আবরার নাঈম

এতিমের লালন-পালন, এতিমের প্রতি সহানুভূতি, দয়া ও ভালো আচরণ এবং তাদের হক রক্ষায় জোর তাগিদ দিয়েছে ইসলাম। এতিম বলে কেউ কেউ তাদের সঙ্গে কঠোর আচরণ করে। কিন্তু আল্লাহ তাদের প্রতি কঠোর হতে নিষেধ করেন। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘অতএব এতিমের প্রতি তুমি কঠোর হইও না।’ (সুরা দুহা: ১০)
এতিম সন্তানকে আদর-স্নেহ করা, নিজ সন্তানের মতো দেখা মহৎ হৃদয়ের পরিচায়ক। এতিম সন্তান প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর তাদের মধ্যে নিজের সম্পদ সংরক্ষণের জ্ঞানবুদ্ধি হয়েছে কি না, তা যাচাই করবে। সম্পদ হস্তান্তরের যোগ্য মনে হলে ওয়ারিশ সূত্রে বা অন্য কোনো উপায়ে প্রাপ্ত সম্পদ তাদের কাছে হস্তান্তর করে দেবে। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগ পর্যন্ত তার সম্পদ কুক্ষিগত করে না রেখে তা বৈধ পন্থায় বৃদ্ধির চেষ্টা করবে। এতিম শিশু বড় হলে সম্পদ হাতছাড়া হয়ে যাবে, এ ভয়ে তাদের মাল অপচয় ও তাড়াহুড়ো করে খরচ মারাত্মক অন্যায়। অবশ্য এতিমের দায়িত্বশীল অসচ্ছল হলে প্রয়োজন অনুপাতে খরচ করতে পারবে। এটা হবে তার পারিশ্রমিক। ভরণপোষণকারী ধনী হলে তার জন্য এতিমের সম্পদ ভক্ষণ করা জায়েজ নেই।
এতসব নিষেধাজ্ঞার পরও যারা এতিম সন্তানের সম্পদ আত্মসাৎ করে, তারা মূলত এতিমের সম্পদ নয় বরং নিজেদের পেটে জাহান্নামের আগুন প্রবেশ করায়। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘নিশ্চয়ই যারা এতিমের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করে, তারা নিজেদের পেটে আগুনই ভরে এবং তারা শিগগির প্রবেশ করবে জ্বলন্ত আগুনে।’ (সুরা নিসা: ১০)
কোরআন ও হাদিসের বিধিনিষেধ পুরোপুরি মেনে যারা সঠিকভাবে এতিমের দেখভাল ও লালন-পালন করবে, তারা দুনিয়ায় তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথ পালনে সফল। পরকালে তাদের জন্য রয়েছে মহা পুরস্কার। নবী (সা.) বলেন, ‘আমি এবং এতিমের ভরণপোষণকারী বেহেশতে এই দুটি মধ্যমা ও তর্জনী আঙুলের মতো একত্রে থাকব।’ (আদাবুল মুফরাদ: ১৩২)

এতিমের লালন-পালন, এতিমের প্রতি সহানুভূতি, দয়া ও ভালো আচরণ এবং তাদের হক রক্ষায় জোর তাগিদ দিয়েছে ইসলাম। এতিম বলে কেউ কেউ তাদের সঙ্গে কঠোর আচরণ করে। কিন্তু আল্লাহ তাদের প্রতি কঠোর হতে নিষেধ করেন। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘অতএব এতিমের প্রতি তুমি কঠোর হইও না।’ (সুরা দুহা: ১০)
এতিম সন্তানকে আদর-স্নেহ করা, নিজ সন্তানের মতো দেখা মহৎ হৃদয়ের পরিচায়ক। এতিম সন্তান প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর তাদের মধ্যে নিজের সম্পদ সংরক্ষণের জ্ঞানবুদ্ধি হয়েছে কি না, তা যাচাই করবে। সম্পদ হস্তান্তরের যোগ্য মনে হলে ওয়ারিশ সূত্রে বা অন্য কোনো উপায়ে প্রাপ্ত সম্পদ তাদের কাছে হস্তান্তর করে দেবে। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগ পর্যন্ত তার সম্পদ কুক্ষিগত করে না রেখে তা বৈধ পন্থায় বৃদ্ধির চেষ্টা করবে। এতিম শিশু বড় হলে সম্পদ হাতছাড়া হয়ে যাবে, এ ভয়ে তাদের মাল অপচয় ও তাড়াহুড়ো করে খরচ মারাত্মক অন্যায়। অবশ্য এতিমের দায়িত্বশীল অসচ্ছল হলে প্রয়োজন অনুপাতে খরচ করতে পারবে। এটা হবে তার পারিশ্রমিক। ভরণপোষণকারী ধনী হলে তার জন্য এতিমের সম্পদ ভক্ষণ করা জায়েজ নেই।
এতসব নিষেধাজ্ঞার পরও যারা এতিম সন্তানের সম্পদ আত্মসাৎ করে, তারা মূলত এতিমের সম্পদ নয় বরং নিজেদের পেটে জাহান্নামের আগুন প্রবেশ করায়। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘নিশ্চয়ই যারা এতিমের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করে, তারা নিজেদের পেটে আগুনই ভরে এবং তারা শিগগির প্রবেশ করবে জ্বলন্ত আগুনে।’ (সুরা নিসা: ১০)
কোরআন ও হাদিসের বিধিনিষেধ পুরোপুরি মেনে যারা সঠিকভাবে এতিমের দেখভাল ও লালন-পালন করবে, তারা দুনিয়ায় তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথ পালনে সফল। পরকালে তাদের জন্য রয়েছে মহা পুরস্কার। নবী (সা.) বলেন, ‘আমি এবং এতিমের ভরণপোষণকারী বেহেশতে এই দুটি মধ্যমা ও তর্জনী আঙুলের মতো একত্রে থাকব।’ (আদাবুল মুফরাদ: ১৩২)

আল্লাহর দেওয়া জীবন অত্যন্ত মূল্যবান। যে সম্পদ যত বেশি মূল্যবান, তার ব্যবহার-প্রক্রিয়াও তত বেশি সুপরিকল্পিত হওয়া প্রয়োজন। সময় বহমান স্রোতের মতো, যাকে কখনো বেঁধে রাখা যায় না। তাই জীবনের এই মূল্যবান সময়গুলো অবহেলায় নষ্ট করা কোনো বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
৬ ঘণ্টা আগে
জানাজার স্থানে যদি পর্দার খেলাপ কিংবা নারীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে সেখানে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি ইসলাম দেয় না। জানাজার নামাজ যেহেতু নারীদের জন্য আবশ্যক নয়, তাই এতে অংশ নিতে গিয়ে কোনো ফরজ বিধান লঙ্ঘন করা বিধানসম্মত নয়।
১১ ঘণ্টা আগে
জানাজার নামাজ ফরজে কিফায়া। অর্থাৎ কোনো মুসলমান মারা গেলে মহল্লার অল্পসংখ্যক লোক জানাজার নামাজ আদায় করলে বাকিরা দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া একজন মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি হক আছে। এর মধ্যে মৃত ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেওয়াও একটি হক।
১৩ ঘণ্টা আগে
মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আমলের দুয়ার বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় বিলাপ কিংবা উচ্চ স্বরে কান্নাকাটি মৃত ব্যক্তির কোনো উপকারে আসে না; বরং তাঁর জন্য মাগফিরাতের দোয়া এবং তাঁর ভালো গুণগুলো স্মরণ করাই প্রকৃত কল্যাণকর।
১৫ ঘণ্টা আগে