আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইতালির বিতর্কিত উদ্যোগকে অনুসরণ করে সমুদ্রপথে উদ্ধার হওয়া আশ্রয়প্রার্থীদের বিদেশের ডিপোর্টেশন সেন্টারে পাঠানোর পরিকল্পনা করছিল ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ। তবে ইউরোপীয় শীর্ষ আদালতের (ইসিজে) এক রায়ে সেই পরিকল্পনায় বড়সড় ধাক্কা লাগল। যে মামলার সূত্র ধরে এই রায় এসেছে, সেটি করেছিলেন দুই বাংলাদেশি। তাঁরা আলবেনিয়ায় অবস্থিত ইতালির আটককেন্দ্রে ছিলেন।
ইসিজের ওই রায়ে বলা হয়েছে—ইতালি তার পরিচালিত আলবেনিয়ার শেঙ্গিন শহর ও গ্যাদারের কেন্দ্রগুলো চালিয়ে যেতে পারলেও—সেখানে কাদের পাঠানো যাবে, তা আরও কঠোরভাবে পর্যালোচনা করতে হবে। বিশেষ করে, নিশ্চিত করতে হবে, কাউকে যেন এমন কোনো দেশে ফেরত না পাঠানো হয়, যেখানে তাঁর জীবন বা স্বাধীনতা হুমকির মুখে পড়তে পারে।
আদালত রায়ে স্পষ্ট করেছেন, কোনো দেশকে ‘নিরাপদ’ হিসেবে ঘোষণা করার আগে সেটিকে কার্যকর বিচারিক পর্যালোচনার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। একই সঙ্গে সেই দেশটি তার সমস্ত জনগোষ্ঠীর জন্য—বিশেষ করে প্রান্তিক ও দুর্বল গোষ্ঠীর জন্য বাসযোগ্য এবং নিরাপদ কি না, তা-ও নিরীক্ষণ করতে হবে।
রোববার সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই রায়টি ২০২৬ সালের জুনে কার্যকর হতে যাওয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন অভিবাসন নীতির ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে। নতুন নিয়মে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো নিজেরাই নিরাপদ দেশের তালিকা তৈরি করে দ্রুত আশ্রয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন এবং বহিষ্কারের ব্যবস্থা নিতে পারবে।
এ ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়ন যেসব নিরাপদ দেশের তালিকা দিয়েছে, সেখানে বাংলাদেশ, ভারত, মিসর, তিউনিসিয়া, কসোভো, কলম্বিয়া ও মরক্কোর নাম রয়েছে। তবে মানবাধিকার সংস্থাগুলো বরাবরই সতর্ক করেছে যে এই দেশগুলো সবার জন্য নিরাপদ নয়।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল গত জুলাইয়ে বলেছে, ‘যে দেশগুলো থেকে ২০ শতাংশ বা তার কম আবেদনকারী আন্তর্জাতিক সুরক্ষা পান, তাঁদের নিরাপদ ঘোষণা করা হলেও—তথ্য বলছে, এখনো শতকরা ২০ ভাগ আবেদনকারী প্রকৃতপক্ষে শরণার্থীর মর্যাদা পাওয়ার যোগ্য। অর্থাৎ দেশগুলো আসলে সবাইকে নিরাপত্তা দিতে পারছে না।’
ইসিজের রায়টি মূলত দুজন বাংলাদেশি আশ্রয়প্রার্থীর মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এসেছে। তাঁরা আলবেনিয়ার আটককেন্দ্রে ছিলেন এবং বাংলাদেশের নিরাপত্তাহীন পরিস্থিতির কারণে দেশে ফিরতে অস্বীকৃতি জানান।
আশ্রয়প্রার্থীদের আলবেনিয়ার অবস্থিত আটককেন্দ্রে পাঠাতে ইতালির চুক্তিকে ইউরোপের অন্য কয়েকটি দেশ সফল মডেল হিসেবে বিবেচনা করছিল। মূলত আলবেনিয়ায় ওই কেন্দ্রগুলো ইতালির সরকারই নিজ খরচে তৈরি করেছিল। এসব বহিষ্কার কেন্দ্র এবং ‘রিটার্ন হাব’ নির্মাণে ইতিমধ্যে দেশটির ৭৪ দশমিক ২ মিলিয়ন ইউরো ব্যয় হয়েছে। ইউনিভার্সিটি অব বারি এক গবেষণায় এটিকে ইতালির ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল, অমানবিক ও ব্যর্থ অভিবাসন পরিকল্পনা হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
তারপরও ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেইন এবং তৎকালীন ইউরোপীয় কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল ২০২৩ সালে ইতালির ওই চুক্তিকে সাধুবাদ জানিয়েছিলেন। এমনকি ২০২৪ সালের মে মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়ন নতুন কিছু সংস্কার গ্রহণ করে, যার লক্ষ্য ছিল শরণার্থীদের বোঝা ভাগাভাগি করা এবং ‘নিরাপদ’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা দেশ থেকে আগতদের ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া।
ইসিজের রায় এই কেন্দ্রগুলো গড়ে তোলার পরিকল্পনায় কতটা প্রভাব ফেলবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে ইতালির কট্টর-ডানপন্থী প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি আদালতের এই রায়কে ‘অদূরদর্শী’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।
তিনি বলেছেন, ‘এই রায় অবৈধ অভিবাসন রোধ ও জাতীয় সীমানা রক্ষার নীতিকে দুর্বল করে। এটি এমন এক পরিবর্তন, যা সবার জন্য উদ্বেগের—বিশেষ করে তাদের জন্য, যারা আজ এই রায়ে আনন্দিত হচ্ছে।’
সিএনএনের তথ্য অনুযায়ী, ইতালির আলবেনিয়াভিত্তিক কেন্দ্রগুলোতে বর্তমানে মিসর ও বাংলাদেশের অন্তত এক ডজন মানুষের ভাগ্য এখন ঝুলে রয়েছে।

ইতালির বিতর্কিত উদ্যোগকে অনুসরণ করে সমুদ্রপথে উদ্ধার হওয়া আশ্রয়প্রার্থীদের বিদেশের ডিপোর্টেশন সেন্টারে পাঠানোর পরিকল্পনা করছিল ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ। তবে ইউরোপীয় শীর্ষ আদালতের (ইসিজে) এক রায়ে সেই পরিকল্পনায় বড়সড় ধাক্কা লাগল। যে মামলার সূত্র ধরে এই রায় এসেছে, সেটি করেছিলেন দুই বাংলাদেশি। তাঁরা আলবেনিয়ায় অবস্থিত ইতালির আটককেন্দ্রে ছিলেন।
ইসিজের ওই রায়ে বলা হয়েছে—ইতালি তার পরিচালিত আলবেনিয়ার শেঙ্গিন শহর ও গ্যাদারের কেন্দ্রগুলো চালিয়ে যেতে পারলেও—সেখানে কাদের পাঠানো যাবে, তা আরও কঠোরভাবে পর্যালোচনা করতে হবে। বিশেষ করে, নিশ্চিত করতে হবে, কাউকে যেন এমন কোনো দেশে ফেরত না পাঠানো হয়, যেখানে তাঁর জীবন বা স্বাধীনতা হুমকির মুখে পড়তে পারে।
আদালত রায়ে স্পষ্ট করেছেন, কোনো দেশকে ‘নিরাপদ’ হিসেবে ঘোষণা করার আগে সেটিকে কার্যকর বিচারিক পর্যালোচনার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। একই সঙ্গে সেই দেশটি তার সমস্ত জনগোষ্ঠীর জন্য—বিশেষ করে প্রান্তিক ও দুর্বল গোষ্ঠীর জন্য বাসযোগ্য এবং নিরাপদ কি না, তা-ও নিরীক্ষণ করতে হবে।
রোববার সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই রায়টি ২০২৬ সালের জুনে কার্যকর হতে যাওয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন অভিবাসন নীতির ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে। নতুন নিয়মে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো নিজেরাই নিরাপদ দেশের তালিকা তৈরি করে দ্রুত আশ্রয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন এবং বহিষ্কারের ব্যবস্থা নিতে পারবে।
এ ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়ন যেসব নিরাপদ দেশের তালিকা দিয়েছে, সেখানে বাংলাদেশ, ভারত, মিসর, তিউনিসিয়া, কসোভো, কলম্বিয়া ও মরক্কোর নাম রয়েছে। তবে মানবাধিকার সংস্থাগুলো বরাবরই সতর্ক করেছে যে এই দেশগুলো সবার জন্য নিরাপদ নয়।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল গত জুলাইয়ে বলেছে, ‘যে দেশগুলো থেকে ২০ শতাংশ বা তার কম আবেদনকারী আন্তর্জাতিক সুরক্ষা পান, তাঁদের নিরাপদ ঘোষণা করা হলেও—তথ্য বলছে, এখনো শতকরা ২০ ভাগ আবেদনকারী প্রকৃতপক্ষে শরণার্থীর মর্যাদা পাওয়ার যোগ্য। অর্থাৎ দেশগুলো আসলে সবাইকে নিরাপত্তা দিতে পারছে না।’
ইসিজের রায়টি মূলত দুজন বাংলাদেশি আশ্রয়প্রার্থীর মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এসেছে। তাঁরা আলবেনিয়ার আটককেন্দ্রে ছিলেন এবং বাংলাদেশের নিরাপত্তাহীন পরিস্থিতির কারণে দেশে ফিরতে অস্বীকৃতি জানান।
আশ্রয়প্রার্থীদের আলবেনিয়ার অবস্থিত আটককেন্দ্রে পাঠাতে ইতালির চুক্তিকে ইউরোপের অন্য কয়েকটি দেশ সফল মডেল হিসেবে বিবেচনা করছিল। মূলত আলবেনিয়ায় ওই কেন্দ্রগুলো ইতালির সরকারই নিজ খরচে তৈরি করেছিল। এসব বহিষ্কার কেন্দ্র এবং ‘রিটার্ন হাব’ নির্মাণে ইতিমধ্যে দেশটির ৭৪ দশমিক ২ মিলিয়ন ইউরো ব্যয় হয়েছে। ইউনিভার্সিটি অব বারি এক গবেষণায় এটিকে ইতালির ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল, অমানবিক ও ব্যর্থ অভিবাসন পরিকল্পনা হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
তারপরও ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেইন এবং তৎকালীন ইউরোপীয় কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল ২০২৩ সালে ইতালির ওই চুক্তিকে সাধুবাদ জানিয়েছিলেন। এমনকি ২০২৪ সালের মে মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়ন নতুন কিছু সংস্কার গ্রহণ করে, যার লক্ষ্য ছিল শরণার্থীদের বোঝা ভাগাভাগি করা এবং ‘নিরাপদ’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা দেশ থেকে আগতদের ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া।
ইসিজের রায় এই কেন্দ্রগুলো গড়ে তোলার পরিকল্পনায় কতটা প্রভাব ফেলবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে ইতালির কট্টর-ডানপন্থী প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি আদালতের এই রায়কে ‘অদূরদর্শী’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।
তিনি বলেছেন, ‘এই রায় অবৈধ অভিবাসন রোধ ও জাতীয় সীমানা রক্ষার নীতিকে দুর্বল করে। এটি এমন এক পরিবর্তন, যা সবার জন্য উদ্বেগের—বিশেষ করে তাদের জন্য, যারা আজ এই রায়ে আনন্দিত হচ্ছে।’
সিএনএনের তথ্য অনুযায়ী, ইতালির আলবেনিয়াভিত্তিক কেন্দ্রগুলোতে বর্তমানে মিসর ও বাংলাদেশের অন্তত এক ডজন মানুষের ভাগ্য এখন ঝুলে রয়েছে।

এক দশকের বেশি আগে যুক্তরাষ্ট্রে আসা ইরানি অভিবাসী সানাম মার্কিন নাগরিক হওয়ার শেষ ধাপে ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ তাঁর নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রক্রিয়া বাতিল হয়ে যায়। ৩ ডিসেম্বর তাঁর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের ঠিক এক দিন আগে ট্রাম্প প্রশাসন কোনো কারণ ছাড়া অনুষ্ঠানটি বাতিল করে দেয়।
১ মিনিট আগে
তাইওয়ানে কোনো যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করতে গেলে মার্কিন সামরিক বাহিনী চীনের কাছে পরাজিত হতে পারে। এমনটাই ইঙ্গিত মিলল পেন্টাগনের এক অতি গোপনীয় মূল্যায়ন থেকে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস এক বিশেষ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রে ড্রোনই এখন চোখ, কান এবং অনেক ক্ষেত্রে হাতিয়ার। সীমান্ত নজরদারি থেকে শুরু করে নির্ভুল হামলা—সব ক্ষেত্রেই পাইলটবিহীন উড়ুক্কু যানের ভূমিকা ক্রমশ বাড়ছে। সেই বাস্তবতায় জরুরি ক্রয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ইসরায়েল থেকে আরও কয়েকটি উন্নত সংস্করণের ‘হেরন মার্ক টু’ ড্রোন কিনছে ভারতের...
২ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী ও শান্তিতে নোবেলজয়ী অং সান সু চি শরীর ভালো যাচ্ছে না। জান্তা সরকারের কারাগারে আটক এই নেত্রীর কোনো সংবাদই পাওয়া যাচ্ছে না। এই অবস্থায় তাঁর ছেলে কিম আরিসের ভয়, তাঁর মা হয়তো মারা গেছেন, কিংবা কোনো এক সময় মারা গেলে সেই খবরটিও তিনি জানতে পারবেন না।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

এক দশকের বেশি আগে যুক্তরাষ্ট্রে আসা ইরানি অভিবাসী সানাম মার্কিন নাগরিক হওয়ার শেষ ধাপে ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ তাঁর নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রক্রিয়া বাতিল হয়ে যায়। ৩ ডিসেম্বর তাঁর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের ঠিক এক দিন আগে ট্রাম্প প্রশাসন কোনো কারণ ছাড়া অনুষ্ঠানটি বাতিল করে দেয়।
সানাম প্রথমে হতবাক হলেও পরে জানতে পারেন, তাঁর জন্মস্থানই এর কারণ। তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘এত বছর ধরে কাগজপত্র, স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও নিরাপত্তা যাচাইয়ের মধ্য দিয়ে যাওয়ার পর এখন মনে হচ্ছে, আমি আর এগোতে পারব না। এটি খুবই হৃদয়বিদারক।’
সানামের মতো আরও অনেক বৈধ অভিবাসী মার্কিন নাগরিক হওয়ার প্রতিটি ধাপ পার করে কেবল চূড়ান্ত আনুষ্ঠানিকতার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু তাঁরা সবাই এখন ট্রাম্প প্রশাসনের একটি বিতর্কিত সিদ্ধান্তের কারণে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছেন।
চলতি মাসের ২ ডিসেম্বর ট্রাম্প প্রশাসন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ১৯টি দেশের (যার মধ্যে ইরান অন্যতম) অভিবাসীর নাগরিকত্বের শপথ অনুষ্ঠান বাতিল করে। শুধু চূড়ান্ত ধাপে থাকা ব্যক্তিরাই নন, প্রক্রিয়াটির যেকোনো পর্যায়ে থাকা অভিবাসীদের জন্যও ইমিগ্রেশন কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।
ইউএস সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস (ইউএসসিআইএস) জানিয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তা, আমেরিকানদের জীবন বাঁচাতে ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
এর পেছনের কারণ গত ২৬ নভেম্বর ওয়াশিংটন ডিসিতে ন্যাশনাল গার্ড সদস্যদের ওপর হামলা। ওই দিন আফগান বংশোদ্ভূত এক ব্যক্তির হামলায় ন্যাশনাল গার্ডের একজন সদস্য নিহত ও আরেকজন গুরুতর আহত হন। এরপরই ট্রাম্প প্রশাসন ইমিগ্রেশনের বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিতে শুরু করে। সে সময় নতুন করে ন্যাশনাল গার্ডের আরও ৫০০ সদস্যকে ওয়াশিংটন ডিসিতে পাঠানো হয়। এর পাশাপাশি ওয়ার্কিং ভিসার মেয়াদ পাঁচ বছর থেকে কমিয়ে ১৮ মাস করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিভিন্ন অভিবাসী অধিকার গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্বকারী অলাভজনক সংস্থা নিউইয়র্ক ইমিগ্রেশন কোয়ালিশনের (এনওয়াইআইসি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে শুধু নিউইয়র্কেই ভেনেজুয়েলায় জন্মগ্রহণকারী আনুমানিক ১ লাখ ৩২ হাজার মানুষ বসবাস করতেন।
ট্রাম্প প্রশাসনের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ১৯টি দেশের মধ্যে ভেনেজুয়েলাও রয়েছে। তাহলে এখন প্রশ্ন হতে পারে—ট্রাম্প প্রশাসন কি ভেনেজুয়েলায় জন্মগ্রহণকারী প্রায় দেড় লাখ অভিবাসীকে দেশ থেকে বের করে দেবে? তাঁরা মার্কিন নাগরিক হওয়ার সুযোগ পাবেন?
নিউইয়র্ক ইমিগ্রেশন কোয়ালিশনের নীতিবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট মারিও ব্রুজোন বিবিসিকে বলেন, সহজ কথায়, একটি অনির্দিষ্টকালের স্থগিতাদেশ মানেই নিষেধাজ্ঞা। তারা ওয়াশিংটন ডিসির হামলার ঘটনাকে অভিবাসী ও শরণার্থীদের ওপর আক্রমণ বাড়ানোর একটি অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করছে।
ভেনেজুয়েলার অভিবাসী জর্জেরও ৩ ডিসেম্বর শপথ অনুষ্ঠানের কথা ছিল। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা আগে তিনি জানতে পারেন, এটি বাতিল করা হয়েছে। জর্জ বলেন, ‘আমার সবকিছু প্রস্তুত ছিল...কিন্তু পরের দিন শপথ অনুষ্ঠান বাতিল হওয়ায় এখন কী হবে কিছুই বুঝতে পারছি না।’
জর্জ অবশ্য ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে একমত যে অভিবাসীদের বিষয়ে ‘কঠোর যাচাই-বাছাই’ হওয়া উচিত। তিনি বাইডেন প্রশাসনকে দেশে অতিরিক্ত অভিবাসী প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার জন্য দোষারোপ করেন। জর্জ বলেন, তিনি যদি ভোট দিতে পারতেন, তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকেই সমর্থন করতেন।
সানামের স্বামী নিরাপত্তার ভয়ে নাম প্রকাশ না করে বিবিসিকে বলেন, ‘দেখুন, আমাদের কেমন ভাগ্য! যদি ন্যাশনাল গার্ডের ওপর গত সপ্তাহে হামলা না হয়ে এই সপ্তাহে হতো, তবে আমার স্ত্রী এখন একজন মার্কিন নাগরিক হতেন।’
প্রসঙ্গত, ২ ডিসেম্বর ট্রাম্প প্রশাসন ১৯টি দেশের অভিবাসীদের নাগরিকত্বের আবেদন স্থগিত করে। ১৯টি দেশ হলো ভেনেজুয়েলা, আফগানিস্তান, মিয়ানমার, চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেন।

এক দশকের বেশি আগে যুক্তরাষ্ট্রে আসা ইরানি অভিবাসী সানাম মার্কিন নাগরিক হওয়ার শেষ ধাপে ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ তাঁর নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রক্রিয়া বাতিল হয়ে যায়। ৩ ডিসেম্বর তাঁর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের ঠিক এক দিন আগে ট্রাম্প প্রশাসন কোনো কারণ ছাড়া অনুষ্ঠানটি বাতিল করে দেয়।
সানাম প্রথমে হতবাক হলেও পরে জানতে পারেন, তাঁর জন্মস্থানই এর কারণ। তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘এত বছর ধরে কাগজপত্র, স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও নিরাপত্তা যাচাইয়ের মধ্য দিয়ে যাওয়ার পর এখন মনে হচ্ছে, আমি আর এগোতে পারব না। এটি খুবই হৃদয়বিদারক।’
সানামের মতো আরও অনেক বৈধ অভিবাসী মার্কিন নাগরিক হওয়ার প্রতিটি ধাপ পার করে কেবল চূড়ান্ত আনুষ্ঠানিকতার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু তাঁরা সবাই এখন ট্রাম্প প্রশাসনের একটি বিতর্কিত সিদ্ধান্তের কারণে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছেন।
চলতি মাসের ২ ডিসেম্বর ট্রাম্প প্রশাসন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ১৯টি দেশের (যার মধ্যে ইরান অন্যতম) অভিবাসীর নাগরিকত্বের শপথ অনুষ্ঠান বাতিল করে। শুধু চূড়ান্ত ধাপে থাকা ব্যক্তিরাই নন, প্রক্রিয়াটির যেকোনো পর্যায়ে থাকা অভিবাসীদের জন্যও ইমিগ্রেশন কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।
ইউএস সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস (ইউএসসিআইএস) জানিয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তা, আমেরিকানদের জীবন বাঁচাতে ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
এর পেছনের কারণ গত ২৬ নভেম্বর ওয়াশিংটন ডিসিতে ন্যাশনাল গার্ড সদস্যদের ওপর হামলা। ওই দিন আফগান বংশোদ্ভূত এক ব্যক্তির হামলায় ন্যাশনাল গার্ডের একজন সদস্য নিহত ও আরেকজন গুরুতর আহত হন। এরপরই ট্রাম্প প্রশাসন ইমিগ্রেশনের বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিতে শুরু করে। সে সময় নতুন করে ন্যাশনাল গার্ডের আরও ৫০০ সদস্যকে ওয়াশিংটন ডিসিতে পাঠানো হয়। এর পাশাপাশি ওয়ার্কিং ভিসার মেয়াদ পাঁচ বছর থেকে কমিয়ে ১৮ মাস করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিভিন্ন অভিবাসী অধিকার গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্বকারী অলাভজনক সংস্থা নিউইয়র্ক ইমিগ্রেশন কোয়ালিশনের (এনওয়াইআইসি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে শুধু নিউইয়র্কেই ভেনেজুয়েলায় জন্মগ্রহণকারী আনুমানিক ১ লাখ ৩২ হাজার মানুষ বসবাস করতেন।
ট্রাম্প প্রশাসনের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ১৯টি দেশের মধ্যে ভেনেজুয়েলাও রয়েছে। তাহলে এখন প্রশ্ন হতে পারে—ট্রাম্প প্রশাসন কি ভেনেজুয়েলায় জন্মগ্রহণকারী প্রায় দেড় লাখ অভিবাসীকে দেশ থেকে বের করে দেবে? তাঁরা মার্কিন নাগরিক হওয়ার সুযোগ পাবেন?
নিউইয়র্ক ইমিগ্রেশন কোয়ালিশনের নীতিবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট মারিও ব্রুজোন বিবিসিকে বলেন, সহজ কথায়, একটি অনির্দিষ্টকালের স্থগিতাদেশ মানেই নিষেধাজ্ঞা। তারা ওয়াশিংটন ডিসির হামলার ঘটনাকে অভিবাসী ও শরণার্থীদের ওপর আক্রমণ বাড়ানোর একটি অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করছে।
ভেনেজুয়েলার অভিবাসী জর্জেরও ৩ ডিসেম্বর শপথ অনুষ্ঠানের কথা ছিল। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা আগে তিনি জানতে পারেন, এটি বাতিল করা হয়েছে। জর্জ বলেন, ‘আমার সবকিছু প্রস্তুত ছিল...কিন্তু পরের দিন শপথ অনুষ্ঠান বাতিল হওয়ায় এখন কী হবে কিছুই বুঝতে পারছি না।’
জর্জ অবশ্য ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে একমত যে অভিবাসীদের বিষয়ে ‘কঠোর যাচাই-বাছাই’ হওয়া উচিত। তিনি বাইডেন প্রশাসনকে দেশে অতিরিক্ত অভিবাসী প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার জন্য দোষারোপ করেন। জর্জ বলেন, তিনি যদি ভোট দিতে পারতেন, তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকেই সমর্থন করতেন।
সানামের স্বামী নিরাপত্তার ভয়ে নাম প্রকাশ না করে বিবিসিকে বলেন, ‘দেখুন, আমাদের কেমন ভাগ্য! যদি ন্যাশনাল গার্ডের ওপর গত সপ্তাহে হামলা না হয়ে এই সপ্তাহে হতো, তবে আমার স্ত্রী এখন একজন মার্কিন নাগরিক হতেন।’
প্রসঙ্গত, ২ ডিসেম্বর ট্রাম্প প্রশাসন ১৯টি দেশের অভিবাসীদের নাগরিকত্বের আবেদন স্থগিত করে। ১৯টি দেশ হলো ভেনেজুয়েলা, আফগানিস্তান, মিয়ানমার, চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেন।

ইতালির বিতর্কিত উদ্যোগকে অনুসরণ করে সমুদ্রপথে উদ্ধার হওয়া আশ্রয়প্রার্থীদের বিদেশের ডিপোর্টেশন সেন্টারে পাঠানোর পরিকল্পনা করছিল ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ। তবে ইউরোপীয় শীর্ষ আদালতের (ইসিজে) এক রায়ে সেই পরিকল্পনায় বড়সড় ধাক্কা লাগল। যে মামলার সূত্র ধরে এই রায় এসেছে সেটি করেছিলেন দুই বাংলাদেশি।
০৩ আগস্ট ২০২৫
তাইওয়ানে কোনো যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করতে গেলে মার্কিন সামরিক বাহিনী চীনের কাছে পরাজিত হতে পারে। এমনটাই ইঙ্গিত মিলল পেন্টাগনের এক অতি গোপনীয় মূল্যায়ন থেকে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস এক বিশেষ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রে ড্রোনই এখন চোখ, কান এবং অনেক ক্ষেত্রে হাতিয়ার। সীমান্ত নজরদারি থেকে শুরু করে নির্ভুল হামলা—সব ক্ষেত্রেই পাইলটবিহীন উড়ুক্কু যানের ভূমিকা ক্রমশ বাড়ছে। সেই বাস্তবতায় জরুরি ক্রয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ইসরায়েল থেকে আরও কয়েকটি উন্নত সংস্করণের ‘হেরন মার্ক টু’ ড্রোন কিনছে ভারতের...
২ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী ও শান্তিতে নোবেলজয়ী অং সান সু চি শরীর ভালো যাচ্ছে না। জান্তা সরকারের কারাগারে আটক এই নেত্রীর কোনো সংবাদই পাওয়া যাচ্ছে না। এই অবস্থায় তাঁর ছেলে কিম আরিসের ভয়, তাঁর মা হয়তো মারা গেছেন, কিংবা কোনো এক সময় মারা গেলে সেই খবরটিও তিনি জানতে পারবেন না।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তাইওয়ানে কোনো যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করতে গেলে মার্কিন সামরিক বাহিনী চীনের কাছে পরাজিত হতে পারে। এমনটাই ইঙ্গিত মিলল পেন্টাগনের এক অতি গোপনীয় মূল্যায়ন থেকে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস এক বিশেষ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
সম্প্রতি তাইওয়ানে চীনা আগ্রাসন পরিস্থিতি তৈরি করে মহড়া চালায় যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে দেখা গেছে, বেইজিং চাইলে মোতায়েনের আগেই মার্কিন ফাইটার স্কোয়াড্রন, বড় যুদ্ধজাহাজ এবং এমনকি উপগ্রহ নেটওয়ার্কগুলোকেও অচল করে দিতে পারে। অত্যন্ত শ্রেণিবদ্ধ এই নথির নাম হলো ‘ওভারম্যাচ ব্রিফ।’
পেন্টাগনের অফিস অব নেট অ্যাসেসমেন্টের তৈরি করা এই দলিলে দেখা যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র তার উন্নত এবং মহামূল্যবান অস্ত্রের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল হওয়ায় চীনের দ্রুত তৈরি করা কম দামি অস্ত্রের সামনে সে বড়ই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে আছে।
ওই প্রতিবেদনে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়, সংঘাত শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই চীন আমেরিকান সম্পদগুলো অকেজো করে দেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করেছে। এর কয়েক দিন আগেই চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গুও জিয়াকুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে তাইওয়ান প্রশ্নটি ‘পরম বিচক্ষণতার সঙ্গে সামলাতে’ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
২০২১ সালে যখন বাইডেন প্রশাসনের এক জ্যেষ্ঠ জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তা এই ‘ওভারম্যাচ ব্রিফ’ রিপোর্টের সারসংক্ষেপ পান, তখন তিনি ‘ফ্যাকাশে’ হয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে উপস্থিত এক মার্কিন কর্মকর্তা নিউইয়র্ক টাইমসকে জানিয়েছেন, সেই কর্মকর্তা বুঝেছিলেন যে, ‘আমাদের তূণে যত কৌশল ছিল, চীনারা তার প্রতিটির জন্য একাধিক বিকল্প তৈরি করে রেখেছে।’
চীন তাইওয়ানকে অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে মনে করে এবং জোর দিয়ে বলে যে,২ কোটি ৩০ লাখ জনসংখ্যার এই দ্বীপটিকে শেষ পর্যন্ত মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হতেই হবে—প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করেও। অন্যদিকে, তাইওয়ান নিজেদের একটি সার্বভৌম, স্বাধীন দেশ হিসেবে মনে করে। তাদের বক্তব্য, তাইওয়ানের অবস্থার যেকোনো পরিবর্তন গণতান্ত্রিক উপায়ে সেখানকার জনগণের দ্বারাই নির্ধারিত হওয়া চাই, চীনের দ্বারা চাপানো কোনোভাবেই নয়।
যদিও চীন তাইওয়ান আক্রমণ করার কোনো সময়সীমা দেয়নি, তবুও পশ্চিমা শক্তিগুলোর মূল্যায়ন ও গোয়েন্দা তথ্য দাবি করে যে, চীন সম্ভবত ২০২৭ সালের কাছাকাছি সময়ে তাইওয়ান দখলের জন্য প্রচেষ্টা শুরু করতে পারে—যা সি চিন পিংয়ের সামরিক আধুনিকীকরণের লক্ষ্যের সঙ্গে মিলে যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২০ বছরে চীন যে বিপুলসংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র মজুত করেছে, তা দিয়ে তারা তাইওয়ানে পৌঁছানোর আগেই আমেরিকার অনেক উন্নত অস্ত্র, যেমন বিমানবাহী রণতরীগুলো ধ্বংস করে দিতে পারে। যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতি নিয়ে তৈরি মহড়াগুলোতে দেখা গেছে, এমনকি মার্কিন নৌবাহিনীর সব থেকে নতুন রণতরীটিও প্রায়শই চীনা আক্রমণ সামলাতে সক্ষম হবে না—এমনটাই জানাচ্ছে সেই মূল্যায়ন।
এতে উদাহরণ হিসেবে আমেরিকার সব থেকে নতুন ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড রণতরীটির উল্লেখ করা হয়েছে, যা তৈরি করতে খরচ হয়েছে প্রায় ১৩ বিলিয়ন ডলার এবং যা ২০২২ সালে মোতায়েন করা হয়েছে। নতুন প্রযুক্তি—যার মধ্যে আরও উন্নত পারমাণবিক চুল্লিও রয়েছে—তা থাকা সত্ত্বেও এই রণতরীটি চীনা হামলা থেকে রক্ষা পেতে পারবে না।
প্রতিবেদন অনুসারে, ভেনেজুয়েলার মতো দুর্বল শক্তির বিরুদ্ধে কার্যকরী হলেও ফোর্ড রণতরীটি ‘আক্রমণের নতুন রূপে মারাত্মকভাবে অরক্ষিত।’ এ ছাড়া, এই প্রতিবেদনে বাস্তব-জগতের উদাহরণও টানা হয়েছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধ পশ্চিমা অস্ত্রশস্ত্রের পরীক্ষা নিচ্ছে এবং আমেরিকার প্রতিপক্ষরা তাদের দুর্বলতা ও শক্তি উভয় সম্পর্কেই জানতে পারছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ইউক্রেনের যুদ্ধ দেখিয়ে দিয়েছে যে ট্যাংকগুলো কতটা অরক্ষিত হয়ে পড়েছে।’ এই মূল্যায়নে আরও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, একটি প্রধান শক্তির সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের জন্য প্রয়োজনীয় গতি এবং পরিমাণে অস্ত্র ও গোলাবারুদ তৈরি করার শিল্প ক্ষমতা আমেরিকার আর নেই।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ওয়াশিংটন বেইজিং এবং মস্কোর তুলনায় দ্রুত উন্নত অস্ত্র তৈরিতে পিছিয়ে পড়ছে, কারণ তারা ‘মহামূল্যবান ও অরক্ষিত অস্ত্রের ওপর অতি-নির্ভরশীল।’ এর আগে, সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ চীনের বিরুদ্ধে পেন্টাগনের যুদ্ধ মহড়ার প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘আমরা প্রতিবারই হারি’, এবং তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন—চীনের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিমানবাহী রণতরীগুলো সহজেই ধ্বংস করতে পারে।
প্রতিবেদন অনুসারে, ইসরায়েল ও ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন জানানোর ফলে ক্ষেপণাস্ত্রের মজুত ইতিমধ্যেই কমে যাওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঝুঁকিতে আছে। সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান পূর্বে সতর্ক করেছিলেন যে, চীনের সঙ্গে যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ গোলাবারুদের মজুত দ্রুত শেষ হয়ে যাবে।
পেন্টাগনের অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, এখন ক্রুজ এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের প্রায় প্রতিটি বিভাগেই চীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের থেকে অনেক এগিয়ে, যদিও উভয় দেশেই প্রায় ৪০০টি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে।
জুনে ইরানের ১২ দিনের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলকে রক্ষা করতে গিয়ে ওয়াশিংটন তার উচ্চ-উচ্চতার ক্ষেপণাস্ত্র ডিটারেন্ট–গুলোর প্রায় এক-চতুর্থাংশ খরচ করে ফেলেছে বলেও খবর আছে। এই বিষয়ে মন্তব্যের জন্য দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট পেন্টাগন এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তবে এই প্রতিবেদন প্রকাশ পর্যন্ত কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।
তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট

তাইওয়ানে কোনো যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করতে গেলে মার্কিন সামরিক বাহিনী চীনের কাছে পরাজিত হতে পারে। এমনটাই ইঙ্গিত মিলল পেন্টাগনের এক অতি গোপনীয় মূল্যায়ন থেকে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস এক বিশেষ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
সম্প্রতি তাইওয়ানে চীনা আগ্রাসন পরিস্থিতি তৈরি করে মহড়া চালায় যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে দেখা গেছে, বেইজিং চাইলে মোতায়েনের আগেই মার্কিন ফাইটার স্কোয়াড্রন, বড় যুদ্ধজাহাজ এবং এমনকি উপগ্রহ নেটওয়ার্কগুলোকেও অচল করে দিতে পারে। অত্যন্ত শ্রেণিবদ্ধ এই নথির নাম হলো ‘ওভারম্যাচ ব্রিফ।’
পেন্টাগনের অফিস অব নেট অ্যাসেসমেন্টের তৈরি করা এই দলিলে দেখা যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র তার উন্নত এবং মহামূল্যবান অস্ত্রের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল হওয়ায় চীনের দ্রুত তৈরি করা কম দামি অস্ত্রের সামনে সে বড়ই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে আছে।
ওই প্রতিবেদনে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়, সংঘাত শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই চীন আমেরিকান সম্পদগুলো অকেজো করে দেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করেছে। এর কয়েক দিন আগেই চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গুও জিয়াকুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে তাইওয়ান প্রশ্নটি ‘পরম বিচক্ষণতার সঙ্গে সামলাতে’ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
২০২১ সালে যখন বাইডেন প্রশাসনের এক জ্যেষ্ঠ জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তা এই ‘ওভারম্যাচ ব্রিফ’ রিপোর্টের সারসংক্ষেপ পান, তখন তিনি ‘ফ্যাকাশে’ হয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে উপস্থিত এক মার্কিন কর্মকর্তা নিউইয়র্ক টাইমসকে জানিয়েছেন, সেই কর্মকর্তা বুঝেছিলেন যে, ‘আমাদের তূণে যত কৌশল ছিল, চীনারা তার প্রতিটির জন্য একাধিক বিকল্প তৈরি করে রেখেছে।’
চীন তাইওয়ানকে অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে মনে করে এবং জোর দিয়ে বলে যে,২ কোটি ৩০ লাখ জনসংখ্যার এই দ্বীপটিকে শেষ পর্যন্ত মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হতেই হবে—প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করেও। অন্যদিকে, তাইওয়ান নিজেদের একটি সার্বভৌম, স্বাধীন দেশ হিসেবে মনে করে। তাদের বক্তব্য, তাইওয়ানের অবস্থার যেকোনো পরিবর্তন গণতান্ত্রিক উপায়ে সেখানকার জনগণের দ্বারাই নির্ধারিত হওয়া চাই, চীনের দ্বারা চাপানো কোনোভাবেই নয়।
যদিও চীন তাইওয়ান আক্রমণ করার কোনো সময়সীমা দেয়নি, তবুও পশ্চিমা শক্তিগুলোর মূল্যায়ন ও গোয়েন্দা তথ্য দাবি করে যে, চীন সম্ভবত ২০২৭ সালের কাছাকাছি সময়ে তাইওয়ান দখলের জন্য প্রচেষ্টা শুরু করতে পারে—যা সি চিন পিংয়ের সামরিক আধুনিকীকরণের লক্ষ্যের সঙ্গে মিলে যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২০ বছরে চীন যে বিপুলসংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র মজুত করেছে, তা দিয়ে তারা তাইওয়ানে পৌঁছানোর আগেই আমেরিকার অনেক উন্নত অস্ত্র, যেমন বিমানবাহী রণতরীগুলো ধ্বংস করে দিতে পারে। যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতি নিয়ে তৈরি মহড়াগুলোতে দেখা গেছে, এমনকি মার্কিন নৌবাহিনীর সব থেকে নতুন রণতরীটিও প্রায়শই চীনা আক্রমণ সামলাতে সক্ষম হবে না—এমনটাই জানাচ্ছে সেই মূল্যায়ন।
এতে উদাহরণ হিসেবে আমেরিকার সব থেকে নতুন ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড রণতরীটির উল্লেখ করা হয়েছে, যা তৈরি করতে খরচ হয়েছে প্রায় ১৩ বিলিয়ন ডলার এবং যা ২০২২ সালে মোতায়েন করা হয়েছে। নতুন প্রযুক্তি—যার মধ্যে আরও উন্নত পারমাণবিক চুল্লিও রয়েছে—তা থাকা সত্ত্বেও এই রণতরীটি চীনা হামলা থেকে রক্ষা পেতে পারবে না।
প্রতিবেদন অনুসারে, ভেনেজুয়েলার মতো দুর্বল শক্তির বিরুদ্ধে কার্যকরী হলেও ফোর্ড রণতরীটি ‘আক্রমণের নতুন রূপে মারাত্মকভাবে অরক্ষিত।’ এ ছাড়া, এই প্রতিবেদনে বাস্তব-জগতের উদাহরণও টানা হয়েছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধ পশ্চিমা অস্ত্রশস্ত্রের পরীক্ষা নিচ্ছে এবং আমেরিকার প্রতিপক্ষরা তাদের দুর্বলতা ও শক্তি উভয় সম্পর্কেই জানতে পারছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ইউক্রেনের যুদ্ধ দেখিয়ে দিয়েছে যে ট্যাংকগুলো কতটা অরক্ষিত হয়ে পড়েছে।’ এই মূল্যায়নে আরও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, একটি প্রধান শক্তির সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের জন্য প্রয়োজনীয় গতি এবং পরিমাণে অস্ত্র ও গোলাবারুদ তৈরি করার শিল্প ক্ষমতা আমেরিকার আর নেই।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ওয়াশিংটন বেইজিং এবং মস্কোর তুলনায় দ্রুত উন্নত অস্ত্র তৈরিতে পিছিয়ে পড়ছে, কারণ তারা ‘মহামূল্যবান ও অরক্ষিত অস্ত্রের ওপর অতি-নির্ভরশীল।’ এর আগে, সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ চীনের বিরুদ্ধে পেন্টাগনের যুদ্ধ মহড়ার প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘আমরা প্রতিবারই হারি’, এবং তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন—চীনের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিমানবাহী রণতরীগুলো সহজেই ধ্বংস করতে পারে।
প্রতিবেদন অনুসারে, ইসরায়েল ও ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন জানানোর ফলে ক্ষেপণাস্ত্রের মজুত ইতিমধ্যেই কমে যাওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঝুঁকিতে আছে। সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান পূর্বে সতর্ক করেছিলেন যে, চীনের সঙ্গে যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ গোলাবারুদের মজুত দ্রুত শেষ হয়ে যাবে।
পেন্টাগনের অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, এখন ক্রুজ এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের প্রায় প্রতিটি বিভাগেই চীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের থেকে অনেক এগিয়ে, যদিও উভয় দেশেই প্রায় ৪০০টি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে।
জুনে ইরানের ১২ দিনের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলকে রক্ষা করতে গিয়ে ওয়াশিংটন তার উচ্চ-উচ্চতার ক্ষেপণাস্ত্র ডিটারেন্ট–গুলোর প্রায় এক-চতুর্থাংশ খরচ করে ফেলেছে বলেও খবর আছে। এই বিষয়ে মন্তব্যের জন্য দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট পেন্টাগন এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তবে এই প্রতিবেদন প্রকাশ পর্যন্ত কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।
তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট

ইতালির বিতর্কিত উদ্যোগকে অনুসরণ করে সমুদ্রপথে উদ্ধার হওয়া আশ্রয়প্রার্থীদের বিদেশের ডিপোর্টেশন সেন্টারে পাঠানোর পরিকল্পনা করছিল ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ। তবে ইউরোপীয় শীর্ষ আদালতের (ইসিজে) এক রায়ে সেই পরিকল্পনায় বড়সড় ধাক্কা লাগল। যে মামলার সূত্র ধরে এই রায় এসেছে সেটি করেছিলেন দুই বাংলাদেশি।
০৩ আগস্ট ২০২৫
এক দশকের বেশি আগে যুক্তরাষ্ট্রে আসা ইরানি অভিবাসী সানাম মার্কিন নাগরিক হওয়ার শেষ ধাপে ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ তাঁর নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রক্রিয়া বাতিল হয়ে যায়। ৩ ডিসেম্বর তাঁর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের ঠিক এক দিন আগে ট্রাম্প প্রশাসন কোনো কারণ ছাড়া অনুষ্ঠানটি বাতিল করে দেয়।
১ মিনিট আগে
আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রে ড্রোনই এখন চোখ, কান এবং অনেক ক্ষেত্রে হাতিয়ার। সীমান্ত নজরদারি থেকে শুরু করে নির্ভুল হামলা—সব ক্ষেত্রেই পাইলটবিহীন উড়ুক্কু যানের ভূমিকা ক্রমশ বাড়ছে। সেই বাস্তবতায় জরুরি ক্রয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ইসরায়েল থেকে আরও কয়েকটি উন্নত সংস্করণের ‘হেরন মার্ক টু’ ড্রোন কিনছে ভারতের...
২ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী ও শান্তিতে নোবেলজয়ী অং সান সু চি শরীর ভালো যাচ্ছে না। জান্তা সরকারের কারাগারে আটক এই নেত্রীর কোনো সংবাদই পাওয়া যাচ্ছে না। এই অবস্থায় তাঁর ছেলে কিম আরিসের ভয়, তাঁর মা হয়তো মারা গেছেন, কিংবা কোনো এক সময় মারা গেলে সেই খবরটিও তিনি জানতে পারবেন না।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রে ড্রোনই এখন চোখ, কান এবং অনেক ক্ষেত্রে হাতিয়ার। সীমান্ত নজরদারি থেকে শুরু করে নির্ভুল হামলা—সব ক্ষেত্রেই পাইলটবিহীন উড়ুক্কু যানের ভূমিকা ক্রমশ বাড়ছে। সেই বাস্তবতায় জরুরি ক্রয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ইসরায়েল থেকে আরও কয়েকটি উন্নত সংস্করণের ‘হেরন মার্ক টু’ ড্রোন কিনছে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
ভারতীয় গণমাধমের খবরে বলা হয়েছে, গত ২৩ বছরে অন্তত ১৪ বার দুর্ঘটনার মুখে পড়েছে ইসরায়েলের তৈরি ‘হেরন’ ড্রোন। ২০২৪ সাল পর্যন্ত মোট ১২টি ড্রোন হারিয়েছে ভারতীয় সেনারা। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মানব-ত্রুটি ও ইঞ্জিনের ব্যর্থতাকে দায়ী করা হয়েছে। চলতি বছরের নভেম্বরে রাজস্থানের জয়সলমীরে প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে জরুরি অবতরণ করাতে হয় বিমানবাহিনীর একটি ‘হেরন’ ড্রোনকে।
এর আগে, গত এপ্রিলে জম্মুর সাতোয়ারি বিমানঘাঁটির একটি টাওয়ারে ধাক্কা লেগে ধ্বংস হয় সেনাবাহিনীর পরিচালিত আর একটি ‘হেরন’। ওই ঘটনায় গুরুতর আহত হন নায়েক পদমর্যাদার সেনাকর্মী সুরিন্দর পাল। ২০১৭ সালে আবার গ্রাউন্ড কন্ট্রোল স্টেশনের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) পেরিয়ে তিব্বতের দিকে চলে যায় একটি ড্রোন।
তবু সাবেক সেনাকর্তা ও প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের মতে, দুর্ঘটনার পরিসংখ্যানের আড়ালে চাপা পড়ে যাচ্ছে ‘হেরন’-এর সাফল্যের গল্প। কঠিন ও ঝুঁকিপূর্ণ অভিযানে এই ড্রোনের সাফল্যের হার ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ। অনেক ক্ষেত্রে মার্কিন ‘এমকিউ-৯ রিপার’-এর সমতুল্য পারফরম্যান্স দিলেও, দাম তুলনায় অনেক কম। সে কারণেই স্থল ও বিমানবাহিনী পরে এ বার নৌসেনার বহরেও ‘হেরন’ যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রাণলয়ের সূত্র উল্লেখ করে গণমাধ্যমে জানিয়েছে, প্রায় ৩০০ কোটি রুপির চুক্তির মাধ্যমে জরুরি ভিত্তিতে ‘হেরন মার্ক টু’ কেনা হতে পারে। নতুন এই ড্রোন টানা প্রায় ৩০ ঘণ্টা উড়তে সক্ষম এবং প্রায় ৪৫ হাজার ফুট উচ্চতা থেকে বিস্তীর্ণ এলাকার স্পষ্ট নজরদারি চালাতে পারে। এতে ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী ‘স্পাইক-এনএলওএস’ ক্ষেপণাস্ত্রসহ উন্নত সেন্সর ও গোয়েন্দা সরঞ্জাম থাকবে। ‘প্রজেক্ট চিতা’ নামের যৌথ উদ্যোগে ভবিষ্যতে ভারত এই ড্রোন তৈরির পরিকল্পনাও করছে।

আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রে ড্রোনই এখন চোখ, কান এবং অনেক ক্ষেত্রে হাতিয়ার। সীমান্ত নজরদারি থেকে শুরু করে নির্ভুল হামলা—সব ক্ষেত্রেই পাইলটবিহীন উড়ুক্কু যানের ভূমিকা ক্রমশ বাড়ছে। সেই বাস্তবতায় জরুরি ক্রয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ইসরায়েল থেকে আরও কয়েকটি উন্নত সংস্করণের ‘হেরন মার্ক টু’ ড্রোন কিনছে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
ভারতীয় গণমাধমের খবরে বলা হয়েছে, গত ২৩ বছরে অন্তত ১৪ বার দুর্ঘটনার মুখে পড়েছে ইসরায়েলের তৈরি ‘হেরন’ ড্রোন। ২০২৪ সাল পর্যন্ত মোট ১২টি ড্রোন হারিয়েছে ভারতীয় সেনারা। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মানব-ত্রুটি ও ইঞ্জিনের ব্যর্থতাকে দায়ী করা হয়েছে। চলতি বছরের নভেম্বরে রাজস্থানের জয়সলমীরে প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে জরুরি অবতরণ করাতে হয় বিমানবাহিনীর একটি ‘হেরন’ ড্রোনকে।
এর আগে, গত এপ্রিলে জম্মুর সাতোয়ারি বিমানঘাঁটির একটি টাওয়ারে ধাক্কা লেগে ধ্বংস হয় সেনাবাহিনীর পরিচালিত আর একটি ‘হেরন’। ওই ঘটনায় গুরুতর আহত হন নায়েক পদমর্যাদার সেনাকর্মী সুরিন্দর পাল। ২০১৭ সালে আবার গ্রাউন্ড কন্ট্রোল স্টেশনের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) পেরিয়ে তিব্বতের দিকে চলে যায় একটি ড্রোন।
তবু সাবেক সেনাকর্তা ও প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের মতে, দুর্ঘটনার পরিসংখ্যানের আড়ালে চাপা পড়ে যাচ্ছে ‘হেরন’-এর সাফল্যের গল্প। কঠিন ও ঝুঁকিপূর্ণ অভিযানে এই ড্রোনের সাফল্যের হার ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ। অনেক ক্ষেত্রে মার্কিন ‘এমকিউ-৯ রিপার’-এর সমতুল্য পারফরম্যান্স দিলেও, দাম তুলনায় অনেক কম। সে কারণেই স্থল ও বিমানবাহিনী পরে এ বার নৌসেনার বহরেও ‘হেরন’ যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রাণলয়ের সূত্র উল্লেখ করে গণমাধ্যমে জানিয়েছে, প্রায় ৩০০ কোটি রুপির চুক্তির মাধ্যমে জরুরি ভিত্তিতে ‘হেরন মার্ক টু’ কেনা হতে পারে। নতুন এই ড্রোন টানা প্রায় ৩০ ঘণ্টা উড়তে সক্ষম এবং প্রায় ৪৫ হাজার ফুট উচ্চতা থেকে বিস্তীর্ণ এলাকার স্পষ্ট নজরদারি চালাতে পারে। এতে ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী ‘স্পাইক-এনএলওএস’ ক্ষেপণাস্ত্রসহ উন্নত সেন্সর ও গোয়েন্দা সরঞ্জাম থাকবে। ‘প্রজেক্ট চিতা’ নামের যৌথ উদ্যোগে ভবিষ্যতে ভারত এই ড্রোন তৈরির পরিকল্পনাও করছে।

ইতালির বিতর্কিত উদ্যোগকে অনুসরণ করে সমুদ্রপথে উদ্ধার হওয়া আশ্রয়প্রার্থীদের বিদেশের ডিপোর্টেশন সেন্টারে পাঠানোর পরিকল্পনা করছিল ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ। তবে ইউরোপীয় শীর্ষ আদালতের (ইসিজে) এক রায়ে সেই পরিকল্পনায় বড়সড় ধাক্কা লাগল। যে মামলার সূত্র ধরে এই রায় এসেছে সেটি করেছিলেন দুই বাংলাদেশি।
০৩ আগস্ট ২০২৫
এক দশকের বেশি আগে যুক্তরাষ্ট্রে আসা ইরানি অভিবাসী সানাম মার্কিন নাগরিক হওয়ার শেষ ধাপে ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ তাঁর নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রক্রিয়া বাতিল হয়ে যায়। ৩ ডিসেম্বর তাঁর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের ঠিক এক দিন আগে ট্রাম্প প্রশাসন কোনো কারণ ছাড়া অনুষ্ঠানটি বাতিল করে দেয়।
১ মিনিট আগে
তাইওয়ানে কোনো যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করতে গেলে মার্কিন সামরিক বাহিনী চীনের কাছে পরাজিত হতে পারে। এমনটাই ইঙ্গিত মিলল পেন্টাগনের এক অতি গোপনীয় মূল্যায়ন থেকে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস এক বিশেষ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী ও শান্তিতে নোবেলজয়ী অং সান সু চি শরীর ভালো যাচ্ছে না। জান্তা সরকারের কারাগারে আটক এই নেত্রীর কোনো সংবাদই পাওয়া যাচ্ছে না। এই অবস্থায় তাঁর ছেলে কিম আরিসের ভয়, তাঁর মা হয়তো মারা গেছেন, কিংবা কোনো এক সময় মারা গেলে সেই খবরটিও তিনি জানতে পারবেন না।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী ও শান্তিতে নোবেলজয়ী অং সান সু চি শরীর ভালো যাচ্ছে না। জান্তা সরকারের কারাগারে আটক এই নেত্রীর কোনো সংবাদই পাওয়া যাচ্ছে না। এই অবস্থায় তাঁর ছেলে কিম আরিসের ভয়, তাঁর মা হয়তো মারা গেছেন, কিংবা কোনো এক সময় মারা গেলে সেই খবরটিও তিনি জানতে পারবেন না।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে আরিস বলেছেন, তাঁর ৮০ বছর বয়সী মায়ের সঙ্গে বিগত কয়েক বছর কোনো কথাই হয়নি। ২০২১ সালের সেনা অভ্যুত্থানে সু কির সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে তাঁর হৃৎপিণ্ড, অস্থি আর মাড়ির সমস্যা নিয়ে কেবল বিক্ষিপ্ত, পরোক্ষ কিছু তথ্যই তিনি পেয়েছেন।
এ মাসের শেষদিকে মিয়ানমারের জান্তা সরকার যে নির্বাচন আয়োজন করতে চাইছে, বিদেশি সরকারগুলো সেটিকে অবৈধ বলে উড়িয়ে দিয়েছে। আরিসও এমনটাই মনে করেন। তবে তিনি আরও মনে করেন, এতেই হয়তো তাঁর মায়ের দুর্দশা কিছুটা কমানোর সুযোগ তৈরি হতে পারে।
টোকিওতে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘তাঁর স্বাস্থ্যগত সমস্যা চলছেই। গত দুই বছরে কেউ তাঁকে দেখেনি। তাঁর আইনি দল দূরে থাক, পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে দেওয়া হয়নি। আমার যা মনে হচ্ছে, তিনি হয়তো ইতিমধ্যে মারাও গিয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ধারণা, আমার মাকে নিয়ে (মিয়ানমারের জান্তা নেতা) মিন অং হ্লাইংয়ের নিজস্ব উদ্দেশ্য আছে। নির্বাচনের আগে বা পরে সাধারণ মানুষকে শান্ত করতে যদি তিনি আমার মাকে মুক্তি দিতে চান কিংবা গৃহবন্দী করতে চান, তবে অন্তত সেটাই কিছু একটা হবে।’
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চেয়ে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের মুখপাত্রকে ফোন করা হলেও তিনি তাতে সাড়া দেননি। জানা যায়, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বড় দিন কিংবা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা উপলক্ষে বন্দী মুক্তি দেওয়ার পুরোনো অভ্যাস আছে।
২০১০ সালে একটি নির্বাচনের মাত্র কয়েক দিন পরই শান্তিতে নোবেলজয়ী সু চি মুক্তি পেয়েছিলেন। এর আগে তিনি দীর্ঘ সময় ধরে ইয়াঙ্গুনের ইনায়া হ্রদের তীরে তাঁর ঔপনিবেশিক ধাঁচের পারিবারিক বাড়িতে বন্দী ছিলেন। এরপর ২০১৫ সালের নির্বাচনে তিনি মিয়ানমারের কার্যত নেত্রী হন। সেটি ছিল গত পঁচিশ বছরে প্রথম প্রকাশ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ভোট, যদিও তাঁর দেশের মুসলিম রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানোর অভিযোগে আন্তর্জাতিক মহলে তাঁর ভাবমূর্তি পরবর্তীকালে কালিমালিপ্ত হয়।
এদিকে, ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারজুড়ে চরম অস্থিরতা চলছে। এই অস্থিরতা সশস্ত্র বিদ্রোহের জন্ম দিয়েছে, যার ফলে দেশটির বিস্তীর্ণ অঞ্চল এখন বিদ্রোহীদের দখলে। সু চি বর্তমানে রাষ্ট্রদ্রোহ, দুর্নীতি আর নির্বাচন জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগে ২৭ বছরের সাজা খাটছেন; তিনি অবশ্য সব অভিযোগই অস্বীকার করে এসেছেন।
আরিস জানিয়েছেন, তাঁর বিশ্বাস সু কি রাজধানী নেপিদোতেই বন্দী। দুই বছর আগে তাঁর মায়ের কাছ থেকে পাওয়া শেষ চিঠিতে গ্রীষ্ম ও শীতে তাঁর কামরা অসহ্য তাপমাত্রার কথা তিনি লিখেছিলেন। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন সংঘাতের কারণে আরিস শঙ্কিত যে, মানুষ সম্ভবত মিয়ানমারের কথা ভুলে যাচ্ছে।
তিনি আসন্ন নির্বাচনকে কাজে লাগাতে চাইছেন। অভ্যুত্থানের পর এই প্রথম নির্বাচন, যা ২৮ ডিসেম্বর থেকে ধাপে ধাপে শুরু হবে। এই সুযোগে তিনি জাপানসহ বিদেশি সরকারগুলোকে জান্তার ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করতে এবং তাঁর মায়ের মুক্তির দাবি জানাতে আহ্বান জানাচ্ছেন।

মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী ও শান্তিতে নোবেলজয়ী অং সান সু চি শরীর ভালো যাচ্ছে না। জান্তা সরকারের কারাগারে আটক এই নেত্রীর কোনো সংবাদই পাওয়া যাচ্ছে না। এই অবস্থায় তাঁর ছেলে কিম আরিসের ভয়, তাঁর মা হয়তো মারা গেছেন, কিংবা কোনো এক সময় মারা গেলে সেই খবরটিও তিনি জানতে পারবেন না।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে আরিস বলেছেন, তাঁর ৮০ বছর বয়সী মায়ের সঙ্গে বিগত কয়েক বছর কোনো কথাই হয়নি। ২০২১ সালের সেনা অভ্যুত্থানে সু কির সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে তাঁর হৃৎপিণ্ড, অস্থি আর মাড়ির সমস্যা নিয়ে কেবল বিক্ষিপ্ত, পরোক্ষ কিছু তথ্যই তিনি পেয়েছেন।
এ মাসের শেষদিকে মিয়ানমারের জান্তা সরকার যে নির্বাচন আয়োজন করতে চাইছে, বিদেশি সরকারগুলো সেটিকে অবৈধ বলে উড়িয়ে দিয়েছে। আরিসও এমনটাই মনে করেন। তবে তিনি আরও মনে করেন, এতেই হয়তো তাঁর মায়ের দুর্দশা কিছুটা কমানোর সুযোগ তৈরি হতে পারে।
টোকিওতে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘তাঁর স্বাস্থ্যগত সমস্যা চলছেই। গত দুই বছরে কেউ তাঁকে দেখেনি। তাঁর আইনি দল দূরে থাক, পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে দেওয়া হয়নি। আমার যা মনে হচ্ছে, তিনি হয়তো ইতিমধ্যে মারাও গিয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ধারণা, আমার মাকে নিয়ে (মিয়ানমারের জান্তা নেতা) মিন অং হ্লাইংয়ের নিজস্ব উদ্দেশ্য আছে। নির্বাচনের আগে বা পরে সাধারণ মানুষকে শান্ত করতে যদি তিনি আমার মাকে মুক্তি দিতে চান কিংবা গৃহবন্দী করতে চান, তবে অন্তত সেটাই কিছু একটা হবে।’
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চেয়ে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের মুখপাত্রকে ফোন করা হলেও তিনি তাতে সাড়া দেননি। জানা যায়, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বড় দিন কিংবা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা উপলক্ষে বন্দী মুক্তি দেওয়ার পুরোনো অভ্যাস আছে।
২০১০ সালে একটি নির্বাচনের মাত্র কয়েক দিন পরই শান্তিতে নোবেলজয়ী সু চি মুক্তি পেয়েছিলেন। এর আগে তিনি দীর্ঘ সময় ধরে ইয়াঙ্গুনের ইনায়া হ্রদের তীরে তাঁর ঔপনিবেশিক ধাঁচের পারিবারিক বাড়িতে বন্দী ছিলেন। এরপর ২০১৫ সালের নির্বাচনে তিনি মিয়ানমারের কার্যত নেত্রী হন। সেটি ছিল গত পঁচিশ বছরে প্রথম প্রকাশ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ভোট, যদিও তাঁর দেশের মুসলিম রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানোর অভিযোগে আন্তর্জাতিক মহলে তাঁর ভাবমূর্তি পরবর্তীকালে কালিমালিপ্ত হয়।
এদিকে, ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারজুড়ে চরম অস্থিরতা চলছে। এই অস্থিরতা সশস্ত্র বিদ্রোহের জন্ম দিয়েছে, যার ফলে দেশটির বিস্তীর্ণ অঞ্চল এখন বিদ্রোহীদের দখলে। সু চি বর্তমানে রাষ্ট্রদ্রোহ, দুর্নীতি আর নির্বাচন জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগে ২৭ বছরের সাজা খাটছেন; তিনি অবশ্য সব অভিযোগই অস্বীকার করে এসেছেন।
আরিস জানিয়েছেন, তাঁর বিশ্বাস সু কি রাজধানী নেপিদোতেই বন্দী। দুই বছর আগে তাঁর মায়ের কাছ থেকে পাওয়া শেষ চিঠিতে গ্রীষ্ম ও শীতে তাঁর কামরা অসহ্য তাপমাত্রার কথা তিনি লিখেছিলেন। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন সংঘাতের কারণে আরিস শঙ্কিত যে, মানুষ সম্ভবত মিয়ানমারের কথা ভুলে যাচ্ছে।
তিনি আসন্ন নির্বাচনকে কাজে লাগাতে চাইছেন। অভ্যুত্থানের পর এই প্রথম নির্বাচন, যা ২৮ ডিসেম্বর থেকে ধাপে ধাপে শুরু হবে। এই সুযোগে তিনি জাপানসহ বিদেশি সরকারগুলোকে জান্তার ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করতে এবং তাঁর মায়ের মুক্তির দাবি জানাতে আহ্বান জানাচ্ছেন।

ইতালির বিতর্কিত উদ্যোগকে অনুসরণ করে সমুদ্রপথে উদ্ধার হওয়া আশ্রয়প্রার্থীদের বিদেশের ডিপোর্টেশন সেন্টারে পাঠানোর পরিকল্পনা করছিল ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ। তবে ইউরোপীয় শীর্ষ আদালতের (ইসিজে) এক রায়ে সেই পরিকল্পনায় বড়সড় ধাক্কা লাগল। যে মামলার সূত্র ধরে এই রায় এসেছে সেটি করেছিলেন দুই বাংলাদেশি।
০৩ আগস্ট ২০২৫
এক দশকের বেশি আগে যুক্তরাষ্ট্রে আসা ইরানি অভিবাসী সানাম মার্কিন নাগরিক হওয়ার শেষ ধাপে ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ তাঁর নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রক্রিয়া বাতিল হয়ে যায়। ৩ ডিসেম্বর তাঁর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের ঠিক এক দিন আগে ট্রাম্প প্রশাসন কোনো কারণ ছাড়া অনুষ্ঠানটি বাতিল করে দেয়।
১ মিনিট আগে
তাইওয়ানে কোনো যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করতে গেলে মার্কিন সামরিক বাহিনী চীনের কাছে পরাজিত হতে পারে। এমনটাই ইঙ্গিত মিলল পেন্টাগনের এক অতি গোপনীয় মূল্যায়ন থেকে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস এক বিশেষ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রে ড্রোনই এখন চোখ, কান এবং অনেক ক্ষেত্রে হাতিয়ার। সীমান্ত নজরদারি থেকে শুরু করে নির্ভুল হামলা—সব ক্ষেত্রেই পাইলটবিহীন উড়ুক্কু যানের ভূমিকা ক্রমশ বাড়ছে। সেই বাস্তবতায় জরুরি ক্রয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ইসরায়েল থেকে আরও কয়েকটি উন্নত সংস্করণের ‘হেরন মার্ক টু’ ড্রোন কিনছে ভারতের...
২ ঘণ্টা আগে