
চারপাশে এত মানুষ দেখতে দেখতে ক্লান্ত আপনি। রাস্তায় বলুন, বাজারে বলুন কী কোথাও ঘুরতে গিয়েছেন শুধু মানুষ আর মানুষ। কিন্তু চাইলেই তো আর নির্জন কোনো স্থানে যাওয়া সম্ভব নয়! এই যদি আপনার পরিস্থিতি হয় তবে লেখাটি আপনার জন্য। পৃথিবীর জনসংখ্যার দিক থেকে ক্ষুদ্রতম দশটি দেশের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেব এখন।
জাতিসংঘের এই সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রত্যেকটি স্বাভাবিকভাবেই কম জনসংখ্যার জন্য নাম কামিয়েছে। শুনে অবাক হবেন এই তালিকায় সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার দেশটিতে ৭৩ হাজার মানুষের বাস, আর কম জনসংখ্যার দেশের বেলায় এটি ৫০০-র কিছু ওপরে। ও একটি কথা বিবিসি সায়েন্স ফোকাস অবলম্বনে তালিকাটি আমরা করেছি উল্টো দিক থেকে, অর্থাৎ কম জনসংখ্যার দিক থেকে তালিকায় দশে থাকা দেশটি থেকে এর শুরু।
১০. ডোমিনিকা
জাতিসংঘের হিসেবে ডোমিনিকার জনসংখ্যা ৭৩ হাজার ৬ জন। আয়তনেও অবশ্য বড় নয় দেশটি, ৭৫১ বর্গ কিলোমিটার। ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের দুই দ্বীপ দেশ পুয়ের্তো রিকো ও ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর মোটামুটি মাঝখানে অবস্থান এর।
সর্বশেষ যে ক্যারিবিয়ান দেশ ইউরোপীয়দের কলোনি ছিল সেটা ডোমিনিকা। দ্বীপদেশটি স্বাধীন হয় ১৯৭৮ সালে। ক্যারিবিয়ান দেশগুলোর মধ্যে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী পায় ডোমিনিকা। ১৯৮০ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত দেশটির প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মেরি ইউজিনিয়া চার্লস।
৯. সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস
দুইটি দ্বীপ নিয়ে গঠিত রাষ্ট্র সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিসের জনসংখ্যা জাতিসংঘের হিসেবে ৪৭ হাজার ৭৪৫। পশ্চিম গোলার্ধের সবচেয়ে ছোট স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচনা করা হয় একে।
দেশটির ২৬১ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের মধ্যে সেন্ট কিটস দ্বীপের আয়তন ১৬৮ বর্গ কিলোমিটার এবং নেভিস দ্বীপের ৯৩ বর্গ কিলোমিটার। জনসংখ্যার পাশাপাশি আয়তনেও এটি পৃথিবীর খুদে রাষ্ট্রগুলোর একটি।
যুক্তরাজ্য থেকে দেশটি স্বাধীনতা লাভ করে ১৯৮৩ সালে। অবশ্য আলাদা দেশ গঠনের একটি চেষ্টায় নেভিসে ১৯৯৮ সালে একটি গণভোট হয়। তবে আলাদা হওয়ার পক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন না মেলায় সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস নামটিরও পরিবর্তন আসেনি।
পর্যটকদের কাছে বেশ পছন্দের গন্তব্য ছোট্ট এই দেশটি। ইউনেসকো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য ব্রিমস্টোন হিল ফোর্টরেস ন্যাশনাল পার্কের বড় অবদান আছে এ ক্ষেত্রে।
৮. মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ কম জনসংখ্যার দেশের তালিকায় আটে। জাতিসংঘের হিসেবে এখানে বাস করা মানুষের সংখ্যা ৪২ হাজারের কিছু কম, আরও পরিষ্কারভাবে বললে ৪১ হাজার ৯৫২। পারমাণবিক পরীক্ষার জন্য পরিচিত বিকিনি অ্যাটল কিন্তু এই দ্বীপপুঞ্জের অংশ।
ওশেনিয়ায় অবস্থিত মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ ৫টি তুলনামূলক বড় দ্বীপ ও ২৯টি অ্যাটোল (প্রবাল প্রাচীর বেষ্টিত উপহ্রদ) নিয়ে গঠিত। দেশটিতে ছোট-বড় মিলিয়ে ১২২৯টি দ্বীপ আছে। এগুলোর বেশির ভাগ আয়তনে যে একেবারে ছোট তার প্রমাণ, সবগুলো দ্বীপ মিলিয়ে আয়তন ১৮১ বর্গ কিলোমিটার। যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ১৯৭৯ সালে স্বাধীনতা পাওয়ার আগে জাপান, জার্মানি ও স্পেনের অধীনে কয়েক শ বছর কাটায় মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ।
৭. লিচটেনস্টেইন
জাতিসংঘের হিসেবে লিচটেনস্টাইনের জনসংখ্যা আনুমানিক ৩৯ হাজার ৫৫৮। রাটিকন পর্বতমালার পাদদেশের ছোট পাহাড় এবং ২ হাজার ৫৯৯ মিটার উঁচু চূড়া গ্রসপিটজের জন্য আলাদা নাম আছে এর। দেশটির মোট আয়তন ১৬০ বর্গ কিলোমিটারের তিন ভাগের দুই ভাগ দখল করে আছে ছোট পাহাড়গুলো।
তবে আকারে ছোট হলে কী হবে আল্পস পর্বতমালার কিছুটা অংশ দেশটির সীমানায় পড়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য আলাদা নাম আছে এর। ভাদুজ দুর্গও টানে পর্যটকদের।
৬. মোনাকো
লিচটেনস্টাইনের মতো মোনাকোর অবস্থানও ইউরোপ মহাদেশে। ৩৭ হাজারের আশপাশে (আনুমানিক ৩৬ হাজার ৩১৩) এর জনসংখ্যা। এর আয়তন শুনলে চমকে উঠবেন, কেবল দুই বর্গ কিলোমিটার। অর্থাৎ আয়তনে স্বাধীন দেশগুলোর মধ্যে কেবল ভ্যাটিকান সিটি তার চেয়ে ছোট। আর তাই কম জনসংখ্যার দেশ হলেও মোনাকো খুব ঘনবসতিপূর্ণ এক দেশ।
ক্যাসিনো এবং ফর্মুলা ওয়ান রেসের জন্য বিখ্যাত মোনাকো ধনকুবেরদের খুব প্রিয় জায়গা।
৫. সান মেরিনো
ইউরোপ মহাদেশের অন্তর্ভুক্ত ছোট্ট এই দেশটির জনসংখ্যা জাতিসংঘের হিসেবে আনুমানিক ৩৩ হাজার ৬৪৪। আয়তন ৬১ বর্গ কিলোমিটার। ফিফার পুরুষ ফুটবল দলগুলোর র্যাঙ্কিংয়ে বেশির ভাগ সময়ে তলানিতে থাকা দেশটি মধ্যযুগের বিভিন্ন স্থাপত্য কীর্তির জন্য বিখ্যাত।
৪. পালাউ
জনসংখ্যার দিক থেকে পৃথিবীর চতুর্থ ক্ষুদ্রতম রাষ্ট্র পালাউ। জনসংঘের দেওয়া তথ্য অনুসারে দেশটির জনসংখ্যা কেবল ১৮ হাজার ৫৮ জন।
যদ্দুর জানা যায় ছোট্ট দেশটিতে প্রথম বসতি স্থাপিত হয় খ্রিষ্টপূর্ব ১০০০ সালে। আয়তন ৪৫৯ বর্গ কিলোমিটার হওয়ায় দেশটিতে জনসংখ্যার ঘনত্ব কম। ১৯৯৪ সালে স্বাধীনতা পাওয়া দেশটি ৩৪০টি দ্বীপ নিয়ে গড়ে উঠেছে।
৩. নউরু
জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য বলছে নউরুর জনসংখ্যা ১২ হাজার ৭৬৯ জন। মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণে অবস্থিত দেশটি পড়েছে ওশেনিয়ায়। মোটে ২১ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের দেশটি জাপান থেকে স্বাধীনতা পায় ১৯৬৮ সালে।
২. টুভালু
জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য অনুসারে টুভালুর জনসংখ্যা ১১ হাজার ৩৮৭ জন। দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের নয়টি প্রবাল অ্যাটোল নিয়ে গঠিত হয়েছে দেশটি।
নয়টি দ্বীপ মিলিয়ে দেশটির আয়তন ২৬ বর্গ কিলোমিটারের মতো। ১৯৭৮ সালে স্বাধীনতা লাভ করে ওশেনিয়ার দেশটি।
১. ভ্যাটিকান সিটি
ভ্যাটিকান সিটির জনসংখ্যা জাতিসংঘের হিসেবে ৫১৭-র আশপাশে। জনসংখ্যা ও আয়তন দুই দিক থেকেই ভ্যাটিকান সিটি পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট স্বীকৃত রাষ্ট্র। ইতালির রোমের মধ্যে অবস্থিত দেশটির আয়তন ০.৪৪ বর্গ কিলোমিটার।
১৯২৯ সালে যখন ভ্যাটিকান সিটি প্রতিষ্ঠিত হয়, একই সময় ইতালিতে রোমান ক্যাথলিক ধর্মকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়। পোপের বাসস্থান এবং পবিত্র তীর্থস্থান হওয়ার পাশাপাশি, সিস্টিন চ্যাপেল, সেন্ট পিটারস স্কয়ার এবং সেন্ট পিটারস ব্যাসিলিকা এখানকার দ্রষ্টব্য স্থানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য।

চারপাশে এত মানুষ দেখতে দেখতে ক্লান্ত আপনি। রাস্তায় বলুন, বাজারে বলুন কী কোথাও ঘুরতে গিয়েছেন শুধু মানুষ আর মানুষ। কিন্তু চাইলেই তো আর নির্জন কোনো স্থানে যাওয়া সম্ভব নয়! এই যদি আপনার পরিস্থিতি হয় তবে লেখাটি আপনার জন্য। পৃথিবীর জনসংখ্যার দিক থেকে ক্ষুদ্রতম দশটি দেশের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেব এখন।
জাতিসংঘের এই সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রত্যেকটি স্বাভাবিকভাবেই কম জনসংখ্যার জন্য নাম কামিয়েছে। শুনে অবাক হবেন এই তালিকায় সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার দেশটিতে ৭৩ হাজার মানুষের বাস, আর কম জনসংখ্যার দেশের বেলায় এটি ৫০০-র কিছু ওপরে। ও একটি কথা বিবিসি সায়েন্স ফোকাস অবলম্বনে তালিকাটি আমরা করেছি উল্টো দিক থেকে, অর্থাৎ কম জনসংখ্যার দিক থেকে তালিকায় দশে থাকা দেশটি থেকে এর শুরু।
১০. ডোমিনিকা
জাতিসংঘের হিসেবে ডোমিনিকার জনসংখ্যা ৭৩ হাজার ৬ জন। আয়তনেও অবশ্য বড় নয় দেশটি, ৭৫১ বর্গ কিলোমিটার। ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের দুই দ্বীপ দেশ পুয়ের্তো রিকো ও ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর মোটামুটি মাঝখানে অবস্থান এর।
সর্বশেষ যে ক্যারিবিয়ান দেশ ইউরোপীয়দের কলোনি ছিল সেটা ডোমিনিকা। দ্বীপদেশটি স্বাধীন হয় ১৯৭৮ সালে। ক্যারিবিয়ান দেশগুলোর মধ্যে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী পায় ডোমিনিকা। ১৯৮০ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত দেশটির প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মেরি ইউজিনিয়া চার্লস।
৯. সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস
দুইটি দ্বীপ নিয়ে গঠিত রাষ্ট্র সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিসের জনসংখ্যা জাতিসংঘের হিসেবে ৪৭ হাজার ৭৪৫। পশ্চিম গোলার্ধের সবচেয়ে ছোট স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচনা করা হয় একে।
দেশটির ২৬১ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের মধ্যে সেন্ট কিটস দ্বীপের আয়তন ১৬৮ বর্গ কিলোমিটার এবং নেভিস দ্বীপের ৯৩ বর্গ কিলোমিটার। জনসংখ্যার পাশাপাশি আয়তনেও এটি পৃথিবীর খুদে রাষ্ট্রগুলোর একটি।
যুক্তরাজ্য থেকে দেশটি স্বাধীনতা লাভ করে ১৯৮৩ সালে। অবশ্য আলাদা দেশ গঠনের একটি চেষ্টায় নেভিসে ১৯৯৮ সালে একটি গণভোট হয়। তবে আলাদা হওয়ার পক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন না মেলায় সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস নামটিরও পরিবর্তন আসেনি।
পর্যটকদের কাছে বেশ পছন্দের গন্তব্য ছোট্ট এই দেশটি। ইউনেসকো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য ব্রিমস্টোন হিল ফোর্টরেস ন্যাশনাল পার্কের বড় অবদান আছে এ ক্ষেত্রে।
৮. মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ কম জনসংখ্যার দেশের তালিকায় আটে। জাতিসংঘের হিসেবে এখানে বাস করা মানুষের সংখ্যা ৪২ হাজারের কিছু কম, আরও পরিষ্কারভাবে বললে ৪১ হাজার ৯৫২। পারমাণবিক পরীক্ষার জন্য পরিচিত বিকিনি অ্যাটল কিন্তু এই দ্বীপপুঞ্জের অংশ।
ওশেনিয়ায় অবস্থিত মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ ৫টি তুলনামূলক বড় দ্বীপ ও ২৯টি অ্যাটোল (প্রবাল প্রাচীর বেষ্টিত উপহ্রদ) নিয়ে গঠিত। দেশটিতে ছোট-বড় মিলিয়ে ১২২৯টি দ্বীপ আছে। এগুলোর বেশির ভাগ আয়তনে যে একেবারে ছোট তার প্রমাণ, সবগুলো দ্বীপ মিলিয়ে আয়তন ১৮১ বর্গ কিলোমিটার। যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ১৯৭৯ সালে স্বাধীনতা পাওয়ার আগে জাপান, জার্মানি ও স্পেনের অধীনে কয়েক শ বছর কাটায় মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ।
৭. লিচটেনস্টেইন
জাতিসংঘের হিসেবে লিচটেনস্টাইনের জনসংখ্যা আনুমানিক ৩৯ হাজার ৫৫৮। রাটিকন পর্বতমালার পাদদেশের ছোট পাহাড় এবং ২ হাজার ৫৯৯ মিটার উঁচু চূড়া গ্রসপিটজের জন্য আলাদা নাম আছে এর। দেশটির মোট আয়তন ১৬০ বর্গ কিলোমিটারের তিন ভাগের দুই ভাগ দখল করে আছে ছোট পাহাড়গুলো।
তবে আকারে ছোট হলে কী হবে আল্পস পর্বতমালার কিছুটা অংশ দেশটির সীমানায় পড়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য আলাদা নাম আছে এর। ভাদুজ দুর্গও টানে পর্যটকদের।
৬. মোনাকো
লিচটেনস্টাইনের মতো মোনাকোর অবস্থানও ইউরোপ মহাদেশে। ৩৭ হাজারের আশপাশে (আনুমানিক ৩৬ হাজার ৩১৩) এর জনসংখ্যা। এর আয়তন শুনলে চমকে উঠবেন, কেবল দুই বর্গ কিলোমিটার। অর্থাৎ আয়তনে স্বাধীন দেশগুলোর মধ্যে কেবল ভ্যাটিকান সিটি তার চেয়ে ছোট। আর তাই কম জনসংখ্যার দেশ হলেও মোনাকো খুব ঘনবসতিপূর্ণ এক দেশ।
ক্যাসিনো এবং ফর্মুলা ওয়ান রেসের জন্য বিখ্যাত মোনাকো ধনকুবেরদের খুব প্রিয় জায়গা।
৫. সান মেরিনো
ইউরোপ মহাদেশের অন্তর্ভুক্ত ছোট্ট এই দেশটির জনসংখ্যা জাতিসংঘের হিসেবে আনুমানিক ৩৩ হাজার ৬৪৪। আয়তন ৬১ বর্গ কিলোমিটার। ফিফার পুরুষ ফুটবল দলগুলোর র্যাঙ্কিংয়ে বেশির ভাগ সময়ে তলানিতে থাকা দেশটি মধ্যযুগের বিভিন্ন স্থাপত্য কীর্তির জন্য বিখ্যাত।
৪. পালাউ
জনসংখ্যার দিক থেকে পৃথিবীর চতুর্থ ক্ষুদ্রতম রাষ্ট্র পালাউ। জনসংঘের দেওয়া তথ্য অনুসারে দেশটির জনসংখ্যা কেবল ১৮ হাজার ৫৮ জন।
যদ্দুর জানা যায় ছোট্ট দেশটিতে প্রথম বসতি স্থাপিত হয় খ্রিষ্টপূর্ব ১০০০ সালে। আয়তন ৪৫৯ বর্গ কিলোমিটার হওয়ায় দেশটিতে জনসংখ্যার ঘনত্ব কম। ১৯৯৪ সালে স্বাধীনতা পাওয়া দেশটি ৩৪০টি দ্বীপ নিয়ে গড়ে উঠেছে।
৩. নউরু
জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য বলছে নউরুর জনসংখ্যা ১২ হাজার ৭৬৯ জন। মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণে অবস্থিত দেশটি পড়েছে ওশেনিয়ায়। মোটে ২১ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের দেশটি জাপান থেকে স্বাধীনতা পায় ১৯৬৮ সালে।
২. টুভালু
জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য অনুসারে টুভালুর জনসংখ্যা ১১ হাজার ৩৮৭ জন। দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের নয়টি প্রবাল অ্যাটোল নিয়ে গঠিত হয়েছে দেশটি।
নয়টি দ্বীপ মিলিয়ে দেশটির আয়তন ২৬ বর্গ কিলোমিটারের মতো। ১৯৭৮ সালে স্বাধীনতা লাভ করে ওশেনিয়ার দেশটি।
১. ভ্যাটিকান সিটি
ভ্যাটিকান সিটির জনসংখ্যা জাতিসংঘের হিসেবে ৫১৭-র আশপাশে। জনসংখ্যা ও আয়তন দুই দিক থেকেই ভ্যাটিকান সিটি পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট স্বীকৃত রাষ্ট্র। ইতালির রোমের মধ্যে অবস্থিত দেশটির আয়তন ০.৪৪ বর্গ কিলোমিটার।
১৯২৯ সালে যখন ভ্যাটিকান সিটি প্রতিষ্ঠিত হয়, একই সময় ইতালিতে রোমান ক্যাথলিক ধর্মকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়। পোপের বাসস্থান এবং পবিত্র তীর্থস্থান হওয়ার পাশাপাশি, সিস্টিন চ্যাপেল, সেন্ট পিটারস স্কয়ার এবং সেন্ট পিটারস ব্যাসিলিকা এখানকার দ্রষ্টব্য স্থানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য।

সব ঠিক চলছিল। কিন্তু যেই অনুষ্ঠানের তারিখ পড়ে গেল, উঠল মুখে ব্রণ কিংবা লাল হয়ে উঠল র্যাশ! মেজাজ হয়ে উঠল তিরিক্ষি। কিন্তু অনুষ্ঠানে তো যেতে হবে। এমন অবস্থায় যে সব সময় পারলারেই যেতে হয়, তা নয়। ঘরে বসেও এর বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নিতে পারেন। ত্বকের ধরন অনুযায়ী যত্ন নিলে নির্দিষ্ট অনুষ্ঠানের দিন ত্বক...
১৩ ঘণ্টা আগে
নাইজেরিয়ার বড় শহর লাগোস সারা বছর ব্যস্ত থাকে। তবে বছরের শেষ দিকে এই বিশাল শহর যেন রূপ বদলে আরও বেশি সরগরম হয়ে ওঠে। এর কারণ ডেটি ডিসেম্বর। এটি শহরের বার্ষিক উৎসব। একে ঘিরে পুরো শহর সেজে ওঠে ঝলমলে আলোয়। রাত হয়ে ওঠে সংগীতময়, রাস্তাজুড়ে থাকে উৎসবমুখর মানুষের ঢল। সংগীত, খাদ্য, পানীয় ডিসেম্বরে সব যেন...
১৫ ঘণ্টা আগে
একুশ শতকের প্রথম দশক, অর্থাৎ ২০০০ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত সময়টা ছিল এক অদ্ভুত ফ্যাশনের সময়। তখন আভিজাত্যের চেয়ে আস্ফালন ছিল বেশি! সূক্ষ্মতা তখন প্রায় মৃত। চারদিকে শুধু পাপারাজ্জির ক্যামেরার ফ্ল্যাশ। মাই স্পেসের জন্য আয়নায় তোলা অগোছালো ছবি। আর ছিল আত্মবিশ্বাসের জয়গান। বলা যেতেই পারে, ২০০০ সালের দিকে...
১৭ ঘণ্টা আগে
আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে, কিন্তু পকেট তলানিতে। আজ আপনার সাহস দেখে পাড়ার কুকুরও কুর্নিশ করবে। ইন্টারভিউতে ডাক আসতে পারে; তবে যাওয়ার সময় পকেটে একটা চকলেট রাখবেন, যদি মাথা ঘুরে যায়! প্রেমে আজ ‘বিয়ে’ শব্দটা উচ্চারণ করবেন না, উল্টো দিক থেকে ব্লক খাওয়ার সম্ভাবনা ৯০ পারসেন্ট।
১৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

সব ঠিক চলছিল। কিন্তু যেই অনুষ্ঠানের তারিখ পড়ে গেল, উঠল মুখে ব্রণ কিংবা লাল হয়ে উঠল র্যাশ! মেজাজ হয়ে উঠল তিরিক্ষি। কিন্তু অনুষ্ঠানে তো যেতে হবে। এমন অবস্থায় যে সব সময় পারলারেই যেতে হয়, তা নয়। ঘরে বসেও এর বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নিতে পারেন। ত্বকের ধরন অনুযায়ী যত্ন নিলে নির্দিষ্ট অনুষ্ঠানের দিন ত্বক অনেকটাই স্বাস্থ্য়োজ্জ্বল দেখাবে। অনুষ্ঠানের এক সপ্তাহ আগে থেকে যেভাবে ত্বকের যত্ন নিতে পারেন–
ত্বকের ধরন বুঝে ক্লিনজিং করুন

প্রতিদিন বাইরে থেকে ফিরে প্রথমে ভালো করে মুখ পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর ত্বকের ধরন অনুযায়ী যত্ন নিন। যত্ন নেওয়ার আগে অবশ্যই নিজের ত্বকের ধরন কেমন, সেটি জানা জরুরি। যাঁদের ত্বক স্বাভাবিক, তাঁরা শীতে ত্বকের হারানো উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে এক চা-চামচ চালের গুঁড়া, এক চা-চামচ ময়দা, এক চা-চামচ অ্যালোভেরা জেল ভালো করে মিশিয়ে পুরো মুখে দু-তিন মিনিট ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলতে পারেন। এরপর প্যাক ব্যবহার করতে হবে।
প্যাক তৈরিতে আপেল পেস্ট এক চা-চামচ, মসুরের ডালের বেসন এক চা-চামচ, অর্ধেক ডিমের কুসুম ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে।
শীতকালে শুষ্ক ত্বকের বেশি যত্নের প্রয়োজন। এ ধরনের ত্বকের ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসেবে মসুর ডাল বাটার সঙ্গে এক টেবিল চামচ গরম দুধ মিশিয়ে কুসুম গরম অবস্থায় পুরো মুখে লাগাতে হবে। এতে ত্বকের মরা কোষ উঠে আসবে ও রোমকূপগুলো পরিষ্কার হয়ে যাবে। এটা ফেসওয়াশের মতো ব্যবহার করতে হবে। পরে পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধোয়ার পর প্যাক লাগাতে হবে। ত্বক তৈলাক্ত হলে এক চা-চামচ গ্রিন টি গুঁড়া নিয়ে এর সঙ্গে এক চা-চামচ টক দই মিশিয়ে পুরো মুখে দু-তিন মিনিট ম্যাসাজ করে ধুয়ে নিতে হবে। এ ছাড়া দারুচিনি গুঁড়া এক চা-চামচ, এক চা-চামচ মুলতানি মাটি, ডিমের সাদা অংশ এগুলো ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে ত্বকে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে পারেন। এ প্যাক ব্যবহারের ফলে ময়শ্চারাইজারের ভারসাম্য ঠিক থাকবে।
ডিপ ক্লিনজিং
প্রথমে ক্লিনজার ব্যবহার করে ত্বক পরিষ্কার করে নিতে হবে। ত্বকের ধরন অনুযায়ী জেল, ফোম বা ক্রিম টাইপ ক্লিনজার বেছে নিতে পারেন। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য জেল বা ফোম ক্লিনজার বেছে নিন। শুষ্ক বা সংবেদনশীল ত্বকের জন্য হাইড্রেটিং ক্লিনজার উপযুক্ত। ত্বক ভেজানোর জন্য হালকা গরম পানি ব্যবহার করুন। এতে বন্ধ রোমকূপ খুলে যাবে। এক মিনিটের জন্য বৃত্তাকার গতিতে ক্লিনজার ঘষুন। হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ভালো করে ঘষুন এবং পরিষ্কার তোয়ালে ব্যবহার করে শুকিয়ে নিন।
ব্যবহার করুন এক্সফোলিয়েটর। ঘষে ঘষে ত্বকে ব্যবহার করে ধুয়ে ফেলুন। এরপর স্টিম করুন। পরের ধাপে ত্বকের উপযোগী ফেস মাস্ক দিয়ে ডিপ ক্লিন করুন। এ ক্ষেত্রে ক্লে ব্ল্যাক মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। মুখ ধুয়ে সব শেষে টোনার ও ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
স্কিন হোয়াইটনিং ট্রিটমেন্ট
মুখের ত্বকের সঙ্গে গলা, ঘাড়, হাত ও পুরো শরীরের রঙের সামঞ্জস্য বজায় রাখতে যত্ন নিতে হবে পুরো শরীরের ত্বকের। মসুর ডাল বাটা পরিমাণমতো নিয়ে এর সঙ্গে লেবুর খোসাবাটা, পরিমাণমতো টক দই ও নারকেল তেল মিশিয়ে পুরো শরীরে মেখে নিয়মিত ম্যাসাজ করে গোসল করে নিতে হবে। সপ্তাহে দুই দিন করতে হবে এটি। এতে করে ত্বকের মরা কোষ উঠে গিয়ে উজ্জ্বলতা বাড়বে। এ ছাড়া ত্বকের কোমলতা বজায় থাকবে।
হাত ও পায়ের যত্ন
সপ্তাহে অন্তত দুদিন বাড়িতে পেডিকিউর ও মেনিকিউর করতে হবে। অনুষ্ঠানের দিন পারলার থেকে একবার পেডিকিউর ও মেনিকিউর করিয়ে নিলে ভালো। কারণ, পারলারে ম্যাসাজ খুব ভালো হয়। ডিপ ক্লিনও করা সম্ভব।
সূত্র: স্টাইলক্রেজ ও স্কিনক্র্যাফট

সব ঠিক চলছিল। কিন্তু যেই অনুষ্ঠানের তারিখ পড়ে গেল, উঠল মুখে ব্রণ কিংবা লাল হয়ে উঠল র্যাশ! মেজাজ হয়ে উঠল তিরিক্ষি। কিন্তু অনুষ্ঠানে তো যেতে হবে। এমন অবস্থায় যে সব সময় পারলারেই যেতে হয়, তা নয়। ঘরে বসেও এর বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নিতে পারেন। ত্বকের ধরন অনুযায়ী যত্ন নিলে নির্দিষ্ট অনুষ্ঠানের দিন ত্বক অনেকটাই স্বাস্থ্য়োজ্জ্বল দেখাবে। অনুষ্ঠানের এক সপ্তাহ আগে থেকে যেভাবে ত্বকের যত্ন নিতে পারেন–
ত্বকের ধরন বুঝে ক্লিনজিং করুন

প্রতিদিন বাইরে থেকে ফিরে প্রথমে ভালো করে মুখ পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর ত্বকের ধরন অনুযায়ী যত্ন নিন। যত্ন নেওয়ার আগে অবশ্যই নিজের ত্বকের ধরন কেমন, সেটি জানা জরুরি। যাঁদের ত্বক স্বাভাবিক, তাঁরা শীতে ত্বকের হারানো উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে এক চা-চামচ চালের গুঁড়া, এক চা-চামচ ময়দা, এক চা-চামচ অ্যালোভেরা জেল ভালো করে মিশিয়ে পুরো মুখে দু-তিন মিনিট ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলতে পারেন। এরপর প্যাক ব্যবহার করতে হবে।
প্যাক তৈরিতে আপেল পেস্ট এক চা-চামচ, মসুরের ডালের বেসন এক চা-চামচ, অর্ধেক ডিমের কুসুম ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে।
শীতকালে শুষ্ক ত্বকের বেশি যত্নের প্রয়োজন। এ ধরনের ত্বকের ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসেবে মসুর ডাল বাটার সঙ্গে এক টেবিল চামচ গরম দুধ মিশিয়ে কুসুম গরম অবস্থায় পুরো মুখে লাগাতে হবে। এতে ত্বকের মরা কোষ উঠে আসবে ও রোমকূপগুলো পরিষ্কার হয়ে যাবে। এটা ফেসওয়াশের মতো ব্যবহার করতে হবে। পরে পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধোয়ার পর প্যাক লাগাতে হবে। ত্বক তৈলাক্ত হলে এক চা-চামচ গ্রিন টি গুঁড়া নিয়ে এর সঙ্গে এক চা-চামচ টক দই মিশিয়ে পুরো মুখে দু-তিন মিনিট ম্যাসাজ করে ধুয়ে নিতে হবে। এ ছাড়া দারুচিনি গুঁড়া এক চা-চামচ, এক চা-চামচ মুলতানি মাটি, ডিমের সাদা অংশ এগুলো ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে ত্বকে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে পারেন। এ প্যাক ব্যবহারের ফলে ময়শ্চারাইজারের ভারসাম্য ঠিক থাকবে।
ডিপ ক্লিনজিং
প্রথমে ক্লিনজার ব্যবহার করে ত্বক পরিষ্কার করে নিতে হবে। ত্বকের ধরন অনুযায়ী জেল, ফোম বা ক্রিম টাইপ ক্লিনজার বেছে নিতে পারেন। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য জেল বা ফোম ক্লিনজার বেছে নিন। শুষ্ক বা সংবেদনশীল ত্বকের জন্য হাইড্রেটিং ক্লিনজার উপযুক্ত। ত্বক ভেজানোর জন্য হালকা গরম পানি ব্যবহার করুন। এতে বন্ধ রোমকূপ খুলে যাবে। এক মিনিটের জন্য বৃত্তাকার গতিতে ক্লিনজার ঘষুন। হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ভালো করে ঘষুন এবং পরিষ্কার তোয়ালে ব্যবহার করে শুকিয়ে নিন।
ব্যবহার করুন এক্সফোলিয়েটর। ঘষে ঘষে ত্বকে ব্যবহার করে ধুয়ে ফেলুন। এরপর স্টিম করুন। পরের ধাপে ত্বকের উপযোগী ফেস মাস্ক দিয়ে ডিপ ক্লিন করুন। এ ক্ষেত্রে ক্লে ব্ল্যাক মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। মুখ ধুয়ে সব শেষে টোনার ও ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
স্কিন হোয়াইটনিং ট্রিটমেন্ট
মুখের ত্বকের সঙ্গে গলা, ঘাড়, হাত ও পুরো শরীরের রঙের সামঞ্জস্য বজায় রাখতে যত্ন নিতে হবে পুরো শরীরের ত্বকের। মসুর ডাল বাটা পরিমাণমতো নিয়ে এর সঙ্গে লেবুর খোসাবাটা, পরিমাণমতো টক দই ও নারকেল তেল মিশিয়ে পুরো শরীরে মেখে নিয়মিত ম্যাসাজ করে গোসল করে নিতে হবে। সপ্তাহে দুই দিন করতে হবে এটি। এতে করে ত্বকের মরা কোষ উঠে গিয়ে উজ্জ্বলতা বাড়বে। এ ছাড়া ত্বকের কোমলতা বজায় থাকবে।
হাত ও পায়ের যত্ন
সপ্তাহে অন্তত দুদিন বাড়িতে পেডিকিউর ও মেনিকিউর করতে হবে। অনুষ্ঠানের দিন পারলার থেকে একবার পেডিকিউর ও মেনিকিউর করিয়ে নিলে ভালো। কারণ, পারলারে ম্যাসাজ খুব ভালো হয়। ডিপ ক্লিনও করা সম্ভব।
সূত্র: স্টাইলক্রেজ ও স্কিনক্র্যাফট

চারপাশে এত মানুষ দেখতে দেখতে ক্লান্ত আপনি। রাস্তায় বলুন, বাজারে বলুন কী কোথাও ঘুরতে গিয়েছেন শুধু মানুষ আর মানুষ। কিন্তু চাইলেই তো আর নির্জন কোনো স্থানে যাওয়া সম্ভব নয়! এই যদি আপনার পরিস্থিতি হয় তবে লেখাটি আপনার জন্য। পৃথিবীর জনসংখ্যার দিক থেকে ক্ষুদ্রতম দশটি দেশের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেব এখন।
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
নাইজেরিয়ার বড় শহর লাগোস সারা বছর ব্যস্ত থাকে। তবে বছরের শেষ দিকে এই বিশাল শহর যেন রূপ বদলে আরও বেশি সরগরম হয়ে ওঠে। এর কারণ ডেটি ডিসেম্বর। এটি শহরের বার্ষিক উৎসব। একে ঘিরে পুরো শহর সেজে ওঠে ঝলমলে আলোয়। রাত হয়ে ওঠে সংগীতময়, রাস্তাজুড়ে থাকে উৎসবমুখর মানুষের ঢল। সংগীত, খাদ্য, পানীয় ডিসেম্বরে সব যেন...
১৫ ঘণ্টা আগে
একুশ শতকের প্রথম দশক, অর্থাৎ ২০০০ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত সময়টা ছিল এক অদ্ভুত ফ্যাশনের সময়। তখন আভিজাত্যের চেয়ে আস্ফালন ছিল বেশি! সূক্ষ্মতা তখন প্রায় মৃত। চারদিকে শুধু পাপারাজ্জির ক্যামেরার ফ্ল্যাশ। মাই স্পেসের জন্য আয়নায় তোলা অগোছালো ছবি। আর ছিল আত্মবিশ্বাসের জয়গান। বলা যেতেই পারে, ২০০০ সালের দিকে...
১৭ ঘণ্টা আগে
আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে, কিন্তু পকেট তলানিতে। আজ আপনার সাহস দেখে পাড়ার কুকুরও কুর্নিশ করবে। ইন্টারভিউতে ডাক আসতে পারে; তবে যাওয়ার সময় পকেটে একটা চকলেট রাখবেন, যদি মাথা ঘুরে যায়! প্রেমে আজ ‘বিয়ে’ শব্দটা উচ্চারণ করবেন না, উল্টো দিক থেকে ব্লক খাওয়ার সম্ভাবনা ৯০ পারসেন্ট।
১৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

নাইজেরিয়ার বড় শহর লাগোস সারা বছর ব্যস্ত থাকে। তবে বছরের শেষ দিকে এই বিশাল শহর যেন রূপ বদলে আরও বেশি সরগরম হয়ে ওঠে। এর কারণ ডেটি ডিসেম্বর। এটি শহরের বার্ষিক উৎসব। একে ঘিরে পুরো শহর সেজে ওঠে ঝলমলে আলোয়। রাত হয়ে ওঠে সংগীতময়, রাস্তাজুড়ে থাকে উৎসবমুখর মানুষের ঢল। সংগীত, খাদ্য, পানীয় ডিসেম্বরে সব যেন ফোয়ারা ছোটায় লাগোসে। হবে নাই-বা কেন। এটি যে পৃথিবীর অন্যতম বড় উৎসব!
তবে এ বছরের উৎসবের আবহে আনন্দের পাশাপাশি রয়েছে একধরনের অস্বস্তিকর সুর। অর্থনৈতিক চাপ, নিরাপত্তাহীনতা—সব মিলিয়ে উৎসবের উচ্ছ্বাসে খানিক ছেদই পড়ছে।

সাধারণত ৬ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলা ডেটি ডিসেম্বর কখনো কখনো গড়িয়ে যায় জানুয়ারি মাসেও। একটার পর একটা অনুষ্ঠান হয় দেশজুড়ে, যেখানে স্থানীয়রা তো বটেই, বিদেশি পর্যটকেরাও হাত খুলে খরচ করে।
এই সময় বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে দেশে ফেরেন নাইজেরিয়ার প্রবাসীরা। তাঁরা সঙ্গে নিয়ে আসেন মোটা অঙ্কের অর্থ। ফলে লাগোস পরিণত হয় এক বিশাল কার্নিভ্যালের নগরীতে। যেখানে রাস্তা থাকে যানজটে ঠাসা আর চলে রাতজুড়ে উচ্চ শব্দের গান।
‘ডেটি’ শব্দটির অর্থ ‘নোংরা’—অর্থাৎ সব নিয়ম ভেঙে মুক্তভাবে আনন্দ করা। আর ঠিক সেটাই ঘটে লাগোসে। উৎসব, কনসার্ট, পপ-আপ মার্কেট, সৈকত পার্টি আর বিয়ের অনুষ্ঠান সব একের পর এক চলতে থাকে। প্রতিটিই বড় ও জাঁকজমকপূর্ণ হওয়ার প্রতিযোগিতা।
২০২৪ সালে একের পর এক বড় আয়োজন ছিল। ছিল গ্র্যামি মনোনীত শিল্পী ডেভিডো ও ওলামিদেকে নিয়ে ফ্লাইটাইম ফেস্ট, সমুদ্রতীরে উইজকিডের ভাইবস অন দ্য বিচ এবং শহরজুড়ে ১৫টি আফ্রোবিটস পার্টি নিয়ে মাই আফ্রোবিটস ডেটি ডিসেম্বর উদ্যাপিত হয়।
এ বছরের আয়োজনও কম কিছু নয়। এবার আয়োজিত হচ্ছে পামওয়াইন মিউজিক ফেস্টিভ্যাল, পিক ডেটি ভাইবস, দ্য বনফায়ার এক্সপেরিয়েন্স, জুমা জুক্স লাইভ ইন লাগোস এবং ফুডি ইন লাগোস ফেস্টিভ্যাল।
সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণ

২০১৭ সালে পামওয়াইন মিউজিক ফেস্টিভ্যাল প্রতিষ্ঠা করেন ওয়ালে ডেভিস। তিনি বলেন, ‘ডেটি ডিসেম্বর নামটা আসার আগেও ডিসেম্বর আমাদের কাছে সব সময়ই ডেটি ছিল। এখন সেটা শুধু আরও বড় হয়েছে।’ দেশের ভেতর ও প্রবাস থেকে আসা দর্শনার্থীদের কারণে গত দুই বছর এই উৎসব আরও বড় হয়েছে। অনেক লাগোসবাসী সারা বছর পরিকল্পনা করেন এই সময়কে ঘিরে। ৩৫ বছর বয়সী উদ্যোক্তা ওমোটয়োসি আকিনকুয়াদে চীনে ব্যবসায়িক কাজে মাসের পর মাস ঘুরেছেন। তিনি বলেন, ‘ডেটি ডিসেম্বর মানেই কষ্টকর পরিশ্রম থেকে পুরোপুরি মুক্ত হওয়া।’
নিউইয়র্ক থেকে তৃতীয়বারের মতো আসা জনসংযোগ বিশেষজ্ঞ মিমি এগেসিওনু একে বলেন, ‘একটি অসাধারণ উৎসব এটি। প্রতিদিন যেন নতুন কোনো আন্তর্জাতিক তারকাকে দেখা যায়। এই অনুভূতি পৃথিবীর আর কোথাও নেই।’
বাড়ে মাছ আর পানীয়র দাম
ডেটি ডিসেম্বর নতুন কিছু নয়। দুই দশক ধরে নাইজেরিয়ার পূর্বাঞ্চলে কার্নিভ্যাল ক্যালাবার হয়ে আসছে। তবে বিশ্বজুড়ে আফ্রোবিটস সংগীতের জনপ্রিয়তার প্রভাব এই উৎসবে পড়েছে। পর্যটন বিশেষজ্ঞ ইকেচি উকোর মতে, প্রবাসীরা এই উৎসবে যোগ দিতে বড় অঙ্কের অর্থ খরচ করেন। ফলে এটি দিন দিন বিলাসবহুল হয়ে উঠছে।
এর প্রভাব পড়েছে দামে। আগস্ট থেকেই বিমানভাড়া বেড়ে যায়। নাইজেরিয়ার এয়ারলাইনসে ইকোনমি টিকিটের দাম দ্বিগুণ হয়ে ৩ লাখ ৫০ হাজার নাইরায় পৌঁছায়। পানীয়র দামও প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়। চাহিদা শুধু নাইট লাইফেই সীমাবদ্ধ নয়। সেলুন, দরজির দোকান—সবখানেই চাপ। কুকুর হেয়ার সেলুন আগস্ট থেকেই বুকিং নেয় এবং ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুরোপুরি পূর্ণ।
উৎসবের ছায়ায় অন্ধকার বাস্তবতা
২০২৪ সালের ডেটি ডিসেম্বর থেকে লাগোস রাজ্য সরকার পর্যটন ও বিনোদন খাত থেকে আয় করেছে ৭ কোটি ১৬ লাখ ডলারের বেশি। এদিকে প্রবাসীদের ওপর ৫০০ ডলারের ‘ট্যুরিজম ট্যাক্স’ আরোপের প্রস্তাব ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে বাতিল করা হয়। সরকারকে এখানে হস্তক্ষেপ না করে নিরাপত্তা এবং ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা উচিত বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
তবে উৎসবের মধ্যেও অনেক অন্ধকার দিক রয়েছে। নাইজেরিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে সহিংসতা, অপহরণ ও নিরাপত্তাহীনতা নিত্যসঙ্গী। তবু জীবন থেমে থাকে না। পর্যটন বিশেষজ্ঞ উকো বলেন, ‘কয়েক দিনের জন্য হলেও যদি এই উৎসব আমাদের দুঃখ ভুলতে সাহায্য করে, তাহলে সেটাই যথেষ্ট। ডেটি ডিসেম্বর বন্ধ করলে সমস্যাগুলো এমনিতেই মিটে যাবে, এমন নয়।’

নাইজেরিয়ার বড় শহর লাগোস সারা বছর ব্যস্ত থাকে। তবে বছরের শেষ দিকে এই বিশাল শহর যেন রূপ বদলে আরও বেশি সরগরম হয়ে ওঠে। এর কারণ ডেটি ডিসেম্বর। এটি শহরের বার্ষিক উৎসব। একে ঘিরে পুরো শহর সেজে ওঠে ঝলমলে আলোয়। রাত হয়ে ওঠে সংগীতময়, রাস্তাজুড়ে থাকে উৎসবমুখর মানুষের ঢল। সংগীত, খাদ্য, পানীয় ডিসেম্বরে সব যেন ফোয়ারা ছোটায় লাগোসে। হবে নাই-বা কেন। এটি যে পৃথিবীর অন্যতম বড় উৎসব!
তবে এ বছরের উৎসবের আবহে আনন্দের পাশাপাশি রয়েছে একধরনের অস্বস্তিকর সুর। অর্থনৈতিক চাপ, নিরাপত্তাহীনতা—সব মিলিয়ে উৎসবের উচ্ছ্বাসে খানিক ছেদই পড়ছে।

সাধারণত ৬ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলা ডেটি ডিসেম্বর কখনো কখনো গড়িয়ে যায় জানুয়ারি মাসেও। একটার পর একটা অনুষ্ঠান হয় দেশজুড়ে, যেখানে স্থানীয়রা তো বটেই, বিদেশি পর্যটকেরাও হাত খুলে খরচ করে।
এই সময় বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে দেশে ফেরেন নাইজেরিয়ার প্রবাসীরা। তাঁরা সঙ্গে নিয়ে আসেন মোটা অঙ্কের অর্থ। ফলে লাগোস পরিণত হয় এক বিশাল কার্নিভ্যালের নগরীতে। যেখানে রাস্তা থাকে যানজটে ঠাসা আর চলে রাতজুড়ে উচ্চ শব্দের গান।
‘ডেটি’ শব্দটির অর্থ ‘নোংরা’—অর্থাৎ সব নিয়ম ভেঙে মুক্তভাবে আনন্দ করা। আর ঠিক সেটাই ঘটে লাগোসে। উৎসব, কনসার্ট, পপ-আপ মার্কেট, সৈকত পার্টি আর বিয়ের অনুষ্ঠান সব একের পর এক চলতে থাকে। প্রতিটিই বড় ও জাঁকজমকপূর্ণ হওয়ার প্রতিযোগিতা।
২০২৪ সালে একের পর এক বড় আয়োজন ছিল। ছিল গ্র্যামি মনোনীত শিল্পী ডেভিডো ও ওলামিদেকে নিয়ে ফ্লাইটাইম ফেস্ট, সমুদ্রতীরে উইজকিডের ভাইবস অন দ্য বিচ এবং শহরজুড়ে ১৫টি আফ্রোবিটস পার্টি নিয়ে মাই আফ্রোবিটস ডেটি ডিসেম্বর উদ্যাপিত হয়।
এ বছরের আয়োজনও কম কিছু নয়। এবার আয়োজিত হচ্ছে পামওয়াইন মিউজিক ফেস্টিভ্যাল, পিক ডেটি ভাইবস, দ্য বনফায়ার এক্সপেরিয়েন্স, জুমা জুক্স লাইভ ইন লাগোস এবং ফুডি ইন লাগোস ফেস্টিভ্যাল।
সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণ

২০১৭ সালে পামওয়াইন মিউজিক ফেস্টিভ্যাল প্রতিষ্ঠা করেন ওয়ালে ডেভিস। তিনি বলেন, ‘ডেটি ডিসেম্বর নামটা আসার আগেও ডিসেম্বর আমাদের কাছে সব সময়ই ডেটি ছিল। এখন সেটা শুধু আরও বড় হয়েছে।’ দেশের ভেতর ও প্রবাস থেকে আসা দর্শনার্থীদের কারণে গত দুই বছর এই উৎসব আরও বড় হয়েছে। অনেক লাগোসবাসী সারা বছর পরিকল্পনা করেন এই সময়কে ঘিরে। ৩৫ বছর বয়সী উদ্যোক্তা ওমোটয়োসি আকিনকুয়াদে চীনে ব্যবসায়িক কাজে মাসের পর মাস ঘুরেছেন। তিনি বলেন, ‘ডেটি ডিসেম্বর মানেই কষ্টকর পরিশ্রম থেকে পুরোপুরি মুক্ত হওয়া।’
নিউইয়র্ক থেকে তৃতীয়বারের মতো আসা জনসংযোগ বিশেষজ্ঞ মিমি এগেসিওনু একে বলেন, ‘একটি অসাধারণ উৎসব এটি। প্রতিদিন যেন নতুন কোনো আন্তর্জাতিক তারকাকে দেখা যায়। এই অনুভূতি পৃথিবীর আর কোথাও নেই।’
বাড়ে মাছ আর পানীয়র দাম
ডেটি ডিসেম্বর নতুন কিছু নয়। দুই দশক ধরে নাইজেরিয়ার পূর্বাঞ্চলে কার্নিভ্যাল ক্যালাবার হয়ে আসছে। তবে বিশ্বজুড়ে আফ্রোবিটস সংগীতের জনপ্রিয়তার প্রভাব এই উৎসবে পড়েছে। পর্যটন বিশেষজ্ঞ ইকেচি উকোর মতে, প্রবাসীরা এই উৎসবে যোগ দিতে বড় অঙ্কের অর্থ খরচ করেন। ফলে এটি দিন দিন বিলাসবহুল হয়ে উঠছে।
এর প্রভাব পড়েছে দামে। আগস্ট থেকেই বিমানভাড়া বেড়ে যায়। নাইজেরিয়ার এয়ারলাইনসে ইকোনমি টিকিটের দাম দ্বিগুণ হয়ে ৩ লাখ ৫০ হাজার নাইরায় পৌঁছায়। পানীয়র দামও প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়। চাহিদা শুধু নাইট লাইফেই সীমাবদ্ধ নয়। সেলুন, দরজির দোকান—সবখানেই চাপ। কুকুর হেয়ার সেলুন আগস্ট থেকেই বুকিং নেয় এবং ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুরোপুরি পূর্ণ।
উৎসবের ছায়ায় অন্ধকার বাস্তবতা
২০২৪ সালের ডেটি ডিসেম্বর থেকে লাগোস রাজ্য সরকার পর্যটন ও বিনোদন খাত থেকে আয় করেছে ৭ কোটি ১৬ লাখ ডলারের বেশি। এদিকে প্রবাসীদের ওপর ৫০০ ডলারের ‘ট্যুরিজম ট্যাক্স’ আরোপের প্রস্তাব ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে বাতিল করা হয়। সরকারকে এখানে হস্তক্ষেপ না করে নিরাপত্তা এবং ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা উচিত বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
তবে উৎসবের মধ্যেও অনেক অন্ধকার দিক রয়েছে। নাইজেরিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে সহিংসতা, অপহরণ ও নিরাপত্তাহীনতা নিত্যসঙ্গী। তবু জীবন থেমে থাকে না। পর্যটন বিশেষজ্ঞ উকো বলেন, ‘কয়েক দিনের জন্য হলেও যদি এই উৎসব আমাদের দুঃখ ভুলতে সাহায্য করে, তাহলে সেটাই যথেষ্ট। ডেটি ডিসেম্বর বন্ধ করলে সমস্যাগুলো এমনিতেই মিটে যাবে, এমন নয়।’

চারপাশে এত মানুষ দেখতে দেখতে ক্লান্ত আপনি। রাস্তায় বলুন, বাজারে বলুন কী কোথাও ঘুরতে গিয়েছেন শুধু মানুষ আর মানুষ। কিন্তু চাইলেই তো আর নির্জন কোনো স্থানে যাওয়া সম্ভব নয়! এই যদি আপনার পরিস্থিতি হয় তবে লেখাটি আপনার জন্য। পৃথিবীর জনসংখ্যার দিক থেকে ক্ষুদ্রতম দশটি দেশের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেব এখন।
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
সব ঠিক চলছিল। কিন্তু যেই অনুষ্ঠানের তারিখ পড়ে গেল, উঠল মুখে ব্রণ কিংবা লাল হয়ে উঠল র্যাশ! মেজাজ হয়ে উঠল তিরিক্ষি। কিন্তু অনুষ্ঠানে তো যেতে হবে। এমন অবস্থায় যে সব সময় পারলারেই যেতে হয়, তা নয়। ঘরে বসেও এর বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নিতে পারেন। ত্বকের ধরন অনুযায়ী যত্ন নিলে নির্দিষ্ট অনুষ্ঠানের দিন ত্বক...
১৩ ঘণ্টা আগে
একুশ শতকের প্রথম দশক, অর্থাৎ ২০০০ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত সময়টা ছিল এক অদ্ভুত ফ্যাশনের সময়। তখন আভিজাত্যের চেয়ে আস্ফালন ছিল বেশি! সূক্ষ্মতা তখন প্রায় মৃত। চারদিকে শুধু পাপারাজ্জির ক্যামেরার ফ্ল্যাশ। মাই স্পেসের জন্য আয়নায় তোলা অগোছালো ছবি। আর ছিল আত্মবিশ্বাসের জয়গান। বলা যেতেই পারে, ২০০০ সালের দিকে...
১৭ ঘণ্টা আগে
আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে, কিন্তু পকেট তলানিতে। আজ আপনার সাহস দেখে পাড়ার কুকুরও কুর্নিশ করবে। ইন্টারভিউতে ডাক আসতে পারে; তবে যাওয়ার সময় পকেটে একটা চকলেট রাখবেন, যদি মাথা ঘুরে যায়! প্রেমে আজ ‘বিয়ে’ শব্দটা উচ্চারণ করবেন না, উল্টো দিক থেকে ব্লক খাওয়ার সম্ভাবনা ৯০ পারসেন্ট।
১৮ ঘণ্টা আগেকাশফিয়া আলম ঝিলিক, ঢাকা

একুশ শতকের প্রথম দশক, অর্থাৎ ২০০০ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত সময়টা ছিল এক অদ্ভুত ফ্যাশনের সময়। তখন আভিজাত্যের চেয়ে আস্ফালন ছিল বেশি! সূক্ষ্মতা তখন প্রায় মৃত। চারদিকে শুধু পাপারাজ্জির ক্যামেরার ফ্ল্যাশ। মাই স্পেসের জন্য আয়নায় তোলা অগোছালো ছবি। আর ছিল আত্মবিশ্বাসের জয়গান। বলা যেতেই পারে, ২০০০ সালের দিকে আত্মবিশ্বাসই ছিল আসল স্টাইল। এখনকার পরিমিত ফ্যাশনের যুগে সেই বিশৃঙ্খলা আবার ফিরে আসছে। না, ঠিক বিশৃঙ্খলা নয়, একে বলা যেতে পারে শৃঙ্খলাবদ্ধ বিশৃঙ্খলা। ২০২৫ এর নতুন প্রজন্ম খুঁজছে সেই রঙিন উন্মাদনা। তারা চাইছে সেই কেয়ারফ্রি স্টাইল। সামাজিক মাধ্যমেও বিভিন্ন সময় অনেকে মজা করে ভিডিও বানান এমন ছবি তোলার স্টাইলে। কিংবা বড় বড় ব্র্যান্ডের বিলবোর্ডে এমনকি ফ্যাশন ম্যাগাজিনগুলোতেও আমরা এমন এলোমেলো স্টাইলে দাঁড়ানো ছবি দেখি এখন। তার মানে, দেড়-দুই দশকের পুরোনো ফ্যাশন ও স্টাইল ফিরছে আবার প্রবলভাবেই?
আনুষঙ্গিক যখন আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু

সেই সময় চশমা মানেই ছিল বিশাল কিছু। নীল, গোলাপি বা বেগুনি লেন্স। চোখের ওপর যেন একটা রঙিন পর্দা। প্যারিস হিল্টনের সেই চশমাগুলো ছিল রাজকীয়। পুরো পৃথিবীটাই যেন সেই চশমার রঙে সুন্দর দেখাত। এখন আবারও ফিরে এসেছে সেই স্টাইল। সেই সময় ঠোঁটে ছিল গ্লসের ছটা। এত উজ্জ্বল যে একটু হলেই যেন আয়নার কাজ চলে যাবে। মার্কিন সংগীতশিল্পী, গীতিকার, অভিনেত্রী, নৃত্যশিল্পী, ব্যবসায়ী জেনিফার লোপেজ বা জে লো সেই গ্লসি ঠোঁটকে আইকনিক করেছিলেন। এমনকি তৎকালীন কিছু ফ্যাশন ম্যাগাজিনে এগুলো বোনাস হিসেবেও দেওয়া হতো। ‘গ্ল্যামার’ ম্যাগাজিনে বলা হয়েছে, ২০২৫ এ জে লো এই আঠালো টিউবগুলো আবারও জনপ্রিয় করে সবার হ্যান্ডব্যাগে পৌঁছে দেওয়ার পেছনে ভূমিকা রেখেছেন।
সেই সময়ের বেশ কিছু মোটিফও আবার ফিরে এসেছে। যেমন প্রজাপতি। এটি ছিল মেয়েলি ঢঙের এক চমৎকার প্রকাশ। ২০০০ সালের দিকে ফ্যাশন ট্রেন্ডের একটি বড় অংশজুড়ে চুলে ছিল প্রজাপতি ক্লিপ। মারিয়া ক্যারির সেই মায়াবী ট্রেন্ড। চোকার থেকে শুরু করে টপ পর্যন্ত ছিল প্রজাপতির উড়ে বেড়ানো। আবারও চুলের কাঁকড়া ব্যান্ড থেকে শুরু করে ছোট ক্লিপ পর্যন্ত প্রজাপতির সেই ওড়াউড়ি চোখে পড়ছে মার্কেটে ঘুরলে।
আবারও মিলেছে আরাম আর সাহস

অসম্ভব ছোট এই পার্সগুলো শূন্য দশকের শুরুর দিকে আইকন হয়ে উঠেছিল। সেগুলো এখন আবারও আমরা দেখছি। এখনকার একটা স্মার্টফোন সেখানে ঢোকানো সম্ভব নয়। তারপরেও আউটফিটের সঙ্গে মিলিয়ে ছোট ব্যাগ নেওয়াই এখন ফ্যাশন হয়ে উঠেছে। অনেকে মনে করেন, এটা নতুন ফ্যাশন ধারা। তাদের জন্য বলে রাখি, এটাও ফ্যাশন জগতে নতুন কিছু নয়, শূন্য দশকের ফ্যাশন। তখন ব্যাগগুলোতে একটি ফ্লিপ ফোন এবং লিপ গ্লসের বেশি কিছু আঁটত না। ২০০২ সালের প্রায় প্রতিটি পাপারাজ্জি শটে এগুলো অমর হয়ে আছে। এগুলো ছিল চপল, মেয়েলি এবং ব্যবহারিক উপযোগিতার প্রতি তোয়াক্কাহীন। গত বছরেই কাজলসহ বেশ কিছু বলিউড অভিনেত্রী শাড়ির সঙ্গে মোটা বেল্ট পরে একটি ফ্যাশন ট্রেন্ড তৈরি করেছিলেন। বলে রাখি, এটাও নতুন কিছু নয়। সেই প্রথম দশকে কোমরে ঝোলানো থাকত বিশাল সব বেল্ট। কখনো জিনসের নিচে, কখনো পোশাকের ওপর। বেল্টগুলো যেন ছিল একেকটা রহস্য।
ডেনিম আর মেটালিকের জাদু

একটা সময় জিনস ছিল বিস্ময়। তখন লো-রাইজ বা লো-কাট জিনস ছিল সবার প্রিয়। মার্কিন গায়িকা ব্রিটনি স্পিয়ার্সের হাত ধরে এটি ঘরে ঘরে পৌঁছে যায়। এর পাশাপাশি ছিল বুট কাট আর ফ্লেয়ার্ড জিনস। ফ্যাশন জগৎ জুড়ে তখন ডেনিমের রাজত্ব। সেই ঢিলেঢালা জিনস আবারও তরুণ-তরুণীদের আলমারিতে জায়গা করে নিয়েছে। কিশোর-কিশোরী থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আজ আবারও সেই ডেনিম জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। জিনসের পাশাপাশি শীতে ডেনিমের জ্যাকেট—সবই তাদের পছন্দের তালিকায় প্রথম সারিতে চলে এসেছে।
সেই সময় মানুষ ভবিষ্যতের নেশায় বুঁদ ছিল। চারদিকে শুধু রুপালি আর মেটালিকের ছোঁয়া। সিলভার জ্যাকেট বা হলোগ্রাফিক স্কার্ট। এমনকি চুলের রংও হয়ে গিয়েছিল রুপালি। যেন সবাই মহাকাশ ভ্রমণের জন্য তৈরি। এটি ছিল এক রঙিন আশাবাদ। আর জেন-জিদের হাত ধরে বর্তমানে সারা বিশ্ব বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন দেখছে। তাদের চোখেও রঙিন স্বপ্ন, বদলের একটা বিশেষ রং। তাই তাদের ফ্যাশনে আবারও মেটালিকের ছোঁয়া উঠে এসেছে।
লোগোম্যানিয়া আর লাক্সারি
সে সময়, অর্থাৎ সেই শূন্য দশকে ফ্যাশন যেন ফিসফিস করত না, চিৎকার করত। ব্র্যান্ডের নাম গায়ে জড়িয়ে রাখাই ছিল দস্তুর। ডিওরের স্যাডেল ব্যাগ কিংবা ফেন্ডির লোগো। লোকে যেন আধা মাইল দূর থেকেও ব্র্যান্ড চিনতে পারে। সেটাই ছিল আসল উদ্দেশ্য। সেই প্রবণতা আবারও ফিরে এসেছে। দাম বেশি হলেও ব্র্যান্ডেই মানুষের আরাম পৌঁছে গেছে। বিষয়টা অনেকটা সমাজে মুখ দেখানোর মতো বাড়াবাড়ির পর্যায়েও চলে যায় অনেক সময়।
সেই সময় টিনএজ ফ্যাশনে ছিল লেয়ার্ড ট্যাংকের ছড়াছড়ি। একটার ওপর একটা রঙিন কামিজ বা টপ। সঙ্গে ছোট ছোট গ্রাফিক টি-শার্ট। তাতে গ্লিটার দিয়ে লেখা থাকত অদ্ভুত সব কথা। প্রতিটি পোশাক ছিল ব্যক্তিত্বের এক-একটা ছোট সংস্করণ; যা আজও জনপ্রিয়। অবশ্য সব সময় ফ্যাশন ছিল প্রতিবাদের ভাষা।
অনুভূতির এক অগোছালো স্ক্র্যাপবুক
শূন্য দশক কোনো নিয়ম মানেনি। এটি ছিল স্বতঃস্ফূর্ত এক ফ্যাশন ধারা। কোনো ক্ষমা না চাওয়া পপসংস্কৃতির ফসল। সে সময় ফ্যাশন কালজয়ী হতে চায়নি। বড় বড় সিলুয়েট আর বড় বড় অনুভূতির গল্প ছিল সেটি। সেই অদম্য উৎসাহের কারণেই আজ ২০২৫-এ এসেও আমরা বারবার সেই দিনগুলোর দিকে ফিরে তাকাই।
সূত্র: শোবিজ ডেইলি

একুশ শতকের প্রথম দশক, অর্থাৎ ২০০০ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত সময়টা ছিল এক অদ্ভুত ফ্যাশনের সময়। তখন আভিজাত্যের চেয়ে আস্ফালন ছিল বেশি! সূক্ষ্মতা তখন প্রায় মৃত। চারদিকে শুধু পাপারাজ্জির ক্যামেরার ফ্ল্যাশ। মাই স্পেসের জন্য আয়নায় তোলা অগোছালো ছবি। আর ছিল আত্মবিশ্বাসের জয়গান। বলা যেতেই পারে, ২০০০ সালের দিকে আত্মবিশ্বাসই ছিল আসল স্টাইল। এখনকার পরিমিত ফ্যাশনের যুগে সেই বিশৃঙ্খলা আবার ফিরে আসছে। না, ঠিক বিশৃঙ্খলা নয়, একে বলা যেতে পারে শৃঙ্খলাবদ্ধ বিশৃঙ্খলা। ২০২৫ এর নতুন প্রজন্ম খুঁজছে সেই রঙিন উন্মাদনা। তারা চাইছে সেই কেয়ারফ্রি স্টাইল। সামাজিক মাধ্যমেও বিভিন্ন সময় অনেকে মজা করে ভিডিও বানান এমন ছবি তোলার স্টাইলে। কিংবা বড় বড় ব্র্যান্ডের বিলবোর্ডে এমনকি ফ্যাশন ম্যাগাজিনগুলোতেও আমরা এমন এলোমেলো স্টাইলে দাঁড়ানো ছবি দেখি এখন। তার মানে, দেড়-দুই দশকের পুরোনো ফ্যাশন ও স্টাইল ফিরছে আবার প্রবলভাবেই?
আনুষঙ্গিক যখন আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু

সেই সময় চশমা মানেই ছিল বিশাল কিছু। নীল, গোলাপি বা বেগুনি লেন্স। চোখের ওপর যেন একটা রঙিন পর্দা। প্যারিস হিল্টনের সেই চশমাগুলো ছিল রাজকীয়। পুরো পৃথিবীটাই যেন সেই চশমার রঙে সুন্দর দেখাত। এখন আবারও ফিরে এসেছে সেই স্টাইল। সেই সময় ঠোঁটে ছিল গ্লসের ছটা। এত উজ্জ্বল যে একটু হলেই যেন আয়নার কাজ চলে যাবে। মার্কিন সংগীতশিল্পী, গীতিকার, অভিনেত্রী, নৃত্যশিল্পী, ব্যবসায়ী জেনিফার লোপেজ বা জে লো সেই গ্লসি ঠোঁটকে আইকনিক করেছিলেন। এমনকি তৎকালীন কিছু ফ্যাশন ম্যাগাজিনে এগুলো বোনাস হিসেবেও দেওয়া হতো। ‘গ্ল্যামার’ ম্যাগাজিনে বলা হয়েছে, ২০২৫ এ জে লো এই আঠালো টিউবগুলো আবারও জনপ্রিয় করে সবার হ্যান্ডব্যাগে পৌঁছে দেওয়ার পেছনে ভূমিকা রেখেছেন।
সেই সময়ের বেশ কিছু মোটিফও আবার ফিরে এসেছে। যেমন প্রজাপতি। এটি ছিল মেয়েলি ঢঙের এক চমৎকার প্রকাশ। ২০০০ সালের দিকে ফ্যাশন ট্রেন্ডের একটি বড় অংশজুড়ে চুলে ছিল প্রজাপতি ক্লিপ। মারিয়া ক্যারির সেই মায়াবী ট্রেন্ড। চোকার থেকে শুরু করে টপ পর্যন্ত ছিল প্রজাপতির উড়ে বেড়ানো। আবারও চুলের কাঁকড়া ব্যান্ড থেকে শুরু করে ছোট ক্লিপ পর্যন্ত প্রজাপতির সেই ওড়াউড়ি চোখে পড়ছে মার্কেটে ঘুরলে।
আবারও মিলেছে আরাম আর সাহস

অসম্ভব ছোট এই পার্সগুলো শূন্য দশকের শুরুর দিকে আইকন হয়ে উঠেছিল। সেগুলো এখন আবারও আমরা দেখছি। এখনকার একটা স্মার্টফোন সেখানে ঢোকানো সম্ভব নয়। তারপরেও আউটফিটের সঙ্গে মিলিয়ে ছোট ব্যাগ নেওয়াই এখন ফ্যাশন হয়ে উঠেছে। অনেকে মনে করেন, এটা নতুন ফ্যাশন ধারা। তাদের জন্য বলে রাখি, এটাও ফ্যাশন জগতে নতুন কিছু নয়, শূন্য দশকের ফ্যাশন। তখন ব্যাগগুলোতে একটি ফ্লিপ ফোন এবং লিপ গ্লসের বেশি কিছু আঁটত না। ২০০২ সালের প্রায় প্রতিটি পাপারাজ্জি শটে এগুলো অমর হয়ে আছে। এগুলো ছিল চপল, মেয়েলি এবং ব্যবহারিক উপযোগিতার প্রতি তোয়াক্কাহীন। গত বছরেই কাজলসহ বেশ কিছু বলিউড অভিনেত্রী শাড়ির সঙ্গে মোটা বেল্ট পরে একটি ফ্যাশন ট্রেন্ড তৈরি করেছিলেন। বলে রাখি, এটাও নতুন কিছু নয়। সেই প্রথম দশকে কোমরে ঝোলানো থাকত বিশাল সব বেল্ট। কখনো জিনসের নিচে, কখনো পোশাকের ওপর। বেল্টগুলো যেন ছিল একেকটা রহস্য।
ডেনিম আর মেটালিকের জাদু

একটা সময় জিনস ছিল বিস্ময়। তখন লো-রাইজ বা লো-কাট জিনস ছিল সবার প্রিয়। মার্কিন গায়িকা ব্রিটনি স্পিয়ার্সের হাত ধরে এটি ঘরে ঘরে পৌঁছে যায়। এর পাশাপাশি ছিল বুট কাট আর ফ্লেয়ার্ড জিনস। ফ্যাশন জগৎ জুড়ে তখন ডেনিমের রাজত্ব। সেই ঢিলেঢালা জিনস আবারও তরুণ-তরুণীদের আলমারিতে জায়গা করে নিয়েছে। কিশোর-কিশোরী থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আজ আবারও সেই ডেনিম জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। জিনসের পাশাপাশি শীতে ডেনিমের জ্যাকেট—সবই তাদের পছন্দের তালিকায় প্রথম সারিতে চলে এসেছে।
সেই সময় মানুষ ভবিষ্যতের নেশায় বুঁদ ছিল। চারদিকে শুধু রুপালি আর মেটালিকের ছোঁয়া। সিলভার জ্যাকেট বা হলোগ্রাফিক স্কার্ট। এমনকি চুলের রংও হয়ে গিয়েছিল রুপালি। যেন সবাই মহাকাশ ভ্রমণের জন্য তৈরি। এটি ছিল এক রঙিন আশাবাদ। আর জেন-জিদের হাত ধরে বর্তমানে সারা বিশ্ব বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন দেখছে। তাদের চোখেও রঙিন স্বপ্ন, বদলের একটা বিশেষ রং। তাই তাদের ফ্যাশনে আবারও মেটালিকের ছোঁয়া উঠে এসেছে।
লোগোম্যানিয়া আর লাক্সারি
সে সময়, অর্থাৎ সেই শূন্য দশকে ফ্যাশন যেন ফিসফিস করত না, চিৎকার করত। ব্র্যান্ডের নাম গায়ে জড়িয়ে রাখাই ছিল দস্তুর। ডিওরের স্যাডেল ব্যাগ কিংবা ফেন্ডির লোগো। লোকে যেন আধা মাইল দূর থেকেও ব্র্যান্ড চিনতে পারে। সেটাই ছিল আসল উদ্দেশ্য। সেই প্রবণতা আবারও ফিরে এসেছে। দাম বেশি হলেও ব্র্যান্ডেই মানুষের আরাম পৌঁছে গেছে। বিষয়টা অনেকটা সমাজে মুখ দেখানোর মতো বাড়াবাড়ির পর্যায়েও চলে যায় অনেক সময়।
সেই সময় টিনএজ ফ্যাশনে ছিল লেয়ার্ড ট্যাংকের ছড়াছড়ি। একটার ওপর একটা রঙিন কামিজ বা টপ। সঙ্গে ছোট ছোট গ্রাফিক টি-শার্ট। তাতে গ্লিটার দিয়ে লেখা থাকত অদ্ভুত সব কথা। প্রতিটি পোশাক ছিল ব্যক্তিত্বের এক-একটা ছোট সংস্করণ; যা আজও জনপ্রিয়। অবশ্য সব সময় ফ্যাশন ছিল প্রতিবাদের ভাষা।
অনুভূতির এক অগোছালো স্ক্র্যাপবুক
শূন্য দশক কোনো নিয়ম মানেনি। এটি ছিল স্বতঃস্ফূর্ত এক ফ্যাশন ধারা। কোনো ক্ষমা না চাওয়া পপসংস্কৃতির ফসল। সে সময় ফ্যাশন কালজয়ী হতে চায়নি। বড় বড় সিলুয়েট আর বড় বড় অনুভূতির গল্প ছিল সেটি। সেই অদম্য উৎসাহের কারণেই আজ ২০২৫-এ এসেও আমরা বারবার সেই দিনগুলোর দিকে ফিরে তাকাই।
সূত্র: শোবিজ ডেইলি

চারপাশে এত মানুষ দেখতে দেখতে ক্লান্ত আপনি। রাস্তায় বলুন, বাজারে বলুন কী কোথাও ঘুরতে গিয়েছেন শুধু মানুষ আর মানুষ। কিন্তু চাইলেই তো আর নির্জন কোনো স্থানে যাওয়া সম্ভব নয়! এই যদি আপনার পরিস্থিতি হয় তবে লেখাটি আপনার জন্য। পৃথিবীর জনসংখ্যার দিক থেকে ক্ষুদ্রতম দশটি দেশের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেব এখন।
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
সব ঠিক চলছিল। কিন্তু যেই অনুষ্ঠানের তারিখ পড়ে গেল, উঠল মুখে ব্রণ কিংবা লাল হয়ে উঠল র্যাশ! মেজাজ হয়ে উঠল তিরিক্ষি। কিন্তু অনুষ্ঠানে তো যেতে হবে। এমন অবস্থায় যে সব সময় পারলারেই যেতে হয়, তা নয়। ঘরে বসেও এর বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নিতে পারেন। ত্বকের ধরন অনুযায়ী যত্ন নিলে নির্দিষ্ট অনুষ্ঠানের দিন ত্বক...
১৩ ঘণ্টা আগে
নাইজেরিয়ার বড় শহর লাগোস সারা বছর ব্যস্ত থাকে। তবে বছরের শেষ দিকে এই বিশাল শহর যেন রূপ বদলে আরও বেশি সরগরম হয়ে ওঠে। এর কারণ ডেটি ডিসেম্বর। এটি শহরের বার্ষিক উৎসব। একে ঘিরে পুরো শহর সেজে ওঠে ঝলমলে আলোয়। রাত হয়ে ওঠে সংগীতময়, রাস্তাজুড়ে থাকে উৎসবমুখর মানুষের ঢল। সংগীত, খাদ্য, পানীয় ডিসেম্বরে সব যেন...
১৫ ঘণ্টা আগে
আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে, কিন্তু পকেট তলানিতে। আজ আপনার সাহস দেখে পাড়ার কুকুরও কুর্নিশ করবে। ইন্টারভিউতে ডাক আসতে পারে; তবে যাওয়ার সময় পকেটে একটা চকলেট রাখবেন, যদি মাথা ঘুরে যায়! প্রেমে আজ ‘বিয়ে’ শব্দটা উচ্চারণ করবেন না, উল্টো দিক থেকে ব্লক খাওয়ার সম্ভাবনা ৯০ পারসেন্ট।
১৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে, কিন্তু পকেট তলানিতে। আজ আপনার সাহস দেখে পাড়ার কুকুরও কুর্নিশ করবে। ইন্টারভিউতে ডাক আসতে পারে; তবে যাওয়ার সময় পকেটে একটা চকলেট রাখবেন, যদি মাথা ঘুরে যায়! প্রেমে আজ ‘বিয়ে’ শব্দটা উচ্চারণ করবেন না, উল্টো দিক থেকে ব্লক খাওয়ার সম্ভাবনা ৯০ পারসেন্ট। টাকা লেনদেনে আজ বাঘের মতো সতর্ক থাকুন, না হলে বিড়ালের মতো কাঁদতে হবে।
বৃষ
পেশায় পালোয়ান, নেশায় ঘুমকাতুরে। আজ শেয়ার বাজার আপনার দিকে হাসবে। কিন্তু সাবধানে, হাসা মানেই যে লাভ তা নয়, উপহাসও হতে পারে! রাস্তায় ট্রাফিক সিগন্যাল ভাঙবেন না। আজ পুলিশ আপনাকে ‘স্পেশাল গেস্ট’ বানাতে খুব আগ্রহী। পুরোনো অসুখ নিয়ে সুসংবাদ পাবেন; হয়তো জানবেন ওটা আসলে অসুখই ছিল না, আলসেমি ছিল! দুপুরের পর কাজে গতি আসবে, তবে বিরিয়ানি খেলে সেই গতি আবার বিছানামুখী হবে।
মিথুন
সৃজনশীলতা ফেটে বেরোচ্ছে, কিন্তু কেউ পাত্তা দিচ্ছে না। আজ কাউকে ধার দেবেন না। ধার দেওয়া মানেই সেই বন্ধুকে চিরতরে হারিয়ে ফেলা। অফিসে আজ খুব মন দিয়ে কাজ করুন, বসের নজর আজ সিসিটিভির চেয়েও ধারালো। প্রেমে আজ কোনো আত্মীয়র কারণে অশান্তি হতে পারে। আত্মীয়দের থেকে দূরে থাকুন, শান্তিতে থাকুন। সৃজনশীল হোন, কিন্তু রান্নায় বেশি এক্সপেরিমেন্ট করতে যাবেন না।
কর্কট
আজ আপনি একটু বেশিই সেন্টিমেন্টাল। আজ চোখে জল আর নাকে সর্দি—দুটিই সমানতালে আসতে পারে। ব্যবসা শুরুর জন্য দিনটা ভালো, কিন্তু পার্টনার হিসেবে নিজের ছায়াকেও বিশ্বাস করবেন না। বিচক্ষণতা বজায় রাখুন, না হলে লোকজন আপনাকে ইমোশনাল ফুল বানিয়ে চলে যাবে। আজ ফেসবুকে দুঃখের পোস্ট দেবেন না। কেউ এসে সান্ত্বনা নয়, হা হা রিঅ্যাক্ট দিয়ে যাবে।
সিংহ
সকালে রাজা, সন্ধ্যায় ভিখারি (মানসিকভাবে)। সকালের দিকে সব জরুরি কাজ সেরে নিন। কারণ, সূর্য ডুবলে আপনার মেজাজও ডুববে। স্ত্রীর সঙ্গে তর্কে জেতার চেষ্টা করা মানে হলো আগ্নেয়গিরিতে ঝাঁপ দেওয়া। আজ আত্মবিশ্বাসের অভাবে কাজে একটু ব্যাঘাত ঘটতে পারে, তাই আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দশবার বলুন, ‘আই অ্যাম দ্য বস!’ মায়ের শরীর ভালো থাকবে, তাই আজ একবেলা রান্না থেকে ছুটি পেতে পারেন।
কন্যা
নিখুঁত হতে গিয়ে জেরবার। বন্ধুদের সঙ্গে ট্যুর প্ল্যান ক্যানসেল হতে পারে। কারণ, সেই এক—আপনার খুঁতখুঁতে স্বভাব! পরীক্ষার ফল ভালো হবে, তবে তার আগে হার্টবিট কন্ট্রোল করুন। সম্পর্কের ক্ষেত্রে আজ একটু নমনীয় হোন, রোবটের মতো লজিক খুঁজলে একা থাকতে হবে। আজ পুরোনো কোনো বন্ধুর ফোন আসতে পারে, সম্ভবত সে টাকা ধার চাইবে।
তুলা
অর্থ আসছে, কিন্তু যাচ্ছে রকেটের গতিতে। আজ আপনার অর্থভাগ্য খুব ভালো, কিন্তু সমস্যা হলো খরচের হাতটা অক্টোপাসের মতো। স্ত্রী আপনার মনের কথা বুঝবে, কিন্তু আপনার ক্রেডিট কার্ডের বিলটা বুঝবে কি? সন্তানদের নিয়ে দুশ্চিন্তা ছাড়ুন, ওরা আপনার চেয়ে বেশি স্মার্ট। বিদেশের কারও সঙ্গে কথা হতে পারে, তবে সেটা স্ক্যাম কল কি না যাচাই করে নিন।
বৃশ্চিক
রহস্যময় হাসি আর পকেটভর্তি টাকা। ব্যবসায় আজ লক্ষ্মীলাভের যোগ আছে। বন্ধুদের আজ ডিনার খাওয়াতে হতে পারে, তাই পালানোর রাস্তা আগে থেকে ঠিক করে রাখুন। আধ্যাত্মিক চিন্তায় মনে শান্তি মিলবে, তবে সেটা যেন শুধু মশারির ভেতরেই সীমাবদ্ধ না থাকে। শেয়ার বাজারে আজ একটু ঝুঁকি নিতেই পারেন, তবে হারলে আমাকে দোষ দেবেন না!
ধনু
কঠোর পরিশ্রম, কিন্তু রেজাল্ট তথৈবচ। বকেয়া টাকা পাওয়ার যোগ আছে, তবে সেটা আদায় করতে গিয়ে গলা শুকিয়ে যাবে। প্রেমে আজ সত্যবাদী থাকুন, একটা মিথ্যা ধরা পড়লে কপালে শনির দশা নিশ্চিত। রূপচর্চার জন্য আজ বেশ কিছু টাকা গচ্চা যেতে পারে, কিন্তু তাতে মুখ কতটা চকচক করবে, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। সন্ধ্যার পর হুট করে মন খারাপ হতে পারে; এক কাপ কড়া চা খান।
মকর
কাজের নেশায় বুঁদ, শরীর বলছে ‘আর না’। আজ আপনার পরিশ্রম দেখে পিঁপড়ারা লজ্জা পাবে। পরিবারে আপনার মতামতের দাম বাড়বে, তবে সেটা শুধু মেনু ঠিক করার ক্ষেত্রেই হতে পারে। তীর্থযাত্রার সুযোগ আসতে পারে, অন্তত পাড়ার মোড়ের মন্দির পর্যন্ত তো বটেই। বেশি ইমোশনাল হবেন না, বিশেষ করে অফিসের গ্রুপ চ্যাটে।
কুম্ভ
মনের ভেতর হাজার প্রশ্ন, উত্তর নেই একটাও। চাকরি বদলানোর চিন্তা আজ মাথায় ঘুরবে, কিন্তু ব্যাংক ব্যালেন্সের দিকে তাকালে সেই চিন্তা কর্পূরের মতো উবে যাবে। বন্ধুদের অবহেলা করবেন না, ওরাই বিপদের সময় চপ-মুড়ি নিয়ে হাজির হবে। ভোরে ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করুন, তাতে ভাগ্য না ফিরলেও শরীর ঠিক থাকবে। কোনো চুক্তিতে সই করার আগে অন্তত তিনবার বানানগুলো চেক করুন।
মীন
স্বপ্নের ঘোরে দিন কাটে, বাস্তবে শুধু ধাক্কা। পরিবারের কোনো বড় সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে আজ কনফিউজড হয়ে যাবেন। আজ আপনার মিষ্টি কথায় কাজ হাসিল হবে, এমনকি আজরাইলকেও বোধহয় কফি খাইয়ে ফেরত পাঠাতে পারবেন। ব্যবসায়িক কাজে বন্ধুদের পূর্ণ সহযোগিতা পাবেন। আজ আপনার মেধা চমকাবে, তবে সেটা যেন শুধু ফেসবুক কুইজেই শেষ না হয়ে যায়।

মেষ
আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে, কিন্তু পকেট তলানিতে। আজ আপনার সাহস দেখে পাড়ার কুকুরও কুর্নিশ করবে। ইন্টারভিউতে ডাক আসতে পারে; তবে যাওয়ার সময় পকেটে একটা চকলেট রাখবেন, যদি মাথা ঘুরে যায়! প্রেমে আজ ‘বিয়ে’ শব্দটা উচ্চারণ করবেন না, উল্টো দিক থেকে ব্লক খাওয়ার সম্ভাবনা ৯০ পারসেন্ট। টাকা লেনদেনে আজ বাঘের মতো সতর্ক থাকুন, না হলে বিড়ালের মতো কাঁদতে হবে।
বৃষ
পেশায় পালোয়ান, নেশায় ঘুমকাতুরে। আজ শেয়ার বাজার আপনার দিকে হাসবে। কিন্তু সাবধানে, হাসা মানেই যে লাভ তা নয়, উপহাসও হতে পারে! রাস্তায় ট্রাফিক সিগন্যাল ভাঙবেন না। আজ পুলিশ আপনাকে ‘স্পেশাল গেস্ট’ বানাতে খুব আগ্রহী। পুরোনো অসুখ নিয়ে সুসংবাদ পাবেন; হয়তো জানবেন ওটা আসলে অসুখই ছিল না, আলসেমি ছিল! দুপুরের পর কাজে গতি আসবে, তবে বিরিয়ানি খেলে সেই গতি আবার বিছানামুখী হবে।
মিথুন
সৃজনশীলতা ফেটে বেরোচ্ছে, কিন্তু কেউ পাত্তা দিচ্ছে না। আজ কাউকে ধার দেবেন না। ধার দেওয়া মানেই সেই বন্ধুকে চিরতরে হারিয়ে ফেলা। অফিসে আজ খুব মন দিয়ে কাজ করুন, বসের নজর আজ সিসিটিভির চেয়েও ধারালো। প্রেমে আজ কোনো আত্মীয়র কারণে অশান্তি হতে পারে। আত্মীয়দের থেকে দূরে থাকুন, শান্তিতে থাকুন। সৃজনশীল হোন, কিন্তু রান্নায় বেশি এক্সপেরিমেন্ট করতে যাবেন না।
কর্কট
আজ আপনি একটু বেশিই সেন্টিমেন্টাল। আজ চোখে জল আর নাকে সর্দি—দুটিই সমানতালে আসতে পারে। ব্যবসা শুরুর জন্য দিনটা ভালো, কিন্তু পার্টনার হিসেবে নিজের ছায়াকেও বিশ্বাস করবেন না। বিচক্ষণতা বজায় রাখুন, না হলে লোকজন আপনাকে ইমোশনাল ফুল বানিয়ে চলে যাবে। আজ ফেসবুকে দুঃখের পোস্ট দেবেন না। কেউ এসে সান্ত্বনা নয়, হা হা রিঅ্যাক্ট দিয়ে যাবে।
সিংহ
সকালে রাজা, সন্ধ্যায় ভিখারি (মানসিকভাবে)। সকালের দিকে সব জরুরি কাজ সেরে নিন। কারণ, সূর্য ডুবলে আপনার মেজাজও ডুববে। স্ত্রীর সঙ্গে তর্কে জেতার চেষ্টা করা মানে হলো আগ্নেয়গিরিতে ঝাঁপ দেওয়া। আজ আত্মবিশ্বাসের অভাবে কাজে একটু ব্যাঘাত ঘটতে পারে, তাই আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দশবার বলুন, ‘আই অ্যাম দ্য বস!’ মায়ের শরীর ভালো থাকবে, তাই আজ একবেলা রান্না থেকে ছুটি পেতে পারেন।
কন্যা
নিখুঁত হতে গিয়ে জেরবার। বন্ধুদের সঙ্গে ট্যুর প্ল্যান ক্যানসেল হতে পারে। কারণ, সেই এক—আপনার খুঁতখুঁতে স্বভাব! পরীক্ষার ফল ভালো হবে, তবে তার আগে হার্টবিট কন্ট্রোল করুন। সম্পর্কের ক্ষেত্রে আজ একটু নমনীয় হোন, রোবটের মতো লজিক খুঁজলে একা থাকতে হবে। আজ পুরোনো কোনো বন্ধুর ফোন আসতে পারে, সম্ভবত সে টাকা ধার চাইবে।
তুলা
অর্থ আসছে, কিন্তু যাচ্ছে রকেটের গতিতে। আজ আপনার অর্থভাগ্য খুব ভালো, কিন্তু সমস্যা হলো খরচের হাতটা অক্টোপাসের মতো। স্ত্রী আপনার মনের কথা বুঝবে, কিন্তু আপনার ক্রেডিট কার্ডের বিলটা বুঝবে কি? সন্তানদের নিয়ে দুশ্চিন্তা ছাড়ুন, ওরা আপনার চেয়ে বেশি স্মার্ট। বিদেশের কারও সঙ্গে কথা হতে পারে, তবে সেটা স্ক্যাম কল কি না যাচাই করে নিন।
বৃশ্চিক
রহস্যময় হাসি আর পকেটভর্তি টাকা। ব্যবসায় আজ লক্ষ্মীলাভের যোগ আছে। বন্ধুদের আজ ডিনার খাওয়াতে হতে পারে, তাই পালানোর রাস্তা আগে থেকে ঠিক করে রাখুন। আধ্যাত্মিক চিন্তায় মনে শান্তি মিলবে, তবে সেটা যেন শুধু মশারির ভেতরেই সীমাবদ্ধ না থাকে। শেয়ার বাজারে আজ একটু ঝুঁকি নিতেই পারেন, তবে হারলে আমাকে দোষ দেবেন না!
ধনু
কঠোর পরিশ্রম, কিন্তু রেজাল্ট তথৈবচ। বকেয়া টাকা পাওয়ার যোগ আছে, তবে সেটা আদায় করতে গিয়ে গলা শুকিয়ে যাবে। প্রেমে আজ সত্যবাদী থাকুন, একটা মিথ্যা ধরা পড়লে কপালে শনির দশা নিশ্চিত। রূপচর্চার জন্য আজ বেশ কিছু টাকা গচ্চা যেতে পারে, কিন্তু তাতে মুখ কতটা চকচক করবে, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। সন্ধ্যার পর হুট করে মন খারাপ হতে পারে; এক কাপ কড়া চা খান।
মকর
কাজের নেশায় বুঁদ, শরীর বলছে ‘আর না’। আজ আপনার পরিশ্রম দেখে পিঁপড়ারা লজ্জা পাবে। পরিবারে আপনার মতামতের দাম বাড়বে, তবে সেটা শুধু মেনু ঠিক করার ক্ষেত্রেই হতে পারে। তীর্থযাত্রার সুযোগ আসতে পারে, অন্তত পাড়ার মোড়ের মন্দির পর্যন্ত তো বটেই। বেশি ইমোশনাল হবেন না, বিশেষ করে অফিসের গ্রুপ চ্যাটে।
কুম্ভ
মনের ভেতর হাজার প্রশ্ন, উত্তর নেই একটাও। চাকরি বদলানোর চিন্তা আজ মাথায় ঘুরবে, কিন্তু ব্যাংক ব্যালেন্সের দিকে তাকালে সেই চিন্তা কর্পূরের মতো উবে যাবে। বন্ধুদের অবহেলা করবেন না, ওরাই বিপদের সময় চপ-মুড়ি নিয়ে হাজির হবে। ভোরে ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করুন, তাতে ভাগ্য না ফিরলেও শরীর ঠিক থাকবে। কোনো চুক্তিতে সই করার আগে অন্তত তিনবার বানানগুলো চেক করুন।
মীন
স্বপ্নের ঘোরে দিন কাটে, বাস্তবে শুধু ধাক্কা। পরিবারের কোনো বড় সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে আজ কনফিউজড হয়ে যাবেন। আজ আপনার মিষ্টি কথায় কাজ হাসিল হবে, এমনকি আজরাইলকেও বোধহয় কফি খাইয়ে ফেরত পাঠাতে পারবেন। ব্যবসায়িক কাজে বন্ধুদের পূর্ণ সহযোগিতা পাবেন। আজ আপনার মেধা চমকাবে, তবে সেটা যেন শুধু ফেসবুক কুইজেই শেষ না হয়ে যায়।

চারপাশে এত মানুষ দেখতে দেখতে ক্লান্ত আপনি। রাস্তায় বলুন, বাজারে বলুন কী কোথাও ঘুরতে গিয়েছেন শুধু মানুষ আর মানুষ। কিন্তু চাইলেই তো আর নির্জন কোনো স্থানে যাওয়া সম্ভব নয়! এই যদি আপনার পরিস্থিতি হয় তবে লেখাটি আপনার জন্য। পৃথিবীর জনসংখ্যার দিক থেকে ক্ষুদ্রতম দশটি দেশের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেব এখন।
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
সব ঠিক চলছিল। কিন্তু যেই অনুষ্ঠানের তারিখ পড়ে গেল, উঠল মুখে ব্রণ কিংবা লাল হয়ে উঠল র্যাশ! মেজাজ হয়ে উঠল তিরিক্ষি। কিন্তু অনুষ্ঠানে তো যেতে হবে। এমন অবস্থায় যে সব সময় পারলারেই যেতে হয়, তা নয়। ঘরে বসেও এর বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নিতে পারেন। ত্বকের ধরন অনুযায়ী যত্ন নিলে নির্দিষ্ট অনুষ্ঠানের দিন ত্বক...
১৩ ঘণ্টা আগে
নাইজেরিয়ার বড় শহর লাগোস সারা বছর ব্যস্ত থাকে। তবে বছরের শেষ দিকে এই বিশাল শহর যেন রূপ বদলে আরও বেশি সরগরম হয়ে ওঠে। এর কারণ ডেটি ডিসেম্বর। এটি শহরের বার্ষিক উৎসব। একে ঘিরে পুরো শহর সেজে ওঠে ঝলমলে আলোয়। রাত হয়ে ওঠে সংগীতময়, রাস্তাজুড়ে থাকে উৎসবমুখর মানুষের ঢল। সংগীত, খাদ্য, পানীয় ডিসেম্বরে সব যেন...
১৫ ঘণ্টা আগে
একুশ শতকের প্রথম দশক, অর্থাৎ ২০০০ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত সময়টা ছিল এক অদ্ভুত ফ্যাশনের সময়। তখন আভিজাত্যের চেয়ে আস্ফালন ছিল বেশি! সূক্ষ্মতা তখন প্রায় মৃত। চারদিকে শুধু পাপারাজ্জির ক্যামেরার ফ্ল্যাশ। মাই স্পেসের জন্য আয়নায় তোলা অগোছালো ছবি। আর ছিল আত্মবিশ্বাসের জয়গান। বলা যেতেই পারে, ২০০০ সালের দিকে...
১৭ ঘণ্টা আগে