আজকের পত্রিকা ডেস্ক

অ্যাপলপ্রেমীদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে। নানা জল্পনা-কল্পনা ও গুঞ্জনের অবসান ঘটিয়ে অ্যাপল আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করেছে তাদের বহুল আলোচিত, নতুন প্রজন্মের এবং এখন পর্যন্ত সবচেয়ে পাতলা স্মার্টফোন—আইফোন ১৭ এয়ার। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ক্যালিফোর্নিয়ার কুপারটিনোতে অ্যাপলের সদর দপ্তরে ‘অ ড্রপিং’ নামের এক জমকালো ইভেন্টে এ ঘোষণা দেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী টিম কুক। তিনি নতুন আইফোনটিকে আখ্যা দেন ‘আইফোনের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অগ্রগতি’ হিসেবে।
অ্যাপল দীর্ঘদিন পর আইফোনের বড় ধরনের নতুন নকশা নিয়ে হাজির হলো। অনুষ্ঠানটি ছিল হার্ডওয়্যার-নির্ভর, যেখানে নতুন এয়ারপডস প্রো ৩ এবং তিনটি হালনাগাদ করা অ্যাপল ঘড়ির মডেলের ঘোষণা দেওয়া হয়। প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা অ্যাপলের এই পদক্ষেপে সন্তুষ্ট হলেও নতুন উদ্ভাবনগুলো তাৎক্ষণিকভাবে শেয়ারবাজারে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া আনেনি। গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর অ্যাপলের শেয়ারের দাম ১ দশমিক ৫ শতাংশ কমে যায়, যা এ বছরের শুরু থেকে ৪ শতাংশ হ্রাসের অংশ।
আইফোন ১৭ সিরিজে এসেছে চারটি মডেল
সব মডেলেই আগের তুলনায় আরও টেকসই ‘সিরামিক শিল্ড’ ডিসপ্লে ব্যবহৃত হয়েছে। আইফোন ১৭ প্রোর নকশা সম্পূর্ণ নতুন করে তৈরি করা হয়েছে। কারণ এতে যুক্ত হয়েছে শক্তিশালী ব্যাটারি, বেশি মেমোরি এবং উন্নত তাপ ব্যবস্থাপনা। আইফোন এয়ার মডেলটি তৈরি হয়েছে ‘স্পেসক্রাফট টাইটানিয়াম’ দিয়ে, যার পুরুত্ব মাত্র ৫ দশমিক ৬ মিলিমিটার।
আইফোন এয়ারে থাকবে ‘সারা দিন চলার মতো ব্যাটারি লাইফ’। যদিও নির্দিষ্ট ঘণ্টা উল্লেখ করা হয়নি।
স্ক্রিন ও রঙের বৈচিত্র্য
নতুন রঙের মধ্যে রয়েছে ‘ল্যাভেন্ডার’ বা হালকা বেগুনি (আইফোন ১৭), ‘আকাশি নীল’ (আইফোন এয়ার) ও ‘কসমিক অরেঞ্জ’ বা গাঢ় কমলা (আইফোন ১৭ প্রো)। অ্যাপলের বিপণন বিভাগের প্রধান গ্রেগ জসউইয়াক জানিয়েছেন, পুরো অনুষ্ঠানটি আইফোন ১৭ প্রো দিয়েই ধারণ করা হয়েছে।
আইফোন ১৭ এয়ার
আইফোন ১৭
আইফোন ১৭ প্রো
এই মডেলের পেছনে ক্যামেরার ডিজাইনে পরিবর্তন এসেছে।
আইফোন ১৭ প্রো ম্যাক্স
অ্যালুমিনিয়াম বডি (যেন তাপ সহজে বের হয়ে যায়)
এয়ারপডস প্রো ৩: সরাসরি অনুবাদ ও হৃৎস্পন্দন পরিমাপক
তিন বছর পর অ্যাপলের এয়ারপডস প্রো হালনাগাদ হয়েছে। এয়ারপডস প্রো ৩তে যুক্ত হয়েছে—
উদাহরণ হিসেবে বলা হয়েছে, একজন ইংরেজিভাষী যদি স্পেনে ভ্রমণ করেন, তাহলে স্প্যানিশ ভাষার কথা এয়ারপডসে সরাসরি ইংরেজিতে অনুবাদ হয়ে বাজবে এবং অন্য ব্যক্তির কণ্ঠের শব্দ কমে যাবে, যাতে ব্যবহারকারী অনুবাদে মনোযোগ দিতে পারেন। পরে ব্যবহারকারীর আইফোন ইংরেজি থেকে স্প্যানিশে অনুবাদ করে প্রতিপক্ষকে জানাবে। এমন অনুবাদ ফিচার আগেই গুগল ও স্যামসাং এনেছিল।
নতুন তিনটি অ্যাপল ঘড়ি
১. অ্যাপল ঘড়ি সিরিজ ১১
অ্যাপলের মতে, এটি তাদের এখন পর্যন্ত ‘সবচেয়ে পাতলা ও আরামদায়ক’ ঘড়ি। এতে থাকছে—
২. অ্যাপল ওয়াচ এসই ৩
কম দামের এই সংস্করণে শক্তিশালী চিপ যুক্ত হয়েছে, যার ফলে এখন অলওয়েজ-অন ডিসপ্লে ফিচার এই ঘড়িতে ব্যবহার করা সম্ভব।
৩. অ্যাপল ওয়াচ আলট্রা ৩
স্বাস্থ্য ফিচারে জোর
অ্যাপলের নতুন ডিভাইসগুলোতে স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
অ্যাপল ওয়াচ এসই ৩: তাপমাত্রা পরিমাপক ফিচার ব্যবহার করে এটি মেয়েদের ওভুলেশনের সময় সম্পর্কে পূর্বাভাস দিতে পারে।
এয়ারপডস প্রো ৩: এটি ব্যবহারকারীর হৃৎস্পন্দন ও ব্যায়ামের সময় ক্যালরি খরচ হিসাব করতে পারবে এবং অ্যাপল ফিটনেস প্লাম অ্যাপে ৫০ ধরনের ব্যায়াম ট্র্যাক করতে পারবে।
এই অনুষ্ঠানে আইফোন ১৭ সিরিজের সঙ্গে বেশ কিছু নতুন আনুষঙ্গিক পণ্যও উন্মোচন করা হয়েছে। অ্যাপল সব সময়ই নতুন আইফোনের সঙ্গে আনুষঙ্গিক পণ্যের একটি সম্পূর্ণ নতুন সেট নিয়ে আসে এবং এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
নতুন অ্যাকসেসরিজ
নতুন মোবাইল কেস
অ্যাপল তাদের আগের চামড়ার কেসগুলো বন্ধ করেছে। এর পরিবর্তে তারা ফাইনউভেন (FineWoven) নামে একটি নতুন পরিবেশবান্ধব কাপড়ের কেস এনেছে। এই কেসগুলো দেখতে ও স্পর্শে অনেক উন্নতমানের এবং এটি আইফোনের নতুন ডিজাইন ও রঙের সঙ্গে দারুণভাবে মানিয়ে যায়। এই কেসগুলো আইফোন ১৭, আইফোন ১৭ এয়ার এবং প্রো মডেলগুলোর জন্য পাওয়া যাবে।
নতুন ম্যাগসেইফ
নতুন আইফোন সিরিজের জন্য নতুন ডিজাইনের ও রঙের ম্যাগসেইফ কেস ও ওয়ালেট এসেছে। এই পণ্যগুলো ফাইনউভেন উপাদান দিয়ে তৈরি, যা চামড়ার মতো দেখতে হলেও আরও টেকসই এবং পরিবেশবান্ধব। এগুলোর রং নতুন আইফোনগুলোর রঙের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
অন্যান্য চার্জিং অ্যাকসেসরিজ
অনুষ্ঠানে নতুন একটি ম্যাগসেইফ ডক এবং নতুন ধরনের বেতার চার্জার দেখানো হয়েছে, যা একই সঙ্গে আইফোন, অ্যাপল ঘড়ি এবং এয়ারপডস চার্জ করতে পারে।
নতুন আইফোনের মতোই এসব আনুষঙ্গিক পণ্যও নতুন রঙে পাওয়া যাবে। এর মধ্যে রয়েছে কসমিক অরেঞ্জ, ডিপ ব্লু ও সিলভার।
আইফোনের দাম কত
যুক্তরাষ্ট্রে চলতি বছর অ্যাপলের পণ্য আমদানিতে শুল্কের কারণে প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ১ দশমিক ১ বিলিয়ন বা ১১০ কোটি মার্কিন ডলার ক্ষতির আশঙ্কা করছিল। তবে ডিভাইসগুলোর দামে বড় কোনো পরিবর্তন আসেনি।
আইফোন ১৭ বেস মডেলের দাম গত বছরের আইফোন ১৬-এর মতোই রয়েছে। সবচেয়ে ভালো খবর হলো, একই দামে আপনি এবার ১২৮ জিবির বদলে ২৫৬ জিবি স্টোরেজ পাবেন।
আইফোন ১৭ প্রো ও প্রো ম্যাক্স—এ দুটি প্রো মডেলের দাম গত বছরের তুলনায় সামান্য বেড়েছে, প্রায় ৫০ থেকে ১০০ মার্কিন ডলার। তবে দাম বাড়ার একটি কারণ হলো, এই মডেলগুলোতে এবার আর ১২৮ জিবি স্টোরেজ অপশন নেই, এর পরিবর্তে শুরু হয়েছে ২৫৬ জিবি থেকে।
আইফোন ১৭-এর ২৫৬ গিগাবাইট ইন্টারনাল স্টোরজ সংস্করণের দাম ৭৯৯ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৯৭ হাজার ৬৩৩ টাকা)
আইফোন ১৭ এয়ারের ২৫৬ গিগাবাইট ইন্টারনাল স্টোরজ সংস্করণের দাম ৯৯৯ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ লাখ ২২ হাজার ১৫৮ টাকা)
আইফোন ১৭ প্রোর ২৫৬ গিগাবাইট ইন্টারনাল স্টোরজ সংস্করণের দাম ১ হাজার ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ লাখ ৩৪ হাজার ৩৮৬ টাকা)
আইফোন ১৭ প্রো ম্যাক্স ২৫৬ গিগাবাইট ইন্টারনাল স্টোরজ সংস্করণের দাম ১ হাজার ১৯৯ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ লাখ ৪৬ হাজার ৬১৪ টাকা)
আইফোন ১৭ এয়ার মডেলটি গত বছরের আইফোন ১৬ প্লাস মডেলের জায়গা নিয়েছে এবং এর দাম কিছুটা বেশি। গত বছর আইফোন ১৬ প্লাসের দাম শুরু হয়েছিল ৮৯৯ ডলার থেকে, সেখানে আইফোন ১৭ এয়ারের দাম শুরু হয়েছে ৯৯৯ ডলার থেকে। এই দাম বাড়ার কারণ হলো, আইফোন ১৭ এয়ারে আরও উন্নতমানের ডিজাইন এবং প্রো মডেলের মতো এ১৯ প্রো চিপ ব্যবহার করা হয়েছে।
কবে আসছে বাজারে
সব ডিভাইসের প্রি-অর্ডার শুরু হয়ে গেছে এবং বাজারে পাওয়া যাবে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে।
তথ্যসূত্র: সিএনএন, সিনেট ও অ্যাপল

অ্যাপলপ্রেমীদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে। নানা জল্পনা-কল্পনা ও গুঞ্জনের অবসান ঘটিয়ে অ্যাপল আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করেছে তাদের বহুল আলোচিত, নতুন প্রজন্মের এবং এখন পর্যন্ত সবচেয়ে পাতলা স্মার্টফোন—আইফোন ১৭ এয়ার। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ক্যালিফোর্নিয়ার কুপারটিনোতে অ্যাপলের সদর দপ্তরে ‘অ ড্রপিং’ নামের এক জমকালো ইভেন্টে এ ঘোষণা দেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী টিম কুক। তিনি নতুন আইফোনটিকে আখ্যা দেন ‘আইফোনের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অগ্রগতি’ হিসেবে।
অ্যাপল দীর্ঘদিন পর আইফোনের বড় ধরনের নতুন নকশা নিয়ে হাজির হলো। অনুষ্ঠানটি ছিল হার্ডওয়্যার-নির্ভর, যেখানে নতুন এয়ারপডস প্রো ৩ এবং তিনটি হালনাগাদ করা অ্যাপল ঘড়ির মডেলের ঘোষণা দেওয়া হয়। প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা অ্যাপলের এই পদক্ষেপে সন্তুষ্ট হলেও নতুন উদ্ভাবনগুলো তাৎক্ষণিকভাবে শেয়ারবাজারে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া আনেনি। গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর অ্যাপলের শেয়ারের দাম ১ দশমিক ৫ শতাংশ কমে যায়, যা এ বছরের শুরু থেকে ৪ শতাংশ হ্রাসের অংশ।
আইফোন ১৭ সিরিজে এসেছে চারটি মডেল
সব মডেলেই আগের তুলনায় আরও টেকসই ‘সিরামিক শিল্ড’ ডিসপ্লে ব্যবহৃত হয়েছে। আইফোন ১৭ প্রোর নকশা সম্পূর্ণ নতুন করে তৈরি করা হয়েছে। কারণ এতে যুক্ত হয়েছে শক্তিশালী ব্যাটারি, বেশি মেমোরি এবং উন্নত তাপ ব্যবস্থাপনা। আইফোন এয়ার মডেলটি তৈরি হয়েছে ‘স্পেসক্রাফট টাইটানিয়াম’ দিয়ে, যার পুরুত্ব মাত্র ৫ দশমিক ৬ মিলিমিটার।
আইফোন এয়ারে থাকবে ‘সারা দিন চলার মতো ব্যাটারি লাইফ’। যদিও নির্দিষ্ট ঘণ্টা উল্লেখ করা হয়নি।
স্ক্রিন ও রঙের বৈচিত্র্য
নতুন রঙের মধ্যে রয়েছে ‘ল্যাভেন্ডার’ বা হালকা বেগুনি (আইফোন ১৭), ‘আকাশি নীল’ (আইফোন এয়ার) ও ‘কসমিক অরেঞ্জ’ বা গাঢ় কমলা (আইফোন ১৭ প্রো)। অ্যাপলের বিপণন বিভাগের প্রধান গ্রেগ জসউইয়াক জানিয়েছেন, পুরো অনুষ্ঠানটি আইফোন ১৭ প্রো দিয়েই ধারণ করা হয়েছে।
আইফোন ১৭ এয়ার
আইফোন ১৭
আইফোন ১৭ প্রো
এই মডেলের পেছনে ক্যামেরার ডিজাইনে পরিবর্তন এসেছে।
আইফোন ১৭ প্রো ম্যাক্স
অ্যালুমিনিয়াম বডি (যেন তাপ সহজে বের হয়ে যায়)
এয়ারপডস প্রো ৩: সরাসরি অনুবাদ ও হৃৎস্পন্দন পরিমাপক
তিন বছর পর অ্যাপলের এয়ারপডস প্রো হালনাগাদ হয়েছে। এয়ারপডস প্রো ৩তে যুক্ত হয়েছে—
উদাহরণ হিসেবে বলা হয়েছে, একজন ইংরেজিভাষী যদি স্পেনে ভ্রমণ করেন, তাহলে স্প্যানিশ ভাষার কথা এয়ারপডসে সরাসরি ইংরেজিতে অনুবাদ হয়ে বাজবে এবং অন্য ব্যক্তির কণ্ঠের শব্দ কমে যাবে, যাতে ব্যবহারকারী অনুবাদে মনোযোগ দিতে পারেন। পরে ব্যবহারকারীর আইফোন ইংরেজি থেকে স্প্যানিশে অনুবাদ করে প্রতিপক্ষকে জানাবে। এমন অনুবাদ ফিচার আগেই গুগল ও স্যামসাং এনেছিল।
নতুন তিনটি অ্যাপল ঘড়ি
১. অ্যাপল ঘড়ি সিরিজ ১১
অ্যাপলের মতে, এটি তাদের এখন পর্যন্ত ‘সবচেয়ে পাতলা ও আরামদায়ক’ ঘড়ি। এতে থাকছে—
২. অ্যাপল ওয়াচ এসই ৩
কম দামের এই সংস্করণে শক্তিশালী চিপ যুক্ত হয়েছে, যার ফলে এখন অলওয়েজ-অন ডিসপ্লে ফিচার এই ঘড়িতে ব্যবহার করা সম্ভব।
৩. অ্যাপল ওয়াচ আলট্রা ৩
স্বাস্থ্য ফিচারে জোর
অ্যাপলের নতুন ডিভাইসগুলোতে স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
অ্যাপল ওয়াচ এসই ৩: তাপমাত্রা পরিমাপক ফিচার ব্যবহার করে এটি মেয়েদের ওভুলেশনের সময় সম্পর্কে পূর্বাভাস দিতে পারে।
এয়ারপডস প্রো ৩: এটি ব্যবহারকারীর হৃৎস্পন্দন ও ব্যায়ামের সময় ক্যালরি খরচ হিসাব করতে পারবে এবং অ্যাপল ফিটনেস প্লাম অ্যাপে ৫০ ধরনের ব্যায়াম ট্র্যাক করতে পারবে।
এই অনুষ্ঠানে আইফোন ১৭ সিরিজের সঙ্গে বেশ কিছু নতুন আনুষঙ্গিক পণ্যও উন্মোচন করা হয়েছে। অ্যাপল সব সময়ই নতুন আইফোনের সঙ্গে আনুষঙ্গিক পণ্যের একটি সম্পূর্ণ নতুন সেট নিয়ে আসে এবং এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
নতুন অ্যাকসেসরিজ
নতুন মোবাইল কেস
অ্যাপল তাদের আগের চামড়ার কেসগুলো বন্ধ করেছে। এর পরিবর্তে তারা ফাইনউভেন (FineWoven) নামে একটি নতুন পরিবেশবান্ধব কাপড়ের কেস এনেছে। এই কেসগুলো দেখতে ও স্পর্শে অনেক উন্নতমানের এবং এটি আইফোনের নতুন ডিজাইন ও রঙের সঙ্গে দারুণভাবে মানিয়ে যায়। এই কেসগুলো আইফোন ১৭, আইফোন ১৭ এয়ার এবং প্রো মডেলগুলোর জন্য পাওয়া যাবে।
নতুন ম্যাগসেইফ
নতুন আইফোন সিরিজের জন্য নতুন ডিজাইনের ও রঙের ম্যাগসেইফ কেস ও ওয়ালেট এসেছে। এই পণ্যগুলো ফাইনউভেন উপাদান দিয়ে তৈরি, যা চামড়ার মতো দেখতে হলেও আরও টেকসই এবং পরিবেশবান্ধব। এগুলোর রং নতুন আইফোনগুলোর রঙের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
অন্যান্য চার্জিং অ্যাকসেসরিজ
অনুষ্ঠানে নতুন একটি ম্যাগসেইফ ডক এবং নতুন ধরনের বেতার চার্জার দেখানো হয়েছে, যা একই সঙ্গে আইফোন, অ্যাপল ঘড়ি এবং এয়ারপডস চার্জ করতে পারে।
নতুন আইফোনের মতোই এসব আনুষঙ্গিক পণ্যও নতুন রঙে পাওয়া যাবে। এর মধ্যে রয়েছে কসমিক অরেঞ্জ, ডিপ ব্লু ও সিলভার।
আইফোনের দাম কত
যুক্তরাষ্ট্রে চলতি বছর অ্যাপলের পণ্য আমদানিতে শুল্কের কারণে প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ১ দশমিক ১ বিলিয়ন বা ১১০ কোটি মার্কিন ডলার ক্ষতির আশঙ্কা করছিল। তবে ডিভাইসগুলোর দামে বড় কোনো পরিবর্তন আসেনি।
আইফোন ১৭ বেস মডেলের দাম গত বছরের আইফোন ১৬-এর মতোই রয়েছে। সবচেয়ে ভালো খবর হলো, একই দামে আপনি এবার ১২৮ জিবির বদলে ২৫৬ জিবি স্টোরেজ পাবেন।
আইফোন ১৭ প্রো ও প্রো ম্যাক্স—এ দুটি প্রো মডেলের দাম গত বছরের তুলনায় সামান্য বেড়েছে, প্রায় ৫০ থেকে ১০০ মার্কিন ডলার। তবে দাম বাড়ার একটি কারণ হলো, এই মডেলগুলোতে এবার আর ১২৮ জিবি স্টোরেজ অপশন নেই, এর পরিবর্তে শুরু হয়েছে ২৫৬ জিবি থেকে।
আইফোন ১৭-এর ২৫৬ গিগাবাইট ইন্টারনাল স্টোরজ সংস্করণের দাম ৭৯৯ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৯৭ হাজার ৬৩৩ টাকা)
আইফোন ১৭ এয়ারের ২৫৬ গিগাবাইট ইন্টারনাল স্টোরজ সংস্করণের দাম ৯৯৯ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ লাখ ২২ হাজার ১৫৮ টাকা)
আইফোন ১৭ প্রোর ২৫৬ গিগাবাইট ইন্টারনাল স্টোরজ সংস্করণের দাম ১ হাজার ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ লাখ ৩৪ হাজার ৩৮৬ টাকা)
আইফোন ১৭ প্রো ম্যাক্স ২৫৬ গিগাবাইট ইন্টারনাল স্টোরজ সংস্করণের দাম ১ হাজার ১৯৯ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ লাখ ৪৬ হাজার ৬১৪ টাকা)
আইফোন ১৭ এয়ার মডেলটি গত বছরের আইফোন ১৬ প্লাস মডেলের জায়গা নিয়েছে এবং এর দাম কিছুটা বেশি। গত বছর আইফোন ১৬ প্লাসের দাম শুরু হয়েছিল ৮৯৯ ডলার থেকে, সেখানে আইফোন ১৭ এয়ারের দাম শুরু হয়েছে ৯৯৯ ডলার থেকে। এই দাম বাড়ার কারণ হলো, আইফোন ১৭ এয়ারে আরও উন্নতমানের ডিজাইন এবং প্রো মডেলের মতো এ১৯ প্রো চিপ ব্যবহার করা হয়েছে।
কবে আসছে বাজারে
সব ডিভাইসের প্রি-অর্ডার শুরু হয়ে গেছে এবং বাজারে পাওয়া যাবে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে।
তথ্যসূত্র: সিএনএন, সিনেট ও অ্যাপল
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

অ্যাপলপ্রেমীদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে। নানা জল্পনা-কল্পনা ও গুঞ্জনের অবসান ঘটিয়ে অ্যাপল আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করেছে তাদের বহুল আলোচিত, নতুন প্রজন্মের এবং এখন পর্যন্ত সবচেয়ে পাতলা স্মার্টফোন—আইফোন ১৭ এয়ার। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ক্যালিফোর্নিয়ার কুপারটিনোতে অ্যাপলের সদর দপ্তরে ‘অ ড্রপিং’ নামের এক জমকালো ইভেন্টে এ ঘোষণা দেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী টিম কুক। তিনি নতুন আইফোনটিকে আখ্যা দেন ‘আইফোনের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অগ্রগতি’ হিসেবে।
অ্যাপল দীর্ঘদিন পর আইফোনের বড় ধরনের নতুন নকশা নিয়ে হাজির হলো। অনুষ্ঠানটি ছিল হার্ডওয়্যার-নির্ভর, যেখানে নতুন এয়ারপডস প্রো ৩ এবং তিনটি হালনাগাদ করা অ্যাপল ঘড়ির মডেলের ঘোষণা দেওয়া হয়। প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা অ্যাপলের এই পদক্ষেপে সন্তুষ্ট হলেও নতুন উদ্ভাবনগুলো তাৎক্ষণিকভাবে শেয়ারবাজারে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া আনেনি। গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর অ্যাপলের শেয়ারের দাম ১ দশমিক ৫ শতাংশ কমে যায়, যা এ বছরের শুরু থেকে ৪ শতাংশ হ্রাসের অংশ।
আইফোন ১৭ সিরিজে এসেছে চারটি মডেল
সব মডেলেই আগের তুলনায় আরও টেকসই ‘সিরামিক শিল্ড’ ডিসপ্লে ব্যবহৃত হয়েছে। আইফোন ১৭ প্রোর নকশা সম্পূর্ণ নতুন করে তৈরি করা হয়েছে। কারণ এতে যুক্ত হয়েছে শক্তিশালী ব্যাটারি, বেশি মেমোরি এবং উন্নত তাপ ব্যবস্থাপনা। আইফোন এয়ার মডেলটি তৈরি হয়েছে ‘স্পেসক্রাফট টাইটানিয়াম’ দিয়ে, যার পুরুত্ব মাত্র ৫ দশমিক ৬ মিলিমিটার।
আইফোন এয়ারে থাকবে ‘সারা দিন চলার মতো ব্যাটারি লাইফ’। যদিও নির্দিষ্ট ঘণ্টা উল্লেখ করা হয়নি।
স্ক্রিন ও রঙের বৈচিত্র্য
নতুন রঙের মধ্যে রয়েছে ‘ল্যাভেন্ডার’ বা হালকা বেগুনি (আইফোন ১৭), ‘আকাশি নীল’ (আইফোন এয়ার) ও ‘কসমিক অরেঞ্জ’ বা গাঢ় কমলা (আইফোন ১৭ প্রো)। অ্যাপলের বিপণন বিভাগের প্রধান গ্রেগ জসউইয়াক জানিয়েছেন, পুরো অনুষ্ঠানটি আইফোন ১৭ প্রো দিয়েই ধারণ করা হয়েছে।
আইফোন ১৭ এয়ার
আইফোন ১৭
আইফোন ১৭ প্রো
এই মডেলের পেছনে ক্যামেরার ডিজাইনে পরিবর্তন এসেছে।
আইফোন ১৭ প্রো ম্যাক্স
অ্যালুমিনিয়াম বডি (যেন তাপ সহজে বের হয়ে যায়)
এয়ারপডস প্রো ৩: সরাসরি অনুবাদ ও হৃৎস্পন্দন পরিমাপক
তিন বছর পর অ্যাপলের এয়ারপডস প্রো হালনাগাদ হয়েছে। এয়ারপডস প্রো ৩তে যুক্ত হয়েছে—
উদাহরণ হিসেবে বলা হয়েছে, একজন ইংরেজিভাষী যদি স্পেনে ভ্রমণ করেন, তাহলে স্প্যানিশ ভাষার কথা এয়ারপডসে সরাসরি ইংরেজিতে অনুবাদ হয়ে বাজবে এবং অন্য ব্যক্তির কণ্ঠের শব্দ কমে যাবে, যাতে ব্যবহারকারী অনুবাদে মনোযোগ দিতে পারেন। পরে ব্যবহারকারীর আইফোন ইংরেজি থেকে স্প্যানিশে অনুবাদ করে প্রতিপক্ষকে জানাবে। এমন অনুবাদ ফিচার আগেই গুগল ও স্যামসাং এনেছিল।
নতুন তিনটি অ্যাপল ঘড়ি
১. অ্যাপল ঘড়ি সিরিজ ১১
অ্যাপলের মতে, এটি তাদের এখন পর্যন্ত ‘সবচেয়ে পাতলা ও আরামদায়ক’ ঘড়ি। এতে থাকছে—
২. অ্যাপল ওয়াচ এসই ৩
কম দামের এই সংস্করণে শক্তিশালী চিপ যুক্ত হয়েছে, যার ফলে এখন অলওয়েজ-অন ডিসপ্লে ফিচার এই ঘড়িতে ব্যবহার করা সম্ভব।
৩. অ্যাপল ওয়াচ আলট্রা ৩
স্বাস্থ্য ফিচারে জোর
অ্যাপলের নতুন ডিভাইসগুলোতে স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
অ্যাপল ওয়াচ এসই ৩: তাপমাত্রা পরিমাপক ফিচার ব্যবহার করে এটি মেয়েদের ওভুলেশনের সময় সম্পর্কে পূর্বাভাস দিতে পারে।
এয়ারপডস প্রো ৩: এটি ব্যবহারকারীর হৃৎস্পন্দন ও ব্যায়ামের সময় ক্যালরি খরচ হিসাব করতে পারবে এবং অ্যাপল ফিটনেস প্লাম অ্যাপে ৫০ ধরনের ব্যায়াম ট্র্যাক করতে পারবে।
এই অনুষ্ঠানে আইফোন ১৭ সিরিজের সঙ্গে বেশ কিছু নতুন আনুষঙ্গিক পণ্যও উন্মোচন করা হয়েছে। অ্যাপল সব সময়ই নতুন আইফোনের সঙ্গে আনুষঙ্গিক পণ্যের একটি সম্পূর্ণ নতুন সেট নিয়ে আসে এবং এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
নতুন অ্যাকসেসরিজ
নতুন মোবাইল কেস
অ্যাপল তাদের আগের চামড়ার কেসগুলো বন্ধ করেছে। এর পরিবর্তে তারা ফাইনউভেন (FineWoven) নামে একটি নতুন পরিবেশবান্ধব কাপড়ের কেস এনেছে। এই কেসগুলো দেখতে ও স্পর্শে অনেক উন্নতমানের এবং এটি আইফোনের নতুন ডিজাইন ও রঙের সঙ্গে দারুণভাবে মানিয়ে যায়। এই কেসগুলো আইফোন ১৭, আইফোন ১৭ এয়ার এবং প্রো মডেলগুলোর জন্য পাওয়া যাবে।
নতুন ম্যাগসেইফ
নতুন আইফোন সিরিজের জন্য নতুন ডিজাইনের ও রঙের ম্যাগসেইফ কেস ও ওয়ালেট এসেছে। এই পণ্যগুলো ফাইনউভেন উপাদান দিয়ে তৈরি, যা চামড়ার মতো দেখতে হলেও আরও টেকসই এবং পরিবেশবান্ধব। এগুলোর রং নতুন আইফোনগুলোর রঙের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
অন্যান্য চার্জিং অ্যাকসেসরিজ
অনুষ্ঠানে নতুন একটি ম্যাগসেইফ ডক এবং নতুন ধরনের বেতার চার্জার দেখানো হয়েছে, যা একই সঙ্গে আইফোন, অ্যাপল ঘড়ি এবং এয়ারপডস চার্জ করতে পারে।
নতুন আইফোনের মতোই এসব আনুষঙ্গিক পণ্যও নতুন রঙে পাওয়া যাবে। এর মধ্যে রয়েছে কসমিক অরেঞ্জ, ডিপ ব্লু ও সিলভার।
আইফোনের দাম কত
যুক্তরাষ্ট্রে চলতি বছর অ্যাপলের পণ্য আমদানিতে শুল্কের কারণে প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ১ দশমিক ১ বিলিয়ন বা ১১০ কোটি মার্কিন ডলার ক্ষতির আশঙ্কা করছিল। তবে ডিভাইসগুলোর দামে বড় কোনো পরিবর্তন আসেনি।
আইফোন ১৭ বেস মডেলের দাম গত বছরের আইফোন ১৬-এর মতোই রয়েছে। সবচেয়ে ভালো খবর হলো, একই দামে আপনি এবার ১২৮ জিবির বদলে ২৫৬ জিবি স্টোরেজ পাবেন।
আইফোন ১৭ প্রো ও প্রো ম্যাক্স—এ দুটি প্রো মডেলের দাম গত বছরের তুলনায় সামান্য বেড়েছে, প্রায় ৫০ থেকে ১০০ মার্কিন ডলার। তবে দাম বাড়ার একটি কারণ হলো, এই মডেলগুলোতে এবার আর ১২৮ জিবি স্টোরেজ অপশন নেই, এর পরিবর্তে শুরু হয়েছে ২৫৬ জিবি থেকে।
আইফোন ১৭-এর ২৫৬ গিগাবাইট ইন্টারনাল স্টোরজ সংস্করণের দাম ৭৯৯ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৯৭ হাজার ৬৩৩ টাকা)
আইফোন ১৭ এয়ারের ২৫৬ গিগাবাইট ইন্টারনাল স্টোরজ সংস্করণের দাম ৯৯৯ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ লাখ ২২ হাজার ১৫৮ টাকা)
আইফোন ১৭ প্রোর ২৫৬ গিগাবাইট ইন্টারনাল স্টোরজ সংস্করণের দাম ১ হাজার ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ লাখ ৩৪ হাজার ৩৮৬ টাকা)
আইফোন ১৭ প্রো ম্যাক্স ২৫৬ গিগাবাইট ইন্টারনাল স্টোরজ সংস্করণের দাম ১ হাজার ১৯৯ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ লাখ ৪৬ হাজার ৬১৪ টাকা)
আইফোন ১৭ এয়ার মডেলটি গত বছরের আইফোন ১৬ প্লাস মডেলের জায়গা নিয়েছে এবং এর দাম কিছুটা বেশি। গত বছর আইফোন ১৬ প্লাসের দাম শুরু হয়েছিল ৮৯৯ ডলার থেকে, সেখানে আইফোন ১৭ এয়ারের দাম শুরু হয়েছে ৯৯৯ ডলার থেকে। এই দাম বাড়ার কারণ হলো, আইফোন ১৭ এয়ারে আরও উন্নতমানের ডিজাইন এবং প্রো মডেলের মতো এ১৯ প্রো চিপ ব্যবহার করা হয়েছে।
কবে আসছে বাজারে
সব ডিভাইসের প্রি-অর্ডার শুরু হয়ে গেছে এবং বাজারে পাওয়া যাবে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে।
তথ্যসূত্র: সিএনএন, সিনেট ও অ্যাপল

অ্যাপলপ্রেমীদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে। নানা জল্পনা-কল্পনা ও গুঞ্জনের অবসান ঘটিয়ে অ্যাপল আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করেছে তাদের বহুল আলোচিত, নতুন প্রজন্মের এবং এখন পর্যন্ত সবচেয়ে পাতলা স্মার্টফোন—আইফোন ১৭ এয়ার। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ক্যালিফোর্নিয়ার কুপারটিনোতে অ্যাপলের সদর দপ্তরে ‘অ ড্রপিং’ নামের এক জমকালো ইভেন্টে এ ঘোষণা দেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী টিম কুক। তিনি নতুন আইফোনটিকে আখ্যা দেন ‘আইফোনের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অগ্রগতি’ হিসেবে।
অ্যাপল দীর্ঘদিন পর আইফোনের বড় ধরনের নতুন নকশা নিয়ে হাজির হলো। অনুষ্ঠানটি ছিল হার্ডওয়্যার-নির্ভর, যেখানে নতুন এয়ারপডস প্রো ৩ এবং তিনটি হালনাগাদ করা অ্যাপল ঘড়ির মডেলের ঘোষণা দেওয়া হয়। প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা অ্যাপলের এই পদক্ষেপে সন্তুষ্ট হলেও নতুন উদ্ভাবনগুলো তাৎক্ষণিকভাবে শেয়ারবাজারে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া আনেনি। গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর অ্যাপলের শেয়ারের দাম ১ দশমিক ৫ শতাংশ কমে যায়, যা এ বছরের শুরু থেকে ৪ শতাংশ হ্রাসের অংশ।
আইফোন ১৭ সিরিজে এসেছে চারটি মডেল
সব মডেলেই আগের তুলনায় আরও টেকসই ‘সিরামিক শিল্ড’ ডিসপ্লে ব্যবহৃত হয়েছে। আইফোন ১৭ প্রোর নকশা সম্পূর্ণ নতুন করে তৈরি করা হয়েছে। কারণ এতে যুক্ত হয়েছে শক্তিশালী ব্যাটারি, বেশি মেমোরি এবং উন্নত তাপ ব্যবস্থাপনা। আইফোন এয়ার মডেলটি তৈরি হয়েছে ‘স্পেসক্রাফট টাইটানিয়াম’ দিয়ে, যার পুরুত্ব মাত্র ৫ দশমিক ৬ মিলিমিটার।
আইফোন এয়ারে থাকবে ‘সারা দিন চলার মতো ব্যাটারি লাইফ’। যদিও নির্দিষ্ট ঘণ্টা উল্লেখ করা হয়নি।
স্ক্রিন ও রঙের বৈচিত্র্য
নতুন রঙের মধ্যে রয়েছে ‘ল্যাভেন্ডার’ বা হালকা বেগুনি (আইফোন ১৭), ‘আকাশি নীল’ (আইফোন এয়ার) ও ‘কসমিক অরেঞ্জ’ বা গাঢ় কমলা (আইফোন ১৭ প্রো)। অ্যাপলের বিপণন বিভাগের প্রধান গ্রেগ জসউইয়াক জানিয়েছেন, পুরো অনুষ্ঠানটি আইফোন ১৭ প্রো দিয়েই ধারণ করা হয়েছে।
আইফোন ১৭ এয়ার
আইফোন ১৭
আইফোন ১৭ প্রো
এই মডেলের পেছনে ক্যামেরার ডিজাইনে পরিবর্তন এসেছে।
আইফোন ১৭ প্রো ম্যাক্স
অ্যালুমিনিয়াম বডি (যেন তাপ সহজে বের হয়ে যায়)
এয়ারপডস প্রো ৩: সরাসরি অনুবাদ ও হৃৎস্পন্দন পরিমাপক
তিন বছর পর অ্যাপলের এয়ারপডস প্রো হালনাগাদ হয়েছে। এয়ারপডস প্রো ৩তে যুক্ত হয়েছে—
উদাহরণ হিসেবে বলা হয়েছে, একজন ইংরেজিভাষী যদি স্পেনে ভ্রমণ করেন, তাহলে স্প্যানিশ ভাষার কথা এয়ারপডসে সরাসরি ইংরেজিতে অনুবাদ হয়ে বাজবে এবং অন্য ব্যক্তির কণ্ঠের শব্দ কমে যাবে, যাতে ব্যবহারকারী অনুবাদে মনোযোগ দিতে পারেন। পরে ব্যবহারকারীর আইফোন ইংরেজি থেকে স্প্যানিশে অনুবাদ করে প্রতিপক্ষকে জানাবে। এমন অনুবাদ ফিচার আগেই গুগল ও স্যামসাং এনেছিল।
নতুন তিনটি অ্যাপল ঘড়ি
১. অ্যাপল ঘড়ি সিরিজ ১১
অ্যাপলের মতে, এটি তাদের এখন পর্যন্ত ‘সবচেয়ে পাতলা ও আরামদায়ক’ ঘড়ি। এতে থাকছে—
২. অ্যাপল ওয়াচ এসই ৩
কম দামের এই সংস্করণে শক্তিশালী চিপ যুক্ত হয়েছে, যার ফলে এখন অলওয়েজ-অন ডিসপ্লে ফিচার এই ঘড়িতে ব্যবহার করা সম্ভব।
৩. অ্যাপল ওয়াচ আলট্রা ৩
স্বাস্থ্য ফিচারে জোর
অ্যাপলের নতুন ডিভাইসগুলোতে স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
অ্যাপল ওয়াচ এসই ৩: তাপমাত্রা পরিমাপক ফিচার ব্যবহার করে এটি মেয়েদের ওভুলেশনের সময় সম্পর্কে পূর্বাভাস দিতে পারে।
এয়ারপডস প্রো ৩: এটি ব্যবহারকারীর হৃৎস্পন্দন ও ব্যায়ামের সময় ক্যালরি খরচ হিসাব করতে পারবে এবং অ্যাপল ফিটনেস প্লাম অ্যাপে ৫০ ধরনের ব্যায়াম ট্র্যাক করতে পারবে।
এই অনুষ্ঠানে আইফোন ১৭ সিরিজের সঙ্গে বেশ কিছু নতুন আনুষঙ্গিক পণ্যও উন্মোচন করা হয়েছে। অ্যাপল সব সময়ই নতুন আইফোনের সঙ্গে আনুষঙ্গিক পণ্যের একটি সম্পূর্ণ নতুন সেট নিয়ে আসে এবং এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
নতুন অ্যাকসেসরিজ
নতুন মোবাইল কেস
অ্যাপল তাদের আগের চামড়ার কেসগুলো বন্ধ করেছে। এর পরিবর্তে তারা ফাইনউভেন (FineWoven) নামে একটি নতুন পরিবেশবান্ধব কাপড়ের কেস এনেছে। এই কেসগুলো দেখতে ও স্পর্শে অনেক উন্নতমানের এবং এটি আইফোনের নতুন ডিজাইন ও রঙের সঙ্গে দারুণভাবে মানিয়ে যায়। এই কেসগুলো আইফোন ১৭, আইফোন ১৭ এয়ার এবং প্রো মডেলগুলোর জন্য পাওয়া যাবে।
নতুন ম্যাগসেইফ
নতুন আইফোন সিরিজের জন্য নতুন ডিজাইনের ও রঙের ম্যাগসেইফ কেস ও ওয়ালেট এসেছে। এই পণ্যগুলো ফাইনউভেন উপাদান দিয়ে তৈরি, যা চামড়ার মতো দেখতে হলেও আরও টেকসই এবং পরিবেশবান্ধব। এগুলোর রং নতুন আইফোনগুলোর রঙের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
অন্যান্য চার্জিং অ্যাকসেসরিজ
অনুষ্ঠানে নতুন একটি ম্যাগসেইফ ডক এবং নতুন ধরনের বেতার চার্জার দেখানো হয়েছে, যা একই সঙ্গে আইফোন, অ্যাপল ঘড়ি এবং এয়ারপডস চার্জ করতে পারে।
নতুন আইফোনের মতোই এসব আনুষঙ্গিক পণ্যও নতুন রঙে পাওয়া যাবে। এর মধ্যে রয়েছে কসমিক অরেঞ্জ, ডিপ ব্লু ও সিলভার।
আইফোনের দাম কত
যুক্তরাষ্ট্রে চলতি বছর অ্যাপলের পণ্য আমদানিতে শুল্কের কারণে প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ১ দশমিক ১ বিলিয়ন বা ১১০ কোটি মার্কিন ডলার ক্ষতির আশঙ্কা করছিল। তবে ডিভাইসগুলোর দামে বড় কোনো পরিবর্তন আসেনি।
আইফোন ১৭ বেস মডেলের দাম গত বছরের আইফোন ১৬-এর মতোই রয়েছে। সবচেয়ে ভালো খবর হলো, একই দামে আপনি এবার ১২৮ জিবির বদলে ২৫৬ জিবি স্টোরেজ পাবেন।
আইফোন ১৭ প্রো ও প্রো ম্যাক্স—এ দুটি প্রো মডেলের দাম গত বছরের তুলনায় সামান্য বেড়েছে, প্রায় ৫০ থেকে ১০০ মার্কিন ডলার। তবে দাম বাড়ার একটি কারণ হলো, এই মডেলগুলোতে এবার আর ১২৮ জিবি স্টোরেজ অপশন নেই, এর পরিবর্তে শুরু হয়েছে ২৫৬ জিবি থেকে।
আইফোন ১৭-এর ২৫৬ গিগাবাইট ইন্টারনাল স্টোরজ সংস্করণের দাম ৭৯৯ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৯৭ হাজার ৬৩৩ টাকা)
আইফোন ১৭ এয়ারের ২৫৬ গিগাবাইট ইন্টারনাল স্টোরজ সংস্করণের দাম ৯৯৯ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ লাখ ২২ হাজার ১৫৮ টাকা)
আইফোন ১৭ প্রোর ২৫৬ গিগাবাইট ইন্টারনাল স্টোরজ সংস্করণের দাম ১ হাজার ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ লাখ ৩৪ হাজার ৩৮৬ টাকা)
আইফোন ১৭ প্রো ম্যাক্স ২৫৬ গিগাবাইট ইন্টারনাল স্টোরজ সংস্করণের দাম ১ হাজার ১৯৯ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ লাখ ৪৬ হাজার ৬১৪ টাকা)
আইফোন ১৭ এয়ার মডেলটি গত বছরের আইফোন ১৬ প্লাস মডেলের জায়গা নিয়েছে এবং এর দাম কিছুটা বেশি। গত বছর আইফোন ১৬ প্লাসের দাম শুরু হয়েছিল ৮৯৯ ডলার থেকে, সেখানে আইফোন ১৭ এয়ারের দাম শুরু হয়েছে ৯৯৯ ডলার থেকে। এই দাম বাড়ার কারণ হলো, আইফোন ১৭ এয়ারে আরও উন্নতমানের ডিজাইন এবং প্রো মডেলের মতো এ১৯ প্রো চিপ ব্যবহার করা হয়েছে।
কবে আসছে বাজারে
সব ডিভাইসের প্রি-অর্ডার শুরু হয়ে গেছে এবং বাজারে পাওয়া যাবে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে।
তথ্যসূত্র: সিএনএন, সিনেট ও অ্যাপল

শীতের দুপুরে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া না হলে চলে? শিশুদের স্কুল ছুটি বলে দিনগুলোও থাকে চাপমুক্ত। তাই ছুটির দিনে একটু বেশি সময় নিয়ে মজাদার খাবার তৈরিতে মেতে উঠতে মায়েদের কোনো বাধা নেই। পোলাওয়ের সঙ্গে গরুর মাংসের আলু ঝোল না করে একটু ভিন্নভাবে মাংসটা রেঁধে ফেলুন না! আপনাদের জন্য কাজুবাদাম দিয়ে গরুর মাংসের...
৪২ মিনিট আগে
ষাটের দশকে মেকআপের মূল আকর্ষণ ছিল চোখের সাজের নাটকীয়তা আর ঠোঁটের ন্য়ুড মেকআপ। কিছু কৌশল ব্যবহার করে এখনো সহজে ষাটের দশকের ক্ল্যাসিক ও নজরকাড়া লুক তৈরি করতে পারেন। আসছে নতুন বছর ষাটের দশকের সাজে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতে কী করতে পারেন, তাই দেখে নিন একনজরে।...
১৭ ঘণ্টা আগে
এক বন্ধুকে নিয়ে ভীষণ সংগোপনে কুয়াকাটার বাসে উঠে পড়লাম ঢাকা থেকে। পাখিডাকা ভোরে নেমে পড়লাম কুয়াকাটার কিছু দূর আগে আলীপুর বাজারে। কুয়াকাটার এক ভ্রমণবন্ধু আগেই স্থানীয় এক হোটেলে রুম বুক করে রেখেছিলেন বলে বাড়তি ঝামেলায় পড়তে হয়নি।
১ দিন আগে
পাঁচ তারা হোটেল কোনগুলো? অনেকে এ নিয়ে দ্বিধায় থাকেন। তাই হোটেল নির্বাচনের আগে দেখে নিতে পারেন সরকার অনুমোদিত তালিকা। সেই তালিকা অনুসারে আমাদের দেশে পাঁচ তারা হোটেলের সংখ্যা ২০।
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

ডিসেম্বরের ছুটির দিন খানিকটা আলাদা তো বটেই। এমন শীতের দুপুরে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া না হলে চলে? শিশুদের স্কুল ছুটি বলে দিনগুলোও থাকে চাপমুক্ত। তাই ছুটির দিনে একটু বেশি সময় নিয়ে মজাদার খাবার তৈরিতে মেতে উঠতে মায়েদের কোনো বাধা নেই। পোলাওয়ের সঙ্গে গরুর মাংসের আলু ঝোল না করে একটু ভিন্নভাবে মাংসটা রেঁধে ফেলুন না! আপনাদের জন্য কাজুবাদাম দিয়ে গরুর মাংসের ঝাল রসার রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
গরুর মাংস ১ কেজি, আদা ও রসুন বাটা ২ টেবিল চামচ, টক দই আধা কাপ, পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ, গরম মসলা গুঁড়া ১ চা-চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, তেজপাতা ২ পিস, কাজুবাদাম বাটা ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচ ফালি ৮ থেকে ১০টি, বেরেস্তা আধা কাপ, লবণ স্বাদমতো, সয়াবিন তেল আধা কাপ।
প্রণালি
গরুর মাংস টক দই এবং সব বাটা ও গুঁড়া মসলা দিয়ে মাখিয়ে ঢেকে রাখুন ২ থেকে ৩ ঘণ্টা। কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি হালকা বাদামি করে ভেজে তাতে মাখানো মাংস দিয়ে দিন। তারপর ভালোভাবে নেড়ে অল্প আঁচে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রান্না করে ঢাকনা দিয়ে দিন। এবার ঢাকনা খুলে মাংস ভালোভাবে কষান। যদি মাংস সেদ্ধ না হয়, তবে সামান্য পানি দিন। মাংসের ওপর তেল ভেসে উঠলে কাঁচা মরিচ ফালি ও পেঁয়াজ বেরেস্তা দিয়ে দমে রাখুন ১০ থেকে ১৫ মিনিট। ব্যস, রান্না হয়ে গেল কাজুবাদাম দিয়ে গরুর মাংসের ঝাল রসা।

ডিসেম্বরের ছুটির দিন খানিকটা আলাদা তো বটেই। এমন শীতের দুপুরে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া না হলে চলে? শিশুদের স্কুল ছুটি বলে দিনগুলোও থাকে চাপমুক্ত। তাই ছুটির দিনে একটু বেশি সময় নিয়ে মজাদার খাবার তৈরিতে মেতে উঠতে মায়েদের কোনো বাধা নেই। পোলাওয়ের সঙ্গে গরুর মাংসের আলু ঝোল না করে একটু ভিন্নভাবে মাংসটা রেঁধে ফেলুন না! আপনাদের জন্য কাজুবাদাম দিয়ে গরুর মাংসের ঝাল রসার রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
গরুর মাংস ১ কেজি, আদা ও রসুন বাটা ২ টেবিল চামচ, টক দই আধা কাপ, পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ, গরম মসলা গুঁড়া ১ চা-চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, তেজপাতা ২ পিস, কাজুবাদাম বাটা ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচ ফালি ৮ থেকে ১০টি, বেরেস্তা আধা কাপ, লবণ স্বাদমতো, সয়াবিন তেল আধা কাপ।
প্রণালি
গরুর মাংস টক দই এবং সব বাটা ও গুঁড়া মসলা দিয়ে মাখিয়ে ঢেকে রাখুন ২ থেকে ৩ ঘণ্টা। কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি হালকা বাদামি করে ভেজে তাতে মাখানো মাংস দিয়ে দিন। তারপর ভালোভাবে নেড়ে অল্প আঁচে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রান্না করে ঢাকনা দিয়ে দিন। এবার ঢাকনা খুলে মাংস ভালোভাবে কষান। যদি মাংস সেদ্ধ না হয়, তবে সামান্য পানি দিন। মাংসের ওপর তেল ভেসে উঠলে কাঁচা মরিচ ফালি ও পেঁয়াজ বেরেস্তা দিয়ে দমে রাখুন ১০ থেকে ১৫ মিনিট। ব্যস, রান্না হয়ে গেল কাজুবাদাম দিয়ে গরুর মাংসের ঝাল রসা।

অ্যাপলপ্রেমীদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে। নানা জল্পনা-কল্পনা ও গুঞ্জনের অবসান ঘটিয়ে অ্যাপল আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করেছে তাদের বহুল আলোচিত, নতুন প্রজন্মের ও এখন পর্যন্ত সবচেয়ে পাতলা স্মার্টফোন—আইফোন ১৭ এয়ার। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ক্যালিফোর্নিয়ার কুপারটিনোতে অ্যাপলের সদর দপ্তরে
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ষাটের দশকে মেকআপের মূল আকর্ষণ ছিল চোখের সাজের নাটকীয়তা আর ঠোঁটের ন্য়ুড মেকআপ। কিছু কৌশল ব্যবহার করে এখনো সহজে ষাটের দশকের ক্ল্যাসিক ও নজরকাড়া লুক তৈরি করতে পারেন। আসছে নতুন বছর ষাটের দশকের সাজে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতে কী করতে পারেন, তাই দেখে নিন একনজরে।...
১৭ ঘণ্টা আগে
এক বন্ধুকে নিয়ে ভীষণ সংগোপনে কুয়াকাটার বাসে উঠে পড়লাম ঢাকা থেকে। পাখিডাকা ভোরে নেমে পড়লাম কুয়াকাটার কিছু দূর আগে আলীপুর বাজারে। কুয়াকাটার এক ভ্রমণবন্ধু আগেই স্থানীয় এক হোটেলে রুম বুক করে রেখেছিলেন বলে বাড়তি ঝামেলায় পড়তে হয়নি।
১ দিন আগে
পাঁচ তারা হোটেল কোনগুলো? অনেকে এ নিয়ে দ্বিধায় থাকেন। তাই হোটেল নির্বাচনের আগে দেখে নিতে পারেন সরকার অনুমোদিত তালিকা। সেই তালিকা অনুসারে আমাদের দেশে পাঁচ তারা হোটেলের সংখ্যা ২০।
১ দিন আগেফারিয়া রহমান খান

রুপালি পর্দায় ষাটের দশকের নায়িকাদের দেখলে এখনো মুগ্ধতা কাজ করে। অথচ সে সময়ে এখনকার মতো আধুনিক মেকআপ কিট তো ছিলই না, বরং মেকআপ নিখুঁত করতে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হতো। তবু সে সময়কার মেকআপ লুক এখনকার মেকআপ থেকে অনেকটা আলাদা হওয়া সত্ত্বেও কেমন যেন এক মায়া ভ্রম সৃষ্টি করে। সে কারণেই কিনা, সেই সব লুক নানান সময় কোনো না কোনোভাবে ফিরে ফিরে এসেছে। একেবারে শতভাগ না হলেও আলাদাভাবে চোখের সাজ, ঠোঁটের সাজ, বেজ মেকআপ—সবই কোনো না কোনোভাবে ঘুরেফিরে ঠিকই জায়গা করে নিচ্ছে তরুণীদের মনে।
সেই সময়ের মেকআপের মূল আকর্ষণ ছিল চোখের সাজের নাটকীয়তা আর ঠোঁটের ন্য়ুড মেকআপ। কিছু কৌশল ব্যবহার করে এখনো সহজে ষাটের দশকের ক্ল্যাসিক ও নজরকাড়া লুক তৈরি করতে পারেন। আসছে নতুন বছর ষাটের দশকের সাজে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতে কী করতে পারেন, তাই দেখে নিন একনজরে।
ষাটের দশকে মেকআপের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকত চোখ। সে সময়ের জনপ্রিয় লুক ছিল মডেল টুইগির ‘ডল-আইড’। এই মেকআপে দুই থেকে তিন স্তরের মাসকারা ব্যবহার করে চোখের পাপড়িকে খুবই ঘন, লম্বা ও ড্রামাটিক করা হতো। সঙ্গে চোখের নিচের পাতার ওয়াটার লাইনে সাদা আই পেনসিল ব্যবহার করে চোখের আকৃতি পুতুলের চোখের মতো বড় দেখানো হতো।
এই দশকে চোখের সাজে আইলাইনারের ব্যবহার ছিল খুবই জনপ্রিয়। সোফিয়া লরেন বা ডায়ানা রসের মতো তারকারা চোখের ওপরে ল্যাশ লাইনে মোটা করে কালো লাইনার টেনে দিতেন। এতে চোখে একধরনের নাটকীয়তা আসত। এই বোল্ড উইংগড লাইনার লুকটি আজও সমানভাবে জনপ্রিয়।

ষাটের দশকে ক্যাট আই ছিল খুবই প্রচলিত। গায়িকা অ্যারেথা ফ্র্যাঙ্কলিন ক্যাট আই লুকের সঙ্গে চোখের ওপরের ও নিচের লাইনার কিছুটা স্মাজ করে একটা আবেদনময় লুক আনতেন। এই লুক রাতের সাজ হিসেবে খুবই মানানসই।
তখনকার মেকআপ কৌশলগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল কাট ক্রিজ লাইনার। অভিনেত্রী শের ও ডায়হান ক্যারলের মতো তারকারা চোখের ভাঁজের ওপর দিয়ে একটি চিকন কালো রেখা টেনে দিতেন। এটি চোখে একটি গভীর ও নাটকীয় লুক দিত।

অভিনেত্রী ব্রিজিট বার্দোত বা রনি স্পেক্টারের লুকে এই কৌশল চোখে পড়ে। এই কৌশলে চোখের চারপাশে, বিশেষ করে নিচের ল্যাশ লাইনে ঘন কালো কাজল ব্যবহার করা হতো। সাধারণত দিনের বেলার সাজের চেয়ে রাতের সাজে এটি চোখকে আরও বোল্ড ও রহস্যময় করে তোলে। বর্তমানেও ড্রামাটিক লুক তৈরি করতে চাইলে কৌল-রিমড আইস লুকটি তৈরি করে দেখতে পারেন।
সে সময় চোখের সাজ যেহেতু খুবই জাঁকজমকপূর্ণ ও নাটকীয় হতো, তাই ভারসাম্য বজায় রাখতে ঠোঁটের সাজ হতো একেবারেই সাদামাটা। এই দশকে কখনোই ঠোঁট ও চোখকে একসঙ্গে হাইলাইট করা হতো না; বরং চোখের সাজকেই প্রাধান্য দিতে ঠোঁটে ন্যুড, সাদামাটা গোলাপি বা হালকা কমলার মতো মিউট শেডগুলো ব্যবহার করা হতো। অভিনেত্রী জেন বার্কিন সব সময় সফট পিংক লিপ কালার দিয়ে একটা ন্যাচারাল লুক তৈরি করতেন।
সে সময় চোখের সাজে উজ্জ্বল রংগুলোর মধ্যে কালো, ধূসর, সাদা বা নীল রঙের প্রাধান্য ছিল বেশি। এলিজাবেথ টেলর বা ডেনিয়েল লুনার মতো তারকারা চোখে উজ্জ্বল নীল রঙের আইশ্যাডো ব্যবহার করতেন, যা সাজে একটা চমৎকার আভিজাত্য আনত।
ষাটের দশকের শুরুর দিকে মেকআপের বেস তৈরিতে পাউডার ব্যবহার করে ত্বক সম্পূর্ণ ম্যাট রাখা হতো। সময়ের সঙ্গে এই ধারা বদলে দশকের শেষের দিকে ত্বক প্রাণবন্ত ও সতেজ দেখাতে গ্লোয়ি বা উজ্জ্বল মেকআপের চল শুরু হয়। আজকের দিনেও ডালনেস কাটিয়ে ফ্রেশ লুক তৈরিতে গ্লোয়ি বেস বেশ জনপ্রিয়।
সে যুগে ভ্রুর আকারকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হতো। ন্যান্সি কোয়ান বা নিনা সিমনের মতো তারকারা হাই-আর্চড আইব্রোর ট্রেন্ড সেট করেন, যা চোখের নাটকীয়তা আরও বাড়িয়ে তুলত।
সে সময় বোল্ড লুক থেকে শুরু করে মিনিমালিস্টিক বা ক্যাজুয়াল লুক—সবখানেই মাসকারা ছিল সাজের অপরিহার্য অংশ। অড্রে হেপবার্ন তাঁর মিনিমালিস্টিক লুকে চোখের ওপরের পাতায় মোটা লাইনারের সঙ্গে ঘন করে মাসকারা এবং ঠোঁটে হালকা কোরাল শেড ব্যবহার করে ক্ল্যাসিক লুক তৈরি করতেন।
সূত্র: স্টাইলক্রেজ, ছবি সৌজন্য: যাদুর বাক্স

রুপালি পর্দায় ষাটের দশকের নায়িকাদের দেখলে এখনো মুগ্ধতা কাজ করে। অথচ সে সময়ে এখনকার মতো আধুনিক মেকআপ কিট তো ছিলই না, বরং মেকআপ নিখুঁত করতে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হতো। তবু সে সময়কার মেকআপ লুক এখনকার মেকআপ থেকে অনেকটা আলাদা হওয়া সত্ত্বেও কেমন যেন এক মায়া ভ্রম সৃষ্টি করে। সে কারণেই কিনা, সেই সব লুক নানান সময় কোনো না কোনোভাবে ফিরে ফিরে এসেছে। একেবারে শতভাগ না হলেও আলাদাভাবে চোখের সাজ, ঠোঁটের সাজ, বেজ মেকআপ—সবই কোনো না কোনোভাবে ঘুরেফিরে ঠিকই জায়গা করে নিচ্ছে তরুণীদের মনে।
সেই সময়ের মেকআপের মূল আকর্ষণ ছিল চোখের সাজের নাটকীয়তা আর ঠোঁটের ন্য়ুড মেকআপ। কিছু কৌশল ব্যবহার করে এখনো সহজে ষাটের দশকের ক্ল্যাসিক ও নজরকাড়া লুক তৈরি করতে পারেন। আসছে নতুন বছর ষাটের দশকের সাজে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতে কী করতে পারেন, তাই দেখে নিন একনজরে।
ষাটের দশকে মেকআপের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকত চোখ। সে সময়ের জনপ্রিয় লুক ছিল মডেল টুইগির ‘ডল-আইড’। এই মেকআপে দুই থেকে তিন স্তরের মাসকারা ব্যবহার করে চোখের পাপড়িকে খুবই ঘন, লম্বা ও ড্রামাটিক করা হতো। সঙ্গে চোখের নিচের পাতার ওয়াটার লাইনে সাদা আই পেনসিল ব্যবহার করে চোখের আকৃতি পুতুলের চোখের মতো বড় দেখানো হতো।
এই দশকে চোখের সাজে আইলাইনারের ব্যবহার ছিল খুবই জনপ্রিয়। সোফিয়া লরেন বা ডায়ানা রসের মতো তারকারা চোখের ওপরে ল্যাশ লাইনে মোটা করে কালো লাইনার টেনে দিতেন। এতে চোখে একধরনের নাটকীয়তা আসত। এই বোল্ড উইংগড লাইনার লুকটি আজও সমানভাবে জনপ্রিয়।

ষাটের দশকে ক্যাট আই ছিল খুবই প্রচলিত। গায়িকা অ্যারেথা ফ্র্যাঙ্কলিন ক্যাট আই লুকের সঙ্গে চোখের ওপরের ও নিচের লাইনার কিছুটা স্মাজ করে একটা আবেদনময় লুক আনতেন। এই লুক রাতের সাজ হিসেবে খুবই মানানসই।
তখনকার মেকআপ কৌশলগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল কাট ক্রিজ লাইনার। অভিনেত্রী শের ও ডায়হান ক্যারলের মতো তারকারা চোখের ভাঁজের ওপর দিয়ে একটি চিকন কালো রেখা টেনে দিতেন। এটি চোখে একটি গভীর ও নাটকীয় লুক দিত।

অভিনেত্রী ব্রিজিট বার্দোত বা রনি স্পেক্টারের লুকে এই কৌশল চোখে পড়ে। এই কৌশলে চোখের চারপাশে, বিশেষ করে নিচের ল্যাশ লাইনে ঘন কালো কাজল ব্যবহার করা হতো। সাধারণত দিনের বেলার সাজের চেয়ে রাতের সাজে এটি চোখকে আরও বোল্ড ও রহস্যময় করে তোলে। বর্তমানেও ড্রামাটিক লুক তৈরি করতে চাইলে কৌল-রিমড আইস লুকটি তৈরি করে দেখতে পারেন।
সে সময় চোখের সাজ যেহেতু খুবই জাঁকজমকপূর্ণ ও নাটকীয় হতো, তাই ভারসাম্য বজায় রাখতে ঠোঁটের সাজ হতো একেবারেই সাদামাটা। এই দশকে কখনোই ঠোঁট ও চোখকে একসঙ্গে হাইলাইট করা হতো না; বরং চোখের সাজকেই প্রাধান্য দিতে ঠোঁটে ন্যুড, সাদামাটা গোলাপি বা হালকা কমলার মতো মিউট শেডগুলো ব্যবহার করা হতো। অভিনেত্রী জেন বার্কিন সব সময় সফট পিংক লিপ কালার দিয়ে একটা ন্যাচারাল লুক তৈরি করতেন।
সে সময় চোখের সাজে উজ্জ্বল রংগুলোর মধ্যে কালো, ধূসর, সাদা বা নীল রঙের প্রাধান্য ছিল বেশি। এলিজাবেথ টেলর বা ডেনিয়েল লুনার মতো তারকারা চোখে উজ্জ্বল নীল রঙের আইশ্যাডো ব্যবহার করতেন, যা সাজে একটা চমৎকার আভিজাত্য আনত।
ষাটের দশকের শুরুর দিকে মেকআপের বেস তৈরিতে পাউডার ব্যবহার করে ত্বক সম্পূর্ণ ম্যাট রাখা হতো। সময়ের সঙ্গে এই ধারা বদলে দশকের শেষের দিকে ত্বক প্রাণবন্ত ও সতেজ দেখাতে গ্লোয়ি বা উজ্জ্বল মেকআপের চল শুরু হয়। আজকের দিনেও ডালনেস কাটিয়ে ফ্রেশ লুক তৈরিতে গ্লোয়ি বেস বেশ জনপ্রিয়।
সে যুগে ভ্রুর আকারকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হতো। ন্যান্সি কোয়ান বা নিনা সিমনের মতো তারকারা হাই-আর্চড আইব্রোর ট্রেন্ড সেট করেন, যা চোখের নাটকীয়তা আরও বাড়িয়ে তুলত।
সে সময় বোল্ড লুক থেকে শুরু করে মিনিমালিস্টিক বা ক্যাজুয়াল লুক—সবখানেই মাসকারা ছিল সাজের অপরিহার্য অংশ। অড্রে হেপবার্ন তাঁর মিনিমালিস্টিক লুকে চোখের ওপরের পাতায় মোটা লাইনারের সঙ্গে ঘন করে মাসকারা এবং ঠোঁটে হালকা কোরাল শেড ব্যবহার করে ক্ল্যাসিক লুক তৈরি করতেন।
সূত্র: স্টাইলক্রেজ, ছবি সৌজন্য: যাদুর বাক্স

অ্যাপলপ্রেমীদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে। নানা জল্পনা-কল্পনা ও গুঞ্জনের অবসান ঘটিয়ে অ্যাপল আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করেছে তাদের বহুল আলোচিত, নতুন প্রজন্মের ও এখন পর্যন্ত সবচেয়ে পাতলা স্মার্টফোন—আইফোন ১৭ এয়ার। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ক্যালিফোর্নিয়ার কুপারটিনোতে অ্যাপলের সদর দপ্তরে
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শীতের দুপুরে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া না হলে চলে? শিশুদের স্কুল ছুটি বলে দিনগুলোও থাকে চাপমুক্ত। তাই ছুটির দিনে একটু বেশি সময় নিয়ে মজাদার খাবার তৈরিতে মেতে উঠতে মায়েদের কোনো বাধা নেই। পোলাওয়ের সঙ্গে গরুর মাংসের আলু ঝোল না করে একটু ভিন্নভাবে মাংসটা রেঁধে ফেলুন না! আপনাদের জন্য কাজুবাদাম দিয়ে গরুর মাংসের...
৪২ মিনিট আগে
এক বন্ধুকে নিয়ে ভীষণ সংগোপনে কুয়াকাটার বাসে উঠে পড়লাম ঢাকা থেকে। পাখিডাকা ভোরে নেমে পড়লাম কুয়াকাটার কিছু দূর আগে আলীপুর বাজারে। কুয়াকাটার এক ভ্রমণবন্ধু আগেই স্থানীয় এক হোটেলে রুম বুক করে রেখেছিলেন বলে বাড়তি ঝামেলায় পড়তে হয়নি।
১ দিন আগে
পাঁচ তারা হোটেল কোনগুলো? অনেকে এ নিয়ে দ্বিধায় থাকেন। তাই হোটেল নির্বাচনের আগে দেখে নিতে পারেন সরকার অনুমোদিত তালিকা। সেই তালিকা অনুসারে আমাদের দেশে পাঁচ তারা হোটেলের সংখ্যা ২০।
১ দিন আগেমুহাম্মদ জাভেদ হাকিম

এক বন্ধুকে নিয়ে ভীষণ সংগোপনে কুয়াকাটার বাসে উঠে পড়লাম ঢাকা থেকে। পাখিডাকা ভোরে নেমে পড়লাম কুয়াকাটার কিছু দূর আগে আলীপুর বাজারে। কুয়াকাটার এক ভ্রমণবন্ধু আগেই স্থানীয় এক হোটেলে রুম বুক করে রেখেছিলেন বলে বাড়তি ঝামেলায় পড়তে হয়নি। রুম থেকে ঝটপট বেরিয়ে পড়লাম আলীপুরের মাছের আড়তগুলোতে আসা নানান পদের মাছ দেখতে। রিকশা ভ্যানে দ্রুত পৌঁছেও গেলাম।
মাছের বাজার মানেই বিক্রির হাঁকডাক। ঘাটে নোঙর করা রয়েছে জেলেদের সারি সারি সাগরফেরত ট্রলার। তাতে চেনা-অচেনা বাহারি মাছ। এত মাছ দেখে কেনার ইচ্ছা জাগল। কিছু টাটকা চিংড়ি ও বেল ঘাগড়া মাছ কিনে ভ্যানচালকের বাসায় রান্নার জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হলো। এবার হোটেলে ফিরে খানিকটা সময় বিশ্রাম। দুপুরে ভ্যানচালক ফিরে এলেন দেশীয় মোটা চালের ভাত, ডাল, ভর্তা ও মাছের তরকারি নিয়ে! পাকা রাঁধুনির রান্না বেশ আয়েশ করে খেয়েদেয়ে বের হয়ে পড়ি তাহেরপুরের পথে।
যেতে যেতে আমখোলা পাড়ায় ব্রেক। সড়কের পাশেই তালগাছের ছায়ায় ঘেরা স্বচ্ছ টলটলে পানির একটি পুকুর। প্রায় ২০০ বছরের পুরোনো কুয়াকাটার প্রথম খনন করা মিষ্টি পানির পুকুর এটি। এখান থেকে মগ জনগোষ্ঠী সুপেয় পানি সংগ্রহ করত। পুকুরের আশপাশের পরিবেশটাও বেশ চমৎকার। চাইলে এক বিকেল আমখোলা পাড়া পুকুরটির ধারে বসে কাটিয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু আমাদের যেতে হবে অনেক দূর।
রিকশা ভ্যান চলল। চলতে চলতে সাবমেরিন অফিস পার হওয়ার পরেই তাহেরপুরের সৌন্দর্য আমাদের গিলে ফেলল! পথের দুই ধারে সারি সারি প্রাচীন তালগাছ। কোনো কোনো সড়কের দুই পাশে বাবলাগাছ। এর সৌন্দর্য লিখে বোঝানো দায়। পা বাড়ালাম লেবুর বনের পথে। বেহাল বেড়িবাঁধ সড়ক হলেও যাওয়ার পরে নিমেষে পথের ক্লান্তি উবে যায়। প্রায় এক হাজার একর আয়তনের লেবুর বনে লেবুগাছের দেখা না মিললেও দেখা হলো প্রচুর কেওড়া, গেওয়া, গরান, কড়ই, গোলপাতাসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছের সঙ্গে। এগুলোর মধ্যে সৈকত লাগোয়া কিছু মৃত গাছের আকার দেখে আমাদের মনে হলো, যেন প্রাগৈতিহাসিক যুগে ফিরে গিয়েছি! লেবুগাছের অস্তিত্ব না থাকলেও লেবুর বন এককথায় অসাধারণ।
ইতিমধ্যে পশ্চিমাকাশে হেলে পড়েছে সূর্য। সে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। ভাটার ফলে শান্ত সাগরের দিগন্তবিস্তৃত বালিয়াড়িতে, মৃদু হাওয়ায় এবার ভ্যান চলে আন্ধারমানিকের দিকে। মাগরিবের ওয়াক্ত হলে সৈকতঘেঁষা মসজিদে নামাজ আদায় করে, সারি সারি দোকানের কোনো একটা থেকে তাজা সামুদ্রিক মাছ আর কাঁকড়া কিনে ফ্রাই করতে দিই। চোখের সামনে তেলে ভাজা মচমচে কাঁকড়া চলেও আসে আমাদের হাতে। খেতে সুস্বাদু।
চারদিকে অন্ধকার জেঁকে বসলে আমরা আলীপুরের দিকে ফিরি। রাতের খাবার খেয়ে রুমে ঢুকে ঘুমের প্রস্তুতি। উঠতে হবে ভোররাত চারটায়। টার্গেট কাউয়ার চরে সূর্যোদয় দেখা।
এখন পর্যন্ত সবকিছু চলছে ঠিকমতো। চারটায় উঠে প্রস্তুত। যেতে যেতে লক্ষ্মীর বাজার গ্রামের সুন্দর উঠানওয়ালা একটি মসজিদ। সেখানে নামাজ আদায় করেই ছুটতে শুরু করি। কিন্তু নাহ্! গঙ্গামতির চর পর্যন্ত পৌঁছাতেই পুব আকাশে একরাশ মেঘের আগমনে সূর্যোদয় দেখা ভেস্তে যায়। তাতে কি? একটি টার্গেট মিস হয়েছে মাত্র। বাকিগুলো তো পড়েই আছে। একটা ডাবের পানি শেষ করে আমরা উঠে পড়ি ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলে।

সেটা চলতে শুরু করল সৈকত ধরে। ডানে সাগর আর বাঁয়ে দীর্ঘ ঝাউবন। আমরা যাচ্ছি আর থামছি। মূলত অবারিত প্রকৃতি আমাদের থামতে বাধ্য করছে। প্রায় বিলুপ্ত সাগরলতার দেখা মিলল কাউয়ার চরে। চোখে পড়ল শব্দ পেলেই গর্তে লুকিয়ে পড়া লাল কাঁকড়াদের। পায়রা নদীর মোহনায় দেখা হলো খেয়া জালে মাছ শিকার। এই সকালে উত্তাল সাগরের রূপ শান্ত। এ রকমটা দেখতে দেখতে পৌঁছে যাই কাউয়ার চর সৈকতের শেষ সীমা পর্যন্ত। বাইক ছেড়ে ঢুকে যাই ঝাউবনের ভেতরে। প্রায় সাত কিলোমিটার দীর্ঘ ঝাউবনের সৌন্দর্য কি ধরা যাবে এই লেখায়!
কাউয়ার চরের আরেক দর্শনীয় জিনিস বটতলীর হামিদ সি প্যালেস। সেখানে যাওয়ার আগে সাগর থেকে ধরে আনা তাজা ইলিশ দিয়ে খিচুড়ি খাওয়া হলো। এত কম দাম দেখে ঢাকাবাসীর জন্য দীর্ঘশ্বাস না ছেড়ে পারলাম না। ডুবোতেলে নিজ হাতে ইলিশ ভাজতে পেরে যারপরনাই খুশি হয়ে ভ্যানে উঠে বসি।

সৈকত লাগোয়া বেড়িবাঁধের দুই পাশে সারি সারি বাবলাগাছ। নির্জন রাস্তা ধরে মাত্র ১০ মিনিটে ভ্যান পৌঁছে গেল হামিদ প্যালেসের দোরগোড়ায়। ধীর পায়ে হেঁটে প্রবেশ করলাম ভেতরে। প্রবেশদ্বারের দুই পাশে আকাশমণি বৃক্ষ। ভেতরটাতে অন্যান্য গাছ। নান্দনিক ডিজাইনের দোতলা বাংলো। এর ছাদ থেকে ঝাউবনসহ পুরো প্যালেসের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নজরে আসে। প্রায় ৩০০ বিঘা জমিতে অসংখ্য তালগাছ। প্যালেসটাকে তালবাগান বললেও ভুল হবে না। রয়েছে মাছের খামার। সঙ্গে দেশি গরুর বহর। অচেনা স্বর্ণ-৫ জাতের ধানের চাষাবাদ। বাতাসে ধানগাছের দোল। এ সবকিছু মিলিয়ে কাউয়ার চর ভ্রমণ সত্যি সার্থক।
যাবেন যেভাবে
ঢাকা-কুয়াকাটা সরাসরি বাস চলাচল করে। কুয়াকাটা থেকে মোটরবাইক অথবা অটো কিংবা ভ্যানগাড়িতে কাউয়ার চরে যাওয়া যায়। সকালে গিয়ে দুপুরেই ফিরে আসা সম্ভব।
থাকা-খাওয়া
কুয়াকাটায় অনেক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট রয়েছে। তাই থাকা-খাওয়ার চিন্তা নেই। কাউয়ার চরে থাকতে চাইলে নিজস্ব তাঁবুতে অথবা স্থানীয়দের সহযোগিতায় কিংবা মাত্র এক কিলোমিটার দূরত্বে গঙ্গামতিতে থাকা যায়।

এক বন্ধুকে নিয়ে ভীষণ সংগোপনে কুয়াকাটার বাসে উঠে পড়লাম ঢাকা থেকে। পাখিডাকা ভোরে নেমে পড়লাম কুয়াকাটার কিছু দূর আগে আলীপুর বাজারে। কুয়াকাটার এক ভ্রমণবন্ধু আগেই স্থানীয় এক হোটেলে রুম বুক করে রেখেছিলেন বলে বাড়তি ঝামেলায় পড়তে হয়নি। রুম থেকে ঝটপট বেরিয়ে পড়লাম আলীপুরের মাছের আড়তগুলোতে আসা নানান পদের মাছ দেখতে। রিকশা ভ্যানে দ্রুত পৌঁছেও গেলাম।
মাছের বাজার মানেই বিক্রির হাঁকডাক। ঘাটে নোঙর করা রয়েছে জেলেদের সারি সারি সাগরফেরত ট্রলার। তাতে চেনা-অচেনা বাহারি মাছ। এত মাছ দেখে কেনার ইচ্ছা জাগল। কিছু টাটকা চিংড়ি ও বেল ঘাগড়া মাছ কিনে ভ্যানচালকের বাসায় রান্নার জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হলো। এবার হোটেলে ফিরে খানিকটা সময় বিশ্রাম। দুপুরে ভ্যানচালক ফিরে এলেন দেশীয় মোটা চালের ভাত, ডাল, ভর্তা ও মাছের তরকারি নিয়ে! পাকা রাঁধুনির রান্না বেশ আয়েশ করে খেয়েদেয়ে বের হয়ে পড়ি তাহেরপুরের পথে।
যেতে যেতে আমখোলা পাড়ায় ব্রেক। সড়কের পাশেই তালগাছের ছায়ায় ঘেরা স্বচ্ছ টলটলে পানির একটি পুকুর। প্রায় ২০০ বছরের পুরোনো কুয়াকাটার প্রথম খনন করা মিষ্টি পানির পুকুর এটি। এখান থেকে মগ জনগোষ্ঠী সুপেয় পানি সংগ্রহ করত। পুকুরের আশপাশের পরিবেশটাও বেশ চমৎকার। চাইলে এক বিকেল আমখোলা পাড়া পুকুরটির ধারে বসে কাটিয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু আমাদের যেতে হবে অনেক দূর।
রিকশা ভ্যান চলল। চলতে চলতে সাবমেরিন অফিস পার হওয়ার পরেই তাহেরপুরের সৌন্দর্য আমাদের গিলে ফেলল! পথের দুই ধারে সারি সারি প্রাচীন তালগাছ। কোনো কোনো সড়কের দুই পাশে বাবলাগাছ। এর সৌন্দর্য লিখে বোঝানো দায়। পা বাড়ালাম লেবুর বনের পথে। বেহাল বেড়িবাঁধ সড়ক হলেও যাওয়ার পরে নিমেষে পথের ক্লান্তি উবে যায়। প্রায় এক হাজার একর আয়তনের লেবুর বনে লেবুগাছের দেখা না মিললেও দেখা হলো প্রচুর কেওড়া, গেওয়া, গরান, কড়ই, গোলপাতাসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছের সঙ্গে। এগুলোর মধ্যে সৈকত লাগোয়া কিছু মৃত গাছের আকার দেখে আমাদের মনে হলো, যেন প্রাগৈতিহাসিক যুগে ফিরে গিয়েছি! লেবুগাছের অস্তিত্ব না থাকলেও লেবুর বন এককথায় অসাধারণ।
ইতিমধ্যে পশ্চিমাকাশে হেলে পড়েছে সূর্য। সে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। ভাটার ফলে শান্ত সাগরের দিগন্তবিস্তৃত বালিয়াড়িতে, মৃদু হাওয়ায় এবার ভ্যান চলে আন্ধারমানিকের দিকে। মাগরিবের ওয়াক্ত হলে সৈকতঘেঁষা মসজিদে নামাজ আদায় করে, সারি সারি দোকানের কোনো একটা থেকে তাজা সামুদ্রিক মাছ আর কাঁকড়া কিনে ফ্রাই করতে দিই। চোখের সামনে তেলে ভাজা মচমচে কাঁকড়া চলেও আসে আমাদের হাতে। খেতে সুস্বাদু।
চারদিকে অন্ধকার জেঁকে বসলে আমরা আলীপুরের দিকে ফিরি। রাতের খাবার খেয়ে রুমে ঢুকে ঘুমের প্রস্তুতি। উঠতে হবে ভোররাত চারটায়। টার্গেট কাউয়ার চরে সূর্যোদয় দেখা।
এখন পর্যন্ত সবকিছু চলছে ঠিকমতো। চারটায় উঠে প্রস্তুত। যেতে যেতে লক্ষ্মীর বাজার গ্রামের সুন্দর উঠানওয়ালা একটি মসজিদ। সেখানে নামাজ আদায় করেই ছুটতে শুরু করি। কিন্তু নাহ্! গঙ্গামতির চর পর্যন্ত পৌঁছাতেই পুব আকাশে একরাশ মেঘের আগমনে সূর্যোদয় দেখা ভেস্তে যায়। তাতে কি? একটি টার্গেট মিস হয়েছে মাত্র। বাকিগুলো তো পড়েই আছে। একটা ডাবের পানি শেষ করে আমরা উঠে পড়ি ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলে।

সেটা চলতে শুরু করল সৈকত ধরে। ডানে সাগর আর বাঁয়ে দীর্ঘ ঝাউবন। আমরা যাচ্ছি আর থামছি। মূলত অবারিত প্রকৃতি আমাদের থামতে বাধ্য করছে। প্রায় বিলুপ্ত সাগরলতার দেখা মিলল কাউয়ার চরে। চোখে পড়ল শব্দ পেলেই গর্তে লুকিয়ে পড়া লাল কাঁকড়াদের। পায়রা নদীর মোহনায় দেখা হলো খেয়া জালে মাছ শিকার। এই সকালে উত্তাল সাগরের রূপ শান্ত। এ রকমটা দেখতে দেখতে পৌঁছে যাই কাউয়ার চর সৈকতের শেষ সীমা পর্যন্ত। বাইক ছেড়ে ঢুকে যাই ঝাউবনের ভেতরে। প্রায় সাত কিলোমিটার দীর্ঘ ঝাউবনের সৌন্দর্য কি ধরা যাবে এই লেখায়!
কাউয়ার চরের আরেক দর্শনীয় জিনিস বটতলীর হামিদ সি প্যালেস। সেখানে যাওয়ার আগে সাগর থেকে ধরে আনা তাজা ইলিশ দিয়ে খিচুড়ি খাওয়া হলো। এত কম দাম দেখে ঢাকাবাসীর জন্য দীর্ঘশ্বাস না ছেড়ে পারলাম না। ডুবোতেলে নিজ হাতে ইলিশ ভাজতে পেরে যারপরনাই খুশি হয়ে ভ্যানে উঠে বসি।

সৈকত লাগোয়া বেড়িবাঁধের দুই পাশে সারি সারি বাবলাগাছ। নির্জন রাস্তা ধরে মাত্র ১০ মিনিটে ভ্যান পৌঁছে গেল হামিদ প্যালেসের দোরগোড়ায়। ধীর পায়ে হেঁটে প্রবেশ করলাম ভেতরে। প্রবেশদ্বারের দুই পাশে আকাশমণি বৃক্ষ। ভেতরটাতে অন্যান্য গাছ। নান্দনিক ডিজাইনের দোতলা বাংলো। এর ছাদ থেকে ঝাউবনসহ পুরো প্যালেসের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নজরে আসে। প্রায় ৩০০ বিঘা জমিতে অসংখ্য তালগাছ। প্যালেসটাকে তালবাগান বললেও ভুল হবে না। রয়েছে মাছের খামার। সঙ্গে দেশি গরুর বহর। অচেনা স্বর্ণ-৫ জাতের ধানের চাষাবাদ। বাতাসে ধানগাছের দোল। এ সবকিছু মিলিয়ে কাউয়ার চর ভ্রমণ সত্যি সার্থক।
যাবেন যেভাবে
ঢাকা-কুয়াকাটা সরাসরি বাস চলাচল করে। কুয়াকাটা থেকে মোটরবাইক অথবা অটো কিংবা ভ্যানগাড়িতে কাউয়ার চরে যাওয়া যায়। সকালে গিয়ে দুপুরেই ফিরে আসা সম্ভব।
থাকা-খাওয়া
কুয়াকাটায় অনেক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট রয়েছে। তাই থাকা-খাওয়ার চিন্তা নেই। কাউয়ার চরে থাকতে চাইলে নিজস্ব তাঁবুতে অথবা স্থানীয়দের সহযোগিতায় কিংবা মাত্র এক কিলোমিটার দূরত্বে গঙ্গামতিতে থাকা যায়।

অ্যাপলপ্রেমীদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে। নানা জল্পনা-কল্পনা ও গুঞ্জনের অবসান ঘটিয়ে অ্যাপল আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করেছে তাদের বহুল আলোচিত, নতুন প্রজন্মের ও এখন পর্যন্ত সবচেয়ে পাতলা স্মার্টফোন—আইফোন ১৭ এয়ার। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ক্যালিফোর্নিয়ার কুপারটিনোতে অ্যাপলের সদর দপ্তরে
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শীতের দুপুরে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া না হলে চলে? শিশুদের স্কুল ছুটি বলে দিনগুলোও থাকে চাপমুক্ত। তাই ছুটির দিনে একটু বেশি সময় নিয়ে মজাদার খাবার তৈরিতে মেতে উঠতে মায়েদের কোনো বাধা নেই। পোলাওয়ের সঙ্গে গরুর মাংসের আলু ঝোল না করে একটু ভিন্নভাবে মাংসটা রেঁধে ফেলুন না! আপনাদের জন্য কাজুবাদাম দিয়ে গরুর মাংসের...
৪২ মিনিট আগে
ষাটের দশকে মেকআপের মূল আকর্ষণ ছিল চোখের সাজের নাটকীয়তা আর ঠোঁটের ন্য়ুড মেকআপ। কিছু কৌশল ব্যবহার করে এখনো সহজে ষাটের দশকের ক্ল্যাসিক ও নজরকাড়া লুক তৈরি করতে পারেন। আসছে নতুন বছর ষাটের দশকের সাজে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতে কী করতে পারেন, তাই দেখে নিন একনজরে।...
১৭ ঘণ্টা আগে
পাঁচ তারা হোটেল কোনগুলো? অনেকে এ নিয়ে দ্বিধায় থাকেন। তাই হোটেল নির্বাচনের আগে দেখে নিতে পারেন সরকার অনুমোদিত তালিকা। সেই তালিকা অনুসারে আমাদের দেশে পাঁচ তারা হোটেলের সংখ্যা ২০।
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক

পাঁচ তারা হোটেল কোনগুলো? অনেকে এ নিয়ে দ্বিধায় থাকেন। তাই হোটেল নির্বাচনের আগে দেখে নিতে পারেন সরকার অনুমোদিত তালিকা। সেই তালিকা অনুসারে আমাদের দেশে পাঁচ তারা হোটেলের সংখ্যা ২০।
পাঁচ তারা স্বীকৃতি পাওয়া মানে হলো হোটেলটিতে আন্তর্জাতিক মানের কক্ষ, নিরাপত্তা, রেস্টুরেন্ট, স্বাস্থ্যসেবা, পরিবেশ, স্টাফ প্রশিক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনার নির্দিষ্ট মানদণ্ড পূরণ করা। তাই যেকোনো ভ্রমণকারী নিশ্চিন্তে সেসব হোটেল বেছে নিতে পারেন।
ঢাকার অনুমোদিত পাঁচ তারা হোটেল
এই হোটেলগুলো মূলত গুলশান, বনানী, খিলক্ষেত ও তেজগাঁও এলাকায় অবস্থিত। ব্যবসায়িক ভ্রমণকারী, কনফারেন্স, কনসার্ট এবং আন্তর্জাতিক ইভেন্টের জন্য এগুলো দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
কক্সবাজারের পাঁচ তারা হোটেল
বিশ্বের দীর্ঘতম সাদা বালুর সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারে পাঁচ তারা হোটেলের চাহিদা বেশি। এখানে বিলাসী পর্যটকদের জন্য পাঁচ তারা ৩টি হোটেল রয়েছে। সেগুলো হলো—
এই হোটেলগুলো মূলত সমুদ্রের কাছে। ইনফিনিটি পুল, বিচ অ্যাক্সেস, লাইভ রেস্টুরেন্ট ও স্পা সেবার জন্য জনপ্রিয়।

পাহাড়ি ও রিসোর্ট অঞ্চল
অনেকে ঘুরতে যাওয়ার জন্য শান্ত পরিবেশ খোঁজেন। তাঁদের জন্য সিলেট বিভাগের পাহাড়ি অঞ্চলগুলোতে রয়েছে বেশ কয়েকটি পাঁচ তারকা হোটেল ও রিসোর্ট।

চট্টগ্রামে আছে পাঁচ তারা একটি হোটেল
চট্টগ্রাম দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। বাণিজ্যিক কার্যক্রমের কারণে এখানে উচ্চমানের হোটেলের চাহিদা দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে। তবে এই শহরে সরকারি তালিকা অনুযায়ী মাত্র একটি পাঁচ তারা হোটেল রয়েছে। নাম র্যাডিসন ব্লু বে ভিউ।
সাম্প্রতিক আপডেট অনুযায়ী নতুন যে হোটেলগুলো পাঁচ তারা তালিকায় যুক্ত হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের দুটি হোটেল রয়েছে। এগুলো দেশের আঞ্চলিক হোটেলশিল্পে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে। এ দুটি হোটেল হলো—
যেহেতু অনেক হোটেল নিজেকে ‘পাঁচ তারা’ দাবি করে, তাই সরকারি স্বীকৃতি থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। মান যাচাই, নিরাপত্তা, স্টাফ কোয়ালিটি এবং সেবা মানের মতো বিষয়ে সরকারিভাবে অনুমোদিত হোটেলগুলোকে নির্ধারিত মান বজায় রাখতে হয়। এতে পর্যটকদের জন্য নির্দিষ্ট সেবা নিশ্চিত থাকে।
সূত্র: বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়

পাঁচ তারা হোটেল কোনগুলো? অনেকে এ নিয়ে দ্বিধায় থাকেন। তাই হোটেল নির্বাচনের আগে দেখে নিতে পারেন সরকার অনুমোদিত তালিকা। সেই তালিকা অনুসারে আমাদের দেশে পাঁচ তারা হোটেলের সংখ্যা ২০।
পাঁচ তারা স্বীকৃতি পাওয়া মানে হলো হোটেলটিতে আন্তর্জাতিক মানের কক্ষ, নিরাপত্তা, রেস্টুরেন্ট, স্বাস্থ্যসেবা, পরিবেশ, স্টাফ প্রশিক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনার নির্দিষ্ট মানদণ্ড পূরণ করা। তাই যেকোনো ভ্রমণকারী নিশ্চিন্তে সেসব হোটেল বেছে নিতে পারেন।
ঢাকার অনুমোদিত পাঁচ তারা হোটেল
এই হোটেলগুলো মূলত গুলশান, বনানী, খিলক্ষেত ও তেজগাঁও এলাকায় অবস্থিত। ব্যবসায়িক ভ্রমণকারী, কনফারেন্স, কনসার্ট এবং আন্তর্জাতিক ইভেন্টের জন্য এগুলো দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
কক্সবাজারের পাঁচ তারা হোটেল
বিশ্বের দীর্ঘতম সাদা বালুর সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারে পাঁচ তারা হোটেলের চাহিদা বেশি। এখানে বিলাসী পর্যটকদের জন্য পাঁচ তারা ৩টি হোটেল রয়েছে। সেগুলো হলো—
এই হোটেলগুলো মূলত সমুদ্রের কাছে। ইনফিনিটি পুল, বিচ অ্যাক্সেস, লাইভ রেস্টুরেন্ট ও স্পা সেবার জন্য জনপ্রিয়।

পাহাড়ি ও রিসোর্ট অঞ্চল
অনেকে ঘুরতে যাওয়ার জন্য শান্ত পরিবেশ খোঁজেন। তাঁদের জন্য সিলেট বিভাগের পাহাড়ি অঞ্চলগুলোতে রয়েছে বেশ কয়েকটি পাঁচ তারকা হোটেল ও রিসোর্ট।

চট্টগ্রামে আছে পাঁচ তারা একটি হোটেল
চট্টগ্রাম দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। বাণিজ্যিক কার্যক্রমের কারণে এখানে উচ্চমানের হোটেলের চাহিদা দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে। তবে এই শহরে সরকারি তালিকা অনুযায়ী মাত্র একটি পাঁচ তারা হোটেল রয়েছে। নাম র্যাডিসন ব্লু বে ভিউ।
সাম্প্রতিক আপডেট অনুযায়ী নতুন যে হোটেলগুলো পাঁচ তারা তালিকায় যুক্ত হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের দুটি হোটেল রয়েছে। এগুলো দেশের আঞ্চলিক হোটেলশিল্পে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে। এ দুটি হোটেল হলো—
যেহেতু অনেক হোটেল নিজেকে ‘পাঁচ তারা’ দাবি করে, তাই সরকারি স্বীকৃতি থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। মান যাচাই, নিরাপত্তা, স্টাফ কোয়ালিটি এবং সেবা মানের মতো বিষয়ে সরকারিভাবে অনুমোদিত হোটেলগুলোকে নির্ধারিত মান বজায় রাখতে হয়। এতে পর্যটকদের জন্য নির্দিষ্ট সেবা নিশ্চিত থাকে।
সূত্র: বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়

অ্যাপলপ্রেমীদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে। নানা জল্পনা-কল্পনা ও গুঞ্জনের অবসান ঘটিয়ে অ্যাপল আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করেছে তাদের বহুল আলোচিত, নতুন প্রজন্মের ও এখন পর্যন্ত সবচেয়ে পাতলা স্মার্টফোন—আইফোন ১৭ এয়ার। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ক্যালিফোর্নিয়ার কুপারটিনোতে অ্যাপলের সদর দপ্তরে
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শীতের দুপুরে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া না হলে চলে? শিশুদের স্কুল ছুটি বলে দিনগুলোও থাকে চাপমুক্ত। তাই ছুটির দিনে একটু বেশি সময় নিয়ে মজাদার খাবার তৈরিতে মেতে উঠতে মায়েদের কোনো বাধা নেই। পোলাওয়ের সঙ্গে গরুর মাংসের আলু ঝোল না করে একটু ভিন্নভাবে মাংসটা রেঁধে ফেলুন না! আপনাদের জন্য কাজুবাদাম দিয়ে গরুর মাংসের...
৪২ মিনিট আগে
ষাটের দশকে মেকআপের মূল আকর্ষণ ছিল চোখের সাজের নাটকীয়তা আর ঠোঁটের ন্য়ুড মেকআপ। কিছু কৌশল ব্যবহার করে এখনো সহজে ষাটের দশকের ক্ল্যাসিক ও নজরকাড়া লুক তৈরি করতে পারেন। আসছে নতুন বছর ষাটের দশকের সাজে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতে কী করতে পারেন, তাই দেখে নিন একনজরে।...
১৭ ঘণ্টা আগে
এক বন্ধুকে নিয়ে ভীষণ সংগোপনে কুয়াকাটার বাসে উঠে পড়লাম ঢাকা থেকে। পাখিডাকা ভোরে নেমে পড়লাম কুয়াকাটার কিছু দূর আগে আলীপুর বাজারে। কুয়াকাটার এক ভ্রমণবন্ধু আগেই স্থানীয় এক হোটেলে রুম বুক করে রেখেছিলেন বলে বাড়তি ঝামেলায় পড়তে হয়নি।
১ দিন আগে