আজকের পত্রিকা ডেস্ক

১৯৭১ সাল থেকে বর্তমান ২০২৫ সাল পর্যন্ত, বাংলাদেশের জাতীয় বাজেট দেশের অর্থনৈতিক যাত্রার এক বিশাল চিত্র তুলে ধরে। এই দীর্ঘ সময়ে বাজেট শুধু আকারের দিক থেকেই বাড়েনি, বরং এর দর্শন, অগ্রাধিকার এবং অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটও বহুলাংশে পরিবর্তিত হয়েছে। তবে অন্তর্বর্তীকালীন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বাজেট সাধারণত কিছু নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য থাকে, যা নির্বাচিত সরকারের বাজেট থেকে ভিন্ন। নিচে বাংলাদেশে স্বাধীনতার পর থেকে এ যাবৎ অর্থ বাজেটের একটি সংক্ষিপ্ত চিত্র তুলে ধরা হলো:
প্রথম দশক: যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠন (১৯৭১-৮০)
১৯৭১-৭২ অর্থবছর: এটি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট। তাজউদ্দীন আহমদ অর্থমন্ত্রী হিসেবে এই বাজেট পেশ করেন। এটি মূলত ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ থেকে ৩০ জুন ১৯৭২ পর্যন্ত সময়ের জন্য ছিল। যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশের পুনর্গঠন, ত্রাণ ও পুনর্বাসন ছিল এর মূল লক্ষ্য।
১৯৭২-৭৩ অর্থবছর: স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট এটি, পেশ করেন তাজউদ্দীন আহমদ। আকার ছিল ৭৮৬ কোটি টাকা (উন্নয়ন বাজেট ৫০১ কোটি টাকা)।
১৯৭৩-৭৪ অর্থবছর: তাজউদ্দীন আহমদ, ৯৯৫ কোটি টাকা।
১৯৭৪-৭৫ অর্থবছর: তাজউদ্দীন আহমদ, ১, ০৮৪ কোটি টাকা।
১৯৭৫-৭৬ অর্থবছর: ড. আজিজুর রহমান মল্লিক, ১, ৫৪৯ কোটি টাকা।
১৯৭৬-৭৭ অর্থবছর: মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান, ১, ৯৮৯ কোটি টাকা।
১৯৭৭-৭৮ অর্থবছর: লেফটেন্যান্ট জেনারেল জিয়াউর রহমান, ২, ১৮৪ কোটি টাকা।
১৯৭৮-৭৯ অর্থবছর: প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, ২, ৪৯৯ কোটি টাকা।
১৯৭৯-৮০ অর্থবছর: ড. এম. এন. হুদা, ৩, ৩১৭ কোটি টাকা।
১৯৮০-৮১ অর্থবছর: এম. সাইফুর রহমান, ৪, ১০৮ কোটি টাকা।
এই দশকে বাজেট মূলত কৃষি, গ্রামীণ উন্নয়ন, অবকাঠামো পুনর্গঠন এবং শিল্প খাতের প্রাথমিক বিকাশের ওপর জোর দেয়। যুদ্ধকালীন ক্ষতির প্রভাব কাটিয়ে অর্থনীতিকে দাঁড় করানোর চেষ্টাই ছিল প্রধান।
দ্বিতীয় দশক: সামরিক শাসন ও অর্থনৈতিক উদারীকরণ শুরু (১৯৮১-৯০)
১৯৮১-৮২ অর্থবছর: এম. সাইফুর রহমান, ৪, ৬৭৭ কোটি টাকা।
১৯৮২-৮৩ অর্থবছর: এ. এম. এ. মুহিত, ৪, ৭৩৮ কোটি টাকা। (এরশাদ সরকারের প্রথম বাজেট)
১৯৮৩-৮৪ অর্থবছর: এ. এম. এ. মুহিত, ৫, ৮৯৬ কোটি টাকা।
১৯৮৪-৮৫ অর্থবছর: এম. সাইদুজ্জামান, ৬, ৬৯৯ কোটি টাকা।
১৯৮৫-৮৬ অর্থবছর: এম. সাইদুজ্জামান, ৭, ১৩৮ কোটি টাকা।
১৯৮৬-৮৭ অর্থবছর: এম. সাইদুজ্জামান, ৮, ৫০৪ কোটি টাকা।
১৯৮৭-৮৮ অর্থবছর: এম. সাইদুজ্জামান, ৮, ৫২৭ কোটি টাকা।
১৯৮৮-৮৯ অর্থবছর: মেজর জেনারেল মুনিম, ১০, ৫৬৫ কোটি টাকা।
১৯৮৯-৯০ অর্থবছর: ড. ওয়াহিদুল হক, ১২, ৭০৩ কোটি টাকা।
১৯৯০-৯১ অর্থবছর: মেজর জেনারেল মুনিম, ১২, ৯৬০ কোটি টাকা।
এই দশকে সামরিক সরকারের অধীনে বাজেট পেশ করা হয়। ধীরে ধীরে অর্থনৈতিক উদারীকরণ এবং বেসরকারি খাতের প্রতি কিছুটা মনোযোগ দেখা যেতে শুরু করে। বাজেটের আকার ধীর গতিতে বৃদ্ধি পায়।
তৃতীয় দশক: গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও সংস্কারের যাত্রা (১৯৯১-২০০০)
১৯৯১-৯২ অর্থবছর: এম. সাইফুর রহমান, ১৫, ৫৮৪ কোটি টাকা। (গণতন্ত্রে ফেরার পর প্রথম বাজেট)
১৯৯২-৯৩ অর্থবছর: এম. সাইফুর রহমান, ১৭, ৬০৭ কোটি টাকা।
১৯৯৩-৯৪ অর্থবছর: এম. সাইফুর রহমান, ১৯, ০৫০ কোটি টাকা।
১৯৯৪-৯৫ অর্থবছর: এম. সাইফুর রহমান, ২০, ৯৪৮ কোটি টাকা।
১৯৯৫-৯৬ অর্থবছর: এম. সাইফুর রহমান, ২৩, ১৭০ কোটি টাকা।
১৯৯৬-৯৭ অর্থবছর: শাহ এ. এম. এস. কিবরিয়া, ২৪, ৬০৩ কোটি টাকা।
১৯৯৭-৯৮ অর্থবছর: শাহ এ. এম. এস. কিবরিয়া, ২৭, ৭৮৬ কোটি টাকা।
১৯৯৮-৯৯ অর্থবছর: শাহ এ. এম. এস. কিবরিয়া, ২৯, ৫৩৭ কোটি টাকা।
১৯৯৯-০০ অর্থবছর: শাহ এ. এম. এস. কিবরিয়া, ৩৪, ২৫২ কোটি টাকা।
২০০০-০১ অর্থবছর: শাহ এ. এম. এস. কিবরিয়া, ৩৮, ৫২৪ কোটি টাকা।
গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পর বাজেট প্রণয়নে জবাবদিহি ও স্বচ্ছতা কিছুটা বৃদ্ধি পায়। সংস্কার কর্মসূচি, যেমন বেসরকারীকরণ এবং বিনিয়োগ আকর্ষণের চেষ্টা বাজেটে প্রতিফলিত হয়। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতের গুরুত্ব বাড়তে থাকে।
চতুর্থ দশক: প্রবৃদ্ধি ও চ্যালেঞ্জ (২০০১-১০)
২০০১-০২ অর্থবছর: শাহ এ. এম. এস. কিবরিয়া, ৪২, ৩০৬ কোটি টাকা।
২০০২-০৩ অর্থবছর: এম. সাইফুর রহমান, ৪৪, ৮৫৪ কোটি টাকা।
২০০৩-০৪ অর্থবছর: এম. সাইফুর রহমান, ৫১, ৯৮০ কোটি টাকা।
২০০৪-০৫ অর্থবছর: এম. সাইফুর রহমান, ৫৭, ২৪৮ কোটি টাকা।
২০০৫-০৬ অর্থবছর: এম. সাইফুর রহমান, ৬১, ০৫৮ কোটি টাকা।
২০০৬-০৭ অর্থবছর: এম. সাইফুর রহমান, ৬৯, ৭৪০ কোটি টাকা।
২০০৭-০৮ অর্থবছর: মির্জা আজিজুল ইসলাম (তত্ত্বাবধায়ক সরকার), ৯৯, ৯৬২ কোটি টাকা।
২০০৮-০৯ অর্থবছর: মির্জা আজিজুল ইসলাম (তত্ত্বাবধায়ক সরকার), ৯৯, ৯৬২ কোটি টাকা।
২০০৯-১০ অর্থবছর: এ. এম. এ. মুহিত, ১, ১৩,৮১৫ কোটি টাকা। (আওয়ামী লীগ সরকারের প্রথম বাজেট)
২০১০-১১ অর্থবছর: এ. এম. এ. মুহিত, ১, ৩২,১৭০ কোটি টাকা।
এই দশকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি গতি পায়। তবে ২০০৭-০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বাজেট প্রণয়নে ভিন্নতা দেখা যায়, যেখানে নীতিগত বড় পরিবর্তন পরিহার করা হয়। ২০০৯ সালে নতুন সরকার আসার পর বাজেটের আকার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারগুলোর বাজেটের সাধারণ বৈশিষ্ট্য:
তত্ত্বাবধায়ক সরকারগুলো সাধারণত একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য, বিশেষ করে নির্বাচনের আগে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যে গঠিত হয়। তাদের প্রধান কাজ দৈনন্দিন কার্যাবলি সম্পাদন এবং নীতি-নির্ধারণী কোনো বড় সিদ্ধান্ত না নেওয়া। এই কারণে তত্ত্বাবধায়ক সরকারগুলোর বাজেট সাধারণত কিছু নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য ধারণ করে:
নীতি-নির্ধারণী পরিবর্তন পরিহার: তত্ত্বাবধায়ক সরকারগুলো সাধারণত বড় ধরনের নীতি-নির্ধারণী পরিবর্তন বা নতুন কোনো জনমুখী প্রকল্প গ্রহণ থেকে বিরত থাকে। তাদের বাজেট মূলত সরকারের স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখা এবং অপরিহার্য ব্যয় নির্বাহের ওপর জোর দেয়।
সংযমী বাজেট: যেহেতু তাদের মেয়াদ সীমিত এবং তাদের প্রধান কাজ নির্বাচন আয়োজন, তাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারগুলো সাধারণত একটি সংযমী বা সংকোচনমূলক বাজেট উপস্থাপন করে। এতে বাজেটের আকার খুব বেশি বৃদ্ধি পায় না এবং অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানোর চেষ্টা করা হয়।
অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর জোর: অর্থনীতির মৌলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং সামষ্টিক অর্থনীতির সূচকগুলো ঠিক রাখা তাদের বাজেটের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য থাকে। তারা অর্থনৈতিক সংস্কারের বদলে বিদ্যমান ধারাকে স্থিতিশীল রাখার চেষ্টা করে।
ঘাটতি ব্যবস্থাপনা: নির্বাচিত সরকারের মতো তারাও বাজেট ঘাটতি পূরণের জন্য দেশি-বিদেশি ঋণ এবং অন্যান্য উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহের পরিকল্পনা করে, তবে সাধারণত সতর্কতার সঙ্গে।
সংসদের বাইরে বাজেট পেশ: যেহেতু তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে কোনো নির্বাচিত সংসদ থাকে না, তাই তাদের বাজেট সাধারণত সংসদ ভবনের বাইরে, যেমন টেলিভিশন ও বেতারে সরাসরি সম্প্রচারের মাধ্যমে পেশ করা হয়। ২০০৮ সালে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার এর অর্থ উপদেষ্টা মির্জা আজিজুল ইসলাম সেভাবেই বাজেট পেশ করেছিলেন।
পঞ্চম দশক: মেগা প্রকল্প ও উন্নয়ন অগ্রাধিকার (২০১১-২০২০)
২০১১-১২ অর্থবছর: এ. এম. এ. মুহিত, ১, ৬১,২১৪ কোটি টাকা।
২০১২-১৩ অর্থবছর: এ. এম. এ. মুহিত, ১, ৯১,৭৩৮ কোটি টাকা।
২০১৩-১৪ অর্থবছর: এ. এম. এ. মুহিত, ২, ২২,৪৯১ কোটি টাকা।
২০১৪-১৫ অর্থবছর: এ. এম. এ. মুহিত, ২, ৫০,৫৬০ কোটি টাকা।
২০১৫-১৬ অর্থবছর: এ. এম. এ. মুহিত, ২, ৯৫,১০০ কোটি টাকা।
২০১৬-১৭ অর্থবছর: এ. এম. এ. মুহিত, ৩, ৪০,৬০৫ কোটি টাকা।
২০১৭-১৮ অর্থবছর: এ. এম. এ. মুহিত, ৪, ০০,২৬৬ কোটি টাকা।
২০১৮-১৯ অর্থবছর: এ. এম. এ. মুহিত, ৪, ৬৪,৫৭৩ কোটি টাকা।
২০১৯-২০ অর্থবছর: আ হ ম মুস্তফা কামাল, ৫, ২৩,১৯০ কোটি টাকা।
২০২০-২১ অর্থবছর: আ হ ম মুস্তফা কামাল, ৫, ৬৮,০০০ কোটি টাকা।
এই দশকে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার পথে এগিয়ে যায়। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেলসহ বিভিন্ন মেগা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়, যা বাজেটে প্রতিফলিত হয়। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিদ্যুৎ ও অবকাঠামো উন্নয়নে বরাদ্দ বাড়ানো হয়। ২০২০ সালে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে বাজেটে স্বাস্থ্য খাত এবং প্রণোদনা প্যাকেজের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়।
ষষ্ঠ দশক: কোভিড-১৯ পরবর্তী পুনরুদ্ধার ও বর্তমান চ্যালেঞ্জ (২০২১-২৪)
২০২১-২২ অর্থবছর: আ হ ম মুস্তফা কামাল, ৬, ০৩,৬৮১ কোটি টাকা।
২০২২-২৩ অর্থবছর: আ হ ম মুস্তফা কামাল, ৬, ৭৮,০৬৪ কোটি টাকা।
২০২৩-২৪ অর্থবছর: আ হ ম মুস্তফা কামাল, ৭, ৬১,৭৮৫ কোটি টাকা। (সংশোধিত হতে পারে)
২০২৪-২৫ অর্থবছর (প্রস্তাবিত) : আবুল হাসান মাহমুদ আলী, ৭, ৯৭,০০০ কোটি টাকা।
এই দশকে কোভিড-১৯ পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতির চাপ মোকাবিলা করা বাজেটের প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। ডলার সংকট, রেমিট্যান্স হ্রাস, জ্বালানি মূল্য বৃদ্ধি এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ বাজেটের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে ওঠে।
বাংলাদেশের বাজেটের বিবর্তন: একটি সামগ্রিক চিত্র
এই দীর্ঘ যাত্রায় বাংলাদেশের বাজেট দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি, নীতিগত পরিবর্তন এবং বিভিন্ন সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের প্রচেষ্টার একটি দলিল হিসেবে কাজ করেছে।
বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার (২০২৫-২৬) এবং বাজেট:
যদিও বর্তমান পরিস্থিতিতে ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার’ (এটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার না হয়ে ভিন্ন প্রকৃতির বলে মনে করা হচ্ছে) আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট পেশ করতে যাচ্ছে।
২০২৫-২৬ অর্থবছর (প্রস্তাবিত) বাজেট পেশ করবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এই বাজেটের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:
অন্তর্বর্তীকালীন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারগুলোর বাজেট সাধারণত দেশের তৎকালীন অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে স্থিতিশীল রাখা, অপরিহার্য কার্যক্রম বজায় রাখা এবং বড় নীতিগত পরিবর্তন পরিহার করার ওপর কেন্দ্রীভূত থাকে।

১৯৭১ সাল থেকে বর্তমান ২০২৫ সাল পর্যন্ত, বাংলাদেশের জাতীয় বাজেট দেশের অর্থনৈতিক যাত্রার এক বিশাল চিত্র তুলে ধরে। এই দীর্ঘ সময়ে বাজেট শুধু আকারের দিক থেকেই বাড়েনি, বরং এর দর্শন, অগ্রাধিকার এবং অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটও বহুলাংশে পরিবর্তিত হয়েছে। তবে অন্তর্বর্তীকালীন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বাজেট সাধারণত কিছু নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য থাকে, যা নির্বাচিত সরকারের বাজেট থেকে ভিন্ন। নিচে বাংলাদেশে স্বাধীনতার পর থেকে এ যাবৎ অর্থ বাজেটের একটি সংক্ষিপ্ত চিত্র তুলে ধরা হলো:
প্রথম দশক: যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠন (১৯৭১-৮০)
১৯৭১-৭২ অর্থবছর: এটি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট। তাজউদ্দীন আহমদ অর্থমন্ত্রী হিসেবে এই বাজেট পেশ করেন। এটি মূলত ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ থেকে ৩০ জুন ১৯৭২ পর্যন্ত সময়ের জন্য ছিল। যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশের পুনর্গঠন, ত্রাণ ও পুনর্বাসন ছিল এর মূল লক্ষ্য।
১৯৭২-৭৩ অর্থবছর: স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট এটি, পেশ করেন তাজউদ্দীন আহমদ। আকার ছিল ৭৮৬ কোটি টাকা (উন্নয়ন বাজেট ৫০১ কোটি টাকা)।
১৯৭৩-৭৪ অর্থবছর: তাজউদ্দীন আহমদ, ৯৯৫ কোটি টাকা।
১৯৭৪-৭৫ অর্থবছর: তাজউদ্দীন আহমদ, ১, ০৮৪ কোটি টাকা।
১৯৭৫-৭৬ অর্থবছর: ড. আজিজুর রহমান মল্লিক, ১, ৫৪৯ কোটি টাকা।
১৯৭৬-৭৭ অর্থবছর: মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান, ১, ৯৮৯ কোটি টাকা।
১৯৭৭-৭৮ অর্থবছর: লেফটেন্যান্ট জেনারেল জিয়াউর রহমান, ২, ১৮৪ কোটি টাকা।
১৯৭৮-৭৯ অর্থবছর: প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, ২, ৪৯৯ কোটি টাকা।
১৯৭৯-৮০ অর্থবছর: ড. এম. এন. হুদা, ৩, ৩১৭ কোটি টাকা।
১৯৮০-৮১ অর্থবছর: এম. সাইফুর রহমান, ৪, ১০৮ কোটি টাকা।
এই দশকে বাজেট মূলত কৃষি, গ্রামীণ উন্নয়ন, অবকাঠামো পুনর্গঠন এবং শিল্প খাতের প্রাথমিক বিকাশের ওপর জোর দেয়। যুদ্ধকালীন ক্ষতির প্রভাব কাটিয়ে অর্থনীতিকে দাঁড় করানোর চেষ্টাই ছিল প্রধান।
দ্বিতীয় দশক: সামরিক শাসন ও অর্থনৈতিক উদারীকরণ শুরু (১৯৮১-৯০)
১৯৮১-৮২ অর্থবছর: এম. সাইফুর রহমান, ৪, ৬৭৭ কোটি টাকা।
১৯৮২-৮৩ অর্থবছর: এ. এম. এ. মুহিত, ৪, ৭৩৮ কোটি টাকা। (এরশাদ সরকারের প্রথম বাজেট)
১৯৮৩-৮৪ অর্থবছর: এ. এম. এ. মুহিত, ৫, ৮৯৬ কোটি টাকা।
১৯৮৪-৮৫ অর্থবছর: এম. সাইদুজ্জামান, ৬, ৬৯৯ কোটি টাকা।
১৯৮৫-৮৬ অর্থবছর: এম. সাইদুজ্জামান, ৭, ১৩৮ কোটি টাকা।
১৯৮৬-৮৭ অর্থবছর: এম. সাইদুজ্জামান, ৮, ৫০৪ কোটি টাকা।
১৯৮৭-৮৮ অর্থবছর: এম. সাইদুজ্জামান, ৮, ৫২৭ কোটি টাকা।
১৯৮৮-৮৯ অর্থবছর: মেজর জেনারেল মুনিম, ১০, ৫৬৫ কোটি টাকা।
১৯৮৯-৯০ অর্থবছর: ড. ওয়াহিদুল হক, ১২, ৭০৩ কোটি টাকা।
১৯৯০-৯১ অর্থবছর: মেজর জেনারেল মুনিম, ১২, ৯৬০ কোটি টাকা।
এই দশকে সামরিক সরকারের অধীনে বাজেট পেশ করা হয়। ধীরে ধীরে অর্থনৈতিক উদারীকরণ এবং বেসরকারি খাতের প্রতি কিছুটা মনোযোগ দেখা যেতে শুরু করে। বাজেটের আকার ধীর গতিতে বৃদ্ধি পায়।
তৃতীয় দশক: গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও সংস্কারের যাত্রা (১৯৯১-২০০০)
১৯৯১-৯২ অর্থবছর: এম. সাইফুর রহমান, ১৫, ৫৮৪ কোটি টাকা। (গণতন্ত্রে ফেরার পর প্রথম বাজেট)
১৯৯২-৯৩ অর্থবছর: এম. সাইফুর রহমান, ১৭, ৬০৭ কোটি টাকা।
১৯৯৩-৯৪ অর্থবছর: এম. সাইফুর রহমান, ১৯, ০৫০ কোটি টাকা।
১৯৯৪-৯৫ অর্থবছর: এম. সাইফুর রহমান, ২০, ৯৪৮ কোটি টাকা।
১৯৯৫-৯৬ অর্থবছর: এম. সাইফুর রহমান, ২৩, ১৭০ কোটি টাকা।
১৯৯৬-৯৭ অর্থবছর: শাহ এ. এম. এস. কিবরিয়া, ২৪, ৬০৩ কোটি টাকা।
১৯৯৭-৯৮ অর্থবছর: শাহ এ. এম. এস. কিবরিয়া, ২৭, ৭৮৬ কোটি টাকা।
১৯৯৮-৯৯ অর্থবছর: শাহ এ. এম. এস. কিবরিয়া, ২৯, ৫৩৭ কোটি টাকা।
১৯৯৯-০০ অর্থবছর: শাহ এ. এম. এস. কিবরিয়া, ৩৪, ২৫২ কোটি টাকা।
২০০০-০১ অর্থবছর: শাহ এ. এম. এস. কিবরিয়া, ৩৮, ৫২৪ কোটি টাকা।
গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পর বাজেট প্রণয়নে জবাবদিহি ও স্বচ্ছতা কিছুটা বৃদ্ধি পায়। সংস্কার কর্মসূচি, যেমন বেসরকারীকরণ এবং বিনিয়োগ আকর্ষণের চেষ্টা বাজেটে প্রতিফলিত হয়। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতের গুরুত্ব বাড়তে থাকে।
চতুর্থ দশক: প্রবৃদ্ধি ও চ্যালেঞ্জ (২০০১-১০)
২০০১-০২ অর্থবছর: শাহ এ. এম. এস. কিবরিয়া, ৪২, ৩০৬ কোটি টাকা।
২০০২-০৩ অর্থবছর: এম. সাইফুর রহমান, ৪৪, ৮৫৪ কোটি টাকা।
২০০৩-০৪ অর্থবছর: এম. সাইফুর রহমান, ৫১, ৯৮০ কোটি টাকা।
২০০৪-০৫ অর্থবছর: এম. সাইফুর রহমান, ৫৭, ২৪৮ কোটি টাকা।
২০০৫-০৬ অর্থবছর: এম. সাইফুর রহমান, ৬১, ০৫৮ কোটি টাকা।
২০০৬-০৭ অর্থবছর: এম. সাইফুর রহমান, ৬৯, ৭৪০ কোটি টাকা।
২০০৭-০৮ অর্থবছর: মির্জা আজিজুল ইসলাম (তত্ত্বাবধায়ক সরকার), ৯৯, ৯৬২ কোটি টাকা।
২০০৮-০৯ অর্থবছর: মির্জা আজিজুল ইসলাম (তত্ত্বাবধায়ক সরকার), ৯৯, ৯৬২ কোটি টাকা।
২০০৯-১০ অর্থবছর: এ. এম. এ. মুহিত, ১, ১৩,৮১৫ কোটি টাকা। (আওয়ামী লীগ সরকারের প্রথম বাজেট)
২০১০-১১ অর্থবছর: এ. এম. এ. মুহিত, ১, ৩২,১৭০ কোটি টাকা।
এই দশকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি গতি পায়। তবে ২০০৭-০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বাজেট প্রণয়নে ভিন্নতা দেখা যায়, যেখানে নীতিগত বড় পরিবর্তন পরিহার করা হয়। ২০০৯ সালে নতুন সরকার আসার পর বাজেটের আকার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারগুলোর বাজেটের সাধারণ বৈশিষ্ট্য:
তত্ত্বাবধায়ক সরকারগুলো সাধারণত একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য, বিশেষ করে নির্বাচনের আগে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যে গঠিত হয়। তাদের প্রধান কাজ দৈনন্দিন কার্যাবলি সম্পাদন এবং নীতি-নির্ধারণী কোনো বড় সিদ্ধান্ত না নেওয়া। এই কারণে তত্ত্বাবধায়ক সরকারগুলোর বাজেট সাধারণত কিছু নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য ধারণ করে:
নীতি-নির্ধারণী পরিবর্তন পরিহার: তত্ত্বাবধায়ক সরকারগুলো সাধারণত বড় ধরনের নীতি-নির্ধারণী পরিবর্তন বা নতুন কোনো জনমুখী প্রকল্প গ্রহণ থেকে বিরত থাকে। তাদের বাজেট মূলত সরকারের স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখা এবং অপরিহার্য ব্যয় নির্বাহের ওপর জোর দেয়।
সংযমী বাজেট: যেহেতু তাদের মেয়াদ সীমিত এবং তাদের প্রধান কাজ নির্বাচন আয়োজন, তাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারগুলো সাধারণত একটি সংযমী বা সংকোচনমূলক বাজেট উপস্থাপন করে। এতে বাজেটের আকার খুব বেশি বৃদ্ধি পায় না এবং অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানোর চেষ্টা করা হয়।
অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর জোর: অর্থনীতির মৌলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং সামষ্টিক অর্থনীতির সূচকগুলো ঠিক রাখা তাদের বাজেটের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য থাকে। তারা অর্থনৈতিক সংস্কারের বদলে বিদ্যমান ধারাকে স্থিতিশীল রাখার চেষ্টা করে।
ঘাটতি ব্যবস্থাপনা: নির্বাচিত সরকারের মতো তারাও বাজেট ঘাটতি পূরণের জন্য দেশি-বিদেশি ঋণ এবং অন্যান্য উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহের পরিকল্পনা করে, তবে সাধারণত সতর্কতার সঙ্গে।
সংসদের বাইরে বাজেট পেশ: যেহেতু তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে কোনো নির্বাচিত সংসদ থাকে না, তাই তাদের বাজেট সাধারণত সংসদ ভবনের বাইরে, যেমন টেলিভিশন ও বেতারে সরাসরি সম্প্রচারের মাধ্যমে পেশ করা হয়। ২০০৮ সালে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার এর অর্থ উপদেষ্টা মির্জা আজিজুল ইসলাম সেভাবেই বাজেট পেশ করেছিলেন।
পঞ্চম দশক: মেগা প্রকল্প ও উন্নয়ন অগ্রাধিকার (২০১১-২০২০)
২০১১-১২ অর্থবছর: এ. এম. এ. মুহিত, ১, ৬১,২১৪ কোটি টাকা।
২০১২-১৩ অর্থবছর: এ. এম. এ. মুহিত, ১, ৯১,৭৩৮ কোটি টাকা।
২০১৩-১৪ অর্থবছর: এ. এম. এ. মুহিত, ২, ২২,৪৯১ কোটি টাকা।
২০১৪-১৫ অর্থবছর: এ. এম. এ. মুহিত, ২, ৫০,৫৬০ কোটি টাকা।
২০১৫-১৬ অর্থবছর: এ. এম. এ. মুহিত, ২, ৯৫,১০০ কোটি টাকা।
২০১৬-১৭ অর্থবছর: এ. এম. এ. মুহিত, ৩, ৪০,৬০৫ কোটি টাকা।
২০১৭-১৮ অর্থবছর: এ. এম. এ. মুহিত, ৪, ০০,২৬৬ কোটি টাকা।
২০১৮-১৯ অর্থবছর: এ. এম. এ. মুহিত, ৪, ৬৪,৫৭৩ কোটি টাকা।
২০১৯-২০ অর্থবছর: আ হ ম মুস্তফা কামাল, ৫, ২৩,১৯০ কোটি টাকা।
২০২০-২১ অর্থবছর: আ হ ম মুস্তফা কামাল, ৫, ৬৮,০০০ কোটি টাকা।
এই দশকে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার পথে এগিয়ে যায়। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেলসহ বিভিন্ন মেগা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়, যা বাজেটে প্রতিফলিত হয়। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিদ্যুৎ ও অবকাঠামো উন্নয়নে বরাদ্দ বাড়ানো হয়। ২০২০ সালে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে বাজেটে স্বাস্থ্য খাত এবং প্রণোদনা প্যাকেজের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়।
ষষ্ঠ দশক: কোভিড-১৯ পরবর্তী পুনরুদ্ধার ও বর্তমান চ্যালেঞ্জ (২০২১-২৪)
২০২১-২২ অর্থবছর: আ হ ম মুস্তফা কামাল, ৬, ০৩,৬৮১ কোটি টাকা।
২০২২-২৩ অর্থবছর: আ হ ম মুস্তফা কামাল, ৬, ৭৮,০৬৪ কোটি টাকা।
২০২৩-২৪ অর্থবছর: আ হ ম মুস্তফা কামাল, ৭, ৬১,৭৮৫ কোটি টাকা। (সংশোধিত হতে পারে)
২০২৪-২৫ অর্থবছর (প্রস্তাবিত) : আবুল হাসান মাহমুদ আলী, ৭, ৯৭,০০০ কোটি টাকা।
এই দশকে কোভিড-১৯ পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতির চাপ মোকাবিলা করা বাজেটের প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। ডলার সংকট, রেমিট্যান্স হ্রাস, জ্বালানি মূল্য বৃদ্ধি এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ বাজেটের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে ওঠে।
বাংলাদেশের বাজেটের বিবর্তন: একটি সামগ্রিক চিত্র
এই দীর্ঘ যাত্রায় বাংলাদেশের বাজেট দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি, নীতিগত পরিবর্তন এবং বিভিন্ন সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের প্রচেষ্টার একটি দলিল হিসেবে কাজ করেছে।
বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার (২০২৫-২৬) এবং বাজেট:
যদিও বর্তমান পরিস্থিতিতে ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার’ (এটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার না হয়ে ভিন্ন প্রকৃতির বলে মনে করা হচ্ছে) আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট পেশ করতে যাচ্ছে।
২০২৫-২৬ অর্থবছর (প্রস্তাবিত) বাজেট পেশ করবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এই বাজেটের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:
অন্তর্বর্তীকালীন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারগুলোর বাজেট সাধারণত দেশের তৎকালীন অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে স্থিতিশীল রাখা, অপরিহার্য কার্যক্রম বজায় রাখা এবং বড় নীতিগত পরিবর্তন পরিহার করার ওপর কেন্দ্রীভূত থাকে।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

১৯৭১ সাল থেকে বর্তমান ২০২৫ সাল পর্যন্ত, বাংলাদেশের জাতীয় বাজেট দেশের অর্থনৈতিক যাত্রার এক বিশাল চিত্র তুলে ধরে। এই দীর্ঘ সময়ে বাজেট শুধু আকারের দিক থেকেই বাড়েনি, বরং এর দর্শন, অগ্রাধিকার এবং অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটও বহুলাংশে পরিবর্তিত হয়েছে। তবে অন্তর্বর্তীকালীন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বাজেট সাধারণত কিছু নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য থাকে, যা নির্বাচিত সরকারের বাজেট থেকে ভিন্ন। নিচে বাংলাদেশে স্বাধীনতার পর থেকে এ যাবৎ অর্থ বাজেটের একটি সংক্ষিপ্ত চিত্র তুলে ধরা হলো:
প্রথম দশক: যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠন (১৯৭১-৮০)
১৯৭১-৭২ অর্থবছর: এটি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট। তাজউদ্দীন আহমদ অর্থমন্ত্রী হিসেবে এই বাজেট পেশ করেন। এটি মূলত ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ থেকে ৩০ জুন ১৯৭২ পর্যন্ত সময়ের জন্য ছিল। যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশের পুনর্গঠন, ত্রাণ ও পুনর্বাসন ছিল এর মূল লক্ষ্য।
১৯৭২-৭৩ অর্থবছর: স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট এটি, পেশ করেন তাজউদ্দীন আহমদ। আকার ছিল ৭৮৬ কোটি টাকা (উন্নয়ন বাজেট ৫০১ কোটি টাকা)।
১৯৭৩-৭৪ অর্থবছর: তাজউদ্দীন আহমদ, ৯৯৫ কোটি টাকা।
১৯৭৪-৭৫ অর্থবছর: তাজউদ্দীন আহমদ, ১, ০৮৪ কোটি টাকা।
১৯৭৫-৭৬ অর্থবছর: ড. আজিজুর রহমান মল্লিক, ১, ৫৪৯ কোটি টাকা।
১৯৭৬-৭৭ অর্থবছর: মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান, ১, ৯৮৯ কোটি টাকা।
১৯৭৭-৭৮ অর্থবছর: লেফটেন্যান্ট জেনারেল জিয়াউর রহমান, ২, ১৮৪ কোটি টাকা।
১৯৭৮-৭৯ অর্থবছর: প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, ২, ৪৯৯ কোটি টাকা।
১৯৭৯-৮০ অর্থবছর: ড. এম. এন. হুদা, ৩, ৩১৭ কোটি টাকা।
১৯৮০-৮১ অর্থবছর: এম. সাইফুর রহমান, ৪, ১০৮ কোটি টাকা।
এই দশকে বাজেট মূলত কৃষি, গ্রামীণ উন্নয়ন, অবকাঠামো পুনর্গঠন এবং শিল্প খাতের প্রাথমিক বিকাশের ওপর জোর দেয়। যুদ্ধকালীন ক্ষতির প্রভাব কাটিয়ে অর্থনীতিকে দাঁড় করানোর চেষ্টাই ছিল প্রধান।
দ্বিতীয় দশক: সামরিক শাসন ও অর্থনৈতিক উদারীকরণ শুরু (১৯৮১-৯০)
১৯৮১-৮২ অর্থবছর: এম. সাইফুর রহমান, ৪, ৬৭৭ কোটি টাকা।
১৯৮২-৮৩ অর্থবছর: এ. এম. এ. মুহিত, ৪, ৭৩৮ কোটি টাকা। (এরশাদ সরকারের প্রথম বাজেট)
১৯৮৩-৮৪ অর্থবছর: এ. এম. এ. মুহিত, ৫, ৮৯৬ কোটি টাকা।
১৯৮৪-৮৫ অর্থবছর: এম. সাইদুজ্জামান, ৬, ৬৯৯ কোটি টাকা।
১৯৮৫-৮৬ অর্থবছর: এম. সাইদুজ্জামান, ৭, ১৩৮ কোটি টাকা।
১৯৮৬-৮৭ অর্থবছর: এম. সাইদুজ্জামান, ৮, ৫০৪ কোটি টাকা।
১৯৮৭-৮৮ অর্থবছর: এম. সাইদুজ্জামান, ৮, ৫২৭ কোটি টাকা।
১৯৮৮-৮৯ অর্থবছর: মেজর জেনারেল মুনিম, ১০, ৫৬৫ কোটি টাকা।
১৯৮৯-৯০ অর্থবছর: ড. ওয়াহিদুল হক, ১২, ৭০৩ কোটি টাকা।
১৯৯০-৯১ অর্থবছর: মেজর জেনারেল মুনিম, ১২, ৯৬০ কোটি টাকা।
এই দশকে সামরিক সরকারের অধীনে বাজেট পেশ করা হয়। ধীরে ধীরে অর্থনৈতিক উদারীকরণ এবং বেসরকারি খাতের প্রতি কিছুটা মনোযোগ দেখা যেতে শুরু করে। বাজেটের আকার ধীর গতিতে বৃদ্ধি পায়।
তৃতীয় দশক: গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও সংস্কারের যাত্রা (১৯৯১-২০০০)
১৯৯১-৯২ অর্থবছর: এম. সাইফুর রহমান, ১৫, ৫৮৪ কোটি টাকা। (গণতন্ত্রে ফেরার পর প্রথম বাজেট)
১৯৯২-৯৩ অর্থবছর: এম. সাইফুর রহমান, ১৭, ৬০৭ কোটি টাকা।
১৯৯৩-৯৪ অর্থবছর: এম. সাইফুর রহমান, ১৯, ০৫০ কোটি টাকা।
১৯৯৪-৯৫ অর্থবছর: এম. সাইফুর রহমান, ২০, ৯৪৮ কোটি টাকা।
১৯৯৫-৯৬ অর্থবছর: এম. সাইফুর রহমান, ২৩, ১৭০ কোটি টাকা।
১৯৯৬-৯৭ অর্থবছর: শাহ এ. এম. এস. কিবরিয়া, ২৪, ৬০৩ কোটি টাকা।
১৯৯৭-৯৮ অর্থবছর: শাহ এ. এম. এস. কিবরিয়া, ২৭, ৭৮৬ কোটি টাকা।
১৯৯৮-৯৯ অর্থবছর: শাহ এ. এম. এস. কিবরিয়া, ২৯, ৫৩৭ কোটি টাকা।
১৯৯৯-০০ অর্থবছর: শাহ এ. এম. এস. কিবরিয়া, ৩৪, ২৫২ কোটি টাকা।
২০০০-০১ অর্থবছর: শাহ এ. এম. এস. কিবরিয়া, ৩৮, ৫২৪ কোটি টাকা।
গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পর বাজেট প্রণয়নে জবাবদিহি ও স্বচ্ছতা কিছুটা বৃদ্ধি পায়। সংস্কার কর্মসূচি, যেমন বেসরকারীকরণ এবং বিনিয়োগ আকর্ষণের চেষ্টা বাজেটে প্রতিফলিত হয়। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতের গুরুত্ব বাড়তে থাকে।
চতুর্থ দশক: প্রবৃদ্ধি ও চ্যালেঞ্জ (২০০১-১০)
২০০১-০২ অর্থবছর: শাহ এ. এম. এস. কিবরিয়া, ৪২, ৩০৬ কোটি টাকা।
২০০২-০৩ অর্থবছর: এম. সাইফুর রহমান, ৪৪, ৮৫৪ কোটি টাকা।
২০০৩-০৪ অর্থবছর: এম. সাইফুর রহমান, ৫১, ৯৮০ কোটি টাকা।
২০০৪-০৫ অর্থবছর: এম. সাইফুর রহমান, ৫৭, ২৪৮ কোটি টাকা।
২০০৫-০৬ অর্থবছর: এম. সাইফুর রহমান, ৬১, ০৫৮ কোটি টাকা।
২০০৬-০৭ অর্থবছর: এম. সাইফুর রহমান, ৬৯, ৭৪০ কোটি টাকা।
২০০৭-০৮ অর্থবছর: মির্জা আজিজুল ইসলাম (তত্ত্বাবধায়ক সরকার), ৯৯, ৯৬২ কোটি টাকা।
২০০৮-০৯ অর্থবছর: মির্জা আজিজুল ইসলাম (তত্ত্বাবধায়ক সরকার), ৯৯, ৯৬২ কোটি টাকা।
২০০৯-১০ অর্থবছর: এ. এম. এ. মুহিত, ১, ১৩,৮১৫ কোটি টাকা। (আওয়ামী লীগ সরকারের প্রথম বাজেট)
২০১০-১১ অর্থবছর: এ. এম. এ. মুহিত, ১, ৩২,১৭০ কোটি টাকা।
এই দশকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি গতি পায়। তবে ২০০৭-০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বাজেট প্রণয়নে ভিন্নতা দেখা যায়, যেখানে নীতিগত বড় পরিবর্তন পরিহার করা হয়। ২০০৯ সালে নতুন সরকার আসার পর বাজেটের আকার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারগুলোর বাজেটের সাধারণ বৈশিষ্ট্য:
তত্ত্বাবধায়ক সরকারগুলো সাধারণত একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য, বিশেষ করে নির্বাচনের আগে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যে গঠিত হয়। তাদের প্রধান কাজ দৈনন্দিন কার্যাবলি সম্পাদন এবং নীতি-নির্ধারণী কোনো বড় সিদ্ধান্ত না নেওয়া। এই কারণে তত্ত্বাবধায়ক সরকারগুলোর বাজেট সাধারণত কিছু নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য ধারণ করে:
নীতি-নির্ধারণী পরিবর্তন পরিহার: তত্ত্বাবধায়ক সরকারগুলো সাধারণত বড় ধরনের নীতি-নির্ধারণী পরিবর্তন বা নতুন কোনো জনমুখী প্রকল্প গ্রহণ থেকে বিরত থাকে। তাদের বাজেট মূলত সরকারের স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখা এবং অপরিহার্য ব্যয় নির্বাহের ওপর জোর দেয়।
সংযমী বাজেট: যেহেতু তাদের মেয়াদ সীমিত এবং তাদের প্রধান কাজ নির্বাচন আয়োজন, তাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারগুলো সাধারণত একটি সংযমী বা সংকোচনমূলক বাজেট উপস্থাপন করে। এতে বাজেটের আকার খুব বেশি বৃদ্ধি পায় না এবং অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানোর চেষ্টা করা হয়।
অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর জোর: অর্থনীতির মৌলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং সামষ্টিক অর্থনীতির সূচকগুলো ঠিক রাখা তাদের বাজেটের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য থাকে। তারা অর্থনৈতিক সংস্কারের বদলে বিদ্যমান ধারাকে স্থিতিশীল রাখার চেষ্টা করে।
ঘাটতি ব্যবস্থাপনা: নির্বাচিত সরকারের মতো তারাও বাজেট ঘাটতি পূরণের জন্য দেশি-বিদেশি ঋণ এবং অন্যান্য উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহের পরিকল্পনা করে, তবে সাধারণত সতর্কতার সঙ্গে।
সংসদের বাইরে বাজেট পেশ: যেহেতু তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে কোনো নির্বাচিত সংসদ থাকে না, তাই তাদের বাজেট সাধারণত সংসদ ভবনের বাইরে, যেমন টেলিভিশন ও বেতারে সরাসরি সম্প্রচারের মাধ্যমে পেশ করা হয়। ২০০৮ সালে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার এর অর্থ উপদেষ্টা মির্জা আজিজুল ইসলাম সেভাবেই বাজেট পেশ করেছিলেন।
পঞ্চম দশক: মেগা প্রকল্প ও উন্নয়ন অগ্রাধিকার (২০১১-২০২০)
২০১১-১২ অর্থবছর: এ. এম. এ. মুহিত, ১, ৬১,২১৪ কোটি টাকা।
২০১২-১৩ অর্থবছর: এ. এম. এ. মুহিত, ১, ৯১,৭৩৮ কোটি টাকা।
২০১৩-১৪ অর্থবছর: এ. এম. এ. মুহিত, ২, ২২,৪৯১ কোটি টাকা।
২০১৪-১৫ অর্থবছর: এ. এম. এ. মুহিত, ২, ৫০,৫৬০ কোটি টাকা।
২০১৫-১৬ অর্থবছর: এ. এম. এ. মুহিত, ২, ৯৫,১০০ কোটি টাকা।
২০১৬-১৭ অর্থবছর: এ. এম. এ. মুহিত, ৩, ৪০,৬০৫ কোটি টাকা।
২০১৭-১৮ অর্থবছর: এ. এম. এ. মুহিত, ৪, ০০,২৬৬ কোটি টাকা।
২০১৮-১৯ অর্থবছর: এ. এম. এ. মুহিত, ৪, ৬৪,৫৭৩ কোটি টাকা।
২০১৯-২০ অর্থবছর: আ হ ম মুস্তফা কামাল, ৫, ২৩,১৯০ কোটি টাকা।
২০২০-২১ অর্থবছর: আ হ ম মুস্তফা কামাল, ৫, ৬৮,০০০ কোটি টাকা।
এই দশকে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার পথে এগিয়ে যায়। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেলসহ বিভিন্ন মেগা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়, যা বাজেটে প্রতিফলিত হয়। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিদ্যুৎ ও অবকাঠামো উন্নয়নে বরাদ্দ বাড়ানো হয়। ২০২০ সালে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে বাজেটে স্বাস্থ্য খাত এবং প্রণোদনা প্যাকেজের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়।
ষষ্ঠ দশক: কোভিড-১৯ পরবর্তী পুনরুদ্ধার ও বর্তমান চ্যালেঞ্জ (২০২১-২৪)
২০২১-২২ অর্থবছর: আ হ ম মুস্তফা কামাল, ৬, ০৩,৬৮১ কোটি টাকা।
২০২২-২৩ অর্থবছর: আ হ ম মুস্তফা কামাল, ৬, ৭৮,০৬৪ কোটি টাকা।
২০২৩-২৪ অর্থবছর: আ হ ম মুস্তফা কামাল, ৭, ৬১,৭৮৫ কোটি টাকা। (সংশোধিত হতে পারে)
২০২৪-২৫ অর্থবছর (প্রস্তাবিত) : আবুল হাসান মাহমুদ আলী, ৭, ৯৭,০০০ কোটি টাকা।
এই দশকে কোভিড-১৯ পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতির চাপ মোকাবিলা করা বাজেটের প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। ডলার সংকট, রেমিট্যান্স হ্রাস, জ্বালানি মূল্য বৃদ্ধি এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ বাজেটের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে ওঠে।
বাংলাদেশের বাজেটের বিবর্তন: একটি সামগ্রিক চিত্র
এই দীর্ঘ যাত্রায় বাংলাদেশের বাজেট দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি, নীতিগত পরিবর্তন এবং বিভিন্ন সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের প্রচেষ্টার একটি দলিল হিসেবে কাজ করেছে।
বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার (২০২৫-২৬) এবং বাজেট:
যদিও বর্তমান পরিস্থিতিতে ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার’ (এটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার না হয়ে ভিন্ন প্রকৃতির বলে মনে করা হচ্ছে) আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট পেশ করতে যাচ্ছে।
২০২৫-২৬ অর্থবছর (প্রস্তাবিত) বাজেট পেশ করবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এই বাজেটের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:
অন্তর্বর্তীকালীন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারগুলোর বাজেট সাধারণত দেশের তৎকালীন অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে স্থিতিশীল রাখা, অপরিহার্য কার্যক্রম বজায় রাখা এবং বড় নীতিগত পরিবর্তন পরিহার করার ওপর কেন্দ্রীভূত থাকে।

১৯৭১ সাল থেকে বর্তমান ২০২৫ সাল পর্যন্ত, বাংলাদেশের জাতীয় বাজেট দেশের অর্থনৈতিক যাত্রার এক বিশাল চিত্র তুলে ধরে। এই দীর্ঘ সময়ে বাজেট শুধু আকারের দিক থেকেই বাড়েনি, বরং এর দর্শন, অগ্রাধিকার এবং অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটও বহুলাংশে পরিবর্তিত হয়েছে। তবে অন্তর্বর্তীকালীন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বাজেট সাধারণত কিছু নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য থাকে, যা নির্বাচিত সরকারের বাজেট থেকে ভিন্ন। নিচে বাংলাদেশে স্বাধীনতার পর থেকে এ যাবৎ অর্থ বাজেটের একটি সংক্ষিপ্ত চিত্র তুলে ধরা হলো:
প্রথম দশক: যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠন (১৯৭১-৮০)
১৯৭১-৭২ অর্থবছর: এটি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট। তাজউদ্দীন আহমদ অর্থমন্ত্রী হিসেবে এই বাজেট পেশ করেন। এটি মূলত ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ থেকে ৩০ জুন ১৯৭২ পর্যন্ত সময়ের জন্য ছিল। যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশের পুনর্গঠন, ত্রাণ ও পুনর্বাসন ছিল এর মূল লক্ষ্য।
১৯৭২-৭৩ অর্থবছর: স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট এটি, পেশ করেন তাজউদ্দীন আহমদ। আকার ছিল ৭৮৬ কোটি টাকা (উন্নয়ন বাজেট ৫০১ কোটি টাকা)।
১৯৭৩-৭৪ অর্থবছর: তাজউদ্দীন আহমদ, ৯৯৫ কোটি টাকা।
১৯৭৪-৭৫ অর্থবছর: তাজউদ্দীন আহমদ, ১, ০৮৪ কোটি টাকা।
১৯৭৫-৭৬ অর্থবছর: ড. আজিজুর রহমান মল্লিক, ১, ৫৪৯ কোটি টাকা।
১৯৭৬-৭৭ অর্থবছর: মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান, ১, ৯৮৯ কোটি টাকা।
১৯৭৭-৭৮ অর্থবছর: লেফটেন্যান্ট জেনারেল জিয়াউর রহমান, ২, ১৮৪ কোটি টাকা।
১৯৭৮-৭৯ অর্থবছর: প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, ২, ৪৯৯ কোটি টাকা।
১৯৭৯-৮০ অর্থবছর: ড. এম. এন. হুদা, ৩, ৩১৭ কোটি টাকা।
১৯৮০-৮১ অর্থবছর: এম. সাইফুর রহমান, ৪, ১০৮ কোটি টাকা।
এই দশকে বাজেট মূলত কৃষি, গ্রামীণ উন্নয়ন, অবকাঠামো পুনর্গঠন এবং শিল্প খাতের প্রাথমিক বিকাশের ওপর জোর দেয়। যুদ্ধকালীন ক্ষতির প্রভাব কাটিয়ে অর্থনীতিকে দাঁড় করানোর চেষ্টাই ছিল প্রধান।
দ্বিতীয় দশক: সামরিক শাসন ও অর্থনৈতিক উদারীকরণ শুরু (১৯৮১-৯০)
১৯৮১-৮২ অর্থবছর: এম. সাইফুর রহমান, ৪, ৬৭৭ কোটি টাকা।
১৯৮২-৮৩ অর্থবছর: এ. এম. এ. মুহিত, ৪, ৭৩৮ কোটি টাকা। (এরশাদ সরকারের প্রথম বাজেট)
১৯৮৩-৮৪ অর্থবছর: এ. এম. এ. মুহিত, ৫, ৮৯৬ কোটি টাকা।
১৯৮৪-৮৫ অর্থবছর: এম. সাইদুজ্জামান, ৬, ৬৯৯ কোটি টাকা।
১৯৮৫-৮৬ অর্থবছর: এম. সাইদুজ্জামান, ৭, ১৩৮ কোটি টাকা।
১৯৮৬-৮৭ অর্থবছর: এম. সাইদুজ্জামান, ৮, ৫০৪ কোটি টাকা।
১৯৮৭-৮৮ অর্থবছর: এম. সাইদুজ্জামান, ৮, ৫২৭ কোটি টাকা।
১৯৮৮-৮৯ অর্থবছর: মেজর জেনারেল মুনিম, ১০, ৫৬৫ কোটি টাকা।
১৯৮৯-৯০ অর্থবছর: ড. ওয়াহিদুল হক, ১২, ৭০৩ কোটি টাকা।
১৯৯০-৯১ অর্থবছর: মেজর জেনারেল মুনিম, ১২, ৯৬০ কোটি টাকা।
এই দশকে সামরিক সরকারের অধীনে বাজেট পেশ করা হয়। ধীরে ধীরে অর্থনৈতিক উদারীকরণ এবং বেসরকারি খাতের প্রতি কিছুটা মনোযোগ দেখা যেতে শুরু করে। বাজেটের আকার ধীর গতিতে বৃদ্ধি পায়।
তৃতীয় দশক: গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও সংস্কারের যাত্রা (১৯৯১-২০০০)
১৯৯১-৯২ অর্থবছর: এম. সাইফুর রহমান, ১৫, ৫৮৪ কোটি টাকা। (গণতন্ত্রে ফেরার পর প্রথম বাজেট)
১৯৯২-৯৩ অর্থবছর: এম. সাইফুর রহমান, ১৭, ৬০৭ কোটি টাকা।
১৯৯৩-৯৪ অর্থবছর: এম. সাইফুর রহমান, ১৯, ০৫০ কোটি টাকা।
১৯৯৪-৯৫ অর্থবছর: এম. সাইফুর রহমান, ২০, ৯৪৮ কোটি টাকা।
১৯৯৫-৯৬ অর্থবছর: এম. সাইফুর রহমান, ২৩, ১৭০ কোটি টাকা।
১৯৯৬-৯৭ অর্থবছর: শাহ এ. এম. এস. কিবরিয়া, ২৪, ৬০৩ কোটি টাকা।
১৯৯৭-৯৮ অর্থবছর: শাহ এ. এম. এস. কিবরিয়া, ২৭, ৭৮৬ কোটি টাকা।
১৯৯৮-৯৯ অর্থবছর: শাহ এ. এম. এস. কিবরিয়া, ২৯, ৫৩৭ কোটি টাকা।
১৯৯৯-০০ অর্থবছর: শাহ এ. এম. এস. কিবরিয়া, ৩৪, ২৫২ কোটি টাকা।
২০০০-০১ অর্থবছর: শাহ এ. এম. এস. কিবরিয়া, ৩৮, ৫২৪ কোটি টাকা।
গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পর বাজেট প্রণয়নে জবাবদিহি ও স্বচ্ছতা কিছুটা বৃদ্ধি পায়। সংস্কার কর্মসূচি, যেমন বেসরকারীকরণ এবং বিনিয়োগ আকর্ষণের চেষ্টা বাজেটে প্রতিফলিত হয়। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতের গুরুত্ব বাড়তে থাকে।
চতুর্থ দশক: প্রবৃদ্ধি ও চ্যালেঞ্জ (২০০১-১০)
২০০১-০২ অর্থবছর: শাহ এ. এম. এস. কিবরিয়া, ৪২, ৩০৬ কোটি টাকা।
২০০২-০৩ অর্থবছর: এম. সাইফুর রহমান, ৪৪, ৮৫৪ কোটি টাকা।
২০০৩-০৪ অর্থবছর: এম. সাইফুর রহমান, ৫১, ৯৮০ কোটি টাকা।
২০০৪-০৫ অর্থবছর: এম. সাইফুর রহমান, ৫৭, ২৪৮ কোটি টাকা।
২০০৫-০৬ অর্থবছর: এম. সাইফুর রহমান, ৬১, ০৫৮ কোটি টাকা।
২০০৬-০৭ অর্থবছর: এম. সাইফুর রহমান, ৬৯, ৭৪০ কোটি টাকা।
২০০৭-০৮ অর্থবছর: মির্জা আজিজুল ইসলাম (তত্ত্বাবধায়ক সরকার), ৯৯, ৯৬২ কোটি টাকা।
২০০৮-০৯ অর্থবছর: মির্জা আজিজুল ইসলাম (তত্ত্বাবধায়ক সরকার), ৯৯, ৯৬২ কোটি টাকা।
২০০৯-১০ অর্থবছর: এ. এম. এ. মুহিত, ১, ১৩,৮১৫ কোটি টাকা। (আওয়ামী লীগ সরকারের প্রথম বাজেট)
২০১০-১১ অর্থবছর: এ. এম. এ. মুহিত, ১, ৩২,১৭০ কোটি টাকা।
এই দশকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি গতি পায়। তবে ২০০৭-০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বাজেট প্রণয়নে ভিন্নতা দেখা যায়, যেখানে নীতিগত বড় পরিবর্তন পরিহার করা হয়। ২০০৯ সালে নতুন সরকার আসার পর বাজেটের আকার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারগুলোর বাজেটের সাধারণ বৈশিষ্ট্য:
তত্ত্বাবধায়ক সরকারগুলো সাধারণত একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য, বিশেষ করে নির্বাচনের আগে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যে গঠিত হয়। তাদের প্রধান কাজ দৈনন্দিন কার্যাবলি সম্পাদন এবং নীতি-নির্ধারণী কোনো বড় সিদ্ধান্ত না নেওয়া। এই কারণে তত্ত্বাবধায়ক সরকারগুলোর বাজেট সাধারণত কিছু নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য ধারণ করে:
নীতি-নির্ধারণী পরিবর্তন পরিহার: তত্ত্বাবধায়ক সরকারগুলো সাধারণত বড় ধরনের নীতি-নির্ধারণী পরিবর্তন বা নতুন কোনো জনমুখী প্রকল্প গ্রহণ থেকে বিরত থাকে। তাদের বাজেট মূলত সরকারের স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখা এবং অপরিহার্য ব্যয় নির্বাহের ওপর জোর দেয়।
সংযমী বাজেট: যেহেতু তাদের মেয়াদ সীমিত এবং তাদের প্রধান কাজ নির্বাচন আয়োজন, তাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারগুলো সাধারণত একটি সংযমী বা সংকোচনমূলক বাজেট উপস্থাপন করে। এতে বাজেটের আকার খুব বেশি বৃদ্ধি পায় না এবং অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানোর চেষ্টা করা হয়।
অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর জোর: অর্থনীতির মৌলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং সামষ্টিক অর্থনীতির সূচকগুলো ঠিক রাখা তাদের বাজেটের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য থাকে। তারা অর্থনৈতিক সংস্কারের বদলে বিদ্যমান ধারাকে স্থিতিশীল রাখার চেষ্টা করে।
ঘাটতি ব্যবস্থাপনা: নির্বাচিত সরকারের মতো তারাও বাজেট ঘাটতি পূরণের জন্য দেশি-বিদেশি ঋণ এবং অন্যান্য উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহের পরিকল্পনা করে, তবে সাধারণত সতর্কতার সঙ্গে।
সংসদের বাইরে বাজেট পেশ: যেহেতু তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে কোনো নির্বাচিত সংসদ থাকে না, তাই তাদের বাজেট সাধারণত সংসদ ভবনের বাইরে, যেমন টেলিভিশন ও বেতারে সরাসরি সম্প্রচারের মাধ্যমে পেশ করা হয়। ২০০৮ সালে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার এর অর্থ উপদেষ্টা মির্জা আজিজুল ইসলাম সেভাবেই বাজেট পেশ করেছিলেন।
পঞ্চম দশক: মেগা প্রকল্প ও উন্নয়ন অগ্রাধিকার (২০১১-২০২০)
২০১১-১২ অর্থবছর: এ. এম. এ. মুহিত, ১, ৬১,২১৪ কোটি টাকা।
২০১২-১৩ অর্থবছর: এ. এম. এ. মুহিত, ১, ৯১,৭৩৮ কোটি টাকা।
২০১৩-১৪ অর্থবছর: এ. এম. এ. মুহিত, ২, ২২,৪৯১ কোটি টাকা।
২০১৪-১৫ অর্থবছর: এ. এম. এ. মুহিত, ২, ৫০,৫৬০ কোটি টাকা।
২০১৫-১৬ অর্থবছর: এ. এম. এ. মুহিত, ২, ৯৫,১০০ কোটি টাকা।
২০১৬-১৭ অর্থবছর: এ. এম. এ. মুহিত, ৩, ৪০,৬০৫ কোটি টাকা।
২০১৭-১৮ অর্থবছর: এ. এম. এ. মুহিত, ৪, ০০,২৬৬ কোটি টাকা।
২০১৮-১৯ অর্থবছর: এ. এম. এ. মুহিত, ৪, ৬৪,৫৭৩ কোটি টাকা।
২০১৯-২০ অর্থবছর: আ হ ম মুস্তফা কামাল, ৫, ২৩,১৯০ কোটি টাকা।
২০২০-২১ অর্থবছর: আ হ ম মুস্তফা কামাল, ৫, ৬৮,০০০ কোটি টাকা।
এই দশকে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার পথে এগিয়ে যায়। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেলসহ বিভিন্ন মেগা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়, যা বাজেটে প্রতিফলিত হয়। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিদ্যুৎ ও অবকাঠামো উন্নয়নে বরাদ্দ বাড়ানো হয়। ২০২০ সালে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে বাজেটে স্বাস্থ্য খাত এবং প্রণোদনা প্যাকেজের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়।
ষষ্ঠ দশক: কোভিড-১৯ পরবর্তী পুনরুদ্ধার ও বর্তমান চ্যালেঞ্জ (২০২১-২৪)
২০২১-২২ অর্থবছর: আ হ ম মুস্তফা কামাল, ৬, ০৩,৬৮১ কোটি টাকা।
২০২২-২৩ অর্থবছর: আ হ ম মুস্তফা কামাল, ৬, ৭৮,০৬৪ কোটি টাকা।
২০২৩-২৪ অর্থবছর: আ হ ম মুস্তফা কামাল, ৭, ৬১,৭৮৫ কোটি টাকা। (সংশোধিত হতে পারে)
২০২৪-২৫ অর্থবছর (প্রস্তাবিত) : আবুল হাসান মাহমুদ আলী, ৭, ৯৭,০০০ কোটি টাকা।
এই দশকে কোভিড-১৯ পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতির চাপ মোকাবিলা করা বাজেটের প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। ডলার সংকট, রেমিট্যান্স হ্রাস, জ্বালানি মূল্য বৃদ্ধি এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ বাজেটের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে ওঠে।
বাংলাদেশের বাজেটের বিবর্তন: একটি সামগ্রিক চিত্র
এই দীর্ঘ যাত্রায় বাংলাদেশের বাজেট দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি, নীতিগত পরিবর্তন এবং বিভিন্ন সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের প্রচেষ্টার একটি দলিল হিসেবে কাজ করেছে।
বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার (২০২৫-২৬) এবং বাজেট:
যদিও বর্তমান পরিস্থিতিতে ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার’ (এটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার না হয়ে ভিন্ন প্রকৃতির বলে মনে করা হচ্ছে) আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট পেশ করতে যাচ্ছে।
২০২৫-২৬ অর্থবছর (প্রস্তাবিত) বাজেট পেশ করবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এই বাজেটের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:
অন্তর্বর্তীকালীন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারগুলোর বাজেট সাধারণত দেশের তৎকালীন অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে স্থিতিশীল রাখা, অপরিহার্য কার্যক্রম বজায় রাখা এবং বড় নীতিগত পরিবর্তন পরিহার করার ওপর কেন্দ্রীভূত থাকে।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
৬ ঘণ্টা আগে
ইলেকট্রনিকস পণ্য ক্রয়ে গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা দিতে দেশব্যাপী চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইনের ২৩তম সিজনে ওয়ালটন ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন বা বিএলডিসি ফ্যান কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার।
৬ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো। এই শুল্ক বহাল থাকলে মেক্সিকোর বাজারে ভারতীয় পণ্যের প্রবেশ অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। মূলত, ভারতের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি থাকায়, তা পুষিয়ে নিতেই ট্রাম্পের মতো করেই ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের ওপর মেক্সিকোর
১০ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তাঁর আইটি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল সফট আইটি লিমিটেডের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, ‘দেশে শুধু ভোটাররাই নন, রাজনীতিবিদেরাও এখন বিপন্নতার মধ্যে রয়েছেন।’

আজ রোববার রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’-এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন সিপিডির ফেলো।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘বিপন্ন জনগোষ্ঠীর প্রসঙ্গে সাধারণত ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আদিবাসী সম্প্রদায় বা ভিন্ন মতাবলম্বীদের কথা উঠে আসে। তবে এর সঙ্গে বড় একটি বিষয় হিসেবে যুক্ত হয়েছে রাজনীতিবিদদের নিরাপত্তা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না, এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।’
ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গে সিপিডির এই ফেলো বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে সহিংসতার পর এখন নিরাপদ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতের বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, গত দেড় মাসে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’ প্ল্যাটফর্ম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাক্-নির্বাচনী সংলাপ আয়োজন করেছে। এসব সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা জানার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব আলোচনার ভিত্তিতে একটি নাগরিক ইশতেহার প্রস্তুত করা হচ্ছে, যা শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেসব জায়গায় গিয়েছি, প্রায় সর্বত্রই নিরাপত্তার বিষয়টি খুব জোরালোভাবে উঠে এসেছে। একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে কি না, এ বিষয়ে অনেকেই নিশ্চিত নন।’
সংস্কার এজেন্ডা প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অবক্ষয়ের অভিজ্ঞতা থেকেই বর্তমানে সংস্কার-সংক্রান্ত বিতর্কের ভিত তৈরি হয়েছে। তাঁর মতে, রাজনীতিবিদ, আমলা ও বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গড়ে ওঠা একটি এলিট গোষ্ঠী প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতিকে দুর্বল করেছে, যার ফলে সৃষ্টি হয়েছে প্রতিযোগিতাহীন অর্থনীতি।
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে গড়ে উঠেছে ক্রনি ক্যাপিটালিজম ও একটি অলিগার্কিক ব্যবস্থা, যেখানে নীতিনির্ধারণে স্বাধীনতা হারিয়ে গেছে।’
সংস্কার প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় বলেন, বাংলাদেশে সংস্কার নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে বর্তমান উদ্যোগটি আলাদা, কারণ এটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কমিশন ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার মাধ্যমে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ সুযোগ তৈরিতে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করলেও তিনি বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রথম দিকে যে গতি তৈরি হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
সিপিডি ফেলো বলেন, ‘আমরা দেখেছি স্বচ্ছতা, সমন্বয় ও যোগাযোগ সব সময় পর্যাপ্ত ছিল না। আর শুধু পরিকল্পনার মাধ্যমে সংস্কার সফল করা সম্ভব নয়; এর জন্য প্রয়োজন নাগরিকদের ধারাবাহিক অংশগ্রহণ।’
তাঁর মতে, সংস্কার শুধু পরিকল্পনা বা উদ্দীপনার বিষয় নয়। সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে নাগরিকদের সচেতনভাবে সম্পৃক্ত থাকতে হবে।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, ‘দেশে শুধু ভোটাররাই নন, রাজনীতিবিদেরাও এখন বিপন্নতার মধ্যে রয়েছেন।’

আজ রোববার রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’-এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন সিপিডির ফেলো।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘বিপন্ন জনগোষ্ঠীর প্রসঙ্গে সাধারণত ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আদিবাসী সম্প্রদায় বা ভিন্ন মতাবলম্বীদের কথা উঠে আসে। তবে এর সঙ্গে বড় একটি বিষয় হিসেবে যুক্ত হয়েছে রাজনীতিবিদদের নিরাপত্তা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না, এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।’
ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গে সিপিডির এই ফেলো বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে সহিংসতার পর এখন নিরাপদ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতের বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, গত দেড় মাসে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’ প্ল্যাটফর্ম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাক্-নির্বাচনী সংলাপ আয়োজন করেছে। এসব সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা জানার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব আলোচনার ভিত্তিতে একটি নাগরিক ইশতেহার প্রস্তুত করা হচ্ছে, যা শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেসব জায়গায় গিয়েছি, প্রায় সর্বত্রই নিরাপত্তার বিষয়টি খুব জোরালোভাবে উঠে এসেছে। একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে কি না, এ বিষয়ে অনেকেই নিশ্চিত নন।’
সংস্কার এজেন্ডা প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অবক্ষয়ের অভিজ্ঞতা থেকেই বর্তমানে সংস্কার-সংক্রান্ত বিতর্কের ভিত তৈরি হয়েছে। তাঁর মতে, রাজনীতিবিদ, আমলা ও বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গড়ে ওঠা একটি এলিট গোষ্ঠী প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতিকে দুর্বল করেছে, যার ফলে সৃষ্টি হয়েছে প্রতিযোগিতাহীন অর্থনীতি।
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে গড়ে উঠেছে ক্রনি ক্যাপিটালিজম ও একটি অলিগার্কিক ব্যবস্থা, যেখানে নীতিনির্ধারণে স্বাধীনতা হারিয়ে গেছে।’
সংস্কার প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় বলেন, বাংলাদেশে সংস্কার নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে বর্তমান উদ্যোগটি আলাদা, কারণ এটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কমিশন ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার মাধ্যমে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ সুযোগ তৈরিতে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করলেও তিনি বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রথম দিকে যে গতি তৈরি হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
সিপিডি ফেলো বলেন, ‘আমরা দেখেছি স্বচ্ছতা, সমন্বয় ও যোগাযোগ সব সময় পর্যাপ্ত ছিল না। আর শুধু পরিকল্পনার মাধ্যমে সংস্কার সফল করা সম্ভব নয়; এর জন্য প্রয়োজন নাগরিকদের ধারাবাহিক অংশগ্রহণ।’
তাঁর মতে, সংস্কার শুধু পরিকল্পনা বা উদ্দীপনার বিষয় নয়। সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে নাগরিকদের সচেতনভাবে সম্পৃক্ত থাকতে হবে।

১৯৭১ সাল থেকে বর্তমান ২০২৫ সাল পর্যন্ত, বাংলাদেশের জাতীয় বাজেট দেশের অর্থনৈতিক যাত্রার এক বিশাল চিত্র তুলে ধরে। এই দীর্ঘ সময়ে বাজেট শুধু আকারের দিক থেকেই বাড়েনি, বরং এর দর্শন, অগ্রাধিকার এবং অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটও বহুলাংশে পরিবর্তিত হয়েছে। তবে অন্তর্বর্তীকালীন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বাজেট সাধারণত...
০২ জুন ২০২৫
ইলেকট্রনিকস পণ্য ক্রয়ে গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা দিতে দেশব্যাপী চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইনের ২৩তম সিজনে ওয়ালটন ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন বা বিএলডিসি ফ্যান কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার।
৬ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো। এই শুল্ক বহাল থাকলে মেক্সিকোর বাজারে ভারতীয় পণ্যের প্রবেশ অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। মূলত, ভারতের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি থাকায়, তা পুষিয়ে নিতেই ট্রাম্পের মতো করেই ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের ওপর মেক্সিকোর
১০ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তাঁর আইটি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল সফট আইটি লিমিটেডের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইলেকট্রনিকস পণ্য ক্রয়ে গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা দিতে দেশব্যাপী চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইনের ২৩তম সিজনে ওয়ালটন ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন বা বিএলডিসি ফ্যান কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার। গত ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনে প্রতিদিন অসংখ্য ক্রেতার হাতে উপহারের পণ্য তুলে দিচ্ছে ওয়ালটন।
এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন এলাকার ওয়ালটন প্লাজা থেকে ফ্রিজ কিনে সাইড বাই সাইড ফ্রিজ ও টিভি ফ্রি পাওয়া পণ্য ছয় ক্রেতার হাতে তুলে দিয়েছে ওয়ালটন। তাঁরা হলেন— মুন্সিগঞ্জের গোলাম রাব্বানি সিফাত ও গৃহিণী আফসানা আক্তার, নারায়ণগঞ্জের আজমির খান, রূপগঞ্জের সবুর হোসাইন এবং সিদ্ধিরগঞ্জের তারিকুল ইসলাম ও আসমা জাহান বিথী।
গত বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর ওয়ালটন করপোরেট অফিসে আনুষ্ঠানিকভাবে সংশ্লিষ্ট ক্রেতাদের হাতে উপহার পাওয়া পণ্য তুলে দেন চিত্রনায়ক ও ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খান। সে সময় আরও ছিলেন ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ রায়হান, ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের প্রধান মো. ফিরোজ আলম প্রমুখ।
বিজয়ী ক্রেতাদের মধ্যে গোলাম রাব্বানি সিফাত, আফসানা, আজমির খান ও আসমা জাহান বিথী ফ্রিজ কিনে উপহার পেয়েছেন ওয়ালটনের অত্যাধুনিক সিক্সএনাইন মডেলের সাইড বাই সাইড স্মার্ট ফ্রিজ। অন্যদিকে তারিকুল ইসলাম ফ্রিজ কিনে ফ্রি পেয়েছেন ২১৩ লিটারের ফ্রিজ এবং সবুর হোসাইন ফ্রিজ কিনে পেয়েছেন ওয়ালটনের ৪৩ ইঞ্চি স্মার্ট টেলিভিশন।
উপহারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. রায়হান বলেন, ‘ওয়ালটন ক্রেতাদের সব সময় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় এবং সম্মান করে। সারা দেশে প্রতিদিন অসংখ্য ক্রেতা ওয়ালটন পণ্য কিনে নানান উপহার পাচ্ছেন যা তাদের যথাযথভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাদের মাঝে কয়েকজনের হাতে করপোরেট অফিসে অনুষ্ঠান করে প্রাপ্য পণ্য বুঝিয়ে দিতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। গ্রাহকদের জন্য আমাদের এ ধরনের কার্যক্রম চলমান থাকবে।’
অনুষ্ঠানে সাধারণ ক্রেতাদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী উপহারের পণ্য তুলে দেওয়ায় ওয়ালটনকে ধন্যবাদ জানান বিজয়ীরা।
কর্মকর্তারা জানান, সিজন-২৩ এর আওতায় ক্রেতারা দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম কিংবা অনলাইনে ই-প্লাজা থেকে ফ্রিজ, টিভি, এসি, ওয়াশিং মেশিন ও বিএলডিসি ফ্যান কেনার পর পণ্যটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে। এরপর ক্রেতাদের মোবাইলে ওয়ালটন থেকে উপহার পাওয়ার এসএমএস পাঠানো হচ্ছে।
পাশাপাশি ওয়ালটনের ক্রেতাদের জন্য তৈরি ‘আমার আওয়াজ’ মোবাইল অ্যাপ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারী ক্রেতাদের জন্যও এবারের ক্যাম্পেইনে বাড়তি সুবিধা রয়েছে। ২০২৬ সালের ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ওয়ালটন পণ্য ক্রয়ে ক্রেতাদের জন্য এই বিশেষ সুবিধা থাকছে।

ইলেকট্রনিকস পণ্য ক্রয়ে গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা দিতে দেশব্যাপী চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইনের ২৩তম সিজনে ওয়ালটন ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন বা বিএলডিসি ফ্যান কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার। গত ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনে প্রতিদিন অসংখ্য ক্রেতার হাতে উপহারের পণ্য তুলে দিচ্ছে ওয়ালটন।
এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন এলাকার ওয়ালটন প্লাজা থেকে ফ্রিজ কিনে সাইড বাই সাইড ফ্রিজ ও টিভি ফ্রি পাওয়া পণ্য ছয় ক্রেতার হাতে তুলে দিয়েছে ওয়ালটন। তাঁরা হলেন— মুন্সিগঞ্জের গোলাম রাব্বানি সিফাত ও গৃহিণী আফসানা আক্তার, নারায়ণগঞ্জের আজমির খান, রূপগঞ্জের সবুর হোসাইন এবং সিদ্ধিরগঞ্জের তারিকুল ইসলাম ও আসমা জাহান বিথী।
গত বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর ওয়ালটন করপোরেট অফিসে আনুষ্ঠানিকভাবে সংশ্লিষ্ট ক্রেতাদের হাতে উপহার পাওয়া পণ্য তুলে দেন চিত্রনায়ক ও ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খান। সে সময় আরও ছিলেন ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ রায়হান, ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের প্রধান মো. ফিরোজ আলম প্রমুখ।
বিজয়ী ক্রেতাদের মধ্যে গোলাম রাব্বানি সিফাত, আফসানা, আজমির খান ও আসমা জাহান বিথী ফ্রিজ কিনে উপহার পেয়েছেন ওয়ালটনের অত্যাধুনিক সিক্সএনাইন মডেলের সাইড বাই সাইড স্মার্ট ফ্রিজ। অন্যদিকে তারিকুল ইসলাম ফ্রিজ কিনে ফ্রি পেয়েছেন ২১৩ লিটারের ফ্রিজ এবং সবুর হোসাইন ফ্রিজ কিনে পেয়েছেন ওয়ালটনের ৪৩ ইঞ্চি স্মার্ট টেলিভিশন।
উপহারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. রায়হান বলেন, ‘ওয়ালটন ক্রেতাদের সব সময় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় এবং সম্মান করে। সারা দেশে প্রতিদিন অসংখ্য ক্রেতা ওয়ালটন পণ্য কিনে নানান উপহার পাচ্ছেন যা তাদের যথাযথভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাদের মাঝে কয়েকজনের হাতে করপোরেট অফিসে অনুষ্ঠান করে প্রাপ্য পণ্য বুঝিয়ে দিতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। গ্রাহকদের জন্য আমাদের এ ধরনের কার্যক্রম চলমান থাকবে।’
অনুষ্ঠানে সাধারণ ক্রেতাদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী উপহারের পণ্য তুলে দেওয়ায় ওয়ালটনকে ধন্যবাদ জানান বিজয়ীরা।
কর্মকর্তারা জানান, সিজন-২৩ এর আওতায় ক্রেতারা দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম কিংবা অনলাইনে ই-প্লাজা থেকে ফ্রিজ, টিভি, এসি, ওয়াশিং মেশিন ও বিএলডিসি ফ্যান কেনার পর পণ্যটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে। এরপর ক্রেতাদের মোবাইলে ওয়ালটন থেকে উপহার পাওয়ার এসএমএস পাঠানো হচ্ছে।
পাশাপাশি ওয়ালটনের ক্রেতাদের জন্য তৈরি ‘আমার আওয়াজ’ মোবাইল অ্যাপ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারী ক্রেতাদের জন্যও এবারের ক্যাম্পেইনে বাড়তি সুবিধা রয়েছে। ২০২৬ সালের ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ওয়ালটন পণ্য ক্রয়ে ক্রেতাদের জন্য এই বিশেষ সুবিধা থাকছে।

১৯৭১ সাল থেকে বর্তমান ২০২৫ সাল পর্যন্ত, বাংলাদেশের জাতীয় বাজেট দেশের অর্থনৈতিক যাত্রার এক বিশাল চিত্র তুলে ধরে। এই দীর্ঘ সময়ে বাজেট শুধু আকারের দিক থেকেই বাড়েনি, বরং এর দর্শন, অগ্রাধিকার এবং অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটও বহুলাংশে পরিবর্তিত হয়েছে। তবে অন্তর্বর্তীকালীন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বাজেট সাধারণত...
০২ জুন ২০২৫
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
৬ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো। এই শুল্ক বহাল থাকলে মেক্সিকোর বাজারে ভারতীয় পণ্যের প্রবেশ অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। মূলত, ভারতের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি থাকায়, তা পুষিয়ে নিতেই ট্রাম্পের মতো করেই ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের ওপর মেক্সিকোর
১০ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তাঁর আইটি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল সফট আইটি লিমিটেডের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো। এই শুল্ক বহাল থাকলে মেক্সিকোর বাজারে ভারতীয় পণ্যের প্রবেশ অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। মূলত, ভারতের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি থাকায়, তা পুষিয়ে নিতেই ট্রাম্পের মতো করেই ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের ওপর মেক্সিকোর এই শুল্ক।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম মানি কন্ট্রোলের খবরে বলা হয়েছে, মেক্সিকোর ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর জবাবে নয়াদিল্লিও জানিয়েছে, তারা নিজেদের রপ্তানিকারকদের স্বার্থ রক্ষায় ‘উপযুক্ত ব্যবস্থা’ নিতে পারে। এক সরকারি কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা পিটিআইকে এই কথা জানিয়েছেন।
এর আগে, এ সপ্তাহের শুরুতে মেক্সিকোর সিনেট এক নতুন শুল্ক ব্যবস্থা অনুমোদন করে, যা ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড এবং ইন্দোনেশিয়াসহ যেসব দেশের সঙ্গে মেক্সিকোর কোনো মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নেই, সেসব দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর এই শুল্ক বসানো হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘ভারত মেক্সিকোর সঙ্গে তাদের অংশীদারত্বকে বিশেষ গুরুত্ব দেয় এবং স্থিতিশীল ও ভারসাম্যপূর্ণ এক বাণিজ্যিক পরিবেশ তৈরি করতে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে প্রস্তুত, যাতে দুই দেশের ব্যবসা ও সাধারণ মানুষ লাভবান হয়।’
এই শুল্কের প্রভাব কমাতে ভারত ইতিমধ্যেই মেক্সিকোর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে। সেপ্টেম্বরের ৩০ তারিখে মেক্সিকোতে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস মেক্সিকোর অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করে, যাতে ভারতীয় রপ্তানি সুরক্ষিত করার জন্য বিশেষ ছাড় পাওয়া যায়। ভারতীয় ওই কর্মকর্তা জানান, ‘বাণিজ্য দপ্তর মেক্সিকোর অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিশ্ব বাণিজ্য নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ পারস্পরিক সুবিধাজনক সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।’
দুই দেশই একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্য আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করতে তৈরি হচ্ছে। আলোচনা শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় শর্তাবলি দ্রুত চূড়ান্ত করা হবে বলে আশা করা যায়, যা ভারতীয় রপ্তানিকারকদের এই শুল্ক থেকে সুরক্ষা দিতে সাহায্য করতে পারে।
ইতিমধ্যেই বাণিজ্যসচিব রাজেশ আগরওয়াল ও মেক্সিকোর উপ-অর্থমন্ত্রী লুইস রোসেন্ডোর মধ্যে একটি উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে এবং আগামী সপ্তাহগুলোতে আরও প্রযুক্তিগত আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। ওই কর্মকর্তা আরও যোগ করেন, ‘গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজে চললেও, ভারত তার রপ্তানিকারকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার নিজের হাতে রেখেছে।’
তিনি উল্লেখ করেন, এই শুল্কের প্রভাব নির্ভর করবে ‘মেক্সিকোর অভ্যন্তরীণ সরবরাহ শৃঙ্খলে ভারতীয় রপ্তানির গুরুত্ব কতখানি এবং ভারতীয় কোম্পানিগুলি শুল্কের ছাড় পেতে বা এই বাড়তি খরচ মেক্সিকোর উপভোক্তাদের ওপর চাপিয়ে দিতে কতটা সক্ষম, তার ওপর।’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশাসনের সতর্কবার্তার পরই এই শুল্ক বাড়ানো হলো, যেখানে বলা হয়েছিল যে, সস্তায় চীনা পণ্য মেক্সিকো হয়ে আমেরিকাতে ঢুকছে। মেক্সিকো এটিকে তাদের অভ্যন্তরীণ শিল্পকে রক্ষা, চাকরি সংরক্ষণ এবং সস্তা আমদানির কারণে তৈরি হওয়া বাজারের ভারসাম্যহীনতা দূর করার পদক্ষেপ হিসেবে দেখিয়েছে। ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনসের ডিরেক্টর জেনারেল অজয় সাহাই বলেন, এই পদক্ষেপের ফলে অটোমোবাইল, অটো যন্ত্রাংশ, যন্ত্রপাতি, বৈদ্যুতিক ও ইলেকট্রনিকস, অরগানিক কেমিক্যাল, ওষুধ, টেক্সটাইল এবং প্লাস্টিকের মতো ক্ষেত্রগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
সাহাই পিটিআইকে বলেন, ‘এত বেশি শুল্ক আমাদের প্রতিযোগিতার ক্ষমতা কমিয়ে দেবে এবং বছরের পর বছর ধরে গড়ে ওঠা সরবরাহ শৃঙ্খলে সমস্যা তৈরির ঝুঁকি বাড়াবে।’
এদিকে, ২০২৪ সালে ভারত মেক্সিকোতে ৮ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছিল, যেখানে মেক্সিকো থেকে আমদানি হয়েছিল ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। ভারত ও মেক্সিকোর মধ্যে চলমান আলোচনা, যার সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি আলোচনার সম্ভাবনাও যুক্ত, তা এই ক্রমবর্ধমান শুল্কের মুখে বাণিজ্যিক সম্পর্ককে স্থিতিশীল করতে এবং ভারতীয় রপ্তানিকারকদের স্বার্থ রক্ষা করতে সাহায্য করবে বলে আশা করা যায়।

যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো। এই শুল্ক বহাল থাকলে মেক্সিকোর বাজারে ভারতীয় পণ্যের প্রবেশ অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। মূলত, ভারতের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি থাকায়, তা পুষিয়ে নিতেই ট্রাম্পের মতো করেই ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের ওপর মেক্সিকোর এই শুল্ক।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম মানি কন্ট্রোলের খবরে বলা হয়েছে, মেক্সিকোর ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর জবাবে নয়াদিল্লিও জানিয়েছে, তারা নিজেদের রপ্তানিকারকদের স্বার্থ রক্ষায় ‘উপযুক্ত ব্যবস্থা’ নিতে পারে। এক সরকারি কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা পিটিআইকে এই কথা জানিয়েছেন।
এর আগে, এ সপ্তাহের শুরুতে মেক্সিকোর সিনেট এক নতুন শুল্ক ব্যবস্থা অনুমোদন করে, যা ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড এবং ইন্দোনেশিয়াসহ যেসব দেশের সঙ্গে মেক্সিকোর কোনো মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নেই, সেসব দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর এই শুল্ক বসানো হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘ভারত মেক্সিকোর সঙ্গে তাদের অংশীদারত্বকে বিশেষ গুরুত্ব দেয় এবং স্থিতিশীল ও ভারসাম্যপূর্ণ এক বাণিজ্যিক পরিবেশ তৈরি করতে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে প্রস্তুত, যাতে দুই দেশের ব্যবসা ও সাধারণ মানুষ লাভবান হয়।’
এই শুল্কের প্রভাব কমাতে ভারত ইতিমধ্যেই মেক্সিকোর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে। সেপ্টেম্বরের ৩০ তারিখে মেক্সিকোতে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস মেক্সিকোর অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করে, যাতে ভারতীয় রপ্তানি সুরক্ষিত করার জন্য বিশেষ ছাড় পাওয়া যায়। ভারতীয় ওই কর্মকর্তা জানান, ‘বাণিজ্য দপ্তর মেক্সিকোর অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিশ্ব বাণিজ্য নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ পারস্পরিক সুবিধাজনক সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।’
দুই দেশই একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্য আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করতে তৈরি হচ্ছে। আলোচনা শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় শর্তাবলি দ্রুত চূড়ান্ত করা হবে বলে আশা করা যায়, যা ভারতীয় রপ্তানিকারকদের এই শুল্ক থেকে সুরক্ষা দিতে সাহায্য করতে পারে।
ইতিমধ্যেই বাণিজ্যসচিব রাজেশ আগরওয়াল ও মেক্সিকোর উপ-অর্থমন্ত্রী লুইস রোসেন্ডোর মধ্যে একটি উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে এবং আগামী সপ্তাহগুলোতে আরও প্রযুক্তিগত আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। ওই কর্মকর্তা আরও যোগ করেন, ‘গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজে চললেও, ভারত তার রপ্তানিকারকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার নিজের হাতে রেখেছে।’
তিনি উল্লেখ করেন, এই শুল্কের প্রভাব নির্ভর করবে ‘মেক্সিকোর অভ্যন্তরীণ সরবরাহ শৃঙ্খলে ভারতীয় রপ্তানির গুরুত্ব কতখানি এবং ভারতীয় কোম্পানিগুলি শুল্কের ছাড় পেতে বা এই বাড়তি খরচ মেক্সিকোর উপভোক্তাদের ওপর চাপিয়ে দিতে কতটা সক্ষম, তার ওপর।’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশাসনের সতর্কবার্তার পরই এই শুল্ক বাড়ানো হলো, যেখানে বলা হয়েছিল যে, সস্তায় চীনা পণ্য মেক্সিকো হয়ে আমেরিকাতে ঢুকছে। মেক্সিকো এটিকে তাদের অভ্যন্তরীণ শিল্পকে রক্ষা, চাকরি সংরক্ষণ এবং সস্তা আমদানির কারণে তৈরি হওয়া বাজারের ভারসাম্যহীনতা দূর করার পদক্ষেপ হিসেবে দেখিয়েছে। ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনসের ডিরেক্টর জেনারেল অজয় সাহাই বলেন, এই পদক্ষেপের ফলে অটোমোবাইল, অটো যন্ত্রাংশ, যন্ত্রপাতি, বৈদ্যুতিক ও ইলেকট্রনিকস, অরগানিক কেমিক্যাল, ওষুধ, টেক্সটাইল এবং প্লাস্টিকের মতো ক্ষেত্রগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
সাহাই পিটিআইকে বলেন, ‘এত বেশি শুল্ক আমাদের প্রতিযোগিতার ক্ষমতা কমিয়ে দেবে এবং বছরের পর বছর ধরে গড়ে ওঠা সরবরাহ শৃঙ্খলে সমস্যা তৈরির ঝুঁকি বাড়াবে।’
এদিকে, ২০২৪ সালে ভারত মেক্সিকোতে ৮ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছিল, যেখানে মেক্সিকো থেকে আমদানি হয়েছিল ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। ভারত ও মেক্সিকোর মধ্যে চলমান আলোচনা, যার সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি আলোচনার সম্ভাবনাও যুক্ত, তা এই ক্রমবর্ধমান শুল্কের মুখে বাণিজ্যিক সম্পর্ককে স্থিতিশীল করতে এবং ভারতীয় রপ্তানিকারকদের স্বার্থ রক্ষা করতে সাহায্য করবে বলে আশা করা যায়।

১৯৭১ সাল থেকে বর্তমান ২০২৫ সাল পর্যন্ত, বাংলাদেশের জাতীয় বাজেট দেশের অর্থনৈতিক যাত্রার এক বিশাল চিত্র তুলে ধরে। এই দীর্ঘ সময়ে বাজেট শুধু আকারের দিক থেকেই বাড়েনি, বরং এর দর্শন, অগ্রাধিকার এবং অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটও বহুলাংশে পরিবর্তিত হয়েছে। তবে অন্তর্বর্তীকালীন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বাজেট সাধারণত...
০২ জুন ২০২৫
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
৬ ঘণ্টা আগে
ইলেকট্রনিকস পণ্য ক্রয়ে গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা দিতে দেশব্যাপী চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইনের ২৩তম সিজনে ওয়ালটন ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন বা বিএলডিসি ফ্যান কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার।
৬ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তাঁর আইটি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল সফট আইটি লিমিটেডের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তাঁর আইটি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল সফট আইটি লিমিটেডের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।
আজ রোববার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ঊর্ধ্বতন এক সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এনবিআরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘ওসমান হাদির ওপর হামলার পর যেহেতু ফয়সাল করিম মাসুদ প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত, সেহেতু গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাঁর বিভিন্ন বিষয় অনুসন্ধান করবে। আমরাও তাঁর আর্থিক কোনো অপরাধ আছে কি না, সেগুলোর অনুসন্ধান করব।’
এনবিআরের ওই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘শোনা যাচ্ছে এবং অনেক আলোচনা রয়েছে যে এই ধরনের অপরাধ সংঘটিত করার জন্য এবং দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির জন্য ভারত থেকে অনেক ফান্ডিং হচ্ছে। ফলে সে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার জন্য মূলত হিসাবগুলো ফ্রিজ করা হয়েছে।’
জানা গেছে, ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সদস্য।
এর আগে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে সন্দেহভাজনের ছবি প্রকাশ করে তথ্য চাওয়া হয়েছে। পুলিশের বিবৃতিতে সন্দেহভাজন তরুণের নাম উল্লেখ করা না হলেও ছবি দেখে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ বলে আন্দাজ করা যায়। এই তরুণকেও আগে হাদির সঙ্গে দেখা গেছে। তবে কয়েক দিন ধরে হাদির সঙ্গে গণসংযোগে থাকা মাস্ক পরা তরুণই যে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ এমন কোনো তথ্য পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, ৯ ডিসেম্বর বাংলামোটর এলাকায় হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে গিয়ে হাদির পাশে বসে আলোচনা শুনছিলেন ফয়সাল করিম। সেই আলোচনার ছবিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
ফয়সাল করিম নামের তরুণ কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধঘোষিত সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৯ সালের ১১ মে ঘোষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তিনি সদস্য হন। তাঁর পুরো নাম ফয়সাল করিম দাউদ খান।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তাঁর আইটি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল সফট আইটি লিমিটেডের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।
আজ রোববার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ঊর্ধ্বতন এক সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এনবিআরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘ওসমান হাদির ওপর হামলার পর যেহেতু ফয়সাল করিম মাসুদ প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত, সেহেতু গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাঁর বিভিন্ন বিষয় অনুসন্ধান করবে। আমরাও তাঁর আর্থিক কোনো অপরাধ আছে কি না, সেগুলোর অনুসন্ধান করব।’
এনবিআরের ওই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘শোনা যাচ্ছে এবং অনেক আলোচনা রয়েছে যে এই ধরনের অপরাধ সংঘটিত করার জন্য এবং দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির জন্য ভারত থেকে অনেক ফান্ডিং হচ্ছে। ফলে সে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার জন্য মূলত হিসাবগুলো ফ্রিজ করা হয়েছে।’
জানা গেছে, ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সদস্য।
এর আগে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে সন্দেহভাজনের ছবি প্রকাশ করে তথ্য চাওয়া হয়েছে। পুলিশের বিবৃতিতে সন্দেহভাজন তরুণের নাম উল্লেখ করা না হলেও ছবি দেখে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ বলে আন্দাজ করা যায়। এই তরুণকেও আগে হাদির সঙ্গে দেখা গেছে। তবে কয়েক দিন ধরে হাদির সঙ্গে গণসংযোগে থাকা মাস্ক পরা তরুণই যে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ এমন কোনো তথ্য পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, ৯ ডিসেম্বর বাংলামোটর এলাকায় হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে গিয়ে হাদির পাশে বসে আলোচনা শুনছিলেন ফয়সাল করিম। সেই আলোচনার ছবিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
ফয়সাল করিম নামের তরুণ কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধঘোষিত সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৯ সালের ১১ মে ঘোষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তিনি সদস্য হন। তাঁর পুরো নাম ফয়সাল করিম দাউদ খান।

১৯৭১ সাল থেকে বর্তমান ২০২৫ সাল পর্যন্ত, বাংলাদেশের জাতীয় বাজেট দেশের অর্থনৈতিক যাত্রার এক বিশাল চিত্র তুলে ধরে। এই দীর্ঘ সময়ে বাজেট শুধু আকারের দিক থেকেই বাড়েনি, বরং এর দর্শন, অগ্রাধিকার এবং অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটও বহুলাংশে পরিবর্তিত হয়েছে। তবে অন্তর্বর্তীকালীন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বাজেট সাধারণত...
০২ জুন ২০২৫
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
৬ ঘণ্টা আগে
ইলেকট্রনিকস পণ্য ক্রয়ে গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা দিতে দেশব্যাপী চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইনের ২৩তম সিজনে ওয়ালটন ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন বা বিএলডিসি ফ্যান কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার।
৬ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো। এই শুল্ক বহাল থাকলে মেক্সিকোর বাজারে ভারতীয় পণ্যের প্রবেশ অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। মূলত, ভারতের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি থাকায়, তা পুষিয়ে নিতেই ট্রাম্পের মতো করেই ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের ওপর মেক্সিকোর
১০ ঘণ্টা আগে