
বাইরের সাইনবোর্ডে বড় করে লেখা ‘পরিবেশ ও স্বাস্থ্যসম্মত পশু জবাইখানা’। অথচ ভেতরে ভেজা স্যাঁতসেঁতে মেঝে। ঘরটির এক পাশে গোবরের স্তূপ। জায়গায় জায়গায় ছড়িয়ে আছে জমাট রক্ত আর জবাই করা পশুর নাড়িভুঁড়ি।

যশোরের অভয়নগরে প্রাণিসম্পদ বিভাগ চিকিৎসকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ছাড়পত্র ছাড়াই উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারগুলোতে অবাধে গবাদিপশু জবাই করে মাংস বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। আর সাধারণ জনগণ নিয়ম কানুন না জেনেই কিনছেন মাংস। এতে বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি।

সীমানা পেরিয়ে ভারত থেকে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে ঢুকে পড়ে একটি নীলগাই। স্থানীয়রা ধাওয়া করে এটি ধরে ফেলেন। এরপর মাংস খাওয়ার জন্য বিজিবি সদস্যদের সামনে এটি জবাইও করেন।

নওগাঁর নিয়ামতপুরে পশু জবাইয়ে কোনো তদারকি না থাকায় সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। তাঁরা নিয়মকানুন না জেনেই কিনছেন এসব গরু ও ছাগলের মাংস। প্রাণিসম্পদ বিভাগের চিকিৎসকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ছাড়পত্র ছাড়াই উপজেলা সদরসহ উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে অবাধে গবাদিপশু জবাই করে মাংস বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।