বয়স যে শুধুই একটি সংখ্যা, তা বহুবার বহু মানুষ প্রমাণ করেছেন। তাই বলে ১০০ ছুঁই ছুঁই বয়সকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে সোনাসহ তিনটি পদক জিতে নেবেন, তা বোধ হয় ঘুণাক্ষরেও কেউ ভাবেননি।
তবে বৃদ্ধা ভগবানী দেবী ইচ্ছেশক্তি দিয়েই নিজের স্বপ্ন পূরণ করেছেন। ফিনল্যান্ডের তাম্পেরেতে পরশু ওয়ার্ল্ড মাস্টার্স অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপের ১০০ মিটার দৌড়ে ভারতকে সোনা এনে দিয়েছেন স্প্রিন্টার ভগবানী। ২৪.৭৪ সেকেন্ডে দৌড় শেষ করে শীর্ষস্থান অর্জন করেন তিনি। এ ছাড়া শট পুট ইভেন্টে দুটি ব্রোঞ্জ পদক জিতেছেন এই নারী।
প্রতিযোগিতার ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড ইভেন্টে শুধু ৩৫ ঊর্ধ্ব নারী ও পুরুষ অংশ নিতে পারেন। তবে ভগবানীর বয়স ন্যূনতম বয়সের প্রায় তিন গুণ! ৯৪ বছর বয়সী ভগবানী ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের খিদকা এলাকার বাসিন্দা। তাঁর নাতি বিকাশ ডগর একজন আন্তর্জাতিক প্যারা-অ্যাথলেট। ভারতের ক্রীড়াক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘খেলরত্ন পুরস্কার’ জিতেছেন তিনি।
ভগবানীর অবিশ্বাস্য সাফল্যে গর্বিত গোটা ভারত। দেশটির যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছো জানিয়েছে। লিখেছে, ‘৯৪ বছর বয়সী ভগবানী দেবীজি প্রমাণ করেছেন বয়স কোনো বাধা নয়। তাঁর অর্জন সত্যিই প্রশংসনীয়।’
এ বছরের শুরুতে চেন্নাইয়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় মাস্টার্স অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে তিনটি সোনার পদক জেতেন ভগবানী। ওই পদকগুলোর সৌজন্যেই তিনি ফিনল্যান্ডে বিশ্ব আসরে অংশ নেওয়ার ছাড়পত্র পান। দিল্লিতে অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপেও ১০০ মিটার স্প্রিন্ট, শট পুট ও জ্যাভলিন থ্রোয়ে সোনা জেতেন তিনি। এবার তো বিশ্ব জয় করে ফিরছেন ভগবানী।
ওয়ার্ল্ড মাস্টার্স অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতার ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড ইভেন্টে শুধু ৩৫ ঊর্ধ্ব নারী ও পুরুষ অংশ নিতে পারেন।