ইসলাম ডেস্ক

আগের যুগে মক্কাগামী হজ কাফেলায় আরব বেদুইনদের ছোটখাটো আক্রমণের ঘটনা ঘটত। তবে ১৭৫৭ সালে হাজিদের ওপর বেদুইনদের আক্রমণটি ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যার একটি। এতে প্রায় ২০ হাজার হাজযাত্রী নিহত হয়েছিলেন। ইতিহাসে এটি ‘১৭৫৭ সালের হজ কাফেলা আক্রমণ’ নামে পরিচিতি পায়। এই লুটতরাজ ও গণহত্যার ঘটনা উসমানি সালতানাতের জাতীয় সংকট কিছুটা প্রকট করে তুলেছিল।
উসমানি আমলে সিরিয়া, লেবানন, ফিলিস্তিন, সাইপ্রাস, জর্ডান ও এশিয়া মাইনর অঞ্চলের হজযাত্রীরা প্রথমে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে জড়ো হতেন। এরপর সেখান থেকে একজন আমিরুল হজ তথা হজপ্রধানের নেতৃত্বে রসদপত্র নিয়ে মক্কার উদ্দেশ্যে যাত্রা করতেন। কাফেলা সশস্ত্র সেনাদের কড়া পাহারায় দীর্ঘ মরুপথ পাড়ি দিত। বেদুইনদের রাহাজানি-লুটতরাজের ভয়েই সৈন্যদের সঙ্গে নেওয়া হতো। কাফেলায় আক্রমণ তখন অভাবী বেদুইনদের উপার্জনের বড় উৎসে পরিণত হয়েছিল। আক্রমণ থেকে বাঁচতে দামেস্ক থেকে প্রাপ্ত রাজস্বের একটি বড় অংশ সাধারণত বেদুইন গোত্রগুলোকে চাঁদা হিসেবে দিতে হতো। নিরাপদে কাফেলা যেতে দেওয়ার শর্তে যাওয়ার সময় অর্ধেক এবং আসার সময় অর্ধেক অর্থ আদায় করার নিয়ম ছিল। এরপরও অনেক বেদুইন গোত্র কাফেলা লুট করত।
১৭৫৭ সালে দামেস্কের গভর্নর হুসাইন পাশা ইবনে আলির নেতৃত্বে হজ কাফেলা কোনো ঝামেলা ছাড়াই মক্কায় পৌঁছেছিল। তবে ফেরার পথে সেনাদের অগ্রবর্তী দল জর্ডানের কাতরানা এলাকায় পৌঁছালে বনি সাখর গোত্রের আক্রমণের শিকার হয় এবং ছত্রভঙ্গ হয়ে বিভিন্ন দিকে পালিয়ে যায়। কমান্ডার মুসা পাশা আহত হয়ে কয়েক দিন পর মারা যান। পালিয়ে যাওয়া সৈন্যদের কয়েকজন দামেস্কে খবর পৌঁছায়। তাবুকে অবস্থান করা মূল কাফেলার নিরাপত্তা দিতে দামেস্ক থেকে একটি সৈন্যদলও পাঠানো হয়। তবে সেই দলও বেদুইনদের আক্রমণের শিকার হয়। আমিরুল হজ হুসাইন পাশার কানে এই খবর পৌঁছলে তিনি কিছুটা সতর্ক হন এবং শেখ কাদান গোত্রের কাছে আশ্রয় চেয়েও ব্যর্থ হন।
এদিকে বনি সখর ও তাদের মিত্র বেদুইন গোত্রগুলো কাফেলা লুট করার জন্য অধীর আগ্রহে বসে ছিল। এসব খবর জেনেও গভর্নর হুসাইন পাশা কাফেলা নিয়ে তাবুক ত্যাগ করে দামেস্কের পথে পা বাড়ান। তাবুক থেকে যাত্রার তৃতীয় দিনে, বর্তমান সৌদি আরব ও জর্ডানের সীমান্তবর্তী তাবুক-মাআনের রাস্তায় কাফেলা তুমুল আক্রমণের শিকার হয়। অসংখ্য হজযাত্রী মারা পড়েন। বেদুইনেরা কাফেলার রসদপত্র লুট করে নিয়ে যায়, যার মধ্যে উসমানি সুলতানের প্রতিনিধিত্বকারী বিশেষ পালকি ‘মাহমাল’ও ছিল। বলা হয়, এই আক্রমণে প্রায় ২০ হাজার হজযাত্রী নিহত হয়েছিলেন। খোদ সুলতানের বোনও নিহতদের তালিকায় ছিলেন। হুসাইন পাশা বেঁচে গিয়েছিলেন, তবে এরপর কোনো দিন তিনি আর দামেস্কে ফেরেননি।
এমন নৃশংস হামলা, লুণ্ঠন ও হত্যায় উসমানি সাম্রাজ্যে হইচই পড়ে যায়। উসমানি শাসনের প্রতি মানুষের মনে অনাস্থার সৃষ্টি হয়। এই ঘটনা ঘটেছিল ১৭৫৭ সালের সেপ্টেম্বরে। অক্টোবরে সুলতান তৃতীয় ওসমান মারা যান এবং সুলতান তৃতীয় মুস্তফা ইস্তাম্বুলের সিংহাসনে বসেন। তিনি কয়েকজন গভর্নরকে এই ঘটনার জন্য দায়ী করে শাস্তি দিয়েছিলেন এবং হুসাইন পাশাকে সব পদ থেকে বরখাস্ত করেছিলেন। এ ছাড়া এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ইস্তাম্বুলের রাজপ্রাসাদের সামনে তাঁদের দ্বিখণ্ডিত মাথা ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। হামলাকারী বেদুইন গোত্রগুলোকেও চরম মূল্য দিতে হয়েছিল। উসমানি সুলতানের নির্দেশে তাদের ওপর ব্যাপক প্রতিশোধমূলক আক্রমণ পরিচালনা করা হয়। এতে অনেক লোক মারা পড়ে।

আগের যুগে মক্কাগামী হজ কাফেলায় আরব বেদুইনদের ছোটখাটো আক্রমণের ঘটনা ঘটত। তবে ১৭৫৭ সালে হাজিদের ওপর বেদুইনদের আক্রমণটি ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যার একটি। এতে প্রায় ২০ হাজার হাজযাত্রী নিহত হয়েছিলেন। ইতিহাসে এটি ‘১৭৫৭ সালের হজ কাফেলা আক্রমণ’ নামে পরিচিতি পায়। এই লুটতরাজ ও গণহত্যার ঘটনা উসমানি সালতানাতের জাতীয় সংকট কিছুটা প্রকট করে তুলেছিল।
উসমানি আমলে সিরিয়া, লেবানন, ফিলিস্তিন, সাইপ্রাস, জর্ডান ও এশিয়া মাইনর অঞ্চলের হজযাত্রীরা প্রথমে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে জড়ো হতেন। এরপর সেখান থেকে একজন আমিরুল হজ তথা হজপ্রধানের নেতৃত্বে রসদপত্র নিয়ে মক্কার উদ্দেশ্যে যাত্রা করতেন। কাফেলা সশস্ত্র সেনাদের কড়া পাহারায় দীর্ঘ মরুপথ পাড়ি দিত। বেদুইনদের রাহাজানি-লুটতরাজের ভয়েই সৈন্যদের সঙ্গে নেওয়া হতো। কাফেলায় আক্রমণ তখন অভাবী বেদুইনদের উপার্জনের বড় উৎসে পরিণত হয়েছিল। আক্রমণ থেকে বাঁচতে দামেস্ক থেকে প্রাপ্ত রাজস্বের একটি বড় অংশ সাধারণত বেদুইন গোত্রগুলোকে চাঁদা হিসেবে দিতে হতো। নিরাপদে কাফেলা যেতে দেওয়ার শর্তে যাওয়ার সময় অর্ধেক এবং আসার সময় অর্ধেক অর্থ আদায় করার নিয়ম ছিল। এরপরও অনেক বেদুইন গোত্র কাফেলা লুট করত।
১৭৫৭ সালে দামেস্কের গভর্নর হুসাইন পাশা ইবনে আলির নেতৃত্বে হজ কাফেলা কোনো ঝামেলা ছাড়াই মক্কায় পৌঁছেছিল। তবে ফেরার পথে সেনাদের অগ্রবর্তী দল জর্ডানের কাতরানা এলাকায় পৌঁছালে বনি সাখর গোত্রের আক্রমণের শিকার হয় এবং ছত্রভঙ্গ হয়ে বিভিন্ন দিকে পালিয়ে যায়। কমান্ডার মুসা পাশা আহত হয়ে কয়েক দিন পর মারা যান। পালিয়ে যাওয়া সৈন্যদের কয়েকজন দামেস্কে খবর পৌঁছায়। তাবুকে অবস্থান করা মূল কাফেলার নিরাপত্তা দিতে দামেস্ক থেকে একটি সৈন্যদলও পাঠানো হয়। তবে সেই দলও বেদুইনদের আক্রমণের শিকার হয়। আমিরুল হজ হুসাইন পাশার কানে এই খবর পৌঁছলে তিনি কিছুটা সতর্ক হন এবং শেখ কাদান গোত্রের কাছে আশ্রয় চেয়েও ব্যর্থ হন।
এদিকে বনি সখর ও তাদের মিত্র বেদুইন গোত্রগুলো কাফেলা লুট করার জন্য অধীর আগ্রহে বসে ছিল। এসব খবর জেনেও গভর্নর হুসাইন পাশা কাফেলা নিয়ে তাবুক ত্যাগ করে দামেস্কের পথে পা বাড়ান। তাবুক থেকে যাত্রার তৃতীয় দিনে, বর্তমান সৌদি আরব ও জর্ডানের সীমান্তবর্তী তাবুক-মাআনের রাস্তায় কাফেলা তুমুল আক্রমণের শিকার হয়। অসংখ্য হজযাত্রী মারা পড়েন। বেদুইনেরা কাফেলার রসদপত্র লুট করে নিয়ে যায়, যার মধ্যে উসমানি সুলতানের প্রতিনিধিত্বকারী বিশেষ পালকি ‘মাহমাল’ও ছিল। বলা হয়, এই আক্রমণে প্রায় ২০ হাজার হজযাত্রী নিহত হয়েছিলেন। খোদ সুলতানের বোনও নিহতদের তালিকায় ছিলেন। হুসাইন পাশা বেঁচে গিয়েছিলেন, তবে এরপর কোনো দিন তিনি আর দামেস্কে ফেরেননি।
এমন নৃশংস হামলা, লুণ্ঠন ও হত্যায় উসমানি সাম্রাজ্যে হইচই পড়ে যায়। উসমানি শাসনের প্রতি মানুষের মনে অনাস্থার সৃষ্টি হয়। এই ঘটনা ঘটেছিল ১৭৫৭ সালের সেপ্টেম্বরে। অক্টোবরে সুলতান তৃতীয় ওসমান মারা যান এবং সুলতান তৃতীয় মুস্তফা ইস্তাম্বুলের সিংহাসনে বসেন। তিনি কয়েকজন গভর্নরকে এই ঘটনার জন্য দায়ী করে শাস্তি দিয়েছিলেন এবং হুসাইন পাশাকে সব পদ থেকে বরখাস্ত করেছিলেন। এ ছাড়া এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ইস্তাম্বুলের রাজপ্রাসাদের সামনে তাঁদের দ্বিখণ্ডিত মাথা ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। হামলাকারী বেদুইন গোত্রগুলোকেও চরম মূল্য দিতে হয়েছিল। উসমানি সুলতানের নির্দেশে তাদের ওপর ব্যাপক প্রতিশোধমূলক আক্রমণ পরিচালনা করা হয়। এতে অনেক লোক মারা পড়ে।

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
৮ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২০ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২১ লাখ বেশি।
কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, মসজিদে হারামে প্রায় ৩ কোটি মুসল্লি ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭০০ জন কাবা শরিফসংলগ্ন হাতিমে কাবায় নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছেন। আর মসজিদে নববিতে ইবাদত ও জিয়ারতের জন্য গিয়েছেন ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষ। এ ছাড়া পবিত্র রিয়াজুল জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন ১৩ লাখ মুসল্লি এবং নবী করিম (সা.) এবং দুই খলিফার রওজা জিয়ারত করেছেন ২৩ লাখ মানুষ।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুধু জমাদিউস সানি মাসেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আগত ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের বেশি। উন্নত ডিজিটাল সেবা, আধুনিক লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সহজলভ্য হওয়ায় ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নেরই একটি অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের জন্য হজ, ওমরাহ ও জিয়ারতপ্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সৌদি সরকার।

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২১ লাখ বেশি।
কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, মসজিদে হারামে প্রায় ৩ কোটি মুসল্লি ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭০০ জন কাবা শরিফসংলগ্ন হাতিমে কাবায় নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছেন। আর মসজিদে নববিতে ইবাদত ও জিয়ারতের জন্য গিয়েছেন ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষ। এ ছাড়া পবিত্র রিয়াজুল জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন ১৩ লাখ মুসল্লি এবং নবী করিম (সা.) এবং দুই খলিফার রওজা জিয়ারত করেছেন ২৩ লাখ মানুষ।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুধু জমাদিউস সানি মাসেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আগত ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের বেশি। উন্নত ডিজিটাল সেবা, আধুনিক লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সহজলভ্য হওয়ায় ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নেরই একটি অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের জন্য হজ, ওমরাহ ও জিয়ারতপ্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সৌদি সরকার।

আগের যুগে মক্কাগামী হজ কাফেলায় আরব বেদুইনদের ছোটখাটো আক্রমণের ঘটনা ঘটত। তবে ১৭৫৭ সালে হাজিদের ওপর বেদুইনদের আক্রমণটি ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যার একটি। এতে প্রায় ২০ হাজার হাজযাত্রী নিহত হয়েছিলেন। ইতিহাসে এটি ‘১৭৫৭ সালের হজ কাফেলা আক্রমণ’ নামে পরিচিতি পায়।
২১ মে ২০২৩
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২০ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।
পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।
পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।
পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।
পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

আগের যুগে মক্কাগামী হজ কাফেলায় আরব বেদুইনদের ছোটখাটো আক্রমণের ঘটনা ঘটত। তবে ১৭৫৭ সালে হাজিদের ওপর বেদুইনদের আক্রমণটি ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যার একটি। এতে প্রায় ২০ হাজার হাজযাত্রী নিহত হয়েছিলেন। ইতিহাসে এটি ‘১৭৫৭ সালের হজ কাফেলা আক্রমণ’ নামে পরিচিতি পায়।
২১ মে ২০২৩
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২০ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

আগের যুগে মক্কাগামী হজ কাফেলায় আরব বেদুইনদের ছোটখাটো আক্রমণের ঘটনা ঘটত। তবে ১৭৫৭ সালে হাজিদের ওপর বেদুইনদের আক্রমণটি ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যার একটি। এতে প্রায় ২০ হাজার হাজযাত্রী নিহত হয়েছিলেন। ইতিহাসে এটি ‘১৭৫৭ সালের হজ কাফেলা আক্রমণ’ নামে পরিচিতি পায়।
২১ মে ২০২৩
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
৮ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১৩ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

আগের যুগে মক্কাগামী হজ কাফেলায় আরব বেদুইনদের ছোটখাটো আক্রমণের ঘটনা ঘটত। তবে ১৭৫৭ সালে হাজিদের ওপর বেদুইনদের আক্রমণটি ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যার একটি। এতে প্রায় ২০ হাজার হাজযাত্রী নিহত হয়েছিলেন। ইতিহাসে এটি ‘১৭৫৭ সালের হজ কাফেলা আক্রমণ’ নামে পরিচিতি পায়।
২১ মে ২০২৩
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
৮ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২০ ঘণ্টা আগে