
মাথায় ঝাঁকড়া চুল থাকায় কেউ কেউ তাঁকে হামজা চৌধুরী ভেবে বসেন। আসলে নাম তাঁর আমিরুল ইসলাম। ভারতে চলমান জুনিয়র হকি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে আলো ছড়াচ্ছেন ২১ বছর বয়সী এই খেলোয়াড়। দুই ম্যাচ খেলে দুটিতেই করেছেন হ্যাটট্রিক। আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি শোনালেন ড্রাগ অ্যান্ড ফ্লিক স্পেশালিস্ট হওয়ার গল্প। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আনোয়ার সোহাগ
আনোয়ার সোহাগ, ঢাকা

প্রশ্ন: জুনিয়র হকি বিশ্বকাপে প্রথম দুই ম্যাচে হ্যাটট্রিক। ম্যাচসেরাও হয়েছেন। কোনটি এগিয়ে রাখবেন?
আমিরুল: অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে হ্যাটট্রিকটা এগিয়ে রাখব। ম্যাচটা একটু কঠিন ছিল। কারণ, আমরা ৩-০ তে পিছিয়ে ছিলাম। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোটা সহজ ছিল না। খেলোয়াড়দের কৃতিত্ব দেব, আমরা সবাই এক হয়ে খেলার কারণে ড্র করতে পেরেছি।
প্রশ্ন: তিন গোলে পিছিয়ে থাকার পরও ঘুরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে কতটুকু আত্মবিশ্বাসী ছিলেন?
আমিরুল: প্রথমত মাঠে নামার আগে আমাদের যে ব্রিফিং ছিল, সেখানে আলোচনা হয়, আমরা যদি কোনোভাবে গোল হজম করি, হাল ছাড়ব না। শেষ সেকেন্ড পর্যন্ত চেষ্টা করে যাব। ৩ গোল হজম করার পর কোচিং স্টাফের সবাই বলেছে, আমাদের সামর্থ্য আছে ঘুরে দাঁড়ানোর। মানসিকভাবে অনেক শক্তিশালী ছিলাম আমরা। সেই বিশ্বাস নিয়ে আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছি।
প্রশ্ন: বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে হ্যাটট্রিকের ভাবনা ছিল?
আমিরুল: প্রথমত বিশ্বকাপ অবশ্যই আমাদের জন্য আত্মমর্যাদার। প্রথমবারের জন্য আমরা এখানে অংশগ্রহণ করছি, এটা গর্বের বিষয়। আমি যে দুটো ম্যাচে হ্যাটট্রিক করব, সেই ভাবনা মাথায় ছিল না। কোচ আমাকে সুযোগ দিলে সেটা সম্পূর্ণভাবে কাজে লাগানোর চেষ্টা করব এবং এটাই ছিল আমার ভাবনা। কারণ, দল সবার আগে।
প্রশ্ন: আপনাকে ঘিরে আস্থার জায়গাটা এখন বেড়েছে...
আমিরুল: হ্যাঁ। এটা দেখতে পাচ্ছি। অবশ্যই খুশি যে কোচ আমার ওপর আস্থা রাখছেন। এর প্রতিদান দেওয়ার চেষ্টা করছি ৷ আমি অবশ্যই নিজের সেরাটা দেব এবং দলকে সহায়তা করব।
প্রশ্ন: কোচ কীভাবে আপনাকে অনুপ্রাণিত করেন?
আমিরুল: এত বড় মঞ্চে প্রথমবার খেলতে এসেছি। সেখানে মানসিকভাবে শক্তিশালী না হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন আসলে। তাই আমার আত্মবিশ্বাসে এক ভাগও যদি ঘাটতি থাকে, তখন সেটা নিয়ে কোচের সঙ্গে আলোচনা করি। তিনি (সিগফ্রাইড আইকম্যান) অনেক বড় মাপের কোচ। সব সময় আমাকে সহায়তা করেন।
প্রশ্ন: ৬টি গোলই এসেছে পেনাল্টি কর্নার থেকে। পেনাল্টি কর্নারে কীভাবে দক্ষ হয়ে উঠলেন?
আমিরুল: সবচেয়ে বড় অবদান আমি বলব যে বিকেএসপির রাজু স্যার, নান্নু স্যার ও আমাদের সাবেক কোচ গোবিনাথন কৃষ্ণমূর্তি স্যার। তাঁরাই আমাকে অনুপ্রেরণা, পরামর্শ ও সাহস দিয়েছেন। টেকনিক্যালি ও স্ট্রেন্থলি—সবদিক থেকে আমি তাঁদের সহায়তা পেয়েছি। এরপর অনুশীলনে প্রায় ১৫০ বার ড্রাগ ফ্লিক করার চেষ্টা করি।

প্রশ্ন: ড্রাগ অ্যান্ড ফ্লিক করার ক্ষেত্রে প্রথম ভাবনাটা কী থাকে?
আমিরুল: আমি যেন গোল করতে পারি, সেটাই আমার প্রথম ভাবনা থাকে। আমি চেষ্টা করি যে যতটুকু সুযোগ পাব, সেটা কাজে লাগানোর। এ বিষয়ে খুব মনোযোগ দিই। সতীর্থরাও এটা নিয়ে আরও সচেতন থাকে; বিশেষ করে ফরোয়ার্ডরা খুব চেষ্টা করে পেনাল্টি কর্নার আদায় করতে। কারণ, পেনাল্টি কর্নার পেলেই সেটা গোলে পরিণত করার সুযোগ থাকে। আমি চেষ্টা করি সতীর্থদের আস্থার প্রতিদান দেওয়ার।
প্রশ্ন: হকিতে কীভাবে উঠে এলেন?
আমিরুল: ২০১৫ সালে আমি যখন ক্লাস সিক্সে পড়ি, তখন আন্তস্কুল একটা টুর্নামেন্ট হয়েছিল। তো সেখানে হকির স্টিক নিয়ে একটু অনুশীলন করছিলাম। আমার আঙ্কেল হকির কোচিং করাতেন। তাঁর মাধ্যমেই বিকেএসপিতে ভর্তি হওয়া। ছোটবেলা থেকে খেলাধুলার প্রতি বেশি আগ্রহ ছিল। ফুটবল বেশি খেলা হতো আমার। হকিস্টিক যখন হাতে নিলাম, তখন এটাই ভালো লাগতে শুরু করে। অথচ ২০১৫ সালের আগে হকি কী জিনিস, সেটা জানতামই না। হকির জন্য অনেক কিছু পেয়েছি।
প্রশ্ন: মানুষ আপনাকে হকির হামজা বলে। বিষয়টা কেমন লাগে?
আমিরুল: আসলে ঝাঁকড়া চুল আমার অনেক আগে থেকেই। হামজা ভাই অবশ্যই একজন অসাধারণ খেলোয়াড়। আমার মতে ফুটবলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর তিনি। কারণ, তাঁর মাধ্যমে বাংলাদেশ ফুটবলকে কিন্তু চিনতে শুরু করেছে। আমি অবশ্যই গর্বিত, হামজা ভাইয়ের মতো একজন খেলোয়াড়ের সঙ্গে আমাকে নিয়ে আলোচনা করা হয়। বিষয়টা আমি ইতিবাচকভাবে নিই। সতীর্থরাও আমার সঙ্গে উপভোগ করে।
প্রশ্ন: ফ্রান্সের বিপক্ষে (আজকের) ম্যাচ নিয়ে পরিকল্পনা কী?
আমিরুল: প্রথমত আমরা অনেক আত্মবিশ্বাস নিয়ে নিজেদের সেরাটা দিয়ে খেলব। ফ্রান্স অবশ্যই শক্তিশালী, আমরা তাদের সম্মান করি। এটা মাথায় রাখলেও হাল ছেড়ে দেব না। চেষ্টা করব সেরা ফলটা বের করে আনার।
প্রশ্ন: জুনিয়র হকি বিশ্বকাপে প্রথম দুই ম্যাচে হ্যাটট্রিক। ম্যাচসেরাও হয়েছেন। কোনটি এগিয়ে রাখবেন?
আমিরুল: অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে হ্যাটট্রিকটা এগিয়ে রাখব। ম্যাচটা একটু কঠিন ছিল। কারণ, আমরা ৩-০ তে পিছিয়ে ছিলাম। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোটা সহজ ছিল না। খেলোয়াড়দের কৃতিত্ব দেব, আমরা সবাই এক হয়ে খেলার কারণে ড্র করতে পেরেছি।
প্রশ্ন: তিন গোলে পিছিয়ে থাকার পরও ঘুরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে কতটুকু আত্মবিশ্বাসী ছিলেন?
আমিরুল: প্রথমত মাঠে নামার আগে আমাদের যে ব্রিফিং ছিল, সেখানে আলোচনা হয়, আমরা যদি কোনোভাবে গোল হজম করি, হাল ছাড়ব না। শেষ সেকেন্ড পর্যন্ত চেষ্টা করে যাব। ৩ গোল হজম করার পর কোচিং স্টাফের সবাই বলেছে, আমাদের সামর্থ্য আছে ঘুরে দাঁড়ানোর। মানসিকভাবে অনেক শক্তিশালী ছিলাম আমরা। সেই বিশ্বাস নিয়ে আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছি।
প্রশ্ন: বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে হ্যাটট্রিকের ভাবনা ছিল?
আমিরুল: প্রথমত বিশ্বকাপ অবশ্যই আমাদের জন্য আত্মমর্যাদার। প্রথমবারের জন্য আমরা এখানে অংশগ্রহণ করছি, এটা গর্বের বিষয়। আমি যে দুটো ম্যাচে হ্যাটট্রিক করব, সেই ভাবনা মাথায় ছিল না। কোচ আমাকে সুযোগ দিলে সেটা সম্পূর্ণভাবে কাজে লাগানোর চেষ্টা করব এবং এটাই ছিল আমার ভাবনা। কারণ, দল সবার আগে।
প্রশ্ন: আপনাকে ঘিরে আস্থার জায়গাটা এখন বেড়েছে...
আমিরুল: হ্যাঁ। এটা দেখতে পাচ্ছি। অবশ্যই খুশি যে কোচ আমার ওপর আস্থা রাখছেন। এর প্রতিদান দেওয়ার চেষ্টা করছি ৷ আমি অবশ্যই নিজের সেরাটা দেব এবং দলকে সহায়তা করব।
প্রশ্ন: কোচ কীভাবে আপনাকে অনুপ্রাণিত করেন?
আমিরুল: এত বড় মঞ্চে প্রথমবার খেলতে এসেছি। সেখানে মানসিকভাবে শক্তিশালী না হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন আসলে। তাই আমার আত্মবিশ্বাসে এক ভাগও যদি ঘাটতি থাকে, তখন সেটা নিয়ে কোচের সঙ্গে আলোচনা করি। তিনি (সিগফ্রাইড আইকম্যান) অনেক বড় মাপের কোচ। সব সময় আমাকে সহায়তা করেন।
প্রশ্ন: ৬টি গোলই এসেছে পেনাল্টি কর্নার থেকে। পেনাল্টি কর্নারে কীভাবে দক্ষ হয়ে উঠলেন?
আমিরুল: সবচেয়ে বড় অবদান আমি বলব যে বিকেএসপির রাজু স্যার, নান্নু স্যার ও আমাদের সাবেক কোচ গোবিনাথন কৃষ্ণমূর্তি স্যার। তাঁরাই আমাকে অনুপ্রেরণা, পরামর্শ ও সাহস দিয়েছেন। টেকনিক্যালি ও স্ট্রেন্থলি—সবদিক থেকে আমি তাঁদের সহায়তা পেয়েছি। এরপর অনুশীলনে প্রায় ১৫০ বার ড্রাগ ফ্লিক করার চেষ্টা করি।

প্রশ্ন: ড্রাগ অ্যান্ড ফ্লিক করার ক্ষেত্রে প্রথম ভাবনাটা কী থাকে?
আমিরুল: আমি যেন গোল করতে পারি, সেটাই আমার প্রথম ভাবনা থাকে। আমি চেষ্টা করি যে যতটুকু সুযোগ পাব, সেটা কাজে লাগানোর। এ বিষয়ে খুব মনোযোগ দিই। সতীর্থরাও এটা নিয়ে আরও সচেতন থাকে; বিশেষ করে ফরোয়ার্ডরা খুব চেষ্টা করে পেনাল্টি কর্নার আদায় করতে। কারণ, পেনাল্টি কর্নার পেলেই সেটা গোলে পরিণত করার সুযোগ থাকে। আমি চেষ্টা করি সতীর্থদের আস্থার প্রতিদান দেওয়ার।
প্রশ্ন: হকিতে কীভাবে উঠে এলেন?
আমিরুল: ২০১৫ সালে আমি যখন ক্লাস সিক্সে পড়ি, তখন আন্তস্কুল একটা টুর্নামেন্ট হয়েছিল। তো সেখানে হকির স্টিক নিয়ে একটু অনুশীলন করছিলাম। আমার আঙ্কেল হকির কোচিং করাতেন। তাঁর মাধ্যমেই বিকেএসপিতে ভর্তি হওয়া। ছোটবেলা থেকে খেলাধুলার প্রতি বেশি আগ্রহ ছিল। ফুটবল বেশি খেলা হতো আমার। হকিস্টিক যখন হাতে নিলাম, তখন এটাই ভালো লাগতে শুরু করে। অথচ ২০১৫ সালের আগে হকি কী জিনিস, সেটা জানতামই না। হকির জন্য অনেক কিছু পেয়েছি।
প্রশ্ন: মানুষ আপনাকে হকির হামজা বলে। বিষয়টা কেমন লাগে?
আমিরুল: আসলে ঝাঁকড়া চুল আমার অনেক আগে থেকেই। হামজা ভাই অবশ্যই একজন অসাধারণ খেলোয়াড়। আমার মতে ফুটবলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর তিনি। কারণ, তাঁর মাধ্যমে বাংলাদেশ ফুটবলকে কিন্তু চিনতে শুরু করেছে। আমি অবশ্যই গর্বিত, হামজা ভাইয়ের মতো একজন খেলোয়াড়ের সঙ্গে আমাকে নিয়ে আলোচনা করা হয়। বিষয়টা আমি ইতিবাচকভাবে নিই। সতীর্থরাও আমার সঙ্গে উপভোগ করে।
প্রশ্ন: ফ্রান্সের বিপক্ষে (আজকের) ম্যাচ নিয়ে পরিকল্পনা কী?
আমিরুল: প্রথমত আমরা অনেক আত্মবিশ্বাস নিয়ে নিজেদের সেরাটা দিয়ে খেলব। ফ্রান্স অবশ্যই শক্তিশালী, আমরা তাদের সম্মান করি। এটা মাথায় রাখলেও হাল ছেড়ে দেব না। চেষ্টা করব সেরা ফলটা বের করে আনার।

মাথায় ঝাঁকড়া চুল থাকায় কেউ কেউ তাঁকে হামজা চৌধুরী ভেবে বসেন। আসলে নাম তাঁর আমিরুল ইসলাম। ভারতে চলমান জুনিয়র হকি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে আলো ছড়াচ্ছেন ২১ বছর বয়সী এই খেলোয়াড়। দুই ম্যাচ খেলে দুটিতেই করেছেন হ্যাটট্রিক। আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি শোনালেন ড্রাগ অ্যান্ড ফ্লিক স্পেশালিস্ট হওয়ার গল্প। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আনোয়ার সোহাগ
আনোয়ার সোহাগ, ঢাকা

প্রশ্ন: জুনিয়র হকি বিশ্বকাপে প্রথম দুই ম্যাচে হ্যাটট্রিক। ম্যাচসেরাও হয়েছেন। কোনটি এগিয়ে রাখবেন?
আমিরুল: অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে হ্যাটট্রিকটা এগিয়ে রাখব। ম্যাচটা একটু কঠিন ছিল। কারণ, আমরা ৩-০ তে পিছিয়ে ছিলাম। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোটা সহজ ছিল না। খেলোয়াড়দের কৃতিত্ব দেব, আমরা সবাই এক হয়ে খেলার কারণে ড্র করতে পেরেছি।
প্রশ্ন: তিন গোলে পিছিয়ে থাকার পরও ঘুরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে কতটুকু আত্মবিশ্বাসী ছিলেন?
আমিরুল: প্রথমত মাঠে নামার আগে আমাদের যে ব্রিফিং ছিল, সেখানে আলোচনা হয়, আমরা যদি কোনোভাবে গোল হজম করি, হাল ছাড়ব না। শেষ সেকেন্ড পর্যন্ত চেষ্টা করে যাব। ৩ গোল হজম করার পর কোচিং স্টাফের সবাই বলেছে, আমাদের সামর্থ্য আছে ঘুরে দাঁড়ানোর। মানসিকভাবে অনেক শক্তিশালী ছিলাম আমরা। সেই বিশ্বাস নিয়ে আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছি।
প্রশ্ন: বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে হ্যাটট্রিকের ভাবনা ছিল?
আমিরুল: প্রথমত বিশ্বকাপ অবশ্যই আমাদের জন্য আত্মমর্যাদার। প্রথমবারের জন্য আমরা এখানে অংশগ্রহণ করছি, এটা গর্বের বিষয়। আমি যে দুটো ম্যাচে হ্যাটট্রিক করব, সেই ভাবনা মাথায় ছিল না। কোচ আমাকে সুযোগ দিলে সেটা সম্পূর্ণভাবে কাজে লাগানোর চেষ্টা করব এবং এটাই ছিল আমার ভাবনা। কারণ, দল সবার আগে।
প্রশ্ন: আপনাকে ঘিরে আস্থার জায়গাটা এখন বেড়েছে...
আমিরুল: হ্যাঁ। এটা দেখতে পাচ্ছি। অবশ্যই খুশি যে কোচ আমার ওপর আস্থা রাখছেন। এর প্রতিদান দেওয়ার চেষ্টা করছি ৷ আমি অবশ্যই নিজের সেরাটা দেব এবং দলকে সহায়তা করব।
প্রশ্ন: কোচ কীভাবে আপনাকে অনুপ্রাণিত করেন?
আমিরুল: এত বড় মঞ্চে প্রথমবার খেলতে এসেছি। সেখানে মানসিকভাবে শক্তিশালী না হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন আসলে। তাই আমার আত্মবিশ্বাসে এক ভাগও যদি ঘাটতি থাকে, তখন সেটা নিয়ে কোচের সঙ্গে আলোচনা করি। তিনি (সিগফ্রাইড আইকম্যান) অনেক বড় মাপের কোচ। সব সময় আমাকে সহায়তা করেন।
প্রশ্ন: ৬টি গোলই এসেছে পেনাল্টি কর্নার থেকে। পেনাল্টি কর্নারে কীভাবে দক্ষ হয়ে উঠলেন?
আমিরুল: সবচেয়ে বড় অবদান আমি বলব যে বিকেএসপির রাজু স্যার, নান্নু স্যার ও আমাদের সাবেক কোচ গোবিনাথন কৃষ্ণমূর্তি স্যার। তাঁরাই আমাকে অনুপ্রেরণা, পরামর্শ ও সাহস দিয়েছেন। টেকনিক্যালি ও স্ট্রেন্থলি—সবদিক থেকে আমি তাঁদের সহায়তা পেয়েছি। এরপর অনুশীলনে প্রায় ১৫০ বার ড্রাগ ফ্লিক করার চেষ্টা করি।

প্রশ্ন: ড্রাগ অ্যান্ড ফ্লিক করার ক্ষেত্রে প্রথম ভাবনাটা কী থাকে?
আমিরুল: আমি যেন গোল করতে পারি, সেটাই আমার প্রথম ভাবনা থাকে। আমি চেষ্টা করি যে যতটুকু সুযোগ পাব, সেটা কাজে লাগানোর। এ বিষয়ে খুব মনোযোগ দিই। সতীর্থরাও এটা নিয়ে আরও সচেতন থাকে; বিশেষ করে ফরোয়ার্ডরা খুব চেষ্টা করে পেনাল্টি কর্নার আদায় করতে। কারণ, পেনাল্টি কর্নার পেলেই সেটা গোলে পরিণত করার সুযোগ থাকে। আমি চেষ্টা করি সতীর্থদের আস্থার প্রতিদান দেওয়ার।
প্রশ্ন: হকিতে কীভাবে উঠে এলেন?
আমিরুল: ২০১৫ সালে আমি যখন ক্লাস সিক্সে পড়ি, তখন আন্তস্কুল একটা টুর্নামেন্ট হয়েছিল। তো সেখানে হকির স্টিক নিয়ে একটু অনুশীলন করছিলাম। আমার আঙ্কেল হকির কোচিং করাতেন। তাঁর মাধ্যমেই বিকেএসপিতে ভর্তি হওয়া। ছোটবেলা থেকে খেলাধুলার প্রতি বেশি আগ্রহ ছিল। ফুটবল বেশি খেলা হতো আমার। হকিস্টিক যখন হাতে নিলাম, তখন এটাই ভালো লাগতে শুরু করে। অথচ ২০১৫ সালের আগে হকি কী জিনিস, সেটা জানতামই না। হকির জন্য অনেক কিছু পেয়েছি।
প্রশ্ন: মানুষ আপনাকে হকির হামজা বলে। বিষয়টা কেমন লাগে?
আমিরুল: আসলে ঝাঁকড়া চুল আমার অনেক আগে থেকেই। হামজা ভাই অবশ্যই একজন অসাধারণ খেলোয়াড়। আমার মতে ফুটবলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর তিনি। কারণ, তাঁর মাধ্যমে বাংলাদেশ ফুটবলকে কিন্তু চিনতে শুরু করেছে। আমি অবশ্যই গর্বিত, হামজা ভাইয়ের মতো একজন খেলোয়াড়ের সঙ্গে আমাকে নিয়ে আলোচনা করা হয়। বিষয়টা আমি ইতিবাচকভাবে নিই। সতীর্থরাও আমার সঙ্গে উপভোগ করে।
প্রশ্ন: ফ্রান্সের বিপক্ষে (আজকের) ম্যাচ নিয়ে পরিকল্পনা কী?
আমিরুল: প্রথমত আমরা অনেক আত্মবিশ্বাস নিয়ে নিজেদের সেরাটা দিয়ে খেলব। ফ্রান্স অবশ্যই শক্তিশালী, আমরা তাদের সম্মান করি। এটা মাথায় রাখলেও হাল ছেড়ে দেব না। চেষ্টা করব সেরা ফলটা বের করে আনার।
প্রশ্ন: জুনিয়র হকি বিশ্বকাপে প্রথম দুই ম্যাচে হ্যাটট্রিক। ম্যাচসেরাও হয়েছেন। কোনটি এগিয়ে রাখবেন?
আমিরুল: অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে হ্যাটট্রিকটা এগিয়ে রাখব। ম্যাচটা একটু কঠিন ছিল। কারণ, আমরা ৩-০ তে পিছিয়ে ছিলাম। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোটা সহজ ছিল না। খেলোয়াড়দের কৃতিত্ব দেব, আমরা সবাই এক হয়ে খেলার কারণে ড্র করতে পেরেছি।
প্রশ্ন: তিন গোলে পিছিয়ে থাকার পরও ঘুরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে কতটুকু আত্মবিশ্বাসী ছিলেন?
আমিরুল: প্রথমত মাঠে নামার আগে আমাদের যে ব্রিফিং ছিল, সেখানে আলোচনা হয়, আমরা যদি কোনোভাবে গোল হজম করি, হাল ছাড়ব না। শেষ সেকেন্ড পর্যন্ত চেষ্টা করে যাব। ৩ গোল হজম করার পর কোচিং স্টাফের সবাই বলেছে, আমাদের সামর্থ্য আছে ঘুরে দাঁড়ানোর। মানসিকভাবে অনেক শক্তিশালী ছিলাম আমরা। সেই বিশ্বাস নিয়ে আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছি।
প্রশ্ন: বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে হ্যাটট্রিকের ভাবনা ছিল?
আমিরুল: প্রথমত বিশ্বকাপ অবশ্যই আমাদের জন্য আত্মমর্যাদার। প্রথমবারের জন্য আমরা এখানে অংশগ্রহণ করছি, এটা গর্বের বিষয়। আমি যে দুটো ম্যাচে হ্যাটট্রিক করব, সেই ভাবনা মাথায় ছিল না। কোচ আমাকে সুযোগ দিলে সেটা সম্পূর্ণভাবে কাজে লাগানোর চেষ্টা করব এবং এটাই ছিল আমার ভাবনা। কারণ, দল সবার আগে।
প্রশ্ন: আপনাকে ঘিরে আস্থার জায়গাটা এখন বেড়েছে...
আমিরুল: হ্যাঁ। এটা দেখতে পাচ্ছি। অবশ্যই খুশি যে কোচ আমার ওপর আস্থা রাখছেন। এর প্রতিদান দেওয়ার চেষ্টা করছি ৷ আমি অবশ্যই নিজের সেরাটা দেব এবং দলকে সহায়তা করব।
প্রশ্ন: কোচ কীভাবে আপনাকে অনুপ্রাণিত করেন?
আমিরুল: এত বড় মঞ্চে প্রথমবার খেলতে এসেছি। সেখানে মানসিকভাবে শক্তিশালী না হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন আসলে। তাই আমার আত্মবিশ্বাসে এক ভাগও যদি ঘাটতি থাকে, তখন সেটা নিয়ে কোচের সঙ্গে আলোচনা করি। তিনি (সিগফ্রাইড আইকম্যান) অনেক বড় মাপের কোচ। সব সময় আমাকে সহায়তা করেন।
প্রশ্ন: ৬টি গোলই এসেছে পেনাল্টি কর্নার থেকে। পেনাল্টি কর্নারে কীভাবে দক্ষ হয়ে উঠলেন?
আমিরুল: সবচেয়ে বড় অবদান আমি বলব যে বিকেএসপির রাজু স্যার, নান্নু স্যার ও আমাদের সাবেক কোচ গোবিনাথন কৃষ্ণমূর্তি স্যার। তাঁরাই আমাকে অনুপ্রেরণা, পরামর্শ ও সাহস দিয়েছেন। টেকনিক্যালি ও স্ট্রেন্থলি—সবদিক থেকে আমি তাঁদের সহায়তা পেয়েছি। এরপর অনুশীলনে প্রায় ১৫০ বার ড্রাগ ফ্লিক করার চেষ্টা করি।

প্রশ্ন: ড্রাগ অ্যান্ড ফ্লিক করার ক্ষেত্রে প্রথম ভাবনাটা কী থাকে?
আমিরুল: আমি যেন গোল করতে পারি, সেটাই আমার প্রথম ভাবনা থাকে। আমি চেষ্টা করি যে যতটুকু সুযোগ পাব, সেটা কাজে লাগানোর। এ বিষয়ে খুব মনোযোগ দিই। সতীর্থরাও এটা নিয়ে আরও সচেতন থাকে; বিশেষ করে ফরোয়ার্ডরা খুব চেষ্টা করে পেনাল্টি কর্নার আদায় করতে। কারণ, পেনাল্টি কর্নার পেলেই সেটা গোলে পরিণত করার সুযোগ থাকে। আমি চেষ্টা করি সতীর্থদের আস্থার প্রতিদান দেওয়ার।
প্রশ্ন: হকিতে কীভাবে উঠে এলেন?
আমিরুল: ২০১৫ সালে আমি যখন ক্লাস সিক্সে পড়ি, তখন আন্তস্কুল একটা টুর্নামেন্ট হয়েছিল। তো সেখানে হকির স্টিক নিয়ে একটু অনুশীলন করছিলাম। আমার আঙ্কেল হকির কোচিং করাতেন। তাঁর মাধ্যমেই বিকেএসপিতে ভর্তি হওয়া। ছোটবেলা থেকে খেলাধুলার প্রতি বেশি আগ্রহ ছিল। ফুটবল বেশি খেলা হতো আমার। হকিস্টিক যখন হাতে নিলাম, তখন এটাই ভালো লাগতে শুরু করে। অথচ ২০১৫ সালের আগে হকি কী জিনিস, সেটা জানতামই না। হকির জন্য অনেক কিছু পেয়েছি।
প্রশ্ন: মানুষ আপনাকে হকির হামজা বলে। বিষয়টা কেমন লাগে?
আমিরুল: আসলে ঝাঁকড়া চুল আমার অনেক আগে থেকেই। হামজা ভাই অবশ্যই একজন অসাধারণ খেলোয়াড়। আমার মতে ফুটবলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর তিনি। কারণ, তাঁর মাধ্যমে বাংলাদেশ ফুটবলকে কিন্তু চিনতে শুরু করেছে। আমি অবশ্যই গর্বিত, হামজা ভাইয়ের মতো একজন খেলোয়াড়ের সঙ্গে আমাকে নিয়ে আলোচনা করা হয়। বিষয়টা আমি ইতিবাচকভাবে নিই। সতীর্থরাও আমার সঙ্গে উপভোগ করে।
প্রশ্ন: ফ্রান্সের বিপক্ষে (আজকের) ম্যাচ নিয়ে পরিকল্পনা কী?
আমিরুল: প্রথমত আমরা অনেক আত্মবিশ্বাস নিয়ে নিজেদের সেরাটা দিয়ে খেলব। ফ্রান্স অবশ্যই শক্তিশালী, আমরা তাদের সম্মান করি। এটা মাথায় রাখলেও হাল ছেড়ে দেব না। চেষ্টা করব সেরা ফলটা বের করে আনার।

২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে চান লিওনেল মেসি। পারবেন কি না, সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। বিশ্ব ফুটবলের ২৩তম আসরে আর্জেন্টিনা দলের জার্সিতে এই ফরোয়ার্ড মাঠ মাতাবেন কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে। আপাতত মেসি জানালেন, বিশ্বকাপ খেলতে না পারলেও মাঠে বসে দলের খেলা দেখতে চান তিনি।
১১ ঘণ্টা আগে
প্রতিনিধি দলের সব সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না পাওয়ায় ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র বয়কট করেছিল ইরান। এক সপ্তাহের মাথায় নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এল তারা। অর্থাৎ বিশ্ব ফুটবলের ২৩ তম আসরের ড্রতে উপস্থিত থাকবে ইরানের প্রতিনিধি দল।
১২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। চার বছরের বেশি বেশির ভাগ সমর্থকই তাঁকে আর বাংলাদেশের ডাগআউটে দেখতে চান না। বাফুফে অবশ্য এ ব্যাপারে বরাবর নীরবতা দেখিয়ে এসেছে। উন্নতমানের কোচ আনতে বাফুফের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে রাজি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
১৩ ঘণ্টা আগে
সম্প্রতি শেষ হয়েছে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজ। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগে আপাতত কোনো ব্যস্ততা নেই ক্রিকেটারদের। অবসর থাকায় গতকাল রাজধানীর উত্তরার একটি স্কুলে অতিথি হয়ে যান লিটন দাস। ছোট বাচ্চাদের সঙ্গ পেয়ে যেন ছেলেবেলায় ফিরে গিয়েছিলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার। তবে ক্রিকেটের মানুষ বলে কথা।
১৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে চান লিওনেল মেসি। পারবেন কি না, সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। বিশ্ব ফুটবলের ২৩তম আসরে আর্জেন্টিনা দলের জার্সিতে এই ফরোয়ার্ড মাঠ মাতাবেন কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে। আপাতত মেসি জানালেন, বিশ্বকাপ খেলতে না পারলেও মাঠে বসে দলের খেলা দেখতে চান তিনি।
ইচ্ছা থাকলেও আরও একটি বিশ্বকাপ মঞ্চে দেশের প্রতিনিধিত্ব করার বিষয়টি যে হাতে নেই, সেটা ভালোভাবেই জানেন মেসি। কিছুদিন আগে আটবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী জানিয়েছিলেন, শরীর সুস্থ থাকলে ও ফর্ম থাকলে কেবল ২০২৬ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে মাঠে নামবেন তিনি।
ইএসপিএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেসি বলেন, ‘আশা করি, আমি বিশ্বকাপ খেলতে পারব। আগেই বলেছি যে, আমি আরও একটি বিশ্বকাপ খেলতে চাই। বিশ্বকাপ খেলতে না পারা আমার জন্য সবচেয়ে খারাপ হবে। তেমনটা হলে আমি মাঠে বসে দলের খেলা উপভোগ করব।’
লিওনেল স্কালোনির হাত ধরে গত সাড়ে চার বছরে একটি বিশ্বকাপের পাশাপাশি দুটি কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতেছে আর্জেন্টিনা। দলের এমন সাফল্যে কোচের ভূমিকার কথা অকপটে স্বীকার করলেন মেসি, ‘বিশ্বকাপ সবার জন্য, যেকোনো দেশের জন্য বিশেষ; বিশেষ করে আমাদের জন্য। কারণ, আমরা সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে এটা উপভোগ করি। সত্যি কথা হলো, আমাদের অসাধারণ সব খেলোয়াড় আছে। বছরের পর বছর ধরে এটা দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে, লিওনেল স্কালোনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আকাঙ্ক্ষা ও উত্তেজনা অনেকটাই বেড়ে গেছে।’
নিজেদের দল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী মেসি, ‘প্রত্যেকেরই দারুণ মানসিকতা আছে। আমাদের এই দলে অনেক বিজয়ী আছে। যাদের শক্তিশালী মানসিকতা আছে, যারা আরও জিততে চায়। জয়ের ইচ্ছাটা প্রশিক্ষণে ও ম্যাচে দেখা যায়। আমাদের দলটি অসাধারণ। আমরা ভালোভাবে একত্রে কাজ করি। সবাই কঠোর পরিশ্রম করে। নিজ নিজ জায়গা থেকে সেরাটা ঢেলে দেয়। এটাই এই দলের একটি বিশাল শক্তি।’

২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে চান লিওনেল মেসি। পারবেন কি না, সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। বিশ্ব ফুটবলের ২৩তম আসরে আর্জেন্টিনা দলের জার্সিতে এই ফরোয়ার্ড মাঠ মাতাবেন কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে। আপাতত মেসি জানালেন, বিশ্বকাপ খেলতে না পারলেও মাঠে বসে দলের খেলা দেখতে চান তিনি।
ইচ্ছা থাকলেও আরও একটি বিশ্বকাপ মঞ্চে দেশের প্রতিনিধিত্ব করার বিষয়টি যে হাতে নেই, সেটা ভালোভাবেই জানেন মেসি। কিছুদিন আগে আটবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী জানিয়েছিলেন, শরীর সুস্থ থাকলে ও ফর্ম থাকলে কেবল ২০২৬ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে মাঠে নামবেন তিনি।
ইএসপিএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেসি বলেন, ‘আশা করি, আমি বিশ্বকাপ খেলতে পারব। আগেই বলেছি যে, আমি আরও একটি বিশ্বকাপ খেলতে চাই। বিশ্বকাপ খেলতে না পারা আমার জন্য সবচেয়ে খারাপ হবে। তেমনটা হলে আমি মাঠে বসে দলের খেলা উপভোগ করব।’
লিওনেল স্কালোনির হাত ধরে গত সাড়ে চার বছরে একটি বিশ্বকাপের পাশাপাশি দুটি কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতেছে আর্জেন্টিনা। দলের এমন সাফল্যে কোচের ভূমিকার কথা অকপটে স্বীকার করলেন মেসি, ‘বিশ্বকাপ সবার জন্য, যেকোনো দেশের জন্য বিশেষ; বিশেষ করে আমাদের জন্য। কারণ, আমরা সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে এটা উপভোগ করি। সত্যি কথা হলো, আমাদের অসাধারণ সব খেলোয়াড় আছে। বছরের পর বছর ধরে এটা দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে, লিওনেল স্কালোনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আকাঙ্ক্ষা ও উত্তেজনা অনেকটাই বেড়ে গেছে।’
নিজেদের দল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী মেসি, ‘প্রত্যেকেরই দারুণ মানসিকতা আছে। আমাদের এই দলে অনেক বিজয়ী আছে। যাদের শক্তিশালী মানসিকতা আছে, যারা আরও জিততে চায়। জয়ের ইচ্ছাটা প্রশিক্ষণে ও ম্যাচে দেখা যায়। আমাদের দলটি অসাধারণ। আমরা ভালোভাবে একত্রে কাজ করি। সবাই কঠোর পরিশ্রম করে। নিজ নিজ জায়গা থেকে সেরাটা ঢেলে দেয়। এটাই এই দলের একটি বিশাল শক্তি।’

মাথায় ঝাঁকড়া চুল থাকায় কেউ কেউ তাঁকে হামজা চৌধুরী ভেবে বসেন। আসলে নাম তাঁর আমিরুল ইসলাম। ভারতে চলমান জুনিয়র হকি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে আলো ছড়াচ্ছেন ২১ বছর বয়সী এই খেলোয়াড়।
৩ দিন আগে
প্রতিনিধি দলের সব সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না পাওয়ায় ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র বয়কট করেছিল ইরান। এক সপ্তাহের মাথায় নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এল তারা। অর্থাৎ বিশ্ব ফুটবলের ২৩ তম আসরের ড্রতে উপস্থিত থাকবে ইরানের প্রতিনিধি দল।
১২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। চার বছরের বেশি বেশির ভাগ সমর্থকই তাঁকে আর বাংলাদেশের ডাগআউটে দেখতে চান না। বাফুফে অবশ্য এ ব্যাপারে বরাবর নীরবতা দেখিয়ে এসেছে। উন্নতমানের কোচ আনতে বাফুফের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে রাজি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
১৩ ঘণ্টা আগে
সম্প্রতি শেষ হয়েছে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজ। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগে আপাতত কোনো ব্যস্ততা নেই ক্রিকেটারদের। অবসর থাকায় গতকাল রাজধানীর উত্তরার একটি স্কুলে অতিথি হয়ে যান লিটন দাস। ছোট বাচ্চাদের সঙ্গ পেয়ে যেন ছেলেবেলায় ফিরে গিয়েছিলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার। তবে ক্রিকেটের মানুষ বলে কথা।
১৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

প্রতিনিধি দলের সব সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না পাওয়ায় ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র বয়কট করেছিল ইরান। এক সপ্তাহের মাথায় নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এল তারা। অর্থাৎ বিশ্ব ফুটবলের ২৩ তম আসরের ড্রতে উপস্থিত থাকবে ইরানের প্রতিনিধি দল।
বয়কট থেকে সরে এসে দুজনকে ড্র অনুষ্ঠানে পাঠাবে ইরান। দেশটির ক্রীড়া মন্ত্রী আহমাদ ডনজামালি সংবাদ সংস্থা ইরনাকে জানিয়েছেন, ড্র অনুষ্ঠানে উপস্থিত তাকবেন ইরানের প্রধান কোচ আমির গালেনোই। তাঁর সঙ্গী হবেন ইরান ফুটবল ফেডারেশনের (এফএফআইআরআই) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রধান ওমিদ জামালি–প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে বিসিবি। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, তাঁদের দুজনের সঙ্গে কয়েকজন প্রতিনিধিও উপস্থিত থাকতে পারেন।
গত আগস্টে বিশ্বকাপের অন্যতম আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, ৫ ডিসেম্বর ওয়াশিংটনের কেনেডি সেন্টারে ড্র হবে। নিয়ম অনুযায়ী, বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দল হিসেবে ড্রয়ে উপস্থিত থাকার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার জন্য আবেদন করেছিলেন ইরানি ফুটবল ফেডারেশনের ৯ জনের একটি প্রতিনিধি দল। এদের মধ্যে ভিসা পেয়েছেন মাত্র চারজন।
ভিসা না পাওয়ার তালিকায় আছেন ইরানি ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি মেহেদী তাজ। নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকায় গত জুনে ১২ দেশের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এই তালিকায় আছে ইরান। তবে অলিম্পিক ও বিশ্বকাপের মতো বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের কথা ভেবে কোচ, অ্যাথলেট ও নির্বাহীদের এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখা হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথভাবে ২০২৬ বিশ্বকাপ আয়োজন করবে কানাডা ও মেক্সিকো। গত মার্চ মাসে ২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করে ইরান। সপ্তমবারের মতো দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থে অংশ নেবে এশিয়ার দেশটি। আগের ছয় আসরে একবারও নকআউট পর্বে পা রাখতে পারেনি তারা। কাতারে অনুষ্ঠিত ২০২২ বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ১-০ গোলে হেরে যায় ইরান। এর আগে ১৯৯৮ বিশ্বকাপে দলটিকে হারিয়েছিল তারা। বিশ্বমঞ্চে সেটাই তাদের একমাত্র জয়।

প্রতিনিধি দলের সব সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না পাওয়ায় ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র বয়কট করেছিল ইরান। এক সপ্তাহের মাথায় নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এল তারা। অর্থাৎ বিশ্ব ফুটবলের ২৩ তম আসরের ড্রতে উপস্থিত থাকবে ইরানের প্রতিনিধি দল।
বয়কট থেকে সরে এসে দুজনকে ড্র অনুষ্ঠানে পাঠাবে ইরান। দেশটির ক্রীড়া মন্ত্রী আহমাদ ডনজামালি সংবাদ সংস্থা ইরনাকে জানিয়েছেন, ড্র অনুষ্ঠানে উপস্থিত তাকবেন ইরানের প্রধান কোচ আমির গালেনোই। তাঁর সঙ্গী হবেন ইরান ফুটবল ফেডারেশনের (এফএফআইআরআই) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রধান ওমিদ জামালি–প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে বিসিবি। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, তাঁদের দুজনের সঙ্গে কয়েকজন প্রতিনিধিও উপস্থিত থাকতে পারেন।
গত আগস্টে বিশ্বকাপের অন্যতম আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, ৫ ডিসেম্বর ওয়াশিংটনের কেনেডি সেন্টারে ড্র হবে। নিয়ম অনুযায়ী, বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দল হিসেবে ড্রয়ে উপস্থিত থাকার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার জন্য আবেদন করেছিলেন ইরানি ফুটবল ফেডারেশনের ৯ জনের একটি প্রতিনিধি দল। এদের মধ্যে ভিসা পেয়েছেন মাত্র চারজন।
ভিসা না পাওয়ার তালিকায় আছেন ইরানি ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি মেহেদী তাজ। নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকায় গত জুনে ১২ দেশের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এই তালিকায় আছে ইরান। তবে অলিম্পিক ও বিশ্বকাপের মতো বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের কথা ভেবে কোচ, অ্যাথলেট ও নির্বাহীদের এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখা হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথভাবে ২০২৬ বিশ্বকাপ আয়োজন করবে কানাডা ও মেক্সিকো। গত মার্চ মাসে ২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করে ইরান। সপ্তমবারের মতো দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থে অংশ নেবে এশিয়ার দেশটি। আগের ছয় আসরে একবারও নকআউট পর্বে পা রাখতে পারেনি তারা। কাতারে অনুষ্ঠিত ২০২২ বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ১-০ গোলে হেরে যায় ইরান। এর আগে ১৯৯৮ বিশ্বকাপে দলটিকে হারিয়েছিল তারা। বিশ্বমঞ্চে সেটাই তাদের একমাত্র জয়।

মাথায় ঝাঁকড়া চুল থাকায় কেউ কেউ তাঁকে হামজা চৌধুরী ভেবে বসেন। আসলে নাম তাঁর আমিরুল ইসলাম। ভারতে চলমান জুনিয়র হকি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে আলো ছড়াচ্ছেন ২১ বছর বয়সী এই খেলোয়াড়।
৩ দিন আগে
২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে চান লিওনেল মেসি। পারবেন কি না, সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। বিশ্ব ফুটবলের ২৩তম আসরে আর্জেন্টিনা দলের জার্সিতে এই ফরোয়ার্ড মাঠ মাতাবেন কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে। আপাতত মেসি জানালেন, বিশ্বকাপ খেলতে না পারলেও মাঠে বসে দলের খেলা দেখতে চান তিনি।
১১ ঘণ্টা আগে
জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। চার বছরের বেশি বেশির ভাগ সমর্থকই তাঁকে আর বাংলাদেশের ডাগআউটে দেখতে চান না। বাফুফে অবশ্য এ ব্যাপারে বরাবর নীরবতা দেখিয়ে এসেছে। উন্নতমানের কোচ আনতে বাফুফের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে রাজি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
১৩ ঘণ্টা আগে
সম্প্রতি শেষ হয়েছে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজ। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগে আপাতত কোনো ব্যস্ততা নেই ক্রিকেটারদের। অবসর থাকায় গতকাল রাজধানীর উত্তরার একটি স্কুলে অতিথি হয়ে যান লিটন দাস। ছোট বাচ্চাদের সঙ্গ পেয়ে যেন ছেলেবেলায় ফিরে গিয়েছিলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার। তবে ক্রিকেটের মানুষ বলে কথা।
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। চার বছরের বেশি বেশির ভাগ সমর্থকই তাঁকে আর বাংলাদেশের ডাগআউটে দেখতে চান না। বাফুফে অবশ্য এ ব্যাপারে বরাবর নীরবতা দেখিয়ে এসেছে। উন্নতমানের কোচ আনতে বাফুফের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে রাজি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
সচিবালয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের আওতাধীন জেলা ও উপজেলাপর্যায়ে ক্রীড়া স্থাপনা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আজ সাংবাদিকদের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘বাফুফেকে উন্নতমানের ইউরোপীয় পর্যায়ের কোচ আনা এবং নারী খেলোয়াড়দের বেতন বৃদ্ধি—এই দুইটা খাতের জন্য আসলে কোথা থেকে অর্থের জোগাড় করা যায়, সেটা ভাবছি। হয় আমরা অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে নেব অথবা যে ফান্ড আছে, সেখান থেকে সোর্স করে বাফুফেকে একটা ফান্ড দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।’
তাহলে কি হাভিয়ের কাবরেরার পরিবর্তে আসতে যাচ্ছেন নতুন কেউ? উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, ‘সেটা বাফুফের সিদ্ধান্ত। তবে ভালো কোচ আনতে গেলে একটা আর্থিক ব্যাপার আছে। আপনারা জানেন যে, ইউরোপের বড় বড় দলগুলো কোচদের যে টাকা দেয়, সেটা হয়তো আমাদের পুরো বাফুফের বার্ষিক বাজেটের সমান। আমরা এখনই ওই পর্যায়ে যেতে পারব না। তবে উন্নতমানের কোচ আনার ক্ষেত্রে অর্থ যেন একটা বাধা হয়ে না দাঁড়ায়, সেই জায়গা থেকে আমরা একটা সহযোগিতা করার বা একটা ফান্ড তাদের দেওয়ার চেষ্টা করছি।’

জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। চার বছরের বেশি বেশির ভাগ সমর্থকই তাঁকে আর বাংলাদেশের ডাগআউটে দেখতে চান না। বাফুফে অবশ্য এ ব্যাপারে বরাবর নীরবতা দেখিয়ে এসেছে। উন্নতমানের কোচ আনতে বাফুফের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে রাজি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
সচিবালয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের আওতাধীন জেলা ও উপজেলাপর্যায়ে ক্রীড়া স্থাপনা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আজ সাংবাদিকদের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘বাফুফেকে উন্নতমানের ইউরোপীয় পর্যায়ের কোচ আনা এবং নারী খেলোয়াড়দের বেতন বৃদ্ধি—এই দুইটা খাতের জন্য আসলে কোথা থেকে অর্থের জোগাড় করা যায়, সেটা ভাবছি। হয় আমরা অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে নেব অথবা যে ফান্ড আছে, সেখান থেকে সোর্স করে বাফুফেকে একটা ফান্ড দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।’
তাহলে কি হাভিয়ের কাবরেরার পরিবর্তে আসতে যাচ্ছেন নতুন কেউ? উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, ‘সেটা বাফুফের সিদ্ধান্ত। তবে ভালো কোচ আনতে গেলে একটা আর্থিক ব্যাপার আছে। আপনারা জানেন যে, ইউরোপের বড় বড় দলগুলো কোচদের যে টাকা দেয়, সেটা হয়তো আমাদের পুরো বাফুফের বার্ষিক বাজেটের সমান। আমরা এখনই ওই পর্যায়ে যেতে পারব না। তবে উন্নতমানের কোচ আনার ক্ষেত্রে অর্থ যেন একটা বাধা হয়ে না দাঁড়ায়, সেই জায়গা থেকে আমরা একটা সহযোগিতা করার বা একটা ফান্ড তাদের দেওয়ার চেষ্টা করছি।’

মাথায় ঝাঁকড়া চুল থাকায় কেউ কেউ তাঁকে হামজা চৌধুরী ভেবে বসেন। আসলে নাম তাঁর আমিরুল ইসলাম। ভারতে চলমান জুনিয়র হকি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে আলো ছড়াচ্ছেন ২১ বছর বয়সী এই খেলোয়াড়।
৩ দিন আগে
২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে চান লিওনেল মেসি। পারবেন কি না, সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। বিশ্ব ফুটবলের ২৩তম আসরে আর্জেন্টিনা দলের জার্সিতে এই ফরোয়ার্ড মাঠ মাতাবেন কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে। আপাতত মেসি জানালেন, বিশ্বকাপ খেলতে না পারলেও মাঠে বসে দলের খেলা দেখতে চান তিনি।
১১ ঘণ্টা আগে
প্রতিনিধি দলের সব সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না পাওয়ায় ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র বয়কট করেছিল ইরান। এক সপ্তাহের মাথায় নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এল তারা। অর্থাৎ বিশ্ব ফুটবলের ২৩ তম আসরের ড্রতে উপস্থিত থাকবে ইরানের প্রতিনিধি দল।
১২ ঘণ্টা আগে
সম্প্রতি শেষ হয়েছে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজ। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগে আপাতত কোনো ব্যস্ততা নেই ক্রিকেটারদের। অবসর থাকায় গতকাল রাজধানীর উত্তরার একটি স্কুলে অতিথি হয়ে যান লিটন দাস। ছোট বাচ্চাদের সঙ্গ পেয়ে যেন ছেলেবেলায় ফিরে গিয়েছিলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার। তবে ক্রিকেটের মানুষ বলে কথা।
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজ শেষে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগে আপাতত কোনো ব্যস্ততা নেই জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের। এই অবসরে আজ রাজধানীর উত্তরার একটি স্কুলে অতিথি হয়ে গেলেন লিটন দাস। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সময় কাটাতে গিয়ে যেন ছেলেবেলায় ফিরে গেলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। সেখানে স্বাভাবিকভাবেই সেখানে এল বাংলাদেশ দল-প্রসঙ্গ। সেখানে লিটন জানিয়েছেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে খুব বেশি পরিবর্তনের পক্ষে নন তিনি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হবে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি। তার আগে প্রস্তুতির দারুণ এক মঞ্চ হিসেবে বিপিএলে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। দেশের সবচেয়ে বড় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে ভালো করতে পারলে নতুন করে জাতীয় দলের দরজায় কড়া নাড়ার সুযোগ মেলে অনেক ক্রিকেটারের। গত এক বছরে জাতীয় দলে নেই কিন্তু বিপিএলে ভালো করে ফেলল, এমন কোনো ক্রিকেটারের সুযোগ কি মিলবে ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে? লিটন হতাশ করছেন না। বিপিএলে ভালো করলে দরজা খোলাই থাকবে বলে মনে করেন তিনি। তবে জাতীয় দলে টানা খেলার মধ্যে থাকা ক্রিকেটারদের প্রাধান্যই বেশি তাঁর কাছে।
লিটন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘যাঁরা অনেকদিন ধরে এই সংস্করণে খেলে আসছে তাঁদের প্রাধান্যই বেশি। এই দলে যে বাড়তি কোনো খেলোয়াড় ঢুকবে না বিষয়টা তাও না। কিন্তু যাঁরা এতদিন ধরে এই সংস্করণে খেলছে, ভালো করছে, আমার কাছে মনে হয় অভিজ্ঞতা তাঁদেরই বেশি। তবু বিপিএল বাংলাদেশের অনেক বড় একটা টুর্নামেন্ট। যদি কোনো খেলোয়াড় ভালো করে, সেক্ষেত্রে নির্বাচক বা কোচ যদি মনে করে যে আমাদের ওই খেলোয়াড়কে দরকার তাহলে কেন নয়? বাংলাদেশের সবার জন্যই জায়গাটা খোলা আছে।’
বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতির শেষ মঞ্চ হওয়ায় বিপিএলে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ভালো খেলার তাগিদ দিলেন লিটন, ‘অনেক দিন ধরেই তো এই খেলোয়াড়েরা ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলছে। আমার মনে হয় চলতি বছর আমরা ১৮–১৯ জন খেলোয়াড় টি-টোয়েন্টি সংস্করণে খেলেছি। দল তো হয়ই ১৫-১৬ জনের। আমার মনে হয় যেসব খেলোয়াড় দলে ছিল, তারা পারফর্ম করেছে। তারা বিশ্বকাপ খেলার দাবিদার। নিকট অতীতে আমাদের মিডলঅর্ডার নিয়ে কিছুটা সমস্যা তৈরি হয়েছিল। আমি সেটা নিয়ে চিন্তিত ছিলাম না। কারণ আমাদের দুই-একটা খেলোয়াড় রানে ফিরেছে। এখন আমরা যদি বিপিএলে ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি, খেলোয়াড়দের যে মানসিকতা থাকবে, বিশ্বকাপে সেটা কাজে দেবে।’

বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজ শেষে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগে আপাতত কোনো ব্যস্ততা নেই জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের। এই অবসরে আজ রাজধানীর উত্তরার একটি স্কুলে অতিথি হয়ে গেলেন লিটন দাস। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সময় কাটাতে গিয়ে যেন ছেলেবেলায় ফিরে গেলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। সেখানে স্বাভাবিকভাবেই সেখানে এল বাংলাদেশ দল-প্রসঙ্গ। সেখানে লিটন জানিয়েছেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে খুব বেশি পরিবর্তনের পক্ষে নন তিনি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হবে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি। তার আগে প্রস্তুতির দারুণ এক মঞ্চ হিসেবে বিপিএলে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। দেশের সবচেয়ে বড় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে ভালো করতে পারলে নতুন করে জাতীয় দলের দরজায় কড়া নাড়ার সুযোগ মেলে অনেক ক্রিকেটারের। গত এক বছরে জাতীয় দলে নেই কিন্তু বিপিএলে ভালো করে ফেলল, এমন কোনো ক্রিকেটারের সুযোগ কি মিলবে ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে? লিটন হতাশ করছেন না। বিপিএলে ভালো করলে দরজা খোলাই থাকবে বলে মনে করেন তিনি। তবে জাতীয় দলে টানা খেলার মধ্যে থাকা ক্রিকেটারদের প্রাধান্যই বেশি তাঁর কাছে।
লিটন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘যাঁরা অনেকদিন ধরে এই সংস্করণে খেলে আসছে তাঁদের প্রাধান্যই বেশি। এই দলে যে বাড়তি কোনো খেলোয়াড় ঢুকবে না বিষয়টা তাও না। কিন্তু যাঁরা এতদিন ধরে এই সংস্করণে খেলছে, ভালো করছে, আমার কাছে মনে হয় অভিজ্ঞতা তাঁদেরই বেশি। তবু বিপিএল বাংলাদেশের অনেক বড় একটা টুর্নামেন্ট। যদি কোনো খেলোয়াড় ভালো করে, সেক্ষেত্রে নির্বাচক বা কোচ যদি মনে করে যে আমাদের ওই খেলোয়াড়কে দরকার তাহলে কেন নয়? বাংলাদেশের সবার জন্যই জায়গাটা খোলা আছে।’
বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতির শেষ মঞ্চ হওয়ায় বিপিএলে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ভালো খেলার তাগিদ দিলেন লিটন, ‘অনেক দিন ধরেই তো এই খেলোয়াড়েরা ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলছে। আমার মনে হয় চলতি বছর আমরা ১৮–১৯ জন খেলোয়াড় টি-টোয়েন্টি সংস্করণে খেলেছি। দল তো হয়ই ১৫-১৬ জনের। আমার মনে হয় যেসব খেলোয়াড় দলে ছিল, তারা পারফর্ম করেছে। তারা বিশ্বকাপ খেলার দাবিদার। নিকট অতীতে আমাদের মিডলঅর্ডার নিয়ে কিছুটা সমস্যা তৈরি হয়েছিল। আমি সেটা নিয়ে চিন্তিত ছিলাম না। কারণ আমাদের দুই-একটা খেলোয়াড় রানে ফিরেছে। এখন আমরা যদি বিপিএলে ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি, খেলোয়াড়দের যে মানসিকতা থাকবে, বিশ্বকাপে সেটা কাজে দেবে।’

মাথায় ঝাঁকড়া চুল থাকায় কেউ কেউ তাঁকে হামজা চৌধুরী ভেবে বসেন। আসলে নাম তাঁর আমিরুল ইসলাম। ভারতে চলমান জুনিয়র হকি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে আলো ছড়াচ্ছেন ২১ বছর বয়সী এই খেলোয়াড়।
৩ দিন আগে
২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে চান লিওনেল মেসি। পারবেন কি না, সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। বিশ্ব ফুটবলের ২৩তম আসরে আর্জেন্টিনা দলের জার্সিতে এই ফরোয়ার্ড মাঠ মাতাবেন কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে। আপাতত মেসি জানালেন, বিশ্বকাপ খেলতে না পারলেও মাঠে বসে দলের খেলা দেখতে চান তিনি।
১১ ঘণ্টা আগে
প্রতিনিধি দলের সব সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না পাওয়ায় ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র বয়কট করেছিল ইরান। এক সপ্তাহের মাথায় নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এল তারা। অর্থাৎ বিশ্ব ফুটবলের ২৩ তম আসরের ড্রতে উপস্থিত থাকবে ইরানের প্রতিনিধি দল।
১২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। চার বছরের বেশি বেশির ভাগ সমর্থকই তাঁকে আর বাংলাদেশের ডাগআউটে দেখতে চান না। বাফুফে অবশ্য এ ব্যাপারে বরাবর নীরবতা দেখিয়ে এসেছে। উন্নতমানের কোচ আনতে বাফুফের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে রাজি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
১৩ ঘণ্টা আগে