নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে গেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ৩টা ৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে তিনি ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। ইমিগ্রেশনের ডিআইজি মোয়াজ্জেম হোসেন তাঁর বিদেশযাত্রার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, রাত ১১টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। পরে ইমিগ্রেশনে আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাঁকে দেশত্যাগে কোনো বাধা দেওয়া হয়নি।
আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র। তবে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বা আদালতের কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি হয়নি।
বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশের বিশেষ শাখার এস এস আখতারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁর বিরুদ্ধে আদালতের কোনো নিষেধাজ্ঞা বা গ্রেপ্তারের নির্দেশনা আমাদের কাছে ছিল না। সংবিধানের ৩৪ ও ১০২ ধারা অনুযায়ী, আদালতের সুনির্দিষ্ট আদেশ ছাড়া কাউকে দেশত্যাগে বাধা দেওয়া যায় না।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোনো গোয়েন্দা সংস্থা থেকেও তাঁর বিষয়ে আলাদা কোনো নির্দেশনা আসেনি। বয়স বিবেচনায়ও বিষয়টি দেখা হয়েছে।’
সবকিছু বিবেচনা করে তাঁকে যেতে দেওয়া হয়েছে বলে জানান আখতারুজ্জামান।
জানা গেছে, তাঁর শ্যালক অধ্যাপক ডা. আ. ন. ম নৌশাদ খান সফরসঙ্গী হিসেবে গেছেন।
আবদুল হামিদের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, আগামীকাল শুক্রবার থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর কথা রয়েছে। চিকিৎসা শেষে তাঁর দেশে ফিরে আসার কথা রয়েছে।
আবদুল হামিদের ছেলের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা জানান, স্যার বেশ কয়েক মাস ধরে শারীরিকভাবে অসুস্থ। তিনি গত মাসে ১০ দিনের বেশি একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। চিকিৎসকদের পরামর্শেই বিদেশে গেছেন তিনি।
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ১৯৪৪ সালের ১ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার কামালপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। স্থানীয় গুরুদয়াল কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক শেষ করে ঢাকার সেন্ট্রাল ল কলেজ থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর কিশোরগঞ্জে আইন পেশায় যুক্ত হন।
ছাত্রজীবনে রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে ১৯৫৯ সালে ছাত্রলীগে যোগ দেন। ১৯৬১ সালে আইয়ুববিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়ে কারাবরণ করেন। পরে কিশোরগঞ্জ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬৯ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দেন।
১৯৭০ সালে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়ে জাতীয় রাজনীতিতে উঠে আসেন। মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণের পর ১৯৭৩, ১৯৮৬, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
ডেপুটি স্পিকার, স্পিকার এবং সর্বশেষ ২০১৩ সালে দেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন আবদুল হামিদ। রাষ্ট্রপতি হিসেবে তিনি দুটি পূর্ণ মেয়াদ সম্পন্ন করেন।
মুক্তিযুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৩ সালে তাঁকে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করা হয়।
চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে গেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ৩টা ৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে তিনি ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। ইমিগ্রেশনের ডিআইজি মোয়াজ্জেম হোসেন তাঁর বিদেশযাত্রার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, রাত ১১টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। পরে ইমিগ্রেশনে আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাঁকে দেশত্যাগে কোনো বাধা দেওয়া হয়নি।
আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র। তবে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বা আদালতের কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি হয়নি।
বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশের বিশেষ শাখার এস এস আখতারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁর বিরুদ্ধে আদালতের কোনো নিষেধাজ্ঞা বা গ্রেপ্তারের নির্দেশনা আমাদের কাছে ছিল না। সংবিধানের ৩৪ ও ১০২ ধারা অনুযায়ী, আদালতের সুনির্দিষ্ট আদেশ ছাড়া কাউকে দেশত্যাগে বাধা দেওয়া যায় না।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোনো গোয়েন্দা সংস্থা থেকেও তাঁর বিষয়ে আলাদা কোনো নির্দেশনা আসেনি। বয়স বিবেচনায়ও বিষয়টি দেখা হয়েছে।’
সবকিছু বিবেচনা করে তাঁকে যেতে দেওয়া হয়েছে বলে জানান আখতারুজ্জামান।
জানা গেছে, তাঁর শ্যালক অধ্যাপক ডা. আ. ন. ম নৌশাদ খান সফরসঙ্গী হিসেবে গেছেন।
আবদুল হামিদের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, আগামীকাল শুক্রবার থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর কথা রয়েছে। চিকিৎসা শেষে তাঁর দেশে ফিরে আসার কথা রয়েছে।
আবদুল হামিদের ছেলের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা জানান, স্যার বেশ কয়েক মাস ধরে শারীরিকভাবে অসুস্থ। তিনি গত মাসে ১০ দিনের বেশি একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। চিকিৎসকদের পরামর্শেই বিদেশে গেছেন তিনি।
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ১৯৪৪ সালের ১ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার কামালপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। স্থানীয় গুরুদয়াল কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক শেষ করে ঢাকার সেন্ট্রাল ল কলেজ থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর কিশোরগঞ্জে আইন পেশায় যুক্ত হন।
ছাত্রজীবনে রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে ১৯৫৯ সালে ছাত্রলীগে যোগ দেন। ১৯৬১ সালে আইয়ুববিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়ে কারাবরণ করেন। পরে কিশোরগঞ্জ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬৯ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দেন।
১৯৭০ সালে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়ে জাতীয় রাজনীতিতে উঠে আসেন। মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণের পর ১৯৭৩, ১৯৮৬, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
ডেপুটি স্পিকার, স্পিকার এবং সর্বশেষ ২০১৩ সালে দেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন আবদুল হামিদ। রাষ্ট্রপতি হিসেবে তিনি দুটি পূর্ণ মেয়াদ সম্পন্ন করেন।
মুক্তিযুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৩ সালে তাঁকে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করা হয়।
একের পর এক নাগরিকের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁসের ঘটনার পর যেন টনক নড়েছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি)। তথ্য ফাঁস বন্ধে চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের ‘হিট’ নিয়ন্ত্রণে ‘ক্যাপিং’, অর্থাৎ ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়ার পদ্ধতি চালু করার কথা ভাবছে কমিশন।
৫ ঘণ্টা আগেআগামী জুলাই মাস থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু করতে চায় সরকার। কিন্তু এ জন্য যে নতুন টার্মিনাল নির্মাণ করা হচ্ছে, সেটির কাজ এখনো শেষ হয়নি। এ অবস্থায় বিদ্যমান টার্মিনাল ব্যবহার করে সীমিত পরিসরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার চিন্তা রয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেবিদ্যমান পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সর্বদলীয় বৈঠকের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না বলে জানা গেছে। সরকারের সূত্র বলছে, রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারলেই সে ক্ষেত্রে সর্বদলীয় বৈঠক সম্ভব হতে পারে।
৬ ঘণ্টা আগেশেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকার ৯ মাস পার করল; কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতানৈক্য এবং রাজপথে প্রতিদিনের আন্দোলনে এখনো সুস্থির হতে পারছে না।
৭ ঘণ্টা আগে