Ajker Patrika

বর্ণমালার জাদুকর: ক্যালিগ্রাফির মঞ্চে সানির তারকা হয়ে ওঠা

মুহাম্মদ শফিকুর রহমান 
আপডেট : ১৭ আগস্ট ২০২৫, ১১: ৪৬
বর্ণমালার জাদুকর: ক্যালিগ্রাফির মঞ্চে সানির তারকা হয়ে ওঠা

বাবা ড. মোহাম্মদ আবদুর রহীম দেশের একজন স্বনামধন্য ক্যালিগ্রাফার। বাবার হাত ধরে ক্যালিগ্রাফির জগতে প্রবেশ রায়হান সানির। বর্তমানে তিনি হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজে পদার্থবিজ্ঞানের তৃতীয় বর্ষে পড়ছেন। পড়াশোনার পাশাপাশি ক্যালিগ্রাফিকে তিনি বেছে নিয়েছেন সৃজনশীল পেশা হিসেবে। প্রতিষ্ঠা করেছেন বাংলাদেশ ক্যালিগ্রাফি ইনস্টিটিউট। ২০২২ সালে ভারতের রাজস্থানের উদয়পুরে আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে জুরিবোর্ডের ‘ক্রিয়েটিভ মাস্টারপিস’ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জয় তাঁর অর্জনের অন্যতম সোপান।

যেভাবে শুরু

ছোটবেলা থেকেই বাবার কাজ দেখে বেড়ে ওঠা সানির। বাবা দেশ-বিদেশে ক্যালিগ্রাফি করে সম্মান বয়ে এনেছেন, সেটিই ছিল সানির অনুপ্রেরণা। ২০১৮ সালে তিনি পূর্ণাঙ্গভাবে ক্যালিগ্রাফি নিয়ে কাজ শুরু করেন। অল্প কিছুদিনের মধ্যে এ ক্ষেত্র থেকে আয়ও শুরু হয়। তিনি মনে করেন, ক্যালিগ্রাফি আয়ত্ত করতে দীর্ঘমেয়াদি চর্চা অপরিহার্য—‘কমপক্ষে ১০–১২ বছর নিয়মিত অনুশীলন ছাড়া আসল দক্ষতা অর্জন সম্ভব নয়,’ বললেন তিনি।

বাংলাদেশ ক্যালিগ্রাফি ইনস্টিটিউট

২০২০ সালে সানি আরও কয়েকজনকে নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ ক্যালিগ্রাফি ইনস্টিটিউট। বর্তমানে তিনি এ প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী। পাশাপাশি তিনি পরিচালনা করেন ‘ক্যালিগ্রাফি শপ’ নামে একটি ফেসবুক পেজ, যেখানে ১০ হাজারের বেশি অনুসারী আছে। এখানে ক্যালিগ্রাফি-বিষয়ক তথ্য ও বিভিন্ন সামগ্রী পাওয়া যায়। নিজের ফেসবুক পেজ Raihan Sani-তেও তিনি নিয়মিত কাজ শেয়ার করেন।

কেন ক্যালিগ্রাফি

ক্যালিগ্রাফির আগে সানি যুক্ত ছিলেন কম্পিউটার অ্যাইডেড ডিজাইন ও গ্রাফিক ডিজাইনের সঙ্গে। কিছুদিন ফ্রিল্যান্সিংও করেছেন। সৃজনশীলতার প্রতি গভীর আগ্রহ থেকে ক্যালিগ্রাফিকে তিনি পেশা হিসেবে বেছে নেন।

ব্যতিক্রমী কাজ

‘আমার ক্যালিগ্রাফির কিছু বিশেষত্ব আছে। যাঁরা ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামে নিয়মিত আমার কাজ দেখেন, তাঁরা সহজে চিনতে পারবেন—এটা আমার কাজ,’ বললেন সানি। তিনি আধুনিক ও ক্ল্যাসিক্যাল—দুই ধারার মিশ্রণ ঘটিয়ে ক্যালিগ্রাফি করেন। ফলে তাঁর কাজে দুটি ধারা একসঙ্গে ধরা দেয়।

494196489_2470441383299995_9100353252928357090_n

সফলতার সিক্রেট

সাফল্যের রহস্য জানতে চাইলে সানি বলেন, ‘মাস্টার ক্যালিগ্রাফারদের সংস্পর্শে থাকা এবং তাঁদের অনুশীলন কাছ থেকে দেখা—এই দুটি বিষয় দ্রুত উন্নতিতে সাহায্য করে।’

ক্যালিগ্রাফিতে আয়

সানির ভাষায়, ‘ক্যালিগ্রাফি কোনো পণ্য নয়, এটি হলো আর্টিস্টস এক্সপ্রেশন।’ তবু ক্যালিগ্রাফি থেকে তাঁর মাসিক গড় আয় প্রায় ২০ হাজার টাকা। প্রথম আয় ছিল ১১ হাজার টাকা। বর্তমানে তিনি অফিস, ব্যাংক ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অর্ডার নিয়ে থাকেন। একটি কাজের মূল্য কখনো এক লাখ টাকাও ছাড়িয়ে যায়।

অর্জন

এ পর্যন্ত জাতীয় ও অনলাইনে ১০টি প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন সানি। আন্তর্জাতিকভাবে ভারতের দুটি প্রদর্শনীতে অংশ নেন। যেখানে তাঁর ক্যালিগ্রাফি প্রশংসিত হয়েছে। তিনি মিনিয়েচার ক্যালিগ্রাফির জন্য জাতীয় পর্যায়ে খুলনা শিল্পকলা একাডেমির ২০২৪ এর প্রদর্শনীতে ‘বেস্ট আর্টওয়ার্ক’ অ্যাওয়ার্ড পান।

এ ছাড়া ২০২২ সালের ভারতের রাজস্থানের উদয়পুরে ভারত সরকারের ডব্লিউজেডসিসি আয়োজিত প্রদর্শনীতে জুরিবোর্ডের ক্রিয়েটিভ মাস্টারপিস ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন তিনি।

ভারতের ‘ওয়েস্ট জোন কালচারাল সেন্টার’-এর ডিরেক্টর আইএএস অফিসার কিরান সনি গুপ্ত এবং মাক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মাকসুদ আলী খান তাঁর ক্যালিগ্রাফির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

এই তালিকায় আরও আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবীণতম চারুকলা অনুষদের প্রধান ড. আব্দুস সাত্তার, ঢাকা ফোরামের পরিচালক এবং বিশিষ্ট লেখক

সাদ-উর-রহমান, যশোরের বিশিষ্ট লেখক ড. মহীউদ্দীন মোহাম্মদ, বগুড়ার সুপরিচিত ক্যালিগ্রাফার শিল্পী আমিনুর রহমান।

শিক্ষার্থীদের জন্য পরামর্শ

রায়হান সানি মনে করেন, শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পাশাপাশি ক্যালিগ্রাফি করে আয় করতে পারে। শুধু প্রচলিত ধারায় নয়, বরং আধুনিক এবং ব্যবহারিক প্রয়োগে দক্ষ হতে হবে। যেমন

লোগো, পোস্টার, কভার ডিজাইনে ক্যালিগ্রাফি; মার্চেন্ডাইজে (টি-শার্ট, ক্যাপ, পাঞ্জাবি) ক্যালিগ্রাফি। তাঁর মতে, নতুনদের সবচেয়ে বড় ভুল হলো শুরু করার পর দ্রুত উৎসাহ হারিয়ে ফেলা। ধারাবাহিক চর্চাই সফলতার মূল।

আগামীর ভাবনা

বাংলাদেশে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ক্যালিগ্রাফির আধুনিক ও জটিল ধারা প্রসারের স্বপ্ন দেখেন সানি। নিঃস্বার্থভাবে ক্যালিগ্রাফি চর্চা এবৎ প্রসারে কাজ করাই তাঁর ভবিষ্যৎ লক্ষ্য।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‎জকসু নির্বাচনে প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ৪ দফা দাবি

জবি প্রতিনিধি 
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ৫৪
জকসু নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা
জকসু নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে চার দফা দাবি জানিয়েছে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা চার প্যানেলেসহ স্বতন্ত্র পদপ্রার্থীরা। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে উপাচার্য বরাবর সম্মিলিতভাবে এ দাবি জানান তাঁরা। ‎

‎এ বিষয়ে ছাত্রশিবির সমর্থিত অদম্য জবিয়ান ঐক্য প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী আব্দুল আলিম আরিফ ‎বলেন, ‘আমরা প্যানেল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জকসু নির্বাচনকে ঘিরে সম্মিলিতভাবে চার দফা মৌখিক দাবি জানিয়েছি। প্রশাসন থেকে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে যে সবগুলো পূরণ করতে তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে।’ ‎

‎সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট সমর্থিত মওলানা ভাসানী ব্রিগেড প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী গৌরব ভৌমিক বলেন, ‘আমরা যে দাবি জানিয়েছি, তা অবশ্যই পূরণ করা লাগবে—এটা আমাদের অধিকার।’ ‎

এর আগে সকালে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম। নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণার পরপরই ক্ষুব্ধ সাধারণ শিক্ষার্থী ও প্রার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শুরু করেন। কয়েক ঘণ্টা ধরে উপাচার্য ভবন ঘেরাও করে আন্দোলন চালান তাঁরা। ‎

‎শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে আবারও সিন্ডিকেট সভা ডাকা হয়। সভা শেষে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের আবেগের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হলেও শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ৬ জানুয়ারি জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’ ‎

‎চার দফা দাবি হলো—জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন আগামী ৬ জানুয়ারির মধ্যেই অনুষ্ঠিত করতে হবে। নির্বাচন সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনো সদস্য পদত্যাগ করতে পারবেন না। নির্বাচন শেষে যেসব সিন্ডিকেট সদস্য নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাদের পদত্যাগ করতে হবে। নির্বাচন স্থগিতের পেছনে কোনো দলীয় বা রাজনৈতিক চাপ ছিল কি না, সে বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার মৃত্যু: জকসু নির্বাচন পিছিয়ে ৬ জানুয়ারি

জবি প্রতিনিধি‎
জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা
জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ পিছিয়ে আগামী ৬ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে এই ভোট গ্রহণ সাত দিন পেছাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

‎‎আজ ‎মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ‎

‎তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে আজ সকালে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণা দেন উপাচার্য ড. মো. রেজাউল করিম। এতে শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে তাঁরা উপাচার্য ভবন ঘেরাও করেন। বিক্ষোভকারীরা তফসিল অনুযায়ী আজই নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানান।

‎শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে সিন্ডিকেটের জরুরি সভা ডাকা হয়।

সভা শেষে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের আবেগের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হলেও শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ৬ জানুয়ারি জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার মৃত্যু: বুধবারের বৃত্তি পরীক্ষা স্থগিত, হবে ৫ জানুয়ারি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ৫০
খালেদা জিয়ার মৃত্যু: বুধবারের বৃত্তি পরীক্ষা স্থগিত, হবে ৫ জানুয়ারি

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ও বুধবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করায় এ দিন অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জুনিয়র বৃত্তির বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করেছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। পরীক্ষাটি আগামী ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় শোক এবং বুধবার ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তাই বুধবারের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। ওই পরীক্ষা আগামী ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।’

পরীক্ষা স্থগিত ও নতুন তারিখ ঘোষণা দিয়ে শিক্ষা বোর্ডগুলো বিজ্ঞপ্তি জারি করছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের ভিত্তিতে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়ে জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

রোববার বাংলা, সোমবার ইংরেজি, মঙ্গলবার গণিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবারের বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৫ জানুয়ারি।

বাংলা, ইংরেজি, গণিত বিষয়ে আলাদা আলাদা পরীক্ষা হলে বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের পরীক্ষা হবে একসঙ্গে।

বৃত্তি পরীক্ষার মোট নম্বর হবে ৪০০। বাংলায় ১০০, ইংরেজিতে ১০০, গণিতে ১০০, বিজ্ঞানে ৫০ এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে ৫০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। প্রতিটি পরীক্ষা হবে ৩ ঘণ্টা সময়ে।

এ পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ‘ট্যালেন্টপুল’ কোটায় ও ‘সাধারণ’ কোটায় শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‎জকসু নির্বাচন স্থগিত, ক্যাম্পাস ছাড়ছেন শিক্ষার্থীরা

  জবি প্রতিনিধি
ক্যাম্পাস ছাড়তে শুরু করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ক্যাম্পাস ছাড়তে শুরু করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণার পর উপাচার্যের ভবন ঘেরাও করে আন্দোলন শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে এ উত্তাল পরিস্থিতির মাঝে ক্যাম্পাস ছাড়তে শুরু করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

‎আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ও আশপাশের এলাকায় শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস ছাড়ার দৃশ্য চোখে পড়ে। এদিন সকাল থেকেই ভোট দেওয়ার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে এসেছিলেন। তবে ভোটের অনিশ্চয়তায় ক্যাম্পাস ছাড়ছেন তাঁরা।

‎গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২২–২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান সোহাগ বলেন, জীবনের প্রথম ভোট দিতে ক্যাম্পাসে এসেছিলাম। কিন্তু প্রশাসনের সিদ্ধান্তের কারণে সেই সুযোগ আর হলো না। জানি না কবে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এজন্যই বাসায় ফিরে যাচ্ছি।

‎সমাজকর্ম বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী মায়িশা ফাহমিদা বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে এক ধরনের ভিন্ন অনুভূতি কাজ করছিল। কিন্তু যা প্রশাসন করল, তা ছিল একেবারেই অপ্রত্যাশিত। ভোট যেহেতু হবে না, তাই ক্যাম্পাসে থাকার আর কোনো মনমানসিকতা নেই এ কারণেই চলে যাচ্ছি। ‎

‎এর আগে এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় জকসু নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম। আজ সকাল সোয়া ৯টায় নির্বাচন স্থগিতের এ আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসে।

‎‎তবে এ ঘোষণার পর ভিসি ভবন ঘেরাও করে আন্দোলন শুরু করেন প্রার্থী ও শিক্ষার্থীরা। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ভিসি ভবন ঘেরাও করে নির্বাচন আদায়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত