আকাশে কোথাও রজব মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা ০২-৪১০৫৩২৯৪, ০২-২২৬৬৪০৫১০ ও ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ টেলিফোন নম্বরে অথবা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বসছে আজ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে ১৪৪৭ হিজরি সনের রজব মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করবেন ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
বাংলাদেশের আকাশে কোথাও রজব মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা ০২-৪১০৫৩২৯৪, ০২-২২৬৬৪০৫১০ ও ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ টেলিফোন নম্বরে অথবা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

আত্মহত্যার প্রবণতা দিন দিন মারাত্মক আকার ধারণ করছে। সারা বিশ্বে প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজন করে আত্মহত্যা করে। সে হিসাবে প্রতিদিন দুই সহস্রাধিক এবং প্রতি বছর আট লাখ মানুষ আত্মহত্যা করে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। আত্মহত্যা প্রতিরোধের লক্ষ্যে...
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৬ ঘণ্টা আগে
অনেক সময় মসজিদে জামাত শুরু হওয়ার পর প্রস্রাবের বেগ বা চাপ অনুভূত হয়। এ অবস্থায় নামাজ আদায় বা জামাতে শরিক হওয়ার বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে...
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে