Ajker Patrika

সালমানের সঙ্গে শাবনূরের গোপন ভারত সফর

খায়রুল বাসার নির্ঝর, ঢাকা
আপডেট : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫: ২৮
সালমানের সঙ্গে শাবনূরের গোপন ভারত সফর

ঘুম থেকে উঠেই গৃহকর্মী মনোয়ারার কাছে পানি চাইলেন সালমান শাহ। কলবেল বাজল। নিজেই দরজা খুলে দিলেন। বাইরে মালি জাকির। তিন মাসের বেতন পাওনা ছিল তাঁর। টাকাটা চাইলে কোনো উত্তর না দিয়ে ভেতরে চলে যান সালমান। ইন্টারকমে দারোয়ানকে ফোন করে বলে দেন, বাসায় যেন কাউকে ঢুকতে দেওয়া না হয়। বেডরুমের দরজার সামনে অনেকক্ষণ চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকেন সালমান। সামিরা টিভি দেখছিলেন। সালমান একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকেন তাঁর দিকে। শেষবারের মতো স্ত্রীকে দেখে বাথরুমে ঢোকেন। এরপর ড্রেসিংরুমে ঢুকে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেন। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বরের সকাল। আর কয়েক ঘণ্টা পরই দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়বে স্বপ্নের নায়কের আকস্মিক বিদায়ের খবর।

এর আগের রাতটা খুব অস্থির কেটেছে। আদালতে জমা দেওয়া পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) রিপোর্ট বলছে, ৫ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে উত্তরায় শুটিং করেছেন সালমান। সন্ধ্যার দিকে যান এফডিসিতে। ফোন করে স্ত্রী সামিরাকেও যেতে বলেছিলেন সেখানে। সামিরা গিয়ে দেখেন, স্টুডিওতে ডাবিং চলছে। আর ভেতরে ঘনিষ্ঠ হয়ে বসে আছেন সালমান ও শাবনূর। এ দৃশ্য দেখে রাগ করে বাইরে চলে আসেন সামিরা। পরদিন বাদল খন্দকারের একটি সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হওয়ার কথা ছিল সালমানের। এফডিসিতে তাঁকে টাকা দিতে গিয়েছিলেন বাদল। রাতে সালমান ও সামিরার সঙ্গে একই গাড়িতে তিনিও যান নায়কের বাসায়।

শাবনূর ও সালমান শাহবাসায় গিয়ে হঠাৎ সিদ্ধান্ত বদল করেন নায়ক। শাবনূরের সঙ্গে আর কোনো সিনেমা করবেন না জানিয়ে বাদল খন্দকারের সামনেই কন্ট্রাক্ট পেপার ছিঁড়ে ফেলেন। শাবনূরকে কেন্দ্র করে তখনো সালমান-সামিরার মধ্যে কথা-কাটাকাটি চলছিল। দুজনকে বুঝিয়ে, শান্ত থাকতে বলে চলে যান বাদল। রাতে কয়েকবার শাবনূরের কল আসে সালমানের মোবাইলে। প্রতিবারই তিনি উত্তেজিত হয়ে চিৎকার করতে থাকেন। শাবনূরকে জানিয়ে দেন তাঁকে আর কল না করতে। এ পরিস্থিতিতে সামিরা বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে চাইলে ব্যক্তিগত সহকারী আবুলকে পাঠিয়ে তাঁকে ফিরিয়ে আনেন। রাগ করে শাবনূরের উপহার দেওয়া ফ্যান ও মোবাইল ফোন মেঝেতে আছড়ে ভেঙে ফেলেন সালমান।

সালমান-সামিরার জীবনে শাবনূরের আগমন ছিল অনেকটা ঝোড়ো হাওয়ার মতো। যে ধাক্কায় এলোমেলো হয়ে পড়েছিল তাঁদের সুখের সংসার। দিনে দিনে সালমান-শাবনূর জুটি যত জনপ্রিয় হচ্ছিল, ততই ফিকে হচ্ছিল সালমান-সামিরার সম্পর্ক। অথচ ভালোবেসেই বিয়ে হয়েছিল তাঁদের। পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে তাঁদের সম্পর্কের শুরুর দিকটাও। চট্টগ্রামের একটি ফ্যাশন শোতে ১৯৯০ সালের ১২ জুলাই তাঁদের পরিচয়। ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠতা, প্রেম, বিয়ের সিদ্ধান্ত। শুরু থেকেই ছেলের এ সম্পর্কে মত ছিল না নীলা চৌধুরীর। তবে সামিরাকে বিয়ের সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন একরোখা-জেদি স্বভাবের সালমান। এ নিয়ে মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে ১৯৯২ সালের নভেম্বরে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার শুটিংয়ের সময় স্যাভলন খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন সালমান। একই বছরের ২০ ডিসেম্বর গোপনে বিয়ে করেন সালমান-সামিরা। শাবনূরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার আগপর্যন্ত ভালোই চলছিল তাঁদের সংসার।

সালমানের মৃত্যুর পর তাঁর গৃহকর্মী জরিনা বেগম আদালতে যে জবানবন্দি দেন, তাতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে সালমান-সামিরা-শাবনূরের ত্রিভুজ সম্পর্কের বিষয়টি। সালমানের বাসায় প্রায়ই যেতেন শাবনূর। নায়কের স্ত্রী এটা ভালোভাবে নিতেন না। ফলে টানাপোড়েন লেগেই থাকত। সামিরা চট্টগ্রামে থাকা অবস্থায়ও দু্ই দিন সালমানের বাসায় গিয়েছিলেন শাবনূর। একদিন সারা রাত ছিলেন, আরেক দিন বের হন রাত ১২টার দিকে। ফিরে এসে সেটা জানতে পারেন সালমানের স্ত্রী।

সামিরা ও শাবনূর—দুজনকেই ভালোবাসতেন সালমান। শাবনূরকে বিয়ে করে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবেও রাখতে চেয়েছিলেন। তবে সামিরার আপত্তিতে সেটা সম্ভব হয়নি। এই জটিল সম্পর্কের বেড়াজাল থেকে শেষ পর্যন্ত বেরোতে পারেননি সালমান শাহ। পিবিআইয়ের তদন্তে উঠে এসেছে, শুটিংয়ের সময় শাবনূরকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে থাকতেন সালমান। এমনকি ১৯৯৬ সালের ১৫ জুলাই স্ত্রীকে না জানিয়ে গোপনে শাবনূরকে নিয়ে তিনি গিয়েছিলেন ভারত সফরে। সামিরা তখন চট্টগ্রামে।

চলবে...

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার সঙ্গে শৈশবের স্মৃতি জানালেন সংগীতশিল্পী পুতুল

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ৫৩
২০০৪ সালের ১৯ জানুয়ারি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার হাত থেকে নতুন কুঁড়ি ২০০৩-এর দেশাত্মবোধক গানের প্রথম পুরস্কার গ্রহণ করছেন পুতুল। ছবি: সংগৃহীত
২০০৪ সালের ১৯ জানুয়ারি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার হাত থেকে নতুন কুঁড়ি ২০০৩-এর দেশাত্মবোধক গানের প্রথম পুরস্কার গ্রহণ করছেন পুতুল। ছবি: সংগৃহীত

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ৩০ ডিসেম্বর সকাল ৬টায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও। শোক জানিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে শৈশবের স্মৃতি ভাগ করেছেন সংগীতশিল্পী সাজিয়া সুলতানা পুতুল।

খালেদা জিয়াকে প্রথমবার দেখার স্মৃতি জানিয়ে ফেসবুকে পুতুল লেখেন, ‘জীবনে প্রথম তাঁকে দেখেছিলাম শৈশবে; ছুঁয়েছিলাম তাঁর তুলতুলে হাত। কী অভূতপূর্ব সেই অনুভূতি! বিজয়ী হয়ে যত না আনন্দ হয়েছিল, তার চাইতে কোনো অংশে কম ছিল না তাঁকে ছুঁতে পারার আনন্দ। পুরস্কার নিতে নিতে তাকিয়েছিলাম তাঁর চোখ দুটোর দিকে। মনে হয়েছিল এক মোম দিয়ে গড়া মানবী আমার সামনে দাঁড়িয়ে হাসছেন। ধূসর চুল আর শুভ্র শাড়িতে মনে হয়েছিল রাষ্ট্রপ্রধান হতে হলে বোধ হয় এতটাই আভিজাত্য নিজের ভেতর ধারণ করতে হয়।’

বড় হওয়ার পার খালেদা জিয়ার সামনে গান গাওয়ার অভিজ্ঞতা আছে পুতুলের। সেই স্মৃতির কথা জানিয়ে পুতুল লেখেন, ‘বড় হওয়ার পর আবার গান গেয়েছি তাঁর সামনে। তত দিনে সংগীতাঙ্গনে পেশাদার শিল্পী হিসেবে যাত্রা শুরু করেছি। তিনি মঞ্চে বসে, তার ঠিক কয়েক হাত দূরে দাঁড়িয়ে একই মঞ্চে গাইছি। তিনি আদর করেছিলেন সেদিন আমার পরিবেশনা শেষে। বুঝেছিলাম তিনি একজন সংস্কৃতিপ্রেমী প্রধানমন্ত্রী।’

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে পুতুল লেখেন, ‘একটা অধ্যায়ের শেষ হলো। বাংলাদেশ নামক ভূখণ্ডের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ওপারে চলে গেছেন, যিনি এ দেশের লাখো তরুণীকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন, সাধারণ একজন গৃহবধূ হয়েও আত্মবিশ্বাসের জোরে অসাধারণ হয়ে ওঠা যায়। শুধু অসাধারণ নয়, দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়াও অসম্ভব কিছু নয়। জন্ম থেকে রাজনীতির কেবল দীর্ঘ প্রেক্ষাপট থাকলেই প্রধানমন্ত্রী হওয়া যায়, এই ধারণাকে ভুল প্রমাণ করে নিজের প্রজ্ঞা আর আত্মবিশ্বাস দিয়ে তিনবার তিনি হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ভালো থাকবেন মাননীয়া। ইতিহাস আপনাকে মনে রাখবে...।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়া বড় দুঃসময়ে বিদায় নিলেন: জয়া আহসান

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ১৫
খালেদা জিয়া ও জয়া আহসান। ছবি: সংগৃহীত
খালেদা জিয়া ও জয়া আহসান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে অভিনেত্রী জয়া আহসান বলেন, খালেদা জিয়া বড় দুঃসময়ে বিদায় নিলেন।

ফেসবুকে জয়া আহসান লেখেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া বড় দুঃসময়ে বিদায় নিলেন। সামনে নির্বাচন আর গণতন্ত্রের জন্য মানুষ অপেক্ষা করছে। তাঁর উপস্থিতির মূল্যই ছিল অসামান্য।’

জয়া আরও লেখেন, ‘রাজনীতিতে মত-পথের বিরোধ থাকবে। কিন্তু সামরিক শাসনবিরোধী এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বেগম জিয়া ছিলেন প্রধান একটি চরিত্র, সাহসে ও নেতৃত্বে উজ্জ্বল। তাঁর সঙ্গে দেশের দীর্ঘ রাজনৈতিক আন্দোলনের একটি অধ্যায় শেষ হলো। তাঁর আত্মা চিরপ্রশান্তি লাভ করুক।’

গত ২৩ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন খালেদা জিয়া। আজ ৩০ ডিসেম্বর সকাল ৬টার মারা যান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোবিজ তারকাদের শোক

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
শাকিব, অপু বিশ্বাস ও জেমস। ছবি: সংগৃহীত
শাকিব, অপু বিশ্বাস ও জেমস। ছবি: সংগৃহীত

আজ ৩০ ডিসেম্বর ভোর ৬টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও।

ফেসবুকে ব্যান্ড তারকা নগরবাউল জেমস লেখেন, ‘শোক ও বিনম্র শ্রদ্ধা। বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ইন্তেকালে আমরা গভীর শোক প্রকাশ করছি। মহান আল্লাহ যেন তাঁকে জান্নাতুল ফেরদৌসের সর্বোচ্চ মাকামে অধিষ্ঠিত করেন—আমিন। শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আমরা গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।’

শাকিব খান লেখেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করছি। তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।’

জয়া আহসান লেখেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া বড় দুঃসময়ে বিদায় নিলেন। সামনে নির্বাচন আর গণতন্ত্রের জন্য মানুষ অপেক্ষা করছে। তাঁর উপস্থিতির মূল্যই ছিল অসামান্য। রাজনীতিতে মত-পথের বিরোধ থাকবে। কিন্তু সামরিক শাসনবিরোধী এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে খালেদা জিয়া ছিলেন প্রধান একটি চরিত্র, সাহসে ও নেতৃত্বে উজ্জ্বল। তাঁর সঙ্গে দেশের দীর্ঘ রাজনৈতিক আন্দোলনের একটি অধ্যায় শেষ হলো। তাঁর আত্মা চিরপ্রশান্তি লাভ করুক।’

অপু বিশ্বাস লেখেন, ‘বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার এই চিরবিদায় যেন মহাকালের সাক্ষী হয়ে রইল। একজন মহীয়সী নারীর প্রস্থান যেন যুগে যুগে বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে লেখা থাকবে। বিনম্র শ্রদ্ধা।’

শবনম বুবলী লেখেন, ‘বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তাঁর বিদেহী আত্মা চিরশান্তিতে থাকুক। আমিন।’

সিয়াম আহমেদ লেখেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।’

নুসরাত ফারিয়া লেখেন, ‘আল্লাহ তাঁকে ক্ষমা করুন এবং জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন।’

নির্মাতা আশফাক নিপুন লেখেন, ‘আল্লাহ আপনাকে জান্নাত নসিব করুন। আপনি ছিলেন ধৈর্য, আভিজাত্য এবং হার না মানার এক অনন্য প্রতীক; এমনকি প্রতিপক্ষের অমানবিক আচরণের মুখেও আপনি দমে যাননি। এই জাতি আপনাকে সব সময় গর্বের সঙ্গে মনে রাখবে।’

অনেক দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন খালেদা জিয়া। ভুগছিলেন শারীরিক বিভিন্ন জটিলতায়। গত ২৩ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ছিলেন চিকিৎসাধীন। সেখানেই মারা যান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ফরিদা পারভীনের জন্মদিনে শিল্পকলায় বিশেষ আয়োজন

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
ফরিদা পারভীন। ছবি: সংগৃহীত
ফরিদা পারভীন। ছবি: সংগৃহীত

শিষ্যদের মাঝে বেঁচে থাকতে চেয়েছেন লালনসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন। তাই লালনের গান শেখাতে গড়ে তোলেন অচিন পাখি সংগীত একাডেমি। মনের বাসনা ব্যক্ত করে ফরিদা পারভীন বলেছিলেন, ‘সাঁইজি যেমন তাঁর শিষ্যদের মাঝে বেঁচে আছেন, আমার মাঝে আমার গুরু বেঁচে আছেন, তেমনি আমার অচিন পাখির ছাত্রছাত্রীদের মাঝে আমি বেঁচে থাকতে চাই।’ আগামীকাল ৩১ ডিসেম্বর ফরিদা পারভীনের জন্মদিন উপলক্ষে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে তাঁর গড়া অচিন পাখি সংগীত একাডেমি।

আগামীকাল বুধবার বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে থাকবে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক আয়োজন। আমন্ত্রিত অতিথিরা কথায় কথায় তুলে ধরবেন শিল্পীর জীবনের নানা অধ্যায়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। বিশেষ অতিথি থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মাহবুবা ফারজানা এবং শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক রেজাউদ্দিন স্টালিন। উদ্বোধন করবেন সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ। সভাপতিত্ব করবেন ফরিদা পারভীনের জীবনসঙ্গী ও বংশীবাদক গাজী আবদুল হাকিম।

ফরিদা পারভীনের জন্ম ১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর, নাটোরে। পাঁচ বছর বয়সে মাগুরায় কমল চক্রবর্তীর কাছে গানের হাতেখড়ি ফরিদা পারভীনের। মাত্র ১৪ বছর বয়সে তাঁর পেশাদার সংগীতজীবন শুরু হয়। ক্যারিয়ারে নজরুলগীতি, দেশাত্মবোধকসহ নানা ধরনের গান করলেও তিনি মূলত জনপ্রিয়তা পেয়েছেন লালনসংগীতে। সংগীতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ফরিদা পারভীন পেয়েছেন একুশে পদক (১৯৮৭), জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৯৩), জাপানের ফুকুওয়াকা পুরস্কারসহ (২০০৮) অসংখ্য পুরস্কার।

এ বছর ১৩ সেপ্টেম্বর না ফেরার দেশে পাড়ি জমান ফরিদা পারভীন। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। কিডনি সমস্যা, ডায়াবেটিসসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত