আজাদুল আদনান, ঢাকা

পনেরো বছর আগে পায়ের ব্যথা নিয়ে স্থানীয় চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন মনোয়ারা বেগম ময়না (৪৫)। পারিবারিক কলহে বিয়ের পর থেকেই দুশ্চিন্তায় কেটেছে বহু বছর। ছোটবেলা থেকেই ভাতের প্রতি খুব আসক্তি ছিল। ফলে ওজন বেড়েছে নিয়মিত। একপর্যায়ে গলায়ও টনসিল দেখা দেয়। চিকিৎসক জানিয়েছেন, তাঁর কিডনি, ফুসফুস ও লিভার নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে উচ্চ ডায়াবেটিস নিয়ে বেসরকারি হাসপাতাল বারডেমে ছুটে এসেছেন বিক্রমপুরের এই নারী।
ময়নার মতো অনেকেই ডায়াবেটিসে ভুগছেন। কেউ জানেন, কেউ জানেন না আবার কেউ জেনেও মানেন না। চিকিৎসকেরা বলছেন, সরকারি যেসব হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগে যতটুকু চিকিৎসা দেওয়া হতো, করোনার কারণে তা-ও দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। তবে টিকাদানের পর আবার সেবা চালু হয়েছে। রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় আগের তুলনায় চাপ বেড়েছে কয়েক গুণ।
বারডেম হাসপাতালের হরমোন ও ডায়াবেটিস বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. ফারুক পাঠান বলেন, ‘সামনের দিনগুলোয় মহামারি রূপ নিতে পারে ডায়াবেটিস। এ জন্য চিকিৎসাকেন্দ্র বাড়ানোর পাশাপাশি চিকিৎসক তৈরি করা জরুরি। একই সঙ্গে চিকিৎসাসেবা সহজবোধ্য করার পাশাপাশি সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে। ডায়াবেটিস নিয়ে সরকারের নিজস্ব পরিকল্পনা ও ভাবনা থাকা দরকার। ডায়াবেটিস রোগীদের আলাদা চিকিৎসার ব্যবস্থা করা দরকার, পাশাপাশি জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে হবে।
জানা গেছে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল, রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতাল ও সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ছাড়া আর কোনো হাসপাতালে ডায়াবেটিস রোগীর জন্য কোনো শয্যা নেই।
দেশে ডায়াবেটিস রোগীর সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা ও দুই বছর আগে ডায়াবেটিক সমিতির চালানো এক পরিসংখ্যান বলছে, বাংলাদেশে ৭-৮ শতাংশ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, ২০৪৫ সালে বাংলাদেশে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৪৫ লাখে পৌঁছাবে। এই অবস্থার মধ্যে আজ সারা দেশে পালিত হবে ডায়াবেটিস সেবা দিবস। এ উপলক্ষে অনেক আলোচনা হয়তো হবে; কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সচেতনতা না বাড়লে এর প্রকোপ ঠেকানো কঠিন। তাঁদের মতে, অসচেতনতা ও অস্বাভাবিক জীবনযাপনের কারণে বাংলাদেশে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অন্য যেকোনো হিসাবের চেয়ে অনেক বেশি। এটি এখন জাতীয় সমস্যায় রূপ নিয়েছে। এর প্রভাব ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে জাতীয় অর্থনীতিতে পড়ছে। শুধু তাই নয়; কিডনি, লিভার ও অন্যান্য সমস্যা দেখা দিচ্ছে। কমছে আয়ু। একজন ব্যক্তি স্বাভাবিকভাবে ৭০ বছর বাঁচলেও ডায়াবেটিস তা অন্তত ১০ বছর কমিয়ে আনছে।
মহামারি রূপ নিতে পারে ডায়াবেটিস। এ জন্য চিকিৎসাকেন্দ্র বাড়ানোর পাশাপাশি চিকিৎসক তৈরি করা জরুরি।
অধ্যাপক ডা. ফারুক পাঠান
বারডেম হাসপাতালের হরমোন ও ডায়াবেটিস বিভাগের প্রধান
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাহজাদা সেলিম বলেন, ‘দেশে কী পরিমাণ মানুষ ডায়াবেটিসে ভুগছেন, তার সঠিক তথ্য আমাদের কাছে নেই। এর মূলে কোনো ইনস্টিটিউট না থাকা। বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যতজনের ডায়াবেটিস ধরা পড়ে, তার মাত্র অর্ধেক রোগী চিকিৎসার আওতায় আসছেন। এর থেকে স্পষ্ট হয়, একটি ইনস্টিটিউট কতটা দরকার।’
সারা দেশে বেসরকারিভাবে ৭০টি সেন্টার ও ১৫টি সাব-সেন্টারসহ মোট এক শর মতো সেবাকেন্দ্র চালু রয়েছে। এ ছাড়া সরকারি হাসপাতালগুলোয় ডায়াবেটিস বিভাগ রয়েছে, যদিও তা জেলা সদর হাসপাতালগুলোয় এখনো তেমনটা গড়ে ওঠেনি।
অন্যদিকে সরকারি ও বেসরকারিভাবে প্রতিবছর অন্তত ২০ জন ডায়াবেটিস ও হরমোন বিশেষজ্ঞ বের হচ্ছেন। তবে চাহিদার তুলনায় তা অপ্রতুল। ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ডায়াবেটিস ও হরমোন বিশেষজ্ঞ ডা. ইন্দ্রজিৎ প্রসাদ বলেন, করোনার কারণে দীর্ঘদিন এই সেবা দেওয়া সম্ভব হয়নি। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়ায় আবারও সেবা চালু করা হয়েছে। ফলে রোগীদের চাপও অনেক বেশি। তিনি বলেন, আলাদাভাবে ইনস্টিটিউট না থাকলেও চিকিৎসাসেবা থেমে নেই। ডায়াবেটিস চিকিৎসায় মেডিকেল কলেজ, জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ইউনিয়ন সাব-সেন্টার রয়েছে। পাশাপাশি ঢামেক, সলিমুল্লাহ, রাজশাহী, সিলেট, রংপুর, ময়মনসিংহ, চমেক ও বরিশালের শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগে পুরোপুরি ডায়াবেটিসের চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এখন পর্যন্ত কোনো ইনস্টিটিউট গড়ে না ওঠার পেছনে অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এ কে আজাদ খান বলেন, ‘আমাদের সরকারি হাসপাতালগুলোর চিকিৎসাব্যবস্থা সম্পর্কে আমরা জানি। তাই এই মুহূর্তে আলাদা প্রতিষ্ঠান না করে সমিতিতে অর্থায়নের পরিমাণ বৃদ্ধি করে এ সংকট থেকে কাটিয়ে ওঠা যেতে পারে। আর যদি সঠিক ব্যবস্থাপনা সেভাবে করা সম্ভব হয়, তাহলে অন্যান্য রোগের ন্যায় ডায়াবেটিক ইনস্টিটিউটও হওয়া উচিত।’
আরও পড়ুন:

পনেরো বছর আগে পায়ের ব্যথা নিয়ে স্থানীয় চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন মনোয়ারা বেগম ময়না (৪৫)। পারিবারিক কলহে বিয়ের পর থেকেই দুশ্চিন্তায় কেটেছে বহু বছর। ছোটবেলা থেকেই ভাতের প্রতি খুব আসক্তি ছিল। ফলে ওজন বেড়েছে নিয়মিত। একপর্যায়ে গলায়ও টনসিল দেখা দেয়। চিকিৎসক জানিয়েছেন, তাঁর কিডনি, ফুসফুস ও লিভার নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে উচ্চ ডায়াবেটিস নিয়ে বেসরকারি হাসপাতাল বারডেমে ছুটে এসেছেন বিক্রমপুরের এই নারী।
ময়নার মতো অনেকেই ডায়াবেটিসে ভুগছেন। কেউ জানেন, কেউ জানেন না আবার কেউ জেনেও মানেন না। চিকিৎসকেরা বলছেন, সরকারি যেসব হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগে যতটুকু চিকিৎসা দেওয়া হতো, করোনার কারণে তা-ও দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। তবে টিকাদানের পর আবার সেবা চালু হয়েছে। রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় আগের তুলনায় চাপ বেড়েছে কয়েক গুণ।
বারডেম হাসপাতালের হরমোন ও ডায়াবেটিস বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. ফারুক পাঠান বলেন, ‘সামনের দিনগুলোয় মহামারি রূপ নিতে পারে ডায়াবেটিস। এ জন্য চিকিৎসাকেন্দ্র বাড়ানোর পাশাপাশি চিকিৎসক তৈরি করা জরুরি। একই সঙ্গে চিকিৎসাসেবা সহজবোধ্য করার পাশাপাশি সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে। ডায়াবেটিস নিয়ে সরকারের নিজস্ব পরিকল্পনা ও ভাবনা থাকা দরকার। ডায়াবেটিস রোগীদের আলাদা চিকিৎসার ব্যবস্থা করা দরকার, পাশাপাশি জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে হবে।
জানা গেছে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল, রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতাল ও সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ছাড়া আর কোনো হাসপাতালে ডায়াবেটিস রোগীর জন্য কোনো শয্যা নেই।
দেশে ডায়াবেটিস রোগীর সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা ও দুই বছর আগে ডায়াবেটিক সমিতির চালানো এক পরিসংখ্যান বলছে, বাংলাদেশে ৭-৮ শতাংশ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, ২০৪৫ সালে বাংলাদেশে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৪৫ লাখে পৌঁছাবে। এই অবস্থার মধ্যে আজ সারা দেশে পালিত হবে ডায়াবেটিস সেবা দিবস। এ উপলক্ষে অনেক আলোচনা হয়তো হবে; কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সচেতনতা না বাড়লে এর প্রকোপ ঠেকানো কঠিন। তাঁদের মতে, অসচেতনতা ও অস্বাভাবিক জীবনযাপনের কারণে বাংলাদেশে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অন্য যেকোনো হিসাবের চেয়ে অনেক বেশি। এটি এখন জাতীয় সমস্যায় রূপ নিয়েছে। এর প্রভাব ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে জাতীয় অর্থনীতিতে পড়ছে। শুধু তাই নয়; কিডনি, লিভার ও অন্যান্য সমস্যা দেখা দিচ্ছে। কমছে আয়ু। একজন ব্যক্তি স্বাভাবিকভাবে ৭০ বছর বাঁচলেও ডায়াবেটিস তা অন্তত ১০ বছর কমিয়ে আনছে।
মহামারি রূপ নিতে পারে ডায়াবেটিস। এ জন্য চিকিৎসাকেন্দ্র বাড়ানোর পাশাপাশি চিকিৎসক তৈরি করা জরুরি।
অধ্যাপক ডা. ফারুক পাঠান
বারডেম হাসপাতালের হরমোন ও ডায়াবেটিস বিভাগের প্রধান
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাহজাদা সেলিম বলেন, ‘দেশে কী পরিমাণ মানুষ ডায়াবেটিসে ভুগছেন, তার সঠিক তথ্য আমাদের কাছে নেই। এর মূলে কোনো ইনস্টিটিউট না থাকা। বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যতজনের ডায়াবেটিস ধরা পড়ে, তার মাত্র অর্ধেক রোগী চিকিৎসার আওতায় আসছেন। এর থেকে স্পষ্ট হয়, একটি ইনস্টিটিউট কতটা দরকার।’
সারা দেশে বেসরকারিভাবে ৭০টি সেন্টার ও ১৫টি সাব-সেন্টারসহ মোট এক শর মতো সেবাকেন্দ্র চালু রয়েছে। এ ছাড়া সরকারি হাসপাতালগুলোয় ডায়াবেটিস বিভাগ রয়েছে, যদিও তা জেলা সদর হাসপাতালগুলোয় এখনো তেমনটা গড়ে ওঠেনি।
অন্যদিকে সরকারি ও বেসরকারিভাবে প্রতিবছর অন্তত ২০ জন ডায়াবেটিস ও হরমোন বিশেষজ্ঞ বের হচ্ছেন। তবে চাহিদার তুলনায় তা অপ্রতুল। ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ডায়াবেটিস ও হরমোন বিশেষজ্ঞ ডা. ইন্দ্রজিৎ প্রসাদ বলেন, করোনার কারণে দীর্ঘদিন এই সেবা দেওয়া সম্ভব হয়নি। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়ায় আবারও সেবা চালু করা হয়েছে। ফলে রোগীদের চাপও অনেক বেশি। তিনি বলেন, আলাদাভাবে ইনস্টিটিউট না থাকলেও চিকিৎসাসেবা থেমে নেই। ডায়াবেটিস চিকিৎসায় মেডিকেল কলেজ, জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ইউনিয়ন সাব-সেন্টার রয়েছে। পাশাপাশি ঢামেক, সলিমুল্লাহ, রাজশাহী, সিলেট, রংপুর, ময়মনসিংহ, চমেক ও বরিশালের শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগে পুরোপুরি ডায়াবেটিসের চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এখন পর্যন্ত কোনো ইনস্টিটিউট গড়ে না ওঠার পেছনে অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এ কে আজাদ খান বলেন, ‘আমাদের সরকারি হাসপাতালগুলোর চিকিৎসাব্যবস্থা সম্পর্কে আমরা জানি। তাই এই মুহূর্তে আলাদা প্রতিষ্ঠান না করে সমিতিতে অর্থায়নের পরিমাণ বৃদ্ধি করে এ সংকট থেকে কাটিয়ে ওঠা যেতে পারে। আর যদি সঠিক ব্যবস্থাপনা সেভাবে করা সম্ভব হয়, তাহলে অন্যান্য রোগের ন্যায় ডায়াবেটিক ইনস্টিটিউটও হওয়া উচিত।’
আরও পড়ুন:
আজাদুল আদনান, ঢাকা

পনেরো বছর আগে পায়ের ব্যথা নিয়ে স্থানীয় চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন মনোয়ারা বেগম ময়না (৪৫)। পারিবারিক কলহে বিয়ের পর থেকেই দুশ্চিন্তায় কেটেছে বহু বছর। ছোটবেলা থেকেই ভাতের প্রতি খুব আসক্তি ছিল। ফলে ওজন বেড়েছে নিয়মিত। একপর্যায়ে গলায়ও টনসিল দেখা দেয়। চিকিৎসক জানিয়েছেন, তাঁর কিডনি, ফুসফুস ও লিভার নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে উচ্চ ডায়াবেটিস নিয়ে বেসরকারি হাসপাতাল বারডেমে ছুটে এসেছেন বিক্রমপুরের এই নারী।
ময়নার মতো অনেকেই ডায়াবেটিসে ভুগছেন। কেউ জানেন, কেউ জানেন না আবার কেউ জেনেও মানেন না। চিকিৎসকেরা বলছেন, সরকারি যেসব হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগে যতটুকু চিকিৎসা দেওয়া হতো, করোনার কারণে তা-ও দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। তবে টিকাদানের পর আবার সেবা চালু হয়েছে। রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় আগের তুলনায় চাপ বেড়েছে কয়েক গুণ।
বারডেম হাসপাতালের হরমোন ও ডায়াবেটিস বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. ফারুক পাঠান বলেন, ‘সামনের দিনগুলোয় মহামারি রূপ নিতে পারে ডায়াবেটিস। এ জন্য চিকিৎসাকেন্দ্র বাড়ানোর পাশাপাশি চিকিৎসক তৈরি করা জরুরি। একই সঙ্গে চিকিৎসাসেবা সহজবোধ্য করার পাশাপাশি সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে। ডায়াবেটিস নিয়ে সরকারের নিজস্ব পরিকল্পনা ও ভাবনা থাকা দরকার। ডায়াবেটিস রোগীদের আলাদা চিকিৎসার ব্যবস্থা করা দরকার, পাশাপাশি জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে হবে।
জানা গেছে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল, রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতাল ও সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ছাড়া আর কোনো হাসপাতালে ডায়াবেটিস রোগীর জন্য কোনো শয্যা নেই।
দেশে ডায়াবেটিস রোগীর সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা ও দুই বছর আগে ডায়াবেটিক সমিতির চালানো এক পরিসংখ্যান বলছে, বাংলাদেশে ৭-৮ শতাংশ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, ২০৪৫ সালে বাংলাদেশে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৪৫ লাখে পৌঁছাবে। এই অবস্থার মধ্যে আজ সারা দেশে পালিত হবে ডায়াবেটিস সেবা দিবস। এ উপলক্ষে অনেক আলোচনা হয়তো হবে; কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সচেতনতা না বাড়লে এর প্রকোপ ঠেকানো কঠিন। তাঁদের মতে, অসচেতনতা ও অস্বাভাবিক জীবনযাপনের কারণে বাংলাদেশে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অন্য যেকোনো হিসাবের চেয়ে অনেক বেশি। এটি এখন জাতীয় সমস্যায় রূপ নিয়েছে। এর প্রভাব ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে জাতীয় অর্থনীতিতে পড়ছে। শুধু তাই নয়; কিডনি, লিভার ও অন্যান্য সমস্যা দেখা দিচ্ছে। কমছে আয়ু। একজন ব্যক্তি স্বাভাবিকভাবে ৭০ বছর বাঁচলেও ডায়াবেটিস তা অন্তত ১০ বছর কমিয়ে আনছে।
মহামারি রূপ নিতে পারে ডায়াবেটিস। এ জন্য চিকিৎসাকেন্দ্র বাড়ানোর পাশাপাশি চিকিৎসক তৈরি করা জরুরি।
অধ্যাপক ডা. ফারুক পাঠান
বারডেম হাসপাতালের হরমোন ও ডায়াবেটিস বিভাগের প্রধান
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাহজাদা সেলিম বলেন, ‘দেশে কী পরিমাণ মানুষ ডায়াবেটিসে ভুগছেন, তার সঠিক তথ্য আমাদের কাছে নেই। এর মূলে কোনো ইনস্টিটিউট না থাকা। বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যতজনের ডায়াবেটিস ধরা পড়ে, তার মাত্র অর্ধেক রোগী চিকিৎসার আওতায় আসছেন। এর থেকে স্পষ্ট হয়, একটি ইনস্টিটিউট কতটা দরকার।’
সারা দেশে বেসরকারিভাবে ৭০টি সেন্টার ও ১৫টি সাব-সেন্টারসহ মোট এক শর মতো সেবাকেন্দ্র চালু রয়েছে। এ ছাড়া সরকারি হাসপাতালগুলোয় ডায়াবেটিস বিভাগ রয়েছে, যদিও তা জেলা সদর হাসপাতালগুলোয় এখনো তেমনটা গড়ে ওঠেনি।
অন্যদিকে সরকারি ও বেসরকারিভাবে প্রতিবছর অন্তত ২০ জন ডায়াবেটিস ও হরমোন বিশেষজ্ঞ বের হচ্ছেন। তবে চাহিদার তুলনায় তা অপ্রতুল। ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ডায়াবেটিস ও হরমোন বিশেষজ্ঞ ডা. ইন্দ্রজিৎ প্রসাদ বলেন, করোনার কারণে দীর্ঘদিন এই সেবা দেওয়া সম্ভব হয়নি। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়ায় আবারও সেবা চালু করা হয়েছে। ফলে রোগীদের চাপও অনেক বেশি। তিনি বলেন, আলাদাভাবে ইনস্টিটিউট না থাকলেও চিকিৎসাসেবা থেমে নেই। ডায়াবেটিস চিকিৎসায় মেডিকেল কলেজ, জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ইউনিয়ন সাব-সেন্টার রয়েছে। পাশাপাশি ঢামেক, সলিমুল্লাহ, রাজশাহী, সিলেট, রংপুর, ময়মনসিংহ, চমেক ও বরিশালের শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগে পুরোপুরি ডায়াবেটিসের চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এখন পর্যন্ত কোনো ইনস্টিটিউট গড়ে না ওঠার পেছনে অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এ কে আজাদ খান বলেন, ‘আমাদের সরকারি হাসপাতালগুলোর চিকিৎসাব্যবস্থা সম্পর্কে আমরা জানি। তাই এই মুহূর্তে আলাদা প্রতিষ্ঠান না করে সমিতিতে অর্থায়নের পরিমাণ বৃদ্ধি করে এ সংকট থেকে কাটিয়ে ওঠা যেতে পারে। আর যদি সঠিক ব্যবস্থাপনা সেভাবে করা সম্ভব হয়, তাহলে অন্যান্য রোগের ন্যায় ডায়াবেটিক ইনস্টিটিউটও হওয়া উচিত।’
আরও পড়ুন:

পনেরো বছর আগে পায়ের ব্যথা নিয়ে স্থানীয় চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন মনোয়ারা বেগম ময়না (৪৫)। পারিবারিক কলহে বিয়ের পর থেকেই দুশ্চিন্তায় কেটেছে বহু বছর। ছোটবেলা থেকেই ভাতের প্রতি খুব আসক্তি ছিল। ফলে ওজন বেড়েছে নিয়মিত। একপর্যায়ে গলায়ও টনসিল দেখা দেয়। চিকিৎসক জানিয়েছেন, তাঁর কিডনি, ফুসফুস ও লিভার নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে উচ্চ ডায়াবেটিস নিয়ে বেসরকারি হাসপাতাল বারডেমে ছুটে এসেছেন বিক্রমপুরের এই নারী।
ময়নার মতো অনেকেই ডায়াবেটিসে ভুগছেন। কেউ জানেন, কেউ জানেন না আবার কেউ জেনেও মানেন না। চিকিৎসকেরা বলছেন, সরকারি যেসব হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগে যতটুকু চিকিৎসা দেওয়া হতো, করোনার কারণে তা-ও দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। তবে টিকাদানের পর আবার সেবা চালু হয়েছে। রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় আগের তুলনায় চাপ বেড়েছে কয়েক গুণ।
বারডেম হাসপাতালের হরমোন ও ডায়াবেটিস বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. ফারুক পাঠান বলেন, ‘সামনের দিনগুলোয় মহামারি রূপ নিতে পারে ডায়াবেটিস। এ জন্য চিকিৎসাকেন্দ্র বাড়ানোর পাশাপাশি চিকিৎসক তৈরি করা জরুরি। একই সঙ্গে চিকিৎসাসেবা সহজবোধ্য করার পাশাপাশি সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে। ডায়াবেটিস নিয়ে সরকারের নিজস্ব পরিকল্পনা ও ভাবনা থাকা দরকার। ডায়াবেটিস রোগীদের আলাদা চিকিৎসার ব্যবস্থা করা দরকার, পাশাপাশি জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে হবে।
জানা গেছে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল, রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতাল ও সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ছাড়া আর কোনো হাসপাতালে ডায়াবেটিস রোগীর জন্য কোনো শয্যা নেই।
দেশে ডায়াবেটিস রোগীর সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা ও দুই বছর আগে ডায়াবেটিক সমিতির চালানো এক পরিসংখ্যান বলছে, বাংলাদেশে ৭-৮ শতাংশ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, ২০৪৫ সালে বাংলাদেশে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৪৫ লাখে পৌঁছাবে। এই অবস্থার মধ্যে আজ সারা দেশে পালিত হবে ডায়াবেটিস সেবা দিবস। এ উপলক্ষে অনেক আলোচনা হয়তো হবে; কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সচেতনতা না বাড়লে এর প্রকোপ ঠেকানো কঠিন। তাঁদের মতে, অসচেতনতা ও অস্বাভাবিক জীবনযাপনের কারণে বাংলাদেশে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অন্য যেকোনো হিসাবের চেয়ে অনেক বেশি। এটি এখন জাতীয় সমস্যায় রূপ নিয়েছে। এর প্রভাব ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে জাতীয় অর্থনীতিতে পড়ছে। শুধু তাই নয়; কিডনি, লিভার ও অন্যান্য সমস্যা দেখা দিচ্ছে। কমছে আয়ু। একজন ব্যক্তি স্বাভাবিকভাবে ৭০ বছর বাঁচলেও ডায়াবেটিস তা অন্তত ১০ বছর কমিয়ে আনছে।
মহামারি রূপ নিতে পারে ডায়াবেটিস। এ জন্য চিকিৎসাকেন্দ্র বাড়ানোর পাশাপাশি চিকিৎসক তৈরি করা জরুরি।
অধ্যাপক ডা. ফারুক পাঠান
বারডেম হাসপাতালের হরমোন ও ডায়াবেটিস বিভাগের প্রধান
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাহজাদা সেলিম বলেন, ‘দেশে কী পরিমাণ মানুষ ডায়াবেটিসে ভুগছেন, তার সঠিক তথ্য আমাদের কাছে নেই। এর মূলে কোনো ইনস্টিটিউট না থাকা। বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যতজনের ডায়াবেটিস ধরা পড়ে, তার মাত্র অর্ধেক রোগী চিকিৎসার আওতায় আসছেন। এর থেকে স্পষ্ট হয়, একটি ইনস্টিটিউট কতটা দরকার।’
সারা দেশে বেসরকারিভাবে ৭০টি সেন্টার ও ১৫টি সাব-সেন্টারসহ মোট এক শর মতো সেবাকেন্দ্র চালু রয়েছে। এ ছাড়া সরকারি হাসপাতালগুলোয় ডায়াবেটিস বিভাগ রয়েছে, যদিও তা জেলা সদর হাসপাতালগুলোয় এখনো তেমনটা গড়ে ওঠেনি।
অন্যদিকে সরকারি ও বেসরকারিভাবে প্রতিবছর অন্তত ২০ জন ডায়াবেটিস ও হরমোন বিশেষজ্ঞ বের হচ্ছেন। তবে চাহিদার তুলনায় তা অপ্রতুল। ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ডায়াবেটিস ও হরমোন বিশেষজ্ঞ ডা. ইন্দ্রজিৎ প্রসাদ বলেন, করোনার কারণে দীর্ঘদিন এই সেবা দেওয়া সম্ভব হয়নি। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়ায় আবারও সেবা চালু করা হয়েছে। ফলে রোগীদের চাপও অনেক বেশি। তিনি বলেন, আলাদাভাবে ইনস্টিটিউট না থাকলেও চিকিৎসাসেবা থেমে নেই। ডায়াবেটিস চিকিৎসায় মেডিকেল কলেজ, জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ইউনিয়ন সাব-সেন্টার রয়েছে। পাশাপাশি ঢামেক, সলিমুল্লাহ, রাজশাহী, সিলেট, রংপুর, ময়মনসিংহ, চমেক ও বরিশালের শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগে পুরোপুরি ডায়াবেটিসের চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এখন পর্যন্ত কোনো ইনস্টিটিউট গড়ে না ওঠার পেছনে অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এ কে আজাদ খান বলেন, ‘আমাদের সরকারি হাসপাতালগুলোর চিকিৎসাব্যবস্থা সম্পর্কে আমরা জানি। তাই এই মুহূর্তে আলাদা প্রতিষ্ঠান না করে সমিতিতে অর্থায়নের পরিমাণ বৃদ্ধি করে এ সংকট থেকে কাটিয়ে ওঠা যেতে পারে। আর যদি সঠিক ব্যবস্থাপনা সেভাবে করা সম্ভব হয়, তাহলে অন্যান্য রোগের ন্যায় ডায়াবেটিক ইনস্টিটিউটও হওয়া উচিত।’
আরও পড়ুন:

বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে (এটিএ) গ্রেপ্তার হওয়া সাংবাদিক আনিস আলমগীরের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি জানায়, গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
গুমের পর শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই অভিযোগ আমলে নিয়ে ২১ ডিসেম্বর জিয়াউল আহসানকে
২ ঘণ্টা আগে
বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। আজ বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে এ তথ্য জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে (এটিএ) গ্রেপ্তার হওয়া সাংবাদিক আনিস আলমগীরের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি জানায়, গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে, তিনি ও আরও চারজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং অন্যান্য মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে আওয়ামী লীগের পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছেন। এই অভিযোগের পর ঢাকার একটি মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাঁকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠান।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের গবেষক রিহ্যাব মাহামুর বলেন, আনিস আলমগীরের গ্রেপ্তার একটি উদ্বেগজনক ধারাবাহিকতার অংশ, যেখানে নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে সমর্থন রয়েছে—এমন ধারণার ভিত্তিতে ব্যক্তিদের লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দমন করতে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অপব্যবহার না করে অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত এসব অধিকার নিশ্চিত করা, বিশেষ করে নির্বাচনের প্রাক্কালে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আন্তর্জাতিক নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সনদের (আইসিসিপিআর) অধীনে নিজেদের দায়বদ্ধতার সম্মান জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে অবিলম্বে আনিস আলমগীরকে মুক্তি দিতে হবে।
আদালতে শুনানির সময় আনিস আলমগীর বলেন, ‘আমি একজন সাংবাদিক। আমি ক্ষমতাসীনদের প্রশ্ন করি। গত দুই দশক ধরে আমি এই কাজই করছি। কারও কাছে মাথা নত করা আমার কাজ নয়।’
উল্লেখ্য, চলতি বছরের মে মাসে অন্তর্বর্তী সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইন সংশোধন করে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে। সংশোধনের পর থেকে দলটির প্রতি সমর্থনের অভিযোগে একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই আইন প্রয়োগ করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম পান্নাও রয়েছেন।
অ্যামনেস্টির বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এ প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকারকে এমন পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে, যেখানে রাজনৈতিক মতাদর্শ-নির্বিশেষে সবার মানবাধিকার সুরক্ষিত ও বিকশিত হয়। একটি মানবাধিকারসম্মত সমাজের জন্য অপরিহার্য স্বাধীনতাগুলো খর্ব করতে দমনমূলক আইনপ্রয়োগ বন্ধ করতে হবে।

বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে (এটিএ) গ্রেপ্তার হওয়া সাংবাদিক আনিস আলমগীরের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি জানায়, গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে, তিনি ও আরও চারজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং অন্যান্য মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে আওয়ামী লীগের পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছেন। এই অভিযোগের পর ঢাকার একটি মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাঁকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠান।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের গবেষক রিহ্যাব মাহামুর বলেন, আনিস আলমগীরের গ্রেপ্তার একটি উদ্বেগজনক ধারাবাহিকতার অংশ, যেখানে নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে সমর্থন রয়েছে—এমন ধারণার ভিত্তিতে ব্যক্তিদের লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দমন করতে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অপব্যবহার না করে অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত এসব অধিকার নিশ্চিত করা, বিশেষ করে নির্বাচনের প্রাক্কালে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আন্তর্জাতিক নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সনদের (আইসিসিপিআর) অধীনে নিজেদের দায়বদ্ধতার সম্মান জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে অবিলম্বে আনিস আলমগীরকে মুক্তি দিতে হবে।
আদালতে শুনানির সময় আনিস আলমগীর বলেন, ‘আমি একজন সাংবাদিক। আমি ক্ষমতাসীনদের প্রশ্ন করি। গত দুই দশক ধরে আমি এই কাজই করছি। কারও কাছে মাথা নত করা আমার কাজ নয়।’
উল্লেখ্য, চলতি বছরের মে মাসে অন্তর্বর্তী সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইন সংশোধন করে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে। সংশোধনের পর থেকে দলটির প্রতি সমর্থনের অভিযোগে একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই আইন প্রয়োগ করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম পান্নাও রয়েছেন।
অ্যামনেস্টির বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এ প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকারকে এমন পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে, যেখানে রাজনৈতিক মতাদর্শ-নির্বিশেষে সবার মানবাধিকার সুরক্ষিত ও বিকশিত হয়। একটি মানবাধিকারসম্মত সমাজের জন্য অপরিহার্য স্বাধীনতাগুলো খর্ব করতে দমনমূলক আইনপ্রয়োগ বন্ধ করতে হবে।

পনেরো বছর আগে পায়ের ব্যথা নিয়ে স্থানীয় চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন মনোয়ারা বেগম ময়না (৪৫)। পারিবারিক কলহে বিয়ের পর থেকেই দুশ্চিন্তায় কেটেছে বহু বছর। ছোটবেলা থেকেই ভাতের প্রতি খুব আসক্তি ছিল। ফলে ওজন বেড়েছে নিয়মিত।
০৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
গুমের পর শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই অভিযোগ আমলে নিয়ে ২১ ডিসেম্বর জিয়াউল আহসানকে
২ ঘণ্টা আগে
বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। আজ বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে এ তথ্য জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গুমের পর শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই অভিযোগ আমলে নিয়ে ২১ ডিসেম্বর জিয়াউল আহসানকে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে সকালে এই মামলায় ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। মামলায় জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ এনেছে প্রসিকিউশন।
অভিযোগের বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, গুম-খুনের কালচার শেখ হাসিনার আমলে শুরু হয়েছিল। সেটা সরাসরি শেখ হাসিনার নির্দেশে হতো। পরে নির্দেশ আসত তাঁর নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকের মাধ্যমে। এসব কিছুর বাস্তবায়নের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন জিয়াউল আহসান। বাংলাদেশে এ রকম বীভৎস, নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালানোর ব্যাপারে তাঁর যে স্পর্ধা, সে জন্য তাঁকে একক আসামি হিসেবে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
অভিযোগ-১: ২০১১ সালের ১১ জুলাই রাতে গাজীপুরের পুবাইলের ঢাকা বাইপাস সড়কের পাশে জিয়াউল আহসানের পরিকল্পনায় ও প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে সজল ও অজ্ঞাতনামা তিনজনকে গুলি করে হত্যা।
অভিযোগ-২: ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বরগুনার পাথরঘাটা থানার চরদুয়ানীর নিকটবর্তী বলেশ্বর নদের মোহনায় নজরুল ইসলাম মল্লিক, আলকাছ মল্লিকসহ কমপক্ষে ৫০ জনকে গুলি করে হত্যা ও লাশ গুম।
অভিযোগ-৩: ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বরগুনার বলেশ্বর নদ ও বাগেরহাটের শরণখোলার সুন্দরবনের বিভিন্ন অঞ্চলে তথাকথিত বনদস্যু দমনের নামে মাসুদসহ ৫০ জনকে গুলি করে হত্যা।
ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা অভিযোগে বলা হয়, ২০০৯ সালে মেজর থাকাকালে র্যাবে পোস্টিং হওয়ার পর থেকে জিয়াউল আহসান বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন। ফলে ২০২৪ সালে মেজর জেনারেল হিসেবে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর আগপর্যন্ত কখনোই তাঁকে সেনাবাহিনীতে ফেরত যেতে হয়নি। ২০০৯ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত জিয়াউল আহসান র্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক ও এডিজি (অপস) হিসেবে কর্মরত থাকাকালে অসংখ্য গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। অগণিত হত্যাকাণ্ড, গুমসহ অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধ তাঁর সরাসরি নির্দেশে বিশ্বস্ত র্যাব সদস্যরা ঘটাতেন।
হত্যাকাণ্ডের অন্যতম হটস্পট ছিল বরগুনার পাথরঘাটার চরদুয়ানী ইউনিয়নের চরদুয়ানী খাল বেয়ে অগ্রসর হয়ে বলেশ্বর নদের বিভিন্ন পয়েন্ট ও মোহনা। প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ অনুযায়ী, সড়কপথে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া হয়ে বরগুনার চরদুয়ানীতে রাত ১১টা কিংবা তারও পরে কালো কাচের মাইক্রোবাস, জিপ, ডাবল কেবিন পিকআপসহ বিভিন্ন গাড়িবহরে র্যাব সদস্যরা সাদা পোশাকে আসতেন। তাঁদের সঙ্গে দু-একজন করে বন্দী থাকতেন, কখনো বন্দীর সংখ্যা অনেক বেশিও হতো। বন্দীদের ট্রলারে উঠিয়ে মাঝ নদীতে নিয়ে শরীরের সঙ্গে (মাথা বা বুকে) বালিশ ঠেকিয়ে পিস্তল দিয়ে গুলি করে হত্যা করা হতো। এরপর পেট ছুরি দিয়ে ফেড়ে শরীরে (মাথা ও পায়ে) সিমেন্টের ব্লক বেঁধে পানিতে ডুবিয়ে দেওয়া হতো।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ঢাকার বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা এবং চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর মোহনা ও পতেঙ্গা উপকূলবর্তী বঙ্গোপসাগরেও এ ধরনের অপারেশন পরিচালিত হয়েছে। এ ধরনের অপারেশনের অনেকগুলোয় জিয়াউল আহসান সশরীরে অংশ নেন এবং অনেকগুলোয় তাঁর প্রত্যক্ষ নির্দেশনার আলোকে র্যাবের গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা অথবা তাঁর নিয়ন্ত্রণে থাকা অন্যান্য ব্যাটালিয়নের বাছাই করা সদস্যরা হত্যাকাণ্ড ঘটান।
অভিযোগে বলা হয়, গুম থাকা ব্যক্তিদের নিয়ে গভীর রাতে পাথরঘাটার চরদুয়ানী থেকে ট্রলারে করে বলেশ্বর নদ হয়ে সুন্দরবনের পূর্বনির্ধারিত নিজেদের সাজানো কথিত বনদস্যুদের আস্তানায় নিয়ে যাওয়া হতো। ভুক্তভোগীদের চোখ, হাত-পা বেঁধে নিয়ে গুলি করে হত্যার পর উপর্যুপরি গুলিবর্ষণের মাধ্যমে বন্দুকযুদ্ধের আবহ তৈরি করা হতো। অনেক ক্ষেত্রে এ ধরনের অভিযানের সাক্ষী হিসেবে নিয়ে যাওয়া হতো কিছু অনুগত সাংবাদিককে। তবে তাঁদের ঘটনাস্থলে না নিয়ে দৃষ্টিসীমার বাইরে ক্রসফায়ারের নামে ভুক্তভোগীদের হত্যা করা হতো। পরে তাঁদের ঘটনাস্থলে নিয়ে নিজেদের মনমতো ঘটনার বর্ণনা দিত। দস্যুনিধনের নামে অধিকাংশ ক্ষেত্রে আগে থেকে আটক রাখা নিরপরাধ বন্দীদের হত্যা করা হতো।
অধিকাংশ অভিযানে জিয়াউল আহসান নিজেই অংশ নিতেন। এ ছাড়া তদন্তে শীতলক্ষ্যা ও বুড়িগঙ্গা নদীতে ২০১০-১৩ সাল পর্যন্ত কমপক্ষে ২০০ জনকে হত্যা, ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার নামে কমপক্ষে ৬১ জনকে হত্যাসহ আরও অসংখ্য হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউল আহসানের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাচ্ছে। এ বিষয়ে পৃথক তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

গুমের পর শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই অভিযোগ আমলে নিয়ে ২১ ডিসেম্বর জিয়াউল আহসানকে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে সকালে এই মামলায় ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। মামলায় জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ এনেছে প্রসিকিউশন।
অভিযোগের বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, গুম-খুনের কালচার শেখ হাসিনার আমলে শুরু হয়েছিল। সেটা সরাসরি শেখ হাসিনার নির্দেশে হতো। পরে নির্দেশ আসত তাঁর নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকের মাধ্যমে। এসব কিছুর বাস্তবায়নের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন জিয়াউল আহসান। বাংলাদেশে এ রকম বীভৎস, নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালানোর ব্যাপারে তাঁর যে স্পর্ধা, সে জন্য তাঁকে একক আসামি হিসেবে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
অভিযোগ-১: ২০১১ সালের ১১ জুলাই রাতে গাজীপুরের পুবাইলের ঢাকা বাইপাস সড়কের পাশে জিয়াউল আহসানের পরিকল্পনায় ও প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে সজল ও অজ্ঞাতনামা তিনজনকে গুলি করে হত্যা।
অভিযোগ-২: ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বরগুনার পাথরঘাটা থানার চরদুয়ানীর নিকটবর্তী বলেশ্বর নদের মোহনায় নজরুল ইসলাম মল্লিক, আলকাছ মল্লিকসহ কমপক্ষে ৫০ জনকে গুলি করে হত্যা ও লাশ গুম।
অভিযোগ-৩: ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বরগুনার বলেশ্বর নদ ও বাগেরহাটের শরণখোলার সুন্দরবনের বিভিন্ন অঞ্চলে তথাকথিত বনদস্যু দমনের নামে মাসুদসহ ৫০ জনকে গুলি করে হত্যা।
ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা অভিযোগে বলা হয়, ২০০৯ সালে মেজর থাকাকালে র্যাবে পোস্টিং হওয়ার পর থেকে জিয়াউল আহসান বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন। ফলে ২০২৪ সালে মেজর জেনারেল হিসেবে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর আগপর্যন্ত কখনোই তাঁকে সেনাবাহিনীতে ফেরত যেতে হয়নি। ২০০৯ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত জিয়াউল আহসান র্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক ও এডিজি (অপস) হিসেবে কর্মরত থাকাকালে অসংখ্য গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। অগণিত হত্যাকাণ্ড, গুমসহ অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধ তাঁর সরাসরি নির্দেশে বিশ্বস্ত র্যাব সদস্যরা ঘটাতেন।
হত্যাকাণ্ডের অন্যতম হটস্পট ছিল বরগুনার পাথরঘাটার চরদুয়ানী ইউনিয়নের চরদুয়ানী খাল বেয়ে অগ্রসর হয়ে বলেশ্বর নদের বিভিন্ন পয়েন্ট ও মোহনা। প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ অনুযায়ী, সড়কপথে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া হয়ে বরগুনার চরদুয়ানীতে রাত ১১টা কিংবা তারও পরে কালো কাচের মাইক্রোবাস, জিপ, ডাবল কেবিন পিকআপসহ বিভিন্ন গাড়িবহরে র্যাব সদস্যরা সাদা পোশাকে আসতেন। তাঁদের সঙ্গে দু-একজন করে বন্দী থাকতেন, কখনো বন্দীর সংখ্যা অনেক বেশিও হতো। বন্দীদের ট্রলারে উঠিয়ে মাঝ নদীতে নিয়ে শরীরের সঙ্গে (মাথা বা বুকে) বালিশ ঠেকিয়ে পিস্তল দিয়ে গুলি করে হত্যা করা হতো। এরপর পেট ছুরি দিয়ে ফেড়ে শরীরে (মাথা ও পায়ে) সিমেন্টের ব্লক বেঁধে পানিতে ডুবিয়ে দেওয়া হতো।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ঢাকার বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা এবং চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর মোহনা ও পতেঙ্গা উপকূলবর্তী বঙ্গোপসাগরেও এ ধরনের অপারেশন পরিচালিত হয়েছে। এ ধরনের অপারেশনের অনেকগুলোয় জিয়াউল আহসান সশরীরে অংশ নেন এবং অনেকগুলোয় তাঁর প্রত্যক্ষ নির্দেশনার আলোকে র্যাবের গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা অথবা তাঁর নিয়ন্ত্রণে থাকা অন্যান্য ব্যাটালিয়নের বাছাই করা সদস্যরা হত্যাকাণ্ড ঘটান।
অভিযোগে বলা হয়, গুম থাকা ব্যক্তিদের নিয়ে গভীর রাতে পাথরঘাটার চরদুয়ানী থেকে ট্রলারে করে বলেশ্বর নদ হয়ে সুন্দরবনের পূর্বনির্ধারিত নিজেদের সাজানো কথিত বনদস্যুদের আস্তানায় নিয়ে যাওয়া হতো। ভুক্তভোগীদের চোখ, হাত-পা বেঁধে নিয়ে গুলি করে হত্যার পর উপর্যুপরি গুলিবর্ষণের মাধ্যমে বন্দুকযুদ্ধের আবহ তৈরি করা হতো। অনেক ক্ষেত্রে এ ধরনের অভিযানের সাক্ষী হিসেবে নিয়ে যাওয়া হতো কিছু অনুগত সাংবাদিককে। তবে তাঁদের ঘটনাস্থলে না নিয়ে দৃষ্টিসীমার বাইরে ক্রসফায়ারের নামে ভুক্তভোগীদের হত্যা করা হতো। পরে তাঁদের ঘটনাস্থলে নিয়ে নিজেদের মনমতো ঘটনার বর্ণনা দিত। দস্যুনিধনের নামে অধিকাংশ ক্ষেত্রে আগে থেকে আটক রাখা নিরপরাধ বন্দীদের হত্যা করা হতো।
অধিকাংশ অভিযানে জিয়াউল আহসান নিজেই অংশ নিতেন। এ ছাড়া তদন্তে শীতলক্ষ্যা ও বুড়িগঙ্গা নদীতে ২০১০-১৩ সাল পর্যন্ত কমপক্ষে ২০০ জনকে হত্যা, ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার নামে কমপক্ষে ৬১ জনকে হত্যাসহ আরও অসংখ্য হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউল আহসানের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাচ্ছে। এ বিষয়ে পৃথক তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

পনেরো বছর আগে পায়ের ব্যথা নিয়ে স্থানীয় চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন মনোয়ারা বেগম ময়না (৪৫)। পারিবারিক কলহে বিয়ের পর থেকেই দুশ্চিন্তায় কেটেছে বহু বছর। ছোটবেলা থেকেই ভাতের প্রতি খুব আসক্তি ছিল। ফলে ওজন বেড়েছে নিয়মিত।
০৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে (এটিএ) গ্রেপ্তার হওয়া সাংবাদিক আনিস আলমগীরের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি জানায়, গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। আজ বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে এ তথ্য জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। আজ বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে।
আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন চিফ প্রসিকিউটর।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, বিএনপির নেতা সাজিদুল ইসলাম সুমনসহ আটজনকে তুলে নেওয়ার কাজটি জিয়াউল আহসানের নির্দেশ ও তাঁর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে হয়েছে। ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে। ছাত্রশিবিরের নেতা গোলাম কিবরিয়া, হাফেজ জাকির, চৌধুরী আলম—এ রকম উল্লেখযোগ্য গুমের ঘটনার প্রতিটির পেছনের পরিকল্পনাকারী হচ্ছেন জিয়াউল আহসান।
চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমদকে তুলে নেওয়া এবং পরে ভারতে পাচার করে দেওয়ার পেছনেও জিয়াউল আহসান ছিলেন। বিচারের স্বার্থে এগুলোকে আলাদা করা হয়েছে, যাতে আরও সুষ্ঠুভাবে সাক্ষী উপস্থাপন করা যায়। তিনি বলেন, ‘আপাতত আমরা শতাধিক মানুষের হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে চার্জ দাখিল করেছি। বাকি আরও পাঁচ শতাধিক হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তথ্যপ্রমাণ আমাদের হাতে আছে। এগুলোকে আলাদাভাবে দাখিল করা হবে।’

বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। আজ বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে।
আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন চিফ প্রসিকিউটর।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, বিএনপির নেতা সাজিদুল ইসলাম সুমনসহ আটজনকে তুলে নেওয়ার কাজটি জিয়াউল আহসানের নির্দেশ ও তাঁর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে হয়েছে। ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে। ছাত্রশিবিরের নেতা গোলাম কিবরিয়া, হাফেজ জাকির, চৌধুরী আলম—এ রকম উল্লেখযোগ্য গুমের ঘটনার প্রতিটির পেছনের পরিকল্পনাকারী হচ্ছেন জিয়াউল আহসান।
চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমদকে তুলে নেওয়া এবং পরে ভারতে পাচার করে দেওয়ার পেছনেও জিয়াউল আহসান ছিলেন। বিচারের স্বার্থে এগুলোকে আলাদা করা হয়েছে, যাতে আরও সুষ্ঠুভাবে সাক্ষী উপস্থাপন করা যায়। তিনি বলেন, ‘আপাতত আমরা শতাধিক মানুষের হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে চার্জ দাখিল করেছি। বাকি আরও পাঁচ শতাধিক হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তথ্যপ্রমাণ আমাদের হাতে আছে। এগুলোকে আলাদাভাবে দাখিল করা হবে।’

পনেরো বছর আগে পায়ের ব্যথা নিয়ে স্থানীয় চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন মনোয়ারা বেগম ময়না (৪৫)। পারিবারিক কলহে বিয়ের পর থেকেই দুশ্চিন্তায় কেটেছে বহু বছর। ছোটবেলা থেকেই ভাতের প্রতি খুব আসক্তি ছিল। ফলে ওজন বেড়েছে নিয়মিত।
০৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে (এটিএ) গ্রেপ্তার হওয়া সাংবাদিক আনিস আলমগীরের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি জানায়, গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
গুমের পর শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই অভিযোগ আমলে নিয়ে ২১ ডিসেম্বর জিয়াউল আহসানকে
২ ঘণ্টা আগে
শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে এ তথ্য জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে এ তথ্য জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ বুধবার সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান দেশটিতে চিকিৎসাধীন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের অকুতোভয় যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে দেখতে গিয়েছিলেন।
রাত ৯টা ৪০ মিনিটে ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করেন এবং হাদির চিকিৎসা কার্যক্রম সম্পর্কে তাঁকে অবহিত করেন। তিনি জানান, হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন।
প্রধান উপদেষ্টা দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে হাদির জন্য দোয়া ও প্রার্থনা করার অনুরোধ করেছেন।
১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় চলন্ত অটোরিকশায় হাদিকে মোটরসাইকেল থেকে গুলি করা হয়। সংকটাপন্ন অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই দিন তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে এ তথ্য জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ বুধবার সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান দেশটিতে চিকিৎসাধীন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের অকুতোভয় যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে দেখতে গিয়েছিলেন।
রাত ৯টা ৪০ মিনিটে ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করেন এবং হাদির চিকিৎসা কার্যক্রম সম্পর্কে তাঁকে অবহিত করেন। তিনি জানান, হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন।
প্রধান উপদেষ্টা দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে হাদির জন্য দোয়া ও প্রার্থনা করার অনুরোধ করেছেন।
১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় চলন্ত অটোরিকশায় হাদিকে মোটরসাইকেল থেকে গুলি করা হয়। সংকটাপন্ন অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই দিন তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

পনেরো বছর আগে পায়ের ব্যথা নিয়ে স্থানীয় চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন মনোয়ারা বেগম ময়না (৪৫)। পারিবারিক কলহে বিয়ের পর থেকেই দুশ্চিন্তায় কেটেছে বহু বছর। ছোটবেলা থেকেই ভাতের প্রতি খুব আসক্তি ছিল। ফলে ওজন বেড়েছে নিয়মিত।
০৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে (এটিএ) গ্রেপ্তার হওয়া সাংবাদিক আনিস আলমগীরের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি জানায়, গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
গুমের পর শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই অভিযোগ আমলে নিয়ে ২১ ডিসেম্বর জিয়াউল আহসানকে
২ ঘণ্টা আগে
বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। আজ বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে