তাসনিফ আবীদ

নবুয়ত লাভের আগে আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) একজন অত্যন্ত সফল ব্যবসায়ী ছিলেন। পূর্বপুরুষের ধারা অনুসরণ করে তিনি ব্যবসার উদ্দেশ্যে সিরিয়া, ইরাক, ইয়েমেন এবং বাহরাইনসহ আরবের বিভিন্ন অঞ্চলে ভ্রমণ করেছেন। তাঁর সততা, বিশ্বস্ততা ও অনন্য দক্ষতার কারণে তিনি অল্প সময়েই মক্কার এক সফল ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। মক্কার ধনাঢ্য ব্যবসায়ী হজরত খাদিজা (রা.)-এর ব্যবসাও তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করেছিলেন, যা তাঁর ব্যবসায়িক প্রজ্ঞার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
নবুয়তের দায়িত্ব কাঁধে আসার পর দাওয়াতের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লেও তিনি ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে দূরে সরে যাননি, বরং তাঁর সাহাবিদের সর্বদা সৎভাবে ব্যবসা করতে উদ্বুদ্ধ করেছেন। তিনি বলতেন, ‘জীবিকার ১০ ভাগের ৯ ভাগই ব্যবসা-বাণিজ্যের মধ্যে এবং বাকি এক ভাগ গবাদিপশুর কাজে নিহিত।’ (আল-জামিউস সাগির)। এই উক্তি শুধু জীবিকার উৎস হিসেবে ব্যবসার গুরুত্বই প্রকাশ করে না, বরং সৎ উপায়ে অর্থ উপার্জনের প্রতি ইসলামের গভীর দৃষ্টিভঙ্গিরও ইঙ্গিত দেয়।
তবে মহানবী (সা.) সব সময় ব্যবসার মূল ভিত্তি হিসেবে সততা ও নৈতিকতার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করতেন। তিনি ঘোষণা করেছেন, ‘কিয়ামতের দিন সৎ ব্যবসায়ীরা সিদ্দিক (সত্যবাদী) ও শহীদদের সঙ্গে উত্থিত হবেন।’ (ইবনে মাজাহ)। এটি এক অসাধারণ সম্মান, যা একজন সৎ ব্যবসায়ীকে আল্লাহ তাআলা দান করবেন। হজরত রাফে ইবনে খাদিজা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে যখন সর্বোত্তম উপার্জন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, তখন তিনি বলেন, ‘ব্যক্তির নিজস্ব শ্রমলব্ধ উপার্জন ও সততার সঙ্গে বেচাকেনা।’ (মুসনাদে আহমাদ)।
এই হাদিসগুলো থেকে বোঝা যায়, ইসলাম ব্যবসা-বাণিজ্যকে শুধু অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড হিসেবে দেখে না, বরং আল্লাহর ইবাদত হিসেবে গণ্য করে, যেখানে সততা ও নৈতিকতার মানদণ্ড বজায় রাখা অপরিহার্য। মহানবী (সা.)-এর জীবন ও শিক্ষা থেকে আমরা এই মৌলিক নীতিটিই পাই, যা সব ব্যবসায়ীর জন্য এক অনুসরণীয় আদর্শ।

নবুয়ত লাভের আগে আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) একজন অত্যন্ত সফল ব্যবসায়ী ছিলেন। পূর্বপুরুষের ধারা অনুসরণ করে তিনি ব্যবসার উদ্দেশ্যে সিরিয়া, ইরাক, ইয়েমেন এবং বাহরাইনসহ আরবের বিভিন্ন অঞ্চলে ভ্রমণ করেছেন। তাঁর সততা, বিশ্বস্ততা ও অনন্য দক্ষতার কারণে তিনি অল্প সময়েই মক্কার এক সফল ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। মক্কার ধনাঢ্য ব্যবসায়ী হজরত খাদিজা (রা.)-এর ব্যবসাও তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করেছিলেন, যা তাঁর ব্যবসায়িক প্রজ্ঞার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
নবুয়তের দায়িত্ব কাঁধে আসার পর দাওয়াতের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লেও তিনি ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে দূরে সরে যাননি, বরং তাঁর সাহাবিদের সর্বদা সৎভাবে ব্যবসা করতে উদ্বুদ্ধ করেছেন। তিনি বলতেন, ‘জীবিকার ১০ ভাগের ৯ ভাগই ব্যবসা-বাণিজ্যের মধ্যে এবং বাকি এক ভাগ গবাদিপশুর কাজে নিহিত।’ (আল-জামিউস সাগির)। এই উক্তি শুধু জীবিকার উৎস হিসেবে ব্যবসার গুরুত্বই প্রকাশ করে না, বরং সৎ উপায়ে অর্থ উপার্জনের প্রতি ইসলামের গভীর দৃষ্টিভঙ্গিরও ইঙ্গিত দেয়।
তবে মহানবী (সা.) সব সময় ব্যবসার মূল ভিত্তি হিসেবে সততা ও নৈতিকতার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করতেন। তিনি ঘোষণা করেছেন, ‘কিয়ামতের দিন সৎ ব্যবসায়ীরা সিদ্দিক (সত্যবাদী) ও শহীদদের সঙ্গে উত্থিত হবেন।’ (ইবনে মাজাহ)। এটি এক অসাধারণ সম্মান, যা একজন সৎ ব্যবসায়ীকে আল্লাহ তাআলা দান করবেন। হজরত রাফে ইবনে খাদিজা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে যখন সর্বোত্তম উপার্জন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, তখন তিনি বলেন, ‘ব্যক্তির নিজস্ব শ্রমলব্ধ উপার্জন ও সততার সঙ্গে বেচাকেনা।’ (মুসনাদে আহমাদ)।
এই হাদিসগুলো থেকে বোঝা যায়, ইসলাম ব্যবসা-বাণিজ্যকে শুধু অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড হিসেবে দেখে না, বরং আল্লাহর ইবাদত হিসেবে গণ্য করে, যেখানে সততা ও নৈতিকতার মানদণ্ড বজায় রাখা অপরিহার্য। মহানবী (সা.)-এর জীবন ও শিক্ষা থেকে আমরা এই মৌলিক নীতিটিই পাই, যা সব ব্যবসায়ীর জন্য এক অনুসরণীয় আদর্শ।

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
আল্লাহর দেওয়া জীবন অত্যন্ত মূল্যবান। যে সম্পদ যত বেশি মূল্যবান, তার ব্যবহার-প্রক্রিয়াও তত বেশি সুপরিকল্পিত হওয়া প্রয়োজন। সময় বহমান স্রোতের মতো, যাকে কখনো বেঁধে রাখা যায় না। তাই জীবনের এই মূল্যবান সময়গুলো অবহেলায় নষ্ট করা কোনো বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
৯ ঘণ্টা আগে
জানাজার স্থানে যদি পর্দার খেলাপ কিংবা নারীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে সেখানে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি ইসলাম দেয় না। জানাজার নামাজ যেহেতু নারীদের জন্য আবশ্যক নয়, তাই এতে অংশ নিতে গিয়ে কোনো ফরজ বিধান লঙ্ঘন করা বিধানসম্মত নয়।
১৪ ঘণ্টা আগে
জানাজার নামাজ ফরজে কিফায়া। অর্থাৎ কোনো মুসলমান মারা গেলে মহল্লার অল্পসংখ্যক লোক জানাজার নামাজ আদায় করলে বাকিরা দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া একজন মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি হক আছে। এর মধ্যে মৃত ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেওয়াও একটি হক।
১৬ ঘণ্টা আগে