Ajker Patrika

ট্রাম্পের হুমকি পরোয়া করে না মস্কো

  • রাশিয়ার পণ্যের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।
  • বিলের মাধ্যমে ৫০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রস্তাব আনা হচ্ছে।
  • রাশিয়ার বিরুদ্ধে কোনো নিষেধাজ্ঞা কোনো কালেই কাজে আসেনি।
আপডেট : ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৩: ০৬
ছবি: এএফপি
ছবি: এএফপি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ৫০ দিনের মধ্যে ইউক্রেনে হামলা বন্ধের নাটকীয় হুমকি প্রত্যাখ্যান করেছে রাশিয়া। এই হুমকি প্রত্যাখ্যান করে রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের উপপ্রধান ও দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেছেন, ট্রাম্পের হুমকি ও আলটিমেটামের পরোয়া করে না রাশিয়া।

সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে একটি প্রস্তাব দিয়েছেন ট্রাম্প। প্রস্তাবে তিনি বলেছেন, ৫০ দিনের মধ্যে ইউক্রেনে গ্রীষ্মকালীন নৃশংস আক্রমণাত্মক হামলা বন্ধ করতে হবে। কোনো পরিণতি ভোগ করার আগেই এই যুদ্ধ বন্ধ করার হুমকি দেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, আগামী সেপ্টেম্বরের আগে যদি রাশিয়া হামলা বন্ধ না করে, তাহলে তাদের পণ্যের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। এদিকে রাশিয়ার ওপর আরও নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে বলে জানান ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রবিষয়ক প্রধান কাজা ক্যালাস। তিনি বলেন, শিগগির রাশিয়াকে নতুন নিষেধাজ্ঞা দেবে ইউরোপীয় জোট।

রাশিয়া ইউক্রেনে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাত্রা বাড়িয়েছে। তাদের এই হামলায় ইউক্রেনের লাখ লাখ মানুষ ঘুমাতে পারছে না। এদিকে রাশিয়ার জনগণ শান্তিতে ঘুমাচ্ছে। এর পরিণতি ইউক্রেনের নির্ঘুম মানুষের চেয়ে ভয়াবহ হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন ট্রাম্প। রাশিয়াকে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার হুমকিও দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘আমি চাইলে রাশিয়ার ওপর এখনই নিষেধাজ্ঞা আরোপ বা তার চেয়ে বেশি কিছু করতে পারি। মার্কিন সিনেটে দ্বিদলীয় বিলের মাধ্যমে ৫০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রস্তাব আনা হচ্ছে।’

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞার এই নতুন হুমকির কারণে ইউক্রেন ইস্যুতে যে রাশিয়ার অবস্থান বদলাবে, এমনটি নয়। রাশিয়ার অবস্থানের পরিবর্তন আসতে আরও অনেক সময় লাগবে। রাশিয়া এমনিতে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত দেশগুলোর একটি। মার্কিন নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। শুধু তা-ই নয়, ক্রিমিয়া থেকে শুরু করে সিরিয়া ও ব্রিটেনে বিভিন্ন অভিযোগে রাশিয়াকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

এত নিষেধাজ্ঞার পরও রাশিয়া তার অর্থনীতি ঠিক রেখেছে। তারা এ জন্য বিকল্প কৌশল অবলম্বন করেছে। তাই এই নিষেধাজ্ঞায় রাশিয়ার ওপর কোনো প্রভাব পড়েনি। যার ফলে তার অবস্থানের কোনো পরিবর্তন ঘটেনি।

সম্প্রতি নিষেধাজ্ঞার হুমকির জবাবে রাশিয়ার এক আইনপ্রণেতা আনাতোলি আকসাক বলেন, সবাই দেখেছে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে কোনো নিষেধাজ্ঞা কোনো কালেই কাজে আসেনি। তিনি আরও বলেন, এই নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও রাশিয়া আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সামনের দিকে এগিয়ে গেছে। দেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে।

রাশিয়ার জনগণ মনে করছে, রাশিয়াকে নতুন নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার জন্য ৫০ দিন সময় বেঁধে দিচ্ছেন ট্রাম্প। যদি এর মধ্যে ইউক্রেনে রাশিয়া হামলা না করে, তাহলে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তে পরিবর্তন আসতে পারে। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়ার এক সিনেটর কনস্ট্যান্টিন কোসাচেভ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেন, এই ৫০ দিনে যুদ্ধক্ষেত্র এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর মধ্যে কতটাই-বা পরিবর্তন আসতে পারে। মূলত রাশিয়ার কোনো পরিবর্তন আসবে না।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইতিমধ্যে ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। শুধু তা-ই নয়, রাশিয়াকে নতুন নিষেধাজ্ঞার হুমকিও দিয়েছেন তিনি। শর্ত অনুযায়ী হামলা বন্ধ না করলে এটি আরোপ করা হবে বলে জানান ট্রাম্প।

এদিকে রাশিয়ার ভোরোনেজ, লিপেটস্ক ও ব্রায়ানস্ক অঞ্চলের গভর্নর জানিয়েছেন, গতকাল এই এলাকাগুলোয় হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। এই হামলায় অন্তত ১৮ জন আহত হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ব্রিটেনের রানি ক্যামিলাও যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছিলেন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ব্রিটেনের রানি ক্যামিলা। ফাইল ছবি
ব্রিটেনের রানি ক্যামিলা। ফাইল ছবি

ব্রিটেনের রানি ক্যামিলা কিশোর বয়সে ট্রেনে এক ব্যক্তির হামলার শিকার হওয়ার অভিজ্ঞতার কথা প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে বলেছেন। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ওই হামলার ঘটনা তাঁকে তীব্র ক্ষোভে ভরিয়ে দিয়েছিল।

আজ বুধবার নারী নির্যাতন বিষয়ে প্রচারিত এক আলোচনায় ক্যামিলা বলেন, ‘আমি যখন কিশোরী ছিলাম, তখন ট্রেনে আমার ওপর হামলা হয়েছিল। সেই সময় আমি ভীষণ রেগে গিয়েছিলাম। এটা এখনো মনে আছে। আমি তখন বই পড়ছিলাম। হঠাৎ এই ছেলেটি বা বলা ভালো লোকটি আমার ওপর হামলা করে। আমি তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করেছিলাম।’

রাজা তৃতীয় চার্লসের স্ত্রী জানান, যিনি তাঁর ওপর হামলা করেছিলেন, তাঁকে তিনি চিনতেন না।

৭৮ বছর বয়সী ক্যামিলা দীর্ঘদিন ধরে যৌন ও পারিবারিক সহিংসতা বন্ধে কাজ করা বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা ও উদ্যোগের পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছেন এবং ভুক্তভোগীদের সহায়তায় সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন।

এই হামলার ঘটনা প্রথম প্রকাশ পায় গত সেপ্টেম্বরে, যখন রাজপরিবার নিয়ে লেখা একটি বই দ্য টাইমস পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে ছাপা হয়। তবে এর আগে বাকিংহাম প্যালেস থেকে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি।

বিবিসিকে ক্যামিলা বলেন, ‘আমি ট্রেন থেকে নামার পর আমার মা আমার দিকে তাকিয়ে বলেছিলেন, “তোমার চুল এমন এলোমেলো কেন? আর তোমার কোটের বোতাম কোথায়?’”

ক্যামিলা বলেন, ‘ঘটনাটি আমাকে ভীষণ ক্ষুব্ধ করেছিল। সেই অনুভূতি বহু বছর ধরে মনের ভেতর কোথাও রয়ে গেছে।’

ওই বইয়ে বলা হয়, ঘটনাটি ঘটে লন্ডনের প্যাডিংটন স্টেশনের দিকে যাওয়া একটি ট্রেনে। তখন ক্যামিলার বয়স ছিল প্রায় ১৬ বা ১৭ বছর। জুতা খুলে হামলাকারীর যৌনাঙ্গে আঘাত করেছিলেন তিনি।

বইটিতে বলা হয়, প্যাডিংটন স্টেশনে পৌঁছানোর পর তিনি এক কর্মকর্তাকে হামলাকারীকে দেখিয়ে দেন এবং পরে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে সাক্ষাৎকারে ক্যামিলা এসব বিস্তারিত তথ্য নিশ্চিত করেননি।

তথ্যসূত্র: রয়টার্স

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নির্বাচনে প্রথম ধাপে ভোট পড়েছে ৫২ শতাংশ, দাবি মিয়ানমারের জান্তা সরকারের

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
গত রোববার মিয়ানমারে প্রথম ধাপের ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। ছবি: রয়টার্সের সৌজন্যে
গত রোববার মিয়ানমারে প্রথম ধাপের ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। ছবি: রয়টার্সের সৌজন্যে

মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৫২ দশমিক ১৩ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার। ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর এই প্রথম দেশটিতে তিন ধাপে বিতর্কিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে আগের দুটি নির্বাচনের তুলনায় এবারের ভোটার উপস্থিতি কম।

জান্তা সরকারের মুখপাত্র জাও মিন তুন রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে জানান, ১০২টি টাউনশিপের প্রায় ৬০ লাখ মানুষ প্রথম ধাপে ভোট দিয়েছেন। তিনি এই উপস্থিতিকে ‘গর্বের বিষয়’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের প্রায় পাঁচ বছর পর তিন ধাপে নির্বাচনের আয়োজন করেছে জান্তা সরকার। গত রোববার (২৮ ডিসেম্বর) প্রথম ধাপের ভোট গ্রহণ শেষ হয়।

আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর তথ্যমতে, ২০১৫ ও ২০২০ সালের নির্বাচনে মিয়ানমারে প্রায় ৭০ শতাংশ ভোট পড়েছিল। এবার তা ৫২ শতাংশে নেমে আসায় নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জাতিসংঘ, পশ্চিমের দেশগুলো এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এই নির্বাচনকে ‘প্রহসন’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।

বিরোধী দলগুলোকে অংশ নিতে না দেওয়া এবং নির্বাচনের সমালোচনা করাকে বেআইনি ঘোষণা করায় আন্তর্জাতিক মহলে এই ভোট কোনো গ্রহণযোগ্যতা পায়নি।

তবে জান্তা মুখপাত্র জাও মিন তুন বলেন, ‘অনেক উন্নত গণতান্ত্রিক দেশেও ভোটার উপস্থিতি ৫০ শতাংশের বেশি হয় না। সেই তুলনায় আমাদের এই হার অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক।’

নির্বাচনের গতিবিধি বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, অবসরপ্রাপ্ত জেনারেলদের নেতৃত্বাধীন ‘ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির’ (ইউএসডিপি) হাতেই এবার ক্ষমতা যাবে। কারণ, জনপ্রিয় বিরোধী দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসিকে (এনএলডি) বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

পরবর্তী রাউন্ডের ভোট গ্রহণ হবে আগামী ১১ জানুয়ারি এবং ২৫ জানুয়ারি। মোট ৩৩০টি শহরের মধ্যে ২৬৫টিতে ভোট হবে। যদিও এর অনেক অঞ্চলেই জান্তা সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেই।

এদিকে ২০২০ সালের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ী এনএলডি নেত্রী অং সান সু চি এখনো বন্দী অবস্থায় আছেন। তখন থেকেই মিয়ানমারের জান্তা সরকারের অধীনে ব্যাপক গৃহযুদ্ধ চলছে। বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা দখল করে নিয়েছে।

এই অস্থিতিশীলতার মধ্যেই নির্বাচন আয়োজন করে আন্তর্জাতিক বৈধতা পাওয়ার চেষ্টা করছে সামরিক সরকার। তবে এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনস জানিয়েছে, জান্তা সরকারের নির্বাচনী আইনে ভোটার উপস্থিতির কোনো ন্যূনতম সীমা নেই। এটি তাদের ভোটার উপস্থিতির যেকোনো হারকেই বৈধতা দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভারতে চলন্ত গাড়িতে ২ ঘণ্টা দলবদ্ধ ধর্ষণের পর ছুড়ে ফেলা হলো রাস্তায়

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮: ০২
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের ফরিদাবাদ শহরে চলন্ত গাড়িতে ২৮ বছর বয়সী এক নারীকে তুলে নিয়ে দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

গত সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিবাহিত ওই নারী রাতে বাড়ি যাওয়ার জন্য যানবাহনের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। সে সময় একটি গাড়ি থামে এবং দুজন যুবক তাঁকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে গাড়িতে তোলেন। কিন্তু গাড়িটি তাঁর গন্তব্যের বদলে গুড়গাঁও সড়কের দিকে যেতে শুরু করে।

অভিযোগ অনুযায়ী, ওই নারী দুই ঘণ্টা গাড়িটির ভেতরে আটকে ছিলেন এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ক্রমাগত তাঁকে ধর্ষণ করেন। বাধা দেওয়া সত্ত্বেও অভিযুক্ত ব্যক্তিরা থামেননি, উল্টো তাঁকে হুমকি দেন। এরপর এস জি এম নগরের রাজা চকের কাছে ওই নারীকে চলন্ত গাড়ি থেকে ফেলে দেওয়া হয়। এতে তাঁর মুখে গুরুতর আঘাত লাগে এবং প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়।

এ সময় ভুক্তভোগী নারী বারবার তাঁর বোনকে ফোন করছিলেন। পরে তাঁর বোন যখন ফিরতি ফোন করেন, তখন তিনি পুরো বিষয়টি জানতে পারেন। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করেন। তাঁর মুখে ১০ থেকে ১২টি সেলাই দিতে হয়েছে।

বর্তমানে ওই নারীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকলেও ট্রমায় ভুগছেন। এ জন্য এখন পর্যন্ত তাঁর জবানবন্দি নেওয়া সম্ভব হয়নি।

ভুক্তভোগীর বোন অভিযোগে জানিয়েছেন, ঘটনার দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাঁর বোন তাঁকে ফোন করে বলেছিলেন, মায়ের সঙ্গে ঝগড়া হওয়ায় তিনি বন্ধুর বাড়ি যাচ্ছেন। তিন ঘণ্টার মধ্যে বাড়ি ফিরে আসবেন বলেও বোনকে জানিয়েছিলেন তিনি।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ওই নারী বিবাহিত এবং তিন সন্তানের জননী। পারিবারিক কলহের কারণে তিনি স্বামী থেকে আলাদা থাকেন।

পুলিশ এরই মধ্যে অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তার ও অপরাধে ব্যবহৃত গাড়িটি জব্দ করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জার্মানিতে হলিউড স্টাইলে ডাকাতি, ব্যাংকের ভল্ট কেটে ৩ কোটি ইউরো লুট

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ড্রিল দিয়ে ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে ৩ কোটি ইউরো মূল্যের অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে গেছে ডাকাতেরা। ছবি: গেলসেনকির্শেন পুলিশ
ড্রিল দিয়ে ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে ৩ কোটি ইউরো মূল্যের অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে গেছে ডাকাতেরা। ছবি: গেলসেনকির্শেন পুলিশ

হলিউডের বিখ্যাত সিনেমা-সিরিজে হরহামেশাই ব্যাংক ডাকাতির কাহিনি দেখা যায়। কিন্তু বাস্তবে তেমন হওয়াটা অসম্ভব মনে হলেও এমন সিনেমাটিক স্টাইলে ব্যাংক ডাকাতি হয়ে গেছে জার্মানির এক ব্যস্ত বাণিজ্যিক এলাকায়। ড্রিল দিয়ে ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে ৩ কোটি ইউরো মূল্যের অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে গেছে ডাকাতেরা।

পশ্চিম জার্মানির গেলসেনকির্শেন শহরের স্পারকাসে সেভিংস ব্যাংকে এ ঘটনা ঘটেছে। বিবিসির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বড় ড্রিল ব্যবহার করে আনুমানিক ৩ কোটি ইউরো (৪৩১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা) নগদ অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী লুট করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এই ঘটনাকে ডাকাতির কাহিনিনির্ভর হলিউডের সিনেমা ‘ওশানস ইলেভেন’-এর সঙ্গে তুলনা করে এএফপি বার্তা সংস্থাকে এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, এটি অত্যন্ত পেশাদারভাবে করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, এই ডাকাতির সময় অর্থ, স্বর্ণ ও গহনা রাখা ৩ হাজারেরও বেশি সেফ ডিপোজিট বক্স ভেঙে ফেলা হয়েছে।

গেলসেনকির্শেন পুলিশ জানায়, গত সোমবার ভোররাতে ফায়ার অ্যালার্ম সক্রিয় হলে তারা ঘটনার বিষয়ে জানতে পারে। তখন ক্রিসমাসের ছুটি চলছিল। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে বুয়ের জেলায় নিয়েনহোফস্ট্রাসে অবস্থিত ওই ভবনে ডাকাতি চালায়।

প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, তারা পাশের একটি পার্কিং গ্যারেজ ব্যবহার করে ব্যাংকে ঢোকে এবং সেখান দিয়েই পালিয়ে যায়।

তবে এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে বিবিসি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত শনিবার রাত থেকে গত রোববার ভোর পর্যন্ত ওই ভবনটির গ্যারেজের সিঁড়িঘরে কয়েকজন পুরুষকে বড় বড় ব্যাগ বহন করতে দেখা গেছে।

পুলিশ জানায়, ভিডিও ফুটেজে সোমবার ভোরে ডে-লা-শেভালারি-স্ট্রাসে অবস্থিত গ্যারেজ থেকে একটি কালো অডি আরএস ৬ গাড়িকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়। সোমবার ভোররাতে একটি ফায়ার-অ্যালার্ম বাজলে ভূগর্ভস্থ ভল্ট রুমে ঢোকার জন্য করা গর্তটি ধরা পড়ে। এরপর পুলিশ ও দমকল বাহিনী ভবনটিতে তল্লাশি চালায়।

চুরির ঘটনায় ব্যাংকের শাখাটি বন্ধ রাখা হয়েছে। গ্রাহকদের প্রায় ৯৫ শতাংশ সেফ ডিপোজিট বক্স খুলে ফেলা হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্যাংকটি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত