ডয়চে ভেলে

ইউরোপীয় ইউনিয়নের অভিন্ন শরণার্থী নীতি কার্যকর হলে মরক্কো, আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া, সেনেগাল, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মতো কিছু দেশের আশ্রয়প্রার্থীদের আবেদন বহিঃসীমানায়ই নাকচ হতে পারে ৷ যারা ঢুকতে পারবেন, তাঁদেরও অন্য দেশে স্থানান্তরিত করা যাবে ৷
সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধের জের ধরে ২০১৫ সালে শরণার্থীর ঢল ইউরোপীয় ইউনিয়নকে দিশেহারা করে দিয়েছিল ৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে বারবার বিচ্ছিন্ন পদক্ষেপ নিলেও এখন পর্যন্ত কোনো সার্বিক ও সুসংহত শরণার্থী নীতি প্রণয়ন করতে ব্যর্থ হয়েছে এই রাষ্ট্রজোট ৷ অবশেষে বৃহস্পতিবার লুক্সেমবার্গে ইইউ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে এক বোঝাপড়া সম্ভব হলো ৷ এবার ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে আইন অনুমোদন করে সেই বোঝাপড়া কার্যকর করতে হবে ৷ আগামী বছর ইইউ পার্লামেন্ট নির্বাচনের আগেই সেই আইন পাস করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে ৷
ইইউর অভিন্ন শরণার্থী নীতির রূপরেখার মূলমন্ত্র হলো, শরণার্থীদের প্রশ্নে সব সদস্য দেশ পরস্পরের সহায়তা করতে বাধ্য ৷ সেই কাজ দুভাবে করা যাবে ৷ গ্রিস ও ইতালির মতো দেশে শরণার্থীর ঢল নামলে পোল্যান্ড বা সুইডেনের মতো অন্য সদস্য দেশ তাদের মধ্যে কিছু মানুষকে আশ্রয় দিতে পারে ৷ ফলে শরণার্থীদের আরও সুষম বণ্টন সম্ভব হবে ৷ শরণার্থী গ্রহণ করতে না চাইলে কোনো দেশ আর্থিক সহায়তার মাধ্যমেও সেই দায়িত্ব পালন করতে পারে ৷ শরণার্থীপ্রতি ২০ হাজার ইউরো ইইউ তহবিলে জমা করে দায়িত্ব পালন করতে পারে পোল্যান্ড ও হাঙ্গেরির মতো দেশ ৷
ইইউ দেশগুলোর মধ্যে বোঝাপড়ার আরেকটি অংশ চরম বিতর্কের কারণ হয়ে উঠেছে ৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের বহিঃসীমানায় শরণার্থীদের আশ্রয়ের আবেদন দ্রুত বিবেচনা করে সেখান থেকেই ‘কম সম্ভাবনা’র আশ্রয়প্রার্থীদের ফেরত পাঠানোর প্রস্তাব রাখা হয়েছে ৷ অর্থাৎ যেসব শরণার্থী ‘নিরাপদ' হিসেবে বিবেচিত দেশ থেকে আসছেন, অন্য কোনো ন্যায্য কারণ না থাকলে তাঁদের ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে ৷
ইউরোপীয় ইউনিয়নের বর্তমান সভাপতি দেশ সুইডেন এ দুটি মৌলিক প্রস্তাবের মাধ্যমে ঐকমত্য সম্ভব করতে পেরেছে ৷ বেলজিয়ামের শরণার্থীদের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী নিকোল ডে মোর একটি উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, পরিসংখ্যান অনুযায়ী মরক্কো, আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া, সেনেগাল, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মতো দেশের নাগরিকদের আশ্রয়প্রার্থী হিসেবে স্বীকৃতির সম্ভাবনা কম ৷
ইউরোপকে অভেদ্য দুর্গ হিসেবে প্রস্তুত করার এমন উদ্যোগের সমালোচনা করছে অনেক সংগঠন ও রাজনৈতিক দল ৷ অক্সফাম জানিয়েছে, ইইউর আশ্রয় প্রণালির গভীর দুর্বলতা না কাটিয়ে শরণার্থীদের আগমনের পথে বাধা সৃষ্টি করার সংকেত দিচ্ছে এই রাষ্ট্রজোট ৷ জার্মানির জোট সরকারের শরিক সবুজ দলের মধ্যেও এ বিষয়টিকে নিয়ে গভীর অসন্তোষ দেখা যাচ্ছে ৷
দলের নেতা ও জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনাগোনা বেয়ারবক অবশ্য ইইউ দেশগুলোর মধ্যে বোঝাপড়ার প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেন, এমন আপস মীমাংসা মোটেই সহজ ছিল না৷ জার্মানির ফেডারেল সরকার একাই সিদ্ধান্ত নিতে পারলে বোঝাপড়া একেবারেই ভিন্ন হতো ৷
বেয়ারবক আরও বলেন, জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেসার ইউরোপীয় বহিঃসীমানায় শরণার্থীদের আটক করে তাঁদের আবেদন বিবেচনার প্রস্তাবে সায় না দিলে অন্য সদস্য দেশগুলো শরণার্থীদের সুষম বণ্টনের প্রস্তাব মেনে নিত না৷

ইউরোপীয় ইউনিয়নের অভিন্ন শরণার্থী নীতি কার্যকর হলে মরক্কো, আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া, সেনেগাল, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মতো কিছু দেশের আশ্রয়প্রার্থীদের আবেদন বহিঃসীমানায়ই নাকচ হতে পারে ৷ যারা ঢুকতে পারবেন, তাঁদেরও অন্য দেশে স্থানান্তরিত করা যাবে ৷
সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধের জের ধরে ২০১৫ সালে শরণার্থীর ঢল ইউরোপীয় ইউনিয়নকে দিশেহারা করে দিয়েছিল ৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে বারবার বিচ্ছিন্ন পদক্ষেপ নিলেও এখন পর্যন্ত কোনো সার্বিক ও সুসংহত শরণার্থী নীতি প্রণয়ন করতে ব্যর্থ হয়েছে এই রাষ্ট্রজোট ৷ অবশেষে বৃহস্পতিবার লুক্সেমবার্গে ইইউ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে এক বোঝাপড়া সম্ভব হলো ৷ এবার ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে আইন অনুমোদন করে সেই বোঝাপড়া কার্যকর করতে হবে ৷ আগামী বছর ইইউ পার্লামেন্ট নির্বাচনের আগেই সেই আইন পাস করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে ৷
ইইউর অভিন্ন শরণার্থী নীতির রূপরেখার মূলমন্ত্র হলো, শরণার্থীদের প্রশ্নে সব সদস্য দেশ পরস্পরের সহায়তা করতে বাধ্য ৷ সেই কাজ দুভাবে করা যাবে ৷ গ্রিস ও ইতালির মতো দেশে শরণার্থীর ঢল নামলে পোল্যান্ড বা সুইডেনের মতো অন্য সদস্য দেশ তাদের মধ্যে কিছু মানুষকে আশ্রয় দিতে পারে ৷ ফলে শরণার্থীদের আরও সুষম বণ্টন সম্ভব হবে ৷ শরণার্থী গ্রহণ করতে না চাইলে কোনো দেশ আর্থিক সহায়তার মাধ্যমেও সেই দায়িত্ব পালন করতে পারে ৷ শরণার্থীপ্রতি ২০ হাজার ইউরো ইইউ তহবিলে জমা করে দায়িত্ব পালন করতে পারে পোল্যান্ড ও হাঙ্গেরির মতো দেশ ৷
ইইউ দেশগুলোর মধ্যে বোঝাপড়ার আরেকটি অংশ চরম বিতর্কের কারণ হয়ে উঠেছে ৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের বহিঃসীমানায় শরণার্থীদের আশ্রয়ের আবেদন দ্রুত বিবেচনা করে সেখান থেকেই ‘কম সম্ভাবনা’র আশ্রয়প্রার্থীদের ফেরত পাঠানোর প্রস্তাব রাখা হয়েছে ৷ অর্থাৎ যেসব শরণার্থী ‘নিরাপদ' হিসেবে বিবেচিত দেশ থেকে আসছেন, অন্য কোনো ন্যায্য কারণ না থাকলে তাঁদের ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে ৷
ইউরোপীয় ইউনিয়নের বর্তমান সভাপতি দেশ সুইডেন এ দুটি মৌলিক প্রস্তাবের মাধ্যমে ঐকমত্য সম্ভব করতে পেরেছে ৷ বেলজিয়ামের শরণার্থীদের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী নিকোল ডে মোর একটি উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, পরিসংখ্যান অনুযায়ী মরক্কো, আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া, সেনেগাল, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মতো দেশের নাগরিকদের আশ্রয়প্রার্থী হিসেবে স্বীকৃতির সম্ভাবনা কম ৷
ইউরোপকে অভেদ্য দুর্গ হিসেবে প্রস্তুত করার এমন উদ্যোগের সমালোচনা করছে অনেক সংগঠন ও রাজনৈতিক দল ৷ অক্সফাম জানিয়েছে, ইইউর আশ্রয় প্রণালির গভীর দুর্বলতা না কাটিয়ে শরণার্থীদের আগমনের পথে বাধা সৃষ্টি করার সংকেত দিচ্ছে এই রাষ্ট্রজোট ৷ জার্মানির জোট সরকারের শরিক সবুজ দলের মধ্যেও এ বিষয়টিকে নিয়ে গভীর অসন্তোষ দেখা যাচ্ছে ৷
দলের নেতা ও জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনাগোনা বেয়ারবক অবশ্য ইইউ দেশগুলোর মধ্যে বোঝাপড়ার প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেন, এমন আপস মীমাংসা মোটেই সহজ ছিল না৷ জার্মানির ফেডারেল সরকার একাই সিদ্ধান্ত নিতে পারলে বোঝাপড়া একেবারেই ভিন্ন হতো ৷
বেয়ারবক আরও বলেন, জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেসার ইউরোপীয় বহিঃসীমানায় শরণার্থীদের আটক করে তাঁদের আবেদন বিবেচনার প্রস্তাবে সায় না দিলে অন্য সদস্য দেশগুলো শরণার্থীদের সুষম বণ্টনের প্রস্তাব মেনে নিত না৷
ডয়চে ভেলে

ইউরোপীয় ইউনিয়নের অভিন্ন শরণার্থী নীতি কার্যকর হলে মরক্কো, আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া, সেনেগাল, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মতো কিছু দেশের আশ্রয়প্রার্থীদের আবেদন বহিঃসীমানায়ই নাকচ হতে পারে ৷ যারা ঢুকতে পারবেন, তাঁদেরও অন্য দেশে স্থানান্তরিত করা যাবে ৷
সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধের জের ধরে ২০১৫ সালে শরণার্থীর ঢল ইউরোপীয় ইউনিয়নকে দিশেহারা করে দিয়েছিল ৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে বারবার বিচ্ছিন্ন পদক্ষেপ নিলেও এখন পর্যন্ত কোনো সার্বিক ও সুসংহত শরণার্থী নীতি প্রণয়ন করতে ব্যর্থ হয়েছে এই রাষ্ট্রজোট ৷ অবশেষে বৃহস্পতিবার লুক্সেমবার্গে ইইউ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে এক বোঝাপড়া সম্ভব হলো ৷ এবার ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে আইন অনুমোদন করে সেই বোঝাপড়া কার্যকর করতে হবে ৷ আগামী বছর ইইউ পার্লামেন্ট নির্বাচনের আগেই সেই আইন পাস করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে ৷
ইইউর অভিন্ন শরণার্থী নীতির রূপরেখার মূলমন্ত্র হলো, শরণার্থীদের প্রশ্নে সব সদস্য দেশ পরস্পরের সহায়তা করতে বাধ্য ৷ সেই কাজ দুভাবে করা যাবে ৷ গ্রিস ও ইতালির মতো দেশে শরণার্থীর ঢল নামলে পোল্যান্ড বা সুইডেনের মতো অন্য সদস্য দেশ তাদের মধ্যে কিছু মানুষকে আশ্রয় দিতে পারে ৷ ফলে শরণার্থীদের আরও সুষম বণ্টন সম্ভব হবে ৷ শরণার্থী গ্রহণ করতে না চাইলে কোনো দেশ আর্থিক সহায়তার মাধ্যমেও সেই দায়িত্ব পালন করতে পারে ৷ শরণার্থীপ্রতি ২০ হাজার ইউরো ইইউ তহবিলে জমা করে দায়িত্ব পালন করতে পারে পোল্যান্ড ও হাঙ্গেরির মতো দেশ ৷
ইইউ দেশগুলোর মধ্যে বোঝাপড়ার আরেকটি অংশ চরম বিতর্কের কারণ হয়ে উঠেছে ৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের বহিঃসীমানায় শরণার্থীদের আশ্রয়ের আবেদন দ্রুত বিবেচনা করে সেখান থেকেই ‘কম সম্ভাবনা’র আশ্রয়প্রার্থীদের ফেরত পাঠানোর প্রস্তাব রাখা হয়েছে ৷ অর্থাৎ যেসব শরণার্থী ‘নিরাপদ' হিসেবে বিবেচিত দেশ থেকে আসছেন, অন্য কোনো ন্যায্য কারণ না থাকলে তাঁদের ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে ৷
ইউরোপীয় ইউনিয়নের বর্তমান সভাপতি দেশ সুইডেন এ দুটি মৌলিক প্রস্তাবের মাধ্যমে ঐকমত্য সম্ভব করতে পেরেছে ৷ বেলজিয়ামের শরণার্থীদের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী নিকোল ডে মোর একটি উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, পরিসংখ্যান অনুযায়ী মরক্কো, আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া, সেনেগাল, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মতো দেশের নাগরিকদের আশ্রয়প্রার্থী হিসেবে স্বীকৃতির সম্ভাবনা কম ৷
ইউরোপকে অভেদ্য দুর্গ হিসেবে প্রস্তুত করার এমন উদ্যোগের সমালোচনা করছে অনেক সংগঠন ও রাজনৈতিক দল ৷ অক্সফাম জানিয়েছে, ইইউর আশ্রয় প্রণালির গভীর দুর্বলতা না কাটিয়ে শরণার্থীদের আগমনের পথে বাধা সৃষ্টি করার সংকেত দিচ্ছে এই রাষ্ট্রজোট ৷ জার্মানির জোট সরকারের শরিক সবুজ দলের মধ্যেও এ বিষয়টিকে নিয়ে গভীর অসন্তোষ দেখা যাচ্ছে ৷
দলের নেতা ও জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনাগোনা বেয়ারবক অবশ্য ইইউ দেশগুলোর মধ্যে বোঝাপড়ার প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেন, এমন আপস মীমাংসা মোটেই সহজ ছিল না৷ জার্মানির ফেডারেল সরকার একাই সিদ্ধান্ত নিতে পারলে বোঝাপড়া একেবারেই ভিন্ন হতো ৷
বেয়ারবক আরও বলেন, জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেসার ইউরোপীয় বহিঃসীমানায় শরণার্থীদের আটক করে তাঁদের আবেদন বিবেচনার প্রস্তাবে সায় না দিলে অন্য সদস্য দেশগুলো শরণার্থীদের সুষম বণ্টনের প্রস্তাব মেনে নিত না৷

ইউরোপীয় ইউনিয়নের অভিন্ন শরণার্থী নীতি কার্যকর হলে মরক্কো, আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া, সেনেগাল, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মতো কিছু দেশের আশ্রয়প্রার্থীদের আবেদন বহিঃসীমানায়ই নাকচ হতে পারে ৷ যারা ঢুকতে পারবেন, তাঁদেরও অন্য দেশে স্থানান্তরিত করা যাবে ৷
সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধের জের ধরে ২০১৫ সালে শরণার্থীর ঢল ইউরোপীয় ইউনিয়নকে দিশেহারা করে দিয়েছিল ৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে বারবার বিচ্ছিন্ন পদক্ষেপ নিলেও এখন পর্যন্ত কোনো সার্বিক ও সুসংহত শরণার্থী নীতি প্রণয়ন করতে ব্যর্থ হয়েছে এই রাষ্ট্রজোট ৷ অবশেষে বৃহস্পতিবার লুক্সেমবার্গে ইইউ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে এক বোঝাপড়া সম্ভব হলো ৷ এবার ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে আইন অনুমোদন করে সেই বোঝাপড়া কার্যকর করতে হবে ৷ আগামী বছর ইইউ পার্লামেন্ট নির্বাচনের আগেই সেই আইন পাস করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে ৷
ইইউর অভিন্ন শরণার্থী নীতির রূপরেখার মূলমন্ত্র হলো, শরণার্থীদের প্রশ্নে সব সদস্য দেশ পরস্পরের সহায়তা করতে বাধ্য ৷ সেই কাজ দুভাবে করা যাবে ৷ গ্রিস ও ইতালির মতো দেশে শরণার্থীর ঢল নামলে পোল্যান্ড বা সুইডেনের মতো অন্য সদস্য দেশ তাদের মধ্যে কিছু মানুষকে আশ্রয় দিতে পারে ৷ ফলে শরণার্থীদের আরও সুষম বণ্টন সম্ভব হবে ৷ শরণার্থী গ্রহণ করতে না চাইলে কোনো দেশ আর্থিক সহায়তার মাধ্যমেও সেই দায়িত্ব পালন করতে পারে ৷ শরণার্থীপ্রতি ২০ হাজার ইউরো ইইউ তহবিলে জমা করে দায়িত্ব পালন করতে পারে পোল্যান্ড ও হাঙ্গেরির মতো দেশ ৷
ইইউ দেশগুলোর মধ্যে বোঝাপড়ার আরেকটি অংশ চরম বিতর্কের কারণ হয়ে উঠেছে ৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের বহিঃসীমানায় শরণার্থীদের আশ্রয়ের আবেদন দ্রুত বিবেচনা করে সেখান থেকেই ‘কম সম্ভাবনা’র আশ্রয়প্রার্থীদের ফেরত পাঠানোর প্রস্তাব রাখা হয়েছে ৷ অর্থাৎ যেসব শরণার্থী ‘নিরাপদ' হিসেবে বিবেচিত দেশ থেকে আসছেন, অন্য কোনো ন্যায্য কারণ না থাকলে তাঁদের ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে ৷
ইউরোপীয় ইউনিয়নের বর্তমান সভাপতি দেশ সুইডেন এ দুটি মৌলিক প্রস্তাবের মাধ্যমে ঐকমত্য সম্ভব করতে পেরেছে ৷ বেলজিয়ামের শরণার্থীদের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী নিকোল ডে মোর একটি উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, পরিসংখ্যান অনুযায়ী মরক্কো, আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া, সেনেগাল, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মতো দেশের নাগরিকদের আশ্রয়প্রার্থী হিসেবে স্বীকৃতির সম্ভাবনা কম ৷
ইউরোপকে অভেদ্য দুর্গ হিসেবে প্রস্তুত করার এমন উদ্যোগের সমালোচনা করছে অনেক সংগঠন ও রাজনৈতিক দল ৷ অক্সফাম জানিয়েছে, ইইউর আশ্রয় প্রণালির গভীর দুর্বলতা না কাটিয়ে শরণার্থীদের আগমনের পথে বাধা সৃষ্টি করার সংকেত দিচ্ছে এই রাষ্ট্রজোট ৷ জার্মানির জোট সরকারের শরিক সবুজ দলের মধ্যেও এ বিষয়টিকে নিয়ে গভীর অসন্তোষ দেখা যাচ্ছে ৷
দলের নেতা ও জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনাগোনা বেয়ারবক অবশ্য ইইউ দেশগুলোর মধ্যে বোঝাপড়ার প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেন, এমন আপস মীমাংসা মোটেই সহজ ছিল না৷ জার্মানির ফেডারেল সরকার একাই সিদ্ধান্ত নিতে পারলে বোঝাপড়া একেবারেই ভিন্ন হতো ৷
বেয়ারবক আরও বলেন, জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেসার ইউরোপীয় বহিঃসীমানায় শরণার্থীদের আটক করে তাঁদের আবেদন বিবেচনার প্রস্তাবে সায় না দিলে অন্য সদস্য দেশগুলো শরণার্থীদের সুষম বণ্টনের প্রস্তাব মেনে নিত না৷

২০২২ সালের জুলাইয়ে নির্বাচনী প্রচারণার সময় জাপানের নারা শহরে স্থানীয়ভাবে তৈরি বন্দুক দিয়ে গুলি করে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে হত্যা করেন ৪৫ বছর বয়সী ইয়ামাগামি। কঠোর অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ এবং অত্যন্ত কম অপরাধ প্রবণতার দেশ জাপানে এই হত্যাকাণ্ড বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তোলে।
৪ ঘণ্টা আগে
ভারতের সঙ্গে ১০ হাজার কোটি ডলারের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ লক্ষ্যের কথা জানান তিনি। ভারতে দুই দিনের সফরে এসে গতকাল শুক্রবার মোদির সঙ্গে বাণিজ্য,
৫ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রে বিমানবন্দরে যাত্রীদের পোশাক নিয়ে নতুন বিতর্ক দেখা দিয়েছে। মার্কিন পরিবহনমন্ত্রী শন ডাফি সম্প্রতি যাত্রীদের ‘সম্মানজনক ও ভালো’ পোশাক পরার পরামর্শ দেওয়ায় অনেকেই তা মেনে নেওয়ার বদলে প্রতিবাদ হিসেবে বিমানবন্দরে পায়জামা পরে হাজির হচ্ছেন।
৫ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্র তার ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত দেশের সংখ্যা আরও বাড়াতে যাচ্ছে। নিরাপত্তা জোরদারের অংশ হিসেবে বর্তমান তালিকায় নতুন আরও কিছু দেশ যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির (ডিএইচএস) প্রধান ক্রিস্টি নোয়েম।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

২০২২ সালের জুলাইয়ে নির্বাচনী প্রচারণার সময় জাপানের নারা শহরে স্থানীয়ভাবে তৈরি বন্দুক দিয়ে গুলি করে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে হত্যা করেন ৪৫ বছর বয়সী ইয়ামাগামি। কঠোর অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ এবং অত্যন্ত কম অপরাধ প্রবণতার দেশ জাপানে এই হত্যাকাণ্ড বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তোলে।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, নারা জেলা আদালতে ১৪ তম শুনানিতে হাজির হয়ে আবে পরিবারের প্রতি গভীর দুঃখ প্রকাশ করেন ইয়ামাগামি। আদালতে তিনি বলেন, ‘আমি আবে পরিবারের ভোগান্তির জন্য অনুতপ্ত। তিন বছর ছয় মাস ধরে তারা যে কষ্টে আছে, তা আমি চাইনি, কিন্তু তা হয়েছে—এ জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।’
তিনি জানান, নিজের পরিবারেও একজনকে হারানোর অভিজ্ঞতা থাকায় এই কষ্টের মূল্য তিনি বোঝেন।
ইয়ামাগামি স্বীকার করেছেন, তিনি পরিকল্পিতভাবেই ওই হামলা চালিয়েছিলেন। এর আগে আদালতে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমিই হত্যা করেছি। এতে কোনো সন্দেহ নেই।’
হত্যাকাণ্ডের পেছনে ইয়ামাগামির উদ্দেশ্য ছিল ‘ইউনিফিকেশন চার্চ’ নিয়ে ক্ষোভ। তিনি দাবি করেন, এই ধর্মীয় সংগঠনে তাঁর মা বিপুল অর্থ দান করায় তাঁদের পরিবার দেউলিয়া হয়ে পড়ে। ইয়ামাগামির ভাষায়, আবে ছিলেন এই চার্চের অন্যতম প্রভাবশালী সমর্থক, তাই তিনি তাঁকে লক্ষ্য বানান।
ইয়ামাগামির আইনজীবী আদালতকে জানান, ব্যবহৃত অস্ত্রটি হাতে তৈরি হওয়ায় জাপানের ‘ফায়ারআর্মস অ্যান্ড সোয়ার্ডস কন্ট্রোল অ্যাক্ট’-এর অধীনে সাধারণ আগ্নেয়াস্ত্র হিসেবে গণ্য করা উচিত নয়। তাই শাস্তি কমানোর অনুরোধ জানানো হয়।
ইউনিফিকেশন চার্চের বিরুদ্ধে জাপানে দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক প্রভাব, অর্থ সংগ্রহ এবং সদস্য নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ রয়েছে। আবে হত্যার পর সংগঠনটির কার্যক্রম তদন্তের আওতায় আসে। চলতি বছরের মার্চে আদালত চার্চ বিলুপ্তির আদেশ দেয়, যদিও সংগঠনটি এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
আদালতের শুনানিতে শিনজো আবের স্ত্রী আকিয়ে আবেও উপস্থিত থাকেন। তবে ক্ষমা প্রার্থনার দিন তিনি আদালতে ছিলেন না। আগের দিন তিনি হত্যাকারীর মুখোমুখি হন এবং নীরবে শুনানি পর্যবেক্ষণ করেন।
মামলার রায় এখনো ঘোষণা হয়নি। তবে জাপানে এটি সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে আলোচিত রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড হিসেবে ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছে।

২০২২ সালের জুলাইয়ে নির্বাচনী প্রচারণার সময় জাপানের নারা শহরে স্থানীয়ভাবে তৈরি বন্দুক দিয়ে গুলি করে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে হত্যা করেন ৪৫ বছর বয়সী ইয়ামাগামি। কঠোর অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ এবং অত্যন্ত কম অপরাধ প্রবণতার দেশ জাপানে এই হত্যাকাণ্ড বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তোলে।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, নারা জেলা আদালতে ১৪ তম শুনানিতে হাজির হয়ে আবে পরিবারের প্রতি গভীর দুঃখ প্রকাশ করেন ইয়ামাগামি। আদালতে তিনি বলেন, ‘আমি আবে পরিবারের ভোগান্তির জন্য অনুতপ্ত। তিন বছর ছয় মাস ধরে তারা যে কষ্টে আছে, তা আমি চাইনি, কিন্তু তা হয়েছে—এ জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।’
তিনি জানান, নিজের পরিবারেও একজনকে হারানোর অভিজ্ঞতা থাকায় এই কষ্টের মূল্য তিনি বোঝেন।
ইয়ামাগামি স্বীকার করেছেন, তিনি পরিকল্পিতভাবেই ওই হামলা চালিয়েছিলেন। এর আগে আদালতে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমিই হত্যা করেছি। এতে কোনো সন্দেহ নেই।’
হত্যাকাণ্ডের পেছনে ইয়ামাগামির উদ্দেশ্য ছিল ‘ইউনিফিকেশন চার্চ’ নিয়ে ক্ষোভ। তিনি দাবি করেন, এই ধর্মীয় সংগঠনে তাঁর মা বিপুল অর্থ দান করায় তাঁদের পরিবার দেউলিয়া হয়ে পড়ে। ইয়ামাগামির ভাষায়, আবে ছিলেন এই চার্চের অন্যতম প্রভাবশালী সমর্থক, তাই তিনি তাঁকে লক্ষ্য বানান।
ইয়ামাগামির আইনজীবী আদালতকে জানান, ব্যবহৃত অস্ত্রটি হাতে তৈরি হওয়ায় জাপানের ‘ফায়ারআর্মস অ্যান্ড সোয়ার্ডস কন্ট্রোল অ্যাক্ট’-এর অধীনে সাধারণ আগ্নেয়াস্ত্র হিসেবে গণ্য করা উচিত নয়। তাই শাস্তি কমানোর অনুরোধ জানানো হয়।
ইউনিফিকেশন চার্চের বিরুদ্ধে জাপানে দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক প্রভাব, অর্থ সংগ্রহ এবং সদস্য নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ রয়েছে। আবে হত্যার পর সংগঠনটির কার্যক্রম তদন্তের আওতায় আসে। চলতি বছরের মার্চে আদালত চার্চ বিলুপ্তির আদেশ দেয়, যদিও সংগঠনটি এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
আদালতের শুনানিতে শিনজো আবের স্ত্রী আকিয়ে আবেও উপস্থিত থাকেন। তবে ক্ষমা প্রার্থনার দিন তিনি আদালতে ছিলেন না। আগের দিন তিনি হত্যাকারীর মুখোমুখি হন এবং নীরবে শুনানি পর্যবেক্ষণ করেন।
মামলার রায় এখনো ঘোষণা হয়নি। তবে জাপানে এটি সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে আলোচিত রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড হিসেবে ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের অভিন্ন শরণার্থী নীতি কার্যকর হলে মরক্কো, আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া, সেনেগাল, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মতো কিছু দেশের আশ্রয়প্রার্থীদের আবেদন বহিঃসীমানায়ই নাকচ হতে পারে ৷ যারা ঢুকতে পারবেন, তাঁদেরও অন্য দেশে স্থানান্তরিত করা যাবে ৷
০৯ জুন ২০২৩
ভারতের সঙ্গে ১০ হাজার কোটি ডলারের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ লক্ষ্যের কথা জানান তিনি। ভারতে দুই দিনের সফরে এসে গতকাল শুক্রবার মোদির সঙ্গে বাণিজ্য,
৫ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রে বিমানবন্দরে যাত্রীদের পোশাক নিয়ে নতুন বিতর্ক দেখা দিয়েছে। মার্কিন পরিবহনমন্ত্রী শন ডাফি সম্প্রতি যাত্রীদের ‘সম্মানজনক ও ভালো’ পোশাক পরার পরামর্শ দেওয়ায় অনেকেই তা মেনে নেওয়ার বদলে প্রতিবাদ হিসেবে বিমানবন্দরে পায়জামা পরে হাজির হচ্ছেন।
৫ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্র তার ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত দেশের সংখ্যা আরও বাড়াতে যাচ্ছে। নিরাপত্তা জোরদারের অংশ হিসেবে বর্তমান তালিকায় নতুন আরও কিছু দেশ যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির (ডিএইচএস) প্রধান ক্রিস্টি নোয়েম।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের সঙ্গে ১০ হাজার কোটি ডলারের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ লক্ষ্যের কথা জানান তিনি। ভারতে দুই দিনের সফরে এসে গতকাল শুক্রবার মোদির সঙ্গে বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও অস্ত্র চুক্তির বিষয়ে আলোচনা করেন পুতিন।
মোদির সঙ্গে হওয়া বৈঠকে ‘গঠনমূলক ও বন্ধুত্বসুলভ’ বলে প্রশংসা করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। ২০২৪ সালে প্রায় ৬ হাজার ৪০০ কোটি ডলার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য হওয়ার কথা উল্লেখ করে পুতিন বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে ১০ হাজার কোটি ডলারের বাণিজ্যের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ভারতে গতকাল রাশিয়ার টিভি চ্যানেল আরটিকে এ বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন পুতিন। এ সময় বৈশ্বিক ইস্যুতে ভারত ও রাশিয়া—দুই দেশের সামঞ্জস্যতার কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। এ ছাড়া জ্বালানি খাত, বিশেষ করে কুদানকুলাম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে সহযোগিতার বিস্তারিত আলোচনা করেন তিনি। ভারতীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে রাশিয়ার কালুগা অঞ্চলে একটি নতুন ওষুধ কারখানা স্থাপনের ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট।
দুই দিনের সফরে পুতিনকে বিমানবন্দরে আলিঙ্গন করে উষ্ণ অভ্যর্থনা জান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর পরই পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে পারে, তবে ভারত কেন তা পারবে না।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, নয়াদিল্লিতে অবতরণের কয়েক ঘণ্টা পর পুতিন ভারতীয় সম্প্রচারমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেতে এ মন্তব্য মন্তব্য করেন। এই সফরের সময় উভয় দেশ পারস্পরিক বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং লেনদেনের ক্ষেত্রে পণ্যের বৈচিত্র্য বাড়ানোর চেষ্টা করবে।
ইউক্রেনে মস্কোর আগ্রাসনের কারণে যুক্তরাষ্ট্র যখন ভারতকে রাশিয়াকে এড়িয়ে চলতে চাপ দিচ্ছে, ঠিক তখন চার বছরে পুতিনের এই প্রথম ভারত সফরের লক্ষ্য হলো রাশিয়ার তেল, ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ও যুদ্ধবিমানের বিক্রি বাড়ানো এবং জ্বালানি ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের বাইরেও ব্যবসায়িক সম্পর্ক প্রসারিত করা।
নয়াদিল্লি ও মস্কোর মধ্যে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সময় থেকে দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে এবং বহু দশক ধরে রাশিয়া ভারতের প্রধান অস্ত্র সরবরাহের উৎস। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মস্কো ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করার পর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও ভারত সমুদ্রপথে আসা রাশিয়ার তেলের শীর্ষ ক্রেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
তবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন যখন বলছে, ভারতের সস্তায় রুশ তেল কেনা মস্কোর ইউক্রেন যুদ্ধে অর্থায়নে সাহায্য করছে, তখন ভারতীয় পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শাস্তিমূলক শুল্ক এবং রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা কঠোর হওয়ার ফলে এই মাসে ভারতের অপরিশোধিত তেল আমদানি তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন হতে চলেছে।
পুতিন ইন্ডিয়া টুডেকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র নিজেই এখনো তার নিজস্ব পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর জন্য আমাদের কাছ থেকে পারমাণবিক জ্বালানি কেনে। সেটিও তো জ্বালানি।’
ভারত বলেছে, ট্রাম্পের শুল্ক অন্যায্য ও অযৌক্তিক এবং মস্কোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের চলমান বাণিজ্যের দিকে ইঙ্গিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখনো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে শুরু করে সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম পর্যন্ত কোটি কোটি ডলারের রাশিয়ান জ্বালানি ও পণ্য আমদানি অব্যাহত রেখেছে।
পশ্চিমাদের চাপের কারণে ভারতীয় তেলের ক্রয় কমেছে কি না, জানতে চাইলে পুতিন বলেন, ‘এই বছরের প্রথম ৯ মাসে সামগ্রিক বাণিজ্যের পরিমাণে কিছুটা হ্রাস দেখা গেছে।’ তিনি যোগ করেন, ‘এটা কেবল একটি সামান্য সমন্বয়। সামগ্রিকভাবে, আমাদের বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় আগের মতোই আছে।’ তিনি আরও বলেন, রাশিয়ার তেলের বাণিজ্য ভারতে মসৃণভাবে চলছে।
ভারত ও রাশিয়ার ট্রাম্প এবং তাঁর শুল্কের সঙ্গে কীভাবে মোকাবিলা করা উচিত—জানতে চাইলে পুতিন বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন কিছু উপদেষ্টা আছেন, যাঁরা বিশ্বাস করেন, এ ধরনের শুল্কনীতি বাস্তবায়ন চূড়ান্তভাবে মার্কিন অর্থনীতির জন্য উপকারী। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি, শেষ পর্যন্ত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সব নিয়ম লঙ্ঘন সংশোধন করা হবে।’
এর কয়েক ঘণ্টা আগে নরেন্দ্র মোদি দিল্লিতে বিমানবন্দরে পুতিনকে স্বাগত জানান। বিমানবন্দরের রানওয়েতে লাল গালিচার ওপর তাঁরা একে অপরকে আলিঙ্গন করেন এবং প্রধানমন্ত্রী মোদি আয়োজিত একটি ব্যক্তিগত নৈশভোজের জন্য একই গাড়িতে তাঁরা চলে যান।
পুতিনের এই সফরে রাশিয়ার ঊর্ধ্বতন মন্ত্রী এবং একটি বড় রাশিয়ান ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদল নয়াদিল্লিতে উপস্থিত ছিল। গতকাল দুই নেতা শীর্ষ বৈঠক করেন, যেখানে একাধিক চুক্তি ঘোষণা করার কথা রয়েছে।
পুতিন ভারতকে আরও রুশ অস্ত্র কেনার জন্য চাপ দেবেন বলেও আশা করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রেও নয়াদিল্লিকে ওয়াশিংটনের চাপের মুখে পড়তে হয়েছে। মস্কো ভারতে আরও এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং এসইউ-৫৭ স্টেল্থ যুদ্ধবিমান বিক্রি করার আশা করছে।
ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের জন্য চাপ দিতে গতকালের বৈঠকের মাত্র কয়েক দিন আগে পুতিন মস্কোয় মার্কিন এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেখা করেন। সেই বৈঠকের পর উভয় পক্ষই অগ্রগতির প্রশংসা করে, যদিও কোনো যুগান্তকারী সমাধান হয়নি। গত বৃহস্পতিবার মার্কিন কর্মকর্তারা ইউক্রেনের এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন। ভারত যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার নিন্দা করা থেকে বিরত থেকেছে এবং আলাপ-আলোচনা ও কূটনীতির মাধ্যমে শান্তির আহ্বান জানিয়েছে।

ভারতের সঙ্গে ১০ হাজার কোটি ডলারের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ লক্ষ্যের কথা জানান তিনি। ভারতে দুই দিনের সফরে এসে গতকাল শুক্রবার মোদির সঙ্গে বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও অস্ত্র চুক্তির বিষয়ে আলোচনা করেন পুতিন।
মোদির সঙ্গে হওয়া বৈঠকে ‘গঠনমূলক ও বন্ধুত্বসুলভ’ বলে প্রশংসা করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। ২০২৪ সালে প্রায় ৬ হাজার ৪০০ কোটি ডলার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য হওয়ার কথা উল্লেখ করে পুতিন বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে ১০ হাজার কোটি ডলারের বাণিজ্যের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ভারতে গতকাল রাশিয়ার টিভি চ্যানেল আরটিকে এ বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন পুতিন। এ সময় বৈশ্বিক ইস্যুতে ভারত ও রাশিয়া—দুই দেশের সামঞ্জস্যতার কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। এ ছাড়া জ্বালানি খাত, বিশেষ করে কুদানকুলাম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে সহযোগিতার বিস্তারিত আলোচনা করেন তিনি। ভারতীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে রাশিয়ার কালুগা অঞ্চলে একটি নতুন ওষুধ কারখানা স্থাপনের ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট।
দুই দিনের সফরে পুতিনকে বিমানবন্দরে আলিঙ্গন করে উষ্ণ অভ্যর্থনা জান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর পরই পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে পারে, তবে ভারত কেন তা পারবে না।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, নয়াদিল্লিতে অবতরণের কয়েক ঘণ্টা পর পুতিন ভারতীয় সম্প্রচারমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেতে এ মন্তব্য মন্তব্য করেন। এই সফরের সময় উভয় দেশ পারস্পরিক বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং লেনদেনের ক্ষেত্রে পণ্যের বৈচিত্র্য বাড়ানোর চেষ্টা করবে।
ইউক্রেনে মস্কোর আগ্রাসনের কারণে যুক্তরাষ্ট্র যখন ভারতকে রাশিয়াকে এড়িয়ে চলতে চাপ দিচ্ছে, ঠিক তখন চার বছরে পুতিনের এই প্রথম ভারত সফরের লক্ষ্য হলো রাশিয়ার তেল, ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ও যুদ্ধবিমানের বিক্রি বাড়ানো এবং জ্বালানি ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের বাইরেও ব্যবসায়িক সম্পর্ক প্রসারিত করা।
নয়াদিল্লি ও মস্কোর মধ্যে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সময় থেকে দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে এবং বহু দশক ধরে রাশিয়া ভারতের প্রধান অস্ত্র সরবরাহের উৎস। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মস্কো ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করার পর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও ভারত সমুদ্রপথে আসা রাশিয়ার তেলের শীর্ষ ক্রেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
তবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন যখন বলছে, ভারতের সস্তায় রুশ তেল কেনা মস্কোর ইউক্রেন যুদ্ধে অর্থায়নে সাহায্য করছে, তখন ভারতীয় পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শাস্তিমূলক শুল্ক এবং রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা কঠোর হওয়ার ফলে এই মাসে ভারতের অপরিশোধিত তেল আমদানি তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন হতে চলেছে।
পুতিন ইন্ডিয়া টুডেকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র নিজেই এখনো তার নিজস্ব পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর জন্য আমাদের কাছ থেকে পারমাণবিক জ্বালানি কেনে। সেটিও তো জ্বালানি।’
ভারত বলেছে, ট্রাম্পের শুল্ক অন্যায্য ও অযৌক্তিক এবং মস্কোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের চলমান বাণিজ্যের দিকে ইঙ্গিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখনো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে শুরু করে সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম পর্যন্ত কোটি কোটি ডলারের রাশিয়ান জ্বালানি ও পণ্য আমদানি অব্যাহত রেখেছে।
পশ্চিমাদের চাপের কারণে ভারতীয় তেলের ক্রয় কমেছে কি না, জানতে চাইলে পুতিন বলেন, ‘এই বছরের প্রথম ৯ মাসে সামগ্রিক বাণিজ্যের পরিমাণে কিছুটা হ্রাস দেখা গেছে।’ তিনি যোগ করেন, ‘এটা কেবল একটি সামান্য সমন্বয়। সামগ্রিকভাবে, আমাদের বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় আগের মতোই আছে।’ তিনি আরও বলেন, রাশিয়ার তেলের বাণিজ্য ভারতে মসৃণভাবে চলছে।
ভারত ও রাশিয়ার ট্রাম্প এবং তাঁর শুল্কের সঙ্গে কীভাবে মোকাবিলা করা উচিত—জানতে চাইলে পুতিন বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন কিছু উপদেষ্টা আছেন, যাঁরা বিশ্বাস করেন, এ ধরনের শুল্কনীতি বাস্তবায়ন চূড়ান্তভাবে মার্কিন অর্থনীতির জন্য উপকারী। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি, শেষ পর্যন্ত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সব নিয়ম লঙ্ঘন সংশোধন করা হবে।’
এর কয়েক ঘণ্টা আগে নরেন্দ্র মোদি দিল্লিতে বিমানবন্দরে পুতিনকে স্বাগত জানান। বিমানবন্দরের রানওয়েতে লাল গালিচার ওপর তাঁরা একে অপরকে আলিঙ্গন করেন এবং প্রধানমন্ত্রী মোদি আয়োজিত একটি ব্যক্তিগত নৈশভোজের জন্য একই গাড়িতে তাঁরা চলে যান।
পুতিনের এই সফরে রাশিয়ার ঊর্ধ্বতন মন্ত্রী এবং একটি বড় রাশিয়ান ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদল নয়াদিল্লিতে উপস্থিত ছিল। গতকাল দুই নেতা শীর্ষ বৈঠক করেন, যেখানে একাধিক চুক্তি ঘোষণা করার কথা রয়েছে।
পুতিন ভারতকে আরও রুশ অস্ত্র কেনার জন্য চাপ দেবেন বলেও আশা করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রেও নয়াদিল্লিকে ওয়াশিংটনের চাপের মুখে পড়তে হয়েছে। মস্কো ভারতে আরও এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং এসইউ-৫৭ স্টেল্থ যুদ্ধবিমান বিক্রি করার আশা করছে।
ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের জন্য চাপ দিতে গতকালের বৈঠকের মাত্র কয়েক দিন আগে পুতিন মস্কোয় মার্কিন এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেখা করেন। সেই বৈঠকের পর উভয় পক্ষই অগ্রগতির প্রশংসা করে, যদিও কোনো যুগান্তকারী সমাধান হয়নি। গত বৃহস্পতিবার মার্কিন কর্মকর্তারা ইউক্রেনের এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন। ভারত যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার নিন্দা করা থেকে বিরত থেকেছে এবং আলাপ-আলোচনা ও কূটনীতির মাধ্যমে শান্তির আহ্বান জানিয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের অভিন্ন শরণার্থী নীতি কার্যকর হলে মরক্কো, আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া, সেনেগাল, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মতো কিছু দেশের আশ্রয়প্রার্থীদের আবেদন বহিঃসীমানায়ই নাকচ হতে পারে ৷ যারা ঢুকতে পারবেন, তাঁদেরও অন্য দেশে স্থানান্তরিত করা যাবে ৷
০৯ জুন ২০২৩
২০২২ সালের জুলাইয়ে নির্বাচনী প্রচারণার সময় জাপানের নারা শহরে স্থানীয়ভাবে তৈরি বন্দুক দিয়ে গুলি করে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে হত্যা করেন ৪৫ বছর বয়সী ইয়ামাগামি। কঠোর অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ এবং অত্যন্ত কম অপরাধ প্রবণতার দেশ জাপানে এই হত্যাকাণ্ড বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তোলে।
৪ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রে বিমানবন্দরে যাত্রীদের পোশাক নিয়ে নতুন বিতর্ক দেখা দিয়েছে। মার্কিন পরিবহনমন্ত্রী শন ডাফি সম্প্রতি যাত্রীদের ‘সম্মানজনক ও ভালো’ পোশাক পরার পরামর্শ দেওয়ায় অনেকেই তা মেনে নেওয়ার বদলে প্রতিবাদ হিসেবে বিমানবন্দরে পায়জামা পরে হাজির হচ্ছেন।
৫ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্র তার ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত দেশের সংখ্যা আরও বাড়াতে যাচ্ছে। নিরাপত্তা জোরদারের অংশ হিসেবে বর্তমান তালিকায় নতুন আরও কিছু দেশ যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির (ডিএইচএস) প্রধান ক্রিস্টি নোয়েম।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রে বিমানবন্দরে যাত্রীদের পোশাক নিয়ে নতুন বিতর্ক দেখা দিয়েছে। মার্কিন পরিবহনমন্ত্রী শন ডাফি সম্প্রতি যাত্রীদের ‘সম্মানজনক ও ভালো’ পোশাক পরার পরামর্শ দেওয়ায় অনেকেই তা মেনে নেওয়ার বদলে প্রতিবাদ হিসেবে বিমানবন্দরে পায়জামা পরে হাজির হচ্ছেন।
শুক্রবার যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন গত নভেম্বর থেকে ‘দ্য গোল্ডেন এজ অব ট্রাভেল স্টার্টস উইথ ইউ’ শিরোনামে একটি প্রচারণা শুরু করেছে। এই প্রচারণার লক্ষ্য বিমান ভ্রমণে শালীনতা, সৌজন্য এবং শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা। এক সংবাদ সম্মেলনে ডাফি বলেন, ‘জিনস আর পরিষ্কার শার্টই যথেষ্ট। কিন্তু আমরা যেন অন্তত স্লিপার আর পায়জামা পরে বিমানবন্দরে না আসি।’ তাঁর দাবি—ভালো পোশাক মানুষকে আচরণেও আরও ভদ্র করে।
তবে ডাফির এই বক্তব্য অনেকের কাছে সীমা অতিক্রম বলে মনে হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিশেষ করে টিকটক ও এক্সে বিষয়টি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। ডেমোক্রেটিক অ্যাকটিভিস্ট জনি পালমাদেসা পায়জামা পরে এক ভিডিওতে বলেন, ‘এই প্রশাসনের অগ্রাধিকার একেবারেই সঠিক নয়।’ তিনি মত দেন, ট্রাম্প এবং ডাফির উচিত বিমান ভাড়া ও ভ্রমণ ব্যয় কমানো, যাতে মানুষ চাইলেই সুন্দর পোশাক কিনতে পারে।
আরেকজন টিকটকার পায়জামা পরে বিমানবন্দরে যাওয়ার ভিডিও পোস্ট করে লিখেছেন, ‘যেহেতু নিষেধ করা হয়েছে, এখন অবশ্যই পায়জামা পরেই যাব!’
বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক বাড়তে থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহন দপ্তর এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি।
এদিকে, নতুন এই প্রচারণার পক্ষে বিভাগটি ২০১৯ সালের পর যাত্রী অসদাচরণ বৃদ্ধির তথ্য তুলে ধরেছে। তাদের দাবি—গত চার বছরে যাত্রীদের প্রায় ১৪ হাজার বিশৃঙ্খল আচরণের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে, যা আগের তুলনায় ৪০০ শতাংশ বেশি।

যুক্তরাষ্ট্রে বিমানবন্দরে যাত্রীদের পোশাক নিয়ে নতুন বিতর্ক দেখা দিয়েছে। মার্কিন পরিবহনমন্ত্রী শন ডাফি সম্প্রতি যাত্রীদের ‘সম্মানজনক ও ভালো’ পোশাক পরার পরামর্শ দেওয়ায় অনেকেই তা মেনে নেওয়ার বদলে প্রতিবাদ হিসেবে বিমানবন্দরে পায়জামা পরে হাজির হচ্ছেন।
শুক্রবার যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন গত নভেম্বর থেকে ‘দ্য গোল্ডেন এজ অব ট্রাভেল স্টার্টস উইথ ইউ’ শিরোনামে একটি প্রচারণা শুরু করেছে। এই প্রচারণার লক্ষ্য বিমান ভ্রমণে শালীনতা, সৌজন্য এবং শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা। এক সংবাদ সম্মেলনে ডাফি বলেন, ‘জিনস আর পরিষ্কার শার্টই যথেষ্ট। কিন্তু আমরা যেন অন্তত স্লিপার আর পায়জামা পরে বিমানবন্দরে না আসি।’ তাঁর দাবি—ভালো পোশাক মানুষকে আচরণেও আরও ভদ্র করে।
তবে ডাফির এই বক্তব্য অনেকের কাছে সীমা অতিক্রম বলে মনে হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিশেষ করে টিকটক ও এক্সে বিষয়টি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। ডেমোক্রেটিক অ্যাকটিভিস্ট জনি পালমাদেসা পায়জামা পরে এক ভিডিওতে বলেন, ‘এই প্রশাসনের অগ্রাধিকার একেবারেই সঠিক নয়।’ তিনি মত দেন, ট্রাম্প এবং ডাফির উচিত বিমান ভাড়া ও ভ্রমণ ব্যয় কমানো, যাতে মানুষ চাইলেই সুন্দর পোশাক কিনতে পারে।
আরেকজন টিকটকার পায়জামা পরে বিমানবন্দরে যাওয়ার ভিডিও পোস্ট করে লিখেছেন, ‘যেহেতু নিষেধ করা হয়েছে, এখন অবশ্যই পায়জামা পরেই যাব!’
বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক বাড়তে থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহন দপ্তর এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি।
এদিকে, নতুন এই প্রচারণার পক্ষে বিভাগটি ২০১৯ সালের পর যাত্রী অসদাচরণ বৃদ্ধির তথ্য তুলে ধরেছে। তাদের দাবি—গত চার বছরে যাত্রীদের প্রায় ১৪ হাজার বিশৃঙ্খল আচরণের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে, যা আগের তুলনায় ৪০০ শতাংশ বেশি।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের অভিন্ন শরণার্থী নীতি কার্যকর হলে মরক্কো, আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া, সেনেগাল, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মতো কিছু দেশের আশ্রয়প্রার্থীদের আবেদন বহিঃসীমানায়ই নাকচ হতে পারে ৷ যারা ঢুকতে পারবেন, তাঁদেরও অন্য দেশে স্থানান্তরিত করা যাবে ৷
০৯ জুন ২০২৩
২০২২ সালের জুলাইয়ে নির্বাচনী প্রচারণার সময় জাপানের নারা শহরে স্থানীয়ভাবে তৈরি বন্দুক দিয়ে গুলি করে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে হত্যা করেন ৪৫ বছর বয়সী ইয়ামাগামি। কঠোর অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ এবং অত্যন্ত কম অপরাধ প্রবণতার দেশ জাপানে এই হত্যাকাণ্ড বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তোলে।
৪ ঘণ্টা আগে
ভারতের সঙ্গে ১০ হাজার কোটি ডলারের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ লক্ষ্যের কথা জানান তিনি। ভারতে দুই দিনের সফরে এসে গতকাল শুক্রবার মোদির সঙ্গে বাণিজ্য,
৫ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্র তার ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত দেশের সংখ্যা আরও বাড়াতে যাচ্ছে। নিরাপত্তা জোরদারের অংশ হিসেবে বর্তমান তালিকায় নতুন আরও কিছু দেশ যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির (ডিএইচএস) প্রধান ক্রিস্টি নোয়েম।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্র তার ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত দেশের সংখ্যা আরও বাড়াতে যাচ্ছে। নিরাপত্তা জোরদারের অংশ হিসেবে বর্তমান তালিকায় নতুন আরও কিছু দেশ যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির (ডিএইচএস) প্রধান ক্রিস্টি নোয়েম। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) ফক্স নিউজের ‘দ্য ইনগ্রাহাম অ্যাঙ্গেল’–এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বিষয়টি তুলে ধরেন।
সাক্ষাৎকারে নোয়েমকে প্রশ্ন করা হয়, ট্রাম্প প্রশাসন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা দেশের সংখ্যা ৩২-এ উন্নীত করতে যাচ্ছে কিনা। জবাবে তিনি সুনির্দিষ্ট সংখ্যা না জানালেও বলেন, ‘সংখ্যা ৩০-এর বেশি হবে এবং প্রেসিডেন্ট বিভিন্ন দেশ নিয়ে বিবেচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।’
চলতি বছরের জুনে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশে ১২টি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেন এবং আরও ৭টি দেশের ওপর ভ্রমণ সীমাবদ্ধতা আরোপ করেন। বিদেশি সন্ত্রাসী ও নিরাপত্তা ঝুঁকি ঠেকাতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করে প্রশাসন। এই নিষেধাজ্ঞা শুধু অভিবাসনের জন্য আবেদনকারীদের নয়, পর্যটক, ব্যবসায়ী এবং শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।
ক্রিস্টি নোয়েম জানান, যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশাধিকার পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারের স্থিতিশীলতা ও পরিচয় যাচাই ব্যবস্থার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘যদি কোনো দেশের স্থিতিশীল সরকার না থাকে এবং তারা তাদের নাগরিকদের পরিচয় নিশ্চিত করতে না পারে, তাহলে কেন আমরা সেই দেশের মানুষকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে দেব?’
ইতিপূর্বে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ট্রাম্প প্রশাসন আরও ৩৬টি দেশের নাগরিকদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বিবেচনা করছে।
গত সপ্তাহে ওয়াশিংটন ডিসিতে দুই ন্যাশনাল গার্ড সদস্যকে হত্যার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা নীতি আরও কঠোর হওয়ার প্রেক্ষাপট তৈরি হয়। ঘটনাটির সঙ্গে অভিযুক্ত আফগান নাগরিক ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পুনর্বাসন কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রবেশ করেছিলেন, যা নিয়ে প্রশাসনের মধ্যে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।
এদিকে অভিবাসন অধিকার সংগঠন ও আইনপ্রণেতারা এই সিদ্ধান্তকে কঠোর ও বৈষম্যমূলক বলে সমালোচনা করছেন। তাঁদের অভিযোগ, এই নীতি অভিবাসন প্রক্রিয়াকে অকারণে স্থবির করছে এবং এমনকি কিছু ক্ষেত্রে নাগরিকত্ব প্রদানের অনুষ্ঠানও বাতিল করা হচ্ছে।
অভিবাসন বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের এই নতুন পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রে আগ্রহী অনেক আবেদনকারীর ভবিষ্যৎকে অনিশ্চিত করে তুলেছে।

যুক্তরাষ্ট্র তার ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত দেশের সংখ্যা আরও বাড়াতে যাচ্ছে। নিরাপত্তা জোরদারের অংশ হিসেবে বর্তমান তালিকায় নতুন আরও কিছু দেশ যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির (ডিএইচএস) প্রধান ক্রিস্টি নোয়েম। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) ফক্স নিউজের ‘দ্য ইনগ্রাহাম অ্যাঙ্গেল’–এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বিষয়টি তুলে ধরেন।
সাক্ষাৎকারে নোয়েমকে প্রশ্ন করা হয়, ট্রাম্প প্রশাসন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা দেশের সংখ্যা ৩২-এ উন্নীত করতে যাচ্ছে কিনা। জবাবে তিনি সুনির্দিষ্ট সংখ্যা না জানালেও বলেন, ‘সংখ্যা ৩০-এর বেশি হবে এবং প্রেসিডেন্ট বিভিন্ন দেশ নিয়ে বিবেচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।’
চলতি বছরের জুনে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশে ১২টি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেন এবং আরও ৭টি দেশের ওপর ভ্রমণ সীমাবদ্ধতা আরোপ করেন। বিদেশি সন্ত্রাসী ও নিরাপত্তা ঝুঁকি ঠেকাতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করে প্রশাসন। এই নিষেধাজ্ঞা শুধু অভিবাসনের জন্য আবেদনকারীদের নয়, পর্যটক, ব্যবসায়ী এবং শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।
ক্রিস্টি নোয়েম জানান, যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশাধিকার পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারের স্থিতিশীলতা ও পরিচয় যাচাই ব্যবস্থার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘যদি কোনো দেশের স্থিতিশীল সরকার না থাকে এবং তারা তাদের নাগরিকদের পরিচয় নিশ্চিত করতে না পারে, তাহলে কেন আমরা সেই দেশের মানুষকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে দেব?’
ইতিপূর্বে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ট্রাম্প প্রশাসন আরও ৩৬টি দেশের নাগরিকদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বিবেচনা করছে।
গত সপ্তাহে ওয়াশিংটন ডিসিতে দুই ন্যাশনাল গার্ড সদস্যকে হত্যার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা নীতি আরও কঠোর হওয়ার প্রেক্ষাপট তৈরি হয়। ঘটনাটির সঙ্গে অভিযুক্ত আফগান নাগরিক ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পুনর্বাসন কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রবেশ করেছিলেন, যা নিয়ে প্রশাসনের মধ্যে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।
এদিকে অভিবাসন অধিকার সংগঠন ও আইনপ্রণেতারা এই সিদ্ধান্তকে কঠোর ও বৈষম্যমূলক বলে সমালোচনা করছেন। তাঁদের অভিযোগ, এই নীতি অভিবাসন প্রক্রিয়াকে অকারণে স্থবির করছে এবং এমনকি কিছু ক্ষেত্রে নাগরিকত্ব প্রদানের অনুষ্ঠানও বাতিল করা হচ্ছে।
অভিবাসন বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের এই নতুন পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রে আগ্রহী অনেক আবেদনকারীর ভবিষ্যৎকে অনিশ্চিত করে তুলেছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের অভিন্ন শরণার্থী নীতি কার্যকর হলে মরক্কো, আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া, সেনেগাল, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মতো কিছু দেশের আশ্রয়প্রার্থীদের আবেদন বহিঃসীমানায়ই নাকচ হতে পারে ৷ যারা ঢুকতে পারবেন, তাঁদেরও অন্য দেশে স্থানান্তরিত করা যাবে ৷
০৯ জুন ২০২৩
২০২২ সালের জুলাইয়ে নির্বাচনী প্রচারণার সময় জাপানের নারা শহরে স্থানীয়ভাবে তৈরি বন্দুক দিয়ে গুলি করে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে হত্যা করেন ৪৫ বছর বয়সী ইয়ামাগামি। কঠোর অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ এবং অত্যন্ত কম অপরাধ প্রবণতার দেশ জাপানে এই হত্যাকাণ্ড বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তোলে।
৪ ঘণ্টা আগে
ভারতের সঙ্গে ১০ হাজার কোটি ডলারের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ লক্ষ্যের কথা জানান তিনি। ভারতে দুই দিনের সফরে এসে গতকাল শুক্রবার মোদির সঙ্গে বাণিজ্য,
৫ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রে বিমানবন্দরে যাত্রীদের পোশাক নিয়ে নতুন বিতর্ক দেখা দিয়েছে। মার্কিন পরিবহনমন্ত্রী শন ডাফি সম্প্রতি যাত্রীদের ‘সম্মানজনক ও ভালো’ পোশাক পরার পরামর্শ দেওয়ায় অনেকেই তা মেনে নেওয়ার বদলে প্রতিবাদ হিসেবে বিমানবন্দরে পায়জামা পরে হাজির হচ্ছেন।
৫ ঘণ্টা আগে