চোখ কপালে ওঠার মতো তথ্য জানা গেছে অস্ট্রেলিয়ার রাজনীতিবিদদের নিয়ে। অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় এক স্পোর্টিং লিগে অনলাইন জুয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে ক্যাম্পেইন থেকে প্রায় ২ কোটি টাকার টিকিট উপহার পেয়েছেন দেশটির রাজনীতিবিদেরা।
অস্ট্রেলিয়ার রাজনীতিবিদদের নিয়ে জুয়া-সংশ্লিষ্ট কাজে জড়িত থাকা নিয়ে আজ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রয়টার্স। অনলাইন জুয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে এক প্রচারণা থেকে প্রায় ১ লাখ ৪৭ হাজার ডলারের টিকিট নেওয়ার কথা জানিয়েছে এই বার্তা সংস্থা। অনেক হিসাব-নিকাশ করে তারা এটা বের করেছে। প্রায় দুই বছর আগে ঘটেছিল এই ঘটনা।
নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে জুয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর তদবির নিয়ে এর আগেও গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ পেয়েছে। তবে রাজনীতিবিদেরা যে টিকিট পেয়েছেন, সেগুলোর হিসাব-নিকাশ এই প্রথম প্রকাশ পেয়েছে। ২০২৩ সালে সব ধরনের অনলাইন জুয়ার বিজ্ঞাপনী প্রচারণার ওপর যে সংসদীয় তদন্ত হয়েছিল, তার পরিপ্রেক্ষিতে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ এটা নিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সংসদে যখন জুয়া সংস্কারের কথা নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল, তখনই রাজনীতিবিদেরা ৩১২টি টিকিট নিয়েছিলেন।
ডেভিড পোকোক নামের এক সিনেটর ব্যাপারটি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। পোকোক বলেন, ‘আমরা জানি যে স্বার্থান্বেষী মহল নিষেধাজ্ঞা ঠেকাতে কঠোর তদবির করছে। রাজনীতিবিদদের কাছে ঘোষিত উপহারের ব্যাপারে যে নরম কূটনৈতিক পরিচয় প্রকাশ পেয়েছে, তা অনেক উদ্বেগজনক। এটা খুবই ভয়াবহ যে অনলাইন জুয়ার ক্ষতি নিয়ে যুগান্তকারী প্রতিবেদন প্রকাশের ১৮ মাস পর এবং লেবার সরকারের পূর্ণ মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও প্রধানমন্ত্রী জুয়ার বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করতে অর্থবহ পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছেন।’
অনলাইন জুয়া সংশ্লিষ্ট কাজে রাজনীতিবিদদের টিকিট নিয়ে রয়টার্স জানতে চেয়েছিল। তবে অ্যালবানিজ ও অস্ট্রেলিয়ার ফুটবল লিগ (এএফএল) বার্তা সংস্থার প্রশ্নের পর আর কোনো জবাব দেয়নি। ন্যাশনাল রাগবি লিগও (এনআরএল) মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।