কাউসার লাবীব

ইসলাম পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্নতার ধর্ম। আর কোরবানি ইসলামের মহান ইবাদত। একমাত্র আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির জন্য কোরবানি করা হয়। এই ত্যাগের মাধ্যমে মুসলমানরা খোঁজে মহান প্রভুর দয়া ও করুণা। ঈদের দিন নামাজ আদায় করে সামর্থ্যবানেরা কোরবানি করে থাকে। এটা তাদের কর্তব্য। তবে শুধু পশু জবাই আর মাংস বণ্টন করে ঘরে নেওয়ার মধ্যেই এই কর্তব্য শেষ নয়। কোরবানির পশুর রক্ত, মজ্জা, হাড়গোড় আর বিষ্ঠা পড়ে থেকে পরিবেশ যেন নষ্ট না হয়, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকাও কর্তব্য।
আমার কোরবানির পশুর বর্জ্যের কারণে যদি অন্য মানুষ কষ্ট পায়, পথ চলতে না পারে, তাহলে তা সচেতন মুসলমানের পরিচয় নয়। যত্রতত্র কোরবানির বর্জ্য ফেলে প্রতিবেশীকে কষ্ট দেওয়ার অধিকার ইসলাম কাউকে দেয়নি। প্রতিবেশী ও আশপাশের মানুষকে কোনোভাবে কষ্ট দেওয়া জান্নাত থেকে বঞ্চিত হওয়ার অন্যতম কারণ। আল্লাহর রাসুল (সা.) এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘যার অনিষ্ট থেকে আশপাশের মানুষেরা নিরাপদ নয়, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না। (সহিহ্ বুখারি: ৫ / ২২৪০, সহিহ্ মুসলিম: ১ / ৬৮)
শহরে পৌরসভা বা সিটি করপোরেশন কোরবানির বর্জ্য অপসারণের উদ্যোগ নিয়ে থাকে। কিন্তু গ্রাম-পাড়া-মহল্লায় নিজেরা সচেতন না হলে কোরবানি-পরবর্তী সবাইকে কষ্টে পড়তে হয়। গ্রামে যার যার পছন্দ অনুযায়ী স্থানে কোরবানি দেওয়ার পর দেখা যায় দিনের পর দিন সেই বর্জ্য পড়ে থাকে। শহরেও এমন দৃশ্য কোথাও কোথাও দেখা যায়, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
আসলে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সবাই সচেতন না হলে, শুধু রাষ্ট্রের পক্ষে এ বিশাল বর্জ্য অপসারণ খুবই কঠিন। কোরবানির বর্জ্য কিংবা যেকোনো কষ্টদায়ক জিনিস সরিয়ে পরিবেশ সুন্দর রাখতে সবারই এগিয়ে আসা উচিত। নবী করিম (সা.) বলেন, ‘ইমানের ৭০টির বেশি শাখা আছে, এর মধ্যে ন্যূনতম শাখা হলো রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু অপসারণ করা।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৩৫)
একটু সচেতনতার অভাবে আমাদের উৎসব আর ত্যাগ যেন অন্যের কষ্টের কারণ না হয়। আসুন নিজে সচেতন হই, অন্যকে সচেতন করি।

ইসলাম পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্নতার ধর্ম। আর কোরবানি ইসলামের মহান ইবাদত। একমাত্র আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির জন্য কোরবানি করা হয়। এই ত্যাগের মাধ্যমে মুসলমানরা খোঁজে মহান প্রভুর দয়া ও করুণা। ঈদের দিন নামাজ আদায় করে সামর্থ্যবানেরা কোরবানি করে থাকে। এটা তাদের কর্তব্য। তবে শুধু পশু জবাই আর মাংস বণ্টন করে ঘরে নেওয়ার মধ্যেই এই কর্তব্য শেষ নয়। কোরবানির পশুর রক্ত, মজ্জা, হাড়গোড় আর বিষ্ঠা পড়ে থেকে পরিবেশ যেন নষ্ট না হয়, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকাও কর্তব্য।
আমার কোরবানির পশুর বর্জ্যের কারণে যদি অন্য মানুষ কষ্ট পায়, পথ চলতে না পারে, তাহলে তা সচেতন মুসলমানের পরিচয় নয়। যত্রতত্র কোরবানির বর্জ্য ফেলে প্রতিবেশীকে কষ্ট দেওয়ার অধিকার ইসলাম কাউকে দেয়নি। প্রতিবেশী ও আশপাশের মানুষকে কোনোভাবে কষ্ট দেওয়া জান্নাত থেকে বঞ্চিত হওয়ার অন্যতম কারণ। আল্লাহর রাসুল (সা.) এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘যার অনিষ্ট থেকে আশপাশের মানুষেরা নিরাপদ নয়, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না। (সহিহ্ বুখারি: ৫ / ২২৪০, সহিহ্ মুসলিম: ১ / ৬৮)
শহরে পৌরসভা বা সিটি করপোরেশন কোরবানির বর্জ্য অপসারণের উদ্যোগ নিয়ে থাকে। কিন্তু গ্রাম-পাড়া-মহল্লায় নিজেরা সচেতন না হলে কোরবানি-পরবর্তী সবাইকে কষ্টে পড়তে হয়। গ্রামে যার যার পছন্দ অনুযায়ী স্থানে কোরবানি দেওয়ার পর দেখা যায় দিনের পর দিন সেই বর্জ্য পড়ে থাকে। শহরেও এমন দৃশ্য কোথাও কোথাও দেখা যায়, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
আসলে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সবাই সচেতন না হলে, শুধু রাষ্ট্রের পক্ষে এ বিশাল বর্জ্য অপসারণ খুবই কঠিন। কোরবানির বর্জ্য কিংবা যেকোনো কষ্টদায়ক জিনিস সরিয়ে পরিবেশ সুন্দর রাখতে সবারই এগিয়ে আসা উচিত। নবী করিম (সা.) বলেন, ‘ইমানের ৭০টির বেশি শাখা আছে, এর মধ্যে ন্যূনতম শাখা হলো রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু অপসারণ করা।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৩৫)
একটু সচেতনতার অভাবে আমাদের উৎসব আর ত্যাগ যেন অন্যের কষ্টের কারণ না হয়। আসুন নিজে সচেতন হই, অন্যকে সচেতন করি।

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগে
আল্লাহর দেওয়া জীবন অত্যন্ত মূল্যবান। যে সম্পদ যত বেশি মূল্যবান, তার ব্যবহার-প্রক্রিয়াও তত বেশি সুপরিকল্পিত হওয়া প্রয়োজন। সময় বহমান স্রোতের মতো, যাকে কখনো বেঁধে রাখা যায় না। তাই জীবনের এই মূল্যবান সময়গুলো অবহেলায় নষ্ট করা কোনো বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
৮ ঘণ্টা আগে
জানাজার স্থানে যদি পর্দার খেলাপ কিংবা নারীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে সেখানে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি ইসলাম দেয় না। জানাজার নামাজ যেহেতু নারীদের জন্য আবশ্যক নয়, তাই এতে অংশ নিতে গিয়ে কোনো ফরজ বিধান লঙ্ঘন করা বিধানসম্মত নয়।
১৩ ঘণ্টা আগে
জানাজার নামাজ ফরজে কিফায়া। অর্থাৎ কোনো মুসলমান মারা গেলে মহল্লার অল্পসংখ্যক লোক জানাজার নামাজ আদায় করলে বাকিরা দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া একজন মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি হক আছে। এর মধ্যে মৃত ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেওয়াও একটি হক।
১৫ ঘণ্টা আগে