Ajker Patrika

মামদানিকে হারাতে দিল্লি ও নিউইয়র্কে সোচ্চার কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
জোহরান মামদানি। ছবি: সংগৃহীত
জোহরান মামদানি। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের রাজধানী দিল্লি থেকে নিউইয়র্ক সিটির নির্বাচনী মাঠে জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে এক সুগঠিত ও ব্যাপক আক্রমণ চালাচ্ছে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি ও তার সমর্থক গোষ্ঠীগুলো মামদানির সমালোচনা করে তাকে ‘হিন্দুবিদ্বেষী’ ও ‘দেশবিরোধী’ হিসেবে তুলে ধরছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ভারতীয়-আমেরিকান হিন্দু সম্প্রদায়, যারা প্রায় সরাসরি মোদির রাজনৈতিক শিবিরের সঙ্গে যুক্ত এবং মামদানির বিরুদ্ধে সক্রিয়ভাবে লড়াই করছে।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটির মেয়র পদের প্রাথমিক নির্বাচনের দুই দিন আগে একটি বিমান উড়ে যায় স্ট্যাচু অব লিবার্টির ওপর দিয়ে। সেই বিমানের সামনে একটি ব্যানার ঝোলোনো হয় নির্বাচনের প্রধান প্রার্থী জোহরান মামদানিকে লক্ষ্য করে। ব্যানারে লেখা ছিল ‘সেভ নিউইয়র্ক ফ্রম গ্লোবাল ইন্তিফাদা অ্যান্ড রিজেক্ট মামদানি (ইন্তিফাদার বিশ্বায়ন থেকে নিউইয়র্ককে বাঁচাও’ এবং মামদানিকে প্রত্যাখ্যান করো।)

উল্লেখ্য, ইন্তিফাদা শব্দটি সাধারণত ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের প্রতিবাদ বা উত্থান বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। ‘ইন্তিফাদার বিশ্বায়ন’ মানে এই প্রতিবাদ বা সংগ্রামের মডেল বা ভাবনাকে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়া, যাতে তা বৃহত্তর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে পরিচিতি পায় বা অন্য জায়গায় প্রতিবাদ-আন্দোলনের উৎস হয়ে দাঁড়ায়।

ব্যানারটি মূলত শহরের ইহুদি ভোটারদের উদ্দেশ্য করে তৈরি হলেও এর পেছনে রয়েছে ভারতীয়-আমেরিকান হিন্দু গোষ্ঠী। এই গোষ্ঠী মামদানিকে ‘হিন্দু ও ভারতবিরোধী’ বলে অভিযুক্ত করেছে।

মামদানি একজন মুসলিম এবং বহুদিন ধরেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে সরব। এদিকে মোদি একজন জনপ্রিয় নেতা, যিনি ভারতের হিন্দু জাতীয়তাবাদের সঙ্গে সংযুক্ত এবং মুসলিম সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে তাদের ওপর অবিচারের অভিযোগ রয়েছে।

গত মে মাসে মোদিকে ‘যুদ্ধাপরাধী’ বলে অভিহিত করেছেন মামদানি। তিনি মোদির নিউইয়র্ক সফরে বাধা দেওয়ারও চেষ্টা করেন। সেই সঙ্গে একটি রাজ্য অ্যাসেম্বলি সদস্যকে ভারতীয়-আমেরিকানদের দেওয়া নির্বাচনী তহবিল ফিরিয়ে দিতে বলেছিলেন। তিনি সেই ভারতীয়–আমেরিকানদের ‘হিন্দু ফ্যাসিবাদী’ বলে অভিহিত করেছিলেন।

২০২০ সালে স্টেট অ্যাসেম্বলি নির্বাচনের প্রচারের সময় মামদানি টাইমস স্কয়ারে একটি বিক্ষোভে যোগ দেন। সেখানে হিন্দু মন্দির নির্মাণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী একটি গোষ্ঠী ‘Who are Hindus? Bastards!’ (হিন্দু কারা? জারজ!’ ) স্লোগান দিয়েছিল।

মামদানি ওই বক্তব্যগুলো নিয়ে কখনো প্রকাশ্যে নিন্দা করেননি এবং এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তার নির্বাচনী প্রচার দল কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকার করে।

নিউ ইয়র্কের প্রথম মুসলিম ও দক্ষিণ এশীয় মেয়র হওয়ার সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও বর্তমানে মোদি সমর্থকদের আক্রমণের মুখে পড়ছেন মামদানি।

এই প্রচেষ্টা দেখিয়ে দেয় কীভাবে দিল্লির রাজনীতি নিউইয়র্কের নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে। ভারতে মোদিপক্ষের সংবাদমাধ্যমগুলো লাখ লাখ টিভি ও স্মার্টফোনে মামদানির বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাচ্ছে। সরাসরি মোদি ও তাঁর শাসক বিজেপির সঙ্গে যুক্ত ভারতীয়-আমেরিকান কিছু গোষ্ঠী একটু সূক্ষ্ম পদ্ধতিতে কাজ করছে। তারা মামদানির প্রতিদ্বন্দ্বীদের জন্য অর্থ সংগ্রহ করছে।

রকিব নায়েক, ‘সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অব অর্গানাইজড হেট’-এর পরিচালক বলেছেন, ভারতভিত্তিক হিন্দু জাতীয়তাবাদী ও আমেরিকান হিন্দু গোষ্ঠী একসঙ্গে মামদানিকে ‘হিন্দুবিরোধী’ প্রার্থী হিসেবে উপস্থাপন করছে।’

তবু অনেক দক্ষিণ এশীয় বিশেষ করে তরুণ, মুসলিম ও উদারপন্থীদের ব্যাপক সমর্থন পাচ্ছেন মামদানি। তিনি দক্ষিণ এশীয় বসতি এলাকায় বড় ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন এবং বেশ কিছু অ্যানালাইসিস অনুযায়ী বেশির ভাগ এশীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকায় প্রথম পছন্দ ভোটের ৫২ শতাংশ পেয়েছেন।

নিউইয়র্কে প্রায় ৪ লাখ ৪৭ হাজার ৬৪ দক্ষিণ এশিয়ার মানুষ বসবাস করেন, যাঁরা ভোটারের বড় অংশ। তবে সবার দৃষ্টিভঙ্গি একই রকম নয়। তাই হিন্দুদের বিরোধিতা মামদানির ভোটে কতটা প্রভাব ফেলবে তা স্পষ্ট নয়। ২০২৩ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে পিউ রিসার্চ সেন্টার অনুমান করেছে, নিউইয়র্কের জনসংখ্যার ২ শতাংশ, অর্থাৎ প্রায় ৮০ হাজার হিন্দু ধর্মাবলম্বী।

নিউইয়র্ক যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শহর। ফলে এই শহরের মেয়রের একটি বৈশ্বিক প্রভাব থাকে। এখন মামদানি সাধারণ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন এবং মধ্যপন্থী ডেমোক্র্যাটদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করছেন যে তিনি একজন যোগ্য প্রার্থী। তবে একই সঙ্গে তাকে দূরদেশের এক শক্তিশালী দলের রোষানলে পড়তে হচ্ছে।

মামদানিবিরোধী বার্তাটি এসেছে একেবারে ওপরের স্তর থেকে। ভারতের বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র সঞ্জু বর্মা সম্প্রতি মামদানিকে ‘হিন্দুবিদ্বেষী কট্টরপন্থী’ এবং ‘উন্মাদ মিথ্যাবাদী’ বলে অভিহিত করেছেন।

এ ধরনের বক্তব্য বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে মোদি সমর্থক গণমাধ্যম এবং প্রভাবশালীদের একটি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে।

দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস এবং সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অব অর্গানাইজড হেইটের মতে, গত ১৩ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত সময়ে ভারতে পরিচিত ডানপন্থী অ্যাকাউন্ট এবং হিন্দু জাতীয়তাবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক্স প্রোফাইলগুলো থেকে মামদানিকে নিয়ে ছয় শতাধিক সমালোচনামূলক পোস্ট প্রকাশিত হয়েছে। এসব অ্যাকাউন্টের অনুসারী কয়েক লাখ।

সান্তা ক্লারা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রোহিত চোপড়া বলেন, ‘মামদানির মুসলিম পরিচয় এবং মোদির প্রতি তীব্র সমালোচনাই যথেষ্ট ছিল তাকে ভারতীয়-আমেরিকানদের মধ্যে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এবং একই সঙ্গে ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বিষয়টি রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে ব্যবহার করা হচ্ছে।’

তাঁর পারিবারিক পরিচয়ও হিন্দুত্ববাদীদের হাতে বাড়তি অস্ত্র তুলে দিয়েছে। ৩৩ বছর বয়সী মামদানি জন্মগ্রহণ করেন উগান্ডার কামপালায়। তবে তাঁর বাবা ভারতের গুজরাট রাজ্যের—নরেন্দ্র মোদির নিজ রাজ্য, যেখানে ২০০২ সালে দাঙ্গায় শত শত মানুষ নিহত হয়। নিহতদের মধ্যে অনেকেই মুসলিম ছিলেন। তার মা চলচ্চিত্র নির্মাতা মীরা নায়ার, ভারতের প্রগতিশীল বাম রাজনীতির একজন গুরুত্বপূর্ণ মুখ।

যুক্তরাষ্ট্রে মামদানির প্রতি কিছু হিন্দুর অবিশ্বাস এখন শুধু ভাবনার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই—এটা রাজনৈতিক কার্যকলাপে রূপ নিয়েছে। মোদি ও তার দলের সঙ্গে প্রবাসী ভারতীয় গোষ্ঠীগুলোর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকার কারণে এই প্রচেষ্টা আরও সক্রিয় ও শক্তিশালী হয়েছে।

কুইন্সে অবস্থিত ‘গুজরাটি সমাজ অব নিউইয়র্ক’ একটি ভারতীয় সাংস্কৃতিক সংগঠন, যার প্রায় ৪ হাজার সদস্য আছে। এই সংগঠন মোদির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ রাখে এবং মামদানির প্রতিপক্ষদের সক্রিয়ভাবে সমর্থন করছে।

সংগঠনের সভাপতি হর্ষদ প্যাটেল বলেন, এই সংগঠনের সদস্যরা ফেব্রুয়ারিতে ভারতে মোদির সঙ্গে দেখা করেছেন এবং এখনো তাঁর সঙ্গে ‘সরাসরি যোগাযোগে’ রয়েছেন। গত জুলাইয়ে গোষ্ঠীটি বর্তমান মেয়র এরিক অ্যাডামসের জন্য একটি তহবিল সংগ্রহের অনুষ্ঠান আয়োজন করে। অ্যাডামস একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মামদানির বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ২০২৩ সালে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে অ্যাডামস মোদির সঙ্গে এক মঞ্চে অংশ নেন।

ইন্ডিয়ান-অ্যামেরিকানস ফল কুওমো প্যাক নামের একটি রাজনৈতিক কর্মসূচির প্রতিষ্ঠাতা সত্য দোসাপতি। এই গোষ্ঠীই স্ট্যাচু অব লিবার্টির ওপর দিয়ে ওড়ানো ব্যানারের জন্য অর্থ প্রদান করেছিল। এর আগে ২০১৩ সালে ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়া মোদিকে বক্তা হিসেবে আমন্ত্রণ না জানানোয় প্রতিবাদ করেছিল এই গোষ্ঠী।

বর্তমানে সাধারণ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন মামদানি এবং তিনি আরও বেশি মানুষের সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করছেন। সম্প্রতি মামদানি বলেন, ‘গ্লোবালাইজ দ্য ইন্তিফাদা’—এই বিতর্কিত স্লোগান ব্যবহারে তিনি নিরুৎসাহিত করবেন। উল্লেখ্য, স্ট্যাচু অব লিবার্টির ওপর দিয়ে ওড়ানো ব্যানারে এই বাক্যই লেখা ছিল। এটি অনেকের কাছে সহিংসতার আহ্বান হিসেবে মনে হয়েছে।

এখন প্রশ্ন উঠেছে, নভেম্বরের নির্বাচনের দিকে এগোতে এগোতে মামদানি কি মোদির প্রতি তাঁর সমালোচনা কিছুটা কমিয়ে আনবেন?

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ‘যুদ্ধাপরাধী’ বলার মামদানির ভিডিও ক্লিপটি হিন্দু ভোটারদের মধ্যে ভাইরাল হওয়ার পর থেকে তিনি ভারতীয় রাজনীতি নিয়ে তুলনামূলক অনেক কম কথা বলছেন।

তথ্যসূত্র: দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

বিদেশে নেওয়ার অবস্থায় নেই খালেদা জিয়া

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

পাকিস্তানি স্ত্রীকে করাচিতে ফেলে ভারতে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি, স্বামীর বিচার চেয়ে মোদির কাছে আবেদন

আজকের রাশিফল: সন্ধ্যায় অচেনা নম্বর থেকে ‘দারুণ অফার’ আসবে, ইগনোর করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ফ্যাক্টচেকার ও কনটেন্ট মডারেটরদের ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
নতুন এ নির্দেশনা সবার আগে এইচ-১বি ভিসা আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। ছবি: রয়টার্সের সৌজন্যে
নতুন এ নির্দেশনা সবার আগে এইচ-১বি ভিসা আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। ছবি: রয়টার্সের সৌজন্যে

যুক্তরাষ্ট্রে মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে—এমন বিদেশিদের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে কঠোর অবস্থান নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। ফ্যাক্টচেকিং, কনটেন্ট মডারেশন, ভুল তথ্য প্রতিরোধ বা অনলাইন নিরাপত্তায় কাজ করেছেন—এমন ব্যক্তিরা এই নীতির আওতায় পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এ নির্দেশনার বিষয়ে প্রথমে বার্তা রয়টার্স ও পরে এনপিআরে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংশ্লিষ্ট খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর (স্টেট ডিপার্টমেন্ট) বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসগুলোকে একটি চিঠি পাঠিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে ‘সুরক্ষিত মতপ্রকাশ’ (বাক্‌স্বাধীনতা) বা ফ্রি স্পিচ দমনে যারা ‘দায়ী বা জড়িত’—তাদের ভিসা আবেদন অবশ্যই প্রত্যাখ্যান করতে হবে।

চিঠির তথ্য অনুযায়ী, ভিসা আবেদনকারীদের অতিরিক্ত যাচাই-বাছাই করতে বলা হয়েছে। বিশেষ করে যাদের ভুল তথ্য ও বিভ্রান্তি, কনটেন্ট মডারেশন, ফ্যাক্টচেকিং, ট্রাস্ট অ্যান্ড সেফটি, অনলাইন নিরাপত্তার মতো কাজে সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া যাবে।

দূতাবাসের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আবেদনকারীর লিংকডইন প্রোফাইলসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও সংবাদ প্রতিবেদনে তাঁদের কোনো লেখা বা প্রতিবেদন থাকলে সে সম্পর্কেও খোঁজ নিতে হবে।

যদি কোনো তথ্য পাওয়া যায় যে আবেদনকারী যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের মতো কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন, সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ‘আবেদনকারীকে ভিসার জন্য অযোগ্য’ ঘোষণা করবেন।

নতুন এই নির্দেশনা সবার আগে এইচ-১বি ভিসা আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। সাধারণত প্রযুক্তি খাতসহ উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন বিদেশি কর্মীদের এই ভিসা দেওয়া হয়। যদিও নির্দেশনাটি শেষ পর্যন্ত সব ধরনের ভিসার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে বলে জানানো হয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক মুখপাত্র ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘অভিবাসী হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে এসে আমাদের মুখ বন্ধ করার মতো কাজ করবে, এমন কোনো কর্মকাণ্ড আমরা সমর্থন করি না। প্রেসিডেন্ট নিজেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অন্যায়ভাবে সেন্সরশিপের শিকার হয়েছেন। তিনি চান না, আমেরিকার অন্য নাগরিকেরা এমন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হন।’

এর আগে গত মাসে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছিলেন, ‘যারা আমাদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করবে, তাদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হবে।’

তবে অনেকেই বলছেন, ট্রাস্ট অ্যান্ড সেফটির কাজকে ‘সেন্সরশিপ’ বলা হলে ব্যাপক ক্ষতি হবে।

ব্যবসায়িক প্রক্রিয়ার আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠান (বিপিও) পার্টনারহিরোর ট্রাস্ট অ্যান্ড সেফটি বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যালিস গোগুয়েন হান্সবার্গার বলেন, ‘শিশু সুরক্ষা, অনলাইন প্রতারণা, জালিয়াতি, যৌন অপরাধ ঠেকানোর মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ ট্রাস্ট অ্যান্ড সেফটির আওতায় পড়ে। এটিকে সেন্সরশিপ হিসেবে দেখানো উদ্বেগজনক।’

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটাল হিল দাঙ্গার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম ডোনাল্ড ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছিল। এর পর থেকে ট্রাম্প নিয়মিতভাবেই প্রযুক্তি খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছেন। তবে নতুন এই ভিসা নিষেধাজ্ঞাকে যুক্তরাষ্ট্রে বৈধ অভিবাসন সীমিত করার লক্ষ্যে ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের অংশ হিসেবেও দেখা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

বিদেশে নেওয়ার অবস্থায় নেই খালেদা জিয়া

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

পাকিস্তানি স্ত্রীকে করাচিতে ফেলে ভারতে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি, স্বামীর বিচার চেয়ে মোদির কাছে আবেদন

আজকের রাশিফল: সন্ধ্যায় অচেনা নম্বর থেকে ‘দারুণ অফার’ আসবে, ইগনোর করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পাকিস্তানে দুই সাংবাদিক ও পিটিআই নেত্রীর বিরুদ্ধে পরোয়ানা, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
পাকিস্তানি সাংবাদিক আহমেদ নুরানি ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেত্রী সিমাবিয়া তাহির। ছবি: ডন
পাকিস্তানি সাংবাদিক আহমেদ নুরানি ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেত্রী সিমাবিয়া তাহির। ছবি: ডন

পাকিস্তানের সাংবাদিক আহমেদ নুরানি ও জামিল ফারুকী এবং কারাবন্দী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেত্রী সিমাবিয়া তাহিরকে দেশটির সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণার অভিযোগে হওয়া পৃথক মামলায় পলাতক ঘোষণা করা হয়েছে।

আজ রোববার এক প্রতিবেদনে ডন জানিয়েছে, বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আব্বাস শাহ লিখিত আদেশে ওই তিনজনকে পলাতক ঘোষণা করেন এবং তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন।

লিখিত আদেশে বলা হয়, আসামিদের আদালতে বারবার তলব করা হলেও তাঁরা হাজির হননি।

আদেশ অনুযায়ী, পাকিস্তানের ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনসিসিআইএ) সংশ্লিষ্ট মামলাগুলোর তদন্ত শেষ করে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) জমা দিয়েছে। এই তিনজনের বিরুদ্ধে সাইবার অপরাধ ও সংশ্লিষ্ট ধারায় এফআইআর (প্রাথমিক তথ্য বিবরণী) নথিভুক্ত করা হয় এ বছরের জুলাই ও আগস্টে।

আদালত আদেশে বলেছে, আইন অনুযায়ী গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করে আসামিদের আদালতে হাজির নিশ্চিত করতে হবে, যাতে তাঁরা বিচারপ্রক্রিয়ার মুখোমুখি হতে পারেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

বিদেশে নেওয়ার অবস্থায় নেই খালেদা জিয়া

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

পাকিস্তানি স্ত্রীকে করাচিতে ফেলে ভারতে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি, স্বামীর বিচার চেয়ে মোদির কাছে আবেদন

আজকের রাশিফল: সন্ধ্যায় অচেনা নম্বর থেকে ‘দারুণ অফার’ আসবে, ইগনোর করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ট্রাম্প জুনিয়রের মদদপুষ্ট কোম্পানির সঙ্গে পেন্টাগনের ৬২০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ৫৯
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ছেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র। ছবি: সংগৃহীত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ছেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র। ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়রের ভেঞ্চার ক্যাপিটাল সংস্থা ১৭৮৯–ক্যাপিটালের সমর্থনপুষ্ট বিরল মৃত্তিকা চুম্বক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ভলকান এলিমেন্টস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ থেকে ৬২০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি নিশ্চিত করেছে। এই খবরটি জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস।

কোম্পানির বিবৃতি অনুসারে, এই চুক্তিটি মার্কিন সরকার ও রি-এলিমেন্ট টেকনোলজিসের সঙ্গে ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারের অংশীদারত্বের একটি অংশ। এই অংশীদারত্বের লক্ষ্য হলো চুম্বকের দেশীয় সরবরাহ বাড়ানো ও মজবুত করা।

ট্রাম্প জুনিয়র ২০২৪ সালে ১৭৮৯-ক্যাপিটালের অংশীদার হিসেবে যোগ দেন। ব্লুমবার্গের খবর অনুযায়ী, সংস্থাটি প্রায় তিন মাস আগে ভলকান এলিমেন্টসে বিনিয়োগ করে। এর আগে, আগস্ট মাসে কোম্পানিটি আলটিমিটার ক্যাপিটালের নেতৃত্বে ৬৫ মিলিয়ন ডলারের সিরিজ এ অর্থায়ন ঘোষণা করেছিল।

ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, এই সরকারি চুক্তিটি পেন্টাগনের স্ট্র্যাটেজিক ক্যাপিটাল অফিসের করা সর্ববৃহৎ চুক্তি। শুধু এই বছরেই ১৭৮৯-ক্যাপিটালের অন্তত চারটি কোম্পানি সরকারি চুক্তি পেয়েছে। সংস্থাটি স্পেসএক্স ও অ্যান্ডুরিলের মতো প্রতিষ্ঠানেরও এক সমর্থক, যারা দীর্ঘদিন ধরে সরকারের কাছে প্রযুক্তি বিক্রি করে চলেছে।

তবে, ভলকান এলিমেন্টস ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের কাছে অস্বীকার করেছে, ট্রাম্প জুনিয়রের এই চুক্তি আলোচনার ক্ষেত্রে কোনো রকম ভূমিকা ছিল না। ট্রাম্প জুনিয়রের এক মুখপাত্রও একই কথা বলেছেন। তার বক্তব্য, ‘১৭৮৯-এর পোর্টফোলিও কোম্পানিগুলোর পক্ষে সরকারের সঙ্গে আলোচনায় তাঁর (ট্রাম্প জুনিয়রের) কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিল না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

বিদেশে নেওয়ার অবস্থায় নেই খালেদা জিয়া

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

পাকিস্তানি স্ত্রীকে করাচিতে ফেলে ভারতে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি, স্বামীর বিচার চেয়ে মোদির কাছে আবেদন

আজকের রাশিফল: সন্ধ্যায় অচেনা নম্বর থেকে ‘দারুণ অফার’ আসবে, ইগনোর করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ইসরায়েলি দখলদারত্ব শেষ হলেই অস্ত্র পরিত্যাগ করবে হামাস

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ১৯
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় হামাসের দুই যোদ্ধা। ছবি: এএফপি
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় হামাসের দুই যোদ্ধা। ছবি: এএফপি

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের গাজা অঞ্চলের প্রধান খলিল আল-হাইয়া গতকাল শনিবার বলেছেন, ইসরায়েলি দখলদারত্ব শেষ হলে তাঁর গোষ্ঠী অস্ত্র ত্যাগ করবে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই অবস্থান তুলে ধরেন।

খলিল আল-হাইয়া বলেন, ‘আমাদের অস্ত্র দখলদারত্ব ও আগ্রাসনের উপস্থিতির সঙ্গে জড়িত। দখলদারত্ব মিটে গেলেই এই অস্ত্র তুলে দেওয়া হবে রাষ্ট্রের হাতে।’ তিনি আরও বলেন, ‘অস্ত্রের বিষয়টি এখনো বিভিন্ন উপগোষ্ঠী ও মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আলোচনায় রয়েছে এবং চুক্তিটি এখনো একেবারে প্রাথমিক স্তরে আছে।’

সাক্ষাৎকারকালে আল-হাইয়া এটাও উল্লেখ করেন, ‘ইসরায়েলি দখলদারদের কিছু বন্দীর লাশের খোঁজে রোববার নতুন এলাকায় প্রবেশ করা হবে।’ অক্টোবরের ১০ তারিখ থেকে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির সময় গাজার মানবিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে আল-হাইয়া অভিযোগ করে বলেন, ইসরায়েল ‘গাজায় প্রয়োজনীয় সামগ্রীর প্রবেশে বাধা দিচ্ছে, যেন আমরা এখনো যুদ্ধের মধ্যে আছি।’

হামাসের এই নেতা বলেন, ‘গাজা ভূখণ্ডে যে পরিমাণ সাহায্য ঢুকছে, তাতে আমরা সন্তুষ্ট নই, আমরা মধ্যস্থতাকারীদের কাছে হস্তক্ষেপের আহ্বান জানাচ্ছি।’ স্মরণ রাখা দরকার, হামাস এর আগে অস্ত্র ছাড়তে অস্বীকার করে একে একটি ‘রেডলাইন বা চূড়ান্ত সীমা’ বলে উল্লেখ করেছিল। অন্যদিকে ইসরায়েল গাজায় হামাস ও অন্যান্য ফিলিস্তিনি উপগোষ্ঠীর নিরস্ত্রীকরণকেই গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির দ্বিতীয় ধাপের একটি প্রধান শর্ত বলে জোর দিচ্ছে।

এদিকে কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল-থানি সতর্ক করে বলেছেন, গাজার যুদ্ধবিরতি এক ‘নাজুক মুহূর্তে’ এসে পৌঁছেছে এবং স্থায়ী শান্তির দিকে দ্রুত অগ্রগতি না হলে এটি ভেঙে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। দোহা ফোরামে বক্তৃতাকালে কাতারের প্রধানমন্ত্রী জানান, স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য ইসরায়েলি বাহিনীর গাজা থেকে সম্পূর্ণ প্রত্যাহার এবং ফিলিস্তিনিদের জন্য স্থিতিশীলতা ও চলাফেরার স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন।

এই সতর্কবার্তা মিসর, কাতার, তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হওয়া চুক্তির ভঙ্গুরতাও তুলে ধরে। যদিও এই যুদ্ধবিরতি প্রথমে লড়াই থামিয়েছিল, কিন্তু হামাসের নিরস্ত্রীকরণের মতো গুরুত্বপূর্ণ মতপার্থক্যের কারণে এর দ্বিতীয় ধাপের বাস্তবায়ন থমকে গেছে।

নভেম্বরে জাতিসংঘ-সমর্থিত একটি পরিকল্পনা অনুযায়ী, ইসরায়েল তার অবস্থান থেকে সরে আসবে এবং গাজা পরিচালিত হবে ‘বোর্ড অব পিস’ নামে একটি অন্তর্বর্তী শাসনকাঠামোর মাধ্যমে। এই পরিকল্পনায় একটি আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েনের কথাও বলা হয়েছে।

তবে সেই কাঠামোর রূপরেখা এখনো অনিশ্চিত। তাত্ত্বিকভাবে মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই বোর্ডের প্রধান হিসেবে থাকার কথা থাকলেও অন্য সদস্যদের পরিচয় এখনো ঘোষণা করা হয়নি। উপরন্তু খবর আছে যে আরব এবং মুসলিম দেশগুলো স্থিতিশীলতা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়ে দ্বিধা প্রকাশ করেছে। কারণ, তাদের ভয়, এটি ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের সঙ্গে লড়াইয়ে জড়িয়ে যেতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

বিদেশে নেওয়ার অবস্থায় নেই খালেদা জিয়া

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

পাকিস্তানি স্ত্রীকে করাচিতে ফেলে ভারতে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি, স্বামীর বিচার চেয়ে মোদির কাছে আবেদন

আজকের রাশিফল: সন্ধ্যায় অচেনা নম্বর থেকে ‘দারুণ অফার’ আসবে, ইগনোর করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত