হোম > খেলা > অন্য খেলা

পরিবর্তন আর কোথায় দরকার

জহির উদ্দিন মিশু, ঢাকা

অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেওয়ার পর ফেডারেশনগুলোতে লেগেছে সংস্কারের ছোঁয়া। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের যৌথ তত্ত্বাবধানে শুরু হওয়া সেই সংস্কার কত দূর এগিয়েছে? শেষই-বা হবে কবে? সংস্কার কি ফেডারেশনগুলোর সভাপতি বদলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে? এমন অনেক প্রশ্নের উত্তর এ ধারাবাহিকে খুঁজেছেন জহির উদ্দিন মিশু

আওয়ামী লীগ সরকারের দেড় দশকের শাসনামলে ফেডারেশনগুলোয় জবাবদিহিতা কিছু ছিল না বললেই চলে। প্রতিবছর সরকারি বরাদ্দ আর মোটা অঙ্কের ‘স্পনসর মানি’ দিয়ে বিদেশে ভ্রমণ-বিলাস করাই লক্ষ্য ছিল বেশির ভাগ ফেডারেশন কর্তাদের। খেলোয়াড় তৈরি করা কিংবা সারা দেশে নিয়মিত খেলার আয়োজন করার বড় দায়িত্বের কথা ভুলেই যেতেন তাঁরা। হাতে গোনা কটি বাদে বাকি ফেডারেশনগুলো নিজেদের খেয়ালখুশি মতো বছরের পর বছর পার করেছে। এখন তাদের জবাবদিহির আওতায় আনার সময় এসেছে বলে মনে করেন খেলোয়াড় ও ক্রীড়া সংগঠকেরা।

অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই দিকগুলোয় সুদৃষ্টি দিয়েছে। চলছে ফেডারেশনগুলোর কমিটি সংস্কারের কাজ। তবে সংস্কারের পরিধিটা আরও বড় করার পক্ষে মত দিয়েছেন ক্রীড়াঙ্গনের সাবেক খেলোয়াড় ও সংগঠকেরা। তাঁরা মনে করেন, কেবল ফেডারেশনগুলোর শীর্ষ পদের লোকদের বদলালেই সবকিছু বদলাবে না।

জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার ও কোচ গোলাম সারোয়ার টিপু বললেন, ‘ফেডারেশনগুলোর কাঠামোতেই বদল আনতে হবে। সারা বছর যাতে খেলাটা হয়, সেদিকে নজর দিতে হবে। কখন খেলা শুরু হবে কখন শেষ হবে—এর সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকতে হবে।’ মাঝে মধ্যেই ফুটবল কিংবা অন্যান্য খেলায় পাতানো ম্যাচের অভিযোগ ওঠে। এর বিরুদ্ধেও সোচ্চার হওয়ার দাবি গোলাম সারোয়ার টিপুর, ‘পাতানো ম্যাচ করা বা নিজেদের জেতার জন্য, শীর্ষে ওঠার জন্য ছক করা চলবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘খেলোয়াড়রা যদি স্পষ্টভাবে জানে আমার কবে খেলা কবে অনুশীলন, তাহলেই হয়তো কিছু হবে। না হলে কেবল সভাপতি আর সাধারণ সম্পাদক পরিবর্তন করে লাভ হবে না। ফুটবল ফেডারেশন করবেটা কী। তাদের সারা দেশে নিজস্ব কোনো মাঠ নেই। তাবিথ বাফুফে সভাপতি হয়েই কি বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামকে খেলার জন্য প্রস্তুত পাবে? এনএসসি বলবে মাঠ প্রস্তুত হতে আরও ছয় মাস লাগবে। এসব বিষয় ঠিক করতে হবে।’

ব্যাঙের ছাতার মতো   গজিয়ে ওঠা সব ফেডারেশন রাখার দরকার আছে কি না, তা নিয়েও ভাবার অবকাশ আছে বলে মনে করেন সাবেক টেবিল টেনিস খেলোয়াড় ও সংগঠক আহমাদ উল্লাহ, ‘আমাদের সময় বছরে অন্তত ১০-১২টা টুর্নামেন্ট হতো। জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ, স্কুল ও কলেজে টুর্নামেন্ট। তখন ফেডারেশন ছিল ২০-২১টি। এখন সেটা ৫০ ছাড়িয়েছে। এমন অনেক ফেডারেশন আছে যেগুলোর খেলা মানুষ ঠিক করে জানে না। কোন খেলা কীভাবে হয়, সেসব নিয়েও ধারণা নেই। আমার মনে হয়, পরিচিত খেলাগুলোর দিকে বেশি নজর দেওয়া উচিত।’

অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সংস্কার নিয়ে ভীষণ আন্তরিক। সার্চ কমিটি গঠন করে সংস্কার প্রক্রিয়া আগেই শুরু হয়েছে। সেই সংস্কার এখন কোন পর্যায়ে? ক্রীড়া উপদেষ্টার জবাব, ‘সার্চ কমিটির একটা প্রস্তাব দেওয়ার কথা। কয়েকটা ফেডারেশনের কমিটি আমরা কিছুদিনের মধ্যে দিতে পারি। নতুন ডিসি দায়িত্ব নেওয়ার পর জেলা, উপজেলা ক্রীড়া পরিষদ পুনর্গঠিত হবে। প্রত্যেক জেলাকে কেন্দ্র করে যাতে একটা স্পোর্টস ইকোসিস্টেম গড়ে ওঠে এবং জেলায় যাতে নিয়মিত খেলাধুলা হয় সেটা আমরা নিশ্চিত করব। জবাবদিহির জায়গাটাও নিশ্চিত করব।’

আমিরুলদের ৬০ লাখ টাকা পুরস্কার, সমস্যার কথা বলতে চান ক্রীড়া উপদেষ্টাকে

এক বছরে তিতাসের জোড়া শিরোপা

‘আগে জানত না, বিশ্বকাপের পর এখন বাংলাদেশকে সবাই চেনে’

আমিরুলের পঞ্চম হ্যাটট্রিক, বিশ্বকাপে বাংলাদেশের শিরোপা

ভালো করেও আমিরুলদের অনিশ্চয়তা

আমিরুলের হ্যাটট্রিকে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়ানো জয়

ওমানের জালে বাংলাদেশের ১৩ গোল, আমিরুল-রকির হ্যাটট্রিক

ফ্রান্সের বিপক্ষে লড়াই করেও পারল না বাংলাদেশ

আবারও আমিরুলের হ্যাটট্রিক, পিছিয়ে থেকে কোরিয়াকে রুখে দিল বাংলাদেশ

আমিরুলের হ্যাটট্রিকে বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার ঘাম ছোটাল বাংলাদেশ