Ajker Patrika

উন্নত অর্থনীতির দেশ আয়ারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা

আপডেট : ০৩ মে ২০২৩, ১১: ২৬
উন্নত অর্থনীতির দেশ আয়ারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা

উন্নত কাঠামো ও অর্থনীতির  দেশ আয়ারল্যান্ড। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের অধ্যয়নের জন্য দেশটি খুবই জনপ্রিয়। বিশ্বের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ৩ শতাংশই রয়েছে দেশটিতে। গবেষণায় আগ্রহী ছাত্র-ছাত্রীদের বেশির ভাগ আয়ারল্যান্ডে পড়তে যায়। 

আইরিশ সরকার আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেয়। দেশটি ২০২০ সালে শিক্ষায় ১১ দশমিক ১ বিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগ করেছে। প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সব রকম কোর্সে পড়ার সুযোগ দেয়, তবে কিছু বিষয়ে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা বেশি নির্বাচিত হয়। যেমন:

 ডেটা সায়েন্স: আয়ারল্যান্ডে বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় আইটি কোম্পানি রয়েছে।  

 ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকিং ও ফিন্যান্স: ডাবলিনে বেশ কয়েকটি বড় কোম্পানি ও বিনিয়োগ ব্যাংক রয়েছে। আর্থিক নিয়ন্ত্রক, আর্থিক বিশ্লেষক, আর্থিক ব্যবসায়ী, খুচরা ব্যাংকার ইত্যাদির মতো চাকরির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে এখানে।

 নির্মাণ (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং): এটি আয়ারল্যান্ডের একটি উদীয়মান ক্ষেত্র। এই কোর্সটি বেছে নেওয়ার মাধ্যমে আপনি নিজেকে একজন সাইট টেকনিশিয়ান, এস্টিমেটর, কোয়ান্টিটি সার্ভেয়ার হিসেবে দেখতে পারবেন।

 ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্স: ইউরোপীয় দেশে এই কোর্সে পড়ার সুযোগ কেউ নিতে চাইলে সেই তালিকার শীর্ষে থাকে আয়ারল্যান্ড। বিশ্বের শীর্ষ ১০ ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির ৯টির অবস্থান আয়ারল্যান্ডে। তাই এর জনপ্রিয়তা ও চাহিদাও বেশি। ফার্মাকোলজি, টক্সিকোলজি, অ্যানালিটিক্যাল এবং মেডিকেল কেমিস্ট্রি, ফিজিওলজি, বায়োকেমিস্ট্রি ইত্যাদি কোর্স করারও সুযোগ থাকবে।

 বিজনেস অ্যানালিটিক্স: ব্যাংক, টেলিকম, কমার্স এবং আইটি কোম্পানিগুলোতে ব্যবসায়িক বিশ্লেষকদের চাহিদা অনেক বেশি। আয়ারল্যান্ডের চাকরি সৃষ্টিকারী খাতগুলোর একটি এটি। একজন বিজনেস অ্যানালিস্ট, ডেটা সায়েন্টিস্ট সব জায়গায় কাজ করার সুযোগ রয়েছে। 

সেরা কয়েকটি কলেজ/ইউনিভার্সিটি
ট্রিনিটি কলেজ (ডাবলিন) ইউনিভার্সিটি কলেজ ডাবলিন, আয়ারল্যান্ড ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি কলেজ কর্ক, ডাবলিন সিটি ইউনিভার্সিটি, লিমেরিক বিশ্ববিদ্যালয়, টেকনোলজি ইউনিভার্সিটি অব ডাবলিন। 

পড়াশোনার খরচ
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী এবং নন-ইইউ শিক্ষার্থীদের জন্য টিউশন ফি স্নাতক পর্যায়ে ৯ হাজার থেকে ৫৫ হাজার ইউরো হতে পারে বছরে। স্নাতকোত্তর মাস্টার্স এবং পিএইচডি লেভেলে এটি বছরে ৯ হাজার থেকে শুরু হয়ে ৩৫ হাজার ইউরো পর্যন্ত হয়। এ ছাড়া সব আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের বছরে প্রায় ৩ হাজার ইউরো দিতে হয় স্টুডেন্ট অ্যাক্টিভিটি, পরীক্ষার এন্ট্রি ফি এবং ক্লাব ফি বাবদ। এই ফি একেক বিশ্ববিদ্যালয়ে একেক রকম।

আয়ারল্যান্ডে আন্তর্জাতিক ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য অনেক বৃত্তি প্রোগ্রাম রয়েছে। তাদের মধ্যে কিছু আইরিশ সরকার, অন্যগুলো বিশ্ববিদ্যালয় এবং কিছু বেসরকারি সংস্থা দ্বারা অফার করা হয়। 

থাকা-খাওয়ার খরচ
উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ছাত্রদের আবাসিক হলগুলোতে থাকার ব্যবস্থা করে, যা সাধারণত ২০০-৩০০ ইউরো খরচে পাওয়া যায়। জায়গার সংখ্যা সীমিত এবং চাহিদা বেশি হওয়ায় জায়গা খুঁজে পাওয়া প্রায়ই কঠিন। কেউ যদি একা বসবাস করে তাহলে মাসে থাকার জন্য ৪০০ থেকে ৯০০ ইউরো খরচ হতে পারে। তবে শেয়ারে থাকলে এই খরচ কম হয়। এ ছাড়া ক্যাম্পাসে বসবাসকারী শিক্ষার্থীর মাসে ৩০০ থেকে ৬৫০ ইউরো খরচ হয়ে থাকে। গ্রোসারি কেনাকাটার জন্য প্রায় ২৫০-৩৫০ ইউরো খরচ হয়। এ ছাড়া কেউ চাইলে একটি ছোট রেস্তোরাঁয় প্রায় ১৫ ইউরো দিয়ে খেতে পারে। পরিবহন খাতে প্রায় ২৭ শতাংশ শিক্ষার্থী আয়ারল্যান্ডে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করে। এতে শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা রয়েছে। এতে মাসে ৫০-৫৫ ইউরো খরচ হয়। পরিবহনের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হলো সাইকেল, যা ৩৮ শতাংশ শিক্ষার্থী ব্যবহার করে। ২০ ইউরো দিয়ে একদিনের জন্য শহরে ঘুরতে একটি সাইকেল ভাড়া নেওয়া যায়। 
সূত্র: mastersportal.com

গ্রন্থনা: ফারিয়া ইসলাম দীপ্তি

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‎জকসু নির্বাচনে প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ৪ দফা দাবি

জবি প্রতিনিধি 
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ৫৪
জকসু নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা
জকসু নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে চার দফা দাবি জানিয়েছে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা চার প্যানেলেসহ স্বতন্ত্র পদপ্রার্থীরা। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে উপাচার্য বরাবর সম্মিলিতভাবে এ দাবি জানান তাঁরা। ‎

‎এ বিষয়ে ছাত্রশিবির সমর্থিত অদম্য জবিয়ান ঐক্য প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী আব্দুল আলিম আরিফ ‎বলেন, ‘আমরা প্যানেল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জকসু নির্বাচনকে ঘিরে সম্মিলিতভাবে চার দফা মৌখিক দাবি জানিয়েছি। প্রশাসন থেকে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে যে সবগুলো পূরণ করতে তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে।’ ‎

‎সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট সমর্থিত মওলানা ভাসানী ব্রিগেড প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী গৌরব ভৌমিক বলেন, ‘আমরা যে দাবি জানিয়েছি, তা অবশ্যই পূরণ করা লাগবে—এটা আমাদের অধিকার।’ ‎

এর আগে সকালে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম। নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণার পরপরই ক্ষুব্ধ সাধারণ শিক্ষার্থী ও প্রার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শুরু করেন। কয়েক ঘণ্টা ধরে উপাচার্য ভবন ঘেরাও করে আন্দোলন চালান তাঁরা। ‎

‎শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে আবারও সিন্ডিকেট সভা ডাকা হয়। সভা শেষে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের আবেগের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হলেও শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ৬ জানুয়ারি জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’ ‎

‎চার দফা দাবি হলো—জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন আগামী ৬ জানুয়ারির মধ্যেই অনুষ্ঠিত করতে হবে। নির্বাচন সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনো সদস্য পদত্যাগ করতে পারবেন না। নির্বাচন শেষে যেসব সিন্ডিকেট সদস্য নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাদের পদত্যাগ করতে হবে। নির্বাচন স্থগিতের পেছনে কোনো দলীয় বা রাজনৈতিক চাপ ছিল কি না, সে বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার মৃত্যু: জকসু নির্বাচন পিছিয়ে ৬ জানুয়ারি

জবি প্রতিনিধি‎
জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা
জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ পিছিয়ে আগামী ৬ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে এই ভোট গ্রহণ সাত দিন পেছাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

‎‎আজ ‎মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ‎

‎তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে আজ সকালে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণা দেন উপাচার্য ড. মো. রেজাউল করিম। এতে শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে তাঁরা উপাচার্য ভবন ঘেরাও করেন। বিক্ষোভকারীরা তফসিল অনুযায়ী আজই নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানান।

‎শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে সিন্ডিকেটের জরুরি সভা ডাকা হয়।

সভা শেষে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের আবেগের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হলেও শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ৬ জানুয়ারি জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার মৃত্যু: বুধবারের বৃত্তি পরীক্ষা স্থগিত, হবে ৫ জানুয়ারি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ৫০
খালেদা জিয়ার মৃত্যু: বুধবারের বৃত্তি পরীক্ষা স্থগিত, হবে ৫ জানুয়ারি

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ও বুধবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করায় এ দিন অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জুনিয়র বৃত্তির বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করেছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। পরীক্ষাটি আগামী ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় শোক এবং বুধবার ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তাই বুধবারের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। ওই পরীক্ষা আগামী ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।’

পরীক্ষা স্থগিত ও নতুন তারিখ ঘোষণা দিয়ে শিক্ষা বোর্ডগুলো বিজ্ঞপ্তি জারি করছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের ভিত্তিতে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়ে জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

রোববার বাংলা, সোমবার ইংরেজি, মঙ্গলবার গণিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবারের বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৫ জানুয়ারি।

বাংলা, ইংরেজি, গণিত বিষয়ে আলাদা আলাদা পরীক্ষা হলে বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের পরীক্ষা হবে একসঙ্গে।

বৃত্তি পরীক্ষার মোট নম্বর হবে ৪০০। বাংলায় ১০০, ইংরেজিতে ১০০, গণিতে ১০০, বিজ্ঞানে ৫০ এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে ৫০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। প্রতিটি পরীক্ষা হবে ৩ ঘণ্টা সময়ে।

এ পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ‘ট্যালেন্টপুল’ কোটায় ও ‘সাধারণ’ কোটায় শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‎জকসু নির্বাচন স্থগিত, ক্যাম্পাস ছাড়ছেন শিক্ষার্থীরা

  জবি প্রতিনিধি
ক্যাম্পাস ছাড়তে শুরু করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ক্যাম্পাস ছাড়তে শুরু করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণার পর উপাচার্যের ভবন ঘেরাও করে আন্দোলন শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে এ উত্তাল পরিস্থিতির মাঝে ক্যাম্পাস ছাড়তে শুরু করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

‎আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ও আশপাশের এলাকায় শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস ছাড়ার দৃশ্য চোখে পড়ে। এদিন সকাল থেকেই ভোট দেওয়ার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে এসেছিলেন। তবে ভোটের অনিশ্চয়তায় ক্যাম্পাস ছাড়ছেন তাঁরা।

‎গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২২–২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান সোহাগ বলেন, জীবনের প্রথম ভোট দিতে ক্যাম্পাসে এসেছিলাম। কিন্তু প্রশাসনের সিদ্ধান্তের কারণে সেই সুযোগ আর হলো না। জানি না কবে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এজন্যই বাসায় ফিরে যাচ্ছি।

‎সমাজকর্ম বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী মায়িশা ফাহমিদা বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে এক ধরনের ভিন্ন অনুভূতি কাজ করছিল। কিন্তু যা প্রশাসন করল, তা ছিল একেবারেই অপ্রত্যাশিত। ভোট যেহেতু হবে না, তাই ক্যাম্পাসে থাকার আর কোনো মনমানসিকতা নেই এ কারণেই চলে যাচ্ছি। ‎

‎এর আগে এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় জকসু নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম। আজ সকাল সোয়া ৯টায় নির্বাচন স্থগিতের এ আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসে।

‎‎তবে এ ঘোষণার পর ভিসি ভবন ঘেরাও করে আন্দোলন শুরু করেন প্রার্থী ও শিক্ষার্থীরা। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ভিসি ভবন ঘেরাও করে নির্বাচন আদায়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত