প্রযুক্তি ডেস্ক

বড়দিন হলো স্ক্যামের মৌসুম! এই সময়টাতে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা। এ সময় ডিজিটাল স্ক্যামের পরিমাণ ব্যাপকভাবে বাড়ে। এ কারণে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখা নিশ্চিত করাটা যে কোনো সময়ের চেয়ে এই সময়টাতে বেশি দরকারি।
সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলেন, স্ক্যামার এবং হ্যাকারেরা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার জন্য ব্যবহারকারীর কেনাকাটার অভ্যাস, বড়দিনের মতো উৎসবের আমেজ এবং নতুন প্রযুক্তির সুযোগ নিয়ে থাকে। সারা বিশ্বে ফেসবুকের কোটি কোটি ব্যবহারকারী রয়েছে। ফলে সামাজিক মাধ্যমটি স্ক্যামারদের জন্য একটি আদর্শ প্ল্যাটফর্ম।
দক্ষিণ আফ্রিকার সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান সাইবার স্মার্টের সিইও জেমি আহকটার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য সানকে বলেন, ‘এই বড়দিনে ফেসবুক ব্যবহারে নিরাপদ থাকার জন্য ব্যবহারকারীদের প্রতি প্রথম উপদেশ হচ্ছে—অন্যান্য কোম্পানির যেসব অ্যাপ বা প্ল্যাটফর্মে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে লগইন করা হয় তার বৈধতা যাচাই করা। যদিও এই অ্যাপগুলোর বেশির ভাগই বৈধ। ব্যবহারকারীদের বেশির ভাগই মূলত কুইজ বা গেম অ্যাপ ফেসবুকের মাধ্যমে লগইন করে ব্যবহার করেন।’
জেমি আহকটার আরও বলেন, ‘সমস্যা হলো, এই অ্যাপগুলো সাইবার অপরাধীরা অ্যাকাউন্ট হ্যাক করতে বা ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করতে ব্যবহার করতে পারে ৷ তবে সুসংবাদ হলো, অ্যাপগুলো থেকে লগইন ডেটা মুছে দেওয়া খুব সহজ। এটি করতে অ্যাকাউন্টের প্রাইভেসি সেটিংসে গিয়ে ফেসবুকের বাইরের অ্যাপের হিস্ট্রি মুছে ফেলা যায়। এ কাজ করতে কয়েক মিনিটের বেশি সময় লাগে না। প্রতি ছয় মাসে অন্তত একবার অফ-ফেসবুক হিস্ট্রি মুছে ফেললে ফেসবুক অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা বজায় থাকবে।’
অনেক হ্যাকার এবং স্ক্যামার ব্যবহারকারীর প্রিয়জনের ছদ্মবেশ ধরে অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার কিংবা তথ্য চুরির চেষ্টা করবে। ফেসবুকের মতো একটি প্ল্যাটফর্মে অ্যাকাউন্ট হ্যাক না করেও ব্যবহারকারীর নগদ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার একটি সহজ উপায়। যেমন: উপহার বা সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন, চিকিৎসার জন্য সাহায্য চাওয়া ইত্যাদি।
প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট পিক্সেল প্রাইভেসির ‘কনজিউমার প্রাইভেসি চ্যাম্পিয়ন’ ক্রিস হাউক বলেন, ‘অনুদান, ঋণ এবং অন্যান্য আর্থিক সমস্যার জন্য বন্ধু বা পরিবারের কাছ থেকে আসা বার্তা ভালো করে খতিয়ে দেখুন।’
ক্রিস আরও বলেন, ‘বিভিন্ন ওয়েবসাইটের পেজে আসা বিজ্ঞাপনগুলোতে ক্লিক করা উচিত নয়। এটি ব্যবহারকারীর টাকা এবং ক্রেডিট কার্ডের তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার জন্য স্ক্যামারদের মধ্যে জনপ্রিয় একটি উপায়। সুরক্ষিত থাকার সর্বোত্তম উপায়গুলো হলো—একটি জটিল পাসওয়ার্ড দিয়ে অ্যাকাউন্ট নিরাপদ করা; ভিন্ন ভিন্ন ওয়েবসাইটে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার না করা এবং কখনোই সংক্ষিপ্ত বা সহজ পাসওয়ার্ড বেছে না নেওয়া।’
সাইবার নিরাপত্তা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান নো–বিফোরের সাইবার-বিশেষজ্ঞ এরিখ ক্রন বলেন, ‘বড়দিনের সময় নিজেকে অনলাইনে নিরাপদ রাখার কিছু সেরা উপায় প্রয়োগের জন্য বিশেষ প্রযুক্তি জ্ঞানের প্রয়োজন নেই। যেসব ব্যবহারকারী একই পাসওয়ার্ড ভিন্ন ভিন্ন ওয়েবসাইটে ব্যবহার করেন তাঁরাই সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে থাকেন। কারণ সাইবার অপরাধীরা জানে, তারা যদি একটি পাসওয়ার্ড পায় তবে সেটি অন্য প্ল্যাটফর্মেও কাজ করার সম্ভাবনা রয়েছে।’
সাইবার-বিশেষজ্ঞ স্যাম কারি বলেন, ‘ব্যবহারকারীদের উচিত শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা এবং “টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন” সুবিধা চালু করা। এ ছাড়া, নির্দিষ্ট সময় পরপর পাসওয়ার্ড বদলে ফেলা একটি ভালো চর্চা। এর ফলে অ্যাকাউন্ট আরও সুরক্ষিত থাকবে।’

বড়দিন হলো স্ক্যামের মৌসুম! এই সময়টাতে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা। এ সময় ডিজিটাল স্ক্যামের পরিমাণ ব্যাপকভাবে বাড়ে। এ কারণে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখা নিশ্চিত করাটা যে কোনো সময়ের চেয়ে এই সময়টাতে বেশি দরকারি।
সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলেন, স্ক্যামার এবং হ্যাকারেরা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার জন্য ব্যবহারকারীর কেনাকাটার অভ্যাস, বড়দিনের মতো উৎসবের আমেজ এবং নতুন প্রযুক্তির সুযোগ নিয়ে থাকে। সারা বিশ্বে ফেসবুকের কোটি কোটি ব্যবহারকারী রয়েছে। ফলে সামাজিক মাধ্যমটি স্ক্যামারদের জন্য একটি আদর্শ প্ল্যাটফর্ম।
দক্ষিণ আফ্রিকার সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান সাইবার স্মার্টের সিইও জেমি আহকটার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য সানকে বলেন, ‘এই বড়দিনে ফেসবুক ব্যবহারে নিরাপদ থাকার জন্য ব্যবহারকারীদের প্রতি প্রথম উপদেশ হচ্ছে—অন্যান্য কোম্পানির যেসব অ্যাপ বা প্ল্যাটফর্মে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে লগইন করা হয় তার বৈধতা যাচাই করা। যদিও এই অ্যাপগুলোর বেশির ভাগই বৈধ। ব্যবহারকারীদের বেশির ভাগই মূলত কুইজ বা গেম অ্যাপ ফেসবুকের মাধ্যমে লগইন করে ব্যবহার করেন।’
জেমি আহকটার আরও বলেন, ‘সমস্যা হলো, এই অ্যাপগুলো সাইবার অপরাধীরা অ্যাকাউন্ট হ্যাক করতে বা ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করতে ব্যবহার করতে পারে ৷ তবে সুসংবাদ হলো, অ্যাপগুলো থেকে লগইন ডেটা মুছে দেওয়া খুব সহজ। এটি করতে অ্যাকাউন্টের প্রাইভেসি সেটিংসে গিয়ে ফেসবুকের বাইরের অ্যাপের হিস্ট্রি মুছে ফেলা যায়। এ কাজ করতে কয়েক মিনিটের বেশি সময় লাগে না। প্রতি ছয় মাসে অন্তত একবার অফ-ফেসবুক হিস্ট্রি মুছে ফেললে ফেসবুক অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা বজায় থাকবে।’
অনেক হ্যাকার এবং স্ক্যামার ব্যবহারকারীর প্রিয়জনের ছদ্মবেশ ধরে অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার কিংবা তথ্য চুরির চেষ্টা করবে। ফেসবুকের মতো একটি প্ল্যাটফর্মে অ্যাকাউন্ট হ্যাক না করেও ব্যবহারকারীর নগদ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার একটি সহজ উপায়। যেমন: উপহার বা সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন, চিকিৎসার জন্য সাহায্য চাওয়া ইত্যাদি।
প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট পিক্সেল প্রাইভেসির ‘কনজিউমার প্রাইভেসি চ্যাম্পিয়ন’ ক্রিস হাউক বলেন, ‘অনুদান, ঋণ এবং অন্যান্য আর্থিক সমস্যার জন্য বন্ধু বা পরিবারের কাছ থেকে আসা বার্তা ভালো করে খতিয়ে দেখুন।’
ক্রিস আরও বলেন, ‘বিভিন্ন ওয়েবসাইটের পেজে আসা বিজ্ঞাপনগুলোতে ক্লিক করা উচিত নয়। এটি ব্যবহারকারীর টাকা এবং ক্রেডিট কার্ডের তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার জন্য স্ক্যামারদের মধ্যে জনপ্রিয় একটি উপায়। সুরক্ষিত থাকার সর্বোত্তম উপায়গুলো হলো—একটি জটিল পাসওয়ার্ড দিয়ে অ্যাকাউন্ট নিরাপদ করা; ভিন্ন ভিন্ন ওয়েবসাইটে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার না করা এবং কখনোই সংক্ষিপ্ত বা সহজ পাসওয়ার্ড বেছে না নেওয়া।’
সাইবার নিরাপত্তা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান নো–বিফোরের সাইবার-বিশেষজ্ঞ এরিখ ক্রন বলেন, ‘বড়দিনের সময় নিজেকে অনলাইনে নিরাপদ রাখার কিছু সেরা উপায় প্রয়োগের জন্য বিশেষ প্রযুক্তি জ্ঞানের প্রয়োজন নেই। যেসব ব্যবহারকারী একই পাসওয়ার্ড ভিন্ন ভিন্ন ওয়েবসাইটে ব্যবহার করেন তাঁরাই সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে থাকেন। কারণ সাইবার অপরাধীরা জানে, তারা যদি একটি পাসওয়ার্ড পায় তবে সেটি অন্য প্ল্যাটফর্মেও কাজ করার সম্ভাবনা রয়েছে।’
সাইবার-বিশেষজ্ঞ স্যাম কারি বলেন, ‘ব্যবহারকারীদের উচিত শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা এবং “টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন” সুবিধা চালু করা। এ ছাড়া, নির্দিষ্ট সময় পরপর পাসওয়ার্ড বদলে ফেলা একটি ভালো চর্চা। এর ফলে অ্যাকাউন্ট আরও সুরক্ষিত থাকবে।’
প্রযুক্তি ডেস্ক

বড়দিন হলো স্ক্যামের মৌসুম! এই সময়টাতে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা। এ সময় ডিজিটাল স্ক্যামের পরিমাণ ব্যাপকভাবে বাড়ে। এ কারণে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখা নিশ্চিত করাটা যে কোনো সময়ের চেয়ে এই সময়টাতে বেশি দরকারি।
সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলেন, স্ক্যামার এবং হ্যাকারেরা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার জন্য ব্যবহারকারীর কেনাকাটার অভ্যাস, বড়দিনের মতো উৎসবের আমেজ এবং নতুন প্রযুক্তির সুযোগ নিয়ে থাকে। সারা বিশ্বে ফেসবুকের কোটি কোটি ব্যবহারকারী রয়েছে। ফলে সামাজিক মাধ্যমটি স্ক্যামারদের জন্য একটি আদর্শ প্ল্যাটফর্ম।
দক্ষিণ আফ্রিকার সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান সাইবার স্মার্টের সিইও জেমি আহকটার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য সানকে বলেন, ‘এই বড়দিনে ফেসবুক ব্যবহারে নিরাপদ থাকার জন্য ব্যবহারকারীদের প্রতি প্রথম উপদেশ হচ্ছে—অন্যান্য কোম্পানির যেসব অ্যাপ বা প্ল্যাটফর্মে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে লগইন করা হয় তার বৈধতা যাচাই করা। যদিও এই অ্যাপগুলোর বেশির ভাগই বৈধ। ব্যবহারকারীদের বেশির ভাগই মূলত কুইজ বা গেম অ্যাপ ফেসবুকের মাধ্যমে লগইন করে ব্যবহার করেন।’
জেমি আহকটার আরও বলেন, ‘সমস্যা হলো, এই অ্যাপগুলো সাইবার অপরাধীরা অ্যাকাউন্ট হ্যাক করতে বা ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করতে ব্যবহার করতে পারে ৷ তবে সুসংবাদ হলো, অ্যাপগুলো থেকে লগইন ডেটা মুছে দেওয়া খুব সহজ। এটি করতে অ্যাকাউন্টের প্রাইভেসি সেটিংসে গিয়ে ফেসবুকের বাইরের অ্যাপের হিস্ট্রি মুছে ফেলা যায়। এ কাজ করতে কয়েক মিনিটের বেশি সময় লাগে না। প্রতি ছয় মাসে অন্তত একবার অফ-ফেসবুক হিস্ট্রি মুছে ফেললে ফেসবুক অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা বজায় থাকবে।’
অনেক হ্যাকার এবং স্ক্যামার ব্যবহারকারীর প্রিয়জনের ছদ্মবেশ ধরে অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার কিংবা তথ্য চুরির চেষ্টা করবে। ফেসবুকের মতো একটি প্ল্যাটফর্মে অ্যাকাউন্ট হ্যাক না করেও ব্যবহারকারীর নগদ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার একটি সহজ উপায়। যেমন: উপহার বা সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন, চিকিৎসার জন্য সাহায্য চাওয়া ইত্যাদি।
প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট পিক্সেল প্রাইভেসির ‘কনজিউমার প্রাইভেসি চ্যাম্পিয়ন’ ক্রিস হাউক বলেন, ‘অনুদান, ঋণ এবং অন্যান্য আর্থিক সমস্যার জন্য বন্ধু বা পরিবারের কাছ থেকে আসা বার্তা ভালো করে খতিয়ে দেখুন।’
ক্রিস আরও বলেন, ‘বিভিন্ন ওয়েবসাইটের পেজে আসা বিজ্ঞাপনগুলোতে ক্লিক করা উচিত নয়। এটি ব্যবহারকারীর টাকা এবং ক্রেডিট কার্ডের তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার জন্য স্ক্যামারদের মধ্যে জনপ্রিয় একটি উপায়। সুরক্ষিত থাকার সর্বোত্তম উপায়গুলো হলো—একটি জটিল পাসওয়ার্ড দিয়ে অ্যাকাউন্ট নিরাপদ করা; ভিন্ন ভিন্ন ওয়েবসাইটে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার না করা এবং কখনোই সংক্ষিপ্ত বা সহজ পাসওয়ার্ড বেছে না নেওয়া।’
সাইবার নিরাপত্তা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান নো–বিফোরের সাইবার-বিশেষজ্ঞ এরিখ ক্রন বলেন, ‘বড়দিনের সময় নিজেকে অনলাইনে নিরাপদ রাখার কিছু সেরা উপায় প্রয়োগের জন্য বিশেষ প্রযুক্তি জ্ঞানের প্রয়োজন নেই। যেসব ব্যবহারকারী একই পাসওয়ার্ড ভিন্ন ভিন্ন ওয়েবসাইটে ব্যবহার করেন তাঁরাই সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে থাকেন। কারণ সাইবার অপরাধীরা জানে, তারা যদি একটি পাসওয়ার্ড পায় তবে সেটি অন্য প্ল্যাটফর্মেও কাজ করার সম্ভাবনা রয়েছে।’
সাইবার-বিশেষজ্ঞ স্যাম কারি বলেন, ‘ব্যবহারকারীদের উচিত শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা এবং “টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন” সুবিধা চালু করা। এ ছাড়া, নির্দিষ্ট সময় পরপর পাসওয়ার্ড বদলে ফেলা একটি ভালো চর্চা। এর ফলে অ্যাকাউন্ট আরও সুরক্ষিত থাকবে।’

বড়দিন হলো স্ক্যামের মৌসুম! এই সময়টাতে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা। এ সময় ডিজিটাল স্ক্যামের পরিমাণ ব্যাপকভাবে বাড়ে। এ কারণে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখা নিশ্চিত করাটা যে কোনো সময়ের চেয়ে এই সময়টাতে বেশি দরকারি।
সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলেন, স্ক্যামার এবং হ্যাকারেরা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার জন্য ব্যবহারকারীর কেনাকাটার অভ্যাস, বড়দিনের মতো উৎসবের আমেজ এবং নতুন প্রযুক্তির সুযোগ নিয়ে থাকে। সারা বিশ্বে ফেসবুকের কোটি কোটি ব্যবহারকারী রয়েছে। ফলে সামাজিক মাধ্যমটি স্ক্যামারদের জন্য একটি আদর্শ প্ল্যাটফর্ম।
দক্ষিণ আফ্রিকার সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান সাইবার স্মার্টের সিইও জেমি আহকটার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য সানকে বলেন, ‘এই বড়দিনে ফেসবুক ব্যবহারে নিরাপদ থাকার জন্য ব্যবহারকারীদের প্রতি প্রথম উপদেশ হচ্ছে—অন্যান্য কোম্পানির যেসব অ্যাপ বা প্ল্যাটফর্মে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে লগইন করা হয় তার বৈধতা যাচাই করা। যদিও এই অ্যাপগুলোর বেশির ভাগই বৈধ। ব্যবহারকারীদের বেশির ভাগই মূলত কুইজ বা গেম অ্যাপ ফেসবুকের মাধ্যমে লগইন করে ব্যবহার করেন।’
জেমি আহকটার আরও বলেন, ‘সমস্যা হলো, এই অ্যাপগুলো সাইবার অপরাধীরা অ্যাকাউন্ট হ্যাক করতে বা ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করতে ব্যবহার করতে পারে ৷ তবে সুসংবাদ হলো, অ্যাপগুলো থেকে লগইন ডেটা মুছে দেওয়া খুব সহজ। এটি করতে অ্যাকাউন্টের প্রাইভেসি সেটিংসে গিয়ে ফেসবুকের বাইরের অ্যাপের হিস্ট্রি মুছে ফেলা যায়। এ কাজ করতে কয়েক মিনিটের বেশি সময় লাগে না। প্রতি ছয় মাসে অন্তত একবার অফ-ফেসবুক হিস্ট্রি মুছে ফেললে ফেসবুক অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা বজায় থাকবে।’
অনেক হ্যাকার এবং স্ক্যামার ব্যবহারকারীর প্রিয়জনের ছদ্মবেশ ধরে অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার কিংবা তথ্য চুরির চেষ্টা করবে। ফেসবুকের মতো একটি প্ল্যাটফর্মে অ্যাকাউন্ট হ্যাক না করেও ব্যবহারকারীর নগদ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার একটি সহজ উপায়। যেমন: উপহার বা সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন, চিকিৎসার জন্য সাহায্য চাওয়া ইত্যাদি।
প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট পিক্সেল প্রাইভেসির ‘কনজিউমার প্রাইভেসি চ্যাম্পিয়ন’ ক্রিস হাউক বলেন, ‘অনুদান, ঋণ এবং অন্যান্য আর্থিক সমস্যার জন্য বন্ধু বা পরিবারের কাছ থেকে আসা বার্তা ভালো করে খতিয়ে দেখুন।’
ক্রিস আরও বলেন, ‘বিভিন্ন ওয়েবসাইটের পেজে আসা বিজ্ঞাপনগুলোতে ক্লিক করা উচিত নয়। এটি ব্যবহারকারীর টাকা এবং ক্রেডিট কার্ডের তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার জন্য স্ক্যামারদের মধ্যে জনপ্রিয় একটি উপায়। সুরক্ষিত থাকার সর্বোত্তম উপায়গুলো হলো—একটি জটিল পাসওয়ার্ড দিয়ে অ্যাকাউন্ট নিরাপদ করা; ভিন্ন ভিন্ন ওয়েবসাইটে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার না করা এবং কখনোই সংক্ষিপ্ত বা সহজ পাসওয়ার্ড বেছে না নেওয়া।’
সাইবার নিরাপত্তা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান নো–বিফোরের সাইবার-বিশেষজ্ঞ এরিখ ক্রন বলেন, ‘বড়দিনের সময় নিজেকে অনলাইনে নিরাপদ রাখার কিছু সেরা উপায় প্রয়োগের জন্য বিশেষ প্রযুক্তি জ্ঞানের প্রয়োজন নেই। যেসব ব্যবহারকারী একই পাসওয়ার্ড ভিন্ন ভিন্ন ওয়েবসাইটে ব্যবহার করেন তাঁরাই সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে থাকেন। কারণ সাইবার অপরাধীরা জানে, তারা যদি একটি পাসওয়ার্ড পায় তবে সেটি অন্য প্ল্যাটফর্মেও কাজ করার সম্ভাবনা রয়েছে।’
সাইবার-বিশেষজ্ঞ স্যাম কারি বলেন, ‘ব্যবহারকারীদের উচিত শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা এবং “টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন” সুবিধা চালু করা। এ ছাড়া, নির্দিষ্ট সময় পরপর পাসওয়ার্ড বদলে ফেলা একটি ভালো চর্চা। এর ফলে অ্যাকাউন্ট আরও সুরক্ষিত থাকবে।’

শীতকালে কলা খাওয়া যাবে কি না, এ বিষয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। কারণ আমাদের দেশে বেশির ভাগ মানুষ মনে করেন, কলা একটি ঠান্ডা ফল। এটি খেলা সর্দি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া শীতকালে কলা খেলে ‘বুক দেবে যাওয়া’র মতো ঘটনা ঘটতে পারে। অর্থাৎ কফ বসে যেতে পারে। এ জন্য শীতকালে আমাদের দেশে সাধারণত কলা খাওয়ার প্রবণতা...
১ ঘণ্টা আগে
সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের বিভিন্ন আন্দোলন আছে ঢাকা শহরে। আছে তাদের নিয়মিত ইভেন্ট। এ ইতিহাসে যুক্ত হলো ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে’ ম্যারাথন। এর আয়োজক ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এটি ছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন।...
১৩ ঘণ্টা আগে
আমাদের শরীর ও মন পরস্পর ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। আমরা যখন দুশ্চিন্তা করি বা মানসিক চাপে থাকি, তখন শরীরে এর প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়; যা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং এর ফলে অনেক সময় শরীরে চুলকানি বা জ্বালাপোড়ার মতো হতে পারে। এই অবস্থাকেই বলে ‘অ্যাংজাইটি ইচিং’ বা উদ্বেগজনিত চুলকানি।...
১৫ ঘণ্টা আগে
বিলাসিতা কেমন হতে পারে? এর উত্তর খুঁজতে গেলে আমাদের চোখ চলে যায় পৃথিবীর সেই সব বিরল উপাদানের দিকে, যেগুলোর মূল্য প্রায় আকাশছোঁয়া। এই উপাদানগুলোর দুর্লভতা এবং অনন্যতাই তাদের করে তুলেছে বিশেষ। যারা জীবনের সেরা জিনিসগুলোর খোঁজ করেন তাদের জন্য এই ধরনের খাবার উপভোগ করতে পারা একটি বিশেষ চাহিদা হতে পারে।
২১ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

শীতকালে কলা খাওয়া যাবে কি না, এ বিষয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। কারণ আমাদের দেশে বেশির ভাগ মানুষ মনে করেন, কলা একটি ঠান্ডা ফল। এটি খেলা সর্দি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া শীতকালে কলা খেলে ‘বুক দেবে যাওয়া’র মতো ঘটনা ঘটতে পারে। অর্থাৎ কফ বসে যেতে পারে। এ জন্য শীতকালে আমাদের দেশে সাধারণত কলা খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়।
কিন্তু এ বিষয়টি নিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রচুর গবেষণা হয়েছে। সেগুলোতে শীতকালে কলা খাওয়ার ব্যাপারে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি। তাই বলাই যায়, শীতকালে কলা খাওয়া নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর। তবে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, খাবার খাওয়া এবং তা থেকে শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার বিষয়টি নির্ভর করে ব্যক্তিগত সংবেদনশীলতা থেকে। যেসব খাবারে অ্যালার্জি আছে, সেসব খাবার না খাওয়া ভালো। তাতে শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ কলাকে স্বাস্থ্যকর ফল হিসেবে সব ঋতুতে খাওয়ার সুপারিশ করেছে। এ ছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দিনে কলাসহ ৪০০ গ্রাম ফল ও সবজি খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
কিছু প্রচলিত ভুল ধারণা এবং তার সঠিক বৈজ্ঞানিক তথ্য জেনে নিন।
শীতে কলার পুষ্টিগুণ বদলে যায়
এ ধারণা ঠিক নয়। কলার পুষ্টিগুণ অর্থাৎ পটাশিয়াম, ভিটামিন বি৬, আঁশ ইত্যাদি ঋতুভেদে একই থাকে। আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন কলাকে একটি পুষ্টিকর স্ন্যাক্স বা হালকা নাশতা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

হজমে সমস্যা ও সর্দি-কাশি
আমাদের দেশেই শুধু নয়, পৃথিবীতে এমন বহু মানুষ আছেন যাঁরা বিশ্বাস করেন, কলা ঠান্ডা প্রকৃতির বলে শীতকালে খেলে সর্দি-কাশি বা হজমে সমস্যা করতে পারে। এটি আজ পর্যন্ত বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়নি। স্বাভাবিকভাবে যেকোনো ব্যক্তি শীতকালে কলা খেতে পারেন। বরং কলা দ্রুত শক্তি দেয় বলে শীতকালে এটি শরীরের উষ্ণতা বজায় রাখতে সহায়ক হতে পারে। তবে কলায় কারও অ্যালার্জি থাকলে খাওয়া ঠিক হবে না।
আয়ুর্বেদিক ধারণা
আয়ুর্বেদের মতো কিছু প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতি কলাকে ‘শীতল’ প্রকৃতির বলে বিবেচনা করে। সে জন্য রাতে বা শীতে বেশি পরিমাণে না খাওয়ার পরামর্শ দেয়। তবে এ পরামর্শ সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
বিশেষ পরিস্থিতিতে সতর্কতা
অ্যালার্জি ও কফ: যাঁদের কলায় অ্যালার্জি আছে এবং যাঁদের শীতকালে কফ জমে থাকা বা অ্যাজমার সমস্যা আছে, তাঁদের শীতকালে কলা খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কলায় কোনো ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া নেই। তবে যাঁদের আগে থেকে অ্যালার্জি বা অ্যাজমার সমস্যা আছে, তাঁদের অত্যধিক মিউকাস উৎপাদনে এটি কিছু ভূমিকা রাখতে পারে। সে জন্য যাঁদের আগে থেকে এসব সমস্যা আছে, তাঁদের শীতকালে কলা খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
ডায়াবেটিস: কলায় প্রাকৃতিক শর্করা থাকে, তাই ডায়াবেটিস রোগীদের এটি পরিমিত খাওয়া উচিত।

শীতকালে কলা খাওয়ার উপকারিতা
কলা প্রাকৃতিক এনার্জি বার: কলায় থাকে ফ্রুকটোজ ও গ্লুকোজের মতো প্রাকৃতিক চিনি। এটি দ্রুত শক্তি সরবরাহ করে, যা শীতকালে শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
ইমিউনিটি বুস্টার: ভিটামিন ‘সি’ এবং ‘বি৬’ রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় কলা। এতে শীতকালীন সর্দি-কাশি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
সেরোটোনিন উৎপাদন: কলায় ট্রিপটোফ্যান নামে একটি অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে, যা মস্তিষ্কে সেরোটোনিন (মুড-রেগুলেটর) উৎপাদনে সাহায্য করে, শীতকালীন বিষণ্নতা মোকাবিলায় সহায়ক।
শীতকালে কলা খাওয়ার টিপস
রাতের বদলে সকাল বা দুপুরে খাওয়া ভালো। এ ছাড়া কলা বিভিন্ন জিনিসের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। যেমন ওটমিল ও দারুচিনির সঙ্গে কলা মিশিয়ে খেলে উষ্ণতা বাড়বে। কলার স্মুদির সঙ্গে আদা ও কাঁচা হলুদ যোগ করে খাওয়া যেতে পারে। সম্পূর্ণ পাকা কলায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বেশি থাকে। এ ধরনের কলা দিনে ১ থেকে ২টি খান।
শীতকালে কলা খাওয়া সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর, যদি ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য অবস্থা ও পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়। তাই নিয়মিত কলা খেতে কোনো বৈজ্ঞানিক নিষেধ নেই। তবে অ্যাজমা, দীর্ঘস্থায়ী কফ, কিডনি রোগী ইত্যাদি সংবেদনশীল গ্রুপের মানুষেরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কলা খাবেন। এ ছাড়া কলাকে শীতের খাদ্যতালিকার একটি উপাদান হিসেবে দেখুন, একমাত্র উৎস হিসেবে নয়। অন্যান্য শীতকালীন ফলের সঙ্গে এর ভারসাম্য বজায় রাখুন।
তথ্যসূত্র

শীতকালে কলা খাওয়া যাবে কি না, এ বিষয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। কারণ আমাদের দেশে বেশির ভাগ মানুষ মনে করেন, কলা একটি ঠান্ডা ফল। এটি খেলা সর্দি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া শীতকালে কলা খেলে ‘বুক দেবে যাওয়া’র মতো ঘটনা ঘটতে পারে। অর্থাৎ কফ বসে যেতে পারে। এ জন্য শীতকালে আমাদের দেশে সাধারণত কলা খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়।
কিন্তু এ বিষয়টি নিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রচুর গবেষণা হয়েছে। সেগুলোতে শীতকালে কলা খাওয়ার ব্যাপারে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি। তাই বলাই যায়, শীতকালে কলা খাওয়া নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর। তবে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, খাবার খাওয়া এবং তা থেকে শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার বিষয়টি নির্ভর করে ব্যক্তিগত সংবেদনশীলতা থেকে। যেসব খাবারে অ্যালার্জি আছে, সেসব খাবার না খাওয়া ভালো। তাতে শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ কলাকে স্বাস্থ্যকর ফল হিসেবে সব ঋতুতে খাওয়ার সুপারিশ করেছে। এ ছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দিনে কলাসহ ৪০০ গ্রাম ফল ও সবজি খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
কিছু প্রচলিত ভুল ধারণা এবং তার সঠিক বৈজ্ঞানিক তথ্য জেনে নিন।
শীতে কলার পুষ্টিগুণ বদলে যায়
এ ধারণা ঠিক নয়। কলার পুষ্টিগুণ অর্থাৎ পটাশিয়াম, ভিটামিন বি৬, আঁশ ইত্যাদি ঋতুভেদে একই থাকে। আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন কলাকে একটি পুষ্টিকর স্ন্যাক্স বা হালকা নাশতা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

হজমে সমস্যা ও সর্দি-কাশি
আমাদের দেশেই শুধু নয়, পৃথিবীতে এমন বহু মানুষ আছেন যাঁরা বিশ্বাস করেন, কলা ঠান্ডা প্রকৃতির বলে শীতকালে খেলে সর্দি-কাশি বা হজমে সমস্যা করতে পারে। এটি আজ পর্যন্ত বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়নি। স্বাভাবিকভাবে যেকোনো ব্যক্তি শীতকালে কলা খেতে পারেন। বরং কলা দ্রুত শক্তি দেয় বলে শীতকালে এটি শরীরের উষ্ণতা বজায় রাখতে সহায়ক হতে পারে। তবে কলায় কারও অ্যালার্জি থাকলে খাওয়া ঠিক হবে না।
আয়ুর্বেদিক ধারণা
আয়ুর্বেদের মতো কিছু প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতি কলাকে ‘শীতল’ প্রকৃতির বলে বিবেচনা করে। সে জন্য রাতে বা শীতে বেশি পরিমাণে না খাওয়ার পরামর্শ দেয়। তবে এ পরামর্শ সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
বিশেষ পরিস্থিতিতে সতর্কতা
অ্যালার্জি ও কফ: যাঁদের কলায় অ্যালার্জি আছে এবং যাঁদের শীতকালে কফ জমে থাকা বা অ্যাজমার সমস্যা আছে, তাঁদের শীতকালে কলা খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কলায় কোনো ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া নেই। তবে যাঁদের আগে থেকে অ্যালার্জি বা অ্যাজমার সমস্যা আছে, তাঁদের অত্যধিক মিউকাস উৎপাদনে এটি কিছু ভূমিকা রাখতে পারে। সে জন্য যাঁদের আগে থেকে এসব সমস্যা আছে, তাঁদের শীতকালে কলা খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
ডায়াবেটিস: কলায় প্রাকৃতিক শর্করা থাকে, তাই ডায়াবেটিস রোগীদের এটি পরিমিত খাওয়া উচিত।

শীতকালে কলা খাওয়ার উপকারিতা
কলা প্রাকৃতিক এনার্জি বার: কলায় থাকে ফ্রুকটোজ ও গ্লুকোজের মতো প্রাকৃতিক চিনি। এটি দ্রুত শক্তি সরবরাহ করে, যা শীতকালে শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
ইমিউনিটি বুস্টার: ভিটামিন ‘সি’ এবং ‘বি৬’ রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় কলা। এতে শীতকালীন সর্দি-কাশি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
সেরোটোনিন উৎপাদন: কলায় ট্রিপটোফ্যান নামে একটি অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে, যা মস্তিষ্কে সেরোটোনিন (মুড-রেগুলেটর) উৎপাদনে সাহায্য করে, শীতকালীন বিষণ্নতা মোকাবিলায় সহায়ক।
শীতকালে কলা খাওয়ার টিপস
রাতের বদলে সকাল বা দুপুরে খাওয়া ভালো। এ ছাড়া কলা বিভিন্ন জিনিসের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। যেমন ওটমিল ও দারুচিনির সঙ্গে কলা মিশিয়ে খেলে উষ্ণতা বাড়বে। কলার স্মুদির সঙ্গে আদা ও কাঁচা হলুদ যোগ করে খাওয়া যেতে পারে। সম্পূর্ণ পাকা কলায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বেশি থাকে। এ ধরনের কলা দিনে ১ থেকে ২টি খান।
শীতকালে কলা খাওয়া সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর, যদি ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য অবস্থা ও পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়। তাই নিয়মিত কলা খেতে কোনো বৈজ্ঞানিক নিষেধ নেই। তবে অ্যাজমা, দীর্ঘস্থায়ী কফ, কিডনি রোগী ইত্যাদি সংবেদনশীল গ্রুপের মানুষেরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কলা খাবেন। এ ছাড়া কলাকে শীতের খাদ্যতালিকার একটি উপাদান হিসেবে দেখুন, একমাত্র উৎস হিসেবে নয়। অন্যান্য শীতকালীন ফলের সঙ্গে এর ভারসাম্য বজায় রাখুন।
তথ্যসূত্র

স্ক্যামার এবং হ্যাকাররা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার জন্য ব্যবহারকারীর কেনাকাটার অভ্যাস, ক্রিসমাসের মতো উৎসবের আমেজ এবং নতুন প্রযুক্তির সুযোগ নিয়ে থাকে। সারা বিশ্বে ফেসবুকের কোটি কোটি ব্যবহারকারী রয়েছে। যার ফলে সামাজিক গণমাধ্যমটি স্ক্যামারদের জন্য একটি আদর্শ জায়গা।
২৪ ডিসেম্বর ২০২২
সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের বিভিন্ন আন্দোলন আছে ঢাকা শহরে। আছে তাদের নিয়মিত ইভেন্ট। এ ইতিহাসে যুক্ত হলো ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে’ ম্যারাথন। এর আয়োজক ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এটি ছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন।...
১৩ ঘণ্টা আগে
আমাদের শরীর ও মন পরস্পর ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। আমরা যখন দুশ্চিন্তা করি বা মানসিক চাপে থাকি, তখন শরীরে এর প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়; যা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং এর ফলে অনেক সময় শরীরে চুলকানি বা জ্বালাপোড়ার মতো হতে পারে। এই অবস্থাকেই বলে ‘অ্যাংজাইটি ইচিং’ বা উদ্বেগজনিত চুলকানি।...
১৫ ঘণ্টা আগে
বিলাসিতা কেমন হতে পারে? এর উত্তর খুঁজতে গেলে আমাদের চোখ চলে যায় পৃথিবীর সেই সব বিরল উপাদানের দিকে, যেগুলোর মূল্য প্রায় আকাশছোঁয়া। এই উপাদানগুলোর দুর্লভতা এবং অনন্যতাই তাদের করে তুলেছে বিশেষ। যারা জীবনের সেরা জিনিসগুলোর খোঁজ করেন তাদের জন্য এই ধরনের খাবার উপভোগ করতে পারা একটি বিশেষ চাহিদা হতে পারে।
২১ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের বিভিন্ন আন্দোলন আছে ঢাকা শহরে। আছে তাদের নিয়মিত ইভেন্ট। এ ইতিহাসে যুক্ত হলো ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে’ ম্যারাথন। এর আয়োজক ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এটি ছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন।
গতকাল ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর হাতিরঝিলে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে নামের এই ম্যারাথনটি। ‘এক শহর, এক দৌড়, এক ইতিহাস’ স্লোগানে আয়োজিত এ আন্তর্জাতিক রোড রেসে অংশ নেন হাজারো দৌড়বিদ। এদের মধ্যে ছিলেন দেশ-বিদেশের অভিজ্ঞ রানার ও শৌখিন অ্যাথলেটরা।

ঢাকার হাতিরঝিল অ্যাম্ফিথিয়েটার থেকে ভোর ৪টা ৩০ মিনিটে ৩০ কিলোমিটার ক্যাটাগির এ ম্যারাথনের উদ্বোধন করা হয়। এ ছাড়া ১৫ এবং ৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার রেসের উদ্বোধন হয় ভোর ৫টা। অংশগ্রহণকারী দৌড়বিদেরা হাতিরঝিলের চারপাশে বিস্তৃত একটি চ্যালেঞ্জিং ও মনোরম ট্র্যাকে তাঁদের দৌড় সম্পন্ন করেন।
আয়োজকেরা জানিয়েছেন, এ ইভেন্টে অন্তর্ভুক্ত ছিল চারটি প্রতিযোগিতা ক্যাটাগরি। এগুলো হলো,
৩০ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন মামুন আহম্মেদ। দৌড়ের পথ শেষ করতে তিনি সময় নেন ১ ঘণ্টা ৫৩ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন হামিদা আক্তার জেবা। তিনি শেষ করতে সময় নিয়েছে ২ ঘণ্টা ৪৪ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড।
এদিকে ১৫ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন পলাশ শেখ। এ পথ শেষ করতে তিনি সময় নেন ৫৩ মিনিট ৩৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন সাজিয়া হেপ্পি। তিনি দৌড় শেষ করতে সময় নেন ১ ঘণ্টা ২১ মিনিট ৭ সেকেন্ড।

৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন মোস্তাক আহমেদ আভিন। দৌড় শেষ করতে তিনি সময় নেন ২৬ মিনিট ৫৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন সাবরিনা আক্তার স্বর্ণা। তিনি ৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার দৌড় শেষ করতে সময় নিয়েছেন ৪৩ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড।
এ ছাড়া এক কিলোমিটার ওভারল চ্যাম্পিয়ন হয় সাইফান ওময়ের।
দৌড়বিদদের সুবিধার্থে ইভেন্ট এরিয়ায় স্থাপন করা হয়েছিল মেডিকেল সাপোর্ট সিস্টেম, একাধিক হাইড্রেশন ও কুলিং জোন, লাইভ টাইমিং সুবিধা। ইভেন্ট নিরাপদ করতে ছিল শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এ ইভেন্টে কাজ করেন শতাধিক প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিবিড় সহযোগিতায় ইভেন্ট ব্যবস্থাপনা ছিল অত্যন্ত সমন্বিত।

ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে ম্যারাথন রেস ডিরেক্টর মো. আল-আমীন বলেন, ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে শুধু একটি রেস নয়, এটি একটি সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের আন্দোলন। আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে, দৌড়ের পাশাপাশি আমরা চাই ঢাকাকে একটি প্রাণবন্ত ও ইতিবাচক শহরে রূপান্তরিত করতে।’
আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেশন, বিশাল অংশগ্রহণ, পেশাদার ব্যবস্থাপনা এবং নিরাপদ আয়োজন, সব মিলিয়ে ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে আজ বাংলাদেশের দৌড় ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল।

সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের বিভিন্ন আন্দোলন আছে ঢাকা শহরে। আছে তাদের নিয়মিত ইভেন্ট। এ ইতিহাসে যুক্ত হলো ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে’ ম্যারাথন। এর আয়োজক ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এটি ছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন।
গতকাল ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর হাতিরঝিলে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে নামের এই ম্যারাথনটি। ‘এক শহর, এক দৌড়, এক ইতিহাস’ স্লোগানে আয়োজিত এ আন্তর্জাতিক রোড রেসে অংশ নেন হাজারো দৌড়বিদ। এদের মধ্যে ছিলেন দেশ-বিদেশের অভিজ্ঞ রানার ও শৌখিন অ্যাথলেটরা।

ঢাকার হাতিরঝিল অ্যাম্ফিথিয়েটার থেকে ভোর ৪টা ৩০ মিনিটে ৩০ কিলোমিটার ক্যাটাগির এ ম্যারাথনের উদ্বোধন করা হয়। এ ছাড়া ১৫ এবং ৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার রেসের উদ্বোধন হয় ভোর ৫টা। অংশগ্রহণকারী দৌড়বিদেরা হাতিরঝিলের চারপাশে বিস্তৃত একটি চ্যালেঞ্জিং ও মনোরম ট্র্যাকে তাঁদের দৌড় সম্পন্ন করেন।
আয়োজকেরা জানিয়েছেন, এ ইভেন্টে অন্তর্ভুক্ত ছিল চারটি প্রতিযোগিতা ক্যাটাগরি। এগুলো হলো,
৩০ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন মামুন আহম্মেদ। দৌড়ের পথ শেষ করতে তিনি সময় নেন ১ ঘণ্টা ৫৩ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন হামিদা আক্তার জেবা। তিনি শেষ করতে সময় নিয়েছে ২ ঘণ্টা ৪৪ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড।
এদিকে ১৫ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন পলাশ শেখ। এ পথ শেষ করতে তিনি সময় নেন ৫৩ মিনিট ৩৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন সাজিয়া হেপ্পি। তিনি দৌড় শেষ করতে সময় নেন ১ ঘণ্টা ২১ মিনিট ৭ সেকেন্ড।

৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন মোস্তাক আহমেদ আভিন। দৌড় শেষ করতে তিনি সময় নেন ২৬ মিনিট ৫৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন সাবরিনা আক্তার স্বর্ণা। তিনি ৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার দৌড় শেষ করতে সময় নিয়েছেন ৪৩ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড।
এ ছাড়া এক কিলোমিটার ওভারল চ্যাম্পিয়ন হয় সাইফান ওময়ের।
দৌড়বিদদের সুবিধার্থে ইভেন্ট এরিয়ায় স্থাপন করা হয়েছিল মেডিকেল সাপোর্ট সিস্টেম, একাধিক হাইড্রেশন ও কুলিং জোন, লাইভ টাইমিং সুবিধা। ইভেন্ট নিরাপদ করতে ছিল শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এ ইভেন্টে কাজ করেন শতাধিক প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিবিড় সহযোগিতায় ইভেন্ট ব্যবস্থাপনা ছিল অত্যন্ত সমন্বিত।

ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে ম্যারাথন রেস ডিরেক্টর মো. আল-আমীন বলেন, ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে শুধু একটি রেস নয়, এটি একটি সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের আন্দোলন। আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে, দৌড়ের পাশাপাশি আমরা চাই ঢাকাকে একটি প্রাণবন্ত ও ইতিবাচক শহরে রূপান্তরিত করতে।’
আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেশন, বিশাল অংশগ্রহণ, পেশাদার ব্যবস্থাপনা এবং নিরাপদ আয়োজন, সব মিলিয়ে ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে আজ বাংলাদেশের দৌড় ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল।

স্ক্যামার এবং হ্যাকাররা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার জন্য ব্যবহারকারীর কেনাকাটার অভ্যাস, ক্রিসমাসের মতো উৎসবের আমেজ এবং নতুন প্রযুক্তির সুযোগ নিয়ে থাকে। সারা বিশ্বে ফেসবুকের কোটি কোটি ব্যবহারকারী রয়েছে। যার ফলে সামাজিক গণমাধ্যমটি স্ক্যামারদের জন্য একটি আদর্শ জায়গা।
২৪ ডিসেম্বর ২০২২
শীতকালে কলা খাওয়া যাবে কি না, এ বিষয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। কারণ আমাদের দেশে বেশির ভাগ মানুষ মনে করেন, কলা একটি ঠান্ডা ফল। এটি খেলা সর্দি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া শীতকালে কলা খেলে ‘বুক দেবে যাওয়া’র মতো ঘটনা ঘটতে পারে। অর্থাৎ কফ বসে যেতে পারে। এ জন্য শীতকালে আমাদের দেশে সাধারণত কলা খাওয়ার প্রবণতা...
১ ঘণ্টা আগে
আমাদের শরীর ও মন পরস্পর ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। আমরা যখন দুশ্চিন্তা করি বা মানসিক চাপে থাকি, তখন শরীরে এর প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়; যা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং এর ফলে অনেক সময় শরীরে চুলকানি বা জ্বালাপোড়ার মতো হতে পারে। এই অবস্থাকেই বলে ‘অ্যাংজাইটি ইচিং’ বা উদ্বেগজনিত চুলকানি।...
১৫ ঘণ্টা আগে
বিলাসিতা কেমন হতে পারে? এর উত্তর খুঁজতে গেলে আমাদের চোখ চলে যায় পৃথিবীর সেই সব বিরল উপাদানের দিকে, যেগুলোর মূল্য প্রায় আকাশছোঁয়া। এই উপাদানগুলোর দুর্লভতা এবং অনন্যতাই তাদের করে তুলেছে বিশেষ। যারা জীবনের সেরা জিনিসগুলোর খোঁজ করেন তাদের জন্য এই ধরনের খাবার উপভোগ করতে পারা একটি বিশেষ চাহিদা হতে পারে।
২১ ঘণ্টা আগেফারিয়া রহমান খান

আমাদের শরীর ও মন পরস্পর ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। আমরা যখন দুশ্চিন্তা করি বা মানসিক চাপে থাকি, তখন শরীরে এর প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়; যা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং এর ফলে অনেক সময় শরীরে চুলকানি বা জ্বালাপোড়ার মতো হতে পারে। এই অবস্থাকেই বলে ‘অ্যাংজাইটি ইচিং’ বা উদ্বেগজনিত চুলকানি।
অতিরিক্ত উদ্বেগ থেকে হওয়া ‘সোমাটিক সিম্পটম’ বা শারীরিক প্রতিক্রিয়াগুলোর মধ্যে একটি হলো অ্যাংজাইটি ইচিং বা সাইকোজেনিক চুলকানি। উদ্বিগ্নতার তীব্রতা বেশি হলে করটিসল হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়। এর কারণে ত্বকে প্রদাহ সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি সেরোটোনিন বা ডোপামিনের মতো নিউরোট্রান্সমিটারের ভারসাম্যহীনতার ফলেও অনেক সময় চুলকানি শুরু হয়। এই সমস্যা সাধারণত মাথার তালু, মুখ বা পিঠের উপরিভাগে বেশি দেখা যায়। তাই মানসিক চাপের কারণ খুঁজে বের করে চিকিৎসকের সহায়তা নিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তা ছাড়া মেডিটেশন বা ইয়োগা করা যেতে পারে; পাশাপাশি চুলকানি কমাতে ভালো মানের ময়শ্চরাইজার ব্যবহার করতে হবে, পর্যাপ্ত পানি পান করাসহ অতিরিক্ত ঠান্ডা বা গরম পানি দিয়ে গোসল এড়াতে হবে। ডা. তাহরিয়াত আহমেদ শরীফ, সহকারী রেজিস্ট্রার, মেডিসিন বিভাগ, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল, ঢাকা
মানসিক চাপের কারণে চুলকানি কেন হয়
উদ্বেগ ও চুলকানি আপাতদৃষ্টে সম্পর্কহীন মনে হলেও এই দুটি একে অপরের সঙ্গে বেশ কিছু বিষয়ে জড়িত। মানসিক চাপের প্রভাবে শরীরে কিছু সমস্যা দেখা দেয়, যেগুলোর ফলে চুলকানি হয়। যেমন—
স্ট্রেস হাইভস: মানসিক চাপের কারণে অনেক সময় শরীরের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থার প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে। ফলে শরীরে চুলকানিযুক্ত ফুসকুড়ি দেখা দেয়।
ঘামাচি বা র্যাশ: উদ্বেগের ফলে ঘাম বেড়ে যায়। ফলে শরীরে ঘামাচি বা র্যাশ দেখা দেয়। এগুলো খুবই চুলকায় এবং ২ সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
বিদ্যমান রোগ বাড়িয়ে দেওয়া: যাদের আগে থেকে একজিমা বা সোরিয়াসিসের মতো ত্বকের সমস্যা আছে, মানসিক চাপ ও উদ্বেগ তাদের এই রোগগুলো আরও বাড়িয়ে দেয়। ফলে চুলকানির মাত্রা বেড়ে যায়।
চুলকানির তীব্রতা বৃদ্ধি: মানসিক চাপ ও উদ্বেগ সামান্য চুলকানির তীব্রতাও বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়, যা রোগীর কাছে অসহনীয় মনে হতে পারে।
অ্যাংজাইটি ইচিং নিয়ন্ত্রণের কিছু উপায়
অ্যাংজাইটি ইচিং নিয়ন্ত্রণ করতে হলে প্রথমে মানসিক চাপের কারণ বের করে তার সমাধান করতে হবে। পাশাপাশি কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করলে আরাম পাওয়া যেতে পারে। সেগুলো হলো—
কীভাবে অ্যাংজাইটি ইচিং নির্ণয় করা হয়
প্রথমে চিকিৎসক চুলকানির শারীরিক কারণ; যেমন পোকামাকড়ের কামড়, ত্বকের শুষ্কতা, একজিমা বা অ্যালার্জি আছে কি না, তা নির্ণয় করা হয়। তারপর ডায়াবেটিস, অ্যানিমিয়া বা থাইরয়েডের মতো রোগগুলোও খতিয়ে দেখা হয়। সঠিক সিদ্ধান্তে আসার জন্য রোগীর মানসিক স্বাস্থ্যসহ সম্পূর্ণ রোগের সব তথ্য চিকিৎসককে জানাতে হবে। এর ওপর ভিত্তি করে চিকিৎসক নিশ্চিত হবেন, চুলকানি মানসিক চাপের জন্য হচ্ছে, নাকি অন্য কোনো কারণে। মানসিক চাপের জন্য চুলকানি হচ্ছে নিশ্চিত হলে সেই অনুযায়ী চিকিৎসক উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন।
কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন
কারণ ছাড়া অতিরিক্ত চুলকানি অনেক সময় কোনো অভ্যন্তরীণ স্বাস্থ্য সমস্যার কারণেও হতে পারে। মূল কারণ জানা এবং সঠিক চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। অ্যাংজাইটি ইচিং যদি আপনার দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ব্যাহত করে, ত্বকে সংক্রমণ বা গুরুতর ক্ষতি করে বা দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ঘরোয়া চিকিৎসায়ও না কমে, তবে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। এ ছাড়া চুলকানির সঙ্গে জ্বর, রাতে ঘাম হওয়া বা অস্বাভাবিক হারে ওজন কমার মতো লক্ষণ থাকলেও দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। মনে রাখবেন, সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমেই অ্যাংজাইটি ইচিংয়ের মতো সমস্যা কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব।
সূত্র: স্টাইলক্রেজ ও অন্যান্য

আমাদের শরীর ও মন পরস্পর ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। আমরা যখন দুশ্চিন্তা করি বা মানসিক চাপে থাকি, তখন শরীরে এর প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়; যা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং এর ফলে অনেক সময় শরীরে চুলকানি বা জ্বালাপোড়ার মতো হতে পারে। এই অবস্থাকেই বলে ‘অ্যাংজাইটি ইচিং’ বা উদ্বেগজনিত চুলকানি।
অতিরিক্ত উদ্বেগ থেকে হওয়া ‘সোমাটিক সিম্পটম’ বা শারীরিক প্রতিক্রিয়াগুলোর মধ্যে একটি হলো অ্যাংজাইটি ইচিং বা সাইকোজেনিক চুলকানি। উদ্বিগ্নতার তীব্রতা বেশি হলে করটিসল হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়। এর কারণে ত্বকে প্রদাহ সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি সেরোটোনিন বা ডোপামিনের মতো নিউরোট্রান্সমিটারের ভারসাম্যহীনতার ফলেও অনেক সময় চুলকানি শুরু হয়। এই সমস্যা সাধারণত মাথার তালু, মুখ বা পিঠের উপরিভাগে বেশি দেখা যায়। তাই মানসিক চাপের কারণ খুঁজে বের করে চিকিৎসকের সহায়তা নিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তা ছাড়া মেডিটেশন বা ইয়োগা করা যেতে পারে; পাশাপাশি চুলকানি কমাতে ভালো মানের ময়শ্চরাইজার ব্যবহার করতে হবে, পর্যাপ্ত পানি পান করাসহ অতিরিক্ত ঠান্ডা বা গরম পানি দিয়ে গোসল এড়াতে হবে। ডা. তাহরিয়াত আহমেদ শরীফ, সহকারী রেজিস্ট্রার, মেডিসিন বিভাগ, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল, ঢাকা
মানসিক চাপের কারণে চুলকানি কেন হয়
উদ্বেগ ও চুলকানি আপাতদৃষ্টে সম্পর্কহীন মনে হলেও এই দুটি একে অপরের সঙ্গে বেশ কিছু বিষয়ে জড়িত। মানসিক চাপের প্রভাবে শরীরে কিছু সমস্যা দেখা দেয়, যেগুলোর ফলে চুলকানি হয়। যেমন—
স্ট্রেস হাইভস: মানসিক চাপের কারণে অনেক সময় শরীরের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থার প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে। ফলে শরীরে চুলকানিযুক্ত ফুসকুড়ি দেখা দেয়।
ঘামাচি বা র্যাশ: উদ্বেগের ফলে ঘাম বেড়ে যায়। ফলে শরীরে ঘামাচি বা র্যাশ দেখা দেয়। এগুলো খুবই চুলকায় এবং ২ সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
বিদ্যমান রোগ বাড়িয়ে দেওয়া: যাদের আগে থেকে একজিমা বা সোরিয়াসিসের মতো ত্বকের সমস্যা আছে, মানসিক চাপ ও উদ্বেগ তাদের এই রোগগুলো আরও বাড়িয়ে দেয়। ফলে চুলকানির মাত্রা বেড়ে যায়।
চুলকানির তীব্রতা বৃদ্ধি: মানসিক চাপ ও উদ্বেগ সামান্য চুলকানির তীব্রতাও বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়, যা রোগীর কাছে অসহনীয় মনে হতে পারে।
অ্যাংজাইটি ইচিং নিয়ন্ত্রণের কিছু উপায়
অ্যাংজাইটি ইচিং নিয়ন্ত্রণ করতে হলে প্রথমে মানসিক চাপের কারণ বের করে তার সমাধান করতে হবে। পাশাপাশি কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করলে আরাম পাওয়া যেতে পারে। সেগুলো হলো—
কীভাবে অ্যাংজাইটি ইচিং নির্ণয় করা হয়
প্রথমে চিকিৎসক চুলকানির শারীরিক কারণ; যেমন পোকামাকড়ের কামড়, ত্বকের শুষ্কতা, একজিমা বা অ্যালার্জি আছে কি না, তা নির্ণয় করা হয়। তারপর ডায়াবেটিস, অ্যানিমিয়া বা থাইরয়েডের মতো রোগগুলোও খতিয়ে দেখা হয়। সঠিক সিদ্ধান্তে আসার জন্য রোগীর মানসিক স্বাস্থ্যসহ সম্পূর্ণ রোগের সব তথ্য চিকিৎসককে জানাতে হবে। এর ওপর ভিত্তি করে চিকিৎসক নিশ্চিত হবেন, চুলকানি মানসিক চাপের জন্য হচ্ছে, নাকি অন্য কোনো কারণে। মানসিক চাপের জন্য চুলকানি হচ্ছে নিশ্চিত হলে সেই অনুযায়ী চিকিৎসক উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন।
কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন
কারণ ছাড়া অতিরিক্ত চুলকানি অনেক সময় কোনো অভ্যন্তরীণ স্বাস্থ্য সমস্যার কারণেও হতে পারে। মূল কারণ জানা এবং সঠিক চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। অ্যাংজাইটি ইচিং যদি আপনার দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ব্যাহত করে, ত্বকে সংক্রমণ বা গুরুতর ক্ষতি করে বা দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ঘরোয়া চিকিৎসায়ও না কমে, তবে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। এ ছাড়া চুলকানির সঙ্গে জ্বর, রাতে ঘাম হওয়া বা অস্বাভাবিক হারে ওজন কমার মতো লক্ষণ থাকলেও দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। মনে রাখবেন, সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমেই অ্যাংজাইটি ইচিংয়ের মতো সমস্যা কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব।
সূত্র: স্টাইলক্রেজ ও অন্যান্য

স্ক্যামার এবং হ্যাকাররা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার জন্য ব্যবহারকারীর কেনাকাটার অভ্যাস, ক্রিসমাসের মতো উৎসবের আমেজ এবং নতুন প্রযুক্তির সুযোগ নিয়ে থাকে। সারা বিশ্বে ফেসবুকের কোটি কোটি ব্যবহারকারী রয়েছে। যার ফলে সামাজিক গণমাধ্যমটি স্ক্যামারদের জন্য একটি আদর্শ জায়গা।
২৪ ডিসেম্বর ২০২২
শীতকালে কলা খাওয়া যাবে কি না, এ বিষয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। কারণ আমাদের দেশে বেশির ভাগ মানুষ মনে করেন, কলা একটি ঠান্ডা ফল। এটি খেলা সর্দি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া শীতকালে কলা খেলে ‘বুক দেবে যাওয়া’র মতো ঘটনা ঘটতে পারে। অর্থাৎ কফ বসে যেতে পারে। এ জন্য শীতকালে আমাদের দেশে সাধারণত কলা খাওয়ার প্রবণতা...
১ ঘণ্টা আগে
সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের বিভিন্ন আন্দোলন আছে ঢাকা শহরে। আছে তাদের নিয়মিত ইভেন্ট। এ ইতিহাসে যুক্ত হলো ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে’ ম্যারাথন। এর আয়োজক ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এটি ছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন।...
১৩ ঘণ্টা আগে
বিলাসিতা কেমন হতে পারে? এর উত্তর খুঁজতে গেলে আমাদের চোখ চলে যায় পৃথিবীর সেই সব বিরল উপাদানের দিকে, যেগুলোর মূল্য প্রায় আকাশছোঁয়া। এই উপাদানগুলোর দুর্লভতা এবং অনন্যতাই তাদের করে তুলেছে বিশেষ। যারা জীবনের সেরা জিনিসগুলোর খোঁজ করেন তাদের জন্য এই ধরনের খাবার উপভোগ করতে পারা একটি বিশেষ চাহিদা হতে পারে।
২১ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

বিলাসিতা কেমন হতে পারে? এর উত্তর খুঁজতে গেলে আমাদের চোখ চলে যায় পৃথিবীর সেই সব বিরল উপাদানের দিকে, যেগুলোর মূল্য প্রায় আকাশছোঁয়া। এই উপাদানগুলোর দুর্লভতা এবং অনন্যতাই তাদের করে তুলেছে বিশেষ। যারা জীবনের সেরা জিনিসগুলোর খোঁজ করেন তাদের জন্য এই ধরনের খাবার উপভোগ করতে পারা একটি বিশেষ চাহিদা হতে পারে। এই খাবারগুলো কেবল খাদ্য নয় বরং শিল্পের এক একটি অংশ হয়ে উঠেছে। আর তাই এরা তাদের ক্রেতাদের কাছে ক্ষমতা, প্রাচুর্য এবং এক বিশেষ জীবনযাত্রার প্রতীক।
সবচেয়ে দামি খাবারের তালিকায় প্রথমে আসে সেই মাটির নিচের রহস্য। যা সোনার চেয়েও মূল্যবান। ইতালির পিডমন্ট অঞ্চলের স্থানীয় সাদা ট্রাফল এমনই এক ছত্রাক, যা অত্যন্ত দুর্লভ ও ব্যয়বহুল। একবার চীনের ম্যাকাও-এর এক ক্যাসিনো মালিক প্রায় দেড় কেজি ওজনের একটি ট্রাফল ৩,৩০, ০০০ ডলারে কিনেছিলেন। টাকায় হিসাব করলে যার দাম হয় ৪ কোটি ১ লাখ ৯৩ হাজার ৪০০ টাকা। অন্যদিকে, মসলার জগতে রাজা হলো জাফরান। যাকে ডাকা হয় ’লাল সোনা’ নামে। এক কেজি জাফরান তৈরি করতে হাজার হাজার ফুল লাগে। এ জন্য এর দাম পৃথিবীর সবচেয়ে দামি মসলার স্থানে নিয়ে গেছে। ফরাসি দ্বীপ নুয়ারমুতিয়ে-তে জন্মানো লা বোনোটে আলুর ক্ষেত্রেও সেই বিরলতা দেখা যায়। বিশেষ পরিবেশে ও শৈবালের কারণে এদের প্রতি কেজির দাম প্রায় ৬০০ ডলার বা ৭৩,১৭৮ টাকা।
মাংস এবং সামুদ্রিক খাবারের জগতেও রয়েছে মহাযজ্ঞের ছোঁয়া। জাপানের ওয়াগিউ বিফ কেবল সুস্বাদুই নয়, এর পেছনের প্রক্রিয়াটিও রাজকীয়। এই গরুগুলোকে বিশেষ খাবার দেওয়া হয়। এমনকি প্রতিদিন মালিশও করা হয়। যার ফলস্বরূপ এর ১০০ গ্রাম মাংসের দাম প্রায় ৫০ ডলার। অর্থাৎ ৬০৯৯ টাকা। আরও একধাপ এগিয়ে, ২০১৯ সালে জাপানে একটি স্নো ক্র্যাব। যা নিলামে বিক্রি হয়েছিল প্রায় ৪৬,০০০ ডলারে। তবে সামুদ্রিক খাবারের মুকুট হলো অ্যালমাস ক্যাভিয়ার। এই বিরল বেলুগা ক্যাভিয়ার প্রতি কেজি ৩৪,৫০০ ডলারে বিক্রি হয়ে থাকে। যার বাংলাদেশি মূল্য দাঁড়ায় ৪২,০৮৩১০ টাকা। যা সত্যিকারের বিলাসিতার প্রতিচ্ছবি। অন্যদিকে, স্পেনের ঐতিহ্যবাহী ইবেরিকো হ্যাম-এর এক পা বা লেগ ৪,৫০০ ডলারের মতো দামে বিক্রি হওয়ার বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে।

রেস্টুরেন্টে গেলে ৮০০ টাকা থাকে শুরু করে ৩০০০ টাকায় পিৎজা পাওয়া যায়। তবে ১২,০০০ ডলার বা ১,৪৬৩, ৭৬০ টাকার পিৎজা কখনো শুনেছেন? আপনি না শুনে থাকলেও পৃথিবীতে তা আছে। পিৎজা নির্মাতা রেনাটো ভায়োলা তৈরি করেছিলেন লিউস XIII পিৎজা। যার উপাদানগুলোর মধ্যে ছিল তিন ধরনের ক্যাভিয়ার। আবার স্কটল্যান্ডের ডোমিনিকো ক্রলা-এর তৈরি পিৎজা রয়্যাল ০০৭ বিকোয় ৪,২০০ ডলারে। যেখানে কগনাক-এ ম্যারিনেট করা লবস্টার ও শ্যাম্পেনে ভেজানো ক্যাভিয়ার ব্যবহার করা হয়েছিল। মেক্সিকোর গ্র্যান্ড ভেলাস রিসোর্টে পাওয়া গ্র্যান্ড ভেলাস লস কাবোস টাকো। যার মূল্য ২৫,০০০ ডলার, যেখানে ছিল কোবে বিফ এবং সোনা-মিশ্রিত টর্টিলা। এমনকি নিউ ইয়র্কের একটি সাধারণ গ্রিলড চিজ স্যান্ডউইচও যখন শ্যাম্পেনে ভেজানো রুটি আর সোনার ফ্লেক্সের সঙ্গে আসে, তখন সেই কুইন্টেসেনশিয়াল গ্রিলড চিজ-এর দাম দাঁড়ায় ২১৪ ডলার।
মিষ্টি এবং পানীয়ের ক্ষেত্রেও বিলাসিতা তার ছাপ ফেলেছে। পেস্ট্রি শেফ জেওং হং-ইয়ংটো এক মাস সময় নিয়ে একটি ক্রিসমাস কেক তৈরি করেছিলেন, যাতে ছিল ২২৩টি হিরা, আর এর দাম ছিল অবিশ্বাস্য ১.৭ মিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে, জাপানি ফলগুলোর মধ্যেও রয়েছে রাজকীয়তা। একটি ডেনসুকে ওয়াটারমেলন নিলামে ৬,১০০ ডলারে বিক্রি হয়েছিল এবং দুটি ইউবারি কিং মেলন ৪৫,০০০ ডলারের বেশি দামে বিক্রি হয়েছিল। পানীয়ের ক্ষেত্রে, ১৯৫২ সালের বিরল টুলিবার্ডিন হুইস্কির একটি বোতলের দাম ৪১,০০০ ডলার পর্যন্ত পৌঁছেছিল। তবে প্রকৃতির অদ্ভুত খেয়ালের ফল হলো কপি লুয়াক কফি। সিভেট ক্যাট বা গন্ধগোকুলের হজম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি এই কফি প্রতি কেজি প্রায় ৭০০ ডলারে বিক্রি হয়।
সূত্র: স্টার্স ইনসাইডার

বিলাসিতা কেমন হতে পারে? এর উত্তর খুঁজতে গেলে আমাদের চোখ চলে যায় পৃথিবীর সেই সব বিরল উপাদানের দিকে, যেগুলোর মূল্য প্রায় আকাশছোঁয়া। এই উপাদানগুলোর দুর্লভতা এবং অনন্যতাই তাদের করে তুলেছে বিশেষ। যারা জীবনের সেরা জিনিসগুলোর খোঁজ করেন তাদের জন্য এই ধরনের খাবার উপভোগ করতে পারা একটি বিশেষ চাহিদা হতে পারে। এই খাবারগুলো কেবল খাদ্য নয় বরং শিল্পের এক একটি অংশ হয়ে উঠেছে। আর তাই এরা তাদের ক্রেতাদের কাছে ক্ষমতা, প্রাচুর্য এবং এক বিশেষ জীবনযাত্রার প্রতীক।
সবচেয়ে দামি খাবারের তালিকায় প্রথমে আসে সেই মাটির নিচের রহস্য। যা সোনার চেয়েও মূল্যবান। ইতালির পিডমন্ট অঞ্চলের স্থানীয় সাদা ট্রাফল এমনই এক ছত্রাক, যা অত্যন্ত দুর্লভ ও ব্যয়বহুল। একবার চীনের ম্যাকাও-এর এক ক্যাসিনো মালিক প্রায় দেড় কেজি ওজনের একটি ট্রাফল ৩,৩০, ০০০ ডলারে কিনেছিলেন। টাকায় হিসাব করলে যার দাম হয় ৪ কোটি ১ লাখ ৯৩ হাজার ৪০০ টাকা। অন্যদিকে, মসলার জগতে রাজা হলো জাফরান। যাকে ডাকা হয় ’লাল সোনা’ নামে। এক কেজি জাফরান তৈরি করতে হাজার হাজার ফুল লাগে। এ জন্য এর দাম পৃথিবীর সবচেয়ে দামি মসলার স্থানে নিয়ে গেছে। ফরাসি দ্বীপ নুয়ারমুতিয়ে-তে জন্মানো লা বোনোটে আলুর ক্ষেত্রেও সেই বিরলতা দেখা যায়। বিশেষ পরিবেশে ও শৈবালের কারণে এদের প্রতি কেজির দাম প্রায় ৬০০ ডলার বা ৭৩,১৭৮ টাকা।
মাংস এবং সামুদ্রিক খাবারের জগতেও রয়েছে মহাযজ্ঞের ছোঁয়া। জাপানের ওয়াগিউ বিফ কেবল সুস্বাদুই নয়, এর পেছনের প্রক্রিয়াটিও রাজকীয়। এই গরুগুলোকে বিশেষ খাবার দেওয়া হয়। এমনকি প্রতিদিন মালিশও করা হয়। যার ফলস্বরূপ এর ১০০ গ্রাম মাংসের দাম প্রায় ৫০ ডলার। অর্থাৎ ৬০৯৯ টাকা। আরও একধাপ এগিয়ে, ২০১৯ সালে জাপানে একটি স্নো ক্র্যাব। যা নিলামে বিক্রি হয়েছিল প্রায় ৪৬,০০০ ডলারে। তবে সামুদ্রিক খাবারের মুকুট হলো অ্যালমাস ক্যাভিয়ার। এই বিরল বেলুগা ক্যাভিয়ার প্রতি কেজি ৩৪,৫০০ ডলারে বিক্রি হয়ে থাকে। যার বাংলাদেশি মূল্য দাঁড়ায় ৪২,০৮৩১০ টাকা। যা সত্যিকারের বিলাসিতার প্রতিচ্ছবি। অন্যদিকে, স্পেনের ঐতিহ্যবাহী ইবেরিকো হ্যাম-এর এক পা বা লেগ ৪,৫০০ ডলারের মতো দামে বিক্রি হওয়ার বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে।

রেস্টুরেন্টে গেলে ৮০০ টাকা থাকে শুরু করে ৩০০০ টাকায় পিৎজা পাওয়া যায়। তবে ১২,০০০ ডলার বা ১,৪৬৩, ৭৬০ টাকার পিৎজা কখনো শুনেছেন? আপনি না শুনে থাকলেও পৃথিবীতে তা আছে। পিৎজা নির্মাতা রেনাটো ভায়োলা তৈরি করেছিলেন লিউস XIII পিৎজা। যার উপাদানগুলোর মধ্যে ছিল তিন ধরনের ক্যাভিয়ার। আবার স্কটল্যান্ডের ডোমিনিকো ক্রলা-এর তৈরি পিৎজা রয়্যাল ০০৭ বিকোয় ৪,২০০ ডলারে। যেখানে কগনাক-এ ম্যারিনেট করা লবস্টার ও শ্যাম্পেনে ভেজানো ক্যাভিয়ার ব্যবহার করা হয়েছিল। মেক্সিকোর গ্র্যান্ড ভেলাস রিসোর্টে পাওয়া গ্র্যান্ড ভেলাস লস কাবোস টাকো। যার মূল্য ২৫,০০০ ডলার, যেখানে ছিল কোবে বিফ এবং সোনা-মিশ্রিত টর্টিলা। এমনকি নিউ ইয়র্কের একটি সাধারণ গ্রিলড চিজ স্যান্ডউইচও যখন শ্যাম্পেনে ভেজানো রুটি আর সোনার ফ্লেক্সের সঙ্গে আসে, তখন সেই কুইন্টেসেনশিয়াল গ্রিলড চিজ-এর দাম দাঁড়ায় ২১৪ ডলার।
মিষ্টি এবং পানীয়ের ক্ষেত্রেও বিলাসিতা তার ছাপ ফেলেছে। পেস্ট্রি শেফ জেওং হং-ইয়ংটো এক মাস সময় নিয়ে একটি ক্রিসমাস কেক তৈরি করেছিলেন, যাতে ছিল ২২৩টি হিরা, আর এর দাম ছিল অবিশ্বাস্য ১.৭ মিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে, জাপানি ফলগুলোর মধ্যেও রয়েছে রাজকীয়তা। একটি ডেনসুকে ওয়াটারমেলন নিলামে ৬,১০০ ডলারে বিক্রি হয়েছিল এবং দুটি ইউবারি কিং মেলন ৪৫,০০০ ডলারের বেশি দামে বিক্রি হয়েছিল। পানীয়ের ক্ষেত্রে, ১৯৫২ সালের বিরল টুলিবার্ডিন হুইস্কির একটি বোতলের দাম ৪১,০০০ ডলার পর্যন্ত পৌঁছেছিল। তবে প্রকৃতির অদ্ভুত খেয়ালের ফল হলো কপি লুয়াক কফি। সিভেট ক্যাট বা গন্ধগোকুলের হজম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি এই কফি প্রতি কেজি প্রায় ৭০০ ডলারে বিক্রি হয়।
সূত্র: স্টার্স ইনসাইডার

স্ক্যামার এবং হ্যাকাররা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার জন্য ব্যবহারকারীর কেনাকাটার অভ্যাস, ক্রিসমাসের মতো উৎসবের আমেজ এবং নতুন প্রযুক্তির সুযোগ নিয়ে থাকে। সারা বিশ্বে ফেসবুকের কোটি কোটি ব্যবহারকারী রয়েছে। যার ফলে সামাজিক গণমাধ্যমটি স্ক্যামারদের জন্য একটি আদর্শ জায়গা।
২৪ ডিসেম্বর ২০২২
শীতকালে কলা খাওয়া যাবে কি না, এ বিষয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। কারণ আমাদের দেশে বেশির ভাগ মানুষ মনে করেন, কলা একটি ঠান্ডা ফল। এটি খেলা সর্দি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া শীতকালে কলা খেলে ‘বুক দেবে যাওয়া’র মতো ঘটনা ঘটতে পারে। অর্থাৎ কফ বসে যেতে পারে। এ জন্য শীতকালে আমাদের দেশে সাধারণত কলা খাওয়ার প্রবণতা...
১ ঘণ্টা আগে
সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের বিভিন্ন আন্দোলন আছে ঢাকা শহরে। আছে তাদের নিয়মিত ইভেন্ট। এ ইতিহাসে যুক্ত হলো ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে’ ম্যারাথন। এর আয়োজক ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এটি ছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন।...
১৩ ঘণ্টা আগে
আমাদের শরীর ও মন পরস্পর ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। আমরা যখন দুশ্চিন্তা করি বা মানসিক চাপে থাকি, তখন শরীরে এর প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়; যা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং এর ফলে অনেক সময় শরীরে চুলকানি বা জ্বালাপোড়ার মতো হতে পারে। এই অবস্থাকেই বলে ‘অ্যাংজাইটি ইচিং’ বা উদ্বেগজনিত চুলকানি।...
১৫ ঘণ্টা আগে