আবদুল্লাহ নুর

একজন শিশুর ভবিষ্যৎ তার বাবা-মায়ের ওপর নির্ভর করে। বাবা-মায়ের ছোট ছোট কাজগুলোই হয় তার জন্য অনুসরণীয়। একজন শিশুকে ভবিষ্যতের কর্ণধার হিসেবে গড়ে তুলতে শুধু বইয়ের পাতার শিক্ষাই যথেষ্ট নয়। বইয়ের পাশাপাশি প্রয়োজন সামাজিক শিক্ষা। আর উভয় শিক্ষা মিলে একজন শিশু হয়ে ওঠে আদর্শবান নাগরিক।
বড়দের সম্মান ও ছোটদের স্নেহ
শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিকে সম্মান করতে শিক্ষা দেওয়া। কখনোই তাঁদের সঙ্গে যেন বেয়াদবিমূলক আচরণ না করে, সেদিকে খেয়াল রাখা। আর ছোটদের প্রতি স্নেহ করতে উৎসাহ দেওয়া। খেলাধুলার সময় বাচ্চাদের অগ্রাধিকার দিতে বলা। খেলনাসামগ্রী নিয়ে বাচ্চাদের সঙ্গে যেন মারামারি না করে, সেদিকে খেয়াল রাখা। কেননা, ইসলাম বড়দের সম্মান ও ছোটদের স্নেহ করতে নির্দেশ করে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ছোটদের প্রতি দয়া করে না এবং বড়দের প্রতি সম্মান করে না, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।’ (আদাবুল মুফরাদ: ৩৫৬)
অপর থেকে কিছু আশা না করা
ছোট শিশু কাদামাটির মতো। ওদের যেভাবে গড়া হবে, ওরা সেভাবেই গড়ে উঠবে। শিশুরা সর্বদা অন্যের জিনিসের প্রতি আকৃষ্ট থাকে। তবে এই আকৃষ্ট থেকে বিরত রাখার জন্য বাবা-মায়ের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই বাচ্চাদের শুরু থেকে এ শিক্ষা দেওয়া যে—কারও থেকে কখনোই কিছু না চাওয়া। চাই সেটা খাবার হোক বা অন্য কিছু। হাদিসে এসেছে, হজরত সামুরা ইবনে জানদুব (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘ভিক্ষাবৃত্তি হলো ক্ষতস্বরূপ; এর দ্বারা মানুষ মুখমণ্ডল ক্ষতবিক্ষত করে’। (সুনানে নাসায়ি: ৫/৯৭)
মানুষকে দান করতে উৎসাহিত করা
দান একটি মহৎ আমল। সদকায়ে জারিয়া। এর সওয়াব এক পুরুষ থেকে পরবর্তী শত পুরুষ পর্যন্ত পেতে পারেন। বাবা-মা যখন কাউকে কিছু দান করবেন, তখন উচিত সঙ্গে থাকা বাচ্চার মাধ্যমে দেওয়া। চাই সে দান মসজিদ হোক বা মাদ্রাসা অথবা কোনো অসহায় ব্যক্তিকে। এর দ্বারা বাচ্চাকে এটা শিক্ষা দেওয়া যে—কারও থেকে কিছু নেওয়ার তুলনায় দেওয়া উত্তম। আর হাদিসে এসেছে, হজরত হাকিম ইবনে হিজাম (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘ওপরের হাত নিচের হাতের চেয়ে উত্তম।’ (সহিহ্ বুখারি: ২/১১২)
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অর্জন করা
বাচ্চাদের সৌন্দর্য ফুটে ওঠে তার পরিচ্ছন্নতায়। পরিচ্ছন্ন শিশুকে সবাই কোলে নেয় ও আদর করে। আর এ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় মায়ের ভূমিকা অপরিসীম। মা তাঁর সন্তানকে পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে উৎসাহ দেবেন। ময়লা থেকে নিজেকে দূরে রাখতে শিক্ষা দেবেন। আর পরিচ্ছন্নতা হলো ইমানের অঙ্গ।
হজরত আবু মালিক আশআরি (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন, ‘পবিত্রতা ইমানের অঙ্গ।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৫৫৬)
লেখক: খতিব ও ইসলামবিষয়ক গবেষক

একজন শিশুর ভবিষ্যৎ তার বাবা-মায়ের ওপর নির্ভর করে। বাবা-মায়ের ছোট ছোট কাজগুলোই হয় তার জন্য অনুসরণীয়। একজন শিশুকে ভবিষ্যতের কর্ণধার হিসেবে গড়ে তুলতে শুধু বইয়ের পাতার শিক্ষাই যথেষ্ট নয়। বইয়ের পাশাপাশি প্রয়োজন সামাজিক শিক্ষা। আর উভয় শিক্ষা মিলে একজন শিশু হয়ে ওঠে আদর্শবান নাগরিক।
বড়দের সম্মান ও ছোটদের স্নেহ
শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিকে সম্মান করতে শিক্ষা দেওয়া। কখনোই তাঁদের সঙ্গে যেন বেয়াদবিমূলক আচরণ না করে, সেদিকে খেয়াল রাখা। আর ছোটদের প্রতি স্নেহ করতে উৎসাহ দেওয়া। খেলাধুলার সময় বাচ্চাদের অগ্রাধিকার দিতে বলা। খেলনাসামগ্রী নিয়ে বাচ্চাদের সঙ্গে যেন মারামারি না করে, সেদিকে খেয়াল রাখা। কেননা, ইসলাম বড়দের সম্মান ও ছোটদের স্নেহ করতে নির্দেশ করে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ছোটদের প্রতি দয়া করে না এবং বড়দের প্রতি সম্মান করে না, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।’ (আদাবুল মুফরাদ: ৩৫৬)
অপর থেকে কিছু আশা না করা
ছোট শিশু কাদামাটির মতো। ওদের যেভাবে গড়া হবে, ওরা সেভাবেই গড়ে উঠবে। শিশুরা সর্বদা অন্যের জিনিসের প্রতি আকৃষ্ট থাকে। তবে এই আকৃষ্ট থেকে বিরত রাখার জন্য বাবা-মায়ের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই বাচ্চাদের শুরু থেকে এ শিক্ষা দেওয়া যে—কারও থেকে কখনোই কিছু না চাওয়া। চাই সেটা খাবার হোক বা অন্য কিছু। হাদিসে এসেছে, হজরত সামুরা ইবনে জানদুব (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘ভিক্ষাবৃত্তি হলো ক্ষতস্বরূপ; এর দ্বারা মানুষ মুখমণ্ডল ক্ষতবিক্ষত করে’। (সুনানে নাসায়ি: ৫/৯৭)
মানুষকে দান করতে উৎসাহিত করা
দান একটি মহৎ আমল। সদকায়ে জারিয়া। এর সওয়াব এক পুরুষ থেকে পরবর্তী শত পুরুষ পর্যন্ত পেতে পারেন। বাবা-মা যখন কাউকে কিছু দান করবেন, তখন উচিত সঙ্গে থাকা বাচ্চার মাধ্যমে দেওয়া। চাই সে দান মসজিদ হোক বা মাদ্রাসা অথবা কোনো অসহায় ব্যক্তিকে। এর দ্বারা বাচ্চাকে এটা শিক্ষা দেওয়া যে—কারও থেকে কিছু নেওয়ার তুলনায় দেওয়া উত্তম। আর হাদিসে এসেছে, হজরত হাকিম ইবনে হিজাম (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘ওপরের হাত নিচের হাতের চেয়ে উত্তম।’ (সহিহ্ বুখারি: ২/১১২)
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অর্জন করা
বাচ্চাদের সৌন্দর্য ফুটে ওঠে তার পরিচ্ছন্নতায়। পরিচ্ছন্ন শিশুকে সবাই কোলে নেয় ও আদর করে। আর এ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় মায়ের ভূমিকা অপরিসীম। মা তাঁর সন্তানকে পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে উৎসাহ দেবেন। ময়লা থেকে নিজেকে দূরে রাখতে শিক্ষা দেবেন। আর পরিচ্ছন্নতা হলো ইমানের অঙ্গ।
হজরত আবু মালিক আশআরি (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন, ‘পবিত্রতা ইমানের অঙ্গ।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৫৫৬)
লেখক: খতিব ও ইসলামবিষয়ক গবেষক

আল্লাহর দেওয়া জীবন অত্যন্ত মূল্যবান। যে সম্পদ যত বেশি মূল্যবান, তার ব্যবহার-প্রক্রিয়াও তত বেশি সুপরিকল্পিত হওয়া প্রয়োজন। সময় বহমান স্রোতের মতো, যাকে কখনো বেঁধে রাখা যায় না। তাই জীবনের এই মূল্যবান সময়গুলো অবহেলায় নষ্ট করা কোনো বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
৬ ঘণ্টা আগে
জানাজার স্থানে যদি পর্দার খেলাপ কিংবা নারীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে সেখানে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি ইসলাম দেয় না। জানাজার নামাজ যেহেতু নারীদের জন্য আবশ্যক নয়, তাই এতে অংশ নিতে গিয়ে কোনো ফরজ বিধান লঙ্ঘন করা বিধানসম্মত নয়।
১১ ঘণ্টা আগে
জানাজার নামাজ ফরজে কিফায়া। অর্থাৎ কোনো মুসলমান মারা গেলে মহল্লার অল্পসংখ্যক লোক জানাজার নামাজ আদায় করলে বাকিরা দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া একজন মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি হক আছে। এর মধ্যে মৃত ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেওয়াও একটি হক।
১২ ঘণ্টা আগে
মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আমলের দুয়ার বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় বিলাপ কিংবা উচ্চ স্বরে কান্নাকাটি মৃত ব্যক্তির কোনো উপকারে আসে না; বরং তাঁর জন্য মাগফিরাতের দোয়া এবং তাঁর ভালো গুণগুলো স্মরণ করাই প্রকৃত কল্যাণকর।
১৫ ঘণ্টা আগে