ফিরোজ আহম্মেদ, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী)

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ শহর এখন কৃষ্ণচূড়ার রঙে রঙিন, বিশেষ করে গোয়ালন্দ রেলস্টেশনসংলগ্ন রেললাইনের পাশ দিয়ে প্রায় শতাধিক গাছে শোভা পাচ্ছে কৃষ্ণচূড়া ফুল। আর এ গাছগুলো রোপণ করেছেন স্থানীয় কিছু শিক্ষিত ও সৌন্দর্যপ্রেমী যুবক। তাঁদের রয়েছে একটি সামাজিক সংগঠন, যার নাম ‘একজ জাগরণে’।
পঞ্জিকা অনুসারে প্রকৃতিতে এখন গ্রীষ্মকাল। এ ঋতুতে কখনো কালবৈশাখীর রুদ্র তাণ্ডব, কখনো রোদের খরতাপ। এখন কৃষ্ণচূড়া ফোটার সময়। এখন গাছজুড়ে লাল রঙের ফুলের সমারোহ। এই কৃষ্ণচূড়া ফুল গাছের সবুজ পাতাকে ঢেকে দিয়ে নীরবে সৌন্দর্য বিলাচ্ছে।
জানা গেছে, প্রায় ১১ বছর আগে রেললাইনের দুই পাশসহ উপজেলার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বাজারে অন্তত এক হাজারেরও বেশি কৃষ্ণচূড়া গাছের চারা রোপণ করে একজ জাগরণের সদস্যরা। এখন সেই চারা বড় হয়েছে, শোভা ও সৌন্দর্য বাড়াচ্ছে এলাকার।
সংগঠনটি পাখি সংরক্ষণের জন্যও বিভিন্ন কাজ করে। এর মধ্যে তাদের রোপিত গাছে মাটির হাঁড়ি বেঁধে দেওয়া অন্যতম। এ ছাড়া তারা প্রাণ ও প্রকৃতি নিয়ে কাজ করে।
সংগঠনটির সদস্যরা গাছ রোপণ থেকে শুরু করে পরিচর্যা ও এর রক্ষণাবেক্ষণে উল্লেখযোগ্য কোনো সহযোগিতা নেননি। সংগঠনের সদস্যদের থেকে টাকা তুলে তাঁরা চারাগুলো রোপণসহ পরিচর্যা করেছেন। কয়েক বছর আগে একবার গাছগুলো কেটে ফেলার উদ্যোগ নেয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। সে সময় একজের সদস্যরা রেললাইনে শুয়ে রেল অবরোধ করেন। পরে রেল কর্মকর্তারা আসে। রক্ষা পায় সারি সারি কৃষ্ণচূড়া গাছ।
সরেজমিনে গোয়ালন্দ রেলস্টেশন ও তার পাশে অবস্থিত সড়কে দেখা যায়, সড়কের পাশে রোপণ করা কৃষ্ণচূড়া গাছে এ বছর ব্যাপক ফুল ফুটেছে। এলাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকজন এসে গাছের নিচে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন। অনেককেই পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছেন, অনেকে আবার নিচে পড়া ফুল কুড়াচ্ছেন।
স্থানীয়রা জানান, ১০-১১ বছর আগে কিছু যুবককে এই গাছগুলো রোপণ করতে দেখেছেন। তাঁরা ভেবেছিলেন, হয়তো রেলের পাশে বলে গাছগুলো কাটা পড়বে। একবার কাটার চেষ্টা চালালেও তা হয়নি। গাছগুলো যখন ছিল না, তখন রাস্তা দিয়ে দিনের বেলায় প্রচণ্ড রোদে হাঁটায় কষ্ট হতো। এই গাছগুলোর জন্য এখন তাঁদের চলাচল অনেক সহজ হয়েছে। তাঁরা এখন গাছের নিচে বসতে পারেন, বিকেলের দিকে এই গাছের নিচে আড্ডা বসে। এ ছাড়া এলাকার অনেক হাট এই গাছের নিচেই বসে।
একজ জাগরণের সদস্য শামীম আহমেদ বলেন, ‘গাছগুলো যখন আমরা রেললাইনের পাশ দিয়ে রোপণ করি, তখন আমাদের উন্মাদ, পাগলসহ আরও অনেক কিছু বলেছে অনেকেই। কিন্তু আমরা এসবে কান দিইনি, আমরা আমাদের কাজ করে গেছি। ১১ বছর পর যখন গাছগুলো বড় হয়েছে ও তাতে ফুল ফুটছে, তখন কত খুশি লাগে তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। তবে আবার কষ্টও লাগে যখন দেখি, কিছু লোক বিভিন্ন ব্যানার-পোস্টার পেরেক ঠুকে গাছে ঝোলায়।’
একজ জাগরণের আহ্বায়ক সুজন সরওয়ার বলেন, এলাকার সৌন্দর্য ও পরিবেশের কথা বিবেচনা করে আমরা প্রতিবছর গাছ রোপণ করে থাকি। এ পর্যন্ত আমরা কয়েক হাজার গাছ রোপণ করেছি। কৃষ্ণচূড়া ও হাজারখানেক তালগাছ বিভিন্ন স্থানে রোপণ করা হয়েছে। আমরা সব সময় প্রাণ ও প্রকৃতি নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করি, আমরা নিজেদের অর্থায়নে এ ধরনের কর্মকাণ্ডগুলো পরিচালনা করে থাকি।
সুজন সরওয়ার আরও বলেন, গাছ ও ফুল শোভাবর্ধন করলেও এ সৌন্দর্যে ভাটা ফেলছে বিভিন্ন ব্যানার ও পোস্টার। আমাদের অসচেতনতার কারণে প্রাণ ও প্রকৃতির ক্ষতি হচ্ছে, যা আমাদের বোঝা উচিত। এ নিয়ে আমাদের আরও সচেতন হতে হবে।

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ শহর এখন কৃষ্ণচূড়ার রঙে রঙিন, বিশেষ করে গোয়ালন্দ রেলস্টেশনসংলগ্ন রেললাইনের পাশ দিয়ে প্রায় শতাধিক গাছে শোভা পাচ্ছে কৃষ্ণচূড়া ফুল। আর এ গাছগুলো রোপণ করেছেন স্থানীয় কিছু শিক্ষিত ও সৌন্দর্যপ্রেমী যুবক। তাঁদের রয়েছে একটি সামাজিক সংগঠন, যার নাম ‘একজ জাগরণে’।
পঞ্জিকা অনুসারে প্রকৃতিতে এখন গ্রীষ্মকাল। এ ঋতুতে কখনো কালবৈশাখীর রুদ্র তাণ্ডব, কখনো রোদের খরতাপ। এখন কৃষ্ণচূড়া ফোটার সময়। এখন গাছজুড়ে লাল রঙের ফুলের সমারোহ। এই কৃষ্ণচূড়া ফুল গাছের সবুজ পাতাকে ঢেকে দিয়ে নীরবে সৌন্দর্য বিলাচ্ছে।
জানা গেছে, প্রায় ১১ বছর আগে রেললাইনের দুই পাশসহ উপজেলার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বাজারে অন্তত এক হাজারেরও বেশি কৃষ্ণচূড়া গাছের চারা রোপণ করে একজ জাগরণের সদস্যরা। এখন সেই চারা বড় হয়েছে, শোভা ও সৌন্দর্য বাড়াচ্ছে এলাকার।
সংগঠনটি পাখি সংরক্ষণের জন্যও বিভিন্ন কাজ করে। এর মধ্যে তাদের রোপিত গাছে মাটির হাঁড়ি বেঁধে দেওয়া অন্যতম। এ ছাড়া তারা প্রাণ ও প্রকৃতি নিয়ে কাজ করে।
সংগঠনটির সদস্যরা গাছ রোপণ থেকে শুরু করে পরিচর্যা ও এর রক্ষণাবেক্ষণে উল্লেখযোগ্য কোনো সহযোগিতা নেননি। সংগঠনের সদস্যদের থেকে টাকা তুলে তাঁরা চারাগুলো রোপণসহ পরিচর্যা করেছেন। কয়েক বছর আগে একবার গাছগুলো কেটে ফেলার উদ্যোগ নেয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। সে সময় একজের সদস্যরা রেললাইনে শুয়ে রেল অবরোধ করেন। পরে রেল কর্মকর্তারা আসে। রক্ষা পায় সারি সারি কৃষ্ণচূড়া গাছ।
সরেজমিনে গোয়ালন্দ রেলস্টেশন ও তার পাশে অবস্থিত সড়কে দেখা যায়, সড়কের পাশে রোপণ করা কৃষ্ণচূড়া গাছে এ বছর ব্যাপক ফুল ফুটেছে। এলাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকজন এসে গাছের নিচে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন। অনেককেই পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছেন, অনেকে আবার নিচে পড়া ফুল কুড়াচ্ছেন।
স্থানীয়রা জানান, ১০-১১ বছর আগে কিছু যুবককে এই গাছগুলো রোপণ করতে দেখেছেন। তাঁরা ভেবেছিলেন, হয়তো রেলের পাশে বলে গাছগুলো কাটা পড়বে। একবার কাটার চেষ্টা চালালেও তা হয়নি। গাছগুলো যখন ছিল না, তখন রাস্তা দিয়ে দিনের বেলায় প্রচণ্ড রোদে হাঁটায় কষ্ট হতো। এই গাছগুলোর জন্য এখন তাঁদের চলাচল অনেক সহজ হয়েছে। তাঁরা এখন গাছের নিচে বসতে পারেন, বিকেলের দিকে এই গাছের নিচে আড্ডা বসে। এ ছাড়া এলাকার অনেক হাট এই গাছের নিচেই বসে।
একজ জাগরণের সদস্য শামীম আহমেদ বলেন, ‘গাছগুলো যখন আমরা রেললাইনের পাশ দিয়ে রোপণ করি, তখন আমাদের উন্মাদ, পাগলসহ আরও অনেক কিছু বলেছে অনেকেই। কিন্তু আমরা এসবে কান দিইনি, আমরা আমাদের কাজ করে গেছি। ১১ বছর পর যখন গাছগুলো বড় হয়েছে ও তাতে ফুল ফুটছে, তখন কত খুশি লাগে তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। তবে আবার কষ্টও লাগে যখন দেখি, কিছু লোক বিভিন্ন ব্যানার-পোস্টার পেরেক ঠুকে গাছে ঝোলায়।’
একজ জাগরণের আহ্বায়ক সুজন সরওয়ার বলেন, এলাকার সৌন্দর্য ও পরিবেশের কথা বিবেচনা করে আমরা প্রতিবছর গাছ রোপণ করে থাকি। এ পর্যন্ত আমরা কয়েক হাজার গাছ রোপণ করেছি। কৃষ্ণচূড়া ও হাজারখানেক তালগাছ বিভিন্ন স্থানে রোপণ করা হয়েছে। আমরা সব সময় প্রাণ ও প্রকৃতি নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করি, আমরা নিজেদের অর্থায়নে এ ধরনের কর্মকাণ্ডগুলো পরিচালনা করে থাকি।
সুজন সরওয়ার আরও বলেন, গাছ ও ফুল শোভাবর্ধন করলেও এ সৌন্দর্যে ভাটা ফেলছে বিভিন্ন ব্যানার ও পোস্টার। আমাদের অসচেতনতার কারণে প্রাণ ও প্রকৃতির ক্ষতি হচ্ছে, যা আমাদের বোঝা উচিত। এ নিয়ে আমাদের আরও সচেতন হতে হবে।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫