মুফতি আইয়ুব নাদীম

পবিত্র কোরআনে মুমিনের যেসব গুণের প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে, তার অন্যতম একটি তাকওয়া। তাকওয়া একজন সফল মুমিনের অন্যতম একটি গুণ। পবিত্র কোরআনে তাকওয়া অবলম্বনকারীদের জন্য দুনিয়া ও আখেরাতে বহুবিধ উপকারের কথা বর্ণিত হয়েছে। নিম্নে কয়েকটি উপকারের কথা তুলে ধরা হলো—
এক. গুনাহ মাফ হয়: পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘যে আল্লাহকে ভয় করবে, আল্লাহ তাঁর পাপরাশি মার্জনা করবেন এবং তাকে দিবেন মহাপুরুষ্কার।’ (সুরা তালাক: ৫)
দুই. জীবনযাপন সহজ হয়ে যায়: পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘যে আল্লাহকে ভয় করবে, আল্লাহ তার কাজসমূহ সহজে সমাধান করে দেন।’ (সুরা তালাক: ৪)
তিন. আল্লাহর সান্নিধ্য লাভ হয়: পবিত্র কোরআনের বাণী, ‘আর আল্লাহকে ভয় করে চলো এবং জেনে রেখ, আল্লাহ তাদেরই সঙ্গে থাকেন, যারা (নিজেদের অন্তরে তাঁর) ভয় রাখে।’ (সুরা বাকারা: ১৯৪)
চার. জান্নাত লাভ হয়: আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এবং নিজ প্রতিপালকের পক্ষ হতে মাগফেরাত ও সেই জান্নাত লাভের জন্য একে অন্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হও, যার প্রশস্ততা আকাশমন্ডল ও পৃথিবীতুল্য। তা সেই মুত্তাকীদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৩৩)
পাঁচ. বরকতপূর্ণ রিজিক লাভ: পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘যদি সে সকল জনপদবাসী ইমান আনত ও তাকওয়া অবলম্বন করত, তবে আমি তাদের জন্য আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী থেকে কল্যাণ ধারা মুক্ত করে দিতাম। কিন্তু তারা (সত্য) প্রত্যাখ্যান করল। সুতরাং তারা ক্রমাগত যা করে যাচ্ছিল, ফলে তার পরিণামে আমি তাদেরকে পাকড়াও করি।’ (সুরা আরাফ: ৯৬)
ছয়. শয়তান থেকে হেফাজত: আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা তাকওয়া অবলম্বন করেছে, তাদেরকে যখন শয়তানের পক্ষ হতে কোনও কুমন্ত্রণা স্পর্শ করে, তখন তারা (আল্লাহকে) স্মরণ করে। ফলে তৎক্ষণাৎ তাদের চোখ খুলে যায়।’ (সুরা আরাফ: ২০১)
সাত. নিরাপত্তা লাভ হয়: আল্লাহ তাআলার বাণী, ‘তোমরা সবর ও তাকওয়া অবলম্বন করলে, তাদের চক্রান্ত তোমাদের কোন ক্ষতি সাধন করতে পারবে না। তারা যা-কিছু করছে, তা সবই আল্লাহর (জ্ঞান ও শক্তির) আওতাভুক্ত।’ (সুরা আলে ইমরান: ১২০)
লেখক: শিক্ষক ও মুহাদ্দিস

পবিত্র কোরআনে মুমিনের যেসব গুণের প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে, তার অন্যতম একটি তাকওয়া। তাকওয়া একজন সফল মুমিনের অন্যতম একটি গুণ। পবিত্র কোরআনে তাকওয়া অবলম্বনকারীদের জন্য দুনিয়া ও আখেরাতে বহুবিধ উপকারের কথা বর্ণিত হয়েছে। নিম্নে কয়েকটি উপকারের কথা তুলে ধরা হলো—
এক. গুনাহ মাফ হয়: পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘যে আল্লাহকে ভয় করবে, আল্লাহ তাঁর পাপরাশি মার্জনা করবেন এবং তাকে দিবেন মহাপুরুষ্কার।’ (সুরা তালাক: ৫)
দুই. জীবনযাপন সহজ হয়ে যায়: পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘যে আল্লাহকে ভয় করবে, আল্লাহ তার কাজসমূহ সহজে সমাধান করে দেন।’ (সুরা তালাক: ৪)
তিন. আল্লাহর সান্নিধ্য লাভ হয়: পবিত্র কোরআনের বাণী, ‘আর আল্লাহকে ভয় করে চলো এবং জেনে রেখ, আল্লাহ তাদেরই সঙ্গে থাকেন, যারা (নিজেদের অন্তরে তাঁর) ভয় রাখে।’ (সুরা বাকারা: ১৯৪)
চার. জান্নাত লাভ হয়: আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এবং নিজ প্রতিপালকের পক্ষ হতে মাগফেরাত ও সেই জান্নাত লাভের জন্য একে অন্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হও, যার প্রশস্ততা আকাশমন্ডল ও পৃথিবীতুল্য। তা সেই মুত্তাকীদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৩৩)
পাঁচ. বরকতপূর্ণ রিজিক লাভ: পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘যদি সে সকল জনপদবাসী ইমান আনত ও তাকওয়া অবলম্বন করত, তবে আমি তাদের জন্য আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী থেকে কল্যাণ ধারা মুক্ত করে দিতাম। কিন্তু তারা (সত্য) প্রত্যাখ্যান করল। সুতরাং তারা ক্রমাগত যা করে যাচ্ছিল, ফলে তার পরিণামে আমি তাদেরকে পাকড়াও করি।’ (সুরা আরাফ: ৯৬)
ছয়. শয়তান থেকে হেফাজত: আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা তাকওয়া অবলম্বন করেছে, তাদেরকে যখন শয়তানের পক্ষ হতে কোনও কুমন্ত্রণা স্পর্শ করে, তখন তারা (আল্লাহকে) স্মরণ করে। ফলে তৎক্ষণাৎ তাদের চোখ খুলে যায়।’ (সুরা আরাফ: ২০১)
সাত. নিরাপত্তা লাভ হয়: আল্লাহ তাআলার বাণী, ‘তোমরা সবর ও তাকওয়া অবলম্বন করলে, তাদের চক্রান্ত তোমাদের কোন ক্ষতি সাধন করতে পারবে না। তারা যা-কিছু করছে, তা সবই আল্লাহর (জ্ঞান ও শক্তির) আওতাভুক্ত।’ (সুরা আলে ইমরান: ১২০)
লেখক: শিক্ষক ও মুহাদ্দিস

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
আল্লাহর দেওয়া জীবন অত্যন্ত মূল্যবান। যে সম্পদ যত বেশি মূল্যবান, তার ব্যবহার-প্রক্রিয়াও তত বেশি সুপরিকল্পিত হওয়া প্রয়োজন। সময় বহমান স্রোতের মতো, যাকে কখনো বেঁধে রাখা যায় না। তাই জীবনের এই মূল্যবান সময়গুলো অবহেলায় নষ্ট করা কোনো বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
৯ ঘণ্টা আগে
জানাজার স্থানে যদি পর্দার খেলাপ কিংবা নারীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে সেখানে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি ইসলাম দেয় না। জানাজার নামাজ যেহেতু নারীদের জন্য আবশ্যক নয়, তাই এতে অংশ নিতে গিয়ে কোনো ফরজ বিধান লঙ্ঘন করা বিধানসম্মত নয়।
১৪ ঘণ্টা আগে
জানাজার নামাজ ফরজে কিফায়া। অর্থাৎ কোনো মুসলমান মারা গেলে মহল্লার অল্পসংখ্যক লোক জানাজার নামাজ আদায় করলে বাকিরা দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া একজন মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি হক আছে। এর মধ্যে মৃত ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেওয়াও একটি হক।
১৬ ঘণ্টা আগে