Ajker Patrika

এখন থেকে শুধু নগদে বিতরণ হবে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা

এখন থেকে শুধু নগদে বিতরণ হবে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা

এখন থেকে একমাত্র মোবাইল আর্থিক সেবা হিসেবে নগদ লিমিটেড প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের ভাতা বিতরণ করবে। রোববার (২ জুন) বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট, বাংলাদেশ ডাক বিভাগ এবং নগদ লিমিটেডের মধ্যে একটি ত্রিপাক্ষিক চুক্তি সম্পাদিত হয়। এই চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ডিজিটাল সেবা নগদ একমাত্র মোবাইল আর্থিক সেবা হিসেবে এই ভাতা বিতরণ করবে। 

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান।

এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের স্কিম পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মোহাম্মদ আসাদুল হক এবং ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) তরুণ কান্তি শিকদার উপস্থিত ছিলেন।

চুক্তিতে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পক্ষে স্বাক্ষর করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) স্মৃতি কর্মকার। বাংলাদেশ ডাক বিভাগের পক্ষে স্বাক্ষর করেন ডাক অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা) মো. আবু তালেব এবং নগদ লিমিটেডের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন নগদের নির্বাহী পরিচালক মো. সাফায়েত আলম। 

২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থীদের শিক্ষায় সহায়তার জন্য এই ট্রাস্ট গঠনের উদ্যোগ নেন। যাত্রার শুরু থেকে বিভিন্ন শিক্ষা ক্ষেত্রে সহায়তার পাশাপাশি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভাতা বিতরণ করা হচ্ছে। ২০১৬ সাল থেকে এই ভাতা বিতরণ করা হয় ডিজিটাল মাধ্যমেও। সে সময় থেকে গত বছর পর্যন্ত এই ভাতার উল্লেখযোগ্য একটা অংশ বিতরণ হতো নগদের মাধ্যমে। তবে এখানে অন্য মোবাইল আর্থিক সেবাও দায়িত্ব পালন করত। এবারের চুক্তির ফলে এমএফএসগুলোর মধ্যে নগদ এককভাবে এই ভাতা বিতরণ করবে। 

প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সামাজিক নিরাপত্তা ভাতা, প্রাথমিক শিক্ষা উপবৃত্তিসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ভাতা স্বচ্ছভাবে বিতরণ করায় নগদের সাফল্যের কারণেই ডাক বিভাগের এই ডিজিটাল সেবাকে একক দায়িত্ব দিয়েছেন তাঁরা। এ ছাড়া একাধিক মোবাইল আর্থিক সেবাকে দায়িত্ব দিলে হিসাব রাখা জটিল হয় এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করা যায় না বলে এককভাবে এই প্রতিষ্ঠানটিকে তাঁরা বেছে নিয়েছে। 

নগদের সঙ্গে এই চুক্তি করায় সন্তোষ প্রকাশ করে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছায় এই শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট গড়ে উঠেছে। আমরা চাই, এই ট্রাস্ট যেভাবে অসহায় ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তি দেয়, তা যেন স্বচ্ছভাবে বিতরণ করা হয়। বাংলাদেশ এখন সফলভাবে ডিজিটাল হয়েছে। সে জন্য আমরা সব সেবাই ডিজিটাল মাধ্যমে দিতে চাই। নগদ বাংলাদেশ ডাক বিভাগের সেবা হিসেবে সরকারের সঙ্গে মিলে ডিজিটালাইজেশনের কাজ করছে। তাঁরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ভাতা সফলতা ও স্বচ্ছতার সঙ্গে বিতরণ করছে। সে জন্যই নগদের ওপর আস্থা রেখেছে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট।’ 

অনুষ্ঠানে নগদের পক্ষে নির্বাহী পরিচালক মো. সাফায়েত আলম বলেন, ‘নগদ শুধু ব্যবসা করার জন্য কাজ করে না। সরকারের অংশীদার হিসেবে দেশের প্রান্তিক মানুষের কাছে ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছি আমরা। এর অংশ হিসেবে ২৭টি মন্ত্রণালয়ের ভাতা সাফল্যের সঙ্গে বিতরণ করছে নগদ। এবার প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের ভাতা বিতরণের জন্য একমাত্র এমএফএস হিসেবে আমাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমরা এই আস্থার প্রতিদান দিতে চাই।’ 

করোনার সময় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহায়তা বিতরণের মাধ্যমে নগদ ভাতা বিতরণের কাজ শুরু করে। এরপর সামাজিক নিরাপত্তা ভাতা ও প্রাথমিক শিক্ষা উপবৃত্তি বিতরণে তাঁদের দারুণ স্বচ্ছতা ও সাফল্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয়কে উৎসাহিত করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিপিআইয়ের সভাপতি মোশারফ হোসাইন চৌধুরী, মহাসচিব সাফির রহমান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বিপিআইয়ের সভাপতি মোশারফ হোসাইন চৌধুরী, মহাসচিব সাফির রহমান

বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিআইএ) ২০২৫-২৭ মেয়াদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে পোলট্রি পেশাজীবী পরিষদ নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে। নির্বাচনে ৫৩৫ ভোট পেয়ে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আস্থা ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসাইন চৌধুরী। আর মহাসচিব পদে ৫০৭ ভোট পেয়ে কোয়ালিটি ব্রিডার্স লিমিটেডের পরিচালক মো. সাফির রহমান নির্বাচিত হয়েছেন।

আজ সোমবার রাজধানীর মতিঝিল কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র কাম-কমিউনিটি সেন্টারে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোট গ্রহণ। মোট ৫৭৪ জন ভোট দেন।

সহসভাপতি হিসেবে ডায়মন্ড এগ লিমিটেডের সিইও মো. আসাদুজ্জামান ও খান অ্যাগ্রো ফিড প্রোডাক্টের প্রোপ্রাইটর মো. সৈয়দুল হক খান নির্বাচিত হয়েছেন।

এদিকে কোষাধ্যক্ষ হিসেবে এনার্জি টেকনোলজির প্রোপ্রাইটর মোস্তফা জাহান, যুগ্ম মহাসচিব পদে মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন ও অঞ্জন মজুমদার, প্রচার সম্পাদক পদে শফিকুল ইসলাম এবং সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে গাজী নূর আহাম্মাদ নির্বাচিত হয়েছেন।

নির্বাহী সদস্য হিসেবে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন শাহ ফাহাদ হাবিব, মিজানুর রহমান মিন্টু, রাশিদ আহামাদ, মোহাম্মদ জহির উদ্দিন, খায়রুল বাসার সাগর, ফয়েজ রাজা চৌধুরী, মো. সালাউদ্দিন মুন্সী, মো. সোলেমান কবীর, মো, ইমরান হোসাইন ও নাবিল আহামেদ।

নবনির্বাচিত সভাপতি মোশারফ হোসাইন চৌধুরী বলেন, ‘খামারিদের যে আকাঙ্ক্ষা রয়েছে, সেটাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে আমরা কাজ করে যেতে চাই। পোলট্রি খাতকে আরও কীভাবে সমৃদ্ধ করতে পারি, সে লক্ষ্যেও আমরা কাজ করে যাব। পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাইয়ে কীভাবে পোলট্রি শিল্পকে সামনের দিকে নিয়ে যাওয়া যায়, সেটিও আমাদের অন্যতম লক্ষ্য থাকবে।’

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন দেশের পোলট্রি খাতের উন্নয়ন, সুরক্ষা ও টেকসই বিকাশে নিবেদিত একটি শীর্ষস্থানীয় সংগঠন। যেখানে খামারি, উদ্যোক্তা ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে প্রতিনিধিত্ব করে এবং আধুনিক প্রযুক্তি, সুষ্ঠু নীতিমালা ও মানসম্মত উৎপাদনের মাধ্যমে শিল্পের অগ্রগতিতে কাজ করে যাচ্ছে। এ নির্বাচনের মাধ্যমে সংগঠনের নতুন নেতৃত্ব নির্ধারিত হয়েছে, যা আগামী দুই বছর পোলট্রি খাতের দিকনির্দেশনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ক্যাব ও বিএসটিআইয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ক্যাব ও বিএসটিআইয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর হয়েছে।

আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে ক্যাব এ তথ্য জানায়।

ক্যাব জানায়, গতকাল রোববার বিএসটিআইয়ের কাউন্সিল সভা শেষে আয়োজিত এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ক্যাবের সভাপতি এ এইচ এম সফিকুজ্জামান ও বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক এস এম ফেরদৌস আলম নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।

অনুষ্ঠানে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া ও বিএসটিআইয়ের কাউন্সিলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এই সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে মানসম্মত ও নিরাপদ পণ্য নিশ্চিতকরণে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, বিভাগীয় ও জেলাপর্যায়ে বাজার মনিটরিং ও তদারকি কার্যক্রমে সহযোগিতা, নকল ও ভেজালবিরোধী উদ্যোগ জোরদার, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণ এবং তথ্যভিত্তিক উদ্যোগ যৌথভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে ভোক্তা অধিকার সুরক্ষা ও ন্যায্য বাজারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় উভয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও সুদৃঢ় হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

থ্রি-হুইলারের লাইসেন্স ও রুট পারমিটের নীতিমালা বাস্তবায়ন করলে অর্থনীতির গতি বাড়বে: সিপিডি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
থ্রি-হুইলারের লাইসেন্স ও রুট পারমিটের নীতিমালা বাস্তবায়ন করলে অর্থনীতির গতি বাড়বে: সিপিডি

দেশে মূলধারার বিভিন্ন যানবাহনের পাশাপাশি থ্রি-হুইলার রিকশা ব্যাপক হারে বেড়েছে। যার নেই কোনো রেজিস্ট্রেশন বা লাইসেন্স। অথচ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখের সামনে চলাচল করছে এসব যান। ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। এসব থ্রি-হুইলার নিয়ন্ত্রণে অনেক আওয়াজ উঠছে। কিন্তু কার্যত বন্ধ বা সামনে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করা হবে, তা নিয়ে নীতিমালা করা জরুরি হয়ে পড়েছে। এই নীতিমালার বাস্তবায়ন হলে থ্রি-হুইলার দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এতে অর্থনীতির গতি আরও বেগবান হবে।

আজ সোমবার বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ‘স্টাডি অন ইন্টিগ্রিটিংস ইলেকট্রনিক থ্রি-হুইলার ইনটু ট্রান্সপোর্ট নেটওয়ার্ক: চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড ওয়েফরওয়ার্ড’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে সিপিডির প্রোগ্রাম সহযোগী মো. খালিদ মাহমুদ বলেন, দেশে লাখ লাখ যানবাহন চলে। কিন্তু নিবন্ধিত আছে মাত্র সাড়ে ২২ হাজার। এর বাইরে থ্রি-হুইলার রিকশা ৬০ লাখ ছাড়িয়েছে। সেবা নিচ্ছেন ১১২ কোটি মানুষ, যা অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এত বড়সংখ্যক যানের রেজিস্ট্রেশন নেই। যারা চালান, তাঁদের নেই কোনো প্রশিক্ষণ। এতে দক্ষতা বাড়ছে না। মুখের কথায় চলে এসব যান। যদি প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়ন করা যায়, তখন একটা আয় পাবে সরকার। আবার নীতিমালার কারণে ক্ষতি কমবে। যাঁরা এর সঙ্গে জড়িত, তাঁদের আয় বাড়বে। যার বিশাল ইতিবাচক প্রভাব পড়বে অর্থনীতিতে।

খালিদ মাহমুদ আরও বলেন, ‘নীতিমালা ছাড়া লাখ লাখ থ্রি-হুইলার চলছে। এই গণপরিবহন যেভাবে ইচ্ছা, সেভাবে চলছে। এটার সিস্টেম দাঁড় করাতে হবে। স্ট্রাকচার থাকতে হবে। ব্যাটারি ক্যাপাসিটি নির্ধারণ করতে হবে। ইলেকট্রনিক যান হওয়ায় পরিবেশে মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। কীভাবে কার অনুমোদন নিয়ে চলবে, নির্ধারণ করতে হবে। আইনের আওতায় আনা জরুরি। কেউ আইন লঙ্ঘন করলে তার শাস্তি দিতে হবে ৷ তখন এলোমেলো চলাচল নিয়ন্ত্রণ হবে। মানুষ উন্নত সেবা পাবে।

খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘এ ধরনের যানের প্রায় ৪০ লাখ চালক, তাঁদের পরিবারসহ বিশাল জনগোষ্ঠী সুবিধাভোগী। তাঁদের রোড নেটওয়ার্ক, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, ট্রাফিক সেফটি, এয়ার কোয়ালিটির ব্যবস্থাপনার সুনির্দিষ্ট কাঠামো ও নীতিমালা জরুরি।

অনুষ্ঠানে নীতিমালা অনুযায়ী ইজিবাইক, রিকশাসহ ব্যাটারিচালিত যানবাহনের নিবন্ধন এবং চালকদের লাইসেন্স ও রুট পারমিট দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে বলা হয়েছে কারিগরি ত্রুটি সংশোধন করে ব্যাটারিচালিত যানবাহনের আধুনিকায়ন করা এবং ব্যাটারিচালিত যানবাহন চলাচল বন্ধ না করা; বিদ্যুৎ চুরি ও অপচয় বন্ধ করতে ইলেকট্রিক বা ব্যাটারিচালিত যানবাহনের জন্য চার্জিং স্টেশন স্থাপন করা; প্রতিটি সড়ক-মহাসড়কে ইজিবাইক, রিকশাসহ ব্যাটারিচালিত, স্বল্পগতির ও লোকাল যানবাহনের জন্য সার্ভিস রোড/বাই লেন নির্মাণ করা; ঢাকাসহ সারা দেশে ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক জব্দ বন্ধ করা, জব্দ গাড়ি ও ব্যাটারি ফেরত দেওয়া; চালকসহ সংশ্লিষ্টদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা; সড়কে চাঁদাবাজি ও হয়রানি বন্ধ করা এবং চালকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ইস্টার্ন ব্যাংক ডিজিটাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস-২০২৫ জিতল নগদ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ০৪
ইস্টার্ন ব্যাংক ডিজিটাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস জিতেছে নগদ। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
ইস্টার্ন ব্যাংক ডিজিটাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস জিতেছে নগদ। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

দেশের অন্যতম সেরা বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের (ইবিএল) কাছ থেকে এক্সিলেন্স ইন বিজনেস পে-আউট পুরস্কার পেয়েছে নগদ। প্রতিষ্ঠানটি তাদের ব্যাংকের প্রবৃদ্ধি ও ডিজিটাল রূপান্তরে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখা ৪০টি সহযোগী মার্চেন্ট প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা জানিয়েছে।

এবার দ্বিতীয়বারের মতো ইবিএল এই আয়োজন করেছে। এবারের অনুষ্ঠানের শিরোনাম ছিল ‘স্কাইস্ফ্রি: ইবিএল ডিজিটাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস-২০২৫’।

গতকাল রোববার (২১ ডিসেম্বর) ঢাকার একটি কনভেনশন হলে এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ইবিএল তার ব্যবসায়িক সহযোগীদের সম্মাননা জানায়।

অনুষ্ঠানে পুরস্কার দেন ইবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলী রেজা ইফতেখার। নগদের পক্ষ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন বাংলাদেশ ব্যাংকনিযুক্ত জ্যেষ্ঠ সহযোগী প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান, সহযোগী প্রশাসক আনোয়ার উল্লাহ ও নগদের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার মোহাম্মদ শাহীন সারওয়ার ভূঁইয়া। এ সময় ইবিএলের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এম খোরশেদ আনোয়ার, হেড অব ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস আহসান উল্লাহ চৌধুরীসহ প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।

ইবিএলের এবারের আয়োজনে নগদ পে-আউট ক্যাটাগরিতে পুরস্কৃত হয়েছে, কারণ বাংলাদেশের ডিজিটাল লেনদেনকে এগিয়ে নিতে অসামান্য অবদান রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি। নগদ পে-আউট সলিউশন ও ইভল্যুশনে তাদের প্রভাব রেখেছে এবং বিস্তৃত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত