Ajker Patrika

সয়াবিনের বিকল্প হতে পারে সূর্যমুখী

রোকন উদ্দীন, ঢাকা
গ্রাফিক্স: আজকের পত্রিকা
গ্রাফিক্স: আজকের পত্রিকা

যখন সবুজের মাঝে হলুদের জ্যোতি ছড়িয়ে পড়ে, প্রকৃতি যেন এক অনন্য কবিতায় রূপ নেয়। সেই দৃশ্য এড়ানো অসম্ভব—মুগ্ধ চোখ সেখানে থেমে যায়, কেউ কাছে গিয়ে জড়িয়ে ধরে, কেউবা মুহূর্তটিকে ধরে রাখে ছবির ফ্রেমে। অগ্রহায়ণ-পৌষের শেষ বিকেলে সূর্যের আলো যখন মিশে যায় পুষ্পমঞ্জরির রঙে, মাঝখানে ছোট কালো বীজগুলো যেন রত্নখচিত মুকুট হয়ে ওঠে। মনে হয়, ফসলের মাঠে সৌরভ ছড়িয়ে পড়ছে, আগুন হয়ে ঝলমল করছে। এসব বর্ণিল গল্পের নায়ক সূর্যমুখী ফুল।

সারা দেশের ফসলের মাঠে হরহামেশাই এখন দেখা মেলে সূর্যমুখীর। এর সৌরভ ছড়ানোর নেপথ্যে আছেন গ্রাম-বাংলার কৃষাণেরা। তবে তাঁরা মুগ্ধতার টানে নয়, চাষ করেন মুনাফার টানে—বীজ থেকে উৎপাদিত তেলের বাড়তি দামের আশায়। গুণের কারণে বাজারে সূর্যমুখী তেলের চাহিদা বেড়েই চলেছে, দামেও রয়েছে বাড়তি কদর। প্রায় একই খরচে বেশি লাভের হাতছানি কে উপেক্ষা করবে! তাই সূর্যমুখী এখন শুধু শস্য নয়, কৃষকের চোখে এক সম্ভাবনার আলোকময় ক্ষেত্র।

খাতসংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, সঠিক পরিকল্পনা এবং প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিলে দেশে সরিষার পাশাপাশি সূর্যমুখী তেলের উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো সম্ভব। সূর্যমুখী তেলের চাষ বৃদ্ধি পেলে সয়াবিন তেলের ওপর নির্ভরশীলতা অনেকটাই কমে আসবে, যা শুধু বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয়ই করবে না, দেশের ভোজ্যতেলের চাহিদাও অনেকাংশে স্থানীয়ভাবে পূরণ করা সম্ভব হবে। এর ফলে কৃষক থেকে শুরু করে ভোক্তা—সবাই উপকৃত হবে এবং দেশের কৃষি অর্থনীতিতেও ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। তাই ভোজ্যতেলের ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতা অর্জনে সূর্যমুখীর উৎপাদন বাড়ানো একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে।

বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কয়েক বছর আগে সূর্যমুখী তেল ছিল শুধু অভিজাত হোটেল বা ধনিক শ্রেণির লোকদের রান্নার অংশ। তবে করোনার পর সাধারণ মানুষের মধ্যে এর স্বাস্থ্যকর গুণের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তেলের আমদানির পাশাপাশি দেশে এর উৎপাদনও দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সম্প্রতি দেশের কৃষাণেরা আগ্রহের সঙ্গে সূর্যমুখীর চাষ করছেন।

কৃষাণেরা বলছেন, প্রতি বিঘা জমিতে সূর্যমুখী চাষের জন্য এক কেজি বীজই যথেষ্ট এবং সারের পরিমাণও খুবই কম লাগে। অন্যান্য ফসলের তুলনায় সূর্যমুখী চাষে শ্রমের পরিমাণ অনেক কম থাকে। এতে উৎপাদন হয় বেশি এবং লাভও অনেক ভালো।

আছে হরেক উপকারিতা
পুষ্টিবিদদের মতে, সূর্যমুখী বীজে ৪০-৪৫ শতাংশ লিনোলিক অ্যাসিড ও মানবদেহের জন্য উপকারী ওমেগা ৯ ও ৬ রয়েছে, যা শতভাগ উপকারী ফ্যাট। এতে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, পানি, ভিটামিন ই, ক এবং মিনারেলও রয়েছে। সূর্যমুখী তেল হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও কিডনি রোগীদের জন্য নিরাপদ। তা ছাড়া, সূর্যমুখীর খৈল গরু ও মহিষের খাদ্য এবং গাছ ও পুষ্পস্তবক জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এসব কারণে দেশে সূর্যমুখী তেলের চাহিদা বাড়ছে।

বাড়ছে আবাদ
একদিকে আছে হরেক রকমের উপকারিতা, অন্যদিকে ফসল হিসেবেও বেশ লাভজনক। এ কারণে কৃষাণেরা এখন সূর্যমুখী চাষে বেশ আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। ফলে প্রতিবছর দেশে সূর্যমুখী চাষের পরিধি বাড়ছে। এই আগ্রহের বৃদ্ধির ফলে সূর্যমুখী আবাদে ফসলি জমির আওতা এবং উৎপাদন দুটোই বেড়ে চলেছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ মৌসুমে দেশে মাত্র ১ হাজার ৯২০ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষ হয়েছিল এবং ওই বছর সূর্যমুখী বীজের উৎপাদন ছিল মাত্র ৩ হাজার ৫২ টন। তবে মাত্র পাঁচ বছরের মধ্যে সূর্যমুখী চাষের উৎপাদন ১০ গুণেরও বেশি বেড়েছে। ২০২৩-২৪ মৌসুমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ১৬ হাজার ২৩০ হেক্টর জমিতে মোট ৩১ হাজার ৮৯৭ টন সূর্যমুখী উৎপাদন হয়েছে, যা দেশের কৃষির জন্য একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য।

ডিএইর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯-২০ সালে দেশে ২ হাজার ৭২৬ হেক্টর জমিতে ৫ হাজার ৭২৫ টন সূর্যমুখী বীজ উৎপাদন হয়। পরের বছর, ২০২০-২১ সালে এটি বেড়ে ১৫ হাজার ৪০৩ হেক্টর জমিতে ২৫ হাজার ৬৫৪ টনে পৌঁছায়। ২০২১-২২ সালে ৯ হাজার ১৬৩ হেক্টর জমিতে প্রায় ১৬ হাজার টন সূর্যমুখী উৎপাদিত হয় এবং ২০২২-২৩ সালে এই পরিমাণ বেড়ে ১৪ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে ২৭ হাজার ৮৪২ টনে দাঁড়ায়।

খরচ কম, আয় বেশি
কুড়িগ্রামের পলাশবাড়ী হালমাঝিপাড়া গ্রামের কৃষক নুরুল হক জানান, আগে তিনি বিভিন্ন মৌসুমি ফসল চাষ করতেন। ২০২৩ সালে কৃষি অফিস থেকে বিনা মূল্যে সূর্যমুখী বীজ ও সার পেয়ে ২৫ শতক জমিতে চাষ করেন। এতে খরচ হয়েছিল ৮ হাজার টাকা এবং বীজ বিক্রি করে ৩০ হাজার টাকা আয় করেন। পরের বছর বেশি বীজ সংগ্রহ করে ১ একর জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেন, যা থেকে প্রায় ১ লাখ টাকা আয় হয়।

দেশের বরগুনা, পটুয়াখালী, খুলনা, শরীয়তপুর, ফরিদপুর, নোয়াখালীসহ বিভিন্ন অঞ্চলে সূর্যমুখী চাষ সবচেয়ে বেশি হয়। এসব জায়গায় প্রধানত ডি এস-১ এবং বারি সূর্যমুখী-২ জাতের সূর্যমুখী চাষ করা হয়।

থাকছে প্রণোদনা
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক (সরেজমিন উইং) সরকার শফি উদ্দীন আহমদ জানান, কৃষকদের বীজ সরবরাহসহ বিভিন্ন প্রণোদনা দিয়ে চাষ বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। এতে করে প্রতিবছর আবাদের আওতাও বাড়ছে। সরকারের এ চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। তবে সূর্যমুখীর জমির সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এটা একটা বড় সমস্যা। ভুট্টা, সরিষা ও অন্যান্য ফসলের চাহিদা বাড়ছে, তাই সূর্যমুখীর জন্য পর্যাপ্ত জমি পাওয়া কঠিন। এ ছাড়া বীজের অধিকাংশই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়; যা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হলে কৃষকের জন্য সহজলভ্য ও অধিক আয়ের ফসল হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠবে।

তবু আমদানি বেশি
যে পরিমাণ সূর্যমুখী তেল দেশের চাহিদা পূরণে উৎপাদিত হয়, তার থেকে অনেক বেশি আমদানি করা হয় প্রতিবছর। চট্টগ্রাম বন্দরের কাস্টমস তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে বন্ডের আওতায় ও বাণিজ্যিকভাবে সূর্যমুখী তেল আমদানি হয়েছিল ১১ হাজার ৩২৭ টন। আর ২০২৪ সালে তা বেড়ে ১৪ হাজার ৪০০ টনে পৌঁছেছে। ট্যারিফ কমিশনের তথ্যমতে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে পরিশোধিত সূর্যমুখী তেল আমদানি হয়েছিল ২ হাজার ৬০৭ টন এবং ২০২৩-২৪ সালে পরিশোধিত ও অপরিশোধিত মিলিয়ে আমদানি বেড়ে ১৩ হাজার ০৭৯ টন হয়েছে।

বাজারে চাহিদা
গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশে ২৩ হাজার ৭১১ টন সূর্যমুখী তেলের ব্যবহার হয়েছে, যা ওই সময়ের চাহিদা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। কৃষিবিশেষজ্ঞদের মতে, তিন কেজি সূর্যমুখী ফুলের বীজ থেকে এক কেজি সূর্যমুখী তেল উৎপন্ন হয়। এই হিসাবে, ২০২৩-২৪ মৌসুমে উৎপাদিত ৩১ হাজার ৮৯৭ টন সূর্যমুখী বীজ থেকে ১০ হাজার ৬৩২ টন তেল পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ওই সময় বিদেশ থেকে ১৩ হাজার ৭৯ টন সূর্যমুখী তেল আমদানি করা হয়। দেশে বর্তমানে মাথাপিছু ৪০ গ্রাম তেলের চাহিদা রয়েছে, যা মোট ১৭ কোটি ১৫ লাখ ৯০ হাজার জনসংখ্যার মধ্যে ১৬ লাখ ২৪ হাজার ৪১ জনের জন্য যথেষ্ট। এটি দেশের মোট জনসংখ্যার মাত্র ০.৯৫ শতাংশ।

ব্র্যান্ডনির্ভর বাজার
বাজারে দেশি ও বিদেশি বেশ কিছু ব্র্যান্ডের সূর্যমুখী তেল পাওয়া যায়। এর মধ্যে রয়েছে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ও পরিশোধিত ফেয়ার গ্রুপের ওলিটালিয়া এবং বাংলাদেশ এডিবল অয়েলের জনপ্রিয় কিংস ব্র্যান্ড। গ্লোব এডিবল অয়েলও সূর্যমুখী তেলের কারখানা স্থাপন করে শেফ ব্র্যান্ডে তেল বিক্রি করছে। স্কয়ার গ্রুপের রাঁধুনী ব্র্যান্ড এবং বাংলাদেশ এডিবল ওয়েলের ফরচুন ব্র্যান্ডও বাজারে পাওয়া যায়। তবে বর্তমানে ব্যবহৃত সূর্যমুখী তেলের বড় অংশ এখনো বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়, যার অধিকাংশ আসে ইতালি থেকে। পাশাপাশি মালয়েশিয়া, ইউক্রেন, তুরস্ক, স্পেন, গ্রিস, সাইপ্রাস ও রাশিয়া থেকেও আসে। বিদেশি ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে রয়েছে ক্যান্ট, বর্গেস, কার্নেল, লা ইস্পানোলা, গোল্ডেন ড্রপ, সানলিকো, অর্কিডসহ বেশ কিছু ব্র্যান্ড।

দামও নাগালের বাইরে
সূর্যমুখী তেল বর্তমানে দৃষ্টিনন্দন প্যাকেজিংয়ের মাধ্যমে ভোক্তার হাতে পৌঁছাচ্ছে। বিশেষত শহরের স্টোরগুলোতে এর উপস্থিতি বেশ স্পষ্ট। তবে এর দাম অনেকটাই সাধারণের নাগালের বাইরে। যাঁদের সূর্যমুখী তেলের প্রতি আগ্রহ আছে, তাঁরা মূলত দামের কারণে তা কিনতে অনীহা প্রকাশ করেন, বিশেষত স্বল্প আয়ের মানুষ। তবু ধনিক শ্রেণির পরিবারগুলোতে এই তেলের ব্যবহার রয়েছে। প্রতি লিটার ফর্টিফায়েড সানফ্লাওয়ার তেল ৪০০ থেকে ৪২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, আর দুই লিটারের বোতল ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায় এবং পাঁচ লিটার বোতল ১ হাজার ৯৫০ থেকে ২ হাজার ২৯৫ টাকায় পাওয়া যায়। তুলনা করলে সয়াবিন তেলের দাম অনেক কম, মাত্র ১৭৫ টাকা প্রতি লিটার এবং পাঁচ লিটার সয়াবিন তেল ৮৯০ টাকায় মেলে, যা সূর্যমুখী তেলের চেয়ে অনেক সাশ্রয়ী। তবে দেশে মধ্যবিত্ত শ্রেণির বড় উত্থান ঘটায় রুচির পরিবর্তনের প্রভাব পড়েছে সূর্যমুখী তেলে। উচ্চমূল্য সত্ত্বেও এঁদের অনেকেই এখন নিয়মিত এই তেল ব্যবহার করছেন। ফলে দোকানগুলোতে এই তেলের সরবরাহ আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, আগে শুধু রাজধানীর সুপারশপে সূর্যমুখী তেল বিক্রি হতো, কিন্তু এখন এটি অভিজাত এলাকার মুদি দোকান, চেইনশপ, সুপারশপ ও মিনিমার্টে বিক্রি হচ্ছে।

সেগুনবাগিচা বাজারের ব্যবসায়ী মোস্তাফিজ জানান, এক-দেড় বছর আগে পর্যন্ত তাঁর দোকানে সূর্যমুখী তেল ছিল না, তবে এখন ক্রেতাদের চাহিদা পূরণের জন্য এটি রাখছেন। অর্ডার দিলে সরবরাহকারীরা সরাসরি দোকানে সরবরাহ করেন এবং লিটারে ২৫ টাকা মুনাফা হয়।

সয়াবিনের বিকল্প সূর্যমুখী!
আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন ও সূর্যমুখী তেলের দাম এখন প্রায় একই এবং চাহিদা মেটাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যাচ্ছে। এতে সূর্যমুখী তেল দেশে সয়াবিন ও পাম তেলের বিকল্প হয়ে উঠতে পারে। দরকার শুধু সরকারের নীতি সহায়তা।

বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, গত নভেম্বর মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে বিভিন্ন ভোজ্যতেলের এফওবি (ফ্রি অন বোর্ড) মূল্য ছিল অপরিশোধিত পাম তেল প্রতি টন ১ হাজার ১৬০ মার্কিন ডলার, অপরিশোধিত সয়াবিন তেল ১ হাজার ৪৯ মার্কিন ডলার। এ ছাড়া অপরিশোধিত ক্যানোলা তেল (রেপসিড তেল) ১ হাজার ১২০ মার্কিন ডলার এবং অপরিশোধিত সূর্যমুখী তেল ১ হাজার ১৬৫ মার্কিন ডলার প্রতি টন।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকার যদি সয়াবিন ও সূর্যমুখী তেলের ভ্যাট ও ট্যাক্সের হার সমান করে, তবে দামও সমান হতে পারে।

দেশে সূর্যমুখী তেলের অন্যতম আমদানিকারক টি কে গ্রুপের পরিচালক শফিউল আতহার তাসলিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যেহেতু দেশে সূর্যমুখী তেলের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে, সরকার চাইলে এটি সয়াবিন ও পাম তেলের বিকল্প হতে পারে। তবে এর জন্য প্রয়োজন ট্যারিফ ভ্যালু ও শুল্ক হারকে সমান পর্যায়ে রাখা।’

আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন, পাম ও সূর্যমুখী তেলের দাম প্রায় সমান হওয়ায় ট্যারিফ কমিশন মনে করছে, যদি শুল্ক কাঠামো সমান করা হয়, তবে সূর্যমুখী তেল বিকল্প হিসেবে জনপ্রিয় হতে পারে।

ট্যারিফ কমিশনের পর্যবেক্ষণ
ট্যারিফ কমিশন তাদের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে সয়াবিন, পাম, সূর্যমুখী ও ক্যানোলা তেলের শুল্ক কাঠামো পর্যালোচনা করে সূর্যমুখী তেলের শুল্ক কমানোর সুপারিশ করেছে। এতে পরিশোধিত তেলে ২০% এবং অপরিশোধিত তেলে ১৫% শুল্ক কমানোর সুপারিশ করা হয়। আশার কথা হচ্ছে, এনবিআর এই সুপারিশ গ্রহণ করে, সূর্যমুখী তেলের আমদানিতে ১৫% শুল্ক ও ভ্যাট ৫% করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার ফলে লিটারপ্রতি দাম প্রায় ৫০ টাকা কমে আসবে। তবে সূর্যমুখী তেল সাধারণের নাগালে আনতে শুল্কহার আরও কমিয়ে আনার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

যুব কর্মসংস্থানে ১৮৩৯ কোটি টাকা ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান ও আয়ের সুযোগ বাড়াতে বাংলাদেশকে ১৫ কোটি ৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার ঋণ অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ১ হাজার ৮৩৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা। নারী এবং জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারী নিম্ন আয়ের যুবক ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের অগ্রাধিকার দিয়ে এই অর্থ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

আজ বুধবার বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। অনানুষ্ঠানিক খাত কর্মসংস্থান পুনরুদ্ধার ও অগ্রগতি প্রকল্পের আওতায় এ ঋণ দেওয়া হবে।

বিশ্বব্যাংক জানায়, এই প্রকল্পের মাধ্যমে নতুন করে প্রায় ১ লাখ ৭৬ হাজার যুবকের জন্য কর্মসংস্থান ও আয়ের সুযোগ তৈরি হবে। এর আগে প্রকল্পটির আওতায় ২ লাখ ৩৩ হাজার মানুষ সুবিধা পেয়েছেন। নতুন অর্থায়নের ফলে অংশগ্রহণকারীরা দক্ষতা প্রশিক্ষণ, শিক্ষানবিশ কর্মসূচি, উদ্যোক্তা উন্নয়ন এবং ক্ষুদ্রঋণের সুযোগসহ বিভিন্ন সহায়তা পাবেন। এতে তরুণ ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা কর্মসংস্থান ও ব্যবসা সম্প্রসারণে বিদ্যমান বাধা অতিক্রম করতে পারবেন।

প্রকল্পটির একটি বড় অংশ নারীর ক্ষমতায়ন ও জলবায়ু সহনশীল জীবিকার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে মানসম্মত ও সাশ্রয়ী শিশু যত্নসেবার সুযোগ, পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সম্প্রদায়ভিত্তিক জীবিকা সহায়তা।

বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন বলেন, ‘একটি ভালো চাকরি একটি জীবন, একটি পরিবার এবং একটি সম্প্রদায়কে বদলে দিতে পারে। কিন্তু প্রতিবছর শ্রমবাজারে প্রবেশ করা অনেক তরুণ বাংলাদেশি কাজ খুঁজে পায় না। কাজের মান, দক্ষতার ঘাটতি ও দক্ষতার অমিল বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে আছে।’

তিনি আরও জানান, নতুন এই অর্থায়ন বিশেষ করে নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর তরুণদের বাজার–প্রাসঙ্গিক দক্ষতা ও প্রশিক্ষণ অর্জনে সহায়তা করবে।

বিশ্বব্যাংক আরও জানায়, অতিরিক্ত অর্থায়নের ফলে প্রকল্পটির কার্যক্রম শহরের বাইরে গ্রামীণ এলাকাতেও সম্প্রসারিত হবে। এতে প্রান্তিক যুবক ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা লক্ষ্যভিত্তিক সহায়তা পাবেন। পাশাপাশি নারীদের প্রশিক্ষণ ও স্টার্টআপ অনুদানের মাধ্যমে গৃহভিত্তিক শিশু যত্নসেবা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হবে, যা নারী শ্রমশক্তির অংশগ্রহণ বাড়াবে এবং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।

বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র সামাজিক সুরক্ষা অর্থনীতিবিদ ও প্রকল্পের টিম লিডার আনিকা রহমান বলেন, ‘এই নতুন অর্থায়নের মাধ্যমে প্রমাণিত উদ্যোগগুলো সম্প্রসারণ, ক্ষুদ্রঋণের সুযোগ বাড়ানো এবং শিশু যত্নের মতো উদ্ভাবনী সমাধান চালু করা সম্ভব হবে। এতে আরও বেশি তরুণ ও নারী তাদের সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে একটি স্থিতিশীল ভবিষ্যৎ গড়তে পারবেন।’

বিশ্বব্যাংক জানায়, প্রকল্পটি ইতিমধ্যেই ইতিবাচক ফল দেখিয়েছে। শিক্ষানবিশ কর্মসূচি সম্পন্ন করা অংশগ্রহণকারীদের ৮০ শতাংশের বেশি তিন মাসের মধ্যেই কর্মসংস্থান নিশ্চিত করেছেন। একই সঙ্গে তরুণ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা আয় ও ব্যবসা পরিচালনায় উন্নতির কথা জানিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রমজান উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক হ্রাস

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৩৯
দীর্ঘ সময় রোজা রাখার পর পর দুটি বা তিনটি খেজুর শরীরে দ্রুত শক্তি এবং প্রাকৃতিক শর্করা জোগায়। ছবি: ভিজিট সৌদি ডট কম
দীর্ঘ সময় রোজা রাখার পর পর দুটি বা তিনটি খেজুর শরীরে দ্রুত শক্তি এবং প্রাকৃতিক শর্করা জোগায়। ছবি: ভিজিট সৌদি ডট কম

রমজান মাস উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক কমিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।

এনবিআর জানায়, ধর্মপ্রাণ জনগণের আবেগের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে খেজুরের মূল্য সাধারণের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসার লক্ষ্যে আসন্ন রমজান মাস উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ৪০ শতাংশ কমানো হয়েছে।

এনবিআর আরও জানায়, পবিত্র রমজান মাসে খেজুরের সরবরাহ ও বাজারমূল্য স্বাভাবিক রাখার উদ্দেশ্যে খেজুর আমদানিতে কাস্টমস ডিউটি ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করে গতকাল মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। এই অব্যাহতি আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

এ ছাড়া বিগত বাজেটে আমদানি পর্যায়ে অগ্রিম আয়কর-সংক্রান্ত বিধিমালা সংশোধন করে খেজুরসহ সব ফল আমদানির ওপর প্রযোজ্য অগ্রিম আয়কর ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। খেজুর ও অন্যান্য ফল আমদানিতে গত বছর অগ্রিম আয়করে যে ৫০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়েছে, তা এ বছরও বহাল আছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রত্যাশা, খেজুর আমদানিতে আমদানি শুল্ক এবং অগ্রিম আয়করে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ছাড় দেওয়ার কারণে আসন্ন রমজান মাসে খেজুরের সরবরাহ এবং বাজারমূল্য সাধারণ ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বাড়ল মেট্রোরেলের টিকিটে ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ০৮
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট অব্যাহতির সময়সীমা বেড়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) মেট্রোরেল সেবার ওপর ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) অব্যাহতির মেয়াদ আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়িয়েছে। মঙ্গলবার এনবিআর এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে।

এনবিআর জানায়, মেট্রোরেল সেবার ওপর মূল্য সংযোজন করের বিদ্যমান অব্যাহতি চালু রাখার জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে জনস্বার্থে এই অব্যাহতির মেয়াদ ৩০ জুন ২০২৬ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।

মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ শেষ হবে ৩১ ডিসেম্বর।

ভ্যাট আইন অনুযায়ী, যেকোনো শীতাতপনিয়ন্ত্রিত রেলের টিকিটে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের বিধান আছে। পুরোপুরি শীতাতপনিয়ন্ত্রিত এবং গণপরিবহন হওয়ায় মেট্রোরেলের ওপরও এই ভ্যাট আরোপিত হয়। তবে মেট্রোরেল চালুর শুরু থেকেই এর মালিক কোম্পানি ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) অনুরোধে এই সেবার ওপর ভ্যাট আরোপ করা হয়নি।

এর আগে ১১ ডিসেম্বর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট অব্যাহতির সুবিধা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ইবিএলের ‘এক্সিলেন্স ইন বিজনেস অ্যাওয়ার্ড’ পেল ফার্স্টট্রিপ

বিজ্ঞপ্তি
ইবিএলের ‘এক্সিলেন্স ইন বিজনেস অ্যাওয়ার্ড’ পেল ফার্স্টট্রিপ

দেশের অন্যতম সেরা বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের (ইবিএল) কাছ থেকে এক্সিলেন্স ইন বিজনেস অ্যাওয়ার্ডস জিতল ফার্স্টট্রিপ। ইস্টার্ন ব্যাংকের গত এক বছরে প্রবৃদ্ধি ও ডিজিটাল রূপান্তর-যাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ‘এক্সিলেন্স ইন অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি’ পুরস্কার অর্জন করে ফার্স্টট্রিপ।

এক্সিলেন্স ইন বিজনেস ইমার্জিং ক্যাটাগরিতে অনলাইন ট্রাভেল প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ফার্স্টট্রিপের অগ্রগতি ও উদ্ভাবনের স্বীকৃতি হিসেবেই এই সম্মান দেওয়া হয়েছে। রাজধানীর ইউনাইটেড কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত এক জমকালো অনুষ্ঠানে তাদের শীর্ষ পার্টনার ও মার্চেন্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্মাননা জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় অনলাইন ট্রাভেল প্ল্যাটফর্ম ফার্স্টট্রিপ সব সময় চায় গ্রাহকদের ভ্রমণ হোক সাশ্রয়ী, সহজ ও আনন্দদায়ক। ফার্স্টট্রিপ ইতিমধ্যে নিজেদের একটা রিলায়েবল মডার্ন আর ফিউচার রেডি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে।

ফার্স্টট্রিপের হেড অব অপারেশন (বি-টু-সি) মীর তাজমুল হোসেনের হাতে ইবিএল আয়োজিত ‘স্কাইস্ফিয়ার: ডিজিটাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ অনুষ্ঠানে পুরস্কার তুলে দেন ইবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলী রেজা ইফতেখার।

ফার্স্টট্রিপের জন্য এই স্বীকৃতি একটি বড় মাইলস্টোন। ইনোভেশন এবং সঠিক পার্টনারশিপের মাধ্যমে ফার্স্টট্রিপ বাংলাদেশের ট্রাভেল খাতে নিজেদের অবস্থান শক্ত করেছে। এই পুরস্কারের পেছনে ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির সঙ্গে ফার্স্টট্রিপের শক্তিশালী পার্টনারশিপের বড় ভূমিকা রয়েছে। দুই প্রতিষ্ঠানের প্রচেষ্টায় ফার্স্টট্রিপ গ্রাহকদের জন্য পেমেন্ট সলিউশনকে করে তুলেছে স্মার্ট ও সহজ।

ফার্স্টট্রিপের প্রতিনিধিরা এই অর্জনে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, এই সাফল্য পুরো টিম এবং পার্টনারদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল। বিশেষ করে ইবিএলের সহযোগিতা আমাদের ডিজিটাল যাত্রাকে আরও মসৃণ করেছে। ইনোভেশন ও গ্রাহকের আস্থাকে পুঁজি করে ফার্স্টট্রিপ বাংলাদেশের ট্রাভেল ইন্ডাস্ট্রিতে আরও বড় লক্ষ্য অর্জন করতে চায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত