Ajker Patrika

সংক্রামক রোগ: চার দশকে ১৬ জেলায় অ্যানথ্রাক্স

  • এবার রংপুরে মানবদেহে শনাক্তের হার পরীক্ষার ৫২%।
  • গাইডলাইন অনুযায়ী চিকিৎসা চলছে: আইইডিসিআর
  • পশুকে টিকাদান ও মানুষের আচরণগত পরিবর্তনে জোর।
  • দেশে ১৯৮০ সালে প্রথম সংক্রমণের তথ্য মেলে।
মুহাম্মাদ শফিউল্লাহ, ঢাকা
আপডেট : ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ১৬: ১০
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

দেশে চার দশকের বেশি সময় ধরে সংক্রামক রোগ অ্যানথ্রাক্সের (তড়কা রোগ) সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে মূলত উত্তরাঞ্চলসহ সব মিলিয়ে ১৬টি জেলায় রোগটির প্রাদুর্ভাব ঘটেছে। সম্প্রতি উত্তরাঞ্চলের রংপুর ও গাইবান্ধায় গবাদিপশুর মধ্যে রোগটি শনাক্ত হয়েছে। রংপুরে মানবদেহেও কয়েকটি সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়েছে।

অ্যানথ্রাক্সের সাম্প্রতিক বিস্তার নিয়ে উপদ্রুত এলাকার প্রান্তিক মানুষের মধ্যে উদ্বেগ দেখা গেছে। তবে বিশেষজ্ঞরা অভয় দিয়ে বলছেন, গবাদিপশুকে টিকা দেওয়া এবং মানুষের আচরণগত পরিবর্তনের মাধ্যমে এই রোগ প্রতিরোধ সম্ভব।

সংক্রমণের ইতিহাস

অ্যানথ্রাক্স ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট একটি রোগ। গবাদিপশুর মধ্যে বহু আগে থেকেই এটি হয়ে আসছে। রোগটি প্রাণী থেকে প্রাণী বা মানুষ থেকে মানুষে সহজেই সংক্রমিত হয় না। সংক্রমণ ঘটে তখনই যখন জীবাণুর স্পোর বা ‘বীজ’ মুখ, শ্বাসনালি বা ত্বকের ক্ষত দিয়ে দেহে প্রবেশ করে।

বাংলাদেশে ১৯৮০ সাল থেকে গবাদিপশু এবং তা থেকে মানুষের মধ্যে অ্যানথ্রাক্স সংক্রমণের তথ্য পাওয়া যায়। রোগটি প্রথম শনাক্ত হয়েছিল পাবনা জেলায়। পরে সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, রাজশাহী, মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর, বগুড়া, সাতক্ষীরা, লালমনিরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গা, রাজবাড়ী ও চট্টগ্রামে সংক্রমণ দেখা গেছে। রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) রিপোর্ট এবং যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বৈজ্ঞানিক সাময়িকী ‘হিলিয়ন’ ও সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বৈজ্ঞানিক সাময়িকী ‘ফ্রন্টিয়ার্স’-এর গবেষণায় এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।

১৯৮০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রকাশিত ২৭টি প্রবন্ধের তথ্য বিশ্লেষণ করে তৈরি করা একটি গবেষণাপত্র মার্কিন বিজ্ঞান সাময়িকী হিলিয়নে প্রকাশিত হয়েছে। ‘অ্যানিমেল, হিউম্যান অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল পারস্পেকটিভ অব অ্যানথ্রাক্স ইন বাংলাদেশ’ (বাংলাদেশে অ্যানথ্রাক্স সংক্রমণের প্রাণিজ, মানব ও পরিবেশগত দিক) শিরোনামের গবেষণাটিতে বলা হয়, ১৯৮০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৬ হাজারের বেশি পশু আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ দশমিক ৭ শতাংশ মারা গেছে। এতে বলা হয়, মানুষের অ্যানথ্রাক্স সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায় আক্রান্ত প্রাণী জবাই করা এবং তার মাংস কাটার সময় কাঁচা মাংস বা রক্তের সংস্পর্শে আসা। মৃত পশু জলাশয়ে ফেলাসহ বিভিন্নভাবে পরিবেশে অ্যানথ্রাক্স জীবাণু ছড়ায়।

নিয়ন্ত্রণে ‘ওয়ান হেলথ’ পদ্ধতি

সংশ্লিষ্ট গবেষকেরা বলেছেন, অ্যানথ্রাক্সের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ‘ওয়ান হেলথ’ পদ্ধতি প্রয়োজন। এই পদ্ধতিতে শুধু পশুর টিকাদানই নয়, মানুষের সামাজিক আচরণ ও জীবনাচারের পরিবর্তন, পরিবেশ ব্যবস্থাপনা এবং নিয়মিত নজরদারি কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত থাকে। এর মাধ্যমে রোগের প্রাদুর্ভাব কমানো এবং সংক্রমণ প্রতিরোধে সমন্বিত কার্যক্রম চালানো সম্ভব হয়।

হিলিয়নের গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশে প্রাণী ও মানুষের উভয়ের ক্ষেত্রে সংক্রমণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। মানুষের শরীরে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কিউটেনিয়াস অ্যানথ্রাক্স (ত্বকের অ্যানথ্রাক্স) শনাক্ত হয়েছে। বিশেষ করে পরিবেশগত, ভৌগোলিক ও সাংস্কৃতিক কারণে পাবনা, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল ও মেহেরপুরের প্রাণী ও মানুষ উভয়ই সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছে। এই চার জেলার পাশাপাশি কুষ্টিয়া ও রাজশাহীকে অ্যানথ্রাক্সপ্রবণ এলাকা বলা হয়। এ ছাড়া মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, বগুড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গা, লক্ষ্মীপুর ও চট্টগ্রামে একাধিক প্রাদুর্ভাব ঘটেছে।

সংক্রমণ ছড়ানোর কারণ

উল্লিখিত গবেষণায় বলা হয়েছে, গবাদিপশুতে অ্যানথ্রাক্সের সংক্রমণ বাড়ার মূল কারণ হলো কম টিকাদান, টিকার অপর্যাপ্ত সরবরাহ, দূষিত ঘাস বা পানি খাওয়া, সঠিকভাবে চিকিৎসা না হওয়া এবং মৃত প্রাণিদেহ সঠিকভাবে পুঁতে না ফেলা। মানুষের অ্যানথ্রাক্স সাধারণত প্রাণীর সংক্রমণের পর ঘটে। আক্রান্ত প্রাণী জবাই এবং তার কাঁচা মাংস, রক্ত, চামড়া ও অন্যান্য প্রাণিজ উপকরণের সংস্পর্শে এলে মানুষের সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। অসুস্থ প্রাণী জবাই করা ব্যক্তির সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি প্রায় ২২ গুণ বেশি। কাঁচা মাংস ব্যবস্থাপনায় যুক্তদের ঝুঁকি প্রায় দুই গুণ বেশি। মৃতদেহ বা প্রাণিজ বর্জ্যের সঠিক ব্যবস্থাপনা না হলে পরিবেশে অ্যানথ্রাক্স জীবাণু দীর্ঘ সময় বিচরণ করতে পারে।

ওপরের গবেষণাপত্রের মুখ্য গবেষক ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. শেখ শাহিনুর ইসলাম বলেন, ‘অ্যানথ্রাক্সের ঝুঁকি পরিবেশ, প্রাণী ও মানুষের সংযোগে নিহিত। মাটি থেকে প্রাণী সংক্রমিত হয়, প্রাণীর মাধ্যমে মানুষে ছড়ায়। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের যমুনা অববাহিকা এলাকার মাটিতে এ জীবাণুর ঘনত্ব বেশি থাকতে পারে। এটি প্রতিরোধের মূল উপায় প্রাণীকে টিকাদান, সচেতনতা বৃদ্ধি, আচরণ পরিবর্তন এবং দ্রুত চিকিৎসা।’

মানব সংক্রমণ বেশি ছিল মেহেরপুরে

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বৈজ্ঞানিক সাময়িকী ফ্রন্টিয়ার্সে ‘রিস্ক ফ্যাক্টরস অ্যাসোসিয়েটেড উইথ কিউটেনিয়াস অ্যানথ্র্যাক্স আউটব্রেক ইন হিউম্যানস ইন বাংলাদেশ’ (বাংলাদেশে মানুষের মধ্যে ত্বকের অ্যানথ্রাক্স ছড়ানোর ক্ষেত্রে ঝুঁকিগুলো) শিরোনামে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০১৩ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে সন্দেহভাজন রোগীর মধ্যে ৬১ শতাংশই মেহেরপুরে। আক্রান্তদের বেশির ভাগই পশুপালন ও ব্যবস্থাপনায় যুক্ত ছিলেন। ২০১৯ সালে পূর্ববর্তী প্রাদুর্ভাবের ভিত্তিতে সিরাজগঞ্জ, পাবনা, মেহেরপুর, টাঙ্গাইল ও রাজশাহীর বিভিন্ন উপজেলায় জোরদার নজরদারি চালানো হয়। ২০২০ সাল থেকে অধিকাংশ মানব সংক্রমণের তথ্য আসে মেহেরপুর জেলা থেকে। ২০২৩ সালে ৬৫৫ জন সন্দেহভাজন রোগীর শরীরের ১৪২টি নমুনা পরীক্ষা করে ৭৮টিতে রোগটি শনাক্ত হয়। সে বছরের প্রায় সব মানব সংক্রমণ পাওয়া যায় মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায়। এ ছাড়া ২০১০ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে ১৬টি জেলায় আড়াই হাজার সন্দেহভাজন রোগীর তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।

সরকারি প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআরের পরিচালক ডা. তাহমিনা শিরীন গত রোববার আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, এবার রংপুরের বিভিন্ন উপজেলার মানুষের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পীরগাছা থেকে ১২টি, কাউনিয়া থেকে ৪টি ও মিঠাপুকুর থেকে ৫টি—মোট ২১টি নমুনার মধ্যে ১১টিতেই পজিটিভ ধরা পড়েছে।

ডা. তাহমিনা শিরীন বলেন, নমুনার তথ্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে সরবরাহ করা হয়েছে। গাইডলাইন অনুযায়ী চিকিৎসা প্রদান এবং কমিউনিটি সচেতনতা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর টিকা কার্যক্রম চালাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

মানুষের অ্যানথ্র্যাক্সের তিন ধরন

আইইডিসিআরের তথ্য অনুযায়ী, মানুষের শরীরে অ্যানথ্রাক্স মূলত তিন ধরনের হয়—ত্বকের, পাচনতন্ত্রের ও শ্বাসনালির অ্যানথ্রাক্স। ত্বকের অ্যানথ্রাক্স সবচেয়ে সাধারণ। প্রায় ৯৫ শতাংশ সংক্রমণই এই ধরনের। যথাযথ অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগে রোগী সুস্থ হয়ে যায়। এতে মৃত্যুর আশঙ্কা কম। পাচনতন্ত্রের অ্যানথ্রাক্স সংক্রমণ ঘটে আক্রান্ত পশুর মাংস খাওয়ার মাধ্যমে। এতে মৃত্যুর হার ২৫ থেকে ৭৫ শতাংশ। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত এই ধরনের সংক্রমণের ঘটনা পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হয়নি। শ্বাসনালির অ্যানথ্রাক্স অত্যন্ত বিরল ও মারাত্মক। প্রাথমিকভাবে এর উপসর্গ সর্দিজ্বরের মতো। সাময়িক স্বস্তির পর রোগী দ্রুত জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও শকে আক্রান্ত হয়। প্রথম ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে চিকিৎসা দেওয়া না হলে মৃত্যুর হার প্রায় ৯৫ শতাংশ।

বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ও কর্তৃপক্ষের কথা

আইইডিসিআরের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠানটির উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন জানান, দেশে অ্যানথ্রাক্সে গবাদিপশুর মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেলেও মানুষের মৃত্যুর হার এখনো স্পষ্ট নয়। তিনি বলেন, মানুষের মধ্যে রোগটি ছড়ানো প্রতিরোধের জন্য অসুস্থ পশু জবাই এড়ানো, শরীরে কোনো ক্ষত থাকলে তা ঢেকে রাখা এবং পশুর টিকাদান ইত্যাদি জরুরি। যাঁরা পশুর মাংস কাটাকাটি করেন, তাঁদের সচেতনতা তথা নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ। মুশতাক হোসেনও ‘ওয়ান হেলথ’ কৌশলের তাগিদ দেন, যেখানে প্রাণী, মানুষ ও পরিবেশের সংযোগ বিবেচনা করা হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. হালিমুর রশিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন এবং সিভিল সার্জনরা তথ্য সংগ্রহ করছেন এবং সতর্কতা অবলম্বন করছেন। গাইডলাইন অনুযায়ী রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আর প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর পশুকে টিকা দিচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সম্পদের হিসাব দিয়েছি, কূটনৈতিক পাসপোর্ট ক্যানসেল করেছি: আসিফ মাহমুদ

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা ­­
ভারতকে হারানোর পর ২ কোটি টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।ছবি: ফাইল ছবি
ভারতকে হারানোর পর ২ কোটি টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।ছবি: ফাইল ছবি

সরকারের কাছে সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দেওয়ার পাশাপাশি নিজের কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করেছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। পদত্যাগের আগে আজ বুধবার বিকেলে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এতথ্য জানান।

আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘ইতিমধ্যে আজ সকালেই আমি সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল করেছি এবং আমার যে কূটনৈতিক পাসপোর্ট আছে সেটাও আমি ক্যানসেল করেছি।’

আপনি এনসিপির সঙ্গে নির্বাচন করবেন কিনা বিষয়টা স্পষ্ট করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘ধোঁয়াশা রাখছি না, এ বিষয়ে আসলে সত্যিকার অর্থেই কোন সিদ্ধান্ত হয়নি এখনো। আর এ বিষয়ে যদি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়, তাহলে আপনারা সবাই জানতে পারবেন এবং যে দলের কথা বললেন অবশ্যই যারা গণঅভ্যুত্থানে আমার সহযোদ্ধা ছিলেন তারাই সেই দলটা করেছে।’

তিনি বলেন, ‘তবে আমি আরো অনেক আগেই বলেছি যে এটা ধরে নেয়া ঠিক হবে না যে আমি সেই দলেই যুক্ত হব বা অংশগ্রহণ করব। তবে আশা করি আগামী কয়েকদিনের মধ্যে সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে। আমি মনে করি যে আপনাদের জায়গা থেকে বস্তুনিষ্ঠ তথ্যের প্রতি আসলে মনোযোগটা দেওয়া উচিত।’

উপদেষ্টা বলেন, ‘দায়িত্বে থাকাকালীন অবশ্যই আওয়ামী লীগের বিদায় নেয়ার পরে বাংলাদেশে বাক স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তবে আমি মনে করি কোন কোন ক্ষেত্রে অনেকেই বাক স্বাধীনতার অপপ্রয়োগও করেছেন। অনেক সংবাদ মাধ্যমও করেছে। যদিও আমাদের জায়গা থেকে আমরা সেটা পরিষ্কার করার চেষ্টা করেছি। বাক স্বাধীনতা থাকবে এবং সেটার যেন প্রকৃত ব্যবহারটাও সবাই নিশ্চিত করে। সৎ ব্যবহারটা নিশ্চিত করে এটাই আমার প্রত্যাশা থাকবে। আমার দিক থেকে আমি প্র্যাকটিস করার চেষ্টা করব। আপনাদের দিক থেকে আপনারা করবেন এটাই প্রত্যাশা থাকবে।’

এ সময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী সহ মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রধান বিচারপতির সঙ্গে জার্মান রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আজ বুধবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত রুডিগার লোটজ। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ বুধবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত রুডিগার লোটজ। ছবি: আজকের পত্রিকা

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত রুডিগার লোটজ। আজ বুধবার বেলা ২টার দিকে প্রধান বিচারপতির কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

সাক্ষাৎকালে জার্মান রাষ্ট্রদূত বিচার বিভাগের প্রাতিষ্ঠানিক স্বতন্ত্রীকরণের জন্য প্রধান বিচারপতির নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগ এবং সেসব বাস্তবায়নের প্রশংসা করেন। বিশেষ করে, সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠার ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। এ সময় রাষ্ট্রদূত বলেন, আগামী দিনগুলোতে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণে বর্তমান প্রধান বিচারপতির দেখানো পথ ভবিষ্যতে পথপ্রদর্শকের ভূমিকা পালন করবে।

সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশে শক্তিশালী বিচার বিভাগ গঠনে জার্মানি বাংলাদেশকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত বলে প্রধান বিচারপতিকে অবহিত করেন রাষ্ট্রদূত রুডিগার লোটজ। প্রধান বিচারপতি জার্মান রাষ্ট্রদূতকে বিপ্লবোত্তর বাংলাদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় তাঁর অঙ্গীকার বাস্তবায়নের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন মর্মে অবহিত করেন। সে সঙ্গে উভয় দেশের বিচার বিভাগের পারস্পরিক সম্পর্ক বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিজয় দিবস উপলক্ষে সাজা মওকুফে মুক্তি পাচ্ছেন পাঁচ বন্দী

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বিজয় দিবস উপলক্ষে সাজা মওকুফে মুক্তি পাচ্ছেন পাঁচ বন্দী

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন কারাগারে থাকা পাঁচজন বন্দীর অবশিষ্ট সাজা মওকুফ করা হয়েছে। তাঁদের মুক্তির আদেশ জারি করেছে কারা অধিদপ্তর।

কারা অধিদপ্তরের সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (মিডিয়া ও উন্নয়ন) মো. জান্নাত-উল ফরহাদ জানান, ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে লঘু অপরাধে দণ্ডিত বন্দীদের মধ্য থেকে পাঁচজনের সাজা মওকুফের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আদেশ প্রাপ্তির পর থেকে তাঁদের মুক্তির প্রক্রিয়া কার্যকর করা হবে।

জান্নাত-উল ফরহাদ আরও জানান, প্রতিবছরের মতো এবারও জাতীয় দিবস উপলক্ষে দয়া প্রদর্শনের অংশ হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জয়কে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। ছবি: ফাইল ছবি
শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। ছবি: ফাইল ছবি

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ইন্টারনেট বন্ধ করে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই আদেশ দেন।

শুনানিতে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, এ মামলায় আসামি দুজন। এর মধ্যে জয় পলাতক। অপর আসামি সাবেক তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তাঁকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। তিনি জয়কে হাজির হওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশনা চান। পরে ট্রাইব্যুনাল বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেন। সে সঙ্গে এই মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য ১৭ ডিসেম্বর দিন ধার্য করে দেন।

চানখাঁরপুলের মামলায় যুক্তিতর্ক ১৫ ডিসেম্বর

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর চানখাঁরপুলে ছয়জনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষে সাফাই সাক্ষ্য শেষ হয়েছে। এ মামলায় যুক্তিতর্কের জন্য ১৫ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

এ মামলায় আট আসামির বিরুদ্ধে গত ১৪ জুলাই অভিযোগ গঠন করা হয়। আট আসামির মধ্যে গ্রেপ্তার থাকা শাহবাগ থানার সাবেক পরিদর্শক মো. আরশাদ হোসেন, সাবেক কনস্টেবল মো. সুজন হোসেন, ইমাজ হোসেন ও মো. নাসিরুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। আর পলাতক রয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, রমনা অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহ্ আলম মো. আক্তারুল ইসলাম ও রমনা অঞ্চলের সাবেক সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইমরুল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত