শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫
ক্রীড়া ডেস্ক
১২ বছর পর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নিলাম হচ্ছে। রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে চলছে ২০২৬ বিপিএলের নিলাম। ‘এ’ ক্যাটাগরিতে আছেন লিটন দাস ও নাঈম শেখ। সরাসরি চুক্তিতে সিলেট টাইটান্স নিয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজকে।
অতীতে জাতীয় ক্রিকেট দলে প্রতিনিধিত্বকারী খেলোয়াড়সহ মোট ৯ ক্রিকেটারকে ১২তম বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নিলামের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করেছে। তাদের নাম পুনরায় সংযোজনের নির্দেশনা চেয়ে তিনটি রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছে।
পিটিশনকারীদের আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, সিনিয়র অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহিন এম রহমান, অ্যাডভোকেট (আপিল বিভাগ), বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট সবার কথা শুনে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের সমন্বয়ে গঠিত বিভাগীয় বেঞ্চ বিচারপতি সিকদার মাহমুদুর রাজি ও মাননীয় বিচারপতি রাজিউদ্দিন আহমদ রিট পিটিশনগুলো খারিজ করে দিয়েছেন। তাতে ১২তম বিপিএলের নিলাম বহিষ্কৃত ৯ ক্রিকেটারকে ছাড়াই হবে।
শীর্ষস্থানীয় দেশি ক্রিকেটারদের অনেকেই সরাসরি চুক্তিতে দল পেয়েছেন। তবে এর বাইরেও বেশ কিছু ক্রিকেটার আছেন, যাদের নিয়ে একাধিক দল কাড়াকাড়ি করতে পারে। বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক লিটন দাস নিলামের ‘এ’ ক্যাটাগরিতে আছেন। শীর্ষ ক্যাটাগরির আর একজনই নিলামে থাকছেন, তিনি বাঁহাতি ব্যাটার নাঈম শেখ। অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ, মুশফিকুর রহিমের মতো অভিজ্ঞরা থাকতে পারেন দলগুলোর আগ্রহের কেন্দ্রে।
বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বিপিএলের নিলাম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন, ‘আমরা ঘোষণা করতে যাচ্ছি, অচিরেই মেয়েদের বিপিএল আয়োজন করব আমাদের। ফ্র্যাঞ্চাইজিদের অনুরোধ করব, ছেলেদের পাশাপাশি যদি মেয়েদের দল রাখেন, আমরা অগ্রাধিকার দেব।’
ঢাকা ক্যাপিটালস
স্থানীয় খেলোয়াড়: তাসকিন আহমেদ, সাইফ হাসান
বিদেশি খেলোয়াড়: অ্যালেক্স হেলস (ইংল্যান্ড), উসমান খান (পাকিস্তান)
রংপুর রাইডার্স
স্থানীয় খেলোয়াড়: মোস্তাফিজুর রহমান, নুরুল হাসান সোহান
বিদেশি খেলোয়াড়: খাজা নাফায় (পাকিস্তান), সুফিয়ান মুকিম (পাকিস্তান)
চট্টগ্রাম রয়্যালস
স্থানীয় খেলোয়াড়: শেখ মেহেদী হাসান, তানভীর ইসলাম
বিদেশি খেলোয়াড়: আবরার আহমেদ (পাকিস্তান)
নোয়াখালী এক্সপ্রেস
স্থানীয় খেলোয়াড়: সৌম্য সরকার, হাসান মাহমুদ
বিদেশি খেলোয়াড়: কুশল মেন্ডিস (শ্রীলঙ্কা), জনসন চার্লস (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)
সিলেট টাইটান্স
স্থানীয় খেলোয়াড়: মেহেদী হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ
বিদেশি খেলোয়াড়: মোহাম্মদ আমির (পাকিস্তান), সাইম আইয়ুব (পাকিস্তান)
রাজশাহী ওয়ারিয়র্স
স্থানীয় খেলোয়াড়: তানজিদ হাসান তামিম, নাজমুল হোসেন শান্ত
বিদেশি খেলোয়াড়: মোহাম্মদ নাওয়াজ (পাকিস্তান), সাহিবজাদা ফারহান (পাকিস্তান)
৫০ লাখ টাকা ভিত্তিমূল্য থেকে শুরু হয় নাঈম শেখের নিলাম। ‘এ’ ক্যাটাগরিতে থাকা এই ক্রিকেটারকে নিতে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর মধ্যে কাড়াকাড়ি লেগে যায়। শেষ পর্যন্ত ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় তাঁকে নিয়েছে চট্টগ্রাম রয়্যালস।
নাঈম শেখের মতো লিটন দাসও ছিলেন ‘এ’ ক্যাটাগরিতে। তবে নাঈমের মতো লিটনকে নিয়ে অত কাড়াকাড়ি হয়নি। লিটনকে ৭৫ লাখ টাকায় নিয়েছে রংপুর রাইডার্স।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ছিলেন ‘বি’ ক্যাটাগরিতে। তবে তাঁকে কিনতে কোনো আগ্রহ দেখায়নি। তাঁর মতো অবিক্রীত থেকে গেলেন মুশফিকুর রহিমও। মাহমুদউল্লা এ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলেছেন। মুশফিক ওয়ানডে ও আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিকে বিদায় বলেছেন।
‘বি’ ক্যাটাগরিতে থাকা তানজিম সাকিবের ভিত্তিমূল্য ছিল ৩৫ লাখ টাকা। শেষ পর্যন্ত তাঁকে ৬৫ লাখ টাকায় কিনেছে রাজশাহী ওয়ারিয়র্স। এই ক্যাটাগরিতে থাকা ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বিকে ৪৪ লাখ টাকায় কিনেছে রাজশাহী। এছাড়া ৯২ লাখ টাকায় তাওহীদ হৃদয়কে নিয়েছে রংপুর রাইডার্স। শামীম পাটোয়ারীকে ৫৬ লাখ টাকায় কিনেছে ঢাকা ক্যাপিটালস। হৃদয়, শামীম দুজনই ছিলেন ‘বি’ ক্যাটাগরিতে।
ভিত্তিমূল্য ৩৫ লাখ টাকায় জাকের আলী অনিককে নিয়েছে নোয়াখালী এক্সপ্রেস। যদিও জাকেরের নাম আসতে নোয়াখালী কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেনি। কিন্তু কোটা পূরণ করতে তাঁকে বাধ্য হয়ে কিনেছে নোয়াখালী। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে থাকা মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে ৬৮ লাখ টাকায় নিয়েছে ঢাকা ক্যাপিটালস।
‘সি’ ক্যাটাগরিতে থাকা নাহিদ রানার ভিত্তিমূল্য ছিল ২২ লাখ টাকা। বাংলাদেশের তরুণ গতিতারকাকে নিতে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর মধ্যে কাড়াকাড়ি হয়ে যায়। অবশেষে ৫৬ লাখ টাকায় তাঁকে নিয়েছে রংপুর রাইডার্স।
২২ লাখ টাকা ভিত্তিমূল্যের মোহাম্মদ মিঠুনকে নিয়েও অনেক কাড়াকাড়ি হয়েছে। শেষ পর্যন্ত মিঠুনকে ৫২ লাখ টাকায় নিয়েছে ঢাকা ক্যাপিটালস।
২২ লাখ টাকা ভিত্তিমূল্যের তাইজুল ইসলামকে ৩০ লাখ টাকায় নিয়েছে ঢাকা ক্যাপিটালস।
‘সি’ ক্যাটাগরির ২২ লাখ টাকা ভিত্তিমূল্যের সাব্বির রহমানকে ২৮ লাখ টাকায় নিয়েছে ঢাকা ক্যাপিটালস। একই ক্যাটাগরির ২২ লাখ টাকা ভিত্তিমূল্যের রিপন মন্ডলকে ২৫ লাখ টাকায় নিয়েছে রাজশাহী ওয়ারিয়র্স।
ডি’ ক্যাটাগরিতে থাকা হাবিবুর রহমান সোহানের ভিত্তিমূল্য ছিল ১৮ লাখ টাকা। তাঁকে ৫০ লাখ টাকায় কিনেছে নোয়াখালী এক্সপ্রেস। বাংলাদেশের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে ৩৫ বলে সেঞ্চুরির কীর্তি রয়েছে সোহানের।
‘ডি’ ক্যাটাগরির শেষ খেলোয়াড় হিসেবে নিলামে উঠেছিলেন আরিফুল ইসলাম। ২৬ লাখ টাকায় তাঁকে দলে ভিড়িয়েছে সিলেট টাইটান্স।
‘সি’ ক্যাটাগরির ইবাদত হোসেন প্রথম ডাকে দল পাননি। দ্বিতীয় ডাকে এই পেসারকে নিয়েছে সিলেট টাইটান্স। ভিত্তিমূল্য ২২ লাখেই ইবাদতকে পেয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
ভিত্তিমূল্য ১৮ লাখ টাকায় কামরুল ইসলাম রাব্বিকে দলে টেনেছে রংপুর রাইডার্স। ভিত্তিমূল্য ১৮ লাখে ইরফান শুক্কুরকে নিয়েছে ঢাকা ক্যাপিটালস।
প্রথম ডাকে অবিক্রিত ছিলেন মুমিনুল হক ও সাদমান ইসলাম অনিক। দ্বিতীয় ডাকেও তাঁদের দুজনের প্রতি আগ্রহ দেখায়নি কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি।
বিপিএলের নিলামের প্রথম ডাকে দল পাননি মুশফিকুর রহিম। দল না পেয়ে ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে বার্তা দিয়েছেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। তিনি লিখেছেন, ‘সবকিছুর জন্য আলহামদুলিল্লাহ।’ সঙ্গে হাত তালির তিনটি ইমোজি যুক্ত করে দিয়েছেন মুশফিক।
১৪ লাখ টাকার ‘ই’ ক্যাটাগরি থেকে ৩৩ লাখে মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধকে নিয়েছে চট্টগ্রাম। ১৯ লাখে ওয়াসি সিদ্দিকীকে দলে টেনেছে রাজশাহী। বাকিদের মধ্যে ভিত্তিমূল্য ১৪ লাখে সিলেটে শহিদুল ইসলাম, চট্টগ্রামে শুভাগত হোম চৌধুরী, আব্দুল্লাহ আল মামুন ঢাকা ক্যাপিটালস, ঢাকায় মারুফ মৃধা, সিলেটে রাহাতুল ফেরদৌস, চট্টগ্রামে সালমান হোসেন, নোয়াখালি এক্সপ্রেস মেহেদি হাসান রানা ও সাব্বির হোসেন, রংপুর নিয়েছে ইফতেখার হোসেনকে।
প্রথম ডাকে দল পাননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিম। অবশেষে দল পেলেন এই দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। ক্যাটাগরি ‘বি’ থেকে ভিত্তিমূল্য ৩৫ লাখে বিক্রি হলেন তাঁরা। মাহমুদউল্লাহকে নিয়েছে রংপুর রাইডার্স। মুশফিককে ভিড়িয়েছে রাজশাহী ওয়ারিয়র্স।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিমের পর নিলামে দল পেলেন মুমিনুল হক। ‘সি’ ক্যাটাগরি থেকে ভিত্তিমূল্য ২২ লাখেই এই ব্যাটারকে দলে টেনেছে সিলেট টাইটান্স।
৬ ক্যাটাগরিতে মোট ১৫৮ জন দেশি ক্রিকেটারের নিলাম সম্পন্ন হয়েছে। দেশিদের নিলাম শেষে বিরতি দেওয়া হয়েছে। এরপর শুরু হবে বিদেশি ক্রিকেটারদের নিলাম।
বিপিএলের নিলামের ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ছিলেন পিযুষ চাওলা। সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটারকে কেউ কেনেনি।
প্রথম বিদেশি হিসেবে বিক্রি হলেন নিরোশান ডিকভেলা। শ্রীলঙ্কার এই ক্রিকেটার ভিত্তিমূল্য ৩৫ হাজার ডলারে দলে ভিড়িয়েছে চট্টগ্রাম।
‘এ’ ক্যাটাগরি থেকে ভিত্তিমুল্য ৩৫ হাজার ডলারে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকে নিয়েছে সিলেট। এই ক্যাটাগরি থেকে ৫৫ হাজার ডলারে দাসুন শানাকা নিয়েছে ঢাকা।
যুক্তরাষ্ট্রের মারকুটে ওপেনার অ্যারন জোন্সকে দলে টেনেছে সিলেট টাইটান্স। ২০ হাজার ডলারে তাঁকে পেয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
২০ হাজার ডলারে জাহানদাদ খানকে পেয়েছে রংপুর রাইডার্স।
দল পাননি পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শোয়েব মালিক। তাঁর প্রতি আগ্রহ দেখায়নি কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি।
দেশি ও বিদেশি মিলিয়ে মোট ৪১৫ জন ক্রিকেটার নিলামে উঠেছিলেন। তাঁদের মধ্যে থেকে নিজেদের পছন্দের দল বেঁছে নিয়েছে ছয়টি ফ্র্যাঞ্চাইজি। ৬ ক্যাটাগরি থেকে ১৫৮ জন স্থানীয় ক্রিকেটার নিলামে উঠেছিলেন। বিদেশি ২৫৭ জন ক্রিকেটার নিলামে উঠেন ৫ ক্যাটাগরিতে। সবচেয়ে বেশি ১ কোটি ৮৭ লাখ টাকা খরচ করেছে নবাগত দল নোয়াখালি এক্সপ্রেস।
নিলামে সর্বোচ্চ ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছেন নাঈম শেখ। তাঁকে নিয়েছে চট্টগ্রাম রয়্যালস। বিদেশিদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫৫ হাজার ডলারে দাসুন শানাকাকে ভিড়িয়েছে ঢাকা ক্যাপিটালস। শুরুতে দল পাননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিম। শেষদিকে দল পেয়েছেন এই দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার।
নিলাম শেষ হলেও সমালোচনা থেকেই যাচ্ছে। রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লুতে অনুষ্ঠিত নিলামে বেশকিছু অব্যবস্থাপনা লক্ষ্য করা গেছে। যা বিপিএলের মানকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
আজকের পত্রিকার লাইভের সঙ্গে যুক্ত থাকায় সবাইকে ধন্যবাদ।
দেশি ও বিদেশি মিলিয়ে মোট ৪১৫ জন ক্রিকেটার নিলামে উঠেছিলেন। তাঁদের মধ্যে থেকে নিজেদের পছন্দের দল বেঁছে নিয়েছে ছয়টি ফ্র্যাঞ্চাইজি। ৬ ক্যাটাগরি থেকে ১৫৮ জন স্থানীয় ক্রিকেটার নিলামে উঠেছিলেন। বিদেশি ২৫৭ জন ক্রিকেটার নিলামে উঠেন ৫ ক্যাটাগরিতে। সবচেয়ে বেশি ১ কোটি ৮৭ লাখ টাকা খরচ করেছে নবাগত দল নোয়াখালি এক্সপ্রেস।
নিলামে সর্বোচ্চ ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছেন নাঈম শেখ। তাঁকে নিয়েছে চট্টগ্রাম রয়্যালস। বিদেশিদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫৫ হাজার ডলারে দাসুন শানাকাকে ভিড়িয়েছে ঢাকা ক্যাপিটালস। শুরুতে দল পাননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিম। শেষদিকে দল পেয়েছেন এই দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার।
নিলাম শেষ হলেও সমালোচনা থেকেই যাচ্ছে। রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লুতে অনুষ্ঠিত নিলামে বেশকিছু অব্যবস্থাপনা লক্ষ্য করা গেছে। যা বিপিএলের মানকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
আজকের পত্রিকার লাইভের সঙ্গে যুক্ত থাকায় সবাইকে ধন্যবাদ।
দল পাননি পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শোয়েব মালিক। তাঁর প্রতি আগ্রহ দেখায়নি কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি।
২০ হাজার ডলারে জাহানদাদ খানকে পেয়েছে রংপুর রাইডার্স।
যুক্তরাষ্ট্রের মারকুটে ওপেনার অ্যারন জোন্সকে দলে টেনেছে সিলেট টাইটান্স। ২০ হাজার ডলারে তাঁকে পেয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
‘এ’ ক্যাটাগরি থেকে ভিত্তিমুল্য ৩৫ হাজার ডলারে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকে নিয়েছে সিলেট। এই ক্যাটাগরি থেকে ৫৫ হাজার ডলারে দাসুন শানাকা নিয়েছে ঢাকা।
প্রথম বিদেশি হিসেবে বিক্রি হলেন নিরোশান ডিকভেলা। শ্রীলঙ্কার এই ক্রিকেটার ভিত্তিমূল্য ৩৫ হাজার ডলারে দলে ভিড়িয়েছে চট্টগ্রাম।
বিপিএলের নিলামের ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ছিলেন পিযুষ চাওলা। সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটারকে কেউ কেনেনি।
৬ ক্যাটাগরিতে মোট ১৫৮ জন দেশি ক্রিকেটারের নিলাম সম্পন্ন হয়েছে। দেশিদের নিলাম শেষে বিরতি দেওয়া হয়েছে। এরপর শুরু হবে বিদেশি ক্রিকেটারদের নিলাম।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিমের পর নিলামে দল পেলেন মুমিনুল হক। ‘সি’ ক্যাটাগরি থেকে ভিত্তিমূল্য ২২ লাখেই এই ব্যাটারকে দলে টেনেছে সিলেট টাইটান্স।
প্রথম ডাকে দল পাননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিম। অবশেষে দল পেলেন এই দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। ক্যাটাগরি ‘বি’ থেকে ভিত্তিমূল্য ৩৫ লাখে বিক্রি হলেন তাঁরা। মাহমুদউল্লাহকে নিয়েছে রংপুর রাইডার্স। মুশফিককে ভিড়িয়েছে রাজশাহী ওয়ারিয়র্স।
১৪ লাখ টাকার ‘ই’ ক্যাটাগরি থেকে ৩৩ লাখে মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধকে নিয়েছে চট্টগ্রাম। ১৯ লাখে ওয়াসি সিদ্দিকীকে দলে টেনেছে রাজশাহী। বাকিদের মধ্যে ভিত্তিমূল্য ১৪ লাখে সিলেটে শহিদুল ইসলাম, চট্টগ্রামে শুভাগত হোম চৌধুরী, আব্দুল্লাহ আল মামুন ঢাকা ক্যাপিটালস, ঢাকায় মারুফ মৃধা, সিলেটে রাহাতুল ফেরদৌস, চট্টগ্রামে সালমান হোসেন, নোয়াখালি এক্সপ্রেস মেহেদি হাসান রানা ও সাব্বির হোসেন, রংপুর নিয়েছে ইফতেখার হোসেনকে।
বিপিএলের নিলামের প্রথম ডাকে দল পাননি মুশফিকুর রহিম। দল না পেয়ে ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে বার্তা দিয়েছেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। তিনি লিখেছেন, ‘সবকিছুর জন্য আলহামদুলিল্লাহ।’ সঙ্গে হাত তালির তিনটি ইমোজি যুক্ত করে দিয়েছেন মুশফিক।
প্রথম ডাকে অবিক্রিত ছিলেন মুমিনুল হক ও সাদমান ইসলাম অনিক। দ্বিতীয় ডাকেও তাঁদের দুজনের প্রতি আগ্রহ দেখায়নি কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি।
ভিত্তিমূল্য ১৮ লাখ টাকায় কামরুল ইসলাম রাব্বিকে দলে টেনেছে রংপুর রাইডার্স। ভিত্তিমূল্য ১৮ লাখে ইরফান শুক্কুরকে নিয়েছে ঢাকা ক্যাপিটালস।
‘সি’ ক্যাটাগরির ইবাদত হোসেন প্রথম ডাকে দল পাননি। দ্বিতীয় ডাকে এই পেসারকে নিয়েছে সিলেট টাইটান্স। ভিত্তিমূল্য ২২ লাখেই ইবাদতকে পেয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
‘ডি’ ক্যাটাগরির শেষ খেলোয়াড় হিসেবে নিলামে উঠেছিলেন আরিফুল ইসলাম। ২৬ লাখ টাকায় তাঁকে দলে ভিড়িয়েছে সিলেট টাইটান্স।
ডি’ ক্যাটাগরিতে থাকা হাবিবুর রহমান সোহানের ভিত্তিমূল্য ছিল ১৮ লাখ টাকা। তাঁকে ৫০ লাখ টাকায় কিনেছে নোয়াখালী এক্সপ্রেস। বাংলাদেশের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে ৩৫ বলে সেঞ্চুরির কীর্তি রয়েছে সোহানের।
‘সি’ ক্যাটাগরির ২২ লাখ টাকা ভিত্তিমূল্যের সাব্বির রহমানকে ২৮ লাখ টাকায় নিয়েছে ঢাকা ক্যাপিটালস। একই ক্যাটাগরির ২২ লাখ টাকা ভিত্তিমূল্যের রিপন মন্ডলকে ২৫ লাখ টাকায় নিয়েছে রাজশাহী ওয়ারিয়র্স।
২২ লাখ টাকা ভিত্তিমূল্যের তাইজুল ইসলামকে ৩০ লাখ টাকায় নিয়েছে ঢাকা ক্যাপিটালস।
২২ লাখ টাকা ভিত্তিমূল্যের মোহাম্মদ মিঠুনকে নিয়েও অনেক কাড়াকাড়ি হয়েছে। শেষ পর্যন্ত মিঠুনকে ৫২ লাখ টাকায় নিয়েছে ঢাকা ক্যাপিটালস।
‘সি’ ক্যাটাগরিতে থাকা নাহিদ রানার ভিত্তিমূল্য ছিল ২২ লাখ টাকা। বাংলাদেশের তরুণ গতিতারকাকে নিতে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর মধ্যে কাড়াকাড়ি হয়ে যায়। অবশেষে ৫৬ লাখ টাকায় তাঁকে নিয়েছে রংপুর রাইডার্স।
ভিত্তিমূল্য ৩৫ লাখ টাকায় জাকের আলী অনিককে নিয়েছে নোয়াখালী এক্সপ্রেস। যদিও জাকেরের নাম আসতে নোয়াখালী কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেনি। কিন্তু কোটা পূরণ করতে তাঁকে বাধ্য হয়ে কিনেছে নোয়াখালী। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে থাকা মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে ৬৮ লাখ টাকায় নিয়েছে ঢাকা ক্যাপিটালস।
‘বি’ ক্যাটাগরিতে থাকা তানজিম সাকিবের ভিত্তিমূল্য ছিল ৩৫ লাখ টাকা। শেষ পর্যন্ত তাঁকে ৬৫ লাখ টাকায় কিনেছে রাজশাহী ওয়ারিয়র্স। এই ক্যাটাগরিতে থাকা ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বিকে ৪৪ লাখ টাকায় কিনেছে রাজশাহী। এছাড়া ৯২ লাখ টাকায় তাওহীদ হৃদয়কে নিয়েছে রংপুর রাইডার্স। শামীম পাটোয়ারীকে ৫৬ লাখ টাকায় কিনেছে ঢাকা ক্যাপিটালস। হৃদয়, শামীম দুজনই ছিলেন ‘বি’ ক্যাটাগরিতে।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ছিলেন ‘বি’ ক্যাটাগরিতে। তবে তাঁকে কিনতে কোনো আগ্রহ দেখায়নি। তাঁর মতো অবিক্রীত থেকে গেলেন মুশফিকুর রহিমও। মাহমুদউল্লা এ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলেছেন। মুশফিক ওয়ানডে ও আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিকে বিদায় বলেছেন।
নাঈম শেখের মতো লিটন দাসও ছিলেন ‘এ’ ক্যাটাগরিতে। তবে নাঈমের মতো লিটনকে নিয়ে অত কাড়াকাড়ি হয়নি। লিটনকে ৭৫ লাখ টাকায় নিয়েছে রংপুর রাইডার্স।
৫০ লাখ টাকা ভিত্তিমূল্য থেকে শুরু হয় নাঈম শেখের নিলাম। ‘এ’ ক্যাটাগরিতে থাকা এই ক্রিকেটারকে নিতে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর মধ্যে কাড়াকাড়ি লেগে যায়। শেষ পর্যন্ত ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় তাঁকে নিয়েছে চট্টগ্রাম রয়্যালস।
ঢাকা ক্যাপিটালস
স্থানীয় খেলোয়াড়: তাসকিন আহমেদ, সাইফ হাসান
বিদেশি খেলোয়াড়: অ্যালেক্স হেলস (ইংল্যান্ড), উসমান খান (পাকিস্তান)
রংপুর রাইডার্স
স্থানীয় খেলোয়াড়: মোস্তাফিজুর রহমান, নুরুল হাসান সোহান
বিদেশি খেলোয়াড়: খাজা নাফায় (পাকিস্তান), সুফিয়ান মুকিম (পাকিস্তান)
চট্টগ্রাম রয়্যালস
স্থানীয় খেলোয়াড়: শেখ মেহেদী হাসান, তানভীর ইসলাম
বিদেশি খেলোয়াড়: আবরার আহমেদ (পাকিস্তান)
নোয়াখালী এক্সপ্রেস
স্থানীয় খেলোয়াড়: সৌম্য সরকার, হাসান মাহমুদ
বিদেশি খেলোয়াড়: কুশল মেন্ডিস (শ্রীলঙ্কা), জনসন চার্লস (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)
সিলেট টাইটান্স
স্থানীয় খেলোয়াড়: মেহেদী হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ
বিদেশি খেলোয়াড়: মোহাম্মদ আমির (পাকিস্তান), সাইম আইয়ুব (পাকিস্তান)
রাজশাহী ওয়ারিয়র্স
স্থানীয় খেলোয়াড়: তানজিদ হাসান তামিম, নাজমুল হোসেন শান্ত
বিদেশি খেলোয়াড়: মোহাম্মদ নাওয়াজ (পাকিস্তান), সাহিবজাদা ফারহান (পাকিস্তান)
বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বিপিএলের নিলাম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন, ‘আমরা ঘোষণা করতে যাচ্ছি, অচিরেই মেয়েদের বিপিএল আয়োজন করব আমাদের। ফ্র্যাঞ্চাইজিদের অনুরোধ করব, ছেলেদের পাশাপাশি যদি মেয়েদের দল রাখেন, আমরা অগ্রাধিকার দেব।’
শীর্ষস্থানীয় দেশি ক্রিকেটারদের অনেকেই সরাসরি চুক্তিতে দল পেয়েছেন। তবে এর বাইরেও বেশ কিছু ক্রিকেটার আছেন, যাদের নিয়ে একাধিক দল কাড়াকাড়ি করতে পারে। বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক লিটন দাস নিলামের ‘এ’ ক্যাটাগরিতে আছেন। শীর্ষ ক্যাটাগরির আর একজনই নিলামে থাকছেন, তিনি বাঁহাতি ব্যাটার নাঈম শেখ। অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ, মুশফিকুর রহিমের মতো অভিজ্ঞরা থাকতে পারেন দলগুলোর আগ্রহের কেন্দ্রে।
অতীতে জাতীয় ক্রিকেট দলে প্রতিনিধিত্বকারী খেলোয়াড়সহ মোট ৯ ক্রিকেটারকে ১২তম বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নিলামের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করেছে। তাদের নাম পুনরায় সংযোজনের নির্দেশনা চেয়ে তিনটি রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছে।
পিটিশনকারীদের আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, সিনিয়র অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহিন এম রহমান, অ্যাডভোকেট (আপিল বিভাগ), বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট সবার কথা শুনে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের সমন্বয়ে গঠিত বিভাগীয় বেঞ্চ বিচারপতি সিকদার মাহমুদুর রাজি ও মাননীয় বিচারপতি রাজিউদ্দিন আহমদ রিট পিটিশনগুলো খারিজ করে দিয়েছেন। তাতে ১২তম বিপিএলের নিলাম বহিষ্কৃত ৯ ক্রিকেটারকে ছাড়াই হবে।
১২ বছর পর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নিলাম হচ্ছে। রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে চলছে ২০২৬ বিপিএলের নিলাম। ‘এ’ ক্যাটাগরিতে আছেন লিটন দাস ও নাঈম শেখ। সরাসরি চুক্তিতে সিলেট টাইটান্স নিয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজকে।
বিপিএলের ৩০ লাখ টাকা এখনো পাইনি, বিজয়ের ক্ষোভ
‘প্রমাণ ছাড়া শাস্তি মেনে নেব না, আমাকে অসম্মান করা হচ্ছে’