দুদিন আগে মৃত বৃদ্ধার কবর দেখতে যান কয়েকজন স্বজন। ভোরে কবরস্থানে গিয়ে তাঁরা দেখেন, নতুন কবরটির মাটি খোঁড়া। ভেতর থেকে গোঙানোর শব্দ আসছে। তাঁরা ভয়ে সেখান থেকে দূরে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানান। এরপর পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় কবরের মাটি সরিয়ে দেখতে পায়, ভেতরে স্থানীয় এক যুবক মরদেহ কোলে নিয়ে বসে আছেন।
আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার জয়বাংলা বাজার সরকারি পাবলিক কবরস্থানে এ ঘটনা ঘটে।
সফিকুল ইসলাম (২২) নামের ওই যুবককে ২৯৭ ধারার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রংপুর আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। সফিকুল ইসলাম উপজেলার হারাগাছ পৌর এলাকার ধুমেরকুঠি পশ্চিমপাড়া গ্রামের আবুজারের ছেলে। মৃতের ছেলে আজহারুল ইসলাম (৫৫) বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
ঘটনার বর্ণনায় আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘আজ সকালে আমার স্ত্রী, বোন এবং মেয়ে আমার মায়ের কবর দেখতে যায়। গিয়ে মাটি সরানো এবং গোঙানোর শব্দ পেয়ে ভয়ে দূরে সরে গিয়ে আমাকে ফোন করেন আমার স্ত্রী। আমি এসে কবরের কাছে গিয়ে বাঁশের চাটাই সরিয়ে দেখি, ভেতরে একজন বসে আছে। আমি ভয়ে কাঁপতে থাকি। গ্রাম পুলিশ আলতাফকে ফোন দিই। তিনিও এসে দেখেন। ভেতরে বসে থাকা যুবককে তিনি চিনতে পারেন। এরপর পুলিশকে ফোন দেন।’
আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘এই ছেলে আমার মায়ের কবরে কেন ঢুকেছিল, এটা বুঝতে পারছি না।’
ইউপি সদস্য ও স্থানীয়রা বলেন, আটক ওই যুবক নেশাগ্রস্ত। তিনি মানসিকভাবেও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এর আগেও নেশার টাকা না পেয়ে এলাকায় বিশৃঙ্খলা করেছেন। কয়েকবার এ নিয়ে সালিসও হয়েছে।
রংপুর মেট্রোপলিটন হারাগাছ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, ‘ওই যুবক মানসিক রোগী। তবে এ ঘটনায় ধর্মানুভূতিতে আঘাত এবং কবরস্থানে অনধিকার প্রবেশ করে মরদেহের অসম্মান করার অপরাধে মামলা হয়েছে। আজ তাঁকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।’
এদিকে কবর থেকে যুবক আটকের খবর ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাস্থলে উৎসুক জনতা ভিড় করেন। তাঁদের সরাতে পুলিশকে বেশ বেগ পেতে হয়।
আরও খবর পড়ুন: