ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে চাঁদপুরের মেঘনা তীরবর্তী এলাকায়। একই সঙ্গে উত্তাল হয়ে উঠেছে পদ্মা ও মেঘনা নদী। বাতাসের গতিও বেড়েছে। চরাঞ্চলের লোকদের সতর্ক করে দেওয়া হচ্ছে। সদর উপজেলার হানারচর ইউনিয়নের নদীপারের পাঁচ শতাধিক মানুষ সাইক্লোন সেল্টারে আশ্রয় নিয়েছে।
গতকাল শনিবার ভোর থেকেই চাঁদপুরে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। কখনো দু-এক ফোঁটা বৃষ্টি পড়ছে। পদ্মা-মেঘনা নদীর পানি স্বাভাবিক জোয়ারের চাইতে কিছুটা বেড়েছে। গতিবেগ পরিবর্তন করে বাতাসও বেড়েছে। মেঘনা নদীর মোহনা এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে নদী উত্তাল হওয়ার কারণে নৌযানের সংখ্যা খুবই কম।
সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হজরত আলী ব্যাপারী জানান, সদরে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ চরাঞ্চল হচ্ছে রাজরাজেশ্বর। আজ সকাল থেকেই তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সদস্যদের নিয়ে চরাঞ্চলের লোকদের সতর্ক করে দিয়েছেন এবং মাইকিং করেছেন। জেলে ও চরাঞ্চলের লোকদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়।
চাঁদপুর শহর রক্ষাবাঁধ থেকে শুরু করে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত সবচেয়ে নিচু এলাকা হচ্ছে সদর উপজেলার হানারচর ইউনিয়ন। সেখানে সকাল থেকেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীরা নদীর তীর পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।
হানারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছাত্তার রাঢ়ী বলেন, শনিবার বিকেলেই নদীর পাড় ও বেড়িবাঁধসংলগ্ন পাঁচ শতাধিক লোক হরিনা চালতাতলী এডওয়ার্ড স্কুলসংলগ্ন সাইক্লোন সেল্টারে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের খাদ্যসহায়তা দেওয়া হয়েছে এবং নিরাপদে আছে। গতকাল বিকেলে এবং আজ সকালে জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, নৌ-পুলিশের এসপি মো. কামরুজ্জামান একাধিকবার আশ্রয়কেন্দ্রের লোকদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কিছুটা পড়েছে, কিন্তু মারাত্মক নয়। তবে পানি স্বাভাবিক জোয়ারের চাইতে তিন-চার ইঞ্চি বেড়েছে। আমাদের লোকজন উপকূলের বাঁধ এলাকা পর্যবেক্ষণে আছেন।’
আরও পড়ুন: