দাবার প্রতি তাঁর ভালোবাসা আছে বলেই ৮০ বছর বয়সেও রানী হামিদ খেলে যাচ্ছেন সমান দাপটে। ২১ তম আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দাবা টুর্নামেন্টে অংশ নিতে গত ৬ জুন দিল্লি যান আন্তজার্তিক মাস্টার খেতাব প্রাপ্ত এই দাবাড়ু। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আছিয়া সুলতানা। কিন্তু ভিসা জটিলতার কারণে আছিয়াকে ভারতে প্রবেশ করতে দেয়নি দিল্লির ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ।
নয়াদিল্লির ইন্দিরা গান্ধী বিমানবন্দর থেকে ঢাকায় ফেরত পাঠানো হয় আছিয়াকে। ফলে সঙ্গী দাবাড়ুকে না পাওয়ায় একা হয়ে পড়েন রানী হামিদ। সাধারণত একা কখনো বিদেশে খেলতে যাওয়া হয় না তাঁর।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে রানী হামিদ বলেন, ‘আমার খুব খারাপ লাগছে। আমার সঙ্গে যে এসেছিল তাঁকে ভারতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। সারা রাত তাকে ইমিগ্রেশনে বসিয়ে রাখা হয়। এমনকি লাগেজও নিতে দেওয়া হয়নি। পরের দিন দ্বিগুণ দামে টিকিট কিনে ফিরে যেতে হয় তাকে। আমার মন বিক্ষিপ্ত, এবং আমি খেলায় মনোযোগ দিতে পারছি না।’
৩৬ বছর বয়সী আছিয়া এর আগেও ভারতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেবার মেডিক্যাল ভিসায় গিয়ে কলকাতায় একটি টুর্নামেন্ট খেলেন তিনি। তাই বিদেশী আঞ্চলিক নিবন্ধন অফিস তাঁকে কালো তালিকাভুক্ত করে। রানী হামিদ বলেন, ‘তার পাসপোর্ট এবং কাগজপত্র সব ঠিক ছিল, তবুও তাকে আগের সফরে একটি টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়ার জন্য কালো তালিকাভুক্ত করা হয়। সে তখন জানতও না যে এটি (মেডিক্যাল ভিসায় গিয়ে ম্যাচ খেলা) একটি লঙ্ঘন।’
দিল্লিতে প্রথম রাউন্ডে ১২ বছর বয়সী পরশ কালিয়ার কাছে হেরে যান রানী হামিদ, ‘এই হারে আমি কীভাবে খুশি থাকব। আমি তো এখন বুড়ো হয়ে গেছি।’ ৭ রাউন্ড শেষে দেড় পয়েন্ট অর্জন করেছেন রানী হামিদ।