মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা

সরকারি কাজে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরগুলোর সমন্বয়হীনতা এবং দায়িত্বে অবহেলার যে উদাহরণ প্রায়ই দেখা যায়, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প সেই সংকটকে আরও স্পষ্ট করেছে। দেশের পাঁচটি অর্থনৈতিক অঞ্চলে (ইজেড) টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক তৈরির উদ্দেশ্যে ৯৫ কোটি ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহে টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপন’ শীর্ষক দুই বছর মেয়াদি প্রকল্পটি শুরু হয়েছিল ২০২১ সালের জুলাইতে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন না হওয়ায় সংশোধিত পর্যায়ে আরও দুই বছর বৃদ্ধির পরও সেই সময়সীমা ছাড়িয়ে অতিরিক্ত আরও ৫ মাস অতিবাহিত হওয়ার দ্বারপ্রান্তে। অথচ প্রকল্পের কাজের বড় অংশের বাস্তব অগ্রগতি সেই শূন্যতেই আটকে আছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই পাঁচ অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় জমি বরাদ্দ দেওয়ার কথা বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)। অথচ প্রায় সাড়ে চার বছরেও বেজা তিনটি অর্থনৈতিক অঞ্চলে জমির সমস্যা এখনো মেটাতে পারেনি। আর জমি জটিলতা না কাটায় সেখানে এক ইঞ্চি কাজও এগোয়নি; বরং কার্যক্রম পুরোপুরি স্থবির। আর বাকি দুই অঞ্চলে ভৌত অগ্রগতি ৮০ শতাংশ এগোলেও চারদিক ঘিরে সীমানাপ্রাচীর বা গেট নির্মাণের কাজ শুরুই হয়নি। পাশাপাশি প্রকল্প এলাকায় সড়ক উন্নয়নকাজও পুরোপুরি অসম্পূর্ণ থাকায় সেখানে অপটিক্যাল ফাইবার বসানোর সুযোগও তৈরি হয়নি। ফলে অগ্রগতির অংশেও প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছায়নি।
এই বাস্তবতায় আশানুরূপ অগ্রগতির প্রত্যাশায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় তৃতীয়বারের মতো প্রকল্পের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। এতে ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়াই প্রকল্পের সময়সীমা বাড়ানোর সুপারিশ করেছে আইএমইডি সংশ্লিষ্ট পরিদর্শন দল। প্রস্তাবটি বর্তমানে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। শেষ পর্যন্ত অতিরিক্ত সময় অনুমোদন পেলে প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হবে ২০২৬ সালের জুনে।
তবে এই বর্ধিত সময়ের মধ্যেও প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়া নিয়ে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে গভীর শঙ্কা রয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সদ্য সাবেক প্রকল্প পরিচালক হুমায়ুন কবির জানান, নানা বাস্তবতায় অতিরিক্ত সময়েও প্রকল্প সম্পন্ন হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকেই যাচ্ছে।
এদিকে প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ না হওয়ার কারণ জানতে আইএমইডির সহকারী পরিচালকের নেতৃত্বে একটি দল চলতি বছরের ২৬ অক্টোবর অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো পরিদর্শন করে। পরিদর্শন প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রকল্পের আওতাভুক্ত পাঁচটি অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে সাবরাং, সোনাদিয়া ও নাফ ট্যুরিজম পার্কে এখনো জমি হস্তান্তর সম্পন্ন হয়নি। ফলে এসব এলাকায় কাজ শুরু করা যায়নি।
অন্যদিকে জামালপুর সদর ও মৌলভীবাজারের শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক অঞ্চলে জমি হস্তান্তরের পর ভৌত অগ্রগতি প্রায় ৮০ শতাংশ হলেও সড়ক নির্মাণ অসম্পূর্ণ থাকায় অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক স্থাপন সম্ভব হয়নি।
আইএমইডির ভাষ্য অনুযায়ী, উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যেই কাজ শুরু করা হয়েছিল। তবে জমি হস্তান্তরে বিলম্ব, অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর অভ্যন্তরীণ কাঠামোগত জটিলতা, সমন্বয়ের ঘাটতি ও দায়িত্বহীনতার কারণে সড়ক নির্মাণকাজ অসম্পূর্ণ থেকে গেছে। এসব কারণই প্রকল্পের অগ্রগতির প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। পরে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠিয়েও কোনো উত্তর মেলেনি। আর পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আইএমইডি বিভাগের সচিব সিরাজুন নূর চৌধুরী এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

সরকারি কাজে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরগুলোর সমন্বয়হীনতা এবং দায়িত্বে অবহেলার যে উদাহরণ প্রায়ই দেখা যায়, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প সেই সংকটকে আরও স্পষ্ট করেছে। দেশের পাঁচটি অর্থনৈতিক অঞ্চলে (ইজেড) টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক তৈরির উদ্দেশ্যে ৯৫ কোটি ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহে টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপন’ শীর্ষক দুই বছর মেয়াদি প্রকল্পটি শুরু হয়েছিল ২০২১ সালের জুলাইতে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন না হওয়ায় সংশোধিত পর্যায়ে আরও দুই বছর বৃদ্ধির পরও সেই সময়সীমা ছাড়িয়ে অতিরিক্ত আরও ৫ মাস অতিবাহিত হওয়ার দ্বারপ্রান্তে। অথচ প্রকল্পের কাজের বড় অংশের বাস্তব অগ্রগতি সেই শূন্যতেই আটকে আছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই পাঁচ অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় জমি বরাদ্দ দেওয়ার কথা বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)। অথচ প্রায় সাড়ে চার বছরেও বেজা তিনটি অর্থনৈতিক অঞ্চলে জমির সমস্যা এখনো মেটাতে পারেনি। আর জমি জটিলতা না কাটায় সেখানে এক ইঞ্চি কাজও এগোয়নি; বরং কার্যক্রম পুরোপুরি স্থবির। আর বাকি দুই অঞ্চলে ভৌত অগ্রগতি ৮০ শতাংশ এগোলেও চারদিক ঘিরে সীমানাপ্রাচীর বা গেট নির্মাণের কাজ শুরুই হয়নি। পাশাপাশি প্রকল্প এলাকায় সড়ক উন্নয়নকাজও পুরোপুরি অসম্পূর্ণ থাকায় সেখানে অপটিক্যাল ফাইবার বসানোর সুযোগও তৈরি হয়নি। ফলে অগ্রগতির অংশেও প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছায়নি।
এই বাস্তবতায় আশানুরূপ অগ্রগতির প্রত্যাশায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় তৃতীয়বারের মতো প্রকল্পের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। এতে ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়াই প্রকল্পের সময়সীমা বাড়ানোর সুপারিশ করেছে আইএমইডি সংশ্লিষ্ট পরিদর্শন দল। প্রস্তাবটি বর্তমানে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। শেষ পর্যন্ত অতিরিক্ত সময় অনুমোদন পেলে প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হবে ২০২৬ সালের জুনে।
তবে এই বর্ধিত সময়ের মধ্যেও প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়া নিয়ে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে গভীর শঙ্কা রয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সদ্য সাবেক প্রকল্প পরিচালক হুমায়ুন কবির জানান, নানা বাস্তবতায় অতিরিক্ত সময়েও প্রকল্প সম্পন্ন হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকেই যাচ্ছে।
এদিকে প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ না হওয়ার কারণ জানতে আইএমইডির সহকারী পরিচালকের নেতৃত্বে একটি দল চলতি বছরের ২৬ অক্টোবর অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো পরিদর্শন করে। পরিদর্শন প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রকল্পের আওতাভুক্ত পাঁচটি অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে সাবরাং, সোনাদিয়া ও নাফ ট্যুরিজম পার্কে এখনো জমি হস্তান্তর সম্পন্ন হয়নি। ফলে এসব এলাকায় কাজ শুরু করা যায়নি।
অন্যদিকে জামালপুর সদর ও মৌলভীবাজারের শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক অঞ্চলে জমি হস্তান্তরের পর ভৌত অগ্রগতি প্রায় ৮০ শতাংশ হলেও সড়ক নির্মাণ অসম্পূর্ণ থাকায় অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক স্থাপন সম্ভব হয়নি।
আইএমইডির ভাষ্য অনুযায়ী, উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যেই কাজ শুরু করা হয়েছিল। তবে জমি হস্তান্তরে বিলম্ব, অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর অভ্যন্তরীণ কাঠামোগত জটিলতা, সমন্বয়ের ঘাটতি ও দায়িত্বহীনতার কারণে সড়ক নির্মাণকাজ অসম্পূর্ণ থেকে গেছে। এসব কারণই প্রকল্পের অগ্রগতির প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। পরে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠিয়েও কোনো উত্তর মেলেনি। আর পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আইএমইডি বিভাগের সচিব সিরাজুন নূর চৌধুরী এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা

সরকারি কাজে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরগুলোর সমন্বয়হীনতা এবং দায়িত্বে অবহেলার যে উদাহরণ প্রায়ই দেখা যায়, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প সেই সংকটকে আরও স্পষ্ট করেছে। দেশের পাঁচটি অর্থনৈতিক অঞ্চলে (ইজেড) টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক তৈরির উদ্দেশ্যে ৯৫ কোটি ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহে টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপন’ শীর্ষক দুই বছর মেয়াদি প্রকল্পটি শুরু হয়েছিল ২০২১ সালের জুলাইতে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন না হওয়ায় সংশোধিত পর্যায়ে আরও দুই বছর বৃদ্ধির পরও সেই সময়সীমা ছাড়িয়ে অতিরিক্ত আরও ৫ মাস অতিবাহিত হওয়ার দ্বারপ্রান্তে। অথচ প্রকল্পের কাজের বড় অংশের বাস্তব অগ্রগতি সেই শূন্যতেই আটকে আছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই পাঁচ অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় জমি বরাদ্দ দেওয়ার কথা বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)। অথচ প্রায় সাড়ে চার বছরেও বেজা তিনটি অর্থনৈতিক অঞ্চলে জমির সমস্যা এখনো মেটাতে পারেনি। আর জমি জটিলতা না কাটায় সেখানে এক ইঞ্চি কাজও এগোয়নি; বরং কার্যক্রম পুরোপুরি স্থবির। আর বাকি দুই অঞ্চলে ভৌত অগ্রগতি ৮০ শতাংশ এগোলেও চারদিক ঘিরে সীমানাপ্রাচীর বা গেট নির্মাণের কাজ শুরুই হয়নি। পাশাপাশি প্রকল্প এলাকায় সড়ক উন্নয়নকাজও পুরোপুরি অসম্পূর্ণ থাকায় সেখানে অপটিক্যাল ফাইবার বসানোর সুযোগও তৈরি হয়নি। ফলে অগ্রগতির অংশেও প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছায়নি।
এই বাস্তবতায় আশানুরূপ অগ্রগতির প্রত্যাশায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় তৃতীয়বারের মতো প্রকল্পের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। এতে ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়াই প্রকল্পের সময়সীমা বাড়ানোর সুপারিশ করেছে আইএমইডি সংশ্লিষ্ট পরিদর্শন দল। প্রস্তাবটি বর্তমানে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। শেষ পর্যন্ত অতিরিক্ত সময় অনুমোদন পেলে প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হবে ২০২৬ সালের জুনে।
তবে এই বর্ধিত সময়ের মধ্যেও প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়া নিয়ে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে গভীর শঙ্কা রয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সদ্য সাবেক প্রকল্প পরিচালক হুমায়ুন কবির জানান, নানা বাস্তবতায় অতিরিক্ত সময়েও প্রকল্প সম্পন্ন হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকেই যাচ্ছে।
এদিকে প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ না হওয়ার কারণ জানতে আইএমইডির সহকারী পরিচালকের নেতৃত্বে একটি দল চলতি বছরের ২৬ অক্টোবর অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো পরিদর্শন করে। পরিদর্শন প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রকল্পের আওতাভুক্ত পাঁচটি অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে সাবরাং, সোনাদিয়া ও নাফ ট্যুরিজম পার্কে এখনো জমি হস্তান্তর সম্পন্ন হয়নি। ফলে এসব এলাকায় কাজ শুরু করা যায়নি।
অন্যদিকে জামালপুর সদর ও মৌলভীবাজারের শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক অঞ্চলে জমি হস্তান্তরের পর ভৌত অগ্রগতি প্রায় ৮০ শতাংশ হলেও সড়ক নির্মাণ অসম্পূর্ণ থাকায় অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক স্থাপন সম্ভব হয়নি।
আইএমইডির ভাষ্য অনুযায়ী, উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যেই কাজ শুরু করা হয়েছিল। তবে জমি হস্তান্তরে বিলম্ব, অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর অভ্যন্তরীণ কাঠামোগত জটিলতা, সমন্বয়ের ঘাটতি ও দায়িত্বহীনতার কারণে সড়ক নির্মাণকাজ অসম্পূর্ণ থেকে গেছে। এসব কারণই প্রকল্পের অগ্রগতির প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। পরে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠিয়েও কোনো উত্তর মেলেনি। আর পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আইএমইডি বিভাগের সচিব সিরাজুন নূর চৌধুরী এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

সরকারি কাজে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরগুলোর সমন্বয়হীনতা এবং দায়িত্বে অবহেলার যে উদাহরণ প্রায়ই দেখা যায়, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প সেই সংকটকে আরও স্পষ্ট করেছে। দেশের পাঁচটি অর্থনৈতিক অঞ্চলে (ইজেড) টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক তৈরির উদ্দেশ্যে ৯৫ কোটি ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহে টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপন’ শীর্ষক দুই বছর মেয়াদি প্রকল্পটি শুরু হয়েছিল ২০২১ সালের জুলাইতে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন না হওয়ায় সংশোধিত পর্যায়ে আরও দুই বছর বৃদ্ধির পরও সেই সময়সীমা ছাড়িয়ে অতিরিক্ত আরও ৫ মাস অতিবাহিত হওয়ার দ্বারপ্রান্তে। অথচ প্রকল্পের কাজের বড় অংশের বাস্তব অগ্রগতি সেই শূন্যতেই আটকে আছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই পাঁচ অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় জমি বরাদ্দ দেওয়ার কথা বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)। অথচ প্রায় সাড়ে চার বছরেও বেজা তিনটি অর্থনৈতিক অঞ্চলে জমির সমস্যা এখনো মেটাতে পারেনি। আর জমি জটিলতা না কাটায় সেখানে এক ইঞ্চি কাজও এগোয়নি; বরং কার্যক্রম পুরোপুরি স্থবির। আর বাকি দুই অঞ্চলে ভৌত অগ্রগতি ৮০ শতাংশ এগোলেও চারদিক ঘিরে সীমানাপ্রাচীর বা গেট নির্মাণের কাজ শুরুই হয়নি। পাশাপাশি প্রকল্প এলাকায় সড়ক উন্নয়নকাজও পুরোপুরি অসম্পূর্ণ থাকায় সেখানে অপটিক্যাল ফাইবার বসানোর সুযোগও তৈরি হয়নি। ফলে অগ্রগতির অংশেও প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছায়নি।
এই বাস্তবতায় আশানুরূপ অগ্রগতির প্রত্যাশায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় তৃতীয়বারের মতো প্রকল্পের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। এতে ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়াই প্রকল্পের সময়সীমা বাড়ানোর সুপারিশ করেছে আইএমইডি সংশ্লিষ্ট পরিদর্শন দল। প্রস্তাবটি বর্তমানে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। শেষ পর্যন্ত অতিরিক্ত সময় অনুমোদন পেলে প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হবে ২০২৬ সালের জুনে।
তবে এই বর্ধিত সময়ের মধ্যেও প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়া নিয়ে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে গভীর শঙ্কা রয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সদ্য সাবেক প্রকল্প পরিচালক হুমায়ুন কবির জানান, নানা বাস্তবতায় অতিরিক্ত সময়েও প্রকল্প সম্পন্ন হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকেই যাচ্ছে।
এদিকে প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ না হওয়ার কারণ জানতে আইএমইডির সহকারী পরিচালকের নেতৃত্বে একটি দল চলতি বছরের ২৬ অক্টোবর অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো পরিদর্শন করে। পরিদর্শন প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রকল্পের আওতাভুক্ত পাঁচটি অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে সাবরাং, সোনাদিয়া ও নাফ ট্যুরিজম পার্কে এখনো জমি হস্তান্তর সম্পন্ন হয়নি। ফলে এসব এলাকায় কাজ শুরু করা যায়নি।
অন্যদিকে জামালপুর সদর ও মৌলভীবাজারের শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক অঞ্চলে জমি হস্তান্তরের পর ভৌত অগ্রগতি প্রায় ৮০ শতাংশ হলেও সড়ক নির্মাণ অসম্পূর্ণ থাকায় অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক স্থাপন সম্ভব হয়নি।
আইএমইডির ভাষ্য অনুযায়ী, উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যেই কাজ শুরু করা হয়েছিল। তবে জমি হস্তান্তরে বিলম্ব, অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর অভ্যন্তরীণ কাঠামোগত জটিলতা, সমন্বয়ের ঘাটতি ও দায়িত্বহীনতার কারণে সড়ক নির্মাণকাজ অসম্পূর্ণ থেকে গেছে। এসব কারণই প্রকল্পের অগ্রগতির প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। পরে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠিয়েও কোনো উত্তর মেলেনি। আর পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আইএমইডি বিভাগের সচিব সিরাজুন নূর চৌধুরী এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

বাংলাদেশের ইলেকট্রনিকস পণ্য উৎপাদন শিল্পের পথিকৃৎ ও ওয়ালটন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এস এম নজরুল ইসলামের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনায় গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ওয়ালটনের হেডকোয়ার্টার্স, করপোরেট অফিসসহ দেশব্যাপী ওয়ালটনের সার্ভিস...
১৩ মিনিট আগে
২০২৪-২৫ অর্থবছরে তৃতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আনয়নকারী ব্যাংকের কৃতিত্ব অর্জন করেছে জনতা ব্যাংক পিএলসি। ব্যাংকটির পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৩১ মিনিট আগে
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৬ অর্জন করেছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ করে এ পুরস্কার অর্জন করে ব্যাংকটি।
৩৬ মিনিট আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের সংকট কাটাতে এবং ভেঙে পড়া শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে আরও কঠোর ও সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি জানিয়েছেন, ব্যাংক খাতের বড় অনিয়ম ধরতে ২০ কোটি টাকার বেশি অঙ্কের সব ঋণ নতুন করে যাচাই করা হবে। পাশাপাশি ধুঁকতে থাকা ৯টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের ইলেকট্রনিকস পণ্য উৎপাদন শিল্পের পথিকৃৎ ও ওয়ালটন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এস এম নজরুল ইসলামের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনায় গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ওয়ালটনের হেডকোয়ার্টার্স, করপোরেট অফিসসহ দেশব্যাপী ওয়ালটনের সার্ভিস সেন্টার, প্লাজা এবং পরিবেশক শোরুমগুলোতে মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
মহৎপ্রাণ ব্যক্তি নজরুল ইসলাম ২০১৭ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাতে না-ফেরার দেশে চলে যান। রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। সে সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর। পরদিন ১৮ ডিসেম্বর তাঁর নিজ গ্রাম গোসাই জোয়াইরে পারিবারিক কবরস্থানে মা-বাবার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হন তিনি।
কর্মজীবনে সফল ব্যক্তিত্ব আলহাজ এস এম নজরুল ইসলাম ৭ মে, ১৯২৪ সালে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার গোসাই জোয়াইর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম এস এম আতাহার আলী তালুকদার এবং মায়ের নাম মোসাম্মৎ শামছুন নাহার।
প্রথমে বাবা এস এম আতাহার আলী তালুকদারের সঙ্গে ব্যবসায় জড়িত হলেও স্বাধীনতার পর আলাদাভাবে ব্যবসা শুরু করেন তিনি। ব্যবসা শুরুর প্রাথমিক অবস্থায় তিনি নানাবিধ প্রতিকূলতার সম্মুখীন হন। কিন্তু তাঁর সততা ও কর্মনিষ্ঠার মাধ্যমে সব প্রতিকূলতা সাহসের সঙ্গে মোকাবিলা করেন।
দেশের মানুষের কাছে সাশ্রয়ীমূল্যে ইলেকট্রনিকস পণ্যসামগ্রী পৌঁছে দিতে ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠা করেন রেজভী অ্যান্ড ব্রাদার্স, সংক্ষেপে আরবি গ্রুপ। রেজভী তাঁর বড় ছেলে। পাঁচ ছেলে আর দুই মেয়ের পিতা তিনি।
নজরুল ইসলাম তাঁর ছেলেদের নিয়ে বৈঠক করে ব্র্যান্ডের নাম ঠিক করলেন ওয়ালটন। পারিবারিক বৈঠকে আরেকটি নাম ঠিক হয় মার্সেল। তবে প্রথমে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের নামেই যাত্রা শুরু। আরবি গ্রুপ নাম বদলে হয়ে গেল ওয়ালটন গ্রুপ। যাতে বিশাল ভূমিকা রাখেন তাঁর মেধাবী সন্তানেরা। আগে যেখানে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ কথাটাকে অবহেলার চোখে দেখা হতো, একসময় সেটিই হয়ে ওঠে সম্মানের এক স্লোগান।
একসময় দেশে ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয় ওয়ালটন পণ্যের। এই ব্র্যান্ডের পণ্যের উচ্চমান গ্রাহকদের আশাবাদী করে তোলে। এরপর শুরু হয় একই গ্রুপের আরেক ব্র্যান্ড মার্সেলের পথচলা। নজরুল ইসলামের দূরদর্শিতা ও সুযোগ্য পরিচালনায় ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ লেখা ওয়ালটন পণ্যের সুনাম ও খ্যাতি আজ দেশের সীমানা পেরিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
২০০৬ সালে গাজীপুরের চন্দ্রায় জায়গা কিনে ওয়ালটনের নিজস্ব কারখানা নির্মাণের কাজে হাত দেওয়ার পর প্রথমে কিছু বাধার সম্মুখীন হতে হয়। তবে সেসব বাধা পেরিয়ে নিজেদের অর্থেই কারখানা নির্মাণকাজ সম্পন্ন করা হয়। ২০০৮ সালে নিজস্ব কারখানায় উৎপাদিত হয় ওয়ালটন ফ্রিজ। সাশ্রয়ী মূল্যে উচ্চমানের পণ্য এবং সেবা দিয়ে জয় করে নেন গ্রাহকের আস্থা।
পর্যায়ক্রমে শুরু হয় টেলিভিশন, এয়ারকন্ডিশনার, ওয়াশিং মেশিন, মাইক্রোওয়েব ওভেন, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, কম্প্রেসার, লিফট, ফ্যান, সুইচ-সকেট, কেব্লসসহ শতাধিক ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিকস ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স সামগ্রীর উৎপাদন। বর্তমানে ফিনিশড গুডসের পাশাপাশি ৫০ হাজারেরও বেশি ইন্ডাস্ট্রিয়াল কম্পোনেন্টস ও ম্যাটেরিয়ালস উৎপাদন ও বাজারজাত করছে ওয়ালটন।
ওয়ালটন শুধু দেশেই বাজারজাত করে সীমাবদ্ধ থাকেনি। প্রথমে মধ্যপ্রাচ্য দিয়ে রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়ে বর্তমানে ৫০টিরও বেশি দেশে যাচ্ছে ওয়ালটন পণ্য। মেড ইন বাংলাদেশ লেখাটি এখন বিশ্বের মানুষের কাছে সম্মান আদায় করে নিতে সক্ষম হচ্ছে।
এরপর ‘সময় এখন বাংলাদেশের’ স্লোগান নিয়ে যাত্রা শুরু করে দেশের প্রথম মোবাইল ফোনের কারখানা। পরবর্তী সময়ে ল্যাপটপও উৎপাদন শুরু করে ওয়ালটন। এর মধ্য দিয়ে ওয়ালটন কারখানা কমপ্লেক্স হয়ে উঠেছে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ প্রযুক্তি পণ্যের উৎপাদন ও গবেষণাগার। প্রায় ৩০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। তৈরি হচ্ছে দক্ষ জনশক্তি।
ব্যবসায়িক সাফল্য বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আলহাজ এস এম নজরুল ইসলাম বিভিন্ন আর্থসামাজিক ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে নিজেকে নিয়োজিত করেন। তিনি টাঙ্গাইল জেলা সমবায় ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক, টাঙ্গাইল জেলা সার ডিলার সমিতির সভাপতি, টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংকের পরিচালক এবং টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় জমি বন্ধকি ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন।
নজরুল ইসলাম তাঁর গ্রামে এস এম নজরুল ইসলাম কারিগরি বিদ্যালয় নামে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছেন। এ ছাড়া, মসজিদ, মাদ্রাসা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, এতিমখানাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত সাহায্য-সহযোগিতা দিতেন। তিনি গ্রামের দুস্থ, বৃদ্ধ ও মহিলাদের জন্য বয়স্কভাতা প্রকল্প চালু করেছেন।

বাংলাদেশের ইলেকট্রনিকস পণ্য উৎপাদন শিল্পের পথিকৃৎ ও ওয়ালটন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এস এম নজরুল ইসলামের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনায় গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ওয়ালটনের হেডকোয়ার্টার্স, করপোরেট অফিসসহ দেশব্যাপী ওয়ালটনের সার্ভিস সেন্টার, প্লাজা এবং পরিবেশক শোরুমগুলোতে মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
মহৎপ্রাণ ব্যক্তি নজরুল ইসলাম ২০১৭ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাতে না-ফেরার দেশে চলে যান। রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। সে সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর। পরদিন ১৮ ডিসেম্বর তাঁর নিজ গ্রাম গোসাই জোয়াইরে পারিবারিক কবরস্থানে মা-বাবার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হন তিনি।
কর্মজীবনে সফল ব্যক্তিত্ব আলহাজ এস এম নজরুল ইসলাম ৭ মে, ১৯২৪ সালে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার গোসাই জোয়াইর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম এস এম আতাহার আলী তালুকদার এবং মায়ের নাম মোসাম্মৎ শামছুন নাহার।
প্রথমে বাবা এস এম আতাহার আলী তালুকদারের সঙ্গে ব্যবসায় জড়িত হলেও স্বাধীনতার পর আলাদাভাবে ব্যবসা শুরু করেন তিনি। ব্যবসা শুরুর প্রাথমিক অবস্থায় তিনি নানাবিধ প্রতিকূলতার সম্মুখীন হন। কিন্তু তাঁর সততা ও কর্মনিষ্ঠার মাধ্যমে সব প্রতিকূলতা সাহসের সঙ্গে মোকাবিলা করেন।
দেশের মানুষের কাছে সাশ্রয়ীমূল্যে ইলেকট্রনিকস পণ্যসামগ্রী পৌঁছে দিতে ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠা করেন রেজভী অ্যান্ড ব্রাদার্স, সংক্ষেপে আরবি গ্রুপ। রেজভী তাঁর বড় ছেলে। পাঁচ ছেলে আর দুই মেয়ের পিতা তিনি।
নজরুল ইসলাম তাঁর ছেলেদের নিয়ে বৈঠক করে ব্র্যান্ডের নাম ঠিক করলেন ওয়ালটন। পারিবারিক বৈঠকে আরেকটি নাম ঠিক হয় মার্সেল। তবে প্রথমে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের নামেই যাত্রা শুরু। আরবি গ্রুপ নাম বদলে হয়ে গেল ওয়ালটন গ্রুপ। যাতে বিশাল ভূমিকা রাখেন তাঁর মেধাবী সন্তানেরা। আগে যেখানে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ কথাটাকে অবহেলার চোখে দেখা হতো, একসময় সেটিই হয়ে ওঠে সম্মানের এক স্লোগান।
একসময় দেশে ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয় ওয়ালটন পণ্যের। এই ব্র্যান্ডের পণ্যের উচ্চমান গ্রাহকদের আশাবাদী করে তোলে। এরপর শুরু হয় একই গ্রুপের আরেক ব্র্যান্ড মার্সেলের পথচলা। নজরুল ইসলামের দূরদর্শিতা ও সুযোগ্য পরিচালনায় ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ লেখা ওয়ালটন পণ্যের সুনাম ও খ্যাতি আজ দেশের সীমানা পেরিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
২০০৬ সালে গাজীপুরের চন্দ্রায় জায়গা কিনে ওয়ালটনের নিজস্ব কারখানা নির্মাণের কাজে হাত দেওয়ার পর প্রথমে কিছু বাধার সম্মুখীন হতে হয়। তবে সেসব বাধা পেরিয়ে নিজেদের অর্থেই কারখানা নির্মাণকাজ সম্পন্ন করা হয়। ২০০৮ সালে নিজস্ব কারখানায় উৎপাদিত হয় ওয়ালটন ফ্রিজ। সাশ্রয়ী মূল্যে উচ্চমানের পণ্য এবং সেবা দিয়ে জয় করে নেন গ্রাহকের আস্থা।
পর্যায়ক্রমে শুরু হয় টেলিভিশন, এয়ারকন্ডিশনার, ওয়াশিং মেশিন, মাইক্রোওয়েব ওভেন, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, কম্প্রেসার, লিফট, ফ্যান, সুইচ-সকেট, কেব্লসসহ শতাধিক ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিকস ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স সামগ্রীর উৎপাদন। বর্তমানে ফিনিশড গুডসের পাশাপাশি ৫০ হাজারেরও বেশি ইন্ডাস্ট্রিয়াল কম্পোনেন্টস ও ম্যাটেরিয়ালস উৎপাদন ও বাজারজাত করছে ওয়ালটন।
ওয়ালটন শুধু দেশেই বাজারজাত করে সীমাবদ্ধ থাকেনি। প্রথমে মধ্যপ্রাচ্য দিয়ে রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়ে বর্তমানে ৫০টিরও বেশি দেশে যাচ্ছে ওয়ালটন পণ্য। মেড ইন বাংলাদেশ লেখাটি এখন বিশ্বের মানুষের কাছে সম্মান আদায় করে নিতে সক্ষম হচ্ছে।
এরপর ‘সময় এখন বাংলাদেশের’ স্লোগান নিয়ে যাত্রা শুরু করে দেশের প্রথম মোবাইল ফোনের কারখানা। পরবর্তী সময়ে ল্যাপটপও উৎপাদন শুরু করে ওয়ালটন। এর মধ্য দিয়ে ওয়ালটন কারখানা কমপ্লেক্স হয়ে উঠেছে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ প্রযুক্তি পণ্যের উৎপাদন ও গবেষণাগার। প্রায় ৩০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। তৈরি হচ্ছে দক্ষ জনশক্তি।
ব্যবসায়িক সাফল্য বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আলহাজ এস এম নজরুল ইসলাম বিভিন্ন আর্থসামাজিক ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে নিজেকে নিয়োজিত করেন। তিনি টাঙ্গাইল জেলা সমবায় ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক, টাঙ্গাইল জেলা সার ডিলার সমিতির সভাপতি, টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংকের পরিচালক এবং টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় জমি বন্ধকি ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন।
নজরুল ইসলাম তাঁর গ্রামে এস এম নজরুল ইসলাম কারিগরি বিদ্যালয় নামে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছেন। এ ছাড়া, মসজিদ, মাদ্রাসা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, এতিমখানাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত সাহায্য-সহযোগিতা দিতেন। তিনি গ্রামের দুস্থ, বৃদ্ধ ও মহিলাদের জন্য বয়স্কভাতা প্রকল্প চালু করেছেন।

সরকারি কাজে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরগুলোর সমন্বয়হীনতা এবং দায়িত্বে অবহেলার যে উদাহরণ প্রায়ই দেখা যায়, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প সেই সংকটকে আরও স্পষ্ট করেছে। দেশের পাঁচটি অর্থনৈতিক অঞ্চলে (ইজেড) টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক তৈরির উদ্দেশ্যে ৯৫ কোটি ১২ লাখ টাকা...
৫ ঘণ্টা আগে
২০২৪-২৫ অর্থবছরে তৃতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আনয়নকারী ব্যাংকের কৃতিত্ব অর্জন করেছে জনতা ব্যাংক পিএলসি। ব্যাংকটির পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৩১ মিনিট আগে
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৬ অর্জন করেছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ করে এ পুরস্কার অর্জন করে ব্যাংকটি।
৩৬ মিনিট আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের সংকট কাটাতে এবং ভেঙে পড়া শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে আরও কঠোর ও সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি জানিয়েছেন, ব্যাংক খাতের বড় অনিয়ম ধরতে ২০ কোটি টাকার বেশি অঙ্কের সব ঋণ নতুন করে যাচাই করা হবে। পাশাপাশি ধুঁকতে থাকা ৯টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

২০২৪-২৫ অর্থবছরে তৃতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আনয়নকারী ব্যাংকের কৃতিত্ব অর্জন করেছে জনতা ব্যাংক পিএলসি। ব্যাংকটির পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের কাছ থেকে রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মজিবর রহমান।
এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

২০২৪-২৫ অর্থবছরে তৃতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আনয়নকারী ব্যাংকের কৃতিত্ব অর্জন করেছে জনতা ব্যাংক পিএলসি। ব্যাংকটির পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের কাছ থেকে রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মজিবর রহমান।
এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সরকারি কাজে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরগুলোর সমন্বয়হীনতা এবং দায়িত্বে অবহেলার যে উদাহরণ প্রায়ই দেখা যায়, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প সেই সংকটকে আরও স্পষ্ট করেছে। দেশের পাঁচটি অর্থনৈতিক অঞ্চলে (ইজেড) টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক তৈরির উদ্দেশ্যে ৯৫ কোটি ১২ লাখ টাকা...
৫ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের ইলেকট্রনিকস পণ্য উৎপাদন শিল্পের পথিকৃৎ ও ওয়ালটন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এস এম নজরুল ইসলামের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনায় গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ওয়ালটনের হেডকোয়ার্টার্স, করপোরেট অফিসসহ দেশব্যাপী ওয়ালটনের সার্ভিস...
১৩ মিনিট আগে
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৬ অর্জন করেছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ করে এ পুরস্কার অর্জন করে ব্যাংকটি।
৩৬ মিনিট আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের সংকট কাটাতে এবং ভেঙে পড়া শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে আরও কঠোর ও সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি জানিয়েছেন, ব্যাংক খাতের বড় অনিয়ম ধরতে ২০ কোটি টাকার বেশি অঙ্কের সব ঋণ নতুন করে যাচাই করা হবে। পাশাপাশি ধুঁকতে থাকা ৯টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৬ অর্জন করেছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ করে এ পুরস্কার অর্জন করে ব্যাংকটি।
ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের কাছ থেকে এ পুরস্কার গ্রহণ করেন ইসলামী ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন।
এ সময় ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. রফিকুল ইসলাম, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মোতাহার হোসাইন মোল্লা এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৬ অর্জন করেছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ করে এ পুরস্কার অর্জন করে ব্যাংকটি।
ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের কাছ থেকে এ পুরস্কার গ্রহণ করেন ইসলামী ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন।
এ সময় ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. রফিকুল ইসলাম, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মোতাহার হোসাইন মোল্লা এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

সরকারি কাজে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরগুলোর সমন্বয়হীনতা এবং দায়িত্বে অবহেলার যে উদাহরণ প্রায়ই দেখা যায়, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প সেই সংকটকে আরও স্পষ্ট করেছে। দেশের পাঁচটি অর্থনৈতিক অঞ্চলে (ইজেড) টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক তৈরির উদ্দেশ্যে ৯৫ কোটি ১২ লাখ টাকা...
৫ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের ইলেকট্রনিকস পণ্য উৎপাদন শিল্পের পথিকৃৎ ও ওয়ালটন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এস এম নজরুল ইসলামের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনায় গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ওয়ালটনের হেডকোয়ার্টার্স, করপোরেট অফিসসহ দেশব্যাপী ওয়ালটনের সার্ভিস...
১৩ মিনিট আগে
২০২৪-২৫ অর্থবছরে তৃতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আনয়নকারী ব্যাংকের কৃতিত্ব অর্জন করেছে জনতা ব্যাংক পিএলসি। ব্যাংকটির পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৩১ মিনিট আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের সংকট কাটাতে এবং ভেঙে পড়া শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে আরও কঠোর ও সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি জানিয়েছেন, ব্যাংক খাতের বড় অনিয়ম ধরতে ২০ কোটি টাকার বেশি অঙ্কের সব ঋণ নতুন করে যাচাই করা হবে। পাশাপাশি ধুঁকতে থাকা ৯টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের ব্যাংকিং খাতের সংকট কাটাতে এবং ভেঙে পড়া শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে আরও কঠোর ও সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি জানিয়েছেন, ব্যাংক খাতের বড় অনিয়ম ধরতে ২০ কোটি টাকার বেশি অঙ্কের সব ঋণ নতুন করে যাচাই করা হবে। পাশাপাশি ধুঁকতে থাকা ৯টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অবসায়ন এবং দুর্বল ব্যাংকগুলোর একীভূতকরণ প্রক্রিয়া দ্রুততর করতে সব ধরনের আইনি জটিলতা দূর করা হচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত ‘ব্যাংকিং খাত সংস্কার: চ্যালেঞ্জ উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গভর্নর জানান, ব্যাংকিং খাতে স্বচ্ছতা ফেরাতে বড় অঙ্কের ঋণগুলোর ওপর বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ২০ কোটি টাকার বেশি সব ঋণ নতুন করে যাচাই করা হবে। এসব ঋণের বিপরীতে পর্যাপ্ত জামানত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে। যদি জামানত ঠিক না থাকে, তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও ব্যাংক পরিচালকদের কঠোর জবাবদিহির আওতায় আনা হবে।
সেমিনারে গভর্নর জানান, পাঁচটি ব্যাংক একীভূত করার পাশাপাশি ৯টি অ-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই) অবসায়ন করা হচ্ছে। তবে আমানতকারীদের আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, এসব প্রতিষ্ঠানের সব সাধারণ আমানতকারী তাঁদের জমানো পুরো টাকা ফেরত পাবেন। প্রাতিষ্ঠানিক আমানতকারীরা তাঁদের অর্থের একটি অংশ ফেরত পাবেন। এ লক্ষ্যে পাঁচ ব্যাংকের গ্রাহকদের টাকা ফেরতের সুবিধার্থে ইতিমধ্যে ১২ হাজার কোটি টাকার তারল্য সহায়তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
ড. মনসুর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করতে সরকারের কাছে নতুন আইনের প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বাধীনতা ও একজন ভালো নেতা দরকার। এই সরকার যদি প্রস্তাবিত আইনটি পাস করে দেয়, তবে ব্যাংকিং খাতে আমূল পরিবর্তন আনা সম্ভব হবে। তিনি আরও যোগ করেন, মন্ত্রীর কথায় যেন গভর্নরকে বরখাস্ত না করা যায়, এমন আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
সেমিনারে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, আসন্ন নির্বাচন একটি সন্ধিক্ষণ। রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে ব্যাংকিং খাতকে শক্তিশালী করার সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, রাজনৈতিক নেতারা কি আগের মতো ক্ষমতাশালী পুঁজিপতিদের হাতে ব্যাংক ছেড়ে দেবেন, না জনগণের কল্যাণে ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের পুঁজিতে এই খাত ব্যবহার করবেন?
সেমিনারে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ২০১৭ সালে ইসলামী ব্যাংক দখলের মাধ্যমে মূলত ব্যাংক খাত ভঙ্গুর হয়ে পড়ে এবং খেলাপি ঋণ ৩৬ শতাংশে পৌঁছায়। এখন যে সংস্কার হচ্ছে, পরবর্তী রাজনৈতিক সরকার তা কতটা এগিয়ে নেবে—সেটিই বড় চ্যালেঞ্জ।
বর্তমানে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের প্রকৃত হার ৩৬ শতাংশ বলে স্বীকার করেন ড. মনসুর। এ সংকট কাটাতে তিনি বড় ঋণের জন্য ব্যাংকগুলোর ওপর নির্ভরতা কমিয়ে বন্ড মার্কেটের বিকাশের ওপর জোর দেন। তিনি জানান, আন্তর্জাতিক মানের আর্থিক খাত গড়তে অন্তত ১০ বছর সময় লাগতে পারে, তবে সঠিক পথে হাঁটা শুরু হয়েছে।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ইআরএফ সভাপতি দৌলত আক্তার এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম।

দেশের ব্যাংকিং খাতের সংকট কাটাতে এবং ভেঙে পড়া শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে আরও কঠোর ও সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি জানিয়েছেন, ব্যাংক খাতের বড় অনিয়ম ধরতে ২০ কোটি টাকার বেশি অঙ্কের সব ঋণ নতুন করে যাচাই করা হবে। পাশাপাশি ধুঁকতে থাকা ৯টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অবসায়ন এবং দুর্বল ব্যাংকগুলোর একীভূতকরণ প্রক্রিয়া দ্রুততর করতে সব ধরনের আইনি জটিলতা দূর করা হচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত ‘ব্যাংকিং খাত সংস্কার: চ্যালেঞ্জ উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গভর্নর জানান, ব্যাংকিং খাতে স্বচ্ছতা ফেরাতে বড় অঙ্কের ঋণগুলোর ওপর বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ২০ কোটি টাকার বেশি সব ঋণ নতুন করে যাচাই করা হবে। এসব ঋণের বিপরীতে পর্যাপ্ত জামানত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে। যদি জামানত ঠিক না থাকে, তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও ব্যাংক পরিচালকদের কঠোর জবাবদিহির আওতায় আনা হবে।
সেমিনারে গভর্নর জানান, পাঁচটি ব্যাংক একীভূত করার পাশাপাশি ৯টি অ-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই) অবসায়ন করা হচ্ছে। তবে আমানতকারীদের আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, এসব প্রতিষ্ঠানের সব সাধারণ আমানতকারী তাঁদের জমানো পুরো টাকা ফেরত পাবেন। প্রাতিষ্ঠানিক আমানতকারীরা তাঁদের অর্থের একটি অংশ ফেরত পাবেন। এ লক্ষ্যে পাঁচ ব্যাংকের গ্রাহকদের টাকা ফেরতের সুবিধার্থে ইতিমধ্যে ১২ হাজার কোটি টাকার তারল্য সহায়তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
ড. মনসুর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করতে সরকারের কাছে নতুন আইনের প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বাধীনতা ও একজন ভালো নেতা দরকার। এই সরকার যদি প্রস্তাবিত আইনটি পাস করে দেয়, তবে ব্যাংকিং খাতে আমূল পরিবর্তন আনা সম্ভব হবে। তিনি আরও যোগ করেন, মন্ত্রীর কথায় যেন গভর্নরকে বরখাস্ত না করা যায়, এমন আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
সেমিনারে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, আসন্ন নির্বাচন একটি সন্ধিক্ষণ। রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে ব্যাংকিং খাতকে শক্তিশালী করার সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, রাজনৈতিক নেতারা কি আগের মতো ক্ষমতাশালী পুঁজিপতিদের হাতে ব্যাংক ছেড়ে দেবেন, না জনগণের কল্যাণে ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের পুঁজিতে এই খাত ব্যবহার করবেন?
সেমিনারে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ২০১৭ সালে ইসলামী ব্যাংক দখলের মাধ্যমে মূলত ব্যাংক খাত ভঙ্গুর হয়ে পড়ে এবং খেলাপি ঋণ ৩৬ শতাংশে পৌঁছায়। এখন যে সংস্কার হচ্ছে, পরবর্তী রাজনৈতিক সরকার তা কতটা এগিয়ে নেবে—সেটিই বড় চ্যালেঞ্জ।
বর্তমানে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের প্রকৃত হার ৩৬ শতাংশ বলে স্বীকার করেন ড. মনসুর। এ সংকট কাটাতে তিনি বড় ঋণের জন্য ব্যাংকগুলোর ওপর নির্ভরতা কমিয়ে বন্ড মার্কেটের বিকাশের ওপর জোর দেন। তিনি জানান, আন্তর্জাতিক মানের আর্থিক খাত গড়তে অন্তত ১০ বছর সময় লাগতে পারে, তবে সঠিক পথে হাঁটা শুরু হয়েছে।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ইআরএফ সভাপতি দৌলত আক্তার এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম।

সরকারি কাজে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরগুলোর সমন্বয়হীনতা এবং দায়িত্বে অবহেলার যে উদাহরণ প্রায়ই দেখা যায়, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প সেই সংকটকে আরও স্পষ্ট করেছে। দেশের পাঁচটি অর্থনৈতিক অঞ্চলে (ইজেড) টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক তৈরির উদ্দেশ্যে ৯৫ কোটি ১২ লাখ টাকা...
৫ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের ইলেকট্রনিকস পণ্য উৎপাদন শিল্পের পথিকৃৎ ও ওয়ালটন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এস এম নজরুল ইসলামের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনায় গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ওয়ালটনের হেডকোয়ার্টার্স, করপোরেট অফিসসহ দেশব্যাপী ওয়ালটনের সার্ভিস...
১৩ মিনিট আগে
২০২৪-২৫ অর্থবছরে তৃতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আনয়নকারী ব্যাংকের কৃতিত্ব অর্জন করেছে জনতা ব্যাংক পিএলসি। ব্যাংকটির পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৩১ মিনিট আগে
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৬ অর্জন করেছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ করে এ পুরস্কার অর্জন করে ব্যাংকটি।
৩৬ মিনিট আগে