আনিসুল হক জুয়েল, দিনাজপুর

বাংলাদেশের পোড়ামাটি স্থাপত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নিদর্শন কান্তজিউ মন্দির। দিনাজপুর জেলা সদর হতে ২০ কিলোমিটার উত্তরে কাহারোল উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নে দিনাজপুর-পঞ্চগড় মহাসড়কের পশ্চিমে ঢেপা নদীর তীরে কান্তনগর এলাকায় কান্তজিউ মন্দিরের অবস্থান।
কান্তজিউ মন্দির ১৮ শতকে নির্মিত একটি চমৎকার ধর্মীয় স্থাপনা। শুধু নির্মাণ শৈলীই নয়, উৎকর্ষের জন্যও এ মন্দিরের পরিচিতি বিশ্বজুড়ে। ১৭২২ খ্রিষ্টাব্দে মহারাজা প্রাণনাথ রায় তাঁর মৃত্যুর আগে ১৭০৪ সালে মন্দিরের নির্মাণকাজ শুরু করেন। মহারাজার মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র রাজা রাম নাথ ১৭৫২ সালে এর নির্মাণকাজ শেষ করেন।
ইটের তৈরি অষ্টাদশ শতাব্দীর এ মন্দির ভগবান শ্রীকৃষ্ণের উদ্দেশ্যে নিবেদিত। কালিয়াকান্ত জিউ অর্থাৎ শ্রী-কৃষ্ণের বিগ্রহ প্রতিষ্ঠিত রয়েছে এ মন্দির গর্ভে। তাই এ মন্দিরের নাম কান্তজিউ, কান্তজি বা কান্তজির মন্দির। কান্তজি মন্দিরের কারণেই এ এলাকা কান্তনগর নামে পরিচিতি পায়। একই কারণে পরবর্তীতে মন্দিরটির আরেক নাম কান্তনগর মন্দির হয়ে ওঠে। এটি নবরত্ন মন্দির নামেও পরিচিত কারণ তিন তলাবিশিষ্ট এই মন্দিরের নয়টি চূড়া বা রত্ন ছিল।
কান্তজিউ মন্দিরকে ঘিরে গড়ে উঠেছে পর্যটন এলাকা। নির্মিত হয়েছে জাদুঘর, হোটেল-মোটেল, শপিং মলসহ নানা স্থাপনা। অতি সুন্দর ও ধারাবাহিকভাবে মন্দিরের দেয়ালে তুলে ধরা রামায়ণ, মহাভারতসহ পুরানে বর্ণিত বিচিত্র কাহিনি পর্যটক ও পর্যটন প্রিয় সাধারণ মানুষকে বিমোহিত করে। দেশ এবং দেশের বাইরে থেকে ঐতিহাসিক এ মন্দির দেখতে সারা বছর ভিড় করেন পুণ্যার্থী ও পর্যটকেরা। নির্মাণ শৈলী ও বৈচিত্র্যময়তা দেখে পর্যটকেরা বিমোহিত হন।
ইট দ্বারা তৈরি এই মন্দিরের গায়ে পোড়ামাটির ফলকে মধ্যযুগের শেষদিকে বাংলার সামাজিক জীবনের নানা কাহিনি বিবৃত রয়েছে, উৎকীর্ণ হয়েছে রামায়ণ, মহাভারত ও বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনির খণ্ডচিত্র। সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর ও কলি এ চারটি শাস্ত্রীয় যুগের পৌরাণিক কাহিনিগুলো মন্দিরের চার দেয়ালে চিত্রায়িত। তাই বৈদিক চিত্রকাহিনি সংবলিত টেরাকোটায় আচ্ছাদিত মন্দিরটি দেখলে মনে হবে এ যেন চার খণ্ডে শিল্প খচিত এক পৌরাণিক মহাকাব্যের দৃশ্যমান উপস্থাপনা। এ মন্দিরের টেরাকোটা কখনো আপনাকে নিয়ে যাবে মধ্যযুগীয় বাংলায়, আবার কখনো উপস্থাপন করবে পৌরাণিক কাহিনি।
প্রায় ১ মিটার উঁচু এবং ১৮ মিটার বাহুবিশিষ্ট বর্গাকার বেদির ওপর এ মন্দির প্রতিষ্ঠিত। মন্দিরের প্রত্যেক বাহুর দৈর্ঘ্য ১৬ মিটার। মন্দিরের প্রাঙ্গণ আয়তাকার হলেও পাথরের ভিত্তির ওপর দাঁড়ানো ৫০ ফুট উচ্চতার মন্দিরটি একটি বর্গাকার ইমারত, যা বর্গাকার প্রধান প্রকোষ্ঠ টিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে।
দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে পড়ে থাকা কান্তজিউ মন্দিরে ব্যাপক সংস্কার কাজ শুরু হয় স্থানীয় সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপালের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়। তিনি জানান, কান্তজিউ মন্দির ও নয়াবাদ মসজিদের উন্নয়নে এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ (চল্লিশ) কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। আগে ঢেপা নদীর ওপর ব্রিজ না থাকায় প্রায় ১০ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে মন্দিরে যেতে হতো। পর্যটকদের দুর্দশা লাঘবে মন্দিরে যাওয়ার জন্য নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। ব্রিজের প্রবেশ মুখে তৈরি করা হয়েছে তেভাগা আন্দোলনের স্মৃতিস্তম্ভ সিধু-কানু চত্বর। মন্দিরের সংস্কারের পাশাপাশি তৈরি করা হয়েছে রাস্তাঘাট, পার্ক, মিউজিয়াম ইত্যাদি। প্রায় ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে সংস্কার চলছে রাসবেদীর।
এ ছাড়াও পর্যটকদের সুবিধার্থে কান্তজিউ মন্দির থেকে নয়াবাদ মসজিদ পর্যন্ত সরাসরি সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প করার প্রস্তাবনাও বিবেচনাধীন আছে বলে জানান তিনি।
প্রতিবছর কান্তজি মন্দির প্রাঙ্গণে রাশ পূর্ণিমা মেলা বসে। মাসব্যাপী এই মেলায় ভিড় জমান অসংখ্য দর্শনার্থী আর পুণ্যার্থী। রাশ পূর্ণিমা উপলক্ষে তখন দিনাজপুরের রাজবাড়ি থেকে কান্তজির বিগ্রহ নিয়ে আসা হয় মন্দিরে। সবকিছু মিলিয়ে তখন এই এলাকার গুরুত্ব যেন বেড়ে যায় বহুগুণ।
দৃষ্টিনন্দন ঐতিহাসিক কান্তজিউ মন্দির করোনার কারণে দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ থাকায় এখন পর্যটকশূন্য। মন্দিরের তত্ত্বাবধায়ক আপন চন্দ্র রায় জানান, লকডাউনে সরকারি সিদ্ধান্তে মন্দিরে দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ রয়েছে।

বাংলাদেশের পোড়ামাটি স্থাপত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নিদর্শন কান্তজিউ মন্দির। দিনাজপুর জেলা সদর হতে ২০ কিলোমিটার উত্তরে কাহারোল উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নে দিনাজপুর-পঞ্চগড় মহাসড়কের পশ্চিমে ঢেপা নদীর তীরে কান্তনগর এলাকায় কান্তজিউ মন্দিরের অবস্থান।
কান্তজিউ মন্দির ১৮ শতকে নির্মিত একটি চমৎকার ধর্মীয় স্থাপনা। শুধু নির্মাণ শৈলীই নয়, উৎকর্ষের জন্যও এ মন্দিরের পরিচিতি বিশ্বজুড়ে। ১৭২২ খ্রিষ্টাব্দে মহারাজা প্রাণনাথ রায় তাঁর মৃত্যুর আগে ১৭০৪ সালে মন্দিরের নির্মাণকাজ শুরু করেন। মহারাজার মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র রাজা রাম নাথ ১৭৫২ সালে এর নির্মাণকাজ শেষ করেন।
ইটের তৈরি অষ্টাদশ শতাব্দীর এ মন্দির ভগবান শ্রীকৃষ্ণের উদ্দেশ্যে নিবেদিত। কালিয়াকান্ত জিউ অর্থাৎ শ্রী-কৃষ্ণের বিগ্রহ প্রতিষ্ঠিত রয়েছে এ মন্দির গর্ভে। তাই এ মন্দিরের নাম কান্তজিউ, কান্তজি বা কান্তজির মন্দির। কান্তজি মন্দিরের কারণেই এ এলাকা কান্তনগর নামে পরিচিতি পায়। একই কারণে পরবর্তীতে মন্দিরটির আরেক নাম কান্তনগর মন্দির হয়ে ওঠে। এটি নবরত্ন মন্দির নামেও পরিচিত কারণ তিন তলাবিশিষ্ট এই মন্দিরের নয়টি চূড়া বা রত্ন ছিল।
কান্তজিউ মন্দিরকে ঘিরে গড়ে উঠেছে পর্যটন এলাকা। নির্মিত হয়েছে জাদুঘর, হোটেল-মোটেল, শপিং মলসহ নানা স্থাপনা। অতি সুন্দর ও ধারাবাহিকভাবে মন্দিরের দেয়ালে তুলে ধরা রামায়ণ, মহাভারতসহ পুরানে বর্ণিত বিচিত্র কাহিনি পর্যটক ও পর্যটন প্রিয় সাধারণ মানুষকে বিমোহিত করে। দেশ এবং দেশের বাইরে থেকে ঐতিহাসিক এ মন্দির দেখতে সারা বছর ভিড় করেন পুণ্যার্থী ও পর্যটকেরা। নির্মাণ শৈলী ও বৈচিত্র্যময়তা দেখে পর্যটকেরা বিমোহিত হন।
ইট দ্বারা তৈরি এই মন্দিরের গায়ে পোড়ামাটির ফলকে মধ্যযুগের শেষদিকে বাংলার সামাজিক জীবনের নানা কাহিনি বিবৃত রয়েছে, উৎকীর্ণ হয়েছে রামায়ণ, মহাভারত ও বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনির খণ্ডচিত্র। সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর ও কলি এ চারটি শাস্ত্রীয় যুগের পৌরাণিক কাহিনিগুলো মন্দিরের চার দেয়ালে চিত্রায়িত। তাই বৈদিক চিত্রকাহিনি সংবলিত টেরাকোটায় আচ্ছাদিত মন্দিরটি দেখলে মনে হবে এ যেন চার খণ্ডে শিল্প খচিত এক পৌরাণিক মহাকাব্যের দৃশ্যমান উপস্থাপনা। এ মন্দিরের টেরাকোটা কখনো আপনাকে নিয়ে যাবে মধ্যযুগীয় বাংলায়, আবার কখনো উপস্থাপন করবে পৌরাণিক কাহিনি।
প্রায় ১ মিটার উঁচু এবং ১৮ মিটার বাহুবিশিষ্ট বর্গাকার বেদির ওপর এ মন্দির প্রতিষ্ঠিত। মন্দিরের প্রত্যেক বাহুর দৈর্ঘ্য ১৬ মিটার। মন্দিরের প্রাঙ্গণ আয়তাকার হলেও পাথরের ভিত্তির ওপর দাঁড়ানো ৫০ ফুট উচ্চতার মন্দিরটি একটি বর্গাকার ইমারত, যা বর্গাকার প্রধান প্রকোষ্ঠ টিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে।
দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে পড়ে থাকা কান্তজিউ মন্দিরে ব্যাপক সংস্কার কাজ শুরু হয় স্থানীয় সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপালের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়। তিনি জানান, কান্তজিউ মন্দির ও নয়াবাদ মসজিদের উন্নয়নে এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ (চল্লিশ) কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। আগে ঢেপা নদীর ওপর ব্রিজ না থাকায় প্রায় ১০ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে মন্দিরে যেতে হতো। পর্যটকদের দুর্দশা লাঘবে মন্দিরে যাওয়ার জন্য নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। ব্রিজের প্রবেশ মুখে তৈরি করা হয়েছে তেভাগা আন্দোলনের স্মৃতিস্তম্ভ সিধু-কানু চত্বর। মন্দিরের সংস্কারের পাশাপাশি তৈরি করা হয়েছে রাস্তাঘাট, পার্ক, মিউজিয়াম ইত্যাদি। প্রায় ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে সংস্কার চলছে রাসবেদীর।
এ ছাড়াও পর্যটকদের সুবিধার্থে কান্তজিউ মন্দির থেকে নয়াবাদ মসজিদ পর্যন্ত সরাসরি সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প করার প্রস্তাবনাও বিবেচনাধীন আছে বলে জানান তিনি।
প্রতিবছর কান্তজি মন্দির প্রাঙ্গণে রাশ পূর্ণিমা মেলা বসে। মাসব্যাপী এই মেলায় ভিড় জমান অসংখ্য দর্শনার্থী আর পুণ্যার্থী। রাশ পূর্ণিমা উপলক্ষে তখন দিনাজপুরের রাজবাড়ি থেকে কান্তজির বিগ্রহ নিয়ে আসা হয় মন্দিরে। সবকিছু মিলিয়ে তখন এই এলাকার গুরুত্ব যেন বেড়ে যায় বহুগুণ।
দৃষ্টিনন্দন ঐতিহাসিক কান্তজিউ মন্দির করোনার কারণে দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ থাকায় এখন পর্যটকশূন্য। মন্দিরের তত্ত্বাবধায়ক আপন চন্দ্র রায় জানান, লকডাউনে সরকারি সিদ্ধান্তে মন্দিরে দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ রয়েছে।
আনিসুল হক জুয়েল, দিনাজপুর

বাংলাদেশের পোড়ামাটি স্থাপত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নিদর্শন কান্তজিউ মন্দির। দিনাজপুর জেলা সদর হতে ২০ কিলোমিটার উত্তরে কাহারোল উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নে দিনাজপুর-পঞ্চগড় মহাসড়কের পশ্চিমে ঢেপা নদীর তীরে কান্তনগর এলাকায় কান্তজিউ মন্দিরের অবস্থান।
কান্তজিউ মন্দির ১৮ শতকে নির্মিত একটি চমৎকার ধর্মীয় স্থাপনা। শুধু নির্মাণ শৈলীই নয়, উৎকর্ষের জন্যও এ মন্দিরের পরিচিতি বিশ্বজুড়ে। ১৭২২ খ্রিষ্টাব্দে মহারাজা প্রাণনাথ রায় তাঁর মৃত্যুর আগে ১৭০৪ সালে মন্দিরের নির্মাণকাজ শুরু করেন। মহারাজার মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র রাজা রাম নাথ ১৭৫২ সালে এর নির্মাণকাজ শেষ করেন।
ইটের তৈরি অষ্টাদশ শতাব্দীর এ মন্দির ভগবান শ্রীকৃষ্ণের উদ্দেশ্যে নিবেদিত। কালিয়াকান্ত জিউ অর্থাৎ শ্রী-কৃষ্ণের বিগ্রহ প্রতিষ্ঠিত রয়েছে এ মন্দির গর্ভে। তাই এ মন্দিরের নাম কান্তজিউ, কান্তজি বা কান্তজির মন্দির। কান্তজি মন্দিরের কারণেই এ এলাকা কান্তনগর নামে পরিচিতি পায়। একই কারণে পরবর্তীতে মন্দিরটির আরেক নাম কান্তনগর মন্দির হয়ে ওঠে। এটি নবরত্ন মন্দির নামেও পরিচিত কারণ তিন তলাবিশিষ্ট এই মন্দিরের নয়টি চূড়া বা রত্ন ছিল।
কান্তজিউ মন্দিরকে ঘিরে গড়ে উঠেছে পর্যটন এলাকা। নির্মিত হয়েছে জাদুঘর, হোটেল-মোটেল, শপিং মলসহ নানা স্থাপনা। অতি সুন্দর ও ধারাবাহিকভাবে মন্দিরের দেয়ালে তুলে ধরা রামায়ণ, মহাভারতসহ পুরানে বর্ণিত বিচিত্র কাহিনি পর্যটক ও পর্যটন প্রিয় সাধারণ মানুষকে বিমোহিত করে। দেশ এবং দেশের বাইরে থেকে ঐতিহাসিক এ মন্দির দেখতে সারা বছর ভিড় করেন পুণ্যার্থী ও পর্যটকেরা। নির্মাণ শৈলী ও বৈচিত্র্যময়তা দেখে পর্যটকেরা বিমোহিত হন।
ইট দ্বারা তৈরি এই মন্দিরের গায়ে পোড়ামাটির ফলকে মধ্যযুগের শেষদিকে বাংলার সামাজিক জীবনের নানা কাহিনি বিবৃত রয়েছে, উৎকীর্ণ হয়েছে রামায়ণ, মহাভারত ও বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনির খণ্ডচিত্র। সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর ও কলি এ চারটি শাস্ত্রীয় যুগের পৌরাণিক কাহিনিগুলো মন্দিরের চার দেয়ালে চিত্রায়িত। তাই বৈদিক চিত্রকাহিনি সংবলিত টেরাকোটায় আচ্ছাদিত মন্দিরটি দেখলে মনে হবে এ যেন চার খণ্ডে শিল্প খচিত এক পৌরাণিক মহাকাব্যের দৃশ্যমান উপস্থাপনা। এ মন্দিরের টেরাকোটা কখনো আপনাকে নিয়ে যাবে মধ্যযুগীয় বাংলায়, আবার কখনো উপস্থাপন করবে পৌরাণিক কাহিনি।
প্রায় ১ মিটার উঁচু এবং ১৮ মিটার বাহুবিশিষ্ট বর্গাকার বেদির ওপর এ মন্দির প্রতিষ্ঠিত। মন্দিরের প্রত্যেক বাহুর দৈর্ঘ্য ১৬ মিটার। মন্দিরের প্রাঙ্গণ আয়তাকার হলেও পাথরের ভিত্তির ওপর দাঁড়ানো ৫০ ফুট উচ্চতার মন্দিরটি একটি বর্গাকার ইমারত, যা বর্গাকার প্রধান প্রকোষ্ঠ টিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে।
দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে পড়ে থাকা কান্তজিউ মন্দিরে ব্যাপক সংস্কার কাজ শুরু হয় স্থানীয় সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপালের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়। তিনি জানান, কান্তজিউ মন্দির ও নয়াবাদ মসজিদের উন্নয়নে এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ (চল্লিশ) কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। আগে ঢেপা নদীর ওপর ব্রিজ না থাকায় প্রায় ১০ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে মন্দিরে যেতে হতো। পর্যটকদের দুর্দশা লাঘবে মন্দিরে যাওয়ার জন্য নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। ব্রিজের প্রবেশ মুখে তৈরি করা হয়েছে তেভাগা আন্দোলনের স্মৃতিস্তম্ভ সিধু-কানু চত্বর। মন্দিরের সংস্কারের পাশাপাশি তৈরি করা হয়েছে রাস্তাঘাট, পার্ক, মিউজিয়াম ইত্যাদি। প্রায় ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে সংস্কার চলছে রাসবেদীর।
এ ছাড়াও পর্যটকদের সুবিধার্থে কান্তজিউ মন্দির থেকে নয়াবাদ মসজিদ পর্যন্ত সরাসরি সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প করার প্রস্তাবনাও বিবেচনাধীন আছে বলে জানান তিনি।
প্রতিবছর কান্তজি মন্দির প্রাঙ্গণে রাশ পূর্ণিমা মেলা বসে। মাসব্যাপী এই মেলায় ভিড় জমান অসংখ্য দর্শনার্থী আর পুণ্যার্থী। রাশ পূর্ণিমা উপলক্ষে তখন দিনাজপুরের রাজবাড়ি থেকে কান্তজির বিগ্রহ নিয়ে আসা হয় মন্দিরে। সবকিছু মিলিয়ে তখন এই এলাকার গুরুত্ব যেন বেড়ে যায় বহুগুণ।
দৃষ্টিনন্দন ঐতিহাসিক কান্তজিউ মন্দির করোনার কারণে দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ থাকায় এখন পর্যটকশূন্য। মন্দিরের তত্ত্বাবধায়ক আপন চন্দ্র রায় জানান, লকডাউনে সরকারি সিদ্ধান্তে মন্দিরে দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ রয়েছে।

বাংলাদেশের পোড়ামাটি স্থাপত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নিদর্শন কান্তজিউ মন্দির। দিনাজপুর জেলা সদর হতে ২০ কিলোমিটার উত্তরে কাহারোল উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নে দিনাজপুর-পঞ্চগড় মহাসড়কের পশ্চিমে ঢেপা নদীর তীরে কান্তনগর এলাকায় কান্তজিউ মন্দিরের অবস্থান।
কান্তজিউ মন্দির ১৮ শতকে নির্মিত একটি চমৎকার ধর্মীয় স্থাপনা। শুধু নির্মাণ শৈলীই নয়, উৎকর্ষের জন্যও এ মন্দিরের পরিচিতি বিশ্বজুড়ে। ১৭২২ খ্রিষ্টাব্দে মহারাজা প্রাণনাথ রায় তাঁর মৃত্যুর আগে ১৭০৪ সালে মন্দিরের নির্মাণকাজ শুরু করেন। মহারাজার মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র রাজা রাম নাথ ১৭৫২ সালে এর নির্মাণকাজ শেষ করেন।
ইটের তৈরি অষ্টাদশ শতাব্দীর এ মন্দির ভগবান শ্রীকৃষ্ণের উদ্দেশ্যে নিবেদিত। কালিয়াকান্ত জিউ অর্থাৎ শ্রী-কৃষ্ণের বিগ্রহ প্রতিষ্ঠিত রয়েছে এ মন্দির গর্ভে। তাই এ মন্দিরের নাম কান্তজিউ, কান্তজি বা কান্তজির মন্দির। কান্তজি মন্দিরের কারণেই এ এলাকা কান্তনগর নামে পরিচিতি পায়। একই কারণে পরবর্তীতে মন্দিরটির আরেক নাম কান্তনগর মন্দির হয়ে ওঠে। এটি নবরত্ন মন্দির নামেও পরিচিত কারণ তিন তলাবিশিষ্ট এই মন্দিরের নয়টি চূড়া বা রত্ন ছিল।
কান্তজিউ মন্দিরকে ঘিরে গড়ে উঠেছে পর্যটন এলাকা। নির্মিত হয়েছে জাদুঘর, হোটেল-মোটেল, শপিং মলসহ নানা স্থাপনা। অতি সুন্দর ও ধারাবাহিকভাবে মন্দিরের দেয়ালে তুলে ধরা রামায়ণ, মহাভারতসহ পুরানে বর্ণিত বিচিত্র কাহিনি পর্যটক ও পর্যটন প্রিয় সাধারণ মানুষকে বিমোহিত করে। দেশ এবং দেশের বাইরে থেকে ঐতিহাসিক এ মন্দির দেখতে সারা বছর ভিড় করেন পুণ্যার্থী ও পর্যটকেরা। নির্মাণ শৈলী ও বৈচিত্র্যময়তা দেখে পর্যটকেরা বিমোহিত হন।
ইট দ্বারা তৈরি এই মন্দিরের গায়ে পোড়ামাটির ফলকে মধ্যযুগের শেষদিকে বাংলার সামাজিক জীবনের নানা কাহিনি বিবৃত রয়েছে, উৎকীর্ণ হয়েছে রামায়ণ, মহাভারত ও বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনির খণ্ডচিত্র। সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর ও কলি এ চারটি শাস্ত্রীয় যুগের পৌরাণিক কাহিনিগুলো মন্দিরের চার দেয়ালে চিত্রায়িত। তাই বৈদিক চিত্রকাহিনি সংবলিত টেরাকোটায় আচ্ছাদিত মন্দিরটি দেখলে মনে হবে এ যেন চার খণ্ডে শিল্প খচিত এক পৌরাণিক মহাকাব্যের দৃশ্যমান উপস্থাপনা। এ মন্দিরের টেরাকোটা কখনো আপনাকে নিয়ে যাবে মধ্যযুগীয় বাংলায়, আবার কখনো উপস্থাপন করবে পৌরাণিক কাহিনি।
প্রায় ১ মিটার উঁচু এবং ১৮ মিটার বাহুবিশিষ্ট বর্গাকার বেদির ওপর এ মন্দির প্রতিষ্ঠিত। মন্দিরের প্রত্যেক বাহুর দৈর্ঘ্য ১৬ মিটার। মন্দিরের প্রাঙ্গণ আয়তাকার হলেও পাথরের ভিত্তির ওপর দাঁড়ানো ৫০ ফুট উচ্চতার মন্দিরটি একটি বর্গাকার ইমারত, যা বর্গাকার প্রধান প্রকোষ্ঠ টিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে।
দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে পড়ে থাকা কান্তজিউ মন্দিরে ব্যাপক সংস্কার কাজ শুরু হয় স্থানীয় সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপালের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়। তিনি জানান, কান্তজিউ মন্দির ও নয়াবাদ মসজিদের উন্নয়নে এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ (চল্লিশ) কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। আগে ঢেপা নদীর ওপর ব্রিজ না থাকায় প্রায় ১০ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে মন্দিরে যেতে হতো। পর্যটকদের দুর্দশা লাঘবে মন্দিরে যাওয়ার জন্য নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। ব্রিজের প্রবেশ মুখে তৈরি করা হয়েছে তেভাগা আন্দোলনের স্মৃতিস্তম্ভ সিধু-কানু চত্বর। মন্দিরের সংস্কারের পাশাপাশি তৈরি করা হয়েছে রাস্তাঘাট, পার্ক, মিউজিয়াম ইত্যাদি। প্রায় ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে সংস্কার চলছে রাসবেদীর।
এ ছাড়াও পর্যটকদের সুবিধার্থে কান্তজিউ মন্দির থেকে নয়াবাদ মসজিদ পর্যন্ত সরাসরি সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প করার প্রস্তাবনাও বিবেচনাধীন আছে বলে জানান তিনি।
প্রতিবছর কান্তজি মন্দির প্রাঙ্গণে রাশ পূর্ণিমা মেলা বসে। মাসব্যাপী এই মেলায় ভিড় জমান অসংখ্য দর্শনার্থী আর পুণ্যার্থী। রাশ পূর্ণিমা উপলক্ষে তখন দিনাজপুরের রাজবাড়ি থেকে কান্তজির বিগ্রহ নিয়ে আসা হয় মন্দিরে। সবকিছু মিলিয়ে তখন এই এলাকার গুরুত্ব যেন বেড়ে যায় বহুগুণ।
দৃষ্টিনন্দন ঐতিহাসিক কান্তজিউ মন্দির করোনার কারণে দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ থাকায় এখন পর্যটকশূন্য। মন্দিরের তত্ত্বাবধায়ক আপন চন্দ্র রায় জানান, লকডাউনে সরকারি সিদ্ধান্তে মন্দিরে দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ রয়েছে।

ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৩৯ মিনিট আগে
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
২ ঘণ্টা আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
২ ঘণ্টা আগেফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় মাঠ-সংলগ্ন সেতু থেকে চোখ বাঁধা অবস্থায় থাকা ফিরোজ মোল্যা নামের এক ভ্যানচালককে জীবিত উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন।
নিহত উৎপল ফরিদপুর জেলা সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের রনকাইল গ্রামের অজয় সরকারের ছেলে। তাঁর স্ত্রী ও আড়াই বছর বয়সী এক শিশুসন্তান রয়েছে।
থানা-পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ ভোরে সড়কের পাশে ফাঁকা মাঠে রক্তাক্ত অবস্থায় একটি লাশ দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। পাশেই একটি সেতুর সঙ্গে একই গ্রামের ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় বেঁধে রাখা হয়েছিল। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি খুলে বলেন তিনি।
ভ্যানচালকের বরাত দিয়ে রনকাইল গ্রামের বাসিন্দা ও প্রতিবেশী কাজী শাহীন বলেন, উৎপল সরকার ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মাছ কিনতে যাচ্ছিলেন। পথে অজ্ঞাতপরিচয় তিন-চার ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্রের মুখে ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে ব্রিজের রেলিংয়ে বেঁধে ফেলে। তারা উৎপলের সঙ্গে থাকা টাকাপয়সা লুট করে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সালথা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কে এম মারুফ হাসান রাসেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুই থেকে তিনজন দুর্বৃত্ত ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে এটাকে ডাকাতি বলা যায় না। ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলমান। তদন্ত শেষে মূল কারণ বলা যাবে।’

ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় মাঠ-সংলগ্ন সেতু থেকে চোখ বাঁধা অবস্থায় থাকা ফিরোজ মোল্যা নামের এক ভ্যানচালককে জীবিত উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন।
নিহত উৎপল ফরিদপুর জেলা সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের রনকাইল গ্রামের অজয় সরকারের ছেলে। তাঁর স্ত্রী ও আড়াই বছর বয়সী এক শিশুসন্তান রয়েছে।
থানা-পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ ভোরে সড়কের পাশে ফাঁকা মাঠে রক্তাক্ত অবস্থায় একটি লাশ দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। পাশেই একটি সেতুর সঙ্গে একই গ্রামের ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় বেঁধে রাখা হয়েছিল। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি খুলে বলেন তিনি।
ভ্যানচালকের বরাত দিয়ে রনকাইল গ্রামের বাসিন্দা ও প্রতিবেশী কাজী শাহীন বলেন, উৎপল সরকার ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মাছ কিনতে যাচ্ছিলেন। পথে অজ্ঞাতপরিচয় তিন-চার ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্রের মুখে ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে ব্রিজের রেলিংয়ে বেঁধে ফেলে। তারা উৎপলের সঙ্গে থাকা টাকাপয়সা লুট করে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সালথা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কে এম মারুফ হাসান রাসেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুই থেকে তিনজন দুর্বৃত্ত ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে এটাকে ডাকাতি বলা যায় না। ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলমান। তদন্ত শেষে মূল কারণ বলা যাবে।’

বাংলাদেশের পোড়ামাটি স্থাপত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নিদর্শন কান্তজিউ মন্দির। দিনাজপুর জেলা সদর হতে ২০ কিলোমিটার উত্তরে কাহারোল উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নে দিনাজপুর-পঞ্চগড় মহাসড়কের পশ্চিমে ঢেপা নদীর তীরে কান্তনগর এলাকায় কান্তজিউ মন্দিরের অবস্থান
০১ আগস্ট ২০২১
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
২ ঘণ্টা আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
২ ঘণ্টা আগেচবি প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
ওমর ফারুক বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
স্থানীয় ও পরিবারের সদস্যরা জানান, সুমন খুলশীতে তাঁর মামার বাসায় থাকতেন। তাঁর বড় ভাইও সেখানে থাকেন। দুই দিন আগে সুমনের মামা পুরো পরিবার নিয়ে তুরস্কে বেড়াতে যান। বাসায় সুমন ও তাঁর বড় ভাই ছিলেন। গতকাল বিকেল ৪টার দিকে ভাইয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন সুমন। ফোনে তাঁর বড় ভাই কখন বাসায় ফিরবেন জানতে চান সুমন। বড় ভাই জানান যে তাঁর আসতে একটু দেরি হবে। এর কিছুক্ষণ পর বড় ভাই সুমনকে ফোন করলে তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি। পরে বাড়ি থেকে সুমনের মা ফোন দিয়ে যোগাযোগ করতে না পেরে বিষয়টি বড় ভাইকে জানান। এতে উদ্বেগ দেখা দিলে বড় ভাই বিল্ডিংয়ের দারোয়ানকে দিয়ে বাসা চেক করান।
দারোয়ান কলিংবেল বাজিয়েও কোনো সাড়া না পেয়ে বড় ভাইকে জানালে তিনি দ্রুত বাসায় এসে সুমনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলে চিরকুট মিলেছে। এতে লেখা রয়েছে, ‘আমি সুমন, ওমর ফারুক সুমন। আমার কোনো আশা-আকাঙ্ক্ষা নেই। আর আমার কারও প্রতি কোনো অভিযোগ নেই। সবাই ভালো থাকবেন।’ এর আগে ১ ডিসেম্বর লেখা আরেকটি চিরকুট পাওয়া যায়। সেখানে লেখা ছিল—‘আশাই জীবন, আশাই মরণ, ব্যর্থতা হতাশা-অন্ধকারে নিয়ে যায়।’
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর জামান বলেন, ‘সুমন ও তাঁর বড় ভাই একসঙ্গে মামার বাসায় থাকতেন। মামা ও মামি বর্তমানে বিদেশে আছেন। বড় ভাই সন্ধ্যায় বাইরে যান। সে সময় সুমন বাসায় একা ছিলেন। বড় ভাই বাসায় ফিরে এসে বারবার ডাকলেও ফ্ল্যাটের ভেতর থেকে কোনো সাড়া পাননি। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকলে সুমনের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাথমিক তদন্তে এটি আত্মহত্যা মনে হলেও আমরা সব সম্ভাব্য কারণ খতিয়ে দেখছি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
ওমর ফারুক বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
স্থানীয় ও পরিবারের সদস্যরা জানান, সুমন খুলশীতে তাঁর মামার বাসায় থাকতেন। তাঁর বড় ভাইও সেখানে থাকেন। দুই দিন আগে সুমনের মামা পুরো পরিবার নিয়ে তুরস্কে বেড়াতে যান। বাসায় সুমন ও তাঁর বড় ভাই ছিলেন। গতকাল বিকেল ৪টার দিকে ভাইয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন সুমন। ফোনে তাঁর বড় ভাই কখন বাসায় ফিরবেন জানতে চান সুমন। বড় ভাই জানান যে তাঁর আসতে একটু দেরি হবে। এর কিছুক্ষণ পর বড় ভাই সুমনকে ফোন করলে তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি। পরে বাড়ি থেকে সুমনের মা ফোন দিয়ে যোগাযোগ করতে না পেরে বিষয়টি বড় ভাইকে জানান। এতে উদ্বেগ দেখা দিলে বড় ভাই বিল্ডিংয়ের দারোয়ানকে দিয়ে বাসা চেক করান।
দারোয়ান কলিংবেল বাজিয়েও কোনো সাড়া না পেয়ে বড় ভাইকে জানালে তিনি দ্রুত বাসায় এসে সুমনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলে চিরকুট মিলেছে। এতে লেখা রয়েছে, ‘আমি সুমন, ওমর ফারুক সুমন। আমার কোনো আশা-আকাঙ্ক্ষা নেই। আর আমার কারও প্রতি কোনো অভিযোগ নেই। সবাই ভালো থাকবেন।’ এর আগে ১ ডিসেম্বর লেখা আরেকটি চিরকুট পাওয়া যায়। সেখানে লেখা ছিল—‘আশাই জীবন, আশাই মরণ, ব্যর্থতা হতাশা-অন্ধকারে নিয়ে যায়।’
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর জামান বলেন, ‘সুমন ও তাঁর বড় ভাই একসঙ্গে মামার বাসায় থাকতেন। মামা ও মামি বর্তমানে বিদেশে আছেন। বড় ভাই সন্ধ্যায় বাইরে যান। সে সময় সুমন বাসায় একা ছিলেন। বড় ভাই বাসায় ফিরে এসে বারবার ডাকলেও ফ্ল্যাটের ভেতর থেকে কোনো সাড়া পাননি। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকলে সুমনের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাথমিক তদন্তে এটি আত্মহত্যা মনে হলেও আমরা সব সম্ভাব্য কারণ খতিয়ে দেখছি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

বাংলাদেশের পোড়ামাটি স্থাপত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নিদর্শন কান্তজিউ মন্দির। দিনাজপুর জেলা সদর হতে ২০ কিলোমিটার উত্তরে কাহারোল উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নে দিনাজপুর-পঞ্চগড় মহাসড়কের পশ্চিমে ঢেপা নদীর তীরে কান্তনগর এলাকায় কান্তজিউ মন্দিরের অবস্থান
০১ আগস্ট ২০২১
ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৩৯ মিনিট আগে
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
২ ঘণ্টা আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
২ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে আবুল কাশেম বলেন, ‘আমার মতো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি আদায়ের নেতৃত্ব দেওয়া শতাধিক শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে পার্শ্ববর্তী জেলা এবং বিভাগে। আরও অনেককে বদলি করা হতে পারে। এ নিয়ে কেউ বিচলিত হবেন না। প্রয়োজনে আইনি লড়াইয়ে যাব। তবে আন্দোলন থেকে সরে আসব না। আপনাদের পাশে রয়েছি। অবিলম্বে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা আসবে। সে জন্য যদি জেলেও যেতে হয়, প্রস্তুত রয়েছি।’
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেমের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
৪ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মাহফুজা খাতুন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার চানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেমকে বরিশাল সদরের চরবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়।

সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে আবুল কাশেম বলেন, ‘আমার মতো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি আদায়ের নেতৃত্ব দেওয়া শতাধিক শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে পার্শ্ববর্তী জেলা এবং বিভাগে। আরও অনেককে বদলি করা হতে পারে। এ নিয়ে কেউ বিচলিত হবেন না। প্রয়োজনে আইনি লড়াইয়ে যাব। তবে আন্দোলন থেকে সরে আসব না। আপনাদের পাশে রয়েছি। অবিলম্বে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা আসবে। সে জন্য যদি জেলেও যেতে হয়, প্রস্তুত রয়েছি।’
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেমের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
৪ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মাহফুজা খাতুন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার চানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেমকে বরিশাল সদরের চরবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়।

বাংলাদেশের পোড়ামাটি স্থাপত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নিদর্শন কান্তজিউ মন্দির। দিনাজপুর জেলা সদর হতে ২০ কিলোমিটার উত্তরে কাহারোল উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নে দিনাজপুর-পঞ্চগড় মহাসড়কের পশ্চিমে ঢেপা নদীর তীরে কান্তনগর এলাকায় কান্তজিউ মন্দিরের অবস্থান
০১ আগস্ট ২০২১
ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৩৯ মিনিট আগে
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
২ ঘণ্টা আগেমাহিদুল ইসলাম, মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য না পাওয়ায় লোকসানে পড়ছেন তাঁরা।
কৃষকেরা জানান, চলতি আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের দাম অনেক কম। গত বছর বাজারে যেখানে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছে, এই বছর মাঝারি শুকনা ধান ৯০০ ও শুকনা ধান ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বীজতলা থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলার আগপর্যন্ত অনেক শ্রম ও টাকা খরচ করতে হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। এর থেকে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯০ টন ধান উৎপাদন হবে। আর এই ধান থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩০ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আমন ধানের শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকেরা।
বাজারে আমন ধানের দাম কম হলেও সরকারিভাবে ভালো দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে প্রতি কেজি আমন ধান ৩৪ টাকা মূল্যে ৭৯০ টন, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি মূল্যে ২ হাজার ৬৭৭ টন ও আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি মূল্যে ৫ হাজার ৬৪৬ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও সদর উপজেলার আমনখেত ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা পাকা আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত। অনেক এলাকায় দ্রুত সময়ে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ একসঙ্গে সেরে নিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে সময়, খরচ ও কষ্ট কম করতে হচ্ছে। আবার কেউ কাজের লোক এনে ধান কেটে ফসলের মাঠেই মাড়াই করে সেদ্ধ দিচ্ছেন। অনেক কৃষক মাঠের মধ্যে রাত জেগে ধান সেদ্ধ করছেন। তবে সবকিছু ঠিক থাকলেও ধানের দাম কম থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন কৃষকেরা।
কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়ন কৃষক আনোয়ার খান বলেন, ‘গত বছর আমাদের ধান একেবারেই হয়নি। এ বছর অনেক ভালো ধান হয়েছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। তবে বাজারে ধানের দাম অনেক কম। প্রতি মণ ধান মাত্র ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় ধানের দাম বাড়েনি।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মিলন কান্তি চাকমা বলেন, ‘আমাদের ধান-চাল সংগ্রহের কার্যক্রম ২০ নভেম্বর শুরু হয়েছে; চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকারিভাবে ধানের দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ১ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। একটা সময় আমরা ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারতাম না; তবে এখন ধান-চালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়। আশা করি, চলতি মৌসুমে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘জেলায় এ বছর খুব ভালো আমন ধান হয়েছে। কৃষকেরা অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে ধান ঘরে তুলছেন। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও দিনের বেলা কুয়াশা না থাকায় সহজে কৃষকেরা ধান কাটা, মাড়াই ও সেদ্ধ করতে পারছেন।’

মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য না পাওয়ায় লোকসানে পড়ছেন তাঁরা।
কৃষকেরা জানান, চলতি আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের দাম অনেক কম। গত বছর বাজারে যেখানে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছে, এই বছর মাঝারি শুকনা ধান ৯০০ ও শুকনা ধান ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বীজতলা থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলার আগপর্যন্ত অনেক শ্রম ও টাকা খরচ করতে হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। এর থেকে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯০ টন ধান উৎপাদন হবে। আর এই ধান থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩০ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আমন ধানের শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকেরা।
বাজারে আমন ধানের দাম কম হলেও সরকারিভাবে ভালো দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে প্রতি কেজি আমন ধান ৩৪ টাকা মূল্যে ৭৯০ টন, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি মূল্যে ২ হাজার ৬৭৭ টন ও আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি মূল্যে ৫ হাজার ৬৪৬ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও সদর উপজেলার আমনখেত ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা পাকা আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত। অনেক এলাকায় দ্রুত সময়ে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ একসঙ্গে সেরে নিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে সময়, খরচ ও কষ্ট কম করতে হচ্ছে। আবার কেউ কাজের লোক এনে ধান কেটে ফসলের মাঠেই মাড়াই করে সেদ্ধ দিচ্ছেন। অনেক কৃষক মাঠের মধ্যে রাত জেগে ধান সেদ্ধ করছেন। তবে সবকিছু ঠিক থাকলেও ধানের দাম কম থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন কৃষকেরা।
কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়ন কৃষক আনোয়ার খান বলেন, ‘গত বছর আমাদের ধান একেবারেই হয়নি। এ বছর অনেক ভালো ধান হয়েছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। তবে বাজারে ধানের দাম অনেক কম। প্রতি মণ ধান মাত্র ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় ধানের দাম বাড়েনি।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মিলন কান্তি চাকমা বলেন, ‘আমাদের ধান-চাল সংগ্রহের কার্যক্রম ২০ নভেম্বর শুরু হয়েছে; চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকারিভাবে ধানের দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ১ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। একটা সময় আমরা ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারতাম না; তবে এখন ধান-চালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়। আশা করি, চলতি মৌসুমে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘জেলায় এ বছর খুব ভালো আমন ধান হয়েছে। কৃষকেরা অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে ধান ঘরে তুলছেন। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও দিনের বেলা কুয়াশা না থাকায় সহজে কৃষকেরা ধান কাটা, মাড়াই ও সেদ্ধ করতে পারছেন।’

বাংলাদেশের পোড়ামাটি স্থাপত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নিদর্শন কান্তজিউ মন্দির। দিনাজপুর জেলা সদর হতে ২০ কিলোমিটার উত্তরে কাহারোল উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নে দিনাজপুর-পঞ্চগড় মহাসড়কের পশ্চিমে ঢেপা নদীর তীরে কান্তনগর এলাকায় কান্তজিউ মন্দিরের অবস্থান
০১ আগস্ট ২০২১
ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৩৯ মিনিট আগে
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
২ ঘণ্টা আগে